Ajker Patrika

ওটিটি নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি করেছে বিটিআরসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮: ৩৮
ওটিটি নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি করেছে বিটিআরসি

অশ্লীলতার বিস্তার প্রতিরোধ এবং রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। দেশে কার্যরত হইচই, আমাজন, নেটফ্লিক্স, বঙ্গবিডিসহ সবগুলো ওভার দ্য টপ (ওটিটি) মাধ্যম এই নীতিমালার আওতায় তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করতে বাধ্য থাকবে। 

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে বিষয়টি অবহিত করেছে বিটিআরসি। পরে আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন। একইদিন সামাজিক মাধ্যম এবং মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কিত যেসব মামলা চলমান সেগুলোর বিচার-বিশ্লেষণ করা হবে বলেও আদালত জানিয়েছেন। 

আদালতে ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব বিটিআরসির পক্ষে কমিটি গঠনের প্রতিবেদন দাখিল করেন। অন্যদিকে আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। 

বিটিআরসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে এসব প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে খসড়া নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বিটিআরসির কমিশনার (এলএল) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনকে আহ্বায়ক এবং উপপরিচালক (আইন) পদবির একজনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া যে ছয়জনকে সদস্য করা হয়েছে তাঁরা হলেন-বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএস), পরিচালক (আইন), পরিচালক (এসএস), তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (উপ-সচিবের নিচে নয়), অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের একজন প্রতিনিধি (উপপরিচালকের নিচে নয়) এবং বিটিআরসির একজন আইন পরামর্শক। 

 ২০২০ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশি ওয়েব সিরিজের বিতর্কিত অংশ বাদ দিতে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। সে নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে তিনি একই বছরের ১২ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন। 

সেই রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত ওয়েব সিরিজ থেকে অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইনবহির্ভূত কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা এবং খামখেয়ালি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওয়েব সিরিজ মনিটরিংয়ের জন্য কেন একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে না রুলে জানতে চাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। 

পাশাপাশি পূর্বের আদেশ অনুসারে চার সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে (ওটিটি প্ল্যাটফর্ম) ছড়িয়ে পড়া ওয়েব সিরিজের অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইনবহির্ভূত ভিডিওর অংশগুলো সরিয়ে ফেলতে এবং এসবের সঙ্গে পরিচালক-প্রযোজকসহ জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। 

এ ছাড়া নেটফ্লিক্সের মতো অন্যান্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে কীভাবে সরকার রাজস্ব সংগ্রহ করে তাও বিটিআরসির কাছে জানতে চান আদালত। এরপর গত ১৮ জানুয়ারি পরবর্তী নির্দেশনায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এতে তিন মাসের মধ্যে নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করে হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত