টাইটানিক

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নির্মম পরিণতির শিকার পর্যটক দলটির সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য ছিলেন সুলেমান। তাঁর বাবা শাহজাদা দাউদ ছিলেন পাকিস্তানের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। এবারের বাবা দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতেই পিতা-পুত্র রওনা হয়েছিলেন সমুদ্রের তলদেশে, কিংবদন্তির টাইটানিক স্বচক্ষে দেখতে।

ডুবোযান টাইটান দুর্ঘটনায় পাঁচ আরোহী নিহতের ঘটনায় মুখ খুলেছেন অস্কারজয়ী সিনেমা ‘টাইটানিক’–এর নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। ঝুঁকির ব্যাপারে ডুবোযানের নির্মাতাদের আগেই অনেকে সতর্ক করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 

ডুবে যাওয়া টাইটানিক পর্যটনে যাওয়া ডুবোজাহাজ টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। চার দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার ডুবোজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। এদিন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পাঁচ আরোহীর মৃত্যুর কথা জানানো হয়। এর আগে গত রোববার পাঁচ আরোহীসহ সাবমেরিন পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশান গে

মার্কিন কোস্ট গার্ড তাদের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানায়, একটি স্বয়ংক্রিয় অনুসন্ধান যন্ত্রের সাহায্যে ডুবে থাকা টাইটানিকের কাছেই নতুন কতগুলো ধ্বংসাবশেষের টুকরো পাওয়া গেছে। ধ্বংসাবশেষের ওই এলাকাটি এখন খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। 

আথোস সালোম নামে ব্রাজিলিয়ান এই রহস্য পুরুষকে বলা হয় আধুনিক নস্ত্রাদামুস। কারণ করোনা মহামারি এবং ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের মৃত্যুসহ বেশ কয়েকটি ঘটনায় তিনি নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। 

পেরিয়ে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ধারণা করা হচ্ছে, আর মাত্র ২৪-২৫ ঘণ্টা পরই শেষ হয়ে যাবে টাইটানিক ধ্বংসাবশেষের উদ্দেশে গিয়ে নিখোঁজ ডুবোযানটির অক্সিজেন। এই সময়ের মধ্যে এটিকে খুঁজে পাওয়া না গেলে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে পড়বেন আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে যাওয়া তিন পর্যটকসহ পাঁচ অভিযাত্রী। 

এ ধরনের ডুবোযানে যে পরিমাণ অক্সিজেন থাকে তা নিয়ে পাঁচজন মানুষ সর্বোচ্চ ৯০ থেকে ১০০ ঘণ্টা চলতে পারেন। এ হিসেবে পানিতে ডুব দেওয়ার সময় থেকে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়টুকু বাদ দিলে আর মাত্র ৫০ থেকে ৫৫ ঘণ্টা সময় অবশিষ্ট আছে উদ্ধারকারীদের হাতে।

বোস্টন কোস্টগার্ড বিবিসিকে জানিয়েছে, কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলে ডুবোযানটির খোঁজে এখন উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে নিখোঁজ হওয়ার সময় যানটিতে কতজন পর্যটক ছিলেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। 

টাইটানিক সিনেমা মুক্তির ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সিনেমার সমাপ্তি বা শেষ দৃশ্য মোটেও পছন্দ হয়নি দর্শকদের। জ্যাক ও রোজের গভীর ভালোবাসার মধ্যে সমুদ্রে জাহাজডুবির নির্মমতা মেনে নিলেও, রোজকে বাঁচিয়ে রেখে জ্যাকের হিমশীতল পানিতে ডুবে মরে যাওয়াকে মেনে নিতে পারেননি অনেক দর্শক। অধিকাংশ দর্শকদের দাবি, জ্যাককে লড়াইট

টাইটানিক, ব্রিটানিক, অলিম্পিক জাহাজ দুর্ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী এ আর্জেন্টাইন তরুণী। তাঁর রোমাঞ্চকর সমুদ্র যাত্রা নিয়ে লেখা এ গল্পটি হতে পারে আপনার জীবনে পড়া অন্যতম সেরা গল্প।