Ajker Patrika

ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আলোচনায় জাপানের সফটব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
সফটব্যাংকের সঙ্গে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার ফান্ডিং রাউন্ড নিয়ে আলোচনা করছে ওপেনএআই। ছবি: কাওহুন ইন্টারন্যাশনাল

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের একটি নতুন রেকর্ড তৈরি করতে পারে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

এই অর্থায়ন এমন সময়ে হচ্ছে যখন চীনের স্টার্টআপ ‘ডিপসিক’ একটি সস্তা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। চীনা মডেলটি এআই চ্যাটবট তৈরিতে কী খরচ হতে পারে তার ওপর নতুন ধারণা তৈরি করেছে।

ওপেনএআইয়ের মূল্যায়ন সফটব্যাংক ফান্ডিং রাউন্ডে ২৬০ বিলিয়ন ডলারে স্থির করা হয়েছে, যা কয়েক মাস আগে ছিল ১৫০ বিলিয়ন ডলার।

এই বিনিয়োগ কনভার্টেবল নোটের মাধ্যমে আসতে পারে। এই বিনিয়োগের শর্ত হলো—ওপেনএআইকে তার ব্যবসার কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে, যাতে কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ তার নন-প্রফিট শাখার হাতে না থাকে।

ওপেনএআই-এর ফান্ডিং রাউন্ডে নেতৃত্ব দেওয়া সফটব্যাংকের জন্য এটি একটি সাহসী বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত হবে। বিশেষ করে সফটব্যাংক গ্রুপের সিইও মাসায়োশি সনের নেতৃত্বে। বিনিয়োগের জন্য এই গ্রুপের কাছে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ রয়েছে।

তবে বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সফটব্যাংক এবং ওপেনএআই।

গত বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, সফটব্যাংকের সঙ্গে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার ফান্ডিং রাউন্ড নিয়ে আলোচনা করছে ওপেনএআই, যার মাধ্যমে ওপেনএআই-এর বাজারমূল্য ৩৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

সফটব্যাংক সরাসরি ওপেনএআই-তে ১৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে পারে, যার কিছু অংশ ওপেনএআই-এর স্টারগেট প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত হবে। স্টারগেট হলো একটি যৌথ উদ্যোগ, যা ওপেনএআই, ওরাকল এবং সফটব্যাংক মিলে প্রতিষ্ঠা করেছে। এই প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো—৫০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চীন এবং অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে রাখা।

আরেক সূত্র থেকে জানা যায়, সফটব্যাংক তার পূর্বের ১৫ বিলিয়ন ডলার স্টারগেট প্রকল্পে যে বিনিয়োগ করেছে, তার ওপর আরও নতুন বিনিয়োগ করবে। তবে, আলোচনাগুলো এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

এই সপ্তাহের আর্থিক প্রতিবেদনের সময়, মাইক্রোসফট এবং মেটা প্ল্যাটফর্মের সিইওরা তাদের বিশাল এআই খরচের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পরবে। মাইক্রোসফট তার বর্তমান আর্থিক বছরে এআই–এর জন্য ৮০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। আর মেটা ৬৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করবে।

সারা বিশ্বে নজর কেড়েছে ডিপসিকের এআই মডেল। কারণ তারা গত মাসে একটি প্রতিবেদনে লিখেছে যে, তাদের মডেল ডিপসিক ভিও প্রশিক্ষণ দিতে এনভিডিয়ার এইচ ৮০০ চিপ ব্যবহার করে মোট ৬ মিলিয়ন ডলারের কম কম্পিউটিং শক্তি প্রয়োজন হয়েছে।

ডিপসিক সাধারণ ‘মডেল ডিস্টিলেশন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে যা ওপেনএআই-এর মতো উন্নত এআই মডেলগুলোর এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে যে, কম খরচে এআই মডেল তৈরি করা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলো ওপেনএআই মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে বেশি লাভ করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত