Ajker Patrika

যে কারণে ব্রাজিলে সব কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিল এক্স

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১২: ২৩
Thumbnail image

ব্রাজিলে সব কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেকজান্দ্রে দে মোরায়েসের ‘সেন্সরশিপ আদেশের’ পরিপ্রেক্ষিতে এক্স কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত ‘অবিলম্বে’ কার্যকর হবে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। 

গতকাল শনিবার এক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্রাজিলে কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত ‘অবিলম্বে’ কার্যকর করা হবে। তবে এ ঘোষণা দেওয়ার পরও দেশটিতে ব্যবহারকারীরা এক্সে প্রবেশ করতে পারছিলেন। 
 
এক্সের মালিক ইলন মাস্ক বলেন, কোম্পানির একজন আইনি প্রতিনিধিকে গোপনে হুমকি দেন মোরায়েস। এক্স থেকে কিছু কনটেন্ট আইন না মেনে সরিয়ে ফেলা হলে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। 

মোরায়েসের স্বাক্ষরিত একটি নথির ছবি প্রকাশ করেছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি। সেখানে উল্লেখ ছিল যে, প্ল্যাটফরমটি মোরায়েসের আদেশগুলো সম্পূর্ণরূপে মেনে না নিলে দৈনিক ২০ হাজার রেইস (৩ হাজার ৬৫৩ ডলার) জরিমানা ও এক্স প্রতিনিধি রাচেল কনসিকাওর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আরোপ করা হবে। 

এক্স বলেছে, ‘কর্মীদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ব্রাজিলে আমাদের কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ও অবিলম্বে তা কার্যকর হবে।’ এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ব্রাজিল কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

চলতি বছরের শুরুতে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে এক্সকে নির্দেশ দেন বিচারক মোরায়েসে। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে মিথ্যা সংবাদ ও ঘৃণামূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর মধ্যে কিছু অ্যাকাউন্ট ব্রাজিলের সাবেক উগ্র ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সমর্থকদের ছিলেন। 
বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে নির্বাচনে পরাজয় মানতে পারেননি জইর বলসোনারো। নির্বাচনের কয়েক মাসের মধ্যে বলসোনারোর সমর্থকেরা ফুঁসে ওঠেন এবং কংগ্রেস ভবন, সুপ্রিম কোর্টসহ ব্রাজিলের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভাঙচুর চালায়। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে যাতে ভুয়া সংবাদ ও বিভ্রান্তি না ছড়ায়, তা নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয় এই বিচারক ও এক্স কর্তৃপক্ষের। 

এ বছরের শুরুতে ইলন মাস্ককে নিয়ে একটি তদন্ত শুরু করেছিলেন মোরায়েস। সে সময় মাস্ক বলেন, তিনি এক্স অ্যাকাউন্টগুলো পুনরায় সক্রিয় করবেন, যা বিচারক ব্লক করার আদেশ দিয়েছিলেন। এক্স সম্পর্কে মোরায়েসের সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেন মাস্ক। 

মাস্কের চ্যালেঞ্জের পর এক্সে প্রতিনিধিরা ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে যে, প্ল্যাটফরমটি আইনি রায় মেনে চলবে। 

মোরায়েসের সিদ্ধান্ত কেন পুরোপুরি মেনে চলেনি তার ব্যাখ্যা চান তিনি। গত এপ্রিলে এ বিষয়ে এক্সের প্রতিনিধিরা বলেন, কিছু ‘অপারেশনাল ত্রুটির’ জন্য বল্ক করা অ্যাকাউন্টগুলো এক্সে সক্রিয় ছিল। 

এক্সের এক পোস্টে মাস্ক বলেন, মোরায়েসকে ‘বিচারের জন্য চরম লজ্জা’ বলে অভিহিত করেন। বিচারকের ‘গোপন সেন্সরশিপ এবং ব্যক্তিগত তথ্য হস্তান্তরের দাবিতে’ সম্মত হতে পারে না কোম্পানিটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত