ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনের প্রায় সব ধরনের ডিজিটাল কাজ খুব সহজেই উইন্ডোজ সমর্থিত কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায়। নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজেশনের সুযোগ উইন্ডোজ কম্পিউটারে পাওয়া যায়। এতে প্রয়োজনীয় ড্রাইভারগুলো আগে থেকেই ইনস্টল থাকে তাই নতুন কোনো টুল ব্যবহারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ড্রাইভার ইনস্টল করতে হয় না। তবে উইন্ডোজ ১১–এ নতুন বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ফিচার যুক্ত করে ইন্টারফেসটিকে অগোছালো করে তুলেছে মাইক্রোসফট। এসব ফিচার সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য অতটা প্রয়োজনীয় নয়। তাই এসব ফিচার বারবার স্ক্রিনের সামনে এসে গ্রাহকদের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারের একটি বিরক্তিকর দিক হলো—স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করলে তা স্ক্রিনের প্রায় এক–তৃতীয়াংশ জায়গা দখল করে। স্টার্ট মেনু চালু হলে সাধারণ ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন নেই এমন খবর দিয়ে স্ক্রিনটি ভরে যায়। যেমন: শেয়ারের দাম। সবার কাছে এই তথ্যের সমান গুরুত্ব নেই। এ ছাড়া অনেকগুলো পিন করা অ্যাপ দেখা যায় যা আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকে।
এ ছাড়া কম্পিউটারের ভেতরে বিভিন্ন ফাইল বা প্রোগ্রাম সার্চ করার পদ্ধতিটিও বিরক্তিকর। কারণ উইন্ডোজে টাইপ করে কোনো কিছু টাইপ করলে এটি প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো খুঁজে দেওয়ার পরিবর্তে ওয়েবসাইটে থেকে বিভিন্ন ফলাফল সামনে তুলে আনে। এই সার্চ ফলাফল অপ্রয়োজনীয়। কারণ বিং ব্রাউজার ব্যবহার করে এসব ফলাফল দেখানো হয়। কোনো কিছু ব্রাউজারে সার্চ করার প্রয়োজন হলে ব্যবহারকারীরা নিজেই ব্রাউজার খুলে সার্চ করতে পারে। তাই এই ফিচারের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এটি উইন্ডোজের ইন্টারফেসকে অগোছালো করে তুলে।
একসময় ক্রোম ব্রাউজারের চেয়েও উন্নত ব্রাউজার ছিল মাইক্রোসফট এজ। এখন এর সঙ্গে বিভিন্ন সাইডবার ও অপ্রয়োজনীয় টুল যুক্ত করা হয়েছে। ব্রাউজারটিতে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে বিংকে নির্বাচন করার জন্য বারবার নোটিফিকেশন পাঠানো হয়। মাইক্রোসফটের এজের হোমস্ক্রিনজুড়ে অপ্রয়োজনীয় খবর, টুল ও উইজেটস দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ ফিচারই সাধারণ ব্যবহারকারীদের কোনো কাজে আসে না।
উইন্ডোজ অত্যন্ত সফল একটি অপারেটিং সিস্টেম। এর মাধ্যমে কোম্পানি অনেক লাভ করে। ডেস্কটপ বাজারের প্রায় ৭০ শতাংশই উইন্ডোজের অধীনে রয়েছে। তবে গুগল সার্চ ও ক্রোম ব্রাউজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজার ও বিং সার্চ ইঞ্জিন। তাই উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের এজ বা বিং ব্যবহারের উৎসাহ দিতে ও অভ্যাস গড়ে তুলতে মাইক্রোসফট তার সব সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে। এ জন্য উইন্ডোজ কম্পিউটার সার্চ করলে বিংয়ের সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল তুলে ধরছে ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে এজ ব্রাউজার চালু হচ্ছে।
এই ধরনের কৌশল শুধু মাইক্রোসফটই ব্যবহার করে না। প্রায় সব ধরনের অ্যাপই দিনে বেশ কয়েকবার ব্যবহারকারীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায়। সাশ্রয়ী বিভিন্ন ফোনে ও উইন্ডোজ কম্পিউটারে বিভিন্ন টুল, অ্যাপ ও এডওয়্যার (বিজ্ঞাপন) আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকে। ফোন ও কম্পিউটার প্রস্তুতকারকদের এসব বিজ্ঞাপন ও অ্যাপ যুক্ত করার অর্থ প্রদান করে থাকে বিভিন্ন কোম্পানি।
তবে উইন্ডোজ ১১ এর আপডেটের আগে এগুলো এতটা জোরালো ছিল না। স্যামসাং ও অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। ম্যাক, আইফোনের ইন্টারফেস সাধারণ ও পরিপাটি হওয়ায় অ্যাপলের অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। আবার পিক্সেল ফোনও ধীরে ধীরে একই কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ
ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনের প্রায় সব ধরনের ডিজিটাল কাজ খুব সহজেই উইন্ডোজ সমর্থিত কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায়। নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজেশনের সুযোগ উইন্ডোজ কম্পিউটারে পাওয়া যায়। এতে প্রয়োজনীয় ড্রাইভারগুলো আগে থেকেই ইনস্টল থাকে তাই নতুন কোনো টুল ব্যবহারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ড্রাইভার ইনস্টল করতে হয় না। তবে উইন্ডোজ ১১–এ নতুন বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ফিচার যুক্ত করে ইন্টারফেসটিকে অগোছালো করে তুলেছে মাইক্রোসফট। এসব ফিচার সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য অতটা প্রয়োজনীয় নয়। তাই এসব ফিচার বারবার স্ক্রিনের সামনে এসে গ্রাহকদের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারের একটি বিরক্তিকর দিক হলো—স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করলে তা স্ক্রিনের প্রায় এক–তৃতীয়াংশ জায়গা দখল করে। স্টার্ট মেনু চালু হলে সাধারণ ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন নেই এমন খবর দিয়ে স্ক্রিনটি ভরে যায়। যেমন: শেয়ারের দাম। সবার কাছে এই তথ্যের সমান গুরুত্ব নেই। এ ছাড়া অনেকগুলো পিন করা অ্যাপ দেখা যায় যা আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকে।
এ ছাড়া কম্পিউটারের ভেতরে বিভিন্ন ফাইল বা প্রোগ্রাম সার্চ করার পদ্ধতিটিও বিরক্তিকর। কারণ উইন্ডোজে টাইপ করে কোনো কিছু টাইপ করলে এটি প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো খুঁজে দেওয়ার পরিবর্তে ওয়েবসাইটে থেকে বিভিন্ন ফলাফল সামনে তুলে আনে। এই সার্চ ফলাফল অপ্রয়োজনীয়। কারণ বিং ব্রাউজার ব্যবহার করে এসব ফলাফল দেখানো হয়। কোনো কিছু ব্রাউজারে সার্চ করার প্রয়োজন হলে ব্যবহারকারীরা নিজেই ব্রাউজার খুলে সার্চ করতে পারে। তাই এই ফিচারের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এটি উইন্ডোজের ইন্টারফেসকে অগোছালো করে তুলে।
একসময় ক্রোম ব্রাউজারের চেয়েও উন্নত ব্রাউজার ছিল মাইক্রোসফট এজ। এখন এর সঙ্গে বিভিন্ন সাইডবার ও অপ্রয়োজনীয় টুল যুক্ত করা হয়েছে। ব্রাউজারটিতে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে বিংকে নির্বাচন করার জন্য বারবার নোটিফিকেশন পাঠানো হয়। মাইক্রোসফটের এজের হোমস্ক্রিনজুড়ে অপ্রয়োজনীয় খবর, টুল ও উইজেটস দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ ফিচারই সাধারণ ব্যবহারকারীদের কোনো কাজে আসে না।
উইন্ডোজ অত্যন্ত সফল একটি অপারেটিং সিস্টেম। এর মাধ্যমে কোম্পানি অনেক লাভ করে। ডেস্কটপ বাজারের প্রায় ৭০ শতাংশই উইন্ডোজের অধীনে রয়েছে। তবে গুগল সার্চ ও ক্রোম ব্রাউজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজার ও বিং সার্চ ইঞ্জিন। তাই উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের এজ বা বিং ব্যবহারের উৎসাহ দিতে ও অভ্যাস গড়ে তুলতে মাইক্রোসফট তার সব সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে। এ জন্য উইন্ডোজ কম্পিউটার সার্চ করলে বিংয়ের সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল তুলে ধরছে ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে এজ ব্রাউজার চালু হচ্ছে।
এই ধরনের কৌশল শুধু মাইক্রোসফটই ব্যবহার করে না। প্রায় সব ধরনের অ্যাপই দিনে বেশ কয়েকবার ব্যবহারকারীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায়। সাশ্রয়ী বিভিন্ন ফোনে ও উইন্ডোজ কম্পিউটারে বিভিন্ন টুল, অ্যাপ ও এডওয়্যার (বিজ্ঞাপন) আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকে। ফোন ও কম্পিউটার প্রস্তুতকারকদের এসব বিজ্ঞাপন ও অ্যাপ যুক্ত করার অর্থ প্রদান করে থাকে বিভিন্ন কোম্পানি।
তবে উইন্ডোজ ১১ এর আপডেটের আগে এগুলো এতটা জোরালো ছিল না। স্যামসাং ও অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। ম্যাক, আইফোনের ইন্টারফেস সাধারণ ও পরিপাটি হওয়ায় অ্যাপলের অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। আবার পিক্সেল ফোনও ধীরে ধীরে একই কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ
বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি কোম্পানি মেটা তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। শুধু প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই নয়, বরং সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদেরও মূল্যায়ন করবে এআই। মার্কিন অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার–এর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
১০ ঘণ্টা আগেফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার বিরুদ্ধে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির করার অভিযোগ আনা হয়েছে। কোম্পানিটি একটি নতুন ট্র্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যা ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের মতো নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অনলাইনে ট্র্যাক করে। র্যাডবাউড ইউনিভার্সিটি এবং আইএমডিইএ নেটওয়ার্কসের এক
১২ ঘণ্টা আগেআমরা প্রতিদিন অসংখ্য ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লাইক দিয়ে থাকি। তবে পরে চাইলে সেই লাইক দেওয়া পোস্টগুলো খুঁজে পাওয়া সহজ না। প্রিয় কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্যভিত্তিক কনটেন্ট আবার দেখতে চাইলে অনেক সময় খুঁজে পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে ভালো খবর হলো, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের জন্য এমন একটি ফিচার রয়েছে
১৬ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) কাজে লাগিয়ে তাদের ডেলিভারি এবং গুদাম ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে আমাজন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, দক্ষ ও পরিবেশবান্ধব করা হচ্ছে।
১ দিন আগে