কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক নতুন মডেল ‘ও১’ উন্মোচন করছে ওপেনএআই। এটি কোম্পানিটির ‘রিজোনিং’ বা যুক্তি সিরিজে প্রথম মডেল। যা মানুষের চেয়ে জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। এর আগে জানা গিয়েছিল, গোপন প্রকল্প ‘স্ট্রবেরি’–এর আওতায় নতুন মডেল তৈরি করেছে কোম্পানিটি। নতুন ‘ও১’ মডেলে উন্মোচনের মাধ্যমে এ কথাটিই সত্য বলে প্রমাণিত হলো।
কোম্পানি বলেছে, এআই মডেলগুলো মানুষের মতো চিন্তা করার জন্য প্রশিক্ষিত। অর্থাৎ তারা উত্তর দেওয়ার আগে চিন্তা করতে সময় ব্যয় করে। মডেলটির ছোট ও সাশ্রয়ী সংস্করণ ‘ও১–মিনি’ একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে।
কোম্পানিটির এক ব্লগ পোস্টে নতুন মডেলগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এগুলোর উন্নত যুক্তি দিয়ে ভাবার ক্ষমতা রয়েছে। মডেলগুলো স্ট্যান্ডার্ড জেনারেটিভ এআই থেকে আলাদা। কারণ, এটি পুরো প্রম্পটটি বা টেক্সট নির্দেশনা একবারে প্রক্রিয়াকরণ করে না, বরং সমস্যা সমাধানে ধাপে ধাপে এগিয়ে যায়। অর্থাৎ মানুষের মতো চিন্তা করে। এর ফলে এআই মডেলটি উত্তর দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার সুযোগ পায় এবং সম্ভাব্য ত্রুটিগুলো সংশোধন করতে পারে।
ওপেনএআই বলছে, মডেলগুলো সিপিডি ৪.০ মডেলের তুলনায় ধীর গতির কারণ এটি চিন্তা করতে বেশি সময় ব্যয় করে।
ব্যবহারকারীরা মডেলটিকে এমন জটিল প্রশ্ন করতে পারবেন, যা জন্য সাধারণত বহুস্তরের যুক্তি এবং সমালোচনামূলক মূল্যায়ন প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ: মডেলটিকে: ‘১২, ১১, ১৩, ১২, ১৪, ১৩,... সিরিজের পরবর্তী সংখ্যা কম হবে? জিজ্ঞেস করা হলে মডেলটি সঠিক সমাধান দিতে পারবে। এই ধরনের সমাধানে বহুস্তরের চিন্তার প্রয়োজন হয়।
ওপেনএআই দাবি করেছে, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে পিএইচডি ছাত্রদের সমতুল্য সক্ষমতা রয়েছে ও১ প্রিভিউ মডেলটির।
মডেলটি গণিতের সমস্যাগুলো সমাধানেও একই ফলাফল দেখায়। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাথলেটিক অলিম্পিয়াড (আই এমও) এর একটি যোগ্যতা পরীক্ষায়, সিপিডি ৪.০ মাত্র ১৩ শতাংশ সমস্যার সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছিল, যেখানে রিজোনিং মডেল ৮৩ শতাংশ সমস্যার সঠিক সমাধান দিয়েছিল।
এক্সের (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে ওপেনিংয়ে সিইও নাম অবস্থান বলেন, ও১ মডেলগুলো পিএইচডি লেভেলের বিজ্ঞান বেঞ্চমার্ক ‘জিপিইউর’ ডায়মন্ডে ৭৮ দশমিক ৩ নম্বর অর্জন করতে পেরেছে। তবে অবস্থান আরও বলেন, লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল (এলএলএম) এখনো ত্রুটিযুক্ত, কারণ এটি রিজোনিং মডেলের প্রাথমিক সংস্করণ। মডেলটি উন্নয়নে কোম্পানিটি নিয়মিতভাবে আপডেট দেবে।
মডেলগুলো এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে ব্যবহারের জন্য পাওয়া যাবে না। বর্তমানে ও১ সিরিজের এআই মডেলগুলো চ্যাটজিপিটি প্লাস ও টিম ব্যবহারকারী প্রিভিউ সংস্করণে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এটি ব্যবহারে মেসেজের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ও১ মডেলের প্রিভিউ সংস্করণে সপ্তাহে ৩০টি মেসেজ ও ও১–মিনি মডেলে সপ্তাহে ৫০টি মেসেজ পাঠানো যাবে। এই সীমা নির্ধারণের কারণ হলো স্ট্যান্ডার্ড মডেলগুলোর তুলনায় নতুন মডেলগুলো চালু রাখা বেশ ব্যয়বহুল।
যোগ্য ডেভেলপাররাও নতুন এআই মডেলগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। তবে তাদের জন্য প্রতি মিনিটে ২০টি মেসেজের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, ডেভেলপাররা মডেলগুলোর ফাংশন কলিং, স্ট্রিমিং, সিস্টেম মেসেজের জন্য সহায়তা, এবং অন্যান্য কিছু ফিচারের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন না।
এদিকে বিভিন্ন কোম্পানি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবহারকারীরা আগামী সপ্তাহের শুরুতে নতুন এআই মডেলগুলো ব্যবহার করতে পাবেন। ওপেনএআই জানিয়েছে, ও১ মডেলটি চ্যাটজিপিটির বিনামূল্যে ব্যবহারকারীর জন্য চালু করার পরিকল্পনা করছে। তবে এর জন্য এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
ডেভেলপারদের জন্য ও১ মডেলের ব্যবহার করতে বেশ অর্থ খরচ করতে হবে।
ও১ মডেলের জন্য প্রতি ১০ লাখ মিলিয়ন ইনপুট টোকেনের (মডেল দ্বারা বিশ্লেষিত টেক্সটের অংশ) মূল্য ১৫ ডলার এবং প্রতি ১ মিলিয়ন আউটপুট টোকেনের মূল্য ৬০ ডলার। যেখানে সিপিডি ৪.০–এর জন্য প্রতি ১০ লাখ ইনপুট টোকেনের মূল্য ৫ ডলার এবং প্রতি ১০ লাখ আউটপুট টোকেনের মূল্য ১৫ ডলার।
তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস ৩৬০ ও দ্য ভার্জ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক নতুন মডেল ‘ও১’ উন্মোচন করছে ওপেনএআই। এটি কোম্পানিটির ‘রিজোনিং’ বা যুক্তি সিরিজে প্রথম মডেল। যা মানুষের চেয়ে জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। এর আগে জানা গিয়েছিল, গোপন প্রকল্প ‘স্ট্রবেরি’–এর আওতায় নতুন মডেল তৈরি করেছে কোম্পানিটি। নতুন ‘ও১’ মডেলে উন্মোচনের মাধ্যমে এ কথাটিই সত্য বলে প্রমাণিত হলো।
কোম্পানি বলেছে, এআই মডেলগুলো মানুষের মতো চিন্তা করার জন্য প্রশিক্ষিত। অর্থাৎ তারা উত্তর দেওয়ার আগে চিন্তা করতে সময় ব্যয় করে। মডেলটির ছোট ও সাশ্রয়ী সংস্করণ ‘ও১–মিনি’ একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে।
কোম্পানিটির এক ব্লগ পোস্টে নতুন মডেলগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এগুলোর উন্নত যুক্তি দিয়ে ভাবার ক্ষমতা রয়েছে। মডেলগুলো স্ট্যান্ডার্ড জেনারেটিভ এআই থেকে আলাদা। কারণ, এটি পুরো প্রম্পটটি বা টেক্সট নির্দেশনা একবারে প্রক্রিয়াকরণ করে না, বরং সমস্যা সমাধানে ধাপে ধাপে এগিয়ে যায়। অর্থাৎ মানুষের মতো চিন্তা করে। এর ফলে এআই মডেলটি উত্তর দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার সুযোগ পায় এবং সম্ভাব্য ত্রুটিগুলো সংশোধন করতে পারে।
ওপেনএআই বলছে, মডেলগুলো সিপিডি ৪.০ মডেলের তুলনায় ধীর গতির কারণ এটি চিন্তা করতে বেশি সময় ব্যয় করে।
ব্যবহারকারীরা মডেলটিকে এমন জটিল প্রশ্ন করতে পারবেন, যা জন্য সাধারণত বহুস্তরের যুক্তি এবং সমালোচনামূলক মূল্যায়ন প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ: মডেলটিকে: ‘১২, ১১, ১৩, ১২, ১৪, ১৩,... সিরিজের পরবর্তী সংখ্যা কম হবে? জিজ্ঞেস করা হলে মডেলটি সঠিক সমাধান দিতে পারবে। এই ধরনের সমাধানে বহুস্তরের চিন্তার প্রয়োজন হয়।
ওপেনএআই দাবি করেছে, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে পিএইচডি ছাত্রদের সমতুল্য সক্ষমতা রয়েছে ও১ প্রিভিউ মডেলটির।
মডেলটি গণিতের সমস্যাগুলো সমাধানেও একই ফলাফল দেখায়। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাথলেটিক অলিম্পিয়াড (আই এমও) এর একটি যোগ্যতা পরীক্ষায়, সিপিডি ৪.০ মাত্র ১৩ শতাংশ সমস্যার সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছিল, যেখানে রিজোনিং মডেল ৮৩ শতাংশ সমস্যার সঠিক সমাধান দিয়েছিল।
এক্সের (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে ওপেনিংয়ে সিইও নাম অবস্থান বলেন, ও১ মডেলগুলো পিএইচডি লেভেলের বিজ্ঞান বেঞ্চমার্ক ‘জিপিইউর’ ডায়মন্ডে ৭৮ দশমিক ৩ নম্বর অর্জন করতে পেরেছে। তবে অবস্থান আরও বলেন, লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল (এলএলএম) এখনো ত্রুটিযুক্ত, কারণ এটি রিজোনিং মডেলের প্রাথমিক সংস্করণ। মডেলটি উন্নয়নে কোম্পানিটি নিয়মিতভাবে আপডেট দেবে।
মডেলগুলো এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে ব্যবহারের জন্য পাওয়া যাবে না। বর্তমানে ও১ সিরিজের এআই মডেলগুলো চ্যাটজিপিটি প্লাস ও টিম ব্যবহারকারী প্রিভিউ সংস্করণে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এটি ব্যবহারে মেসেজের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ও১ মডেলের প্রিভিউ সংস্করণে সপ্তাহে ৩০টি মেসেজ ও ও১–মিনি মডেলে সপ্তাহে ৫০টি মেসেজ পাঠানো যাবে। এই সীমা নির্ধারণের কারণ হলো স্ট্যান্ডার্ড মডেলগুলোর তুলনায় নতুন মডেলগুলো চালু রাখা বেশ ব্যয়বহুল।
যোগ্য ডেভেলপাররাও নতুন এআই মডেলগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। তবে তাদের জন্য প্রতি মিনিটে ২০টি মেসেজের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, ডেভেলপাররা মডেলগুলোর ফাংশন কলিং, স্ট্রিমিং, সিস্টেম মেসেজের জন্য সহায়তা, এবং অন্যান্য কিছু ফিচারের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন না।
এদিকে বিভিন্ন কোম্পানি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবহারকারীরা আগামী সপ্তাহের শুরুতে নতুন এআই মডেলগুলো ব্যবহার করতে পাবেন। ওপেনএআই জানিয়েছে, ও১ মডেলটি চ্যাটজিপিটির বিনামূল্যে ব্যবহারকারীর জন্য চালু করার পরিকল্পনা করছে। তবে এর জন্য এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
ডেভেলপারদের জন্য ও১ মডেলের ব্যবহার করতে বেশ অর্থ খরচ করতে হবে।
ও১ মডেলের জন্য প্রতি ১০ লাখ মিলিয়ন ইনপুট টোকেনের (মডেল দ্বারা বিশ্লেষিত টেক্সটের অংশ) মূল্য ১৫ ডলার এবং প্রতি ১ মিলিয়ন আউটপুট টোকেনের মূল্য ৬০ ডলার। যেখানে সিপিডি ৪.০–এর জন্য প্রতি ১০ লাখ ইনপুট টোকেনের মূল্য ৫ ডলার এবং প্রতি ১০ লাখ আউটপুট টোকেনের মূল্য ১৫ ডলার।
তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস ৩৬০ ও দ্য ভার্জ
সর্বশেষ উইন্ডোজ ১১ আপডেটের পর একটি ‘রহস্যময়’ খালি ফোল্ডার দেখতে পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। ফোল্ডারে কিছু না থাকলেও তা ডিলিট করতে মানা করছে মাইক্রোসফট। কারণ এটি উইন্ডোজের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা আপডেটের অংশ।
১ ঘণ্টা আগেমাত্র তিন মাস আগে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল আর ১ উন্মোচন করে চীনের কোম্পানি ডিপসিক। এরই মধ্যে মডেলটি বিভিন্ন সেবা ও পণ্যে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা করেছে। বিশেষ করে চীনে দেশপ্রেম ও প্রযুক্তিগত আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছে এই মডেল। তবে সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক দিক হলো—চীন সরকারের নজরদারি...
২ ঘণ্টা আগেঅ্যাপল হয়তো বড় কোনো প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এবার নতুন এক হুমকি আসছে ওপেনএআই-এর দিক থেকে। কারণ স্ক্রিনবিহীন এআই প্রযুক্তির ফোন তৈরি করতে পারে ওপেনএআই। আর এই ফোন তৈরির প্রকল্পে সম্ভবত বিনিয়োগ করেছেন স্টিভ জবসের স্ত্রী লরিন পাওয়েল জবস।
৪ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৭ প্রো এবং আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স মডেল উন্মোচন করতে পারে অ্যাপল। তবে ইতিমধ্যেই এসব ডিভাইস নিয়ে অনেক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষক ও নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলোর মতে, এই ডিভাইসগুলোতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে