অনিন্দ্য মজুমদার অর্ণব
স্মার্টওয়াচের পরে প্রযুক্তির বাজারে কী নিয়ে আসবে অ্যাপল—কয়েক বছর ধরে প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে ছিল এই আলোচনা। এবার যা রূপ নিতে যাচ্ছে বাস্তবে। মেটাকে টক্কর দিতে এবার মাঠে নেমেছে অ্যাপল।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে শোনা যাচ্ছে আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাকবুক ও অ্যাপলওয়াচের পর এবার বড় কিছুর দিকে ঝুঁকছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবছরের জুন মাসে প্রযুক্তিপ্রেমীদের নজর থাকে অ্যাপলের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপারস (ডব্লিউডব্লিউডিসি) সম্মেলনের দিকে। কারণ, এই সম্মেলনে একের পর এক নতুন প্রযুক্তি বা পণ্যের ঘোষণা দিয়ে থাকে অ্যাপল। অনেকে ধারণা করছেন, ডেভেলপারস সম্মেলনে নিজেদের তৈরি হাই-ফাই দুর্ধর্ষ মিক্সড রিয়েলিটি হেডগিয়ার হেডসেটটি বাজারে আনার ঘোষণা দিতে পারে অ্যাপল। তবে বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, ডেভেলপারস সম্মেলনের আগেই তারা আলাদাভাবে হেডসেটটি উন্মুক্ত করতে পারে। যত দূর জানা যাচ্ছে, সম্ভবত চলতি বছরের জুন মাসেই মিলবে অ্যাপল মিক্সড রিয়েলিটি হেডগিয়ারের। কিন্তু অ্যাপল স্টক বিনিয়োগকারীরা যে প্রশ্ন করছেন, তা হলো পণ্যটি কি অ্যাপল ওয়াচের মতো কোম্পানির পরবর্তী হিট প্ল্যাটফর্ম হবে, নাকি নিউটন ডিজিটাল সহকারীর মতো ফ্লপ হবে?
টেক রিডার সূত্রে যত দূর জানা যাচ্ছে, অ্যাপলের নতুন এই ভিআর ডিভাইস বেশ ভারী ও বড় হয়েছে। আপাতত তার পেছনেই কাজ করছে গোটা টিম। ২০১৯ সালে ইভের পর ডিজাইনের দায়িত্ব সংস্থার সিইও জেফ উইলিয়ানসের কাঁধে। জানা গেছে, ডিভাইসটিকে পাতলা, ছোট ও আরামদায়ক করে তোলায় মন দিয়েছে অ্যাপল টিম। যাতে দীর্ঘক্ষণ মাথায় পরে থাকলেও ব্যবহারকারীর কোনো অস্বস্তি না হয়।
অ্যাপলের হেডসেটে একই সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটির ছবি দেখা যাবে। দুটি ফোর কে প্রযুক্তির মাইক্রো ও এলইডি ডিসপ্লে সুবিধার হেডসেটটি ব্যবহারকারীর চোখের নড়াচড়া শনাক্ত করে ভিডিও প্রদর্শন করবে। এর ফলে হেডসেটটি ফেসবুকের ‘কুইস্ট প্রো’ হেডসেটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সূত্র অনুযায়ী, এ বছর শিপিংয়ের জন্য তৈরি হয়ে যাবে ডিভাইসটি। প্রডাক্ট ভার্সন ওয়ান ডিভাইসটি নাকি অনেকটাই স্কাই গগলের মতো দেখতে, যা থ্রিডি কনটেন্ট ডেলিভার করবে। পাশাপাশি অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি অ্যানিমেটেড মিমোজি লাইক ইন্টার্যাকশনও সাপোর্ট করবে ডিভাইসটিতে। থাকছে ক্যামেরা, মোশন সেন্সর এবং হাই রেজল্যুশন স্ক্রিন।
এটি চিত্তাকর্ষক এম ২ চিপে চালানো হবে। নানা সূত্রের ভিত্তিতে প্রযুক্তিবিশারদেরা মনে করছেন, অ্যাপলের এই হেডসেটের ব্যাটারির আয়ু হবে খুব কম।সাম্প্রতিক সময়ে যেসব গুজব শোনা যাচ্ছে, সেসব থেকে অনুমান করা যায়, হেডসেটে কন্ট্রোলার থাকবে না এবং এটি কেবল হাতের ট্র্যাকিংয়ের ওপর নির্ভর করবে। আশা করা হচ্ছে, অ্যাপল হেডসেট দ্বৈত উচ্চ রেজল্যুশন ডিসপ্লে অন্তর্ভুক্ত করবে, যা প্রতিটি ৭৬৮০ বাই ৪৩২০ রেজল্যুশনের হতে পারে, যা ফোর কে স্ক্রিনের চেয়ে চার গুণ পিক্সেলসম্পন্ন এবং বাণিজ্যিকভাবে বাজারে যেসব ভিআর পাওয়া যায়, সেসব ডিভাইসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অনেক বেশি পিক্সেল।
একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করায় আশা করা যায়, এই উচ্চ মানের ডিসপ্লেগুলো চূড়ান্ত ডিজাইনে পাওয়া যাবে। শোনা যাচ্ছে, অ্যাপলের এই হেডসেটে আইরিস স্ক্যান করার পরিকল্পনা করছে। তাই বিভিন্ন ব্যবহারকারীরা এটি পরতে পারবে এবং প্রতিবার পাসওয়ার্ড টাইপ করার প্রয়োজন ছাড়াই তাঁরা নিজস্ব মোবাইল পেমেন্ট এবং অ্যাকাউন্ট লগইন অনুমোদন করতে পারবেন। অ্যাপলের দায়ের করা একটি পেটেন্ট থেকে প্রযুক্তিবিদেরা অনুমান করছেন, হেডসেটটি অন্যান্য অ্যাপল গ্যাজেটের সঙ্গে নির্বিঘ্নে কাজ করবে।
দাম সম্পর্কেও মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যাচ্ছে নানা সূত্র থেকে। মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশি টাকায় এই হেডসেটের দাম তিন লাখ টাকার কাছাকাছি। প্রযুক্তিপ্রেমীদের নানান আলোচনা থেকে একটা বিষয় প্রায় পরিষ্কার যে আইফোনের মতো হটকেক প্রডাক্ট হয়ে উঠবে না হয়তো এই গ্যাজেট, তবে অ্যাপলের জন্য ভবিষ্যতে বিশাল লাভজনক হবে পণ্যটি, এমনটা আশা করা যায়।
সূত্র: টেক রিডার, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য ভার্জ
স্মার্টওয়াচের পরে প্রযুক্তির বাজারে কী নিয়ে আসবে অ্যাপল—কয়েক বছর ধরে প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে ছিল এই আলোচনা। এবার যা রূপ নিতে যাচ্ছে বাস্তবে। মেটাকে টক্কর দিতে এবার মাঠে নেমেছে অ্যাপল।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে শোনা যাচ্ছে আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাকবুক ও অ্যাপলওয়াচের পর এবার বড় কিছুর দিকে ঝুঁকছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবছরের জুন মাসে প্রযুক্তিপ্রেমীদের নজর থাকে অ্যাপলের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপারস (ডব্লিউডব্লিউডিসি) সম্মেলনের দিকে। কারণ, এই সম্মেলনে একের পর এক নতুন প্রযুক্তি বা পণ্যের ঘোষণা দিয়ে থাকে অ্যাপল। অনেকে ধারণা করছেন, ডেভেলপারস সম্মেলনে নিজেদের তৈরি হাই-ফাই দুর্ধর্ষ মিক্সড রিয়েলিটি হেডগিয়ার হেডসেটটি বাজারে আনার ঘোষণা দিতে পারে অ্যাপল। তবে বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, ডেভেলপারস সম্মেলনের আগেই তারা আলাদাভাবে হেডসেটটি উন্মুক্ত করতে পারে। যত দূর জানা যাচ্ছে, সম্ভবত চলতি বছরের জুন মাসেই মিলবে অ্যাপল মিক্সড রিয়েলিটি হেডগিয়ারের। কিন্তু অ্যাপল স্টক বিনিয়োগকারীরা যে প্রশ্ন করছেন, তা হলো পণ্যটি কি অ্যাপল ওয়াচের মতো কোম্পানির পরবর্তী হিট প্ল্যাটফর্ম হবে, নাকি নিউটন ডিজিটাল সহকারীর মতো ফ্লপ হবে?
টেক রিডার সূত্রে যত দূর জানা যাচ্ছে, অ্যাপলের নতুন এই ভিআর ডিভাইস বেশ ভারী ও বড় হয়েছে। আপাতত তার পেছনেই কাজ করছে গোটা টিম। ২০১৯ সালে ইভের পর ডিজাইনের দায়িত্ব সংস্থার সিইও জেফ উইলিয়ানসের কাঁধে। জানা গেছে, ডিভাইসটিকে পাতলা, ছোট ও আরামদায়ক করে তোলায় মন দিয়েছে অ্যাপল টিম। যাতে দীর্ঘক্ষণ মাথায় পরে থাকলেও ব্যবহারকারীর কোনো অস্বস্তি না হয়।
অ্যাপলের হেডসেটে একই সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটির ছবি দেখা যাবে। দুটি ফোর কে প্রযুক্তির মাইক্রো ও এলইডি ডিসপ্লে সুবিধার হেডসেটটি ব্যবহারকারীর চোখের নড়াচড়া শনাক্ত করে ভিডিও প্রদর্শন করবে। এর ফলে হেডসেটটি ফেসবুকের ‘কুইস্ট প্রো’ হেডসেটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সূত্র অনুযায়ী, এ বছর শিপিংয়ের জন্য তৈরি হয়ে যাবে ডিভাইসটি। প্রডাক্ট ভার্সন ওয়ান ডিভাইসটি নাকি অনেকটাই স্কাই গগলের মতো দেখতে, যা থ্রিডি কনটেন্ট ডেলিভার করবে। পাশাপাশি অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি অ্যানিমেটেড মিমোজি লাইক ইন্টার্যাকশনও সাপোর্ট করবে ডিভাইসটিতে। থাকছে ক্যামেরা, মোশন সেন্সর এবং হাই রেজল্যুশন স্ক্রিন।
এটি চিত্তাকর্ষক এম ২ চিপে চালানো হবে। নানা সূত্রের ভিত্তিতে প্রযুক্তিবিশারদেরা মনে করছেন, অ্যাপলের এই হেডসেটের ব্যাটারির আয়ু হবে খুব কম।সাম্প্রতিক সময়ে যেসব গুজব শোনা যাচ্ছে, সেসব থেকে অনুমান করা যায়, হেডসেটে কন্ট্রোলার থাকবে না এবং এটি কেবল হাতের ট্র্যাকিংয়ের ওপর নির্ভর করবে। আশা করা হচ্ছে, অ্যাপল হেডসেট দ্বৈত উচ্চ রেজল্যুশন ডিসপ্লে অন্তর্ভুক্ত করবে, যা প্রতিটি ৭৬৮০ বাই ৪৩২০ রেজল্যুশনের হতে পারে, যা ফোর কে স্ক্রিনের চেয়ে চার গুণ পিক্সেলসম্পন্ন এবং বাণিজ্যিকভাবে বাজারে যেসব ভিআর পাওয়া যায়, সেসব ডিভাইসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অনেক বেশি পিক্সেল।
একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করায় আশা করা যায়, এই উচ্চ মানের ডিসপ্লেগুলো চূড়ান্ত ডিজাইনে পাওয়া যাবে। শোনা যাচ্ছে, অ্যাপলের এই হেডসেটে আইরিস স্ক্যান করার পরিকল্পনা করছে। তাই বিভিন্ন ব্যবহারকারীরা এটি পরতে পারবে এবং প্রতিবার পাসওয়ার্ড টাইপ করার প্রয়োজন ছাড়াই তাঁরা নিজস্ব মোবাইল পেমেন্ট এবং অ্যাকাউন্ট লগইন অনুমোদন করতে পারবেন। অ্যাপলের দায়ের করা একটি পেটেন্ট থেকে প্রযুক্তিবিদেরা অনুমান করছেন, হেডসেটটি অন্যান্য অ্যাপল গ্যাজেটের সঙ্গে নির্বিঘ্নে কাজ করবে।
দাম সম্পর্কেও মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যাচ্ছে নানা সূত্র থেকে। মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশি টাকায় এই হেডসেটের দাম তিন লাখ টাকার কাছাকাছি। প্রযুক্তিপ্রেমীদের নানান আলোচনা থেকে একটা বিষয় প্রায় পরিষ্কার যে আইফোনের মতো হটকেক প্রডাক্ট হয়ে উঠবে না হয়তো এই গ্যাজেট, তবে অ্যাপলের জন্য ভবিষ্যতে বিশাল লাভজনক হবে পণ্যটি, এমনটা আশা করা যায়।
সূত্র: টেক রিডার, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য ভার্জ
যখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
১১ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
১৬ ঘণ্টা আগেচীনের ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তাঁর মতে, মডেলটি ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্ভাবন’ হিসেবে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় কুক এই মন্তব্য করে।
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ
১৮ ঘণ্টা আগে