অনলাইন ডেস্ক
ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির পরিবর্তে নিজের স্টার্টআপ ‘গ্লু’তে ডিপসিকের নতুন রিজনিং মডেল ‘আর১’ ব্যবহার শুরু করেছে ইন্টেলের সাবেক সিইও প্যাট গেলসিঞ্জার। এ ঘটনা প্রযুক্তিশিল্পে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
মাত্র ২ হাজার এনভিডিয়ার এইচ ৮০০ জিপিইউ ব্যবহার করে দুই মাস প্রশিক্ষিত হয়েছে ডিপসিকের এই মডেল। ইতিমধ্যে অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে শীর্ষে পৌঁছেছে। এই মডেলের সাফল্যে এনভিডিয়ার শেয়ারের দামও কমে গেছে। এ ছাড়া মডেলটি তৈরিতে মাত্র ৫৫ লাখ ডলার খরচ করেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত রিজনিং মডেলগুলোর মতোই এই মডেলের কর্মক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করে ডিপসিক। এই মডেল এমন একটি ডেটা সেন্টারে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৫৫ লাখ ডলার ব্যয়ে ২ হাজার শক্তিশালী এনভিডিয়া জিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ, এই মডেল অন্যদের তুলনায় অনেক কম খরচে প্রশিক্ষিত হয়েছে, যা পুরো প্রযুক্তি খাতকে নাড়া দিয়েছে।
ইন্টেলে চার বছর কাজ করেছেন প্যাট গেলসিঞ্জার এবং এনভিডিয়ারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ইন্টেলের বিকল্প এআই জিপিইউ গাউদি ৩ এআই বাজারে আনতে চেষ্টা করেছিলেন। গত ডিসেম্বরে ইন্টেল থেকে পদত্যাগ করে গ্লুর চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তিনি। গ্লু হলো ম্যাসেজিং ও এনগেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম, যা চার্চের জন্য তৈরি হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিপসিকের এই মডেলের প্রশংসা করে গেলসিঞ্জার বলেন, ‘ধন্যবাদ ডিপসিকের দলকে।’
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে গেলসিঞ্জার জানিয়েছে, আর ১ মডেল এতটাই প্রভাবশালী যে, গ্লু ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেনএআই ব্যবহার না করে নিজস্ব এআই সেবা তৈরি করবে প্রতিষ্ঠানটি। গ্লু এর এআই সেবা তৈরি করেছে, যার নাম ‘কলম’। এটি এআই চ্যাটবটসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ইঞ্জিনিয়াররা ইতিমধ্যে আর১ চালাচ্ছে।
গেলসিঞ্জার বলেন, ডিপসিক প্রযুক্তিশিল্পকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছে—কম খরচ মানে বিস্তৃত গ্রহণযোগ্যতা, বাধার মধ্যে থেকে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং ওপেন সোর্স সব সময় জিতবে। উল্লেখ্য, ওপেনএআই এবং অ্যানথ্রোপিক দুটি প্রতিষ্ঠানই ক্লোজড সোর্স।
তিনি আরও বলেন, ডিপসিকের এই সাশ্রয়ী এআই প্রযুক্তি আগামী দিনে অ্যাপ্লিকেশন এবং ডিভাইসে আরও বিস্তৃতভাবে ব্যবহৃত হবে। আমি চাই, আমার অরা রিংয়ে, হিয়ারিং এইডে এবং ফোনে আরও ভালো এআই থাকুক, এমনকি আমার ইলেকট্রিক ভেহিক্যালে ভয়েস রিকগনিশন সিস্টেমেও।
নিজস্ব ওপেন সোর্স ফাউন্ডেশনাল মডেল দিয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কলমকে নতুন করে তৈরি করতে সক্ষম হবে বলে আশা করছে গ্লু।
উচ্চ পারফরম্যান্সের রিজনিং ফাউন্ডেশনাল মডেলের সাশ্রয়ী বিকল্প খুঁজছিলেন অনেকেই। এআই প্রযুক্তি আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছিল, তবে ডিপসিকের নতুন মডেলটি তার উল্টোটি প্রমাণ করেছে।
অনেক প্রযুক্তি বিশ্লেষক বলেন, ডিপসিক হয়তো তাদের খরচ কিছুটা কমিয়ে দেখিয়েছে এবং মডেলটি প্রশিক্ষণের খরচ আসলে আরও বেশি ছিল। আর তারা সম্ভবত উচ্চমানের ও দামী চিপ ব্যবহার করতে পারেনি, কারণ চীনে চিপ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও কিছু সমালোচক পারফরম্যান্সের কিছু দিক তুলে ধরেছেন, যেখানে অন্য মডেলগুলো ভালো ফল দিয়েছে।
অন্যদিকে, কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, ওপেনএআইয়ের পরবর্তী মডেল ‘ও৩’ প্রকাশিত হলে এটি ‘আর১’ মডেলটিকে খুব সহজেই পেছনে ফেলে দেবে এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রের পুরোনো ধারা আবার ফিরে আসবে।
এসব সমালোচনা উপেক্ষা করে গেলসিঞ্জার বলেন, ‘আপনি কখনোই পূর্ণ স্বচ্ছতা পাবেন না, যেহেতু বেশির ভাগ কাজ চীনে করা হয়েছে। তবে, এখনো সব প্রমাণ বলছে যে, তাদের প্রশিক্ষণ খরচ ওপেনএআইয়ের ও১ মডেলের তুলনায় ১০-৫০ গুণ কম।’
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ
ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির পরিবর্তে নিজের স্টার্টআপ ‘গ্লু’তে ডিপসিকের নতুন রিজনিং মডেল ‘আর১’ ব্যবহার শুরু করেছে ইন্টেলের সাবেক সিইও প্যাট গেলসিঞ্জার। এ ঘটনা প্রযুক্তিশিল্পে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
মাত্র ২ হাজার এনভিডিয়ার এইচ ৮০০ জিপিইউ ব্যবহার করে দুই মাস প্রশিক্ষিত হয়েছে ডিপসিকের এই মডেল। ইতিমধ্যে অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে শীর্ষে পৌঁছেছে। এই মডেলের সাফল্যে এনভিডিয়ার শেয়ারের দামও কমে গেছে। এ ছাড়া মডেলটি তৈরিতে মাত্র ৫৫ লাখ ডলার খরচ করেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত রিজনিং মডেলগুলোর মতোই এই মডেলের কর্মক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করে ডিপসিক। এই মডেল এমন একটি ডেটা সেন্টারে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৫৫ লাখ ডলার ব্যয়ে ২ হাজার শক্তিশালী এনভিডিয়া জিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ, এই মডেল অন্যদের তুলনায় অনেক কম খরচে প্রশিক্ষিত হয়েছে, যা পুরো প্রযুক্তি খাতকে নাড়া দিয়েছে।
ইন্টেলে চার বছর কাজ করেছেন প্যাট গেলসিঞ্জার এবং এনভিডিয়ারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ইন্টেলের বিকল্প এআই জিপিইউ গাউদি ৩ এআই বাজারে আনতে চেষ্টা করেছিলেন। গত ডিসেম্বরে ইন্টেল থেকে পদত্যাগ করে গ্লুর চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তিনি। গ্লু হলো ম্যাসেজিং ও এনগেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম, যা চার্চের জন্য তৈরি হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিপসিকের এই মডেলের প্রশংসা করে গেলসিঞ্জার বলেন, ‘ধন্যবাদ ডিপসিকের দলকে।’
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে গেলসিঞ্জার জানিয়েছে, আর ১ মডেল এতটাই প্রভাবশালী যে, গ্লু ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেনএআই ব্যবহার না করে নিজস্ব এআই সেবা তৈরি করবে প্রতিষ্ঠানটি। গ্লু এর এআই সেবা তৈরি করেছে, যার নাম ‘কলম’। এটি এআই চ্যাটবটসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ইঞ্জিনিয়াররা ইতিমধ্যে আর১ চালাচ্ছে।
গেলসিঞ্জার বলেন, ডিপসিক প্রযুক্তিশিল্পকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছে—কম খরচ মানে বিস্তৃত গ্রহণযোগ্যতা, বাধার মধ্যে থেকে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং ওপেন সোর্স সব সময় জিতবে। উল্লেখ্য, ওপেনএআই এবং অ্যানথ্রোপিক দুটি প্রতিষ্ঠানই ক্লোজড সোর্স।
তিনি আরও বলেন, ডিপসিকের এই সাশ্রয়ী এআই প্রযুক্তি আগামী দিনে অ্যাপ্লিকেশন এবং ডিভাইসে আরও বিস্তৃতভাবে ব্যবহৃত হবে। আমি চাই, আমার অরা রিংয়ে, হিয়ারিং এইডে এবং ফোনে আরও ভালো এআই থাকুক, এমনকি আমার ইলেকট্রিক ভেহিক্যালে ভয়েস রিকগনিশন সিস্টেমেও।
নিজস্ব ওপেন সোর্স ফাউন্ডেশনাল মডেল দিয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কলমকে নতুন করে তৈরি করতে সক্ষম হবে বলে আশা করছে গ্লু।
উচ্চ পারফরম্যান্সের রিজনিং ফাউন্ডেশনাল মডেলের সাশ্রয়ী বিকল্প খুঁজছিলেন অনেকেই। এআই প্রযুক্তি আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছিল, তবে ডিপসিকের নতুন মডেলটি তার উল্টোটি প্রমাণ করেছে।
অনেক প্রযুক্তি বিশ্লেষক বলেন, ডিপসিক হয়তো তাদের খরচ কিছুটা কমিয়ে দেখিয়েছে এবং মডেলটি প্রশিক্ষণের খরচ আসলে আরও বেশি ছিল। আর তারা সম্ভবত উচ্চমানের ও দামী চিপ ব্যবহার করতে পারেনি, কারণ চীনে চিপ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও কিছু সমালোচক পারফরম্যান্সের কিছু দিক তুলে ধরেছেন, যেখানে অন্য মডেলগুলো ভালো ফল দিয়েছে।
অন্যদিকে, কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, ওপেনএআইয়ের পরবর্তী মডেল ‘ও৩’ প্রকাশিত হলে এটি ‘আর১’ মডেলটিকে খুব সহজেই পেছনে ফেলে দেবে এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রের পুরোনো ধারা আবার ফিরে আসবে।
এসব সমালোচনা উপেক্ষা করে গেলসিঞ্জার বলেন, ‘আপনি কখনোই পূর্ণ স্বচ্ছতা পাবেন না, যেহেতু বেশির ভাগ কাজ চীনে করা হয়েছে। তবে, এখনো সব প্রমাণ বলছে যে, তাদের প্রশিক্ষণ খরচ ওপেনএআইয়ের ও১ মডেলের তুলনায় ১০-৫০ গুণ কম।’
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ
যখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
১৯ মিনিট আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
৫ ঘণ্টা আগেচীনের ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তাঁর মতে, মডেলটি ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্ভাবন’ হিসেবে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় কুক এই মন্তব্য করে।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ
৭ ঘণ্টা আগে