আজকের পত্রিকা ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ায় বিদ্যুৎ ব্যবহারে বড় ধরনের চাপ পড়েছে গুগলের ডেটা সেন্টারগুলো ওপর। বিগত চার বছরে কোম্পানিটির ডেটা সেন্টার বিদ্যুৎ ব্যবহার দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত গুগলের সর্বশেষ টেকসই উন্নয়ন (সাসটেইনেবিলিটি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
২০২৪ সালে গুগলের ডেটা সেন্টারগুলো ঘণ্টায় ৩০ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে। অথচ ২০২০ সালে সেই পরিমাণ ছিল ১৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন মেগাওয়াট-ঘণ্টা। ওই বছর থেকেই গুগল ডেটা সেন্টারের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহারের নির্দিষ্ট হিসাব প্রকাশ করতে শুরু করে।
শুধু বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়েনি, একই সঙ্গে বেড়েছে গুগলের দুশ্চিন্তাও। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের সব কার্যক্রম কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ দিয়ে চালানো হবে। তবে এত দ্রুতগতির ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণের লক্ষ্য অর্জন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০২৪ সালে গুগলের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের ৯৫ দশমিক ৮ শতাংশই গেছে ডেটা সেন্টারগুলোর পেছনে। গত চার বছরে এই অনুপাত প্রায় একই ছিল। ২০২০ সাল থেকেই ডেটা সেন্টার বিদ্যুৎ ব্যবহারের হিসাব পাওয়া যাচ্ছে। সেই অনুপাতে আরও পেছনে গিয়ে হিসাব করলে দেখা যায়, ২০১৪ সালে গুগলের ডেটা সেন্টার বিদ্যুৎ ব্যবহার ছিল প্রায় ৪ মিলিয়ন মেগাওয়াট-ঘণ্টা।
ডেটা সেন্টারগুলোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে গুগল। কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে গুগল বড় পরিসরে বিনিয়োগ করছে জিওথার্মাল, নিউক্লিয়ার ফিশন ও ফিউশন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে।
বিশ্বের তাপশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গুগল সমর্থন দিচ্ছে জিওথার্মাল বা ভূতাপীয় প্রযুক্তিকে। এই প্রযুক্তির সুবিধা হলো—এটি আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে না। গুগল-সমর্থিত স্টার্টআপ ফার্ভো এনার্জির প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন এমন স্থানেও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ভূতাপীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সম্ভব হচ্ছে।
এদিকে ফিউশন প্রযুক্তির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে গুগল সম্প্রতি কমনওয়েলথ ফিউশন সিস্টেমস-এ বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান ২০৩০ দশকের গোড়ার দিকে আর্ক নামের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা করেছে। সেখান থেকে গুগল ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে।
এছাড়া, গুগল ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করেছে ‘কাইরোস পাওয়ার’–এর সঙ্গে। এই কোম্পানি ছোট আকারের পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর তৈরি করছে।
তবে এসব প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ পেতে আরও পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় লেগে যাবে। এই সময়ের মধ্যে গুগল নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নজর দিয়েছে।
২০২৪ সালে গুগল বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। মে মাসে কোম্পানিটি দক্ষিণ ক্যারোলিনায় ৬০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কিনেছে এবং জানুয়ারিতে ওকলাহোমায় ৭০০ মেগাওয়াটের একটি চুক্তি করে গুগল। ইন্টারসেক্ট পাওয়ার ও টিপিজি রাইজ ক্লাইমেপ-এর সঙ্গে যৌথভাবে গুগল কয়েক গিগাওয়াট ক্ষমতার কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, যার মোট বিনিয়োগ ২০ বিলিয়ন ডলার।
কারণ, ২০২০ দশকের মধ্যে নতুন ফিউশন বা ফিশন বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর প্রাকৃতিক গ্যাস থাকলেও নতুন টারবাইন স্থাপনের অনুমোদন পেতে পাঁচ বছরের বেশি সময় লাগে। ফলে সহজলভ্য একমাত্র বিকল্প হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি—বিশেষ করে সৌর ও বায়ু শক্তি, যা ব্যাটারি সংরক্ষণ প্রযুক্তির সঙ্গে মিলে কার্যকর হতে পারে।
গুগল তাদের বার্ষিক বিদ্যুৎ ব্যবহারের সমপরিমাণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেনার চুক্তি করেছে। তবে সব সময় ও জায়গায় প্রয়োজন অনুযায়ী সে বিদ্যুৎ পৌঁছায় না।
বিশ্বজুড়ে গুগলের ডেটা সেন্টারগুলোর বিদ্যুৎ ব্যবহারের মধ্যে গড়ে ৬৬ শতাংশ এখন ঘণ্টার ভিত্তিতে কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ দিয়ে চালানো হচ্ছে। তবে অঞ্চলভেদে চিত্র ভিন্ন। যেমন: লাতিন আমেরিকায় গুগলের ডেটা সেন্টারগুলো ৯২ শতাংশ পর্যন্ত কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারলেও, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় সেই হার মাত্র ৫ শতাংশ।
এই সমস্যাগুলোর কারণেই গুগল ফিশন ও ফিউশন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে বলে জানান গুগলের উন্নত জ্বালানি বিভাগের প্রধান মাইকেল টেরেল। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে চাই, তাহলে এসব প্রযুক্তির দরকার হবেই।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ায় বিদ্যুৎ ব্যবহারে বড় ধরনের চাপ পড়েছে গুগলের ডেটা সেন্টারগুলো ওপর। বিগত চার বছরে কোম্পানিটির ডেটা সেন্টার বিদ্যুৎ ব্যবহার দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত গুগলের সর্বশেষ টেকসই উন্নয়ন (সাসটেইনেবিলিটি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
২০২৪ সালে গুগলের ডেটা সেন্টারগুলো ঘণ্টায় ৩০ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে। অথচ ২০২০ সালে সেই পরিমাণ ছিল ১৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন মেগাওয়াট-ঘণ্টা। ওই বছর থেকেই গুগল ডেটা সেন্টারের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহারের নির্দিষ্ট হিসাব প্রকাশ করতে শুরু করে।
শুধু বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়েনি, একই সঙ্গে বেড়েছে গুগলের দুশ্চিন্তাও। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের সব কার্যক্রম কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ দিয়ে চালানো হবে। তবে এত দ্রুতগতির ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণের লক্ষ্য অর্জন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০২৪ সালে গুগলের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের ৯৫ দশমিক ৮ শতাংশই গেছে ডেটা সেন্টারগুলোর পেছনে। গত চার বছরে এই অনুপাত প্রায় একই ছিল। ২০২০ সাল থেকেই ডেটা সেন্টার বিদ্যুৎ ব্যবহারের হিসাব পাওয়া যাচ্ছে। সেই অনুপাতে আরও পেছনে গিয়ে হিসাব করলে দেখা যায়, ২০১৪ সালে গুগলের ডেটা সেন্টার বিদ্যুৎ ব্যবহার ছিল প্রায় ৪ মিলিয়ন মেগাওয়াট-ঘণ্টা।
ডেটা সেন্টারগুলোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে গুগল। কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে গুগল বড় পরিসরে বিনিয়োগ করছে জিওথার্মাল, নিউক্লিয়ার ফিশন ও ফিউশন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে।
বিশ্বের তাপশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গুগল সমর্থন দিচ্ছে জিওথার্মাল বা ভূতাপীয় প্রযুক্তিকে। এই প্রযুক্তির সুবিধা হলো—এটি আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে না। গুগল-সমর্থিত স্টার্টআপ ফার্ভো এনার্জির প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন এমন স্থানেও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ভূতাপীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সম্ভব হচ্ছে।
এদিকে ফিউশন প্রযুক্তির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে গুগল সম্প্রতি কমনওয়েলথ ফিউশন সিস্টেমস-এ বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান ২০৩০ দশকের গোড়ার দিকে আর্ক নামের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা করেছে। সেখান থেকে গুগল ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে।
এছাড়া, গুগল ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করেছে ‘কাইরোস পাওয়ার’–এর সঙ্গে। এই কোম্পানি ছোট আকারের পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর তৈরি করছে।
তবে এসব প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ পেতে আরও পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় লেগে যাবে। এই সময়ের মধ্যে গুগল নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নজর দিয়েছে।
২০২৪ সালে গুগল বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। মে মাসে কোম্পানিটি দক্ষিণ ক্যারোলিনায় ৬০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কিনেছে এবং জানুয়ারিতে ওকলাহোমায় ৭০০ মেগাওয়াটের একটি চুক্তি করে গুগল। ইন্টারসেক্ট পাওয়ার ও টিপিজি রাইজ ক্লাইমেপ-এর সঙ্গে যৌথভাবে গুগল কয়েক গিগাওয়াট ক্ষমতার কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, যার মোট বিনিয়োগ ২০ বিলিয়ন ডলার।
কারণ, ২০২০ দশকের মধ্যে নতুন ফিউশন বা ফিশন বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর প্রাকৃতিক গ্যাস থাকলেও নতুন টারবাইন স্থাপনের অনুমোদন পেতে পাঁচ বছরের বেশি সময় লাগে। ফলে সহজলভ্য একমাত্র বিকল্প হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি—বিশেষ করে সৌর ও বায়ু শক্তি, যা ব্যাটারি সংরক্ষণ প্রযুক্তির সঙ্গে মিলে কার্যকর হতে পারে।
গুগল তাদের বার্ষিক বিদ্যুৎ ব্যবহারের সমপরিমাণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেনার চুক্তি করেছে। তবে সব সময় ও জায়গায় প্রয়োজন অনুযায়ী সে বিদ্যুৎ পৌঁছায় না।
বিশ্বজুড়ে গুগলের ডেটা সেন্টারগুলোর বিদ্যুৎ ব্যবহারের মধ্যে গড়ে ৬৬ শতাংশ এখন ঘণ্টার ভিত্তিতে কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ দিয়ে চালানো হচ্ছে। তবে অঞ্চলভেদে চিত্র ভিন্ন। যেমন: লাতিন আমেরিকায় গুগলের ডেটা সেন্টারগুলো ৯২ শতাংশ পর্যন্ত কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারলেও, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় সেই হার মাত্র ৫ শতাংশ।
এই সমস্যাগুলোর কারণেই গুগল ফিশন ও ফিউশন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে বলে জানান গুগলের উন্নত জ্বালানি বিভাগের প্রধান মাইকেল টেরেল। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে চাই, তাহলে এসব প্রযুক্তির দরকার হবেই।’
বিশ্বজুড়ে বিনোদনের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে টিকটক। অল্প সময়ের মধ্যে অসংখ্য ভিডিও দেখার সুযোগ থাকায় এটি ব্যবহারকারীদের কাছে হয়ে উঠেছে দারুণ আকর্ষণীয়। তবে একটার পর একটা ভিডিও দেখতে বারবার স্ক্রল করাটা অনেক সময় বিরক্তিকর বা কষ্টসাধ্য হতে পারে। বিশেষ করে, যখন আপনি আরাম করে ভিডিও উপভোগ করতে চান।
১৯ ঘণ্টা আগেফেসবুকের শুরুর দিকের জনপ্রিয় ছিল ‘পোক’ ফিচারটি। সময়ের সঙ্গে এটি প্রায় অপ্রচলিত হয়ে গেলেও, সম্প্রতি তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে পোকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলে, ফেসবুক এখন এই পুরোনো ফিচারটিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে সামনে আনছে।
১ দিন আগেওপেন সোর্স সফটওয়্যার আন্দোলনের জগৎ রঙিন চরিত্র আর ব্যতিক্রমী কাহিনিতে ভরা। তবে এসবের ভিড়ে সবচেয়ে বিস্ময়কর যেসব গল্প পাওয়া যায়, সেটি নিঃসন্দেহে অপারেটিং সিস্টেম টেম্পলওএস–কে ঘিরে। এই সিস্টেম তৈরির কাহিনি একই সঙ্গে অদ্ভুত, অবাক করা ও বিষণ্ন!
২ দিন আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নির্ভর চাকরি খোঁজার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে বলে ঘোষণা দিয়েছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআই। প্ল্যাটফর্মটি এআই ব্যবহার করে উপযোগী চাকরিপ্রার্থী ও কোম্পানির মধ্যে সংযোগ তৈরি করবে। এই সেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওপেনএআই জবস প্ল্যাটফর্ম’। আগামী ২০২৬ সালের মাঝামাঝি এটি চালু হওয়ার...
২ দিন আগে