দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে আমরা দ্রব্যমূল্য, তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু সরকার কানে শুনে না। আজকে ডিমের দাম ১৫ টাকা। এদের দুর্নীতির কারণে টাকার মান কমে গেছে।’ 

পশ্চিমা ষড়যন্ত্রে দেশের টাকার পরিমাণ বাড়লেও মূল্য কমে গেছে। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। টাঁকশাল বাংলাদেশের সম্পদের ভান্ডার নয়। টাকা ছাপালেই অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান হয় না। সমস্যার মূলে গিয়ে সমাধান দরকার। মূল টাকার অবমূল্যায়ন বন্ধ করতে নতুন অর্থনীতিবিদদের এগিয়ে আসতে হবে। 

ফেসবুকে প্রবেশ করলে হয়তো আপনার চোখের সামনে একটা মিম চলে আসতে পারে, যেখানে বলা থাকবে, পানির দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। ধন্দে পড়ে যেতে পারেন যে

‘পিঁয়াজ গত বছর এই সময়ে ৪৫-৫০ টাকায় বেচছি। আর এহন পাইকারিতেই কেনা লাগতেছে ৪৫-৫০ টাকায়। তাইলে কমে বিক্রি করমুডা কেমনে?’ বলছিলেন মোহাম্মদপুর কৃষি বাজারের বিক্রেতা রমিজ মিয়া। নিজে যে পণ্যগুলো বিক্রি করছেন, সেগুলোর সঙ্গে নিজের প্রয়োজনে যে পণ্য কেনেন, সেগুলোর দামও এক বছরের ব্যবধানে আকাশ ছুঁয়েছে বলে জানান

সারা বিশ্বে মানুষ যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে হিমশিম খাচ্ছে তখন চীনে ঘটছে উল্টোটা—দেশটিতে দ্রব্যমূল্য কমছে। দেখা দিয়েছে মুদ্রা সংকোচন। এমন পরিস্থিতি দেশটির কর্তাব্যক্তিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। 

দেশের ভেতরে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্বজুড়ে বাসমতি নয় এমন চালের রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এ অবস্থায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য চিনির ক্ষেত্রেও একই ধরনের নির্দেশনা আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। 

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে দলটির সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরের কোর্ট পয়েন্টে এ মানববন্ধন করে। 

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে চিনির দাম। তবে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পণ্যের চাহিদাও কমেছে। এ জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে চিনি আমদানিকারকেরা ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭২ টন চিনি কম আমদানি করেছেন, যা শতকরা হিসাবে ২৪ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ

দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১২ কেজিতে ১৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ১৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) 

কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেপ্তারকৃত সব নেতা-কর্মীর মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়া শহরে দলটি বিক্ষোভ মিছিল করে।

গ্রামে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘হয়তো ঢাকা শহর সবাই দেখেন, গ্রামের দিকে যাননি। গ্রামের মানুষ, গ্রামে কিন্তু কোনো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নাই। আজকেও আমি খবর নিলাম, বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের নেতা-কর্মীরা এসেছিলেন

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দায়ে ১০ প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার দিনভর সোনাইমুড়ী বাজার ও পৌরসভার কাঠালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়।

চাহিদা-সরবরাহের ফারাক, আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য বা মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি—কোনো ব্যাখ্যাই সাধারণ মানুষের কাছে প্রাসঙ্গিক নয়। সাধারণ মানুষ মনে করে, মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সরকারের ব্যর্থতা মূল কারণ। এই কারণে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা কনজুমার অ্যাসোসিয়েশ

বাজারের স্বাভাবিক নিয়মে চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি থাকলে দাম বাড়ে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও দেশে বাড়তে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে কোনো নিয়মই খাটে না। এখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ওঠানামা করে প্রধানত বড় ব্যবসায়ীদের ইচ্ছায়। দ্রব্যমূল্য-সংক্রান্ত জাতীয়

দাম কমার ২ দিন পর আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচা মরিচের দাম। আজ বুধবার ঘিওর উপজেলাসহ মানিকগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায়।

অর্থনীতিবিদেরা এই অবস্থার জন্য সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়াকে দায়ী করেছেন। তাঁরা যুক্তি দেখান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত এক বছরে পাঁচবার পলিসি হার বাড়ালেও, ঋণের ওপর হারের সীমা এবং ব্যাপক বিনিময় হারের কারণে মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে পারেনি।

যশোরে এ বছর ৫৯০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হলেও উৎপাদন নেই। যশোরের স্থানীয় কৃষকদের খেতের মরিচ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দাম বাড়ছে হু হু করে। যশোরের বাজারের চাহিদা মেটানো হচ্ছে ফরিদপুরের মরিচ দিয়ে।