ডিএসই

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য নেওয়া ‘মার্জিন ঋণ’ এখন গলার কাঁটা। পুঁজিবাজারে ‘ফ্লোর প্রাইস’ নামক প্রতিবন্ধকতার কারণে লেনদেন করতে না পারায় এসব মার্জিন ঋণ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তার ওপর নতুন মুদ্রানীতির কারণে এ ঋণের সুদের হারও বেড়েছে। এতে ২ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি সুদ গুনতে হচ্ছে বিনিয়োগকার

পুঁজিবাজারে ট্যানারি খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেডের ঋণের প্রায় ২০ কোটি টাকা মওকুফ করেছে রূপালী ব্যাংক। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।

টানা তিন কর্মদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে আজ মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে কিছুটা দর সংশোধন হয়েছে। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়ে পাঁচ শ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে, যা ১৩ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

নানান ধরনের গুজব আর অনিশ্চয়তায় শনির দশায় পড়েছে পুঁজিবাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ২০০ কোটির ঘরে নেমেছে, যা ৪ মাস ২০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এক মাস যাবৎ এমন লেনদেন-খরায় ধুঁকছে পুঁজিবাজার। এতে করে গত ১৬ কর্মদিবসে ৯ হাজার কোটি টাকা এবং সপ্তাহের প্রথম তিন কর্মদিবসে ৪ হাজার

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ছাড়া কোনোভাবেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু। 

গত তিন বছরের মধ্যে দুই বছরে বড় অঙ্কের লোকসান গুনেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয় না নিয়মিত। দর বাড়তে পারে এমন কোনো ইতিবাচক তথ্যও নেই। তার পরও শেয়ারদর বাড়ছে লাগামহীনভাবে। প্রায় পাঁচ মাসে দুর্বল ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২২৭ শ

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থান হলেও দ্বিতীয় দিনই কমে গেছে খানিকটা। যদিও বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়তে দেখা গেছে

বিনিয়োগকারী হারাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। শেয়ারের জিম্মাদার প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য বলছে, গত দুই বছরে বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) হিসাব কমেছে সাড়ে ৬ লাখের বেশি।  এর কারণ হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারের দুর্বল অবস্থাকে দায়ী করেছেন বিশ্লেষকেরা।

বিনা ফিতে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সুবিধা হারাতে যাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এখন থেকে অ্যাপ ব্যবহারে প্রতি মাসে বিনিয়োগকারীদের ১২৫ টাকা ফি দিতে হবে। অর্থাৎ, বছরে গুনতে হবে ১ হাজার ৫০০ টাকা।

বিনা খরচে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সুবিধা হারাতে যাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এখন থেকে অ্যাপ ব্যবহারে প্রতি মাসে বিনিয়োগকারীদের ১২৫ টাকা ফি দিতে হবে। সে হিসাবে বছরে গুনতে হবে ১ হাজার ৫০০ টাকা। 

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে আজ সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ঈদের ছুটির পর এ নিয়ে টানা সাত কর্মদিবস বাড়ল লেনদেন। তবে এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেনের মধ্যেও ঢালাও দরপতন হয়েছে এক্সচেঞ্জটিতে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সোমবার সূচকের লেনদেন চলছে মিশ্র প্রবণতার মধ্য দিয়ে। এদিন বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দরবৃদ্ধি ও দরপতনের সংখ্যা কাছাকাছি ছিল। আর আগের দিনের মতোই লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ শেয়ারের দর অপরিবর্তিত ছিল।

বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে লেনদেন করেন ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে। গত কয়েক বছরে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে

দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে ১৫ দিনের মাথায় লেনদেন আবার ৯০০ কোটি টাকা ছাড়াল। এই লেনদেন গত ১২ জুনের পর সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ লেনদেন হলেও সূচক বেড়েছে অতি সামান্য।

মন্দ হিসেবে চিহ্নিত ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির উপর নজদারিতে ব্যর্থ হওয়ার ব্যাখ্যা তলব চেয়ে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি, ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকসহ নিবন্ধিত সব প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট বা জবাবদিহি এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ইতিমধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের দায়ি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৬৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছে বিএসইসি। সামগ্রিক বাজারে এর প্রভাব কতটুকু পড়বে তা নিয়ে সতর্ক মত দিয়েছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।