Ajker Patrika

বছরে অন্তত একবার সবার ফেসবুক বন্ধুতালিকা মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন জাকারবার্গ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৬: ০১
ফেসবুকের সাংস্কৃতিক গুরুত্ব দ্রুত কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলেন মার্ক জাকারবার্গ।  ছবি: দ্য ভার্জ
ফেসবুকের সাংস্কৃতিক গুরুত্ব দ্রুত কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: দ্য ভার্জ

সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে প্রযুক্তি বিশ্বে একসময় একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ফেসবুকের। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রাসঙ্গিকতা কমছে বলেই মনে করছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। তবে ২০২২ সালে ফেসবুকের ব্যবহার বাড়াতে তিনি এক ‘উদ্ভট’ ধারণা দিয়েছিলেন—সবার বন্ধুতালিকা মুছে ফেলা!

২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) মেটার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। এফটিসির অভিযোগ হলো, ইনস্টাগ্রাম (২০১২) ও হোয়াটসঅ্যাপ (২০১৪) কেনার মাধ্যমে মেটা বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে, যা প্রতিযোগিতা আইনের লঙ্ঘন। এ মামলায় মেটাকে বিভক্ত করে কোনো একটি অ্যাপ আলাদা করে দেওয়ার দাবি জানায় এফটিসি। এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে ফেসবুকের বন্ধতালিকা মুছে ফেলার বিষয়টি উঠে আসে।

আদালতে উপস্থাপিত এক অভ্যন্তরীণ ই–মেইলে দেখা যায়, ফেসবুকের সাংস্কৃতিক গুরুত্ব দ্রুত কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলেন জাকারবার্গ। এ অবস্থায় তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সবার গ্রাফ (বন্ধুতালিকা) মুছে ফেলা যায় কি না, তা বিবেচনা করা উচিত—হয়তো বছরে একবার করে।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সময় জাকারবার্গ বলেন, ফেসবুক ব্যর্থ হলে মেটার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে। তিনি ধাপে ধাপে পরীক্ষামূলকভাবে কাজটি শুরুর কথাও বলেন—প্রথমে কোনো ছোট দেশে এই ব্যবস্থা চালু করে দেখা যেতে পারে, যাতে ব্যবহারকারীরা ব্যাপকভাবে প্ল্যাটফর্ম ছাড়লে ক্ষতি কিছুটা কম হয়।

জাকারবার্গ আরও জানতে চান, প্রোফাইলগুলোকে ‘ফলো’ভিত্তিক মডেলে রূপান্তর করতে কতটা কার্যকর হবে।

গত সোমবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেন, মেটার ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ব্যবহারকারী থাকার অন্যতম কারণ হলো—উপযুক্ত বিকল্পের অভাব।

ফেসবুকের পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে জাকারবার্গ স্বীকার করেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ‘আগ্রহভিত্তিক’ বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, বন্ধুবান্ধবের সংযোগ কিছুটা কমে গেছে।

জাকারবার্গ আরও বলেন, ‘মানুষ এখন অনেক গ্রুপ ও অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে যুক্ত, বন্ধুত্বের দিকটা কমেছে ঠিকই, তবে এখনো আমরা এটিকে গুরুত্ব দিই।’

একসময়ের ফেসবুক ফিড যেখানে ছিল পরিচিত মানুষের পোস্টে ভরপুর, এখন তা রূপ নিয়েছে বিভিন্ন গ্রুপ, বিজ্ঞাপনভিত্তিক কনটেন্ট ও রিকমেন্ডেশনভিত্তিক এক বিনোদন প্ল্যাটফর্মে। জাকারবার্গের ভাষায়, ফিড এখন অনেকটা নতুন কিছু আবিষ্কার ও বিনোদনের জায়গায় পরিণত হয়েছে।

তবে এফটিসির এক আইনজীবী আদালতে বিষয়টি উল্লেখ করলে জাকারবার্গ জানান, ‘আমার জানামতে, সেটা (বন্ধুতালিকা মুছে ফেলা) শেষ পর্যন্ত করিনি।’

বর্তমানে মেটা ভিন্ন পথে হেঁটেছে। সম্প্রতি তারা ফেসবুকে বন্ধুবান্ধবের জন্য একটি নতুন ট্যাব চালু করেছে, যেখানে অ্যালগরিদমভিত্তিক কনটেন্ট দেখানো হয় না। চলতি বছরের শুরুতে জাকারবার্গ বলেন, ২০২৫ সালে তাদের বড় একটি লক্ষ্য হলো, ‘পুরোনো দিনের ফেসবুকে’ ফিরে যাওয়া।

তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’, বিস্ফোরক ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

পারদর্শী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, স্থিতিশীল হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক: ভারতীয় বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত