অনলাইন ডেস্ক
বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুল ব্যবহার করছে রাশিয়া, ইসরায়েল, চীন ও ইরান। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওপেনএআইয়ের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এসব তথ্য জানিয়েছে।
এআই টুলগুলো প্রভাব বিস্তারের জন্য কীভাবে গোপনীয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এই চারটি দেশ থেকে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মজুড়ে ভুয়া প্রচারের জন্য কনটেন্ট তৈরি ও এগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করতে ওপেনএআইয়ের জেনারেটিভ এআই মডেলগুলো ব্যবহার করে দুষ্কৃতকারীরা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রচারণাই বিপুলসংখ্যক শ্রোতা, দর্শক বা পাঠকের কাছে পৌঁছায়নি।
যেহেতু জেনারেটিভ এআই একটি ক্রমবর্ধমান শিল্পে পরিণত হয়েছে, তাই অনলাইন বিভ্রান্তির তথ্যের পরিমাণ ও গুণমান বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে গবেষক এবং আইন প্রণেতাদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এসব উদ্বেগ দূর করার জন্য তাদের প্রযুক্তিতে বিভিন্ন সুরক্ষাব্যবস্থা যুক্ত করার চেষ্টা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানিগুলো (যেমন—চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটের প্রস্তুতকারক ওপেনএআই)।
ওপেনএআইয়ের প্রতিবেদনটি ৩৯ পৃষ্ঠার। গত তিন মাসে পাঁচটি প্রভাব বিস্তারকারী ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছেন কোম্পানিটির গবেষকেরা। এসব অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করে ওপেনএআই। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এসব দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তিও জড়িত।
রাশিয়ার দুটি কার্যক্রম চিহ্নিত করে ওপেনএআই। এর মধ্যে একটি হলো—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও বেশ কয়েকটি বাল্টিক দেশের সমালোচনা করে কনটেন্ট তৈরি করে এবং ছড়িয়ে দেয়।
আরেকটি ক্ষেত্রে কোডের ত্রুটি দূর করার জন্য ও টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি বট তৈরি করতে ওপেনএআইয়ের এআই মডেল ব্যবহার করে রাশিয়া।
এআই টুল ব্যবহার করে ইংরেজি, চায়নিজ, জাপানিজ এবং কোরিয়ার ভাষায় টেক্সট তৈরি করে চীন। এরপর সেগুলো এক্স (সাবেক টুইটার) ও অন্য প্ল্যাটফর্ম ছড়িয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য এআই ব্যবহার করে পুরো ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করেন ইরানিরা। এরপর সেগুলো ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করে।
ইসরায়েলি কোম্পানি ‘স্টোয়িক’ এসব প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত বলে প্রমাণ পেয়েছে ওপেনএআই। এই কোম্পানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ছড়ায়। যেমন—গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে মার্কিন ছাত্রদের বিক্ষোভকে ইহুদিবিরোধী বলে পোস্ট করে।
ওপেনএআইয়ের প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন বেশ কয়েকটি বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে ইতিমধ্যেই গবেষক ও কর্তৃপক্ষ জানতেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এসব কার্যক্রমে কিছু মাত্রায় এআই ব্যবহার করে, কিন্তু কেউই এটি একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করেনি। এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্ট ছাড়াও অনেক ধরনের কনটেন্ট এসব প্রচারণার জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন—কোনো ব্যক্তির লেখা টেক্সট বা ইন্টারনেট থেকে কপি মিম।’
গত বছর ধরে রাজনীতি ও জনমতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করেছে দুষ্কৃতকারীরা। বিভিন্ন দেশের নির্বাচনী প্রচারাভিযানকে ব্যাহত করার জন্য ডিপফেক অডিও, এআই দিয়ে তৈরি ইমেজ ও টেক্সটভিত্তিক নিযুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে ওপেনএআইয়ের মতো কোম্পানিগুলো ওপর তাদের টুলগুলোর ব্যবহার সীমিত করার জন্য চাপ বেড়েছে।
প্রভাব বিস্তারকারী ক্রিয়াকলাপের নিয়ে অনুরূপ প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে ওপেনএআইয়ের। সেই সঙ্গে কোম্পানির নীতিগুলো লঙ্ঘন করে এমন অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুল ব্যবহার করছে রাশিয়া, ইসরায়েল, চীন ও ইরান। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওপেনএআইয়ের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এসব তথ্য জানিয়েছে।
এআই টুলগুলো প্রভাব বিস্তারের জন্য কীভাবে গোপনীয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এই চারটি দেশ থেকে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মজুড়ে ভুয়া প্রচারের জন্য কনটেন্ট তৈরি ও এগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করতে ওপেনএআইয়ের জেনারেটিভ এআই মডেলগুলো ব্যবহার করে দুষ্কৃতকারীরা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রচারণাই বিপুলসংখ্যক শ্রোতা, দর্শক বা পাঠকের কাছে পৌঁছায়নি।
যেহেতু জেনারেটিভ এআই একটি ক্রমবর্ধমান শিল্পে পরিণত হয়েছে, তাই অনলাইন বিভ্রান্তির তথ্যের পরিমাণ ও গুণমান বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে গবেষক এবং আইন প্রণেতাদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এসব উদ্বেগ দূর করার জন্য তাদের প্রযুক্তিতে বিভিন্ন সুরক্ষাব্যবস্থা যুক্ত করার চেষ্টা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানিগুলো (যেমন—চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটের প্রস্তুতকারক ওপেনএআই)।
ওপেনএআইয়ের প্রতিবেদনটি ৩৯ পৃষ্ঠার। গত তিন মাসে পাঁচটি প্রভাব বিস্তারকারী ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছেন কোম্পানিটির গবেষকেরা। এসব অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করে ওপেনএআই। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এসব দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তিও জড়িত।
রাশিয়ার দুটি কার্যক্রম চিহ্নিত করে ওপেনএআই। এর মধ্যে একটি হলো—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও বেশ কয়েকটি বাল্টিক দেশের সমালোচনা করে কনটেন্ট তৈরি করে এবং ছড়িয়ে দেয়।
আরেকটি ক্ষেত্রে কোডের ত্রুটি দূর করার জন্য ও টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি বট তৈরি করতে ওপেনএআইয়ের এআই মডেল ব্যবহার করে রাশিয়া।
এআই টুল ব্যবহার করে ইংরেজি, চায়নিজ, জাপানিজ এবং কোরিয়ার ভাষায় টেক্সট তৈরি করে চীন। এরপর সেগুলো এক্স (সাবেক টুইটার) ও অন্য প্ল্যাটফর্ম ছড়িয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য এআই ব্যবহার করে পুরো ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করেন ইরানিরা। এরপর সেগুলো ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করে।
ইসরায়েলি কোম্পানি ‘স্টোয়িক’ এসব প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত বলে প্রমাণ পেয়েছে ওপেনএআই। এই কোম্পানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ছড়ায়। যেমন—গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে মার্কিন ছাত্রদের বিক্ষোভকে ইহুদিবিরোধী বলে পোস্ট করে।
ওপেনএআইয়ের প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন বেশ কয়েকটি বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে ইতিমধ্যেই গবেষক ও কর্তৃপক্ষ জানতেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এসব কার্যক্রমে কিছু মাত্রায় এআই ব্যবহার করে, কিন্তু কেউই এটি একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করেনি। এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্ট ছাড়াও অনেক ধরনের কনটেন্ট এসব প্রচারণার জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন—কোনো ব্যক্তির লেখা টেক্সট বা ইন্টারনেট থেকে কপি মিম।’
গত বছর ধরে রাজনীতি ও জনমতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করেছে দুষ্কৃতকারীরা। বিভিন্ন দেশের নির্বাচনী প্রচারাভিযানকে ব্যাহত করার জন্য ডিপফেক অডিও, এআই দিয়ে তৈরি ইমেজ ও টেক্সটভিত্তিক নিযুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে ওপেনএআইয়ের মতো কোম্পানিগুলো ওপর তাদের টুলগুলোর ব্যবহার সীমিত করার জন্য চাপ বেড়েছে।
প্রভাব বিস্তারকারী ক্রিয়াকলাপের নিয়ে অনুরূপ প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে ওপেনএআইয়ের। সেই সঙ্গে কোম্পানির নীতিগুলো লঙ্ঘন করে এমন অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
যখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
১৩ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
১৮ ঘণ্টা আগেচীনের ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তাঁর মতে, মডেলটি ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্ভাবন’ হিসেবে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় কুক এই মন্তব্য করে।
১৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ
২০ ঘণ্টা আগে