
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হয়ে উঠছি আধুনিক। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ করে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হচ্ছে ফেসবুকে। আপনি চাইলে ফেসবুককে একটি পরিবার হিসেবে ধরে নিলেও ভুল হবে না।
একটি যোগাযোগমাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এই ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সঙ্গে কথা বলে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সম্পূর্ণ হিসাব করলে ফেসবুক সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলতে হবে।
বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয়ের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত। এর মধ্যে ফেসবুক এমন জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি শুধু কিছু নিয়মকানুন ও গাইডলাইন জানলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুক থেকে আয় (২০২২)
আমরা অনেকেই এমন অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যে, কীভাবে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, তাই না? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই বিজ্ঞাপন সব সময় আমাদের উপকারে আসে না। কারণ, তারা শেখানোর চেয়ে নিজেদের উপার্জনের উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই আপনিও পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে। তবে তার জন্য আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরাও এখন ডিজিটাল আইডিয়া কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি। ফেসবুককে আমরা সবচেয়ে সহজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে আসছি, যা থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। দিনের পর দিন আমরা টাকা আয়ের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটাই বেছে নিচ্ছি, যেটা ঘরে বসে কাজ করতে আমাদের উদ্দীপনা দিচ্ছে।
ফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি
জেনে খুশি হবেন যে, ফেসবুকে শুধু এক-দুটি মাধ্যমেই টাকা উপার্জন করা যায় না। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, আর সেটা খুবই সহজ। চলুন তবে আজ দেখে নিই আপনি কী কী উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয়
এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন। আগে শুধু ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে, নিজেকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে। আমরা দেখছি, দিনের পর দিন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ভিডিও আপলোড ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত কী করেন? তাঁরা নিজের সৃজনশীলতা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর কনটেন্টগুলো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্, কিংবা নিজস্ব পেজ অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সেই কনটেন্ট বিশ্ব দেখতে পারে এবং ভিউ বাড়ে। সেই ভিডিও সবাই উপভোগ করে, আবার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলে সেই ভিডিও শেয়ারও করে অনেকে।
এভাবে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এর ভিউ বাড়তে থাকে। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়ে থাকলে আপনার জন্য টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যেমন—
১। ফেসবুক অ্যাড থেকে
২। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে
৩। বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ারে আপনি সাফল্য পেতে পারেন এভাবেই। সঠিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারলে আপনি নিজেকে একটি ভালো উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবেন। একজন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা সবাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানি, যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ব্যবসার পথ। অল্প সময়ে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেশায় আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। আমরা সব সময় চাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ব্যবসা করতে। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, নতুন টার্ম হিসেবে সামনে এসেছে এফ-কমার্স। এফ-কমার্স হলো ফেসবুক পেজ বা আইডির মাধ্যমে নিজের ব্যবসা উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া। বর্তমানে বহু ব্যবসা গড়ে উঠছে শুধু ফেসবুককে কেন্দ্র করেই।
ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছি। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের সাফল্য এনে দিতে অনেক সহায়তা করতে পারে। এখনকার সময়ে যারা ব্যবসা করার চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসে, তারা ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খোলে। সময়ের সঙ্গে তাদের সেই পেজে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাদের পেজের ফলোয়ার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা পেজটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
অনেকেই আবার তাদের ফেসবুক পেজটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না কর্মব্যস্ততার কারণে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের পেজটি বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে লাভ উভয় পক্ষের। প্রথমত, পেজ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা পেতে পারেন, যা আপনাকে লাভবান করবে। পাশাপাশি যিনি পেজ কিনবে, তিনিও লাভবান হবে। কারণ, সেটা জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ফেসবুক পেজ। তাই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সত্যিই অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি আছে এবং সেই ফেসবুক আইডিতে ৫০০-এর অধিক ফ্রেন্ড আছে; তাহলে দেরি না করে আপনিও তৈরি করতে পারেন একটি ফ্যানপেজ। এই ফ্যানপেজে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার প্রচার, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন
আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওগুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য হচ্ছে—ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করা হয়। আর অনেকটা একইভাবে হলেও ফেসবুকে অ্যাড চয়েসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করা হয়।
Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন
প্রথমে জানিয়ে নিই ফ্রিল্যান্সিং কী এবং তারপর আমরা জানাব কীভাবে Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্কসহ অন্যসব জায়গায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সামনে ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে প্রচুর জব অফার রয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন একটি অসাধারণ পথ।
এই কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কীভাবে ফেসবুকে অ্যাড রান করতে হয়। আপনাকে তারা ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করার জন্য হায়ার করবে। তাই অবশ্যই শিখে নিন, কীভাবে ফেসবুক পেজ চালাতে হয়। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলে এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েও সম্পন্ন করতে পারবেন। বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা আগেই বলেছি ই-কমার্স হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসাক্ষেত্র। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মকে ভাগ্য পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুও করতে পারেন। ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন নানা ব্যবসা করা হচ্ছে। আপনার ব্যবসার পণ্যসমূহ ঠিক তখনই মানুষের আকর্ষণ কেড়ে নেবে, যখন সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
আপনার ব্যবসাকে সবার সামনে সুন্দর করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা গ্রুপের ভূমিকাও অনেক। কারণ, আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো প্রোমোট করে কমিশনভিত্তিক ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে একটি গ্রুপ থাকা জরুরি। তাই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চাইলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে এই সময়ের আরেকটি অসাধারণ জায়গা, যার মাধ্যমে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে। খুঁজলে দেখতে পাবেন ফেসবুকে অনেক রকম অনলাইন শপ রয়েছে।
আমরা বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও মূল্য লিখে সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রোমোট করি। পণ্য অর্ডার করতে গ্রাহকেরা ইনবক্সে অথবা কমেন্টে আমাদের জানান। আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সিস্টেম চালু থাকে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা যায় সহজেই। এই জায়গায় আপনি নিজের বা অন্য কারও নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্লে স্টোর চেক করেন, তাহলে অনেকগুলো রিসেলিং অ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন— Glowroad, Shop 101, Messho. আপনার প্রথম কাজ হবে এই অ্যাপগুলো ইনস্টল করা। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংক ডিটেইলসহ সাবমিট করুন।
এই অ্যাপগুলোতে আপনি কী পাবেন? এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্টগুলোর ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে এসবের মূল্য দিয়ে দেওয়া।
এই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ধরুন আপনি ওই অ্যাপ থেকে একটি টি-শার্ট কিনলেন ১৫০ টাকা দিয়ে। এবার আপনি সেটা চেঞ্জ করে প্রাইস করলেন ২৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে যখন আপনি আইটেমটি বিক্রি করতে পারবেন, তখন আপনার লাভ হচ্ছে ১০০ টাকা।
আপনি এভাবে চাইলে অনেকগুলো ছবি আপনার নিজের ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন। এবার কেউ আপনাকে ওই পণ্য কেনার জন্য মেসেজ করলে তখন তাঁর অ্যাড্রেসটা সেই অ্যাপসে, আর সেখানে আপনার প্রাইসটি ফিক্সড করে দিন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক শপ ডিজাইন জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আরও বেশি ভালো হয়।
এরপর কোম্পানি সেই অ্যাড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে দেবে আপনার নামে। আর পণ্যটি বিক্রি হওয়ার পর একটা ফিক্সড কমিশন চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স ও টাকা উপার্জন
আমরা সবাই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। এটি হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা মূলত একটি লাভ-অংশীদার প্রকল্প নামে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজেদের সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে। এরপর আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যখন ক্লিক করবে, তখন প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন। এটা ছাড়াও শুধু আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে, যাতে করে ভিজিটররা সহজে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান এবং ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো, গুগল অ্যাডসেন্স সব সময় কনটেন্ট-বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তাই ভিজিটরের সুবিধার্থে আপনি বিজ্ঞাপনের কোডগুলো বসাবেন। ভিজিটর নিশ্চয়ই তাঁর প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। তবে ভুল করেও বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো।
কারণ, গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে খেয়াল করে দেখুন অন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো। চেষ্টা করুন ভিজিটরের চাহিদামতো অরিজিনাল, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে। অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্লগে সব সময় নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন, যা ইউনিক ও নতুন ভিজিটর পেতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে। এসইও অনুযায়ী ব্লগে সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে এবং এ বিষয়ে আপনি আশাবাদী থাকতে পারেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং গ্রুপ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে আয়ের অনেক উৎস বের হচ্ছে। আর ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে বসে সহজে আয় করার নতুন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশিই প্রভাব ফেলছে। ফেসবুকে আয়ের এতসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং।
এখন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ। এই কাজ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য সহজ হবে, তাহলে আজই শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ফেসবুকে আয়
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংটা আবার কী? তাই প্রথমেই আমরা আপনাকে বলতে চাই যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। এটাও খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের পথ।
আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যমে আপনি যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেবেন, তাদের কাছ থেকে কিছু কমিশন পাবেন।
যে মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে থাকতে পারেন। বড় বড় ওয়েবসাইট; যেমন—আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে চাইলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ছাড়া টেক রিলেটেড কনটেন্ট পেজ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে খুবই বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন।
এসব পথ অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সত্যিই অপরিসীম। তাই বসে না থেকে আজই শুরু করতে পারেন ফেসবুকে টাকা উপার্জন।
ফেসবুক সম্পর্কিত পড়ুন:

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হয়ে উঠছি আধুনিক। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ করে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হচ্ছে ফেসবুকে। আপনি চাইলে ফেসবুককে একটি পরিবার হিসেবে ধরে নিলেও ভুল হবে না।
একটি যোগাযোগমাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এই ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সঙ্গে কথা বলে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সম্পূর্ণ হিসাব করলে ফেসবুক সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলতে হবে।
বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয়ের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত। এর মধ্যে ফেসবুক এমন জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি শুধু কিছু নিয়মকানুন ও গাইডলাইন জানলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুক থেকে আয় (২০২২)
আমরা অনেকেই এমন অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যে, কীভাবে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, তাই না? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই বিজ্ঞাপন সব সময় আমাদের উপকারে আসে না। কারণ, তারা শেখানোর চেয়ে নিজেদের উপার্জনের উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই আপনিও পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে। তবে তার জন্য আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরাও এখন ডিজিটাল আইডিয়া কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি। ফেসবুককে আমরা সবচেয়ে সহজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে আসছি, যা থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। দিনের পর দিন আমরা টাকা আয়ের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটাই বেছে নিচ্ছি, যেটা ঘরে বসে কাজ করতে আমাদের উদ্দীপনা দিচ্ছে।
ফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি
জেনে খুশি হবেন যে, ফেসবুকে শুধু এক-দুটি মাধ্যমেই টাকা উপার্জন করা যায় না। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, আর সেটা খুবই সহজ। চলুন তবে আজ দেখে নিই আপনি কী কী উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয়
এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন। আগে শুধু ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে, নিজেকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে। আমরা দেখছি, দিনের পর দিন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ভিডিও আপলোড ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত কী করেন? তাঁরা নিজের সৃজনশীলতা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর কনটেন্টগুলো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্, কিংবা নিজস্ব পেজ অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সেই কনটেন্ট বিশ্ব দেখতে পারে এবং ভিউ বাড়ে। সেই ভিডিও সবাই উপভোগ করে, আবার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলে সেই ভিডিও শেয়ারও করে অনেকে।
এভাবে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এর ভিউ বাড়তে থাকে। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়ে থাকলে আপনার জন্য টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যেমন—
১। ফেসবুক অ্যাড থেকে
২। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে
৩। বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ারে আপনি সাফল্য পেতে পারেন এভাবেই। সঠিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারলে আপনি নিজেকে একটি ভালো উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবেন। একজন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা সবাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানি, যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ব্যবসার পথ। অল্প সময়ে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেশায় আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। আমরা সব সময় চাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ব্যবসা করতে। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, নতুন টার্ম হিসেবে সামনে এসেছে এফ-কমার্স। এফ-কমার্স হলো ফেসবুক পেজ বা আইডির মাধ্যমে নিজের ব্যবসা উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া। বর্তমানে বহু ব্যবসা গড়ে উঠছে শুধু ফেসবুককে কেন্দ্র করেই।
ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছি। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের সাফল্য এনে দিতে অনেক সহায়তা করতে পারে। এখনকার সময়ে যারা ব্যবসা করার চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসে, তারা ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খোলে। সময়ের সঙ্গে তাদের সেই পেজে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাদের পেজের ফলোয়ার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা পেজটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
অনেকেই আবার তাদের ফেসবুক পেজটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না কর্মব্যস্ততার কারণে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের পেজটি বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে লাভ উভয় পক্ষের। প্রথমত, পেজ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা পেতে পারেন, যা আপনাকে লাভবান করবে। পাশাপাশি যিনি পেজ কিনবে, তিনিও লাভবান হবে। কারণ, সেটা জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ফেসবুক পেজ। তাই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সত্যিই অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি আছে এবং সেই ফেসবুক আইডিতে ৫০০-এর অধিক ফ্রেন্ড আছে; তাহলে দেরি না করে আপনিও তৈরি করতে পারেন একটি ফ্যানপেজ। এই ফ্যানপেজে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার প্রচার, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন
আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওগুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য হচ্ছে—ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করা হয়। আর অনেকটা একইভাবে হলেও ফেসবুকে অ্যাড চয়েসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করা হয়।
Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন
প্রথমে জানিয়ে নিই ফ্রিল্যান্সিং কী এবং তারপর আমরা জানাব কীভাবে Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্কসহ অন্যসব জায়গায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সামনে ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে প্রচুর জব অফার রয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন একটি অসাধারণ পথ।
এই কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কীভাবে ফেসবুকে অ্যাড রান করতে হয়। আপনাকে তারা ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করার জন্য হায়ার করবে। তাই অবশ্যই শিখে নিন, কীভাবে ফেসবুক পেজ চালাতে হয়। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলে এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েও সম্পন্ন করতে পারবেন। বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা আগেই বলেছি ই-কমার্স হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসাক্ষেত্র। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মকে ভাগ্য পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুও করতে পারেন। ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন নানা ব্যবসা করা হচ্ছে। আপনার ব্যবসার পণ্যসমূহ ঠিক তখনই মানুষের আকর্ষণ কেড়ে নেবে, যখন সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
আপনার ব্যবসাকে সবার সামনে সুন্দর করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা গ্রুপের ভূমিকাও অনেক। কারণ, আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো প্রোমোট করে কমিশনভিত্তিক ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে একটি গ্রুপ থাকা জরুরি। তাই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চাইলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে এই সময়ের আরেকটি অসাধারণ জায়গা, যার মাধ্যমে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে। খুঁজলে দেখতে পাবেন ফেসবুকে অনেক রকম অনলাইন শপ রয়েছে।
আমরা বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও মূল্য লিখে সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রোমোট করি। পণ্য অর্ডার করতে গ্রাহকেরা ইনবক্সে অথবা কমেন্টে আমাদের জানান। আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সিস্টেম চালু থাকে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা যায় সহজেই। এই জায়গায় আপনি নিজের বা অন্য কারও নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্লে স্টোর চেক করেন, তাহলে অনেকগুলো রিসেলিং অ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন— Glowroad, Shop 101, Messho. আপনার প্রথম কাজ হবে এই অ্যাপগুলো ইনস্টল করা। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংক ডিটেইলসহ সাবমিট করুন।
এই অ্যাপগুলোতে আপনি কী পাবেন? এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্টগুলোর ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে এসবের মূল্য দিয়ে দেওয়া।
এই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ধরুন আপনি ওই অ্যাপ থেকে একটি টি-শার্ট কিনলেন ১৫০ টাকা দিয়ে। এবার আপনি সেটা চেঞ্জ করে প্রাইস করলেন ২৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে যখন আপনি আইটেমটি বিক্রি করতে পারবেন, তখন আপনার লাভ হচ্ছে ১০০ টাকা।
আপনি এভাবে চাইলে অনেকগুলো ছবি আপনার নিজের ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন। এবার কেউ আপনাকে ওই পণ্য কেনার জন্য মেসেজ করলে তখন তাঁর অ্যাড্রেসটা সেই অ্যাপসে, আর সেখানে আপনার প্রাইসটি ফিক্সড করে দিন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক শপ ডিজাইন জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আরও বেশি ভালো হয়।
এরপর কোম্পানি সেই অ্যাড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে দেবে আপনার নামে। আর পণ্যটি বিক্রি হওয়ার পর একটা ফিক্সড কমিশন চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স ও টাকা উপার্জন
আমরা সবাই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। এটি হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা মূলত একটি লাভ-অংশীদার প্রকল্প নামে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজেদের সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে। এরপর আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যখন ক্লিক করবে, তখন প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন। এটা ছাড়াও শুধু আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে, যাতে করে ভিজিটররা সহজে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান এবং ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো, গুগল অ্যাডসেন্স সব সময় কনটেন্ট-বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তাই ভিজিটরের সুবিধার্থে আপনি বিজ্ঞাপনের কোডগুলো বসাবেন। ভিজিটর নিশ্চয়ই তাঁর প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। তবে ভুল করেও বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো।
কারণ, গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে খেয়াল করে দেখুন অন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো। চেষ্টা করুন ভিজিটরের চাহিদামতো অরিজিনাল, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে। অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্লগে সব সময় নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন, যা ইউনিক ও নতুন ভিজিটর পেতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে। এসইও অনুযায়ী ব্লগে সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে এবং এ বিষয়ে আপনি আশাবাদী থাকতে পারেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং গ্রুপ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে আয়ের অনেক উৎস বের হচ্ছে। আর ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে বসে সহজে আয় করার নতুন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশিই প্রভাব ফেলছে। ফেসবুকে আয়ের এতসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং।
এখন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ। এই কাজ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য সহজ হবে, তাহলে আজই শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ফেসবুকে আয়
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংটা আবার কী? তাই প্রথমেই আমরা আপনাকে বলতে চাই যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। এটাও খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের পথ।
আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যমে আপনি যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেবেন, তাদের কাছ থেকে কিছু কমিশন পাবেন।
যে মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে থাকতে পারেন। বড় বড় ওয়েবসাইট; যেমন—আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে চাইলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ছাড়া টেক রিলেটেড কনটেন্ট পেজ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে খুবই বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন।
এসব পথ অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সত্যিই অপরিসীম। তাই বসে না থেকে আজই শুরু করতে পারেন ফেসবুকে টাকা উপার্জন।
ফেসবুক সম্পর্কিত পড়ুন:

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হয়ে উঠছি আধুনিক। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ করে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হচ্ছে ফেসবুকে। আপনি চাইলে ফেসবুককে একটি পরিবার হিসেবে ধরে নিলেও ভুল হবে না।
একটি যোগাযোগমাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এই ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সঙ্গে কথা বলে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সম্পূর্ণ হিসাব করলে ফেসবুক সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলতে হবে।
বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয়ের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত। এর মধ্যে ফেসবুক এমন জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি শুধু কিছু নিয়মকানুন ও গাইডলাইন জানলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুক থেকে আয় (২০২২)
আমরা অনেকেই এমন অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যে, কীভাবে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, তাই না? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই বিজ্ঞাপন সব সময় আমাদের উপকারে আসে না। কারণ, তারা শেখানোর চেয়ে নিজেদের উপার্জনের উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই আপনিও পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে। তবে তার জন্য আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরাও এখন ডিজিটাল আইডিয়া কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি। ফেসবুককে আমরা সবচেয়ে সহজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে আসছি, যা থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। দিনের পর দিন আমরা টাকা আয়ের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটাই বেছে নিচ্ছি, যেটা ঘরে বসে কাজ করতে আমাদের উদ্দীপনা দিচ্ছে।
ফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি
জেনে খুশি হবেন যে, ফেসবুকে শুধু এক-দুটি মাধ্যমেই টাকা উপার্জন করা যায় না। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, আর সেটা খুবই সহজ। চলুন তবে আজ দেখে নিই আপনি কী কী উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয়
এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন। আগে শুধু ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে, নিজেকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে। আমরা দেখছি, দিনের পর দিন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ভিডিও আপলোড ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত কী করেন? তাঁরা নিজের সৃজনশীলতা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর কনটেন্টগুলো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্, কিংবা নিজস্ব পেজ অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সেই কনটেন্ট বিশ্ব দেখতে পারে এবং ভিউ বাড়ে। সেই ভিডিও সবাই উপভোগ করে, আবার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলে সেই ভিডিও শেয়ারও করে অনেকে।
এভাবে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এর ভিউ বাড়তে থাকে। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়ে থাকলে আপনার জন্য টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যেমন—
১। ফেসবুক অ্যাড থেকে
২। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে
৩। বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ারে আপনি সাফল্য পেতে পারেন এভাবেই। সঠিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারলে আপনি নিজেকে একটি ভালো উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবেন। একজন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা সবাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানি, যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ব্যবসার পথ। অল্প সময়ে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেশায় আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। আমরা সব সময় চাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ব্যবসা করতে। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, নতুন টার্ম হিসেবে সামনে এসেছে এফ-কমার্স। এফ-কমার্স হলো ফেসবুক পেজ বা আইডির মাধ্যমে নিজের ব্যবসা উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া। বর্তমানে বহু ব্যবসা গড়ে উঠছে শুধু ফেসবুককে কেন্দ্র করেই।
ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছি। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের সাফল্য এনে দিতে অনেক সহায়তা করতে পারে। এখনকার সময়ে যারা ব্যবসা করার চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসে, তারা ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খোলে। সময়ের সঙ্গে তাদের সেই পেজে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাদের পেজের ফলোয়ার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা পেজটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
অনেকেই আবার তাদের ফেসবুক পেজটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না কর্মব্যস্ততার কারণে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের পেজটি বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে লাভ উভয় পক্ষের। প্রথমত, পেজ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা পেতে পারেন, যা আপনাকে লাভবান করবে। পাশাপাশি যিনি পেজ কিনবে, তিনিও লাভবান হবে। কারণ, সেটা জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ফেসবুক পেজ। তাই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সত্যিই অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি আছে এবং সেই ফেসবুক আইডিতে ৫০০-এর অধিক ফ্রেন্ড আছে; তাহলে দেরি না করে আপনিও তৈরি করতে পারেন একটি ফ্যানপেজ। এই ফ্যানপেজে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার প্রচার, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন
আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওগুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য হচ্ছে—ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করা হয়। আর অনেকটা একইভাবে হলেও ফেসবুকে অ্যাড চয়েসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করা হয়।
Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন
প্রথমে জানিয়ে নিই ফ্রিল্যান্সিং কী এবং তারপর আমরা জানাব কীভাবে Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্কসহ অন্যসব জায়গায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সামনে ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে প্রচুর জব অফার রয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন একটি অসাধারণ পথ।
এই কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কীভাবে ফেসবুকে অ্যাড রান করতে হয়। আপনাকে তারা ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করার জন্য হায়ার করবে। তাই অবশ্যই শিখে নিন, কীভাবে ফেসবুক পেজ চালাতে হয়। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলে এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েও সম্পন্ন করতে পারবেন। বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা আগেই বলেছি ই-কমার্স হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসাক্ষেত্র। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মকে ভাগ্য পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুও করতে পারেন। ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন নানা ব্যবসা করা হচ্ছে। আপনার ব্যবসার পণ্যসমূহ ঠিক তখনই মানুষের আকর্ষণ কেড়ে নেবে, যখন সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
আপনার ব্যবসাকে সবার সামনে সুন্দর করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা গ্রুপের ভূমিকাও অনেক। কারণ, আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো প্রোমোট করে কমিশনভিত্তিক ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে একটি গ্রুপ থাকা জরুরি। তাই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চাইলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে এই সময়ের আরেকটি অসাধারণ জায়গা, যার মাধ্যমে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে। খুঁজলে দেখতে পাবেন ফেসবুকে অনেক রকম অনলাইন শপ রয়েছে।
আমরা বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও মূল্য লিখে সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রোমোট করি। পণ্য অর্ডার করতে গ্রাহকেরা ইনবক্সে অথবা কমেন্টে আমাদের জানান। আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সিস্টেম চালু থাকে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা যায় সহজেই। এই জায়গায় আপনি নিজের বা অন্য কারও নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্লে স্টোর চেক করেন, তাহলে অনেকগুলো রিসেলিং অ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন— Glowroad, Shop 101, Messho. আপনার প্রথম কাজ হবে এই অ্যাপগুলো ইনস্টল করা। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংক ডিটেইলসহ সাবমিট করুন।
এই অ্যাপগুলোতে আপনি কী পাবেন? এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্টগুলোর ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে এসবের মূল্য দিয়ে দেওয়া।
এই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ধরুন আপনি ওই অ্যাপ থেকে একটি টি-শার্ট কিনলেন ১৫০ টাকা দিয়ে। এবার আপনি সেটা চেঞ্জ করে প্রাইস করলেন ২৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে যখন আপনি আইটেমটি বিক্রি করতে পারবেন, তখন আপনার লাভ হচ্ছে ১০০ টাকা।
আপনি এভাবে চাইলে অনেকগুলো ছবি আপনার নিজের ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন। এবার কেউ আপনাকে ওই পণ্য কেনার জন্য মেসেজ করলে তখন তাঁর অ্যাড্রেসটা সেই অ্যাপসে, আর সেখানে আপনার প্রাইসটি ফিক্সড করে দিন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক শপ ডিজাইন জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আরও বেশি ভালো হয়।
এরপর কোম্পানি সেই অ্যাড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে দেবে আপনার নামে। আর পণ্যটি বিক্রি হওয়ার পর একটা ফিক্সড কমিশন চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স ও টাকা উপার্জন
আমরা সবাই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। এটি হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা মূলত একটি লাভ-অংশীদার প্রকল্প নামে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজেদের সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে। এরপর আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যখন ক্লিক করবে, তখন প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন। এটা ছাড়াও শুধু আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে, যাতে করে ভিজিটররা সহজে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান এবং ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো, গুগল অ্যাডসেন্স সব সময় কনটেন্ট-বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তাই ভিজিটরের সুবিধার্থে আপনি বিজ্ঞাপনের কোডগুলো বসাবেন। ভিজিটর নিশ্চয়ই তাঁর প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। তবে ভুল করেও বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো।
কারণ, গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে খেয়াল করে দেখুন অন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো। চেষ্টা করুন ভিজিটরের চাহিদামতো অরিজিনাল, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে। অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্লগে সব সময় নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন, যা ইউনিক ও নতুন ভিজিটর পেতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে। এসইও অনুযায়ী ব্লগে সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে এবং এ বিষয়ে আপনি আশাবাদী থাকতে পারেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং গ্রুপ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে আয়ের অনেক উৎস বের হচ্ছে। আর ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে বসে সহজে আয় করার নতুন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশিই প্রভাব ফেলছে। ফেসবুকে আয়ের এতসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং।
এখন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ। এই কাজ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য সহজ হবে, তাহলে আজই শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ফেসবুকে আয়
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংটা আবার কী? তাই প্রথমেই আমরা আপনাকে বলতে চাই যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। এটাও খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের পথ।
আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যমে আপনি যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেবেন, তাদের কাছ থেকে কিছু কমিশন পাবেন।
যে মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে থাকতে পারেন। বড় বড় ওয়েবসাইট; যেমন—আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে চাইলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ছাড়া টেক রিলেটেড কনটেন্ট পেজ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে খুবই বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন।
এসব পথ অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সত্যিই অপরিসীম। তাই বসে না থেকে আজই শুরু করতে পারেন ফেসবুকে টাকা উপার্জন।
ফেসবুক সম্পর্কিত পড়ুন:

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হয়ে উঠছি আধুনিক। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ করে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হচ্ছে ফেসবুকে। আপনি চাইলে ফেসবুককে একটি পরিবার হিসেবে ধরে নিলেও ভুল হবে না।
একটি যোগাযোগমাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এই ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সঙ্গে কথা বলে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সম্পূর্ণ হিসাব করলে ফেসবুক সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলতে হবে।
বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয়ের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত। এর মধ্যে ফেসবুক এমন জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি শুধু কিছু নিয়মকানুন ও গাইডলাইন জানলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুক থেকে আয় (২০২২)
আমরা অনেকেই এমন অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যে, কীভাবে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, তাই না? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই বিজ্ঞাপন সব সময় আমাদের উপকারে আসে না। কারণ, তারা শেখানোর চেয়ে নিজেদের উপার্জনের উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই আপনিও পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে। তবে তার জন্য আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরাও এখন ডিজিটাল আইডিয়া কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি। ফেসবুককে আমরা সবচেয়ে সহজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে আসছি, যা থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। দিনের পর দিন আমরা টাকা আয়ের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটাই বেছে নিচ্ছি, যেটা ঘরে বসে কাজ করতে আমাদের উদ্দীপনা দিচ্ছে।
ফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি
জেনে খুশি হবেন যে, ফেসবুকে শুধু এক-দুটি মাধ্যমেই টাকা উপার্জন করা যায় না। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, আর সেটা খুবই সহজ। চলুন তবে আজ দেখে নিই আপনি কী কী উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয়
এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন। আগে শুধু ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে, নিজেকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে। আমরা দেখছি, দিনের পর দিন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ভিডিও আপলোড ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত কী করেন? তাঁরা নিজের সৃজনশীলতা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর কনটেন্টগুলো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্, কিংবা নিজস্ব পেজ অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সেই কনটেন্ট বিশ্ব দেখতে পারে এবং ভিউ বাড়ে। সেই ভিডিও সবাই উপভোগ করে, আবার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলে সেই ভিডিও শেয়ারও করে অনেকে।
এভাবে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এর ভিউ বাড়তে থাকে। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়ে থাকলে আপনার জন্য টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যেমন—
১। ফেসবুক অ্যাড থেকে
২। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে
৩। বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ারে আপনি সাফল্য পেতে পারেন এভাবেই। সঠিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারলে আপনি নিজেকে একটি ভালো উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবেন। একজন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা সবাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানি, যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ব্যবসার পথ। অল্প সময়ে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেশায় আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। আমরা সব সময় চাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ব্যবসা করতে। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, নতুন টার্ম হিসেবে সামনে এসেছে এফ-কমার্স। এফ-কমার্স হলো ফেসবুক পেজ বা আইডির মাধ্যমে নিজের ব্যবসা উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া। বর্তমানে বহু ব্যবসা গড়ে উঠছে শুধু ফেসবুককে কেন্দ্র করেই।
ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছি। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের সাফল্য এনে দিতে অনেক সহায়তা করতে পারে। এখনকার সময়ে যারা ব্যবসা করার চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসে, তারা ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খোলে। সময়ের সঙ্গে তাদের সেই পেজে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাদের পেজের ফলোয়ার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা পেজটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
অনেকেই আবার তাদের ফেসবুক পেজটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না কর্মব্যস্ততার কারণে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের পেজটি বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে লাভ উভয় পক্ষের। প্রথমত, পেজ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা পেতে পারেন, যা আপনাকে লাভবান করবে। পাশাপাশি যিনি পেজ কিনবে, তিনিও লাভবান হবে। কারণ, সেটা জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ফেসবুক পেজ। তাই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সত্যিই অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি আছে এবং সেই ফেসবুক আইডিতে ৫০০-এর অধিক ফ্রেন্ড আছে; তাহলে দেরি না করে আপনিও তৈরি করতে পারেন একটি ফ্যানপেজ। এই ফ্যানপেজে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার প্রচার, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন
আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওগুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য হচ্ছে—ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করা হয়। আর অনেকটা একইভাবে হলেও ফেসবুকে অ্যাড চয়েসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করা হয়।
Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন
প্রথমে জানিয়ে নিই ফ্রিল্যান্সিং কী এবং তারপর আমরা জানাব কীভাবে Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্কসহ অন্যসব জায়গায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সামনে ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে প্রচুর জব অফার রয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন একটি অসাধারণ পথ।
এই কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কীভাবে ফেসবুকে অ্যাড রান করতে হয়। আপনাকে তারা ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করার জন্য হায়ার করবে। তাই অবশ্যই শিখে নিন, কীভাবে ফেসবুক পেজ চালাতে হয়। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলে এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েও সম্পন্ন করতে পারবেন। বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা আগেই বলেছি ই-কমার্স হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসাক্ষেত্র। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মকে ভাগ্য পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুও করতে পারেন। ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন নানা ব্যবসা করা হচ্ছে। আপনার ব্যবসার পণ্যসমূহ ঠিক তখনই মানুষের আকর্ষণ কেড়ে নেবে, যখন সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
আপনার ব্যবসাকে সবার সামনে সুন্দর করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা গ্রুপের ভূমিকাও অনেক। কারণ, আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো প্রোমোট করে কমিশনভিত্তিক ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে একটি গ্রুপ থাকা জরুরি। তাই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চাইলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে এই সময়ের আরেকটি অসাধারণ জায়গা, যার মাধ্যমে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে। খুঁজলে দেখতে পাবেন ফেসবুকে অনেক রকম অনলাইন শপ রয়েছে।
আমরা বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও মূল্য লিখে সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রোমোট করি। পণ্য অর্ডার করতে গ্রাহকেরা ইনবক্সে অথবা কমেন্টে আমাদের জানান। আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সিস্টেম চালু থাকে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা যায় সহজেই। এই জায়গায় আপনি নিজের বা অন্য কারও নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্লে স্টোর চেক করেন, তাহলে অনেকগুলো রিসেলিং অ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন— Glowroad, Shop 101, Messho. আপনার প্রথম কাজ হবে এই অ্যাপগুলো ইনস্টল করা। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংক ডিটেইলসহ সাবমিট করুন।
এই অ্যাপগুলোতে আপনি কী পাবেন? এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্টগুলোর ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে এসবের মূল্য দিয়ে দেওয়া।
এই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ধরুন আপনি ওই অ্যাপ থেকে একটি টি-শার্ট কিনলেন ১৫০ টাকা দিয়ে। এবার আপনি সেটা চেঞ্জ করে প্রাইস করলেন ২৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে যখন আপনি আইটেমটি বিক্রি করতে পারবেন, তখন আপনার লাভ হচ্ছে ১০০ টাকা।
আপনি এভাবে চাইলে অনেকগুলো ছবি আপনার নিজের ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন। এবার কেউ আপনাকে ওই পণ্য কেনার জন্য মেসেজ করলে তখন তাঁর অ্যাড্রেসটা সেই অ্যাপসে, আর সেখানে আপনার প্রাইসটি ফিক্সড করে দিন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক শপ ডিজাইন জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আরও বেশি ভালো হয়।
এরপর কোম্পানি সেই অ্যাড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে দেবে আপনার নামে। আর পণ্যটি বিক্রি হওয়ার পর একটা ফিক্সড কমিশন চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স ও টাকা উপার্জন
আমরা সবাই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। এটি হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা মূলত একটি লাভ-অংশীদার প্রকল্প নামে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজেদের সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে। এরপর আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যখন ক্লিক করবে, তখন প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন। এটা ছাড়াও শুধু আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে, যাতে করে ভিজিটররা সহজে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান এবং ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো, গুগল অ্যাডসেন্স সব সময় কনটেন্ট-বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তাই ভিজিটরের সুবিধার্থে আপনি বিজ্ঞাপনের কোডগুলো বসাবেন। ভিজিটর নিশ্চয়ই তাঁর প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। তবে ভুল করেও বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো।
কারণ, গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে খেয়াল করে দেখুন অন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো। চেষ্টা করুন ভিজিটরের চাহিদামতো অরিজিনাল, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে। অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্লগে সব সময় নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন, যা ইউনিক ও নতুন ভিজিটর পেতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে। এসইও অনুযায়ী ব্লগে সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে এবং এ বিষয়ে আপনি আশাবাদী থাকতে পারেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং গ্রুপ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে আয়ের অনেক উৎস বের হচ্ছে। আর ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে বসে সহজে আয় করার নতুন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশিই প্রভাব ফেলছে। ফেসবুকে আয়ের এতসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং।
এখন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ। এই কাজ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য সহজ হবে, তাহলে আজই শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ফেসবুকে আয়
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংটা আবার কী? তাই প্রথমেই আমরা আপনাকে বলতে চাই যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। এটাও খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের পথ।
আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যমে আপনি যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেবেন, তাদের কাছ থেকে কিছু কমিশন পাবেন।
যে মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে থাকতে পারেন। বড় বড় ওয়েবসাইট; যেমন—আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে চাইলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ছাড়া টেক রিলেটেড কনটেন্ট পেজ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে খুবই বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন।
এসব পথ অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সত্যিই অপরিসীম। তাই বসে না থেকে আজই শুরু করতে পারেন ফেসবুকে টাকা উপার্জন।
ফেসবুক সম্পর্কিত পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
১৫ ঘণ্টা আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
১৭ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজে প্ররোচিত করেছে।
সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে ‘বেআইনি মৃত্যু’র অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচের নিজ বাড়িতে খুন হন সুজান অ্যাডামস। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। এরপর সোলবার্গ নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন।
গত কয়েক মাসে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বেড়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে চ্যাটজিপিটি।
গত আগস্টে ছেলেকে চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল অভিযোগ এনে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা-বাবা।
নভেম্বরে হওয়া কয়েকটি মার্কিন মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে এবং নিজের ক্ষতি করতে প্ররোচিত করেছে। এসবের মধ্যে চারটি মামলায়ই আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এন্নেকিংয়ের পরিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান চ্যাটজিপিটির কাছে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশের পর এআই চ্যাটবটটি তাঁকে অস্ত্র পাওয়ার তথ্য সরবরাহ করেছে।
অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সী অ্যামরি লেসির পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি অ্যামরিকে ‘কীভাবে ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে সে কতক্ষণ বাঁচবে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।
সর্বশেষ মামলায় বলা হয়েছে, মাসখানেক ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনে সোলবার্গের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনাকে সত্য ও জোরালো হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের মাকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সোলবার্গকে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিয়েছিল যে তিনি এআই চ্যাটবটকে আরও সচেতন করেছেন, ‘জাগিয়ে তুলেছেন’। সোলবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কথোপকথনে দেখা গেছে স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক বিশ্বাসের প্রতিটির পক্ষে কথা বলে এমন একটা জগৎ তৈরি করেছিল চ্যাটজিপিটি, যাকে ঘিরেই ছিল স্টেইন-এরিকের সব চিন্তাভাবনা।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি সোলবার্গের প্যারানয়েড বিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছিল। তাঁকে ধারণা দিয়েছিল যে কেউ তাঁর ওপর নজর রাখছে। এমনকি তিনি তাঁর মায়ের প্রিন্টার ডিভাইসটিকে নজরদারি যন্ত্র ভাবতে শুরু করেছিলেন।
যখন সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর মা তাঁকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিলেন, চ্যাটজিপিটি তাঁর এই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার বদলে তার পক্ষে সায় দিয়ে উত্তর দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বেশ হৃদয়বিদারক অবস্থা। আমরা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখছি, বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করছি।’
মামলায় ওপেনএআইযের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত বছরের মে মাসে জিপিটি-৪ও বাজারে আনতে তাড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস ধরে যে নিরাপত্তা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেটি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী এবং এর প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মানুষের মতো। তবে জিপিটি-৪ও মডেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত তোষামোদ করার’ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাইক্রোসফটকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্ষেপিত হওয়ার পরও তারা এই পণ্যের অনুমোদন দিয়েছেন।
এ ছাড়া ওপেনএআইযের ২০ কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং ওপেনএআইকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্যের অনুরোধে যোগাযোগ করা হলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজে প্ররোচিত করেছে।
সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে ‘বেআইনি মৃত্যু’র অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচের নিজ বাড়িতে খুন হন সুজান অ্যাডামস। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। এরপর সোলবার্গ নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন।
গত কয়েক মাসে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বেড়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে চ্যাটজিপিটি।
গত আগস্টে ছেলেকে চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল অভিযোগ এনে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা-বাবা।
নভেম্বরে হওয়া কয়েকটি মার্কিন মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে এবং নিজের ক্ষতি করতে প্ররোচিত করেছে। এসবের মধ্যে চারটি মামলায়ই আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এন্নেকিংয়ের পরিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান চ্যাটজিপিটির কাছে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশের পর এআই চ্যাটবটটি তাঁকে অস্ত্র পাওয়ার তথ্য সরবরাহ করেছে।
অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সী অ্যামরি লেসির পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি অ্যামরিকে ‘কীভাবে ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে সে কতক্ষণ বাঁচবে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।
সর্বশেষ মামলায় বলা হয়েছে, মাসখানেক ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনে সোলবার্গের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনাকে সত্য ও জোরালো হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের মাকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সোলবার্গকে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিয়েছিল যে তিনি এআই চ্যাটবটকে আরও সচেতন করেছেন, ‘জাগিয়ে তুলেছেন’। সোলবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কথোপকথনে দেখা গেছে স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক বিশ্বাসের প্রতিটির পক্ষে কথা বলে এমন একটা জগৎ তৈরি করেছিল চ্যাটজিপিটি, যাকে ঘিরেই ছিল স্টেইন-এরিকের সব চিন্তাভাবনা।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি সোলবার্গের প্যারানয়েড বিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছিল। তাঁকে ধারণা দিয়েছিল যে কেউ তাঁর ওপর নজর রাখছে। এমনকি তিনি তাঁর মায়ের প্রিন্টার ডিভাইসটিকে নজরদারি যন্ত্র ভাবতে শুরু করেছিলেন।
যখন সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর মা তাঁকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিলেন, চ্যাটজিপিটি তাঁর এই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার বদলে তার পক্ষে সায় দিয়ে উত্তর দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বেশ হৃদয়বিদারক অবস্থা। আমরা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখছি, বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করছি।’
মামলায় ওপেনএআইযের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত বছরের মে মাসে জিপিটি-৪ও বাজারে আনতে তাড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস ধরে যে নিরাপত্তা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেটি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী এবং এর প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মানুষের মতো। তবে জিপিটি-৪ও মডেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত তোষামোদ করার’ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাইক্রোসফটকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্ষেপিত হওয়ার পরও তারা এই পণ্যের অনুমোদন দিয়েছেন।
এ ছাড়া ওপেনএআইযের ২০ কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং ওপেনএআইকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্যের অনুরোধে যোগাযোগ করা হলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
০৮ মার্চ ২০২২
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
১৭ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত ভয়েসমেইলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সহায়তা করবে।
যাকে কল করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কল রিসিভ না করলে, ওই কলের মিসড কল নোটিফিকেশনের সঙ্গে একটি ভয়েস বা ভিডিও রেকর্ড করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন ফিচার। কলের ধরন অনুযায়ী কলদাতা ভয়েস বা ভিডিও এ দু ধরনের নোটই এক ট্যাপেই রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলিত ভয়েসমেইল ব্যবস্থাকে অতীত করে দেবে।’
ব্যবহারকারীরা এখন ভয়েস চ্যাটেও ‘cheers!’ -এর মতো নতুন রিঅ্যাকশন ব্যবহার করতে পারবেন, যা বাকিদের আলাপ থামাবে না। পাশাপাশি, ভিডিও কলে এখন বক্তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রাধিকার পাবে।
এদিকে মেটা-এআই দিয়ে ছবি তৈরির সুবিধাতেও আরও নতুনত্ব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থির ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করার মতো অ্যানিমেশন সুবিধা এবং আরও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
এখন এতে ফ্লাক্স (Flux) এবং মিডজার্নি (Midjourney)–এর নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেলের সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। বছর শেষে বা ছুটির সময়ের শুভেচ্ছাবার্তার মতো ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই আপগ্রেডেশন বেশ সাহায্য করবে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।
মেটা এআই–এর নতুন সক্ষমতার মধ্যে ছবি অ্যানিমেশনও যুক্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছবি প্রম্পট এবং বার্তার ভিত্তিতে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। ডেস্কটপে, ডকুমেন্ট, লিঙ্ক ও মিডিয়া সহজে আলাদা করার জন্য নতুন মিডিয়া ট্যাবও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া লিঙ্ক প্রিভিউ অপশনেও আপগ্রেডেশন এসেছে।
স্ট্যাটাসের জন্যও নতুন স্টিকার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা এতে গান, ইন্টারেক্টিভ স্টিকার এবং প্রশ্ন যোগ করতে পারবেন। সেখানে অন্যরা উত্তর দিতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রশ্ন করার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। এই ফিচার চ্যানেলের অডিয়েন্সদের সঙ্গে চ্যানেলের পরিচালনাকারীদের সঙ্গে আরও উচ্চমাত্রার সংযোগ স্থাপন এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে মেটা–মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম।

বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত ভয়েসমেইলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সহায়তা করবে।
যাকে কল করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কল রিসিভ না করলে, ওই কলের মিসড কল নোটিফিকেশনের সঙ্গে একটি ভয়েস বা ভিডিও রেকর্ড করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন ফিচার। কলের ধরন অনুযায়ী কলদাতা ভয়েস বা ভিডিও এ দু ধরনের নোটই এক ট্যাপেই রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলিত ভয়েসমেইল ব্যবস্থাকে অতীত করে দেবে।’
ব্যবহারকারীরা এখন ভয়েস চ্যাটেও ‘cheers!’ -এর মতো নতুন রিঅ্যাকশন ব্যবহার করতে পারবেন, যা বাকিদের আলাপ থামাবে না। পাশাপাশি, ভিডিও কলে এখন বক্তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রাধিকার পাবে।
এদিকে মেটা-এআই দিয়ে ছবি তৈরির সুবিধাতেও আরও নতুনত্ব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থির ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করার মতো অ্যানিমেশন সুবিধা এবং আরও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
এখন এতে ফ্লাক্স (Flux) এবং মিডজার্নি (Midjourney)–এর নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেলের সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। বছর শেষে বা ছুটির সময়ের শুভেচ্ছাবার্তার মতো ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই আপগ্রেডেশন বেশ সাহায্য করবে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।
মেটা এআই–এর নতুন সক্ষমতার মধ্যে ছবি অ্যানিমেশনও যুক্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছবি প্রম্পট এবং বার্তার ভিত্তিতে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। ডেস্কটপে, ডকুমেন্ট, লিঙ্ক ও মিডিয়া সহজে আলাদা করার জন্য নতুন মিডিয়া ট্যাবও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া লিঙ্ক প্রিভিউ অপশনেও আপগ্রেডেশন এসেছে।
স্ট্যাটাসের জন্যও নতুন স্টিকার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা এতে গান, ইন্টারেক্টিভ স্টিকার এবং প্রশ্ন যোগ করতে পারবেন। সেখানে অন্যরা উত্তর দিতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রশ্ন করার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। এই ফিচার চ্যানেলের অডিয়েন্সদের সঙ্গে চ্যানেলের পরিচালনাকারীদের সঙ্গে আরও উচ্চমাত্রার সংযোগ স্থাপন এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে মেটা–মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম।

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
০৮ মার্চ ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
১৫ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে যেমন হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্যদিকে কিশোর ব্যবহারকারীদের একটি অংশ এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকার ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস নিশ্চিত করেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৬ বছরের কম বয়সী হিসেবে চিহ্নিত দুই লক্ষাধিক টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় (ডিঅ্যাক্টিভেট) করা হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে আইনটির তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা প্রমাণ করে। তবে মজার বিষয় হলো, অনেক ব্যবহারকারী যারা নিজেদের ১৬-এর নিচে বলে দাবি করছে, তারা এখনো প্ল্যাটফর্মে রয়ে গেছে এবং নিজেদের টিকে থাকার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বার্তাগুলো নজর কাড়ছে। এক টিকটক ব্যবহারকারী একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সরাসরি লিখেছে, ‘প্রিয় অ্যান্থনি আলবানিজ, আমি আপনার নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে গেছি।’ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন ভরে গেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মন্তব্যে, যারা দাবি করছে যে তারা ১৬ বছরের কম হওয়া সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্মে এখনো সক্রিয় রয়েছে।
কেউ কেউ তো সময় উল্লেখ করে তাদের ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে। সাধারণ মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘আমরা এখনো বহাল তবিয়তে আছি, এখন ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮: ০৫।’ এমনকি কেউ কেউ এলটন জনের জনপ্রিয় গান ‘আই অ্যাম স্টিল স্ট্যান্ডিং’-এর একটি লাইন উদ্ধৃত করে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ঘোষণা করেছে।
অনেকে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে বের করে দিলেও, তারা গোপন ব্যাক-আপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছে। প্রযুক্তিগত এই ফাঁক গলে কেউ কেউ স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রামের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হলেও টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের টিকটক অ্যাকাউন্টও এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার মাত্র ১০ ঘণ্টা পর তিনি এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, এটি ‘ইতিমধ্যেই সফল’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞাটির ব্যর্থতা নিয়ে বার্তাবর্ষণ করেছে।
আলবানিজের একটি টিকটক ভিডিওর নিচে সরাসরি এক ব্যবহারকারী লিখেছে, ‘আরে বন্ধু, এখনো এখানে আছি।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে লিখেছে, ‘এটা কাজ করেনি ব্রো, আমি এখনো এখানে।’
এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করে যে, সরকারের প্রাথমিক সফলতা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনকে পাশ কাটানোর প্রবণতা জোরদার।
খোদ বয়স যাচাইকরণের পদ্ধতি নিয়েই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট কোনো নির্দিষ্ট বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির সুপারিশ করেননি। তিনি বরং একটি ‘ওয়াটারফল পদ্ধতি’ ব্যবহারের কথা বলেছেন, যেখানে সরকারি আইডি আপলোড করা ছাড়াও আরও একাধিক বিকল্প থাকবে। যদিও বয়স অনুমানকারী ফেশিয়াল স্ক্যান প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে পক্ষপাতিত্ব এবং শিশুদের মুখ চেনার ক্ষেত্রে নির্ভুলতার অভাব দেখা যায়।
কমিশনার ইনম্যান গ্রান্ট অবশ্য বাস্তববাদী। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ধরনের বৃহৎ সিস্টেমে রাতারাতি শতভাগ সাফল্য আশা করা যায় না। তিনি বলেন, এখানে প্রযুক্তির কিছু দুর্বলতা থাকবে, এই বৃহৎ সিস্টেমগুলোতে পরিবর্তন আনতে সময় লাগে। আমরা কিছু অনিয়ম দেখতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
আইনের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের বা তাদের অভিভাবকদের কোনো শাস্তি হবে না। আইন মেনে চলার পুরো দায়িত্বটি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর বর্তায়। তাদেরই ব্যবহারকারীর বয়স নিশ্চিত করতে হবে এবং ১৬ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টকে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
ই-সেফটি কমিশনার আরও আশা করেন, প্ল্যাটফর্মগুলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)-এর মতো কৌশলও শনাক্ত করবে। ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা লুকিয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান গোপন করতে সাহায্য করে ভিপিএন।
এদিকে যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের প্রিয় অ্যাপ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, তারা এখন অন্য প্ল্যাটফর্মে আশ্রয় খুঁজছে। আজ সকালে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ তিনটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল Lemon 8, Yope, এবং Coverstar। এই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে এবং এগুলো আপাতত ই-সেফটি কমিশনারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই।
মন্ত্রী ওয়েলস এই প্রবণতা নিয়েও সতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় নিষিদ্ধ হওয়া ব্যবহারকারীরা Lemon8-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিড় করছে এবং সেখানে ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তবে সেগুলোকেও তালিকায় যোগ করতে তিনি এক মুহূর্তও দেরি করবেন না।

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে যেমন হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্যদিকে কিশোর ব্যবহারকারীদের একটি অংশ এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকার ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস নিশ্চিত করেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৬ বছরের কম বয়সী হিসেবে চিহ্নিত দুই লক্ষাধিক টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় (ডিঅ্যাক্টিভেট) করা হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে আইনটির তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা প্রমাণ করে। তবে মজার বিষয় হলো, অনেক ব্যবহারকারী যারা নিজেদের ১৬-এর নিচে বলে দাবি করছে, তারা এখনো প্ল্যাটফর্মে রয়ে গেছে এবং নিজেদের টিকে থাকার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বার্তাগুলো নজর কাড়ছে। এক টিকটক ব্যবহারকারী একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সরাসরি লিখেছে, ‘প্রিয় অ্যান্থনি আলবানিজ, আমি আপনার নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে গেছি।’ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন ভরে গেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মন্তব্যে, যারা দাবি করছে যে তারা ১৬ বছরের কম হওয়া সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্মে এখনো সক্রিয় রয়েছে।
কেউ কেউ তো সময় উল্লেখ করে তাদের ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে। সাধারণ মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘আমরা এখনো বহাল তবিয়তে আছি, এখন ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮: ০৫।’ এমনকি কেউ কেউ এলটন জনের জনপ্রিয় গান ‘আই অ্যাম স্টিল স্ট্যান্ডিং’-এর একটি লাইন উদ্ধৃত করে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ঘোষণা করেছে।
অনেকে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে বের করে দিলেও, তারা গোপন ব্যাক-আপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছে। প্রযুক্তিগত এই ফাঁক গলে কেউ কেউ স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রামের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হলেও টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের টিকটক অ্যাকাউন্টও এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার মাত্র ১০ ঘণ্টা পর তিনি এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, এটি ‘ইতিমধ্যেই সফল’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞাটির ব্যর্থতা নিয়ে বার্তাবর্ষণ করেছে।
আলবানিজের একটি টিকটক ভিডিওর নিচে সরাসরি এক ব্যবহারকারী লিখেছে, ‘আরে বন্ধু, এখনো এখানে আছি।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে লিখেছে, ‘এটা কাজ করেনি ব্রো, আমি এখনো এখানে।’
এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করে যে, সরকারের প্রাথমিক সফলতা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনকে পাশ কাটানোর প্রবণতা জোরদার।
খোদ বয়স যাচাইকরণের পদ্ধতি নিয়েই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট কোনো নির্দিষ্ট বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির সুপারিশ করেননি। তিনি বরং একটি ‘ওয়াটারফল পদ্ধতি’ ব্যবহারের কথা বলেছেন, যেখানে সরকারি আইডি আপলোড করা ছাড়াও আরও একাধিক বিকল্প থাকবে। যদিও বয়স অনুমানকারী ফেশিয়াল স্ক্যান প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে পক্ষপাতিত্ব এবং শিশুদের মুখ চেনার ক্ষেত্রে নির্ভুলতার অভাব দেখা যায়।
কমিশনার ইনম্যান গ্রান্ট অবশ্য বাস্তববাদী। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ধরনের বৃহৎ সিস্টেমে রাতারাতি শতভাগ সাফল্য আশা করা যায় না। তিনি বলেন, এখানে প্রযুক্তির কিছু দুর্বলতা থাকবে, এই বৃহৎ সিস্টেমগুলোতে পরিবর্তন আনতে সময় লাগে। আমরা কিছু অনিয়ম দেখতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
আইনের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের বা তাদের অভিভাবকদের কোনো শাস্তি হবে না। আইন মেনে চলার পুরো দায়িত্বটি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর বর্তায়। তাদেরই ব্যবহারকারীর বয়স নিশ্চিত করতে হবে এবং ১৬ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টকে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
ই-সেফটি কমিশনার আরও আশা করেন, প্ল্যাটফর্মগুলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)-এর মতো কৌশলও শনাক্ত করবে। ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা লুকিয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান গোপন করতে সাহায্য করে ভিপিএন।
এদিকে যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের প্রিয় অ্যাপ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, তারা এখন অন্য প্ল্যাটফর্মে আশ্রয় খুঁজছে। আজ সকালে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ তিনটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল Lemon 8, Yope, এবং Coverstar। এই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে এবং এগুলো আপাতত ই-সেফটি কমিশনারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই।
মন্ত্রী ওয়েলস এই প্রবণতা নিয়েও সতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় নিষিদ্ধ হওয়া ব্যবহারকারীরা Lemon8-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিড় করছে এবং সেখানে ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তবে সেগুলোকেও তালিকায় যোগ করতে তিনি এক মুহূর্তও দেরি করবেন না।

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
০৮ মার্চ ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
১৫ ঘণ্টা আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
১৭ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’
অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।
এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।
বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’
অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।
এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।
বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
০৮ মার্চ ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
১৫ ঘণ্টা আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
১৭ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৩ দিন আগে