অনলাইন ডেস্ক
চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর বোন অ্যানি অল্টম্যান (৩০)। তিনি বলেন, ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সালের শৈশবকালীন তার ওপর নিয়মিত এই নির্যাতন ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির ফেডারেল আদালতে গত সোমবার দায়ের করা এক মামলায় এসব অভিযোগ করেন অ্যানি। তবে এই মামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বোনকে ‘মানসিক রোগী’ বললেন স্যাম অল্টম্যান ও তাঁর পরিবার।
মামলায় বলা হয়েছে, নির্যাতন শুরু হয়েছিল যখন অ্যানির বয়স তিন বছর এবং অল্টম্যানের বয়স ১২ বছর। এমনকি স্যাম অল্টম্যান পূর্ণবয়স্ক হওয়ার পরেও এই নির্যাতন চালিয়ে যান। এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার আরেক ভাইয়ের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন অ্যানি অল্টম্যান।
মামলাটিতে একটি জুরি ট্রায়াল এবং ৭৫ হাজার ডলারের অধিক ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে স্যাম অল্টম্যান দাবি করেছেন, এসব অভিযোগ ‘গভীরভাবে দুঃখজনক এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মের এক পোস্টে স্যাম অল্টম্যান বলেন, ‘আমার বোন আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এখানে আমার মা, ভাই এবং আমার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি রয়েছে।’
মামলার অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করেছেন অল্টম্যানের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলেন, বেশ কিছু বছর ধরে অ্যানির মানসিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার কারণে তাঁরা তাঁর সুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। অল্টম্যান পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অ্যানিকে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে—কয়েক বছর ধরে তাঁকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া।
এই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পরও সে আরও টাকা দাবি করে যাচ্ছে। আমরা তার গোপনীয়তা এবং নিজেদের সম্মানের ভয়ে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাইনি। তবে এখন স্যামের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে অ্যানি এবং আমাদের মনে হচ্ছে যে, আমাদের এটি মোকাবিলা করার ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বছরের পর বছর ধরে স্যাম অল্টম্যানের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তাঁদের বাবার ৪ লাখ ১ হাজার ডলার পেনশন তহবিল অন্যায়ভাবে আটকে রাখার, তার ওয়াইফাই হ্যাক করার এবং চ্যাটজিপিটি, টুইটারসহ আরও অনেক ওয়েবসাইট থেকে তাঁকে ‘নিষিদ্ধ’ করার অভিযোগ এনেছেন। তবে তাঁর সবচেয়ে খারাপ অভিযোগ হলো—ছোটবেলায় স্যাম তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন (সে অন্যদের কাছ থেকে যৌন নির্যাতনের ঘটনাও দাবি করেছে)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার দাবিগুলো নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন হয়েছে।
২০২৩ সালে নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত স্যাম অল্টম্যানকে নিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘকাল তার বোনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই স্যাম অল্টম্যানের। যদিও তার ভাইদের সম্পর্কে প্রায়ই কথা বলেন অল্টম্যান। তবে জনসমক্ষে খুব কমই তার বোনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ওই প্রতিবেদনে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অল্টম্যান একাধিকবার অ্যানিকে টাকা, উপহার, এমনকি একটি বাড়ি কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রতিবেদন সেই সব উদ্বেগের প্রতিফলন, যা অল্টম্যান তার গত মঙ্গলবারের বিবৃতিতে অ্যানির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় উল্লেখ করেছিলেন।
এতে অ্যানির ব্যক্তিগত জীবনের অস্থিরতা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি এক বছরে ২০টি স্থান পরিবর্তন করেছিলেন। ২০১৮ সালে তাঁদের বাবা জেরির মৃত্যু অ্যানির মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।
প্রসঙ্গত, খুব কম সময়ের মধ্যে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছেন ৩৮ বছর বয়সী স্যাম। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চ্যাটবট গত কয়েক বছরে অনেক চমকপ্রদ কাজ করে দেখিয়েছে। কবিতা লেখা, গল্প রচনা, অ্যাপ্লিকেশন তৈরি এবং পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া—এসব কাজ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন করে ফেলে এই এআই চ্যাটবট।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর বোন অ্যানি অল্টম্যান (৩০)। তিনি বলেন, ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সালের শৈশবকালীন তার ওপর নিয়মিত এই নির্যাতন ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির ফেডারেল আদালতে গত সোমবার দায়ের করা এক মামলায় এসব অভিযোগ করেন অ্যানি। তবে এই মামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বোনকে ‘মানসিক রোগী’ বললেন স্যাম অল্টম্যান ও তাঁর পরিবার।
মামলায় বলা হয়েছে, নির্যাতন শুরু হয়েছিল যখন অ্যানির বয়স তিন বছর এবং অল্টম্যানের বয়স ১২ বছর। এমনকি স্যাম অল্টম্যান পূর্ণবয়স্ক হওয়ার পরেও এই নির্যাতন চালিয়ে যান। এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার আরেক ভাইয়ের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন অ্যানি অল্টম্যান।
মামলাটিতে একটি জুরি ট্রায়াল এবং ৭৫ হাজার ডলারের অধিক ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে স্যাম অল্টম্যান দাবি করেছেন, এসব অভিযোগ ‘গভীরভাবে দুঃখজনক এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মের এক পোস্টে স্যাম অল্টম্যান বলেন, ‘আমার বোন আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এখানে আমার মা, ভাই এবং আমার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি রয়েছে।’
মামলার অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করেছেন অল্টম্যানের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলেন, বেশ কিছু বছর ধরে অ্যানির মানসিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার কারণে তাঁরা তাঁর সুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। অল্টম্যান পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অ্যানিকে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে—কয়েক বছর ধরে তাঁকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া।
এই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পরও সে আরও টাকা দাবি করে যাচ্ছে। আমরা তার গোপনীয়তা এবং নিজেদের সম্মানের ভয়ে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাইনি। তবে এখন স্যামের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে অ্যানি এবং আমাদের মনে হচ্ছে যে, আমাদের এটি মোকাবিলা করার ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বছরের পর বছর ধরে স্যাম অল্টম্যানের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তাঁদের বাবার ৪ লাখ ১ হাজার ডলার পেনশন তহবিল অন্যায়ভাবে আটকে রাখার, তার ওয়াইফাই হ্যাক করার এবং চ্যাটজিপিটি, টুইটারসহ আরও অনেক ওয়েবসাইট থেকে তাঁকে ‘নিষিদ্ধ’ করার অভিযোগ এনেছেন। তবে তাঁর সবচেয়ে খারাপ অভিযোগ হলো—ছোটবেলায় স্যাম তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন (সে অন্যদের কাছ থেকে যৌন নির্যাতনের ঘটনাও দাবি করেছে)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার দাবিগুলো নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন হয়েছে।
২০২৩ সালে নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত স্যাম অল্টম্যানকে নিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘকাল তার বোনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই স্যাম অল্টম্যানের। যদিও তার ভাইদের সম্পর্কে প্রায়ই কথা বলেন অল্টম্যান। তবে জনসমক্ষে খুব কমই তার বোনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ওই প্রতিবেদনে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অল্টম্যান একাধিকবার অ্যানিকে টাকা, উপহার, এমনকি একটি বাড়ি কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রতিবেদন সেই সব উদ্বেগের প্রতিফলন, যা অল্টম্যান তার গত মঙ্গলবারের বিবৃতিতে অ্যানির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় উল্লেখ করেছিলেন।
এতে অ্যানির ব্যক্তিগত জীবনের অস্থিরতা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি এক বছরে ২০টি স্থান পরিবর্তন করেছিলেন। ২০১৮ সালে তাঁদের বাবা জেরির মৃত্যু অ্যানির মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।
প্রসঙ্গত, খুব কম সময়ের মধ্যে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছেন ৩৮ বছর বয়সী স্যাম। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চ্যাটবট গত কয়েক বছরে অনেক চমকপ্রদ কাজ করে দেখিয়েছে। কবিতা লেখা, গল্প রচনা, অ্যাপ্লিকেশন তৈরি এবং পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া—এসব কাজ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন করে ফেলে এই এআই চ্যাটবট।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
যখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
৫ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
১০ ঘণ্টা আগেচীনের ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তাঁর মতে, মডেলটি ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্ভাবন’ হিসেবে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় কুক এই মন্তব্য করে।
১২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ
১২ ঘণ্টা আগে