মারুফ ইসলাম
শুরু হলো ২০২৩ সাল। পুরোনো বছরকে পেছন ফিরে দেখার পাশাপাশি নতুন বছরের দিকেও চোখ রাখছেন সচেতন মানুষ। এ বছর নানা ক্ষেত্রেই আসতে পারে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণেই বিদায়ী বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতি ছিল বেসামাল। নতুন বছরে পৃথিবী তা কাটিয়ে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে চলছে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
তবে তরুণ প্রজন্ম চোখ রেখেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এখানে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারণ ইন্টারনেট, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, বিশ্বের ৪৬২ কোটির বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এটি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ প্রতিদিন গড়ে ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করে। সুতরাং নতুন বছরে মানুষের জীবনে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যে আরও বেশি প্রভাববিস্তারী হয়ে উঠবে, তাতে সন্দেহ নেই।
টিকটকের জনপ্রিয়তা হবে লাগামছাড়া
২০২০ এবং ২০২১ সালে সর্বাধিক ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের নাম টিকটক। ২০২২ সালের সঠিক পরিসংখ্যান এখনো জানা যায়নি। তবে এর জনপ্রিয়তা এখনই আকাশচুম্বী। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে এটি সবচেয়ে পছন্দের সামাজিক নেটওয়ার্ক। টিকটকের ৪৪ শতাংশ ব্যবহারকারীর বয়স ২৫ বছরের কম। তরুণ প্রজন্মের এক-পঞ্চমাংশ দিনের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা টিকটকে ব্যয় করে থাকে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, টিকটকের বিপণন বাজেট এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণী যদি সত্যি হয়, তাহলে টিকটক হয়ে উঠবে এ বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
ব্যবসা বাড়বে সামাজিক মাধ্যমে
করোনা মহামারির পর ভার্চুয়াল দুনিয়ায় কেনাকাটা বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণেরা সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাদের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হয়ে উঠেছে ‘ভার্চুয়াল শপিং স্পেস’। বিদায়ী বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে কেনাকাটা করেছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৩ সালে এটি ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
কেনাকাটার জন্য মানুষ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করবে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। এখনই অন্তত ৭০ শতাংশ ক্রেতা বিভিন্ন পণ্যের খোঁজে ইনস্টাগ্রামে ঢুঁ মারে। এ বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ক্রেতাদের জন্য অবাধ বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিডিওর আধিপত্য বাড়বে
মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিসকোর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইন্টারনেটের ৮২ শতাংশ গ্রাহক ভিডিও দেখেন। দীর্ঘ ভিডিওর চেয়ে স্বল্প সময়ের ভিডিও এখন বাজার দখল করেছে। এই প্রবণতা চলতি বছরেও অব্যাহত থাকবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে সিসকো। মানুষকে অতিমাত্রায় ভিডিওমুখি করার পেছনে টিকটকের অবদান রয়েছে। টিকটকের তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তার কারণে ফেসবুক ‘রিলস’, ইনস্টাগ্রাম ‘রিলস’ এবং ইউটিউব ‘শর্টস’ নামের ফিচার আনতে বাধ্য হয়েছে।
এ ছাড়া মহামারি-পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বেই ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ জনপ্রিয় হয়েছে। এই জনপ্রিয়তা ২০২৩ সালে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের প্রচার, প্রদর্শন, বিভিন্ন ব্যবসায়িক ইভেন্ট আয়োজন করতে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সুবিধা নিচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যম নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছবি বা লেখার চেয়ে ভিডিও দ্রুত জনপ্রিয় হয়। এসব কারণে এ বছর ভিডিও আধিপত্য আরও বাড়বে।
রাজত্ব করবে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি
অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির (ভিআর) ব্যবহার যেভাবে বাড়ছে, তাতে এ বছর এ দুটি মাধ্যম মূলধারায় আঘাত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইনস্টাগ্রাম পাঁচ বছর ধরেই ফটো ফিল্টারের জন্য এআর প্রযুক্তি ব্যবহার চলছে। অন্য সামাজিক মাধ্যমগুলোও এআর ব্যবহার করে। সুতরাং এ বছর এআর প্রযুক্তির বাজার ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলো আরও ব্যাপকভাবে এআর প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ফলে এ বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজত্ব করবে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি।
বিজ্ঞাপনের বাজার খেয়ে ফেলবে সামাজিক মাধ্যম
বিশ্বের বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখন বিজ্ঞাপন বাজেটের সিংহভাগ ব্যয় করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একটি জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ব্যবসায়ী স্বীকার করেছেন যে তাঁরা তাঁদের বিপণন বাজেটের অর্ধেক সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পেছনে ব্যয় করেন। এই প্রবণতা চলতি বছরে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিদায়ী বছরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের বাজার ছিল ১৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এ বছর ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যয় ৬৮ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় অংশটি ব্যয় হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
প্রথাগত বিজ্ঞাপনের চেয়ে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও বিশ্বস্ততা বাড়বে। সার্ভে মাংকি নামের একটি জরিপ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রায় অর্ধেকই ডিজিটাল বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কেনেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যবহার দেখা যায় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে।
ট্রেন্ড হয়ে উঠবে ‘ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা ভীষণ জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী, তাঁদের ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ বলা হয়। পণ্য ও ব্র্যান্ড প্রচার করতে ইদানীং তাঁদের ব্যবহার করা হচ্ছে। চলতি বছরে সামাজিক মাধ্যমের বিজ্ঞাপনে ইনফ্লুয়েন্সারদের যুক্ত করার প্রবণতা আরও বাড়বে। বলা যায়, এই ধারাই ট্রেন্ড হয়ে উঠবে। এই ট্রেন্ডকে বলা হচ্ছে ‘ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং’।
এ বছর ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ব্যয় ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করছেন সামাজিক মাধ্যমের বিপণন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের অ্যালগরিদমকে আরও বেশি বিজ্ঞাপনবান্ধব করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে। ফলে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘স্পনসর’ পোস্ট দেখা যায়।
তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, রয়টার্স, ডিমান্ডসেজ ও ফ্রেশ কনটেন্ট সোসাইটি
শুরু হলো ২০২৩ সাল। পুরোনো বছরকে পেছন ফিরে দেখার পাশাপাশি নতুন বছরের দিকেও চোখ রাখছেন সচেতন মানুষ। এ বছর নানা ক্ষেত্রেই আসতে পারে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণেই বিদায়ী বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতি ছিল বেসামাল। নতুন বছরে পৃথিবী তা কাটিয়ে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে চলছে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
তবে তরুণ প্রজন্ম চোখ রেখেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এখানে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারণ ইন্টারনেট, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, বিশ্বের ৪৬২ কোটির বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এটি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ প্রতিদিন গড়ে ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করে। সুতরাং নতুন বছরে মানুষের জীবনে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যে আরও বেশি প্রভাববিস্তারী হয়ে উঠবে, তাতে সন্দেহ নেই।
টিকটকের জনপ্রিয়তা হবে লাগামছাড়া
২০২০ এবং ২০২১ সালে সর্বাধিক ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের নাম টিকটক। ২০২২ সালের সঠিক পরিসংখ্যান এখনো জানা যায়নি। তবে এর জনপ্রিয়তা এখনই আকাশচুম্বী। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে এটি সবচেয়ে পছন্দের সামাজিক নেটওয়ার্ক। টিকটকের ৪৪ শতাংশ ব্যবহারকারীর বয়স ২৫ বছরের কম। তরুণ প্রজন্মের এক-পঞ্চমাংশ দিনের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা টিকটকে ব্যয় করে থাকে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, টিকটকের বিপণন বাজেট এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণী যদি সত্যি হয়, তাহলে টিকটক হয়ে উঠবে এ বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
ব্যবসা বাড়বে সামাজিক মাধ্যমে
করোনা মহামারির পর ভার্চুয়াল দুনিয়ায় কেনাকাটা বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণেরা সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাদের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হয়ে উঠেছে ‘ভার্চুয়াল শপিং স্পেস’। বিদায়ী বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে কেনাকাটা করেছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৩ সালে এটি ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
কেনাকাটার জন্য মানুষ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করবে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। এখনই অন্তত ৭০ শতাংশ ক্রেতা বিভিন্ন পণ্যের খোঁজে ইনস্টাগ্রামে ঢুঁ মারে। এ বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ক্রেতাদের জন্য অবাধ বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিডিওর আধিপত্য বাড়বে
মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিসকোর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইন্টারনেটের ৮২ শতাংশ গ্রাহক ভিডিও দেখেন। দীর্ঘ ভিডিওর চেয়ে স্বল্প সময়ের ভিডিও এখন বাজার দখল করেছে। এই প্রবণতা চলতি বছরেও অব্যাহত থাকবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে সিসকো। মানুষকে অতিমাত্রায় ভিডিওমুখি করার পেছনে টিকটকের অবদান রয়েছে। টিকটকের তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তার কারণে ফেসবুক ‘রিলস’, ইনস্টাগ্রাম ‘রিলস’ এবং ইউটিউব ‘শর্টস’ নামের ফিচার আনতে বাধ্য হয়েছে।
এ ছাড়া মহামারি-পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বেই ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ জনপ্রিয় হয়েছে। এই জনপ্রিয়তা ২০২৩ সালে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের প্রচার, প্রদর্শন, বিভিন্ন ব্যবসায়িক ইভেন্ট আয়োজন করতে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সুবিধা নিচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যম নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছবি বা লেখার চেয়ে ভিডিও দ্রুত জনপ্রিয় হয়। এসব কারণে এ বছর ভিডিও আধিপত্য আরও বাড়বে।
রাজত্ব করবে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি
অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির (ভিআর) ব্যবহার যেভাবে বাড়ছে, তাতে এ বছর এ দুটি মাধ্যম মূলধারায় আঘাত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইনস্টাগ্রাম পাঁচ বছর ধরেই ফটো ফিল্টারের জন্য এআর প্রযুক্তি ব্যবহার চলছে। অন্য সামাজিক মাধ্যমগুলোও এআর ব্যবহার করে। সুতরাং এ বছর এআর প্রযুক্তির বাজার ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলো আরও ব্যাপকভাবে এআর প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ফলে এ বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজত্ব করবে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি।
বিজ্ঞাপনের বাজার খেয়ে ফেলবে সামাজিক মাধ্যম
বিশ্বের বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখন বিজ্ঞাপন বাজেটের সিংহভাগ ব্যয় করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একটি জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ব্যবসায়ী স্বীকার করেছেন যে তাঁরা তাঁদের বিপণন বাজেটের অর্ধেক সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পেছনে ব্যয় করেন। এই প্রবণতা চলতি বছরে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিদায়ী বছরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের বাজার ছিল ১৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এ বছর ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যয় ৬৮ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় অংশটি ব্যয় হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
প্রথাগত বিজ্ঞাপনের চেয়ে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও বিশ্বস্ততা বাড়বে। সার্ভে মাংকি নামের একটি জরিপ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রায় অর্ধেকই ডিজিটাল বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কেনেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যবহার দেখা যায় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে।
ট্রেন্ড হয়ে উঠবে ‘ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা ভীষণ জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী, তাঁদের ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ বলা হয়। পণ্য ও ব্র্যান্ড প্রচার করতে ইদানীং তাঁদের ব্যবহার করা হচ্ছে। চলতি বছরে সামাজিক মাধ্যমের বিজ্ঞাপনে ইনফ্লুয়েন্সারদের যুক্ত করার প্রবণতা আরও বাড়বে। বলা যায়, এই ধারাই ট্রেন্ড হয়ে উঠবে। এই ট্রেন্ডকে বলা হচ্ছে ‘ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং’।
এ বছর ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ব্যয় ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করছেন সামাজিক মাধ্যমের বিপণন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের অ্যালগরিদমকে আরও বেশি বিজ্ঞাপনবান্ধব করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে। ফলে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘স্পনসর’ পোস্ট দেখা যায়।
তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, রয়টার্স, ডিমান্ডসেজ ও ফ্রেশ কনটেন্ট সোসাইটি
দেশব্যাপী টেলিকম সংযোগকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে শেয়ারিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গ্রামীণফোন ও টেলিটক। এই উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছে শীর্ষ টাওয়ার প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। এই পদক্ষেপ দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
১৩ মিনিট আগেস্মার্ট চশমা, স্মার্ট রিং, স্মার্ট ওয়াচের পর এবার প্রযুক্তি দুনিয়ায় দেখা দিয়েছে নতুন প্রযুক্তি—স্মার্ট আয়না। স্মার্ট মিরর হিসেবে বিভিন্ন কাজের আয়না বাজারে আনছে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। যদিও স্মার্ট আয়নার ধারণাটি অনেক আগের। তবে এখনো এর তেমন প্রচলন গড়ে ওঠেনি।
১ ঘণ্টা আগেইউটিউব এখন এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে লাখ লাখ মানুষ ভিডিও বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ইউটিউবের মাধ্যমে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে এবং প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ফুলটাইম চাকরি পেয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেফেসবুক সম্প্রতি একটি নতুন ফিচার চালু করেছে। এটি আপনার মোবাইল ফোনে থাকা ছবিগুলো দেখে সাজানোর কিংবা এডিট করার পরামর্শ দিতে পারবে। এই ফিচার ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগির পুরো বিশ্বের জন্য এই সুবিধা চালু করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
দেশব্যাপী টেলিকম সংযোগকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে শেয়ারিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গ্রামীণফোন ও টেলিটক। এই উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছে শীর্ষ টাওয়ার প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। এই পদক্ষেপ দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এই সহযোগিতার আওতায় গ্রামীণফোন ও টেলিটক উভয় প্রতিষ্ঠানকে অবকাঠামোগত সহায়তা দেবে ইডটকো। এর মাধ্যমে সারা দেশে নেটওয়ার্ক কভারেজ প্রসার করতে পারবে তারা। একই টাওয়ার অবকাঠামো ব্যবহার করার ফলে প্রতিষ্ঠান দুটির পরিচালনা, নেটওয়ার্কের দক্ষতা, দ্রুত নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণসহ কোটি কোটি গ্রাহকের সেবার মান উন্নত হবে। এর পাশাপাশি আরও সহজলভ্য হবে তাদের সেবা।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান, টেলিটকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নুরুল মাবুদ চৌধুরী এবং ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আইজ্যাক সম্প্রতি চুক্তিতে সই করেছেন। এ সময় গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ, চিফ বিজনেস অফিসার ড. আসিফ নাইমুর রশিদ, টেলিটকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এস এম লুৎফুল্লাহিল মজিদ, ইডটকোর কি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার কাজী অয়ন আদনানসহ তিন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গ্রামীণফোনে আমাদের সব কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন গ্রাহক। এই বিশ্বাস থেকে এই সহযোগিতা, যা আমাদের সারা দেশে নেটওয়ার্ক কভারেজ আরও শক্তিশালী করতে এবং প্রতিদিন যে সেবাগুলো আমরা প্রদান করি, তার গুণগত মান উন্নত করতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।’
টেলিটকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্যে সারা দেশে গ্রাহকদের সেবা পৌঁছে দেওয়া। আমাদের দক্ষতা বাড়াতে এবং গ্রাহকদের জন্য আরও মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের সক্ষমতা বাড়াবে এই সহযোগিতা।’
তিনটি প্রতিষ্ঠানেরই একটি অভিন্ন লক্ষ্য হচ্ছে ডিজিটালি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ আরও উন্নত সংযোগ এবং ডিজিটাল সেবার আওতায় আসে। ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি এই অভিন্ন লক্ষ্যকে আরও সংহত করেছে।
দেশব্যাপী টেলিকম সংযোগকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে শেয়ারিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গ্রামীণফোন ও টেলিটক। এই উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছে শীর্ষ টাওয়ার প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। এই পদক্ষেপ দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এই সহযোগিতার আওতায় গ্রামীণফোন ও টেলিটক উভয় প্রতিষ্ঠানকে অবকাঠামোগত সহায়তা দেবে ইডটকো। এর মাধ্যমে সারা দেশে নেটওয়ার্ক কভারেজ প্রসার করতে পারবে তারা। একই টাওয়ার অবকাঠামো ব্যবহার করার ফলে প্রতিষ্ঠান দুটির পরিচালনা, নেটওয়ার্কের দক্ষতা, দ্রুত নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণসহ কোটি কোটি গ্রাহকের সেবার মান উন্নত হবে। এর পাশাপাশি আরও সহজলভ্য হবে তাদের সেবা।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান, টেলিটকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নুরুল মাবুদ চৌধুরী এবং ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আইজ্যাক সম্প্রতি চুক্তিতে সই করেছেন। এ সময় গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ, চিফ বিজনেস অফিসার ড. আসিফ নাইমুর রশিদ, টেলিটকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এস এম লুৎফুল্লাহিল মজিদ, ইডটকোর কি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার কাজী অয়ন আদনানসহ তিন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গ্রামীণফোনে আমাদের সব কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন গ্রাহক। এই বিশ্বাস থেকে এই সহযোগিতা, যা আমাদের সারা দেশে নেটওয়ার্ক কভারেজ আরও শক্তিশালী করতে এবং প্রতিদিন যে সেবাগুলো আমরা প্রদান করি, তার গুণগত মান উন্নত করতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।’
টেলিটকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্যে সারা দেশে গ্রাহকদের সেবা পৌঁছে দেওয়া। আমাদের দক্ষতা বাড়াতে এবং গ্রাহকদের জন্য আরও মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের সক্ষমতা বাড়াবে এই সহযোগিতা।’
তিনটি প্রতিষ্ঠানেরই একটি অভিন্ন লক্ষ্য হচ্ছে ডিজিটালি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ আরও উন্নত সংযোগ এবং ডিজিটাল সেবার আওতায় আসে। ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি এই অভিন্ন লক্ষ্যকে আরও সংহত করেছে।
তরুণ প্রজন্ম চোখ রেখেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এখানে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তাই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারণ ইন্টারনেট, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে...
০২ জানুয়ারি ২০২৩স্মার্ট চশমা, স্মার্ট রিং, স্মার্ট ওয়াচের পর এবার প্রযুক্তি দুনিয়ায় দেখা দিয়েছে নতুন প্রযুক্তি—স্মার্ট আয়না। স্মার্ট মিরর হিসেবে বিভিন্ন কাজের আয়না বাজারে আনছে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। যদিও স্মার্ট আয়নার ধারণাটি অনেক আগের। তবে এখনো এর তেমন প্রচলন গড়ে ওঠেনি।
১ ঘণ্টা আগেইউটিউব এখন এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে লাখ লাখ মানুষ ভিডিও বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ইউটিউবের মাধ্যমে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে এবং প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ফুলটাইম চাকরি পেয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেফেসবুক সম্প্রতি একটি নতুন ফিচার চালু করেছে। এটি আপনার মোবাইল ফোনে থাকা ছবিগুলো দেখে সাজানোর কিংবা এডিট করার পরামর্শ দিতে পারবে। এই ফিচার ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগির পুরো বিশ্বের জন্য এই সুবিধা চালু করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেটি এইচ মাহির
স্মার্ট চশমা, স্মার্ট রিং, স্মার্ট ওয়াচের পর এবার প্রযুক্তি দুনিয়ায় দেখা দিয়েছে নতুন প্রযুক্তি—স্মার্ট আয়না। স্মার্ট মিরর হিসেবে বিভিন্ন কাজের আয়না বাজারে আনছে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। যদিও স্মার্ট আয়নার ধারণাটি অনেক আগের। তবে এখনো এর তেমন প্রচলন গড়ে ওঠেনি।
ম্যাজিক ফিট
ম্যাজিক ফিট নামে একটি প্রতিষ্ঠান শরীরচর্চাকারীদের জন্য ফিটনেস ট্র্যাকার হিসেবে একটি স্মার্ট আয়না বাজারে এনেছে। ম্যাজিক ফিট সাধারণ আয়নার মতোই প্রতিবিম্ব দেখায়। তবে এর বিশেষ সুবিধা হলো, এটি এআই-চালিত ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবে। ব্যায়াম করার সময় ভুল হলে দেখিয়ে দেবে। এটি শরীরের প্রতিটি নড়াচড়া ট্র্যাক করে ডেটা রেকর্ড করতে পারে। শরীরচর্চার বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতে পারে। মূলত জিম সহকারী হিসেবে এই আয়না বাজারে এনেছে ম্যাজিক ফিট। এটি আকারে পূর্ণবয়স্ক মানুষের সমান। এটি শরীরকে থ্রিডি আকারে রূপান্তর করে ব্যায়ামের বিভিন্ন ধাপ পর্যবেক্ষণ করতে পারে। আয়নাটির সঙ্গে ব্যায়ামের বিভিন্ন সরঞ্জামও দিচ্ছে ম্যাজিক ফিট। ‘টাইম বেস্ট’ ইনোভেশনের তালিকায়ও স্থান পেয়েছিল এই আয়না।
ওমনিয়া স্মার্ট মিরর
উইথিংসের ওমনিয়া স্মার্ট আয়না কিছুটা ভিন্ন। এটি শরীরচর্চা নয়, বরং দেহের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি সিইএসে প্রদর্শনী হয়েছিল। উইথিংস আগে থেকেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য ডিভাইস তৈরির কাজ করে। তবে এটি এমন একটি স্মার্ট আয়না, যা স্বাস্থ্যের মেট্রিকস পরিমাপ ও প্রদর্শন করতে পারে এবং এর এআই ভয়েস সহকারী প্রাপ্ত তথ্য থেকে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। তা ছাড়া চিকিৎসকের সঙ্গে টেলিহেলথ পরামর্শে সহায়তা করতে পারে। ওমনিয়ার নিচের অংশে একটি বেস রয়েছে, যা ওজন, হৃদ্রোগ ও বিপাকীয় স্বাস্থ্য পরিমাপ করতে পারে। এটি স্মার্ট ওয়াচ, রক্তচাপ মনিটর, এমনকি একটি স্মার্ট বিছানার মতো অন্যান্য ট্র্যাকার থেকে সংগৃহীত ডেটাও সংগ্রহ করতে পারে। উইথিংস বলছে, তাদের আয়নায় বিল্ট-ইন এআই ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট রিয়েল টাইম প্রতিক্রিয়া দেবে এবং সম্ভাব্য পরামর্শ বা নির্দেশনা দিতে পারে। বলা যায়, একপ্রকার মেডিকেল ডিভাইস হিসেবে তৈরি করা হয়েছে ওমনিয়াকে।
মিররোহ স্মার্ট মিরর
বাথরুমের কেবিনেটের জন্য মিররোহ এআই নামে একটি আয়না বাজারের এসেছে। রেইসজেম লিমিটেড নামে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান এই আয়না তৈরি করেছে। মিররোহ এআই স্মার্ট মিরর বাথরুমের কেবিনেটে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
এই আয়নার পেছনে একটি ২১ দশমিক ৫ ইঞ্চি ফুল এইচডি টাচ-স্ক্রিন এমবেড করা আছে। এটি স্মার্ট হোম ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এতে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ এবং জিগবি সংযোগ আছে, যাতে এটি স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও দৈনন্দিন রুটিনের জন্য অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। মাত্র ২০ মিলিমিটার পুরু অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় ফ্রেমের ক্ষয় প্রতিরোধী এই আয়না আর্দ্র পরিবেশ বা বাথরুমের পরিবেশের জন্য উপযুক্ত। এটিকে কেবিনেটের দরজা হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। মূলত স্মার্ট লিংকেজ ও হোম অটোমেশনের জন্য এই আয়না ডিজাইন করা হয়েছে।
সূত্র: দ্য ভার্জ
স্মার্ট চশমা, স্মার্ট রিং, স্মার্ট ওয়াচের পর এবার প্রযুক্তি দুনিয়ায় দেখা দিয়েছে নতুন প্রযুক্তি—স্মার্ট আয়না। স্মার্ট মিরর হিসেবে বিভিন্ন কাজের আয়না বাজারে আনছে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। যদিও স্মার্ট আয়নার ধারণাটি অনেক আগের। তবে এখনো এর তেমন প্রচলন গড়ে ওঠেনি।
ম্যাজিক ফিট
ম্যাজিক ফিট নামে একটি প্রতিষ্ঠান শরীরচর্চাকারীদের জন্য ফিটনেস ট্র্যাকার হিসেবে একটি স্মার্ট আয়না বাজারে এনেছে। ম্যাজিক ফিট সাধারণ আয়নার মতোই প্রতিবিম্ব দেখায়। তবে এর বিশেষ সুবিধা হলো, এটি এআই-চালিত ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবে। ব্যায়াম করার সময় ভুল হলে দেখিয়ে দেবে। এটি শরীরের প্রতিটি নড়াচড়া ট্র্যাক করে ডেটা রেকর্ড করতে পারে। শরীরচর্চার বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতে পারে। মূলত জিম সহকারী হিসেবে এই আয়না বাজারে এনেছে ম্যাজিক ফিট। এটি আকারে পূর্ণবয়স্ক মানুষের সমান। এটি শরীরকে থ্রিডি আকারে রূপান্তর করে ব্যায়ামের বিভিন্ন ধাপ পর্যবেক্ষণ করতে পারে। আয়নাটির সঙ্গে ব্যায়ামের বিভিন্ন সরঞ্জামও দিচ্ছে ম্যাজিক ফিট। ‘টাইম বেস্ট’ ইনোভেশনের তালিকায়ও স্থান পেয়েছিল এই আয়না।
ওমনিয়া স্মার্ট মিরর
উইথিংসের ওমনিয়া স্মার্ট আয়না কিছুটা ভিন্ন। এটি শরীরচর্চা নয়, বরং দেহের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি সিইএসে প্রদর্শনী হয়েছিল। উইথিংস আগে থেকেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য ডিভাইস তৈরির কাজ করে। তবে এটি এমন একটি স্মার্ট আয়না, যা স্বাস্থ্যের মেট্রিকস পরিমাপ ও প্রদর্শন করতে পারে এবং এর এআই ভয়েস সহকারী প্রাপ্ত তথ্য থেকে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। তা ছাড়া চিকিৎসকের সঙ্গে টেলিহেলথ পরামর্শে সহায়তা করতে পারে। ওমনিয়ার নিচের অংশে একটি বেস রয়েছে, যা ওজন, হৃদ্রোগ ও বিপাকীয় স্বাস্থ্য পরিমাপ করতে পারে। এটি স্মার্ট ওয়াচ, রক্তচাপ মনিটর, এমনকি একটি স্মার্ট বিছানার মতো অন্যান্য ট্র্যাকার থেকে সংগৃহীত ডেটাও সংগ্রহ করতে পারে। উইথিংস বলছে, তাদের আয়নায় বিল্ট-ইন এআই ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট রিয়েল টাইম প্রতিক্রিয়া দেবে এবং সম্ভাব্য পরামর্শ বা নির্দেশনা দিতে পারে। বলা যায়, একপ্রকার মেডিকেল ডিভাইস হিসেবে তৈরি করা হয়েছে ওমনিয়াকে।
মিররোহ স্মার্ট মিরর
বাথরুমের কেবিনেটের জন্য মিররোহ এআই নামে একটি আয়না বাজারের এসেছে। রেইসজেম লিমিটেড নামে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান এই আয়না তৈরি করেছে। মিররোহ এআই স্মার্ট মিরর বাথরুমের কেবিনেটে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
এই আয়নার পেছনে একটি ২১ দশমিক ৫ ইঞ্চি ফুল এইচডি টাচ-স্ক্রিন এমবেড করা আছে। এটি স্মার্ট হোম ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এতে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ এবং জিগবি সংযোগ আছে, যাতে এটি স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও দৈনন্দিন রুটিনের জন্য অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। মাত্র ২০ মিলিমিটার পুরু অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় ফ্রেমের ক্ষয় প্রতিরোধী এই আয়না আর্দ্র পরিবেশ বা বাথরুমের পরিবেশের জন্য উপযুক্ত। এটিকে কেবিনেটের দরজা হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। মূলত স্মার্ট লিংকেজ ও হোম অটোমেশনের জন্য এই আয়না ডিজাইন করা হয়েছে।
সূত্র: দ্য ভার্জ
তরুণ প্রজন্ম চোখ রেখেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এখানে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তাই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারণ ইন্টারনেট, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে...
০২ জানুয়ারি ২০২৩দেশব্যাপী টেলিকম সংযোগকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে শেয়ারিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গ্রামীণফোন ও টেলিটক। এই উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছে শীর্ষ টাওয়ার প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। এই পদক্ষেপ দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
১৩ মিনিট আগেইউটিউব এখন এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে লাখ লাখ মানুষ ভিডিও বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ইউটিউবের মাধ্যমে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে এবং প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ফুলটাইম চাকরি পেয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেফেসবুক সম্প্রতি একটি নতুন ফিচার চালু করেছে। এটি আপনার মোবাইল ফোনে থাকা ছবিগুলো দেখে সাজানোর কিংবা এডিট করার পরামর্শ দিতে পারবে। এই ফিচার ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগির পুরো বিশ্বের জন্য এই সুবিধা চালু করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
ইউটিউব এখন এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে লাখ লাখ মানুষ ভিডিও বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ইউটিউবের মাধ্যমে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে এবং প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ফুলটাইম চাকরি পেয়েছেন।
কিন্তু এখন অনেক জনপ্রিয় ইউটিউবার আগের মতো শুধু ইউটিউবের বিজ্ঞাপন কিংবা ব্র্যান্ড ডিলের ওপর নির্ভর করছেন না। কারণ, ইউটিউবের আয় সব সময় এক রকম থাকে না। নীতিমালা বা অ্যালগরিদম পরিবর্তন হলেই ভিডিওর আয়ে প্রভাব পড়ে। তাই অনেকে এখন নিজেদের ব্যবসা শুরু করছেন, যাতে ইউটিউব ছাড়াও স্থায়ীভাবে আয় করা যায়। কেউ পণ্য বিক্রি করছেন, কেউ কফি বা খাবারের ব্র্যান্ড চালু করেছেন, আবার কেউ নিজের বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ পরিচিত কয়েকজনের কথা থাকছে আজ।
মিস্টারবিস্ট
জিমি ডোনাল্ডসন বা মিস্টারবিস্ট এখন শুধু ইউটিউবার নন, সফল উদ্যোক্তাও। ২০১৮ সালে নিজের পোশাকের দোকান ‘শপ মিস্টারবিস্ট’ চালু করেন। পরে ‘ফিস্টেবলস’ নামে চকলেট ব্র্যান্ড শুরু করেন। প্রথম তিন দিনে ১ মিলিয়নের বেশি চকলেট বিক্রি হয় সেখান থেকে। এখন এই ব্র্যান্ড থেকেই তাঁর আয় ইউটিউবের চেয়ে বেশি। ২০২৪ সালে ‘ফিস্টেবলস’-এর আয় দাঁড়ায় প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারে।
জিমি আরও চালু করেছেন খাবারের ব্র্যান্ড ‘লাঞ্চলি’, খেলনা বিক্রির প্রতিষ্ঠান ‘মিস্টারবিস্ট ল্যাব’, ফাস্ট ফুড চেইন ‘মিস্টারবিস্ট বার্গার’ এবং অ্যানালাইটিকস প্ল্যাটফর্ম ‘ভিউস্টার্স’। এমনকি তিনি টিকটকের মার্কিন অংশ কিনতেও আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এখন তিনি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও ব্যাংকিং অ্যাপ চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এমা চেম্বারলিন
এমা চেম্বারলিন ইউটিউবের মাধ্যমে জনপ্রিয় হন ২০১৬ সালে। এখন তাঁর কফি ব্র্যান্ড ‘চেম্বারলেইন কফি’ বেশ সফল প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালে শুরু করা এই ব্র্যান্ড এখন টার্গেট এবং ওয়ালমার্টের মতো বড় দোকানেও বিক্রি হয়। ২০২৩ সালে তাঁদের আয় হয় প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার। এ বছর তা বেড়ে ৩৩ মিলিয়ন ডলার ছাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লগান পল
লগান পল এখন রেসলার হিসেবে বেশি পরিচিত। কিন্তু তিনি ইউটিউব থেকেই উঠে এসেছেন। কেএসআইয়ের সঙ্গে তিনি তৈরি করেন ‘প্রাইম’ নামের এনার্জি ড্রিংক। ২০২৩ সালে এর বিক্রি ছিল ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। যদিও পরে বিক্রি কিছুটা
কমে গেছে।
এ ছাড়া লগান পলের ‘ম্যাভরিক অ্যাপারেল’ নামে পোশাক ব্র্যান্ড আছে। ২০২০ সালে সেখান থেকে আয় করেছিলেন প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার। তাঁর ভাই জেক পলও ব্যবসায় যুক্ত।
রায়ান’স ওয়ার্ল্ড
মাত্র ১৩ বছর বয়সে রায়ান কাজি হয়ে উঠেছে শিশুদের প্রিয় ইউটিউবার। তাঁর ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’ চ্যানেল থেকে শুরু করে এখন খেলনা, পোশাক এবং শিশুদের জন্য অ্যাপ—সবই আছে। এসব পণ্যের মধ্যে শুধু খেলনা বিক্রি করেই ২০২০ সালে তাঁর ব্র্যান্ড আয় করে ২৫০ মিলিয়ন ডলার।
রোজানা প্যানসিনো
বেকিং টিউটরিয়ালের জন্য বিখ্যাত রোজানা প্যানসিনোর ইউটিউবে রয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ সাবস্ক্রাইবার। ইউটিউব ছাড়াও তিনি রান্নার বই, বেকিং টুলস ও নিজের ব্র্যান্ড ‘নেরডি নিউমিস’ দিয়ে নিয়মিত আয় করছেন।
মিশেল ফান
২০০৭ সালে মেকআপ ভিডিও বানিয়ে জনপ্রিয় হওয়া মিশেল ফান ছিলেন ইউটিউবের প্রথম দিককার সফল বিউটি ইনফ্লুয়েন্সারদের একজন। তিনি ‘ইপসি’ নামে বিউটি সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস শুরু করেন এবং নিজের মেকআপ লাইন ‘ইএম কসমেটিকস’ তৈরি করেন।
হুদা কাতান
‘হুদা বিউটি’ এখন বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড। ২০১৩ সালে ইউটিউব থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন হুদা কাতান। এখন তাঁর ব্র্যান্ডের বার্ষিক বিক্রি শত মিলিয়ন ডলার।
ইউটিউব তারকাদের জীবন এখন কেবল ভিডিও বানানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তারা নিজেদের ব্র্যান্ড এবং ব্যবসা গড়ে তুলে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন। ইউটিউব হচ্ছে শুরু, কিন্তু শেষ নয়।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
ইউটিউব এখন এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে লাখ লাখ মানুষ ভিডিও বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ইউটিউবের মাধ্যমে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে এবং প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ফুলটাইম চাকরি পেয়েছেন।
কিন্তু এখন অনেক জনপ্রিয় ইউটিউবার আগের মতো শুধু ইউটিউবের বিজ্ঞাপন কিংবা ব্র্যান্ড ডিলের ওপর নির্ভর করছেন না। কারণ, ইউটিউবের আয় সব সময় এক রকম থাকে না। নীতিমালা বা অ্যালগরিদম পরিবর্তন হলেই ভিডিওর আয়ে প্রভাব পড়ে। তাই অনেকে এখন নিজেদের ব্যবসা শুরু করছেন, যাতে ইউটিউব ছাড়াও স্থায়ীভাবে আয় করা যায়। কেউ পণ্য বিক্রি করছেন, কেউ কফি বা খাবারের ব্র্যান্ড চালু করেছেন, আবার কেউ নিজের বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ পরিচিত কয়েকজনের কথা থাকছে আজ।
মিস্টারবিস্ট
জিমি ডোনাল্ডসন বা মিস্টারবিস্ট এখন শুধু ইউটিউবার নন, সফল উদ্যোক্তাও। ২০১৮ সালে নিজের পোশাকের দোকান ‘শপ মিস্টারবিস্ট’ চালু করেন। পরে ‘ফিস্টেবলস’ নামে চকলেট ব্র্যান্ড শুরু করেন। প্রথম তিন দিনে ১ মিলিয়নের বেশি চকলেট বিক্রি হয় সেখান থেকে। এখন এই ব্র্যান্ড থেকেই তাঁর আয় ইউটিউবের চেয়ে বেশি। ২০২৪ সালে ‘ফিস্টেবলস’-এর আয় দাঁড়ায় প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারে।
জিমি আরও চালু করেছেন খাবারের ব্র্যান্ড ‘লাঞ্চলি’, খেলনা বিক্রির প্রতিষ্ঠান ‘মিস্টারবিস্ট ল্যাব’, ফাস্ট ফুড চেইন ‘মিস্টারবিস্ট বার্গার’ এবং অ্যানালাইটিকস প্ল্যাটফর্ম ‘ভিউস্টার্স’। এমনকি তিনি টিকটকের মার্কিন অংশ কিনতেও আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এখন তিনি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও ব্যাংকিং অ্যাপ চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এমা চেম্বারলিন
এমা চেম্বারলিন ইউটিউবের মাধ্যমে জনপ্রিয় হন ২০১৬ সালে। এখন তাঁর কফি ব্র্যান্ড ‘চেম্বারলেইন কফি’ বেশ সফল প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালে শুরু করা এই ব্র্যান্ড এখন টার্গেট এবং ওয়ালমার্টের মতো বড় দোকানেও বিক্রি হয়। ২০২৩ সালে তাঁদের আয় হয় প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার। এ বছর তা বেড়ে ৩৩ মিলিয়ন ডলার ছাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লগান পল
লগান পল এখন রেসলার হিসেবে বেশি পরিচিত। কিন্তু তিনি ইউটিউব থেকেই উঠে এসেছেন। কেএসআইয়ের সঙ্গে তিনি তৈরি করেন ‘প্রাইম’ নামের এনার্জি ড্রিংক। ২০২৩ সালে এর বিক্রি ছিল ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। যদিও পরে বিক্রি কিছুটা
কমে গেছে।
এ ছাড়া লগান পলের ‘ম্যাভরিক অ্যাপারেল’ নামে পোশাক ব্র্যান্ড আছে। ২০২০ সালে সেখান থেকে আয় করেছিলেন প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার। তাঁর ভাই জেক পলও ব্যবসায় যুক্ত।
রায়ান’স ওয়ার্ল্ড
মাত্র ১৩ বছর বয়সে রায়ান কাজি হয়ে উঠেছে শিশুদের প্রিয় ইউটিউবার। তাঁর ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’ চ্যানেল থেকে শুরু করে এখন খেলনা, পোশাক এবং শিশুদের জন্য অ্যাপ—সবই আছে। এসব পণ্যের মধ্যে শুধু খেলনা বিক্রি করেই ২০২০ সালে তাঁর ব্র্যান্ড আয় করে ২৫০ মিলিয়ন ডলার।
রোজানা প্যানসিনো
বেকিং টিউটরিয়ালের জন্য বিখ্যাত রোজানা প্যানসিনোর ইউটিউবে রয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ সাবস্ক্রাইবার। ইউটিউব ছাড়াও তিনি রান্নার বই, বেকিং টুলস ও নিজের ব্র্যান্ড ‘নেরডি নিউমিস’ দিয়ে নিয়মিত আয় করছেন।
মিশেল ফান
২০০৭ সালে মেকআপ ভিডিও বানিয়ে জনপ্রিয় হওয়া মিশেল ফান ছিলেন ইউটিউবের প্রথম দিককার সফল বিউটি ইনফ্লুয়েন্সারদের একজন। তিনি ‘ইপসি’ নামে বিউটি সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস শুরু করেন এবং নিজের মেকআপ লাইন ‘ইএম কসমেটিকস’ তৈরি করেন।
হুদা কাতান
‘হুদা বিউটি’ এখন বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড। ২০১৩ সালে ইউটিউব থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন হুদা কাতান। এখন তাঁর ব্র্যান্ডের বার্ষিক বিক্রি শত মিলিয়ন ডলার।
ইউটিউব তারকাদের জীবন এখন কেবল ভিডিও বানানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তারা নিজেদের ব্র্যান্ড এবং ব্যবসা গড়ে তুলে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন। ইউটিউব হচ্ছে শুরু, কিন্তু শেষ নয়।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
তরুণ প্রজন্ম চোখ রেখেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এখানে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তাই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারণ ইন্টারনেট, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে...
০২ জানুয়ারি ২০২৩দেশব্যাপী টেলিকম সংযোগকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে শেয়ারিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গ্রামীণফোন ও টেলিটক। এই উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছে শীর্ষ টাওয়ার প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। এই পদক্ষেপ দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
১৩ মিনিট আগেস্মার্ট চশমা, স্মার্ট রিং, স্মার্ট ওয়াচের পর এবার প্রযুক্তি দুনিয়ায় দেখা দিয়েছে নতুন প্রযুক্তি—স্মার্ট আয়না। স্মার্ট মিরর হিসেবে বিভিন্ন কাজের আয়না বাজারে আনছে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। যদিও স্মার্ট আয়নার ধারণাটি অনেক আগের। তবে এখনো এর তেমন প্রচলন গড়ে ওঠেনি।
১ ঘণ্টা আগেফেসবুক সম্প্রতি একটি নতুন ফিচার চালু করেছে। এটি আপনার মোবাইল ফোনে থাকা ছবিগুলো দেখে সাজানোর কিংবা এডিট করার পরামর্শ দিতে পারবে। এই ফিচার ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগির পুরো বিশ্বের জন্য এই সুবিধা চালু করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
ফেসবুক সম্প্রতি একটি নতুন ফিচার চালু করেছে। এটি আপনার মোবাইল ফোনে থাকা ছবিগুলো দেখে সাজানোর কিংবা এডিট করার পরামর্শ দিতে পারবে। এই ফিচার ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগির পুরো বিশ্বের জন্য এই সুবিধা চালু করা হবে।
ফেসবুক জানায়, এটি ব্যবহারকারীদের জন্য যদিও বাধ্যতামূলক নয়। কেউ অনুমতি দিলে অ্যাপটি তাঁর মোবাইলের ক্যামেরা রোল থেকে ছবি নিয়ে ফিড বা স্টোরিতে শেয়ার করার আগে কিছু সাজেস্ট করা এডিট দেখাবে। যেমন কোলাজ, রিক্যাপ, জন্মদিন থিম ইত্যাদি।
এটার জন্য ফেসবুক অ্যাপ আপনার মোবাইল ফোনের কিছু ছবি তাদের ক্লাউডে আপলোড করবে, যাতে এআই সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এসব ছবি বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যবহার করা হবে না এবং এআই ট্রেনিংয়েও নয়।
চাইলে যেকোনো সময় এই ফিচার বন্ধ করা যাবে। মেটার এআই ব্যবহার করতে গেলে ব্যবহারকারীদের তাদের শর্তে রাজি হতে হয়। এতে তারা আপনার ছবিতে থাকা মুখ, বস্তু বা সময়সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে। এমনকি ছবিটি পরিবর্তন করে নতুন কিছু তৈরিও করতে পারে। এতে ফেসবুক আপনার সম্পর্কে, আপনার বন্ধু ও জীবনের ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে পারে।
মেটা আগেও জানিয়েছে, তারা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ্যে শেয়ার করা পোস্ট, কমেন্ট ও মেটা চশমায় তোলা ছবি থেকেও তাদের এআইকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
ফেসবুক সম্প্রতি একটি নতুন ফিচার চালু করেছে। এটি আপনার মোবাইল ফোনে থাকা ছবিগুলো দেখে সাজানোর কিংবা এডিট করার পরামর্শ দিতে পারবে। এই ফিচার ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগির পুরো বিশ্বের জন্য এই সুবিধা চালু করা হবে।
ফেসবুক জানায়, এটি ব্যবহারকারীদের জন্য যদিও বাধ্যতামূলক নয়। কেউ অনুমতি দিলে অ্যাপটি তাঁর মোবাইলের ক্যামেরা রোল থেকে ছবি নিয়ে ফিড বা স্টোরিতে শেয়ার করার আগে কিছু সাজেস্ট করা এডিট দেখাবে। যেমন কোলাজ, রিক্যাপ, জন্মদিন থিম ইত্যাদি।
এটার জন্য ফেসবুক অ্যাপ আপনার মোবাইল ফোনের কিছু ছবি তাদের ক্লাউডে আপলোড করবে, যাতে এআই সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এসব ছবি বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যবহার করা হবে না এবং এআই ট্রেনিংয়েও নয়।
চাইলে যেকোনো সময় এই ফিচার বন্ধ করা যাবে। মেটার এআই ব্যবহার করতে গেলে ব্যবহারকারীদের তাদের শর্তে রাজি হতে হয়। এতে তারা আপনার ছবিতে থাকা মুখ, বস্তু বা সময়সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে। এমনকি ছবিটি পরিবর্তন করে নতুন কিছু তৈরিও করতে পারে। এতে ফেসবুক আপনার সম্পর্কে, আপনার বন্ধু ও জীবনের ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে পারে।
মেটা আগেও জানিয়েছে, তারা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ্যে শেয়ার করা পোস্ট, কমেন্ট ও মেটা চশমায় তোলা ছবি থেকেও তাদের এআইকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
তরুণ প্রজন্ম চোখ রেখেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এখানে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তাই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারণ ইন্টারনেট, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে...
০২ জানুয়ারি ২০২৩দেশব্যাপী টেলিকম সংযোগকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে শেয়ারিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গ্রামীণফোন ও টেলিটক। এই উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছে শীর্ষ টাওয়ার প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। এই পদক্ষেপ দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
১৩ মিনিট আগেস্মার্ট চশমা, স্মার্ট রিং, স্মার্ট ওয়াচের পর এবার প্রযুক্তি দুনিয়ায় দেখা দিয়েছে নতুন প্রযুক্তি—স্মার্ট আয়না। স্মার্ট মিরর হিসেবে বিভিন্ন কাজের আয়না বাজারে আনছে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। যদিও স্মার্ট আয়নার ধারণাটি অনেক আগের। তবে এখনো এর তেমন প্রচলন গড়ে ওঠেনি।
১ ঘণ্টা আগেইউটিউব এখন এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে লাখ লাখ মানুষ ভিডিও বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ইউটিউবের মাধ্যমে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে এবং প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ফুলটাইম চাকরি পেয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে