Ajker Patrika

কম্পিউটার, ট্যাবে কতটুকু র‍্যাম দরকার

আবির আহসান রুদ্র
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৭: ৪১
Thumbnail image

কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাব কিনতে ঠিক কতটুকু র‍্যাম দরকার, তা অনেকেই জানেন না। এ জন্য নতুন ডিভাইস কিনতে গেলে বিড়ম্বনার পাশাপাশি ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাই সঠিক নির্দেশনা ও তথ্য জানা থাকলে দোকানে গিয়ে দ্বিধায় পড়ার সুযোগ কমে আসবে। 

বিভিন্ন র‍্যামের ধরন

  • ৪ গিগাবাইট: কিছু ক্রোমবুক ও ট্যাবে ৪ গিগাবাইট র‍্যাম থাকে। বাজেট সমস্যা থাকলে এ ধরনের ট্যাব পছন্দের তালিকায় রাখা যেতে পারে।
  • ৮ গিগাবাইট: এন্ট্রি লেভেলের ল্যাপটপে ৮ গিগাবাইট র‍্যাম দিয়ে উইন্ডোজের বেশ কিছু গেম খেলা যায়।
  • ১৬ গিগাবাইট: উইন্ডোজ ও ম্যাক সিস্টেমের জন্য খুবই ভালো এবং গেম খেলার উপযোগী। তবে কোনো কোনো গেমের জন্য আরও বেশি র‍্যাম প্রয়োজন পড়ে।
  • ৩২ গিগাবাইট: পেশাদার এবং উচ্চপর্যায়ের গেমারদের জন্য এটি বেশ কার্যকর। গেম খেলার জন্য এই র‍্যাম 
    পর্যাপ্ত, দামও আয়ত্তের মধ্যে।
  • ৪৮ গিগাবাইট: ৩২ গিগাবাইটে না হলে এবং ৬৪ গিগাবাইটের প্রয়োজন না পড়লে অর্থ বাঁচাতে নন-বাইনারি কিটের ৪৮ গিগাবাইট র‍্যাম ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • ৬৪ গিগাবাইট এবং তার থেকেও বেশি: প্রকৌশলী, পেশাদার এভি সম্পাদকের মতো কাজ করতে এ ধরনের র‍্যাম প্রয়োজনে আসবে। 

ট্যাবে কতটুকু র‍্যাম দরকার
ট্যাব সাধারণত ভারী সফটওয়্যারের উপযোগী করে তৈরি করা হয় না। তাই ট্যাবে র‍্যামের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম লাগে। 
মাল্টিট্যাব ব্রাউজার ও সফটওয়্যারের নতুনত্বের কারণে বর্তমানে ট্যাবগুলোতে ২ গিগাবাইট থেকে ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত র‍্যামের উপস্থিতি দেখা যায়। ফলে র‍্যামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ব্যাটারির স্থায়িত্ব ও প্রসেসরের গতিতেও এসেছে পরিবর্তন।

বাজারের জনপ্রিয় ট্যাবগুলোতে ৮ থেকে ১৬ গিগাবাইট র‍্যাম থাকে। তবে বাজেটের মধ্যে কিনতে গেলে র‍্যামের পরিমাণ আরও কমে আসবে। কিছু মডেল আছে, যেগুলোতে ৪ গিগাবাইট র‍্যাম দিয়ে বেশ ভালোভাবে চালানো যায়। তবে বেশি র‍্যামের ট্যাবে গতি এবং কার্যক্ষমতা অন্যগুলোর তুলনায় বেশি। 

 ল্যাপটপে কতটুকু র‍্যাম দরকার
ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় রেখে বেশির ভাগ ল্যাপটপে ৮ গিগাবাইটের র‍্যাম থাকে। আরও ভালো কনফিগারেশনের ল্যাপটপে ১৬ গিগাবাইট এবং সবচেয়ে শক্তিশালী গেমিং নোটবুকগুলোতে ৩২ গিগাবাইটের র‍্যাম থাকে। ভারী গেম ও সফটওয়্যারের জন্য বেশি র‍্যামের প্রয়োজন। মূলধারার ল্যাপটপেও এখন ১৬ গিগাবাইটের র‍্যাম দেখা যায়।

বড় আকারের ভিডিও, ছবির কাজ কিংবা জনপ্রিয় গেমগুলো খেলার ক্ষেত্রে পছন্দের ল্যাপটপের সিপিইউ ও জিপিইউর কর্মক্ষমতার দিকে জোর দিতে হবে। এতে ল্যাপটপ কিনতে ব্যয় করা অর্থের সদ্ব্যবহার হবে। ডেস্কটপের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, ল্যাপটপে র‍্যাম বাড়ানো খুবই কঠিন কাজ, কিছু কিছু মডেলে সেটা করা যায় না। তাই ল্যাপটপ কেনার সময় যতটুকু র‍্যাম প্রয়োজন, সে অনুযায়ী কিনে ফেলাই ভালো।

ক্রোমবুকের মতো ল্যাপটপগুলো ক্লাউডভিত্তিক এবং সেগুলোতে খুব কম স্টোরেজ থাকে। এ ধরনের ল্যাপটপে খুব বেশি র‍্যামের প্রয়োজন পড়ে না। ক্রোমবুকে ৮ গিগাবাইট র‍্যামই পর্যাপ্ত এবং এতে থাকছে গুগল প্লেস্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপগুলো সরাসরি ডাউনলোড করার সুবিধা। 

গেম খেলার জন্য কতটুকু র‍্যাম
গেমিং কম্পিউটারের জন্য ১৬ গিগাবাইট র‍্যাম দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। তবে ৩২ গিগাবাইটের র‍্যাম ভালো বিকল্প। বর্তমানে ‘ট্রিপল এ’ গেমগুলোতে সর্বনিম্ন ১৬ গিগাবাইটের র‍্যাম লাগে। কিছু ক্ষেত্রে ৩২ গিগাবাইট। অনেক গেম ৩২ গিগাবাইটের বেশির ভাগ অংশই দখলে নিতে চাইবে। আবার কিছু গেম আছে, যেগুলো ১৬ গিগাবাইটের প্রায় পুরোটাই দখল করবে। এতে অন্যান্য অ্যাপের জন্য খুবই অল্প পরিমাণে জায়গা থাকবে।

গেম খেলার পাশাপাশি যদি অনলাইন স্ট্রিমিং এবং একাধিক অ্যাপ, যেমন ওবিএস স্টুডিও কিংবা ওয়েব ব্রাউজার চালানোর পরিকল্পনা থাকে, তাহলে ৩২ গিগাবাইটের র‍্যামে অন্যান্য অ্যাপের জন্য একটু জায়গা পাওয়া যাবে। শীর্ষস্থানীয় গেমাররা নন-বাইনারি কিটের ৪৮ গিগাবাইট র‍্যামেও ঝুঁকতে পারেন। 

র‍্যামের গতি
বর্তমানে বেশির ভাগ ডেস্কটপ, ল্যাপটপ এবং ট্যাবে ডিডিআর-৪ র‍্যাম ব্যবহার করা হয়। তবে এমডি এবং ইনটেলের কম্পিউটারে ডিডিআর-৫ ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ডিডিআর প্রজন্মের নির্দিষ্ট গতিসীমা আছে। ডিডিআর-৪ শুরু হয় ডিডিআর-৪-১৬০০ থেকে। শেষ হয় ডিডিআর-৪-৩২০০তে। অন্যদিকে ডিডিআর-৫-এর সীমা ডিডিআর-৫-৪০০০ থেকে ডিডিআর-৫-৮০০০। শেষের সংখ্যাগুলো র‍্যামের গতি নির্দেশ করে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত