আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ই-বুক পড়া এবং সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য টুল হিসেবে সামনে এসেছে ‘ক্যালিব্রি’। এটি একটি মুক্ত ও ওপেন সোর্স ই-বুক লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, যা শুধু ই-বুক পড়ার সুবিধাই দেয় না, বরং এগুলোকে সুসংগঠিত করে, রূপান্তর করতে এবং বিভিন্ন ডিভাইসে পাঠানোও সম্ভব করে তোলে। এ ছাড়া এটি ব্যবহারের বড় সুবিধা হলো–এতে কোনো বিজ্ঞাপন দেখানো হয় না।
ক্যালিব্রিতে অধিকাংশ ফরম্যাটেই ই-বুক পড়া যায়। এটি ই-বুক রূপান্তর এবং ক্যাটালগ তৈরির কাজ করতে পারে। এটি ইন্টারনেটে গিয়ে বইগুলোর জন্য মেটাডেটা খুঁজে দিতে পারে। এর মধ্যে অনেক ধরনের ফিচার রয়েছে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার তুলে ধরা হলো—
লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট: এটি আপনার সংগ্রহের ই-বুকগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখবে। ক্যালিব্রি বইগুলো সঠিকভাবে ক্যাটালগ করতে, বিভাগভিত্তিক সাজাতে এবং দ্রুত খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
ই-বুক রূপান্তর: ক্যালিব্রি বিভিন্ন ই-বুক ফরম্যাটের মধ্যে রূপান্তর করতে পারে। যেমন: EPUB, PDF, MOBI, AZW 3.
অন্যান্য ই-বুক রিডার ডিভাইসের সঙ্গে সিংকিং: বিভিন্ন ই-বুক রিডার ডিভাইসের সঙ্গে সহজে যুক্ত হতে পারে ক্যালিব্রি। বইগুলো এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে পাঠাতে বা সিংক করা যাবে, যাতে ই-বুক পড়ার অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও সুবিধাজনক হয়।
ওয়েব থেকে নিউজ ডাউনলোড করে ই-বুক ফরম্যাটে রূপান্তর: ক্যালিব্রি ইন্টারনেট থেকে খবর এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম। এসব ডাউনলোড করা নিউজ বা তথ্যগুলোকে ই-বুক ফরম্যাটে রূপান্তর করে পড়ার জন্য প্রস্তুত করে দেয়।
ই-বুক ভিউয়ার: ক্যালিব্রি একটি পূর্ণাঙ্গ ই-বুক ভিউয়ার প্রদান করে যা আপনাকে বইগুলো পড়তে এবং প্রয়োজনীয় টুকিটাকি সেটিংস পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
অনলাইন অ্যাকসেসের জন্য কনটেন্ট সার্ভার: ক্যালিব্রি ব্যবহারকারীদের একটি কনটেন্ট সার্ভার প্রদান করে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার বইয়ের সংগ্রহটি অনলাইনে অ্যাকসেস পাবেন। এতে করে আপনি যেকোনো ডিভাইস থেকে আপনার বইগুলো পড়তে পারবেন।
ডকুমেন্ট ই-বুকে রূপান্তর: ক্যালিব্রি আপনার ব্যক্তিগত ডকুমেন্টগুলোকে ই-বুকে রূপান্তর করতে পারে বা সেগুলো সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি করতে পারে। এতে স্বয়ংক্রিয় স্টাইল হেলপার এবং স্ক্রিপ্ট রয়েছে, যা বইয়ের কাঠামো তৈরি করতে সাহায্য করে। এই সুবিধার মাধ্যমে, সহজেই নিজের লেখা ডকুমেন্ট বা অন্যান্য কনটেন্টকে সুন্দরভাবে সাজানো ই-বুকে পরিণত করা যাবে। যেখানে বইয়ের ফরম্যাট, শিরোনাম, বিভাগ এবং অন্যান্য উপাদান স্বয়ংক্রিয়ভাবে গঠন হয়ে যায়।
যেসব ডিভাইসে ক্যালিব্রি কাজ করবে
ক্যালিব্রি প্রায় সব ধরনের ই-বুক রিডার, ফোন বা ট্যাবলেটের সঙ্গে কাজ করবে। এটি উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনাক্স ডিভাইসেও কাজ করে। এর মাধ্যমে সহজেই ই-বুকগুলো এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে পাঠানো যায়। ফাইলগুলো উপযুক্ত ফরম্যাটে অন্য ডিভাইসে পাঠাতে পারে, প্রয়োজন হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রূপান্তরিত করবে। এটি ই-বুক ব্যবস্থাপনায় একটি বড় সুবিধা।
ক্যালিব্রি অনেক ইনপুট ফরম্যাটকে বিভিন্ন আউটপুট ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারে।
ইনপুট ফরম্যাট
AZW, AZW 3, AZW 4, CBZ, CBR, CB 7, CBC, CHM, DJVU, DOCX, EPUB, FB 2, FBZ, HTML, HTMLZ, LIT, LRF, MOBI, ODT, PDF, PRC, PDB, PML, RB, RTF, SNB, TCR, TXT, TXTZ
আউটপুট ফরম্যাট
AZW 3, EPUB, DOCX, FB 2, HTMLZ, OEB, LIT, LRF, MOBI, PDB, PMLZ, RB, PDF, RTF, SNB, TCR, TXT, TXTZ, ZIP
ক্লাউড স্টোরেজ
ক্যালিব্রি ক্লাউড স্টোরেজ সরবরাহ করে না। তবে এটি বেশির ভাগ প্রধান ক্লাউড প্রোভাইডারের সঙ্গে ইন্টিগ্রেট হতে সক্ষম, যেমন—গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, এবং ওয়ানড্রাইভ। এর মাধ্যমে, এসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ই-বুক লাইব্রেরি ক্লাউডে রাখা যায় এবং যেকোনো ফোন বা ট্যাবলেট থেকে সেই কনটেন্টে অ্যাকসেস করা যায়।
এই সুবিধা আপনার লাইব্রেরি যেকোনো জায়গা থেকে সহজেই অ্যাকসেসের সুযোগ দেয় এবং ডিভাইসের মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনও সহজ করে তোলে।
সম্প্রতি ক্যালিব্রি নতুন সংস্করণ ৮.০. ১ চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি আরও উন্নত হয়েছে। এই সংস্করণে যেসব পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে তা তুলে ধরা হলো—
বিশাল উন্নত কোবো সমর্থন
এখন থেকে ক্যালিব্রি কোবোতে ব্যবহৃত KEPUB ফরম্যাট ফাইলগুলো সম্পাদনা, দেখা এবং রূপান্তরের সমর্থন দেবে। এটি কোবো ডিভাইসে বই পাঠানোর সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে EPUB-কে KEPUB ফরম্যাটে রূপান্তর করে।
ফোল্ডারে সংযোগ: এখন ক্যালিব্রি একটি ফোল্ডারে সংযুক্ত হতে পারে এবং সেই ফোল্ডারকে ইউএসবিএমএস ভিত্তিক ডিভাইস হিসেবে তাকে চিনে। এটি বিশেষত ক্রোমবুকের জন্য উপকারী একটি ফিচার, যেখানে ইউএসবি ডিভাইসগুলো আসলে ফোল্ডার হিসেবে প্রদর্শিত হয়, ডিভাইস হিসেবে নয়।
টেবিল অব কনটেন্টস এডিটর: টেবিল অব কনটেন্টসে নির্বাচিত একাধিক আইটেম স্থানান্তর করার অনুমতি।
ম্যাকওএস: ম্যাকওএসে এখন ক্যালিব্রি অ্যাপ্লিকেশনের আইকনগুলো ‘ডক’-এ সাদা ফ্রেমে দেখানো হয়, যা অ্যাপের বর্তমান আইকন স্টাইল অনুসরণ করে।
কোবো ড্রাইভার: জার্মানির টোলিনো ই-বুক রিডার ডিভাইসের জন্য নতুন ফার্মওয়্যারের সমর্থন প্রদান করছে।
বইয়ের বিস্তারিত: লেখক অনুসন্ধান লিংক গোপন করার জন্য একটি বিকল্প যুক্ত করা হয়েছে।
এই সংস্করণে বেশ কিছু ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে—
ক্যাটালগ জেনারেশন: ডেটাবেসের নোটগুলোর জন্য টেমপ্লেট ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
লেখক নাম পুনর্নির্ধারণ: কমা যুক্ত লেখকের নাম পুনর্নির্ধারণ করার সময় একটি ত্রুটি দেখা যেত তা সংশোধন করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ টেক্সট অনুসন্ধান: ক্যালিব্রি এখন ZIP এবং RAR আর্কাইভ ফাইলের ভেতরে থাকা টেক্সটকেও ইনডেক্স (অথবা তালিকাভুক্ত) করবে এবং আর সেই টেক্সটের মধ্যে সার্চও করা যাবে।
ই-বুক ভিউয়ার: টেবিল অব কনটেন্টসে বর্তমান এন্ট্রি ট্র্যাকিং ঠিক করা হয়েছে, যা কিছু বইয়ের জন্য কাজ করছিল না।
ক্যালিব্রি ট্যাগ: HTML থেকে মেটাডেটা পড়ার সময় ‘‘name=’subject’’মেটা ট্যাগগুলোকে ক্যালিব্রি ট্যাগ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
ই-বুক ভিউয়ার: ইন্টারাপ্ট সিগন্যালের সময় ভিউয়ার বন্ধ না হওয়া সংশোধন করা হয়েছে। অর্থাৎ যখন আপনি বই পড়ার সময় যদি কোনো কী প্রেস করেন বা কোনো ম্যানুয়াল ইন্টারঅ্যাকশন করেন, তবে ভিউয়ারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। তবে আগের সংস্করণে, কিছু সময় ভিউয়ারটি বন্ধ হতে পারত না বা সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া দিত না।
নতুন আপডেটের নিচের নিউজ সোর্সগুলো যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো—
তথ্যসূত্র: টেক স্পট

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ই-বুক পড়া এবং সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য টুল হিসেবে সামনে এসেছে ‘ক্যালিব্রি’। এটি একটি মুক্ত ও ওপেন সোর্স ই-বুক লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, যা শুধু ই-বুক পড়ার সুবিধাই দেয় না, বরং এগুলোকে সুসংগঠিত করে, রূপান্তর করতে এবং বিভিন্ন ডিভাইসে পাঠানোও সম্ভব করে তোলে। এ ছাড়া এটি ব্যবহারের বড় সুবিধা হলো–এতে কোনো বিজ্ঞাপন দেখানো হয় না।
ক্যালিব্রিতে অধিকাংশ ফরম্যাটেই ই-বুক পড়া যায়। এটি ই-বুক রূপান্তর এবং ক্যাটালগ তৈরির কাজ করতে পারে। এটি ইন্টারনেটে গিয়ে বইগুলোর জন্য মেটাডেটা খুঁজে দিতে পারে। এর মধ্যে অনেক ধরনের ফিচার রয়েছে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার তুলে ধরা হলো—
লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট: এটি আপনার সংগ্রহের ই-বুকগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখবে। ক্যালিব্রি বইগুলো সঠিকভাবে ক্যাটালগ করতে, বিভাগভিত্তিক সাজাতে এবং দ্রুত খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
ই-বুক রূপান্তর: ক্যালিব্রি বিভিন্ন ই-বুক ফরম্যাটের মধ্যে রূপান্তর করতে পারে। যেমন: EPUB, PDF, MOBI, AZW 3.
অন্যান্য ই-বুক রিডার ডিভাইসের সঙ্গে সিংকিং: বিভিন্ন ই-বুক রিডার ডিভাইসের সঙ্গে সহজে যুক্ত হতে পারে ক্যালিব্রি। বইগুলো এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে পাঠাতে বা সিংক করা যাবে, যাতে ই-বুক পড়ার অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও সুবিধাজনক হয়।
ওয়েব থেকে নিউজ ডাউনলোড করে ই-বুক ফরম্যাটে রূপান্তর: ক্যালিব্রি ইন্টারনেট থেকে খবর এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম। এসব ডাউনলোড করা নিউজ বা তথ্যগুলোকে ই-বুক ফরম্যাটে রূপান্তর করে পড়ার জন্য প্রস্তুত করে দেয়।
ই-বুক ভিউয়ার: ক্যালিব্রি একটি পূর্ণাঙ্গ ই-বুক ভিউয়ার প্রদান করে যা আপনাকে বইগুলো পড়তে এবং প্রয়োজনীয় টুকিটাকি সেটিংস পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
অনলাইন অ্যাকসেসের জন্য কনটেন্ট সার্ভার: ক্যালিব্রি ব্যবহারকারীদের একটি কনটেন্ট সার্ভার প্রদান করে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার বইয়ের সংগ্রহটি অনলাইনে অ্যাকসেস পাবেন। এতে করে আপনি যেকোনো ডিভাইস থেকে আপনার বইগুলো পড়তে পারবেন।
ডকুমেন্ট ই-বুকে রূপান্তর: ক্যালিব্রি আপনার ব্যক্তিগত ডকুমেন্টগুলোকে ই-বুকে রূপান্তর করতে পারে বা সেগুলো সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি করতে পারে। এতে স্বয়ংক্রিয় স্টাইল হেলপার এবং স্ক্রিপ্ট রয়েছে, যা বইয়ের কাঠামো তৈরি করতে সাহায্য করে। এই সুবিধার মাধ্যমে, সহজেই নিজের লেখা ডকুমেন্ট বা অন্যান্য কনটেন্টকে সুন্দরভাবে সাজানো ই-বুকে পরিণত করা যাবে। যেখানে বইয়ের ফরম্যাট, শিরোনাম, বিভাগ এবং অন্যান্য উপাদান স্বয়ংক্রিয়ভাবে গঠন হয়ে যায়।
যেসব ডিভাইসে ক্যালিব্রি কাজ করবে
ক্যালিব্রি প্রায় সব ধরনের ই-বুক রিডার, ফোন বা ট্যাবলেটের সঙ্গে কাজ করবে। এটি উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনাক্স ডিভাইসেও কাজ করে। এর মাধ্যমে সহজেই ই-বুকগুলো এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে পাঠানো যায়। ফাইলগুলো উপযুক্ত ফরম্যাটে অন্য ডিভাইসে পাঠাতে পারে, প্রয়োজন হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রূপান্তরিত করবে। এটি ই-বুক ব্যবস্থাপনায় একটি বড় সুবিধা।
ক্যালিব্রি অনেক ইনপুট ফরম্যাটকে বিভিন্ন আউটপুট ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারে।
ইনপুট ফরম্যাট
AZW, AZW 3, AZW 4, CBZ, CBR, CB 7, CBC, CHM, DJVU, DOCX, EPUB, FB 2, FBZ, HTML, HTMLZ, LIT, LRF, MOBI, ODT, PDF, PRC, PDB, PML, RB, RTF, SNB, TCR, TXT, TXTZ
আউটপুট ফরম্যাট
AZW 3, EPUB, DOCX, FB 2, HTMLZ, OEB, LIT, LRF, MOBI, PDB, PMLZ, RB, PDF, RTF, SNB, TCR, TXT, TXTZ, ZIP
ক্লাউড স্টোরেজ
ক্যালিব্রি ক্লাউড স্টোরেজ সরবরাহ করে না। তবে এটি বেশির ভাগ প্রধান ক্লাউড প্রোভাইডারের সঙ্গে ইন্টিগ্রেট হতে সক্ষম, যেমন—গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, এবং ওয়ানড্রাইভ। এর মাধ্যমে, এসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ই-বুক লাইব্রেরি ক্লাউডে রাখা যায় এবং যেকোনো ফোন বা ট্যাবলেট থেকে সেই কনটেন্টে অ্যাকসেস করা যায়।
এই সুবিধা আপনার লাইব্রেরি যেকোনো জায়গা থেকে সহজেই অ্যাকসেসের সুযোগ দেয় এবং ডিভাইসের মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনও সহজ করে তোলে।
সম্প্রতি ক্যালিব্রি নতুন সংস্করণ ৮.০. ১ চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি আরও উন্নত হয়েছে। এই সংস্করণে যেসব পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে তা তুলে ধরা হলো—
বিশাল উন্নত কোবো সমর্থন
এখন থেকে ক্যালিব্রি কোবোতে ব্যবহৃত KEPUB ফরম্যাট ফাইলগুলো সম্পাদনা, দেখা এবং রূপান্তরের সমর্থন দেবে। এটি কোবো ডিভাইসে বই পাঠানোর সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে EPUB-কে KEPUB ফরম্যাটে রূপান্তর করে।
ফোল্ডারে সংযোগ: এখন ক্যালিব্রি একটি ফোল্ডারে সংযুক্ত হতে পারে এবং সেই ফোল্ডারকে ইউএসবিএমএস ভিত্তিক ডিভাইস হিসেবে তাকে চিনে। এটি বিশেষত ক্রোমবুকের জন্য উপকারী একটি ফিচার, যেখানে ইউএসবি ডিভাইসগুলো আসলে ফোল্ডার হিসেবে প্রদর্শিত হয়, ডিভাইস হিসেবে নয়।
টেবিল অব কনটেন্টস এডিটর: টেবিল অব কনটেন্টসে নির্বাচিত একাধিক আইটেম স্থানান্তর করার অনুমতি।
ম্যাকওএস: ম্যাকওএসে এখন ক্যালিব্রি অ্যাপ্লিকেশনের আইকনগুলো ‘ডক’-এ সাদা ফ্রেমে দেখানো হয়, যা অ্যাপের বর্তমান আইকন স্টাইল অনুসরণ করে।
কোবো ড্রাইভার: জার্মানির টোলিনো ই-বুক রিডার ডিভাইসের জন্য নতুন ফার্মওয়্যারের সমর্থন প্রদান করছে।
বইয়ের বিস্তারিত: লেখক অনুসন্ধান লিংক গোপন করার জন্য একটি বিকল্প যুক্ত করা হয়েছে।
এই সংস্করণে বেশ কিছু ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে—
ক্যাটালগ জেনারেশন: ডেটাবেসের নোটগুলোর জন্য টেমপ্লেট ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
লেখক নাম পুনর্নির্ধারণ: কমা যুক্ত লেখকের নাম পুনর্নির্ধারণ করার সময় একটি ত্রুটি দেখা যেত তা সংশোধন করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ টেক্সট অনুসন্ধান: ক্যালিব্রি এখন ZIP এবং RAR আর্কাইভ ফাইলের ভেতরে থাকা টেক্সটকেও ইনডেক্স (অথবা তালিকাভুক্ত) করবে এবং আর সেই টেক্সটের মধ্যে সার্চও করা যাবে।
ই-বুক ভিউয়ার: টেবিল অব কনটেন্টসে বর্তমান এন্ট্রি ট্র্যাকিং ঠিক করা হয়েছে, যা কিছু বইয়ের জন্য কাজ করছিল না।
ক্যালিব্রি ট্যাগ: HTML থেকে মেটাডেটা পড়ার সময় ‘‘name=’subject’’মেটা ট্যাগগুলোকে ক্যালিব্রি ট্যাগ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
ই-বুক ভিউয়ার: ইন্টারাপ্ট সিগন্যালের সময় ভিউয়ার বন্ধ না হওয়া সংশোধন করা হয়েছে। অর্থাৎ যখন আপনি বই পড়ার সময় যদি কোনো কী প্রেস করেন বা কোনো ম্যানুয়াল ইন্টারঅ্যাকশন করেন, তবে ভিউয়ারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। তবে আগের সংস্করণে, কিছু সময় ভিউয়ারটি বন্ধ হতে পারত না বা সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া দিত না।
নতুন আপডেটের নিচের নিউজ সোর্সগুলো যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো—
তথ্যসূত্র: টেক স্পট
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ই-বুক পড়া এবং সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য টুল হিসেবে সামনে এসেছে ‘ক্যালিব্রি’। এটি একটি মুক্ত ও ওপেন সোর্স ই-বুক লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, যা শুধু ই-বুক পড়ার সুবিধাই দেয় না, বরং এগুলোকে সুসংগঠিত করে, রূপান্তর করতে এবং বিভিন্ন ডিভাইসে পাঠানোও সম্ভব করে তোলে। এ ছাড়া এটি ব্যবহারের বড় সুবিধা হলো–এতে কোনো বিজ্ঞাপন দেখানো হয় না।
ক্যালিব্রিতে অধিকাংশ ফরম্যাটেই ই-বুক পড়া যায়। এটি ই-বুক রূপান্তর এবং ক্যাটালগ তৈরির কাজ করতে পারে। এটি ইন্টারনেটে গিয়ে বইগুলোর জন্য মেটাডেটা খুঁজে দিতে পারে। এর মধ্যে অনেক ধরনের ফিচার রয়েছে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার তুলে ধরা হলো—
লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট: এটি আপনার সংগ্রহের ই-বুকগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখবে। ক্যালিব্রি বইগুলো সঠিকভাবে ক্যাটালগ করতে, বিভাগভিত্তিক সাজাতে এবং দ্রুত খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
ই-বুক রূপান্তর: ক্যালিব্রি বিভিন্ন ই-বুক ফরম্যাটের মধ্যে রূপান্তর করতে পারে। যেমন: EPUB, PDF, MOBI, AZW 3.
অন্যান্য ই-বুক রিডার ডিভাইসের সঙ্গে সিংকিং: বিভিন্ন ই-বুক রিডার ডিভাইসের সঙ্গে সহজে যুক্ত হতে পারে ক্যালিব্রি। বইগুলো এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে পাঠাতে বা সিংক করা যাবে, যাতে ই-বুক পড়ার অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও সুবিধাজনক হয়।
ওয়েব থেকে নিউজ ডাউনলোড করে ই-বুক ফরম্যাটে রূপান্তর: ক্যালিব্রি ইন্টারনেট থেকে খবর এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম। এসব ডাউনলোড করা নিউজ বা তথ্যগুলোকে ই-বুক ফরম্যাটে রূপান্তর করে পড়ার জন্য প্রস্তুত করে দেয়।
ই-বুক ভিউয়ার: ক্যালিব্রি একটি পূর্ণাঙ্গ ই-বুক ভিউয়ার প্রদান করে যা আপনাকে বইগুলো পড়তে এবং প্রয়োজনীয় টুকিটাকি সেটিংস পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
অনলাইন অ্যাকসেসের জন্য কনটেন্ট সার্ভার: ক্যালিব্রি ব্যবহারকারীদের একটি কনটেন্ট সার্ভার প্রদান করে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার বইয়ের সংগ্রহটি অনলাইনে অ্যাকসেস পাবেন। এতে করে আপনি যেকোনো ডিভাইস থেকে আপনার বইগুলো পড়তে পারবেন।
ডকুমেন্ট ই-বুকে রূপান্তর: ক্যালিব্রি আপনার ব্যক্তিগত ডকুমেন্টগুলোকে ই-বুকে রূপান্তর করতে পারে বা সেগুলো সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি করতে পারে। এতে স্বয়ংক্রিয় স্টাইল হেলপার এবং স্ক্রিপ্ট রয়েছে, যা বইয়ের কাঠামো তৈরি করতে সাহায্য করে। এই সুবিধার মাধ্যমে, সহজেই নিজের লেখা ডকুমেন্ট বা অন্যান্য কনটেন্টকে সুন্দরভাবে সাজানো ই-বুকে পরিণত করা যাবে। যেখানে বইয়ের ফরম্যাট, শিরোনাম, বিভাগ এবং অন্যান্য উপাদান স্বয়ংক্রিয়ভাবে গঠন হয়ে যায়।
যেসব ডিভাইসে ক্যালিব্রি কাজ করবে
ক্যালিব্রি প্রায় সব ধরনের ই-বুক রিডার, ফোন বা ট্যাবলেটের সঙ্গে কাজ করবে। এটি উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনাক্স ডিভাইসেও কাজ করে। এর মাধ্যমে সহজেই ই-বুকগুলো এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে পাঠানো যায়। ফাইলগুলো উপযুক্ত ফরম্যাটে অন্য ডিভাইসে পাঠাতে পারে, প্রয়োজন হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রূপান্তরিত করবে। এটি ই-বুক ব্যবস্থাপনায় একটি বড় সুবিধা।
ক্যালিব্রি অনেক ইনপুট ফরম্যাটকে বিভিন্ন আউটপুট ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারে।
ইনপুট ফরম্যাট
AZW, AZW 3, AZW 4, CBZ, CBR, CB 7, CBC, CHM, DJVU, DOCX, EPUB, FB 2, FBZ, HTML, HTMLZ, LIT, LRF, MOBI, ODT, PDF, PRC, PDB, PML, RB, RTF, SNB, TCR, TXT, TXTZ
আউটপুট ফরম্যাট
AZW 3, EPUB, DOCX, FB 2, HTMLZ, OEB, LIT, LRF, MOBI, PDB, PMLZ, RB, PDF, RTF, SNB, TCR, TXT, TXTZ, ZIP
ক্লাউড স্টোরেজ
ক্যালিব্রি ক্লাউড স্টোরেজ সরবরাহ করে না। তবে এটি বেশির ভাগ প্রধান ক্লাউড প্রোভাইডারের সঙ্গে ইন্টিগ্রেট হতে সক্ষম, যেমন—গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, এবং ওয়ানড্রাইভ। এর মাধ্যমে, এসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ই-বুক লাইব্রেরি ক্লাউডে রাখা যায় এবং যেকোনো ফোন বা ট্যাবলেট থেকে সেই কনটেন্টে অ্যাকসেস করা যায়।
এই সুবিধা আপনার লাইব্রেরি যেকোনো জায়গা থেকে সহজেই অ্যাকসেসের সুযোগ দেয় এবং ডিভাইসের মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনও সহজ করে তোলে।
সম্প্রতি ক্যালিব্রি নতুন সংস্করণ ৮.০. ১ চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি আরও উন্নত হয়েছে। এই সংস্করণে যেসব পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে তা তুলে ধরা হলো—
বিশাল উন্নত কোবো সমর্থন
এখন থেকে ক্যালিব্রি কোবোতে ব্যবহৃত KEPUB ফরম্যাট ফাইলগুলো সম্পাদনা, দেখা এবং রূপান্তরের সমর্থন দেবে। এটি কোবো ডিভাইসে বই পাঠানোর সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে EPUB-কে KEPUB ফরম্যাটে রূপান্তর করে।
ফোল্ডারে সংযোগ: এখন ক্যালিব্রি একটি ফোল্ডারে সংযুক্ত হতে পারে এবং সেই ফোল্ডারকে ইউএসবিএমএস ভিত্তিক ডিভাইস হিসেবে তাকে চিনে। এটি বিশেষত ক্রোমবুকের জন্য উপকারী একটি ফিচার, যেখানে ইউএসবি ডিভাইসগুলো আসলে ফোল্ডার হিসেবে প্রদর্শিত হয়, ডিভাইস হিসেবে নয়।
টেবিল অব কনটেন্টস এডিটর: টেবিল অব কনটেন্টসে নির্বাচিত একাধিক আইটেম স্থানান্তর করার অনুমতি।
ম্যাকওএস: ম্যাকওএসে এখন ক্যালিব্রি অ্যাপ্লিকেশনের আইকনগুলো ‘ডক’-এ সাদা ফ্রেমে দেখানো হয়, যা অ্যাপের বর্তমান আইকন স্টাইল অনুসরণ করে।
কোবো ড্রাইভার: জার্মানির টোলিনো ই-বুক রিডার ডিভাইসের জন্য নতুন ফার্মওয়্যারের সমর্থন প্রদান করছে।
বইয়ের বিস্তারিত: লেখক অনুসন্ধান লিংক গোপন করার জন্য একটি বিকল্প যুক্ত করা হয়েছে।
এই সংস্করণে বেশ কিছু ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে—
ক্যাটালগ জেনারেশন: ডেটাবেসের নোটগুলোর জন্য টেমপ্লেট ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
লেখক নাম পুনর্নির্ধারণ: কমা যুক্ত লেখকের নাম পুনর্নির্ধারণ করার সময় একটি ত্রুটি দেখা যেত তা সংশোধন করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ টেক্সট অনুসন্ধান: ক্যালিব্রি এখন ZIP এবং RAR আর্কাইভ ফাইলের ভেতরে থাকা টেক্সটকেও ইনডেক্স (অথবা তালিকাভুক্ত) করবে এবং আর সেই টেক্সটের মধ্যে সার্চও করা যাবে।
ই-বুক ভিউয়ার: টেবিল অব কনটেন্টসে বর্তমান এন্ট্রি ট্র্যাকিং ঠিক করা হয়েছে, যা কিছু বইয়ের জন্য কাজ করছিল না।
ক্যালিব্রি ট্যাগ: HTML থেকে মেটাডেটা পড়ার সময় ‘‘name=’subject’’মেটা ট্যাগগুলোকে ক্যালিব্রি ট্যাগ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
ই-বুক ভিউয়ার: ইন্টারাপ্ট সিগন্যালের সময় ভিউয়ার বন্ধ না হওয়া সংশোধন করা হয়েছে। অর্থাৎ যখন আপনি বই পড়ার সময় যদি কোনো কী প্রেস করেন বা কোনো ম্যানুয়াল ইন্টারঅ্যাকশন করেন, তবে ভিউয়ারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। তবে আগের সংস্করণে, কিছু সময় ভিউয়ারটি বন্ধ হতে পারত না বা সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া দিত না।
নতুন আপডেটের নিচের নিউজ সোর্সগুলো যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো—
তথ্যসূত্র: টেক স্পট

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ই-বুক পড়া এবং সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য টুল হিসেবে সামনে এসেছে ‘ক্যালিব্রি’। এটি একটি মুক্ত ও ওপেন সোর্স ই-বুক লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, যা শুধু ই-বুক পড়ার সুবিধাই দেয় না, বরং এগুলোকে সুসংগঠিত করে, রূপান্তর করতে এবং বিভিন্ন ডিভাইসে পাঠানোও সম্ভব করে তোলে। এ ছাড়া এটি ব্যবহারের বড় সুবিধা হলো–এতে কোনো বিজ্ঞাপন দেখানো হয় না।
ক্যালিব্রিতে অধিকাংশ ফরম্যাটেই ই-বুক পড়া যায়। এটি ই-বুক রূপান্তর এবং ক্যাটালগ তৈরির কাজ করতে পারে। এটি ইন্টারনেটে গিয়ে বইগুলোর জন্য মেটাডেটা খুঁজে দিতে পারে। এর মধ্যে অনেক ধরনের ফিচার রয়েছে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার তুলে ধরা হলো—
লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট: এটি আপনার সংগ্রহের ই-বুকগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখবে। ক্যালিব্রি বইগুলো সঠিকভাবে ক্যাটালগ করতে, বিভাগভিত্তিক সাজাতে এবং দ্রুত খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
ই-বুক রূপান্তর: ক্যালিব্রি বিভিন্ন ই-বুক ফরম্যাটের মধ্যে রূপান্তর করতে পারে। যেমন: EPUB, PDF, MOBI, AZW 3.
অন্যান্য ই-বুক রিডার ডিভাইসের সঙ্গে সিংকিং: বিভিন্ন ই-বুক রিডার ডিভাইসের সঙ্গে সহজে যুক্ত হতে পারে ক্যালিব্রি। বইগুলো এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে পাঠাতে বা সিংক করা যাবে, যাতে ই-বুক পড়ার অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও সুবিধাজনক হয়।
ওয়েব থেকে নিউজ ডাউনলোড করে ই-বুক ফরম্যাটে রূপান্তর: ক্যালিব্রি ইন্টারনেট থেকে খবর এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম। এসব ডাউনলোড করা নিউজ বা তথ্যগুলোকে ই-বুক ফরম্যাটে রূপান্তর করে পড়ার জন্য প্রস্তুত করে দেয়।
ই-বুক ভিউয়ার: ক্যালিব্রি একটি পূর্ণাঙ্গ ই-বুক ভিউয়ার প্রদান করে যা আপনাকে বইগুলো পড়তে এবং প্রয়োজনীয় টুকিটাকি সেটিংস পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
অনলাইন অ্যাকসেসের জন্য কনটেন্ট সার্ভার: ক্যালিব্রি ব্যবহারকারীদের একটি কনটেন্ট সার্ভার প্রদান করে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার বইয়ের সংগ্রহটি অনলাইনে অ্যাকসেস পাবেন। এতে করে আপনি যেকোনো ডিভাইস থেকে আপনার বইগুলো পড়তে পারবেন।
ডকুমেন্ট ই-বুকে রূপান্তর: ক্যালিব্রি আপনার ব্যক্তিগত ডকুমেন্টগুলোকে ই-বুকে রূপান্তর করতে পারে বা সেগুলো সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি করতে পারে। এতে স্বয়ংক্রিয় স্টাইল হেলপার এবং স্ক্রিপ্ট রয়েছে, যা বইয়ের কাঠামো তৈরি করতে সাহায্য করে। এই সুবিধার মাধ্যমে, সহজেই নিজের লেখা ডকুমেন্ট বা অন্যান্য কনটেন্টকে সুন্দরভাবে সাজানো ই-বুকে পরিণত করা যাবে। যেখানে বইয়ের ফরম্যাট, শিরোনাম, বিভাগ এবং অন্যান্য উপাদান স্বয়ংক্রিয়ভাবে গঠন হয়ে যায়।
যেসব ডিভাইসে ক্যালিব্রি কাজ করবে
ক্যালিব্রি প্রায় সব ধরনের ই-বুক রিডার, ফোন বা ট্যাবলেটের সঙ্গে কাজ করবে। এটি উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনাক্স ডিভাইসেও কাজ করে। এর মাধ্যমে সহজেই ই-বুকগুলো এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে পাঠানো যায়। ফাইলগুলো উপযুক্ত ফরম্যাটে অন্য ডিভাইসে পাঠাতে পারে, প্রয়োজন হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রূপান্তরিত করবে। এটি ই-বুক ব্যবস্থাপনায় একটি বড় সুবিধা।
ক্যালিব্রি অনেক ইনপুট ফরম্যাটকে বিভিন্ন আউটপুট ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারে।
ইনপুট ফরম্যাট
AZW, AZW 3, AZW 4, CBZ, CBR, CB 7, CBC, CHM, DJVU, DOCX, EPUB, FB 2, FBZ, HTML, HTMLZ, LIT, LRF, MOBI, ODT, PDF, PRC, PDB, PML, RB, RTF, SNB, TCR, TXT, TXTZ
আউটপুট ফরম্যাট
AZW 3, EPUB, DOCX, FB 2, HTMLZ, OEB, LIT, LRF, MOBI, PDB, PMLZ, RB, PDF, RTF, SNB, TCR, TXT, TXTZ, ZIP
ক্লাউড স্টোরেজ
ক্যালিব্রি ক্লাউড স্টোরেজ সরবরাহ করে না। তবে এটি বেশির ভাগ প্রধান ক্লাউড প্রোভাইডারের সঙ্গে ইন্টিগ্রেট হতে সক্ষম, যেমন—গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, এবং ওয়ানড্রাইভ। এর মাধ্যমে, এসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ই-বুক লাইব্রেরি ক্লাউডে রাখা যায় এবং যেকোনো ফোন বা ট্যাবলেট থেকে সেই কনটেন্টে অ্যাকসেস করা যায়।
এই সুবিধা আপনার লাইব্রেরি যেকোনো জায়গা থেকে সহজেই অ্যাকসেসের সুযোগ দেয় এবং ডিভাইসের মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনও সহজ করে তোলে।
সম্প্রতি ক্যালিব্রি নতুন সংস্করণ ৮.০. ১ চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি আরও উন্নত হয়েছে। এই সংস্করণে যেসব পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে তা তুলে ধরা হলো—
বিশাল উন্নত কোবো সমর্থন
এখন থেকে ক্যালিব্রি কোবোতে ব্যবহৃত KEPUB ফরম্যাট ফাইলগুলো সম্পাদনা, দেখা এবং রূপান্তরের সমর্থন দেবে। এটি কোবো ডিভাইসে বই পাঠানোর সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে EPUB-কে KEPUB ফরম্যাটে রূপান্তর করে।
ফোল্ডারে সংযোগ: এখন ক্যালিব্রি একটি ফোল্ডারে সংযুক্ত হতে পারে এবং সেই ফোল্ডারকে ইউএসবিএমএস ভিত্তিক ডিভাইস হিসেবে তাকে চিনে। এটি বিশেষত ক্রোমবুকের জন্য উপকারী একটি ফিচার, যেখানে ইউএসবি ডিভাইসগুলো আসলে ফোল্ডার হিসেবে প্রদর্শিত হয়, ডিভাইস হিসেবে নয়।
টেবিল অব কনটেন্টস এডিটর: টেবিল অব কনটেন্টসে নির্বাচিত একাধিক আইটেম স্থানান্তর করার অনুমতি।
ম্যাকওএস: ম্যাকওএসে এখন ক্যালিব্রি অ্যাপ্লিকেশনের আইকনগুলো ‘ডক’-এ সাদা ফ্রেমে দেখানো হয়, যা অ্যাপের বর্তমান আইকন স্টাইল অনুসরণ করে।
কোবো ড্রাইভার: জার্মানির টোলিনো ই-বুক রিডার ডিভাইসের জন্য নতুন ফার্মওয়্যারের সমর্থন প্রদান করছে।
বইয়ের বিস্তারিত: লেখক অনুসন্ধান লিংক গোপন করার জন্য একটি বিকল্প যুক্ত করা হয়েছে।
এই সংস্করণে বেশ কিছু ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে—
ক্যাটালগ জেনারেশন: ডেটাবেসের নোটগুলোর জন্য টেমপ্লেট ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
লেখক নাম পুনর্নির্ধারণ: কমা যুক্ত লেখকের নাম পুনর্নির্ধারণ করার সময় একটি ত্রুটি দেখা যেত তা সংশোধন করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ টেক্সট অনুসন্ধান: ক্যালিব্রি এখন ZIP এবং RAR আর্কাইভ ফাইলের ভেতরে থাকা টেক্সটকেও ইনডেক্স (অথবা তালিকাভুক্ত) করবে এবং আর সেই টেক্সটের মধ্যে সার্চও করা যাবে।
ই-বুক ভিউয়ার: টেবিল অব কনটেন্টসে বর্তমান এন্ট্রি ট্র্যাকিং ঠিক করা হয়েছে, যা কিছু বইয়ের জন্য কাজ করছিল না।
ক্যালিব্রি ট্যাগ: HTML থেকে মেটাডেটা পড়ার সময় ‘‘name=’subject’’মেটা ট্যাগগুলোকে ক্যালিব্রি ট্যাগ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
ই-বুক ভিউয়ার: ইন্টারাপ্ট সিগন্যালের সময় ভিউয়ার বন্ধ না হওয়া সংশোধন করা হয়েছে। অর্থাৎ যখন আপনি বই পড়ার সময় যদি কোনো কী প্রেস করেন বা কোনো ম্যানুয়াল ইন্টারঅ্যাকশন করেন, তবে ভিউয়ারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। তবে আগের সংস্করণে, কিছু সময় ভিউয়ারটি বন্ধ হতে পারত না বা সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া দিত না।
নতুন আপডেটের নিচের নিউজ সোর্সগুলো যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো—
তথ্যসূত্র: টেক স্পট

বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানা গেছে।
২৫ মিনিট আগে
চ্যাটজিপিটি যেন এখন মানুষের নিত্যদিনকার সঙ্গী। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানতে আমরা চ্যাটজিপিটির শরণাপন্ন হচ্ছি। এই নির্ভরতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন, আবার প্রযুক্তি উন্নতি হিসেবে একে বাহবা দিচ্ছে অনেকে।
২ ঘণ্টা আগে
জিমি ডোনাল্ডসন নামটা হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘মিস্টারবিস্ট’ আজ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এক আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা ও ভালোবাসার নাম। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার, দান, মানবিক উদ্যোগ আর বিশাল বাজেটের চ্যালেঞ্জিং ভিডিও—সব মিলিয়ে তিনি আজ ইউটিউবের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা
৩ ঘণ্টা আগে
ওপেনএআই সম্প্রতি চ্যাটজিপিটিতে যোগ করেছে অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন নামের নতুন এক ফিচার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সরাসরি তাদের প্রিয় অ্যাপগুলোর সঙ্গে চ্যাটজিপিটিকে যুক্ত করতে পারবে। ফলে এখন আলাদা করে কোনো অ্যাপে গিয়ে খোঁজাখুঁজি না করে চ্যাটজিপিটিকে বললেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো সে করে দেবে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির ১ কোটি ৫৫ লাখ কর্মীর মধ্যে এই সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও করপোরেট পর্যায়ে কর্মরত ৩ লাখ ৫০ হাজার কর্মীর প্রায় ১০ শতাংশ এর আওতায় পড়বেন। এটি হবে ২০২২ সালের পর আমাজনের সবচেয়ে বড় কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল।
এ বিষয়ে জানতে আমাজনের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
দুই বছর ধরে আমাজন ছোট ছোট ধাপে বিভিন্ন বিভাগে জনবল কমিয়ে আসছে, যার মধ্যে রয়েছে ডিভাইস, যোগাযোগ ও পডকাস্টিং বিভাগ। এবার যে বৃহৎ আকারের ছাঁটাই শুরু হচ্ছে, তা প্রভাব ফেলবে মানবসম্পদ, অপারেশনস, ডিভাইস ও সার্ভিসেস এবং আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস বিভাগে।
এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, গত সোমবার সংশ্লিষ্ট বিভাগের ব্যবস্থাপকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কীভাবে তাঁরা ছাঁটাই-সংক্রান্ত ই-মেইল পাওয়ার পর কর্মীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। আজ সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-মেইল পাঠানো শুরু হবে।
আমাজনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি কিছুদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক জটিলতা কমাতে কাজ করছেন। তিনি ব্যবস্থাপক পর্যায়ে কর্মীসংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি গোপনে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জমা দেওয়ার একটি ব্যবস্থা চালু করেছেন। জানা গেছে, এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০টি অভিযোগ এসেছে এবং ৪৫০টির বেশি বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত জুনে জ্যাসি বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ফলে ভবিষ্যতে আরও কর্মী ছাঁটাই হতে পারে। কারণ, এআই প্রযুক্তি অনেক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম।
ই-মার্কেট বিশ্লেষক স্কাই কানাভেস বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, আমাজন করপোরেট পর্যায়ে এআই-নির্ভর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত সাফল্য পেয়েছে, যার ফলে বড় আকারে জনবল কমানো সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়া এআই অবকাঠামো গড়ে তুলতে যে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তার খরচ পুষিয়ে নিতেও কোম্পানির ওপর চাপ রয়েছে।’
ছাঁটাইয়ের সঠিক পরিমাণ এখনো নির্ধারিত না হলেও ফরচুনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানবসম্পদ বিভাগে প্রায় ১৫ শতাংশ পদ বাদ পড়তে পারে।
আমাজন চলতি বছরের শুরুতে অফিসে কর্মীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছিল, যা প্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে কঠোর নীতি হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এই কঠোর নিয়মেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মীসংখ্যা কমেনি। তবে দূরবর্তী এলাকায় থাকা বা অফিসে নিয়মিত উপস্থিত না হওয়া অনেক কর্মীকে ক্ষতিপূরণ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
প্রযুক্তি খাতে চাকরি ছাঁটাই ট্র্যাক করা ওয়েবসাইট Layoffs.fyi-এর হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২১৬টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯৮ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার।

বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির ১ কোটি ৫৫ লাখ কর্মীর মধ্যে এই সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও করপোরেট পর্যায়ে কর্মরত ৩ লাখ ৫০ হাজার কর্মীর প্রায় ১০ শতাংশ এর আওতায় পড়বেন। এটি হবে ২০২২ সালের পর আমাজনের সবচেয়ে বড় কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল।
এ বিষয়ে জানতে আমাজনের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
দুই বছর ধরে আমাজন ছোট ছোট ধাপে বিভিন্ন বিভাগে জনবল কমিয়ে আসছে, যার মধ্যে রয়েছে ডিভাইস, যোগাযোগ ও পডকাস্টিং বিভাগ। এবার যে বৃহৎ আকারের ছাঁটাই শুরু হচ্ছে, তা প্রভাব ফেলবে মানবসম্পদ, অপারেশনস, ডিভাইস ও সার্ভিসেস এবং আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস বিভাগে।
এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, গত সোমবার সংশ্লিষ্ট বিভাগের ব্যবস্থাপকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কীভাবে তাঁরা ছাঁটাই-সংক্রান্ত ই-মেইল পাওয়ার পর কর্মীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। আজ সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-মেইল পাঠানো শুরু হবে।
আমাজনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি কিছুদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক জটিলতা কমাতে কাজ করছেন। তিনি ব্যবস্থাপক পর্যায়ে কর্মীসংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি গোপনে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জমা দেওয়ার একটি ব্যবস্থা চালু করেছেন। জানা গেছে, এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০টি অভিযোগ এসেছে এবং ৪৫০টির বেশি বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত জুনে জ্যাসি বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ফলে ভবিষ্যতে আরও কর্মী ছাঁটাই হতে পারে। কারণ, এআই প্রযুক্তি অনেক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম।
ই-মার্কেট বিশ্লেষক স্কাই কানাভেস বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, আমাজন করপোরেট পর্যায়ে এআই-নির্ভর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত সাফল্য পেয়েছে, যার ফলে বড় আকারে জনবল কমানো সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়া এআই অবকাঠামো গড়ে তুলতে যে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তার খরচ পুষিয়ে নিতেও কোম্পানির ওপর চাপ রয়েছে।’
ছাঁটাইয়ের সঠিক পরিমাণ এখনো নির্ধারিত না হলেও ফরচুনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানবসম্পদ বিভাগে প্রায় ১৫ শতাংশ পদ বাদ পড়তে পারে।
আমাজন চলতি বছরের শুরুতে অফিসে কর্মীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছিল, যা প্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে কঠোর নীতি হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এই কঠোর নিয়মেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মীসংখ্যা কমেনি। তবে দূরবর্তী এলাকায় থাকা বা অফিসে নিয়মিত উপস্থিত না হওয়া অনেক কর্মীকে ক্ষতিপূরণ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
প্রযুক্তি খাতে চাকরি ছাঁটাই ট্র্যাক করা ওয়েবসাইট Layoffs.fyi-এর হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২১৬টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯৮ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ই-বুক পড়া এবং সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য টুল হিসেবে সামনে এসেছে ‘ক্যালিব্রি’। এটি একটি মুক্ত ও ওপেন সোর্স ই-বুক লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, যা শুধু ই-বুক পড়ার সুবিধাই দেয় না, বরং এগুলোকে সুসংগঠিত করে, রূপান্তর করতে এবং বিভিন্ন
২২ মার্চ ২০২৫
চ্যাটজিপিটি যেন এখন মানুষের নিত্যদিনকার সঙ্গী। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানতে আমরা চ্যাটজিপিটির শরণাপন্ন হচ্ছি। এই নির্ভরতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন, আবার প্রযুক্তি উন্নতি হিসেবে একে বাহবা দিচ্ছে অনেকে।
২ ঘণ্টা আগে
জিমি ডোনাল্ডসন নামটা হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘মিস্টারবিস্ট’ আজ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এক আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা ও ভালোবাসার নাম। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার, দান, মানবিক উদ্যোগ আর বিশাল বাজেটের চ্যালেঞ্জিং ভিডিও—সব মিলিয়ে তিনি আজ ইউটিউবের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা
৩ ঘণ্টা আগে
ওপেনএআই সম্প্রতি চ্যাটজিপিটিতে যোগ করেছে অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন নামের নতুন এক ফিচার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সরাসরি তাদের প্রিয় অ্যাপগুলোর সঙ্গে চ্যাটজিপিটিকে যুক্ত করতে পারবে। ফলে এখন আলাদা করে কোনো অ্যাপে গিয়ে খোঁজাখুঁজি না করে চ্যাটজিপিটিকে বললেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো সে করে দেবে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চ্যাটজিপিটি যেন এখন মানুষের নিত্যদিনকার সঙ্গী। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানতে আমরা চ্যাটজিপিটির শরণাপন্ন হচ্ছি। এই নির্ভরতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন, আবার প্রযুক্তি উন্নতি হিসেবে একে বাহবা দিচ্ছে অনেকে। কিন্তু এবার চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই জানিয়েছে, প্রতিদিন তাদের এই এআই চ্যাটবটটির কাছে লাখো মানুষ ‘আত্মহত্যা’র ইচ্ছা প্রকাশ করছে।
গতকাল সোমবার এক ব্লগপোস্টে এ কথা জানায় ওপেনএআই। চ্যাটবটটি কীভাবে এসব সংবেদনশীল কথোপকথন পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে একটি আপডেটের অংশ হিসেবে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা কীভাবে ও কতটা বাড়িয়ে তুলতে পারে সে প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওপেনএআই।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রতি সপ্তাহে এক মিলিয়নেরও বেশি চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী এমন বার্তা পাঠান যেখানে ‘আত্মহত্যার পরিকল্পনা বা ইচ্ছার স্পষ্ট ইঙ্গিত’ পাওয়া যায়।
আত্মহত্যা-সংক্রান্ত চিন্তা ও সংশ্লিষ্ট যোগাযোগের পাশাপাশি, ওপেনএআই আরও জানিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে সক্রিয় ব্যবহারকারীদের প্রায় ০.০৭ শতাংশ—অর্থাৎ ৮০ কোটি সাপ্তাহিক ব্যবহারকারীর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার জন তাদের কথোপকথনে ‘মনোরোগজনিত বিভ্রম (psychosis) বা মানিয়াজনিত (mania) জরুরি মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার সম্ভাব্য লক্ষণ’ প্রদর্শন করেন।
তবে ওপেনএআই ব্লগপোস্টে সতর্ক করে জানায়, এ ধরনের কথোপকথন শনাক্ত বা পরিমাপ করা কঠিন। আর এটা কেবল একটি প্রাথমিক বিশ্লেষণ।
চ্যাটজিপিটির সঙ্গে সম্পর্কিত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার তথ্য প্রকাশ করার পর ওপেনএআই এখন বাড়তি নজরদারির মুখে পড়েছে। সম্প্রতি এক কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার পরিবারের মামলার পর এই নজরদারি আরও তীব্র হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই কিশোর আত্মহত্যার আগে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথোপকথন চালিয়েছিল।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ওপেনএআই-সহ এআই চ্যাটবট তৈরি করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি বিস্তৃত তদন্ত শুরু করেছে। এসব চ্যাটবট কীভাবে শিশু-কিশোরদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা খতিয়ে দেখছে এফটিসি।
ওপেনএআই তাদের পোস্টে দাবি করেছে, সাম্প্রতিক জিপিটি-৫ আপডেটে চ্যাটজিপিটির ‘অবাঞ্ছিত আচরণ’ কমেছে। নিজের ক্ষতি করা ও আত্মহত্যা-সংক্রান্ত ১ হাজারটিরও বেশি কথোপকথনের ভিত্তিতে করা এক মূল্যায়নে দেখা গেছে, ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা আরও উন্নত হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধের তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেয়নি ওপেনএআই।
কোম্পানির পোস্টে বলা হয়েছে, ‘নতুন জিপিটি-৫ (GPT-5) মডেল আমাদের কাঙ্ক্ষিত আচরণের সঙ্গে ৯১ শতাংশ সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে আগের মডেলে এই হার ছিল ৭৭ শতাংশ।’
ওপেনএআই জানিয়েছে, জিপিটি-৫ সংস্করণে সঙ্কটকালীন সহায়তা হটলাইনগুলোর অ্যাক্সেস বাড়ানো হয়েছে এবং দীর্ঘ সেশনের সময় ব্যবহারকারীদের বিরতি নেওয়ার জন্য স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে।
টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, মডেলটি আরও উন্নত করতে গত কয়েক মাসে গ্লোবাল ফিজিশিয়ান নেটওয়ার্কের ১৭০ জন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞকে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। মডেলের প্রতিক্রিয়াগুলোর নিরাপত্তা মূল্যায়ন করে মানসিক স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত প্রশ্নে চ্যাটবটের উত্তর তৈরি করতে সহায়তা করেছেন তাঁরা।
ওপেনএআই জানিয়েছে, এ কাজের অংশ হিসেবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞানীরা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জড়িত ১ হাজার ৮০০ টিরও বেশি মডেল প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করেছেন। নতুন জিপিটি-৫ চ্যাট মডেলের উত্তরগুলোর সঙ্গে আগের মডেলগুলোর তুলনা করেছেন।
এআই গবেষক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বহুদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন, চ্যাটবটগুলো প্রায়ই ব্যবহারকারীর সিদ্ধান্ত বা বিভ্রমকে ক্ষতিকর হোক বা না হোক, অন্ধভাবে সমর্থন করার প্রবণতা দেখায় যা ‘সাইকোফ্যান্সি’ (sycophancy) নামে পরিচিত।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, মানুষ যদি মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার জন্য এআই চ্যাটবটের ওপর নির্ভর করে, তাহলে তা ঝুঁকিপূর্ণ ও সংবেদনশীল ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করতে পারে।
ওপেনএআই এমনভাবে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছে যা থেকে মনে হয়, তাদের পণ্য ও ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে সরাসরি কোনো কারণগত সম্পর্ক নেই।
ওপেনএআই তাদের পোস্টে জানিয়েছে, ‘মানসিক স্বাস্থ্যজনিত উপসর্গ ও মানসিক চাপ মানবসমাজে সর্বজনীনভাবে বিদ্যমান এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ার অর্থ হলো চ্যাটজিপিটির কথোপকথনের একটি অংশে স্বাভাবিকভাবেই এসব পরিস্থিতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) স্যাম অল্টম্যান এক্স-এ দাবি করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে তাঁর কোম্পানি। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, ওপেনএআই শিগগিরই প্রাপ্তবয়স্কদের ইরোটিক কনটেন্ট (অশ্লীল নয়, যৌনধর্মী শিল্প ও গল্প) তৈরি করার অনুমতি দিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে।
অল্টম্যান পোস্টে বলেন, ‘আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে সতর্ক থাকতে চ্যাটজিপিটিকে বেশ সীমাবদ্ধভাবে তৈরি করেছিলাম। আমরা বুঝতে পারছি, এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না, তাদের জন্য এটি কম উপযোগী বা কম উপভোগ্য হয়ে পড়েছিল। তবে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম যে কাজটি ঠিকভাবে করা হচ্ছে। এখন যেহেতু আমরা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি এবং নতুন টুলস পেয়েছি, তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদভাবে এসব সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে পারব।’
গতকাল সোমবার এক ব্লগপোস্টে এ কথা জানায় ওপেনএআই। চ্যাটবটটি কীভাবে এসব সংবেদনশীল কথোপকথন পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে একটি আপডেটের অংশ হিসেবে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা কীভাবে ও কতটা বাড়িয়ে তুলতে পারে সে প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওপেনএআই।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) স্যাম অল্টম্যান এক্স-এ দাবি করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে তাঁর কোম্পানি। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, ওপেনএআই শিগগিরই প্রাপ্তবয়স্কদের ইরোটিক কনটেন্ট (অশ্লীল নয়, যৌনধর্মী শিল্প ও গল্প) তৈরি করার অনুমতি দিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে।
অল্টম্যান পোস্টে বলেন, ‘আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে সতর্ক থাকতে চ্যাটজিপিটিকে বেশ সীমাবদ্ধভাবে তৈরি করেছিলাম। আমরা বুঝতে পারছি, এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না, তাদের জন্য এটি কম উপযোগী বা কম উপভোগ্য হয়ে পড়েছিল। তবে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম যে কাজটি ঠিকভাবে করা হচ্ছে। এখন যেহেতু আমরা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি এবং নতুন টুলস পেয়েছি, তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদভাবে এসব সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে পারব।’

চ্যাটজিপিটি যেন এখন মানুষের নিত্যদিনকার সঙ্গী। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানতে আমরা চ্যাটজিপিটির শরণাপন্ন হচ্ছি। এই নির্ভরতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন, আবার প্রযুক্তি উন্নতি হিসেবে একে বাহবা দিচ্ছে অনেকে। কিন্তু এবার চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই জানিয়েছে, প্রতিদিন তাদের এই এআই চ্যাটবটটির কাছে লাখো মানুষ ‘আত্মহত্যা’র ইচ্ছা প্রকাশ করছে।
গতকাল সোমবার এক ব্লগপোস্টে এ কথা জানায় ওপেনএআই। চ্যাটবটটি কীভাবে এসব সংবেদনশীল কথোপকথন পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে একটি আপডেটের অংশ হিসেবে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা কীভাবে ও কতটা বাড়িয়ে তুলতে পারে সে প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওপেনএআই।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রতি সপ্তাহে এক মিলিয়নেরও বেশি চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী এমন বার্তা পাঠান যেখানে ‘আত্মহত্যার পরিকল্পনা বা ইচ্ছার স্পষ্ট ইঙ্গিত’ পাওয়া যায়।
আত্মহত্যা-সংক্রান্ত চিন্তা ও সংশ্লিষ্ট যোগাযোগের পাশাপাশি, ওপেনএআই আরও জানিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে সক্রিয় ব্যবহারকারীদের প্রায় ০.০৭ শতাংশ—অর্থাৎ ৮০ কোটি সাপ্তাহিক ব্যবহারকারীর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার জন তাদের কথোপকথনে ‘মনোরোগজনিত বিভ্রম (psychosis) বা মানিয়াজনিত (mania) জরুরি মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার সম্ভাব্য লক্ষণ’ প্রদর্শন করেন।
তবে ওপেনএআই ব্লগপোস্টে সতর্ক করে জানায়, এ ধরনের কথোপকথন শনাক্ত বা পরিমাপ করা কঠিন। আর এটা কেবল একটি প্রাথমিক বিশ্লেষণ।
চ্যাটজিপিটির সঙ্গে সম্পর্কিত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার তথ্য প্রকাশ করার পর ওপেনএআই এখন বাড়তি নজরদারির মুখে পড়েছে। সম্প্রতি এক কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার পরিবারের মামলার পর এই নজরদারি আরও তীব্র হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই কিশোর আত্মহত্যার আগে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথোপকথন চালিয়েছিল।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ওপেনএআই-সহ এআই চ্যাটবট তৈরি করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি বিস্তৃত তদন্ত শুরু করেছে। এসব চ্যাটবট কীভাবে শিশু-কিশোরদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা খতিয়ে দেখছে এফটিসি।
ওপেনএআই তাদের পোস্টে দাবি করেছে, সাম্প্রতিক জিপিটি-৫ আপডেটে চ্যাটজিপিটির ‘অবাঞ্ছিত আচরণ’ কমেছে। নিজের ক্ষতি করা ও আত্মহত্যা-সংক্রান্ত ১ হাজারটিরও বেশি কথোপকথনের ভিত্তিতে করা এক মূল্যায়নে দেখা গেছে, ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা আরও উন্নত হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধের তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেয়নি ওপেনএআই।
কোম্পানির পোস্টে বলা হয়েছে, ‘নতুন জিপিটি-৫ (GPT-5) মডেল আমাদের কাঙ্ক্ষিত আচরণের সঙ্গে ৯১ শতাংশ সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে আগের মডেলে এই হার ছিল ৭৭ শতাংশ।’
ওপেনএআই জানিয়েছে, জিপিটি-৫ সংস্করণে সঙ্কটকালীন সহায়তা হটলাইনগুলোর অ্যাক্সেস বাড়ানো হয়েছে এবং দীর্ঘ সেশনের সময় ব্যবহারকারীদের বিরতি নেওয়ার জন্য স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে।
টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, মডেলটি আরও উন্নত করতে গত কয়েক মাসে গ্লোবাল ফিজিশিয়ান নেটওয়ার্কের ১৭০ জন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞকে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। মডেলের প্রতিক্রিয়াগুলোর নিরাপত্তা মূল্যায়ন করে মানসিক স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত প্রশ্নে চ্যাটবটের উত্তর তৈরি করতে সহায়তা করেছেন তাঁরা।
ওপেনএআই জানিয়েছে, এ কাজের অংশ হিসেবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞানীরা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জড়িত ১ হাজার ৮০০ টিরও বেশি মডেল প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করেছেন। নতুন জিপিটি-৫ চ্যাট মডেলের উত্তরগুলোর সঙ্গে আগের মডেলগুলোর তুলনা করেছেন।
এআই গবেষক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বহুদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন, চ্যাটবটগুলো প্রায়ই ব্যবহারকারীর সিদ্ধান্ত বা বিভ্রমকে ক্ষতিকর হোক বা না হোক, অন্ধভাবে সমর্থন করার প্রবণতা দেখায় যা ‘সাইকোফ্যান্সি’ (sycophancy) নামে পরিচিত।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, মানুষ যদি মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার জন্য এআই চ্যাটবটের ওপর নির্ভর করে, তাহলে তা ঝুঁকিপূর্ণ ও সংবেদনশীল ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করতে পারে।
ওপেনএআই এমনভাবে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছে যা থেকে মনে হয়, তাদের পণ্য ও ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে সরাসরি কোনো কারণগত সম্পর্ক নেই।
ওপেনএআই তাদের পোস্টে জানিয়েছে, ‘মানসিক স্বাস্থ্যজনিত উপসর্গ ও মানসিক চাপ মানবসমাজে সর্বজনীনভাবে বিদ্যমান এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ার অর্থ হলো চ্যাটজিপিটির কথোপকথনের একটি অংশে স্বাভাবিকভাবেই এসব পরিস্থিতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) স্যাম অল্টম্যান এক্স-এ দাবি করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে তাঁর কোম্পানি। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, ওপেনএআই শিগগিরই প্রাপ্তবয়স্কদের ইরোটিক কনটেন্ট (অশ্লীল নয়, যৌনধর্মী শিল্প ও গল্প) তৈরি করার অনুমতি দিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে।
অল্টম্যান পোস্টে বলেন, ‘আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে সতর্ক থাকতে চ্যাটজিপিটিকে বেশ সীমাবদ্ধভাবে তৈরি করেছিলাম। আমরা বুঝতে পারছি, এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না, তাদের জন্য এটি কম উপযোগী বা কম উপভোগ্য হয়ে পড়েছিল। তবে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম যে কাজটি ঠিকভাবে করা হচ্ছে। এখন যেহেতু আমরা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি এবং নতুন টুলস পেয়েছি, তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদভাবে এসব সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে পারব।’
গতকাল সোমবার এক ব্লগপোস্টে এ কথা জানায় ওপেনএআই। চ্যাটবটটি কীভাবে এসব সংবেদনশীল কথোপকথন পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে একটি আপডেটের অংশ হিসেবে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা কীভাবে ও কতটা বাড়িয়ে তুলতে পারে সে প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওপেনএআই।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) স্যাম অল্টম্যান এক্স-এ দাবি করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে তাঁর কোম্পানি। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, ওপেনএআই শিগগিরই প্রাপ্তবয়স্কদের ইরোটিক কনটেন্ট (অশ্লীল নয়, যৌনধর্মী শিল্প ও গল্প) তৈরি করার অনুমতি দিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে।
অল্টম্যান পোস্টে বলেন, ‘আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে সতর্ক থাকতে চ্যাটজিপিটিকে বেশ সীমাবদ্ধভাবে তৈরি করেছিলাম। আমরা বুঝতে পারছি, এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না, তাদের জন্য এটি কম উপযোগী বা কম উপভোগ্য হয়ে পড়েছিল। তবে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম যে কাজটি ঠিকভাবে করা হচ্ছে। এখন যেহেতু আমরা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি এবং নতুন টুলস পেয়েছি, তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদভাবে এসব সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে পারব।’

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ই-বুক পড়া এবং সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য টুল হিসেবে সামনে এসেছে ‘ক্যালিব্রি’। এটি একটি মুক্ত ও ওপেন সোর্স ই-বুক লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, যা শুধু ই-বুক পড়ার সুবিধাই দেয় না, বরং এগুলোকে সুসংগঠিত করে, রূপান্তর করতে এবং বিভিন্ন
২২ মার্চ ২০২৫
বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানা গেছে।
২৫ মিনিট আগে
জিমি ডোনাল্ডসন নামটা হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘মিস্টারবিস্ট’ আজ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এক আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা ও ভালোবাসার নাম। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার, দান, মানবিক উদ্যোগ আর বিশাল বাজেটের চ্যালেঞ্জিং ভিডিও—সব মিলিয়ে তিনি আজ ইউটিউবের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা
৩ ঘণ্টা আগে
ওপেনএআই সম্প্রতি চ্যাটজিপিটিতে যোগ করেছে অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন নামের নতুন এক ফিচার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সরাসরি তাদের প্রিয় অ্যাপগুলোর সঙ্গে চ্যাটজিপিটিকে যুক্ত করতে পারবে। ফলে এখন আলাদা করে কোনো অ্যাপে গিয়ে খোঁজাখুঁজি না করে চ্যাটজিপিটিকে বললেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো সে করে দেবে।
৪ ঘণ্টা আগেফাহিম হাসনাত

জিমি ডোনাল্ডসন নামটা হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘মিস্টারবিস্ট’ আজ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এক আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা ও ভালোবাসার নাম। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার, দান, মানবিক উদ্যোগ আর বিশাল বাজেটের চ্যালেঞ্জিং ভিডিও—সব মিলিয়ে তিনি আজ ইউটিউবের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা।
শৈশব এবং বেড়ে ওঠা
১৯৯৮ সালের ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের উইচিটা শহরে জন্মগ্রহণ করেন ডোনাল্ডসন। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। মা সু ডোনাল্ডসন ছিলেন সেনাবাহিনীর সাবেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মায়ের চাকরির কারণে তাঁর পরিবারকে ঘন ঘন জায়গা বদল করতে হতো। ছোটবেলা থেকেই জিমির ছিল একগুঁয়ে স্বভাব। যে কাজে মন দিতেন, তাতেই সারাক্ষণ ডুবে থাকতেন।
শৈশবে লেগো খেলনা আর বেসবল ছিল তাঁর দুনিয়া। ১৩ বছর বয়সে এক পুরোনো ল্যাপটপে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করা শুরু করেন। ২০১২ সালে তৈরি করা সেই চ্যানেলের নাম দেন ‘মিস্টারবিস্ট ৬০০০’।
শিক্ষাজীবন থেকে ইউটিউব যাত্রা
প্রথম দিকে ‘লেটস প্লে’ ভিডিও বানাতেন। অর্থাৎ গেম খেলতে খেলতে নিজের মন্তব্যসহ ভিডিও প্রকাশ করতেন ডোনাল্ডসন। ২০১৬ সালে নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রিনভিল ক্রিশ্চিয়ান একাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ইস্ট ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন মায়ের ইচ্ছায়। কিন্তু ক্লাসের চেয়ে বেশি সময় কাটাতেন গাড়ির ভেতর ভিডিও বানিয়ে। কনটেন্ট তৈরি যাঁর স্বপ্ন, ক্লাসের চারদেয়ালে তিনি বন্দী থাকতে চাইবেন না, সেটা ছিল নির্ধারিত। তাই ইউটিউব ক্যারিয়ারে মন দেওয়ার জন্য মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন।
সে বছরের জুলাইয়ে তাঁর চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলে ১ লাখ। তখন থেকে তিনি ভিডিও থেকে আয়ের পথ খুঁজে পান। সেটিই ছিল ডোনাল্ডসনের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত।
ভাইরাল হওয়ার শুরু
২০১৭ সালে প্রকাশিত ‘আই কাউন্টেড টু ১০০,০০০’ ভিডিও দিয়ে প্রথম ভাইরাল হন মিস্টারবিস্ট। এর পর থেকে শুরু হয় অসাধারণ সাফল্যের যাত্রা। ইউটিউবে অন্য নির্মাতাদের আয় নিয়ে বিশ্লেষণ, বড় অঙ্কের চ্যালেঞ্জ ও পুরস্কার—সবকিছু মিলিয়ে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। একসময় তাঁর ভিডিওর ধরনই বদলে যায়। মানুষকে অবাক করা পুরস্কার, বিশাল চ্যালেঞ্জ আর মানবিক উদ্যোগে ভরপুর ভিডিও। অন্ধত্ব নিরাময়ে এক হাজার মানুষের চোখের অপারেশনের খরচ বহন করা, আফ্রিকার পানিশূন্য এলাকায় নলকূপ স্থাপন ইত্যাদি ভিডিও আলাদা উচ্চতায় নিয়ে যায় ডোনাল্ডসনকে।
২০২১ সালে ‘ফোর্বস ৩০ আন্ডার ৩০’ তালিকায় তিনি জায়গা করে নেন নিজের কাজ দিয়ে। ২০২৪ সালের মধ্যে তাঁর দান ও পুরস্কারের পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। কেউ চাকরি ছেড়ে দিলে দিচ্ছেন ১ লাখ ডলার, কেউ দরিদ্র হলে হাতে তুলে দিচ্ছেন নগদ অর্থভর্তি ব্যাগ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষকে সহযোগিতা করতে ভালো লাগে। তাঁদের মুখে আনন্দ দেখি, সেটাই আমার বড় পুরস্কার।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইউটিউব চ্যানেল
২০২৪ সালের জুলাই মাসে ইতিহাস সৃষ্টি করে মিস্টারবিস্ট। প্রথম ইউটিউবে ৩০০ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অতিক্রম করে তাঁর চ্যানেল। বর্তমানে ডোনাল্ডসনের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৪৪৭ মিলিয়ন বা ৪৪ দশমিক ৭ কোটি। এটি ইউটিউবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

টিকটক কেনার প্রস্তাব
এ বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার গুঞ্জন ছড়ায়। তখন ডোনাল্ডসন ঘোষণা দেন, তিনি নিজেই টিকটক কিনে ফেলবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে বলেন, ‘যদি টিকটক বন্ধ হয়, আমি এটি কিনব।’ তবে এই উদ্যোগের কোনো আনুষ্ঠানিক অগ্রগতি আর জানা যায়নি।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর শুধু নন, সফল উদ্যোক্তাও
২০২২ সালে মিস্টারবিস্ট প্রতিষ্ঠা করে ফিস্টেবলস ও মিস্টারবিস্ট বার্গার। ফিস্টেবলস উৎপাদন করে চকলেট বার। মিস্টারবিস্ট বার্গার একটি ভার্চুয়াল রেস্টুরেন্ট চেইন। যেখানে অনলাইন অর্ডার করলে স্থানীয় রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়। ২০২৩ সালে তিনি লগান পল ও কেএসআইয়ের সঙ্গে মিলে বাজারে আনেন লাঞ্চলি। এটি স্বাস্থ্যকর খাবারের প্যাকেজড কিট হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ২০২৪ সালে তিনি আমাজন প্রাইম ভিডিওর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেন ‘বিস্ট গেমস’ শিরোনামে এক বিশাল গেম শো। যেখানে প্রতিযোগীরা ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এটি আমাজন প্রাইমের সবচেয়ে বেশি দেখা আনস্ক্রিপটেড শো হয়ে ওঠে।
বিলিয়নিয়ার মিস্টারবিস্ট
মাত্র ২৬ বছর বয়সে ডোনাল্ডসন ২০২৪ সালের জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলিয়নিয়ারের তালিকায় যুক্ত হন। শুধু ইউটিউব এবং এসব ব্যবসা থেকে ২০২৪ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার। মজার বিষয় হলো, কাগজ-কলমে কোটিপতি হওয়া সত্ত্বেও তিনি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, তাঁর কাছে মাত্র প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার বা তার কম নগদ অর্থ আছে। কারণ, তিনি সব অর্থ পুনর্বিনিয়োগ করেন এবং সেখান থেকে সাধারণত কর্মীর মতোই মাসিক বেতন নেন।
আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সম্পদ জমা করে রাখার কোনো পরিকল্পনাই তাঁর নেই।
মিস্টারবিস্ট তথা ডোনাল্ডসন শুধু একজন ইউটিউবার নন, বর্তমান প্রজন্মের অনেক তরুণের আদর্শ। তাঁর ভিডিওগুলোতে বিনোদনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে মানবিকতা ও উদারতা। ভিডিওগুলোতে যেমন আছে প্রতিযোগিতা, উদ্দীপনা ও বিনোদন, তেমনি অনুপ্রেরণামূলক এক বার্তাও।
সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি, রোলিং স্টোন

জিমি ডোনাল্ডসন নামটা হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘মিস্টারবিস্ট’ আজ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এক আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা ও ভালোবাসার নাম। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার, দান, মানবিক উদ্যোগ আর বিশাল বাজেটের চ্যালেঞ্জিং ভিডিও—সব মিলিয়ে তিনি আজ ইউটিউবের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা।
শৈশব এবং বেড়ে ওঠা
১৯৯৮ সালের ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের উইচিটা শহরে জন্মগ্রহণ করেন ডোনাল্ডসন। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। মা সু ডোনাল্ডসন ছিলেন সেনাবাহিনীর সাবেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মায়ের চাকরির কারণে তাঁর পরিবারকে ঘন ঘন জায়গা বদল করতে হতো। ছোটবেলা থেকেই জিমির ছিল একগুঁয়ে স্বভাব। যে কাজে মন দিতেন, তাতেই সারাক্ষণ ডুবে থাকতেন।
শৈশবে লেগো খেলনা আর বেসবল ছিল তাঁর দুনিয়া। ১৩ বছর বয়সে এক পুরোনো ল্যাপটপে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করা শুরু করেন। ২০১২ সালে তৈরি করা সেই চ্যানেলের নাম দেন ‘মিস্টারবিস্ট ৬০০০’।
শিক্ষাজীবন থেকে ইউটিউব যাত্রা
প্রথম দিকে ‘লেটস প্লে’ ভিডিও বানাতেন। অর্থাৎ গেম খেলতে খেলতে নিজের মন্তব্যসহ ভিডিও প্রকাশ করতেন ডোনাল্ডসন। ২০১৬ সালে নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রিনভিল ক্রিশ্চিয়ান একাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ইস্ট ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন মায়ের ইচ্ছায়। কিন্তু ক্লাসের চেয়ে বেশি সময় কাটাতেন গাড়ির ভেতর ভিডিও বানিয়ে। কনটেন্ট তৈরি যাঁর স্বপ্ন, ক্লাসের চারদেয়ালে তিনি বন্দী থাকতে চাইবেন না, সেটা ছিল নির্ধারিত। তাই ইউটিউব ক্যারিয়ারে মন দেওয়ার জন্য মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন।
সে বছরের জুলাইয়ে তাঁর চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলে ১ লাখ। তখন থেকে তিনি ভিডিও থেকে আয়ের পথ খুঁজে পান। সেটিই ছিল ডোনাল্ডসনের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত।
ভাইরাল হওয়ার শুরু
২০১৭ সালে প্রকাশিত ‘আই কাউন্টেড টু ১০০,০০০’ ভিডিও দিয়ে প্রথম ভাইরাল হন মিস্টারবিস্ট। এর পর থেকে শুরু হয় অসাধারণ সাফল্যের যাত্রা। ইউটিউবে অন্য নির্মাতাদের আয় নিয়ে বিশ্লেষণ, বড় অঙ্কের চ্যালেঞ্জ ও পুরস্কার—সবকিছু মিলিয়ে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। একসময় তাঁর ভিডিওর ধরনই বদলে যায়। মানুষকে অবাক করা পুরস্কার, বিশাল চ্যালেঞ্জ আর মানবিক উদ্যোগে ভরপুর ভিডিও। অন্ধত্ব নিরাময়ে এক হাজার মানুষের চোখের অপারেশনের খরচ বহন করা, আফ্রিকার পানিশূন্য এলাকায় নলকূপ স্থাপন ইত্যাদি ভিডিও আলাদা উচ্চতায় নিয়ে যায় ডোনাল্ডসনকে।
২০২১ সালে ‘ফোর্বস ৩০ আন্ডার ৩০’ তালিকায় তিনি জায়গা করে নেন নিজের কাজ দিয়ে। ২০২৪ সালের মধ্যে তাঁর দান ও পুরস্কারের পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। কেউ চাকরি ছেড়ে দিলে দিচ্ছেন ১ লাখ ডলার, কেউ দরিদ্র হলে হাতে তুলে দিচ্ছেন নগদ অর্থভর্তি ব্যাগ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষকে সহযোগিতা করতে ভালো লাগে। তাঁদের মুখে আনন্দ দেখি, সেটাই আমার বড় পুরস্কার।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইউটিউব চ্যানেল
২০২৪ সালের জুলাই মাসে ইতিহাস সৃষ্টি করে মিস্টারবিস্ট। প্রথম ইউটিউবে ৩০০ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অতিক্রম করে তাঁর চ্যানেল। বর্তমানে ডোনাল্ডসনের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৪৪৭ মিলিয়ন বা ৪৪ দশমিক ৭ কোটি। এটি ইউটিউবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

টিকটক কেনার প্রস্তাব
এ বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার গুঞ্জন ছড়ায়। তখন ডোনাল্ডসন ঘোষণা দেন, তিনি নিজেই টিকটক কিনে ফেলবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে বলেন, ‘যদি টিকটক বন্ধ হয়, আমি এটি কিনব।’ তবে এই উদ্যোগের কোনো আনুষ্ঠানিক অগ্রগতি আর জানা যায়নি।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর শুধু নন, সফল উদ্যোক্তাও
২০২২ সালে মিস্টারবিস্ট প্রতিষ্ঠা করে ফিস্টেবলস ও মিস্টারবিস্ট বার্গার। ফিস্টেবলস উৎপাদন করে চকলেট বার। মিস্টারবিস্ট বার্গার একটি ভার্চুয়াল রেস্টুরেন্ট চেইন। যেখানে অনলাইন অর্ডার করলে স্থানীয় রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়। ২০২৩ সালে তিনি লগান পল ও কেএসআইয়ের সঙ্গে মিলে বাজারে আনেন লাঞ্চলি। এটি স্বাস্থ্যকর খাবারের প্যাকেজড কিট হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ২০২৪ সালে তিনি আমাজন প্রাইম ভিডিওর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেন ‘বিস্ট গেমস’ শিরোনামে এক বিশাল গেম শো। যেখানে প্রতিযোগীরা ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এটি আমাজন প্রাইমের সবচেয়ে বেশি দেখা আনস্ক্রিপটেড শো হয়ে ওঠে।
বিলিয়নিয়ার মিস্টারবিস্ট
মাত্র ২৬ বছর বয়সে ডোনাল্ডসন ২০২৪ সালের জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলিয়নিয়ারের তালিকায় যুক্ত হন। শুধু ইউটিউব এবং এসব ব্যবসা থেকে ২০২৪ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার। মজার বিষয় হলো, কাগজ-কলমে কোটিপতি হওয়া সত্ত্বেও তিনি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, তাঁর কাছে মাত্র প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার বা তার কম নগদ অর্থ আছে। কারণ, তিনি সব অর্থ পুনর্বিনিয়োগ করেন এবং সেখান থেকে সাধারণত কর্মীর মতোই মাসিক বেতন নেন।
আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সম্পদ জমা করে রাখার কোনো পরিকল্পনাই তাঁর নেই।
মিস্টারবিস্ট তথা ডোনাল্ডসন শুধু একজন ইউটিউবার নন, বর্তমান প্রজন্মের অনেক তরুণের আদর্শ। তাঁর ভিডিওগুলোতে বিনোদনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে মানবিকতা ও উদারতা। ভিডিওগুলোতে যেমন আছে প্রতিযোগিতা, উদ্দীপনা ও বিনোদন, তেমনি অনুপ্রেরণামূলক এক বার্তাও।
সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি, রোলিং স্টোন

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ই-বুক পড়া এবং সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য টুল হিসেবে সামনে এসেছে ‘ক্যালিব্রি’। এটি একটি মুক্ত ও ওপেন সোর্স ই-বুক লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, যা শুধু ই-বুক পড়ার সুবিধাই দেয় না, বরং এগুলোকে সুসংগঠিত করে, রূপান্তর করতে এবং বিভিন্ন
২২ মার্চ ২০২৫
বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানা গেছে।
২৫ মিনিট আগে
চ্যাটজিপিটি যেন এখন মানুষের নিত্যদিনকার সঙ্গী। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানতে আমরা চ্যাটজিপিটির শরণাপন্ন হচ্ছি। এই নির্ভরতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন, আবার প্রযুক্তি উন্নতি হিসেবে একে বাহবা দিচ্ছে অনেকে।
২ ঘণ্টা আগে
ওপেনএআই সম্প্রতি চ্যাটজিপিটিতে যোগ করেছে অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন নামের নতুন এক ফিচার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সরাসরি তাদের প্রিয় অ্যাপগুলোর সঙ্গে চ্যাটজিপিটিকে যুক্ত করতে পারবে। ফলে এখন আলাদা করে কোনো অ্যাপে গিয়ে খোঁজাখুঁজি না করে চ্যাটজিপিটিকে বললেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো সে করে দেবে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি ডেস্ক

ওপেনএআই সম্প্রতি চ্যাটজিপিটিতে যোগ করেছে অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন নামের নতুন এক ফিচার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সরাসরি তাদের প্রিয় অ্যাপগুলোর সঙ্গে চ্যাটজিপিটিকে যুক্ত করতে পারবে। ফলে এখন আলাদা করে কোনো অ্যাপে গিয়ে খোঁজাখুঁজি না করে চ্যাটজিপিটিকে বললেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো সে করে দেবে।
যেমন স্পটিফাই অ্যাকাউন্ট যুক্ত করে চ্যাটজিপিটিকে পছন্দের গানের তালিকা তৈরি করতে বললে সে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই প্লেলিস্ট তৈরি করে সরাসরি আপনার স্পটিফাই অ্যাপে যোগ করে দেবে।
কীভাবে কাজ করে
এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে অন্যান্য অ্যাপ অ্যাকাউন্টগুলো সরাসরি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে যুক্ত করা যাবে—
তবে মনে রাখতে হবে, কোনো অ্যাপ যুক্ত করা মানে আপনি চ্যাটজিপিটিকে সেই অ্যাপের কিছু ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন। যেমন স্পটিফাই কানেক্ট করলে আপনার প্লেলিস্ট এবং শোনা গানের ইতিহাস চ্যাটজিপিটির কাছে থাকবে। তাই প্রতিটি অ্যাপ যুক্ত করার আগে শর্তগুলো ভালোভাবে পড়ে নেওয়া জরুরি।
ডিজাইনারদের জন্য ক্যানভা ও ফিগমা
যাঁরা গ্রাফিক ডিজাইন কিংবা প্রেজেন্টেশন তৈরির কাজ করেন, তাঁদের জন্য এই ফিচার সময় বাঁচানোর দারুণ উপায়। ক্যানভা ইন্টিগ্রেশন যুক্ত করে নির্দেশনা দিলে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে ক্যানভা ডিজাইন তৈরি করে দেবে। আপনি চাইলে নির্দিষ্ট রং, ফন্ট অথবা থিমও নির্ধারণ করতে পারবেন।
অন্যদিকে, ফিগমা ইন্টিগ্রেশন দিয়ে তৈরি করা যায় প্রোডাক্ট রোডম্যাপ, ডায়াগ্রাম অথবা ফ্লোচার্ট।
ভ্রমণ পরিকল্পনায় বুকিং ডটকম ও এক্সপিডিয়া
চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে এখন ভ্রমণ পরিকল্পনা আরও সহজে করা যাবে। বুকিং ডটকম বা এক্সপিডিয়া অ্যাকাউন্ট যুক্ত করে নিজের ভ্রমণ পরিকল্পনার পরামর্শ চাইলে হোটেল, ফ্লাইট বা রুম—সবকিছু সাজিয়ে আপনাকে পরামর্শ দেবে চ্যাটজিপিটি। এটি এখন বুকিং প্রক্রিয়া সহজ করে তুলেছে।
পড়াশোনায় সাহায্য করবে
যাঁরা অনলাইনে নতুন কিছু শেখার সুযোগ খোঁজেন, তাঁদের জন্য আছে কোর্সেরা ইন্টিগ্রেশন। ধরুন, আপনি ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের কম্পিউটার কোর্স খুঁজছেন। কমান্ড করলেই সেই কোর্সগুলোর রেটিং, সময়কাল, খরচ ও বিষয়বস্তু তুলনা করে দেখাবে চ্যাটজিপিটি। কোন কোর্সে কী শেখানো হবে, তা-ও সংক্ষেপে জানিয়ে দেবে।
চ্যাটজিপিটির এই নতুন অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন ফিচার ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল জীবনকে আরও সহজ ও স্বয়ংক্রিয় করে তুলবে। গান শোনা, ডিজাইন করা, ভ্রমণ পরিকল্পনা কিংবা অনলাইন কোর্স খোঁজা—সব কাজ এখন এক জায়গা থেকে করা সম্ভব। এতে সময় বাঁচে, কাজের প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং ব্যবহারকারীরা স্বস্তি পায়।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

ওপেনএআই সম্প্রতি চ্যাটজিপিটিতে যোগ করেছে অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন নামের নতুন এক ফিচার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সরাসরি তাদের প্রিয় অ্যাপগুলোর সঙ্গে চ্যাটজিপিটিকে যুক্ত করতে পারবে। ফলে এখন আলাদা করে কোনো অ্যাপে গিয়ে খোঁজাখুঁজি না করে চ্যাটজিপিটিকে বললেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো সে করে দেবে।
যেমন স্পটিফাই অ্যাকাউন্ট যুক্ত করে চ্যাটজিপিটিকে পছন্দের গানের তালিকা তৈরি করতে বললে সে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই প্লেলিস্ট তৈরি করে সরাসরি আপনার স্পটিফাই অ্যাপে যোগ করে দেবে।
কীভাবে কাজ করে
এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে অন্যান্য অ্যাপ অ্যাকাউন্টগুলো সরাসরি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে যুক্ত করা যাবে—
তবে মনে রাখতে হবে, কোনো অ্যাপ যুক্ত করা মানে আপনি চ্যাটজিপিটিকে সেই অ্যাপের কিছু ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন। যেমন স্পটিফাই কানেক্ট করলে আপনার প্লেলিস্ট এবং শোনা গানের ইতিহাস চ্যাটজিপিটির কাছে থাকবে। তাই প্রতিটি অ্যাপ যুক্ত করার আগে শর্তগুলো ভালোভাবে পড়ে নেওয়া জরুরি।
ডিজাইনারদের জন্য ক্যানভা ও ফিগমা
যাঁরা গ্রাফিক ডিজাইন কিংবা প্রেজেন্টেশন তৈরির কাজ করেন, তাঁদের জন্য এই ফিচার সময় বাঁচানোর দারুণ উপায়। ক্যানভা ইন্টিগ্রেশন যুক্ত করে নির্দেশনা দিলে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে ক্যানভা ডিজাইন তৈরি করে দেবে। আপনি চাইলে নির্দিষ্ট রং, ফন্ট অথবা থিমও নির্ধারণ করতে পারবেন।
অন্যদিকে, ফিগমা ইন্টিগ্রেশন দিয়ে তৈরি করা যায় প্রোডাক্ট রোডম্যাপ, ডায়াগ্রাম অথবা ফ্লোচার্ট।
ভ্রমণ পরিকল্পনায় বুকিং ডটকম ও এক্সপিডিয়া
চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে এখন ভ্রমণ পরিকল্পনা আরও সহজে করা যাবে। বুকিং ডটকম বা এক্সপিডিয়া অ্যাকাউন্ট যুক্ত করে নিজের ভ্রমণ পরিকল্পনার পরামর্শ চাইলে হোটেল, ফ্লাইট বা রুম—সবকিছু সাজিয়ে আপনাকে পরামর্শ দেবে চ্যাটজিপিটি। এটি এখন বুকিং প্রক্রিয়া সহজ করে তুলেছে।
পড়াশোনায় সাহায্য করবে
যাঁরা অনলাইনে নতুন কিছু শেখার সুযোগ খোঁজেন, তাঁদের জন্য আছে কোর্সেরা ইন্টিগ্রেশন। ধরুন, আপনি ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের কম্পিউটার কোর্স খুঁজছেন। কমান্ড করলেই সেই কোর্সগুলোর রেটিং, সময়কাল, খরচ ও বিষয়বস্তু তুলনা করে দেখাবে চ্যাটজিপিটি। কোন কোর্সে কী শেখানো হবে, তা-ও সংক্ষেপে জানিয়ে দেবে।
চ্যাটজিপিটির এই নতুন অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন ফিচার ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল জীবনকে আরও সহজ ও স্বয়ংক্রিয় করে তুলবে। গান শোনা, ডিজাইন করা, ভ্রমণ পরিকল্পনা কিংবা অনলাইন কোর্স খোঁজা—সব কাজ এখন এক জায়গা থেকে করা সম্ভব। এতে সময় বাঁচে, কাজের প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং ব্যবহারকারীরা স্বস্তি পায়।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ই-বুক পড়া এবং সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য টুল হিসেবে সামনে এসেছে ‘ক্যালিব্রি’। এটি একটি মুক্ত ও ওপেন সোর্স ই-বুক লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, যা শুধু ই-বুক পড়ার সুবিধাই দেয় না, বরং এগুলোকে সুসংগঠিত করে, রূপান্তর করতে এবং বিভিন্ন
২২ মার্চ ২০২৫
বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানা গেছে।
২৫ মিনিট আগে
চ্যাটজিপিটি যেন এখন মানুষের নিত্যদিনকার সঙ্গী। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানতে আমরা চ্যাটজিপিটির শরণাপন্ন হচ্ছি। এই নির্ভরতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন, আবার প্রযুক্তি উন্নতি হিসেবে একে বাহবা দিচ্ছে অনেকে।
২ ঘণ্টা আগে
জিমি ডোনাল্ডসন নামটা হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘মিস্টারবিস্ট’ আজ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এক আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা ও ভালোবাসার নাম। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার, দান, মানবিক উদ্যোগ আর বিশাল বাজেটের চ্যালেঞ্জিং ভিডিও—সব মিলিয়ে তিনি আজ ইউটিউবের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা
৩ ঘণ্টা আগে