প্রযুক্তি ডেস্ক

স্যাটেলাইট বা ক্যাবল ডিস ছাড়া সব টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকেরা। এত দিন এই বিষয়টি পরিকল্পনার মধ্যে থাকলেও এবার বাস্তবে ঘটতে যাচ্ছে । যুক্তরাজ্যের স্কাই টিভির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্যাটেলাইট ডিস ছাড়াই সব টিভির অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে। স্কাই টিভি ইন্টারনেট প্রযুক্তির সহায়তায় এই কাজটি করতে যাচ্ছে।
তাদের উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিগুলো হচ্ছে এক ধরনের ইন্টারনেট টিভি।
১৮ অক্টোবর,২০২১ থেকে বৃটিশ মার্কেটে টিভিগুলো পাওয়া যাবে। আগামী বছর থেকে অন্যান্য মার্কেটে এই বিশেষ টিভিগুলো পাওয়া যাবে।এই টিভিগুলোকে বলা হচ্ছে স্কাই গ্লাস।
স্কাই গ্লাস টিভিগুলোতে কোনো বাহ্যিক বক্সের প্রয়োজন হয় না। বিল্ট ইন ডলবি এটমোস থাকার কারণে কোনো সাউন্ড বারের প্রয়োজন হয় না।৪৩ ইঞ্চি, ৫৫ ইঞ্চি, ৬৫ ইঞ্চি এই তিন সাইজে টিভিগুলো পাওয়া যাবে। টিভিগুলোতে ৪কে আল্ট্রা হাই ডেফিনেশন কোয়ান্টাম ডট স্ক্রিন থাকবে। সঙ্গে থাকবে ভয়েচ অ্যাক্টিভেটেড ইন্টারফেস এবং পাঁচটি রঙে পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, স্কাই টিভিগুলোতে কনটেন্ট দেখার জন্য স্কাই সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া স্কাই টিভিগুলোতে বিবিসি আইপ্লেয়ার, আমাজন, নেটফ্লিক্স, ডিজনি প্লাস, আইটিভি হাব এবং অল৪ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্কাই হচ্ছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার। তারা যে কনটেন্ট স্ট্রিম করবে তা স্যাটেলাইট ডিশ ছাড়া দেখা যাবে। বলা হচ্ছে যে, কোনো চ্যানেল বা ব্রডকাস্টার ইন্টারনেট টিভির সহায়তায় ভবিষ্যতে তাদের দর্শকদের স্যাটেলাইট ডিস ছাড়াই কনটেন্ট সরবরাহ করতে পারবে। এজন্য দর্শকদেরকে শুধুমাত্র সাবস্ক্রাইব করে তাদের গ্রাহক হলেই চলবে।

স্যাটেলাইট বা ক্যাবল ডিস ছাড়া সব টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকেরা। এত দিন এই বিষয়টি পরিকল্পনার মধ্যে থাকলেও এবার বাস্তবে ঘটতে যাচ্ছে । যুক্তরাজ্যের স্কাই টিভির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্যাটেলাইট ডিস ছাড়াই সব টিভির অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে। স্কাই টিভি ইন্টারনেট প্রযুক্তির সহায়তায় এই কাজটি করতে যাচ্ছে।
তাদের উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিগুলো হচ্ছে এক ধরনের ইন্টারনেট টিভি।
১৮ অক্টোবর,২০২১ থেকে বৃটিশ মার্কেটে টিভিগুলো পাওয়া যাবে। আগামী বছর থেকে অন্যান্য মার্কেটে এই বিশেষ টিভিগুলো পাওয়া যাবে।এই টিভিগুলোকে বলা হচ্ছে স্কাই গ্লাস।
স্কাই গ্লাস টিভিগুলোতে কোনো বাহ্যিক বক্সের প্রয়োজন হয় না। বিল্ট ইন ডলবি এটমোস থাকার কারণে কোনো সাউন্ড বারের প্রয়োজন হয় না।৪৩ ইঞ্চি, ৫৫ ইঞ্চি, ৬৫ ইঞ্চি এই তিন সাইজে টিভিগুলো পাওয়া যাবে। টিভিগুলোতে ৪কে আল্ট্রা হাই ডেফিনেশন কোয়ান্টাম ডট স্ক্রিন থাকবে। সঙ্গে থাকবে ভয়েচ অ্যাক্টিভেটেড ইন্টারফেস এবং পাঁচটি রঙে পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, স্কাই টিভিগুলোতে কনটেন্ট দেখার জন্য স্কাই সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া স্কাই টিভিগুলোতে বিবিসি আইপ্লেয়ার, আমাজন, নেটফ্লিক্স, ডিজনি প্লাস, আইটিভি হাব এবং অল৪ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্কাই হচ্ছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার। তারা যে কনটেন্ট স্ট্রিম করবে তা স্যাটেলাইট ডিশ ছাড়া দেখা যাবে। বলা হচ্ছে যে, কোনো চ্যানেল বা ব্রডকাস্টার ইন্টারনেট টিভির সহায়তায় ভবিষ্যতে তাদের দর্শকদের স্যাটেলাইট ডিস ছাড়াই কনটেন্ট সরবরাহ করতে পারবে। এজন্য দর্শকদেরকে শুধুমাত্র সাবস্ক্রাইব করে তাদের গ্রাহক হলেই চলবে।
প্রযুক্তি ডেস্ক

স্যাটেলাইট বা ক্যাবল ডিস ছাড়া সব টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকেরা। এত দিন এই বিষয়টি পরিকল্পনার মধ্যে থাকলেও এবার বাস্তবে ঘটতে যাচ্ছে । যুক্তরাজ্যের স্কাই টিভির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্যাটেলাইট ডিস ছাড়াই সব টিভির অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে। স্কাই টিভি ইন্টারনেট প্রযুক্তির সহায়তায় এই কাজটি করতে যাচ্ছে।
তাদের উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিগুলো হচ্ছে এক ধরনের ইন্টারনেট টিভি।
১৮ অক্টোবর,২০২১ থেকে বৃটিশ মার্কেটে টিভিগুলো পাওয়া যাবে। আগামী বছর থেকে অন্যান্য মার্কেটে এই বিশেষ টিভিগুলো পাওয়া যাবে।এই টিভিগুলোকে বলা হচ্ছে স্কাই গ্লাস।
স্কাই গ্লাস টিভিগুলোতে কোনো বাহ্যিক বক্সের প্রয়োজন হয় না। বিল্ট ইন ডলবি এটমোস থাকার কারণে কোনো সাউন্ড বারের প্রয়োজন হয় না।৪৩ ইঞ্চি, ৫৫ ইঞ্চি, ৬৫ ইঞ্চি এই তিন সাইজে টিভিগুলো পাওয়া যাবে। টিভিগুলোতে ৪কে আল্ট্রা হাই ডেফিনেশন কোয়ান্টাম ডট স্ক্রিন থাকবে। সঙ্গে থাকবে ভয়েচ অ্যাক্টিভেটেড ইন্টারফেস এবং পাঁচটি রঙে পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, স্কাই টিভিগুলোতে কনটেন্ট দেখার জন্য স্কাই সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া স্কাই টিভিগুলোতে বিবিসি আইপ্লেয়ার, আমাজন, নেটফ্লিক্স, ডিজনি প্লাস, আইটিভি হাব এবং অল৪ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্কাই হচ্ছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার। তারা যে কনটেন্ট স্ট্রিম করবে তা স্যাটেলাইট ডিশ ছাড়া দেখা যাবে। বলা হচ্ছে যে, কোনো চ্যানেল বা ব্রডকাস্টার ইন্টারনেট টিভির সহায়তায় ভবিষ্যতে তাদের দর্শকদের স্যাটেলাইট ডিস ছাড়াই কনটেন্ট সরবরাহ করতে পারবে। এজন্য দর্শকদেরকে শুধুমাত্র সাবস্ক্রাইব করে তাদের গ্রাহক হলেই চলবে।

স্যাটেলাইট বা ক্যাবল ডিস ছাড়া সব টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকেরা। এত দিন এই বিষয়টি পরিকল্পনার মধ্যে থাকলেও এবার বাস্তবে ঘটতে যাচ্ছে । যুক্তরাজ্যের স্কাই টিভির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্যাটেলাইট ডিস ছাড়াই সব টিভির অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে। স্কাই টিভি ইন্টারনেট প্রযুক্তির সহায়তায় এই কাজটি করতে যাচ্ছে।
তাদের উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিগুলো হচ্ছে এক ধরনের ইন্টারনেট টিভি।
১৮ অক্টোবর,২০২১ থেকে বৃটিশ মার্কেটে টিভিগুলো পাওয়া যাবে। আগামী বছর থেকে অন্যান্য মার্কেটে এই বিশেষ টিভিগুলো পাওয়া যাবে।এই টিভিগুলোকে বলা হচ্ছে স্কাই গ্লাস।
স্কাই গ্লাস টিভিগুলোতে কোনো বাহ্যিক বক্সের প্রয়োজন হয় না। বিল্ট ইন ডলবি এটমোস থাকার কারণে কোনো সাউন্ড বারের প্রয়োজন হয় না।৪৩ ইঞ্চি, ৫৫ ইঞ্চি, ৬৫ ইঞ্চি এই তিন সাইজে টিভিগুলো পাওয়া যাবে। টিভিগুলোতে ৪কে আল্ট্রা হাই ডেফিনেশন কোয়ান্টাম ডট স্ক্রিন থাকবে। সঙ্গে থাকবে ভয়েচ অ্যাক্টিভেটেড ইন্টারফেস এবং পাঁচটি রঙে পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, স্কাই টিভিগুলোতে কনটেন্ট দেখার জন্য স্কাই সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া স্কাই টিভিগুলোতে বিবিসি আইপ্লেয়ার, আমাজন, নেটফ্লিক্স, ডিজনি প্লাস, আইটিভি হাব এবং অল৪ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্কাই হচ্ছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার। তারা যে কনটেন্ট স্ট্রিম করবে তা স্যাটেলাইট ডিশ ছাড়া দেখা যাবে। বলা হচ্ছে যে, কোনো চ্যানেল বা ব্রডকাস্টার ইন্টারনেট টিভির সহায়তায় ভবিষ্যতে তাদের দর্শকদের স্যাটেলাইট ডিস ছাড়াই কনটেন্ট সরবরাহ করতে পারবে। এজন্য দর্শকদেরকে শুধুমাত্র সাবস্ক্রাইব করে তাদের গ্রাহক হলেই চলবে।

প্রতিদিনই নানা বিষয়ে জ্ঞান আহরণের জন্য ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির দ্বারস্থ হই আমরা। কোনো কিছু নিয়ে জানার আগ্রহ হলেই চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করে বসি। গত জুলাইয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসকে চ্যাটজিপিটি জানিয়েছিল, দিনে গড়ে ২৫০ কোটির বেশি প্রম্পট...
১ ঘণ্টা আগে
এখন থেকে ইউটিউব টিভিতে আর ইএসপিএন, এবিসি ও ডিজনির অন্যান্য চ্যানেলগুলো দেখা যাবে না। দীর্ঘ আলোচনার পরও লাইসেন্সিং চুক্তিতে সমঝোতা না হওয়ায় গুগল-মালিকানাধীন অনলাইন পে-টিভি প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব টিভিতে তাদের চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করছে বলে জানিয়েছে ডিজনি।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নিউটন কাউন্টির প্রান্তে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণ করার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা নলকূপর পানির ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
সরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ঠেকানো, আর্থিক জালিয়াতি ও চুরি নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রতিদিনই নানা বিষয়ে জ্ঞান আহরণের জন্য ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির দ্বারস্থ হই আমরা। কোনো কিছু নিয়ে জানার আগ্রহ হলেই চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করে বসি। গত জুলাইয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসকে চ্যাটজিপিটি জানিয়েছিল, দিনে গড়ে ২৫০ কোটির বেশি প্রম্পট বা প্রশ্ন পেয়ে থাকে তারা। এবার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রশ্নকর্তা যত রূঢ়ভাবে প্রশ্ন করে বা নির্দেশ (প্রম্পট) দেয়, চ্যাটজিপিটি তত নির্ভুল ও সঠিকভাবে উত্তর দিয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি (পেন স্টেট)-এর এক নতুন গবেষণায় এই ফল পাওয়া গেছে বলে ফরচুন ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
গবেষকেরা ওপেনএআইয়ের জিপিটি-৪ও (GPT-4 o) মডেলে ২৫০টির বেশি ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা (প্রম্পট) পরীক্ষা করেছেন। এগুলোর মধ্যে কিছু ছিল অত্যন্ত ভদ্র আর কিছু ছিল একেবারেই রূঢ় ভাষায়। এই পরীক্ষার ফল ছিল চমকপ্রদ।
পিয়ার-রিভিউ না হওয়া এই প্রি-প্রিন্ট গবেষণায় দেখা গেছে, অভদ্র বা সরাসরি নির্দেশ দিলে এআই মডেলটি সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। যখন চ্যাটজিপিটিকে ‘এই, এটা খুঁজে বের করে দাও’ (Hey, gofer, figure this out) এমন ধরনের রূঢ় প্রম্পটের মাধ্যমে কিছু খুঁজে বের করতে বলা হয়, তখন এর নির্ভুলতার মাত্রা ৮৪.৮ শতাংশে দাঁড়ায়। আবার যখন একে ‘আপনি কি দয়া করে এই প্রশ্নটির সমাধান করে দিতে পারেন?’ —এমন প্রম্পটে কিছু জানতে চাওয়া হয় তাঁর নির্ভুলতার মাত্রা রূঢ় প্রম্পটের প্রায় ৪ শতাংশ কম।
গবেষকদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো প্রম্পটের ভাষার ধরন ও নির্দেশনার গঠন অনুযায়ী ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় বলে এই ফলাফল ইঙ্গিত দেয়। এতে বোঝা যায়, মানুষ ও এআইয়ের মিথস্ক্রিয়ার জটিলতা আগে যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।
গবেষণার সহলেখক ও পেন স্টেটের অধ্যাপক অখিল কুমার বলেন, ‘একটি প্রশ্ন কীভাবে করা হচ্ছে, তার সামান্য পরিবর্তনও ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।’
তবে গবেষণায় সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। গবেষকদের মতে, রূঢ় প্রম্পট ব্যবহার ক্ষতিকর যোগাযোগের অভ্যাসকে উৎসাহিত করতে পারে এবং এআই ব্যবহারে অন্তর্ভুক্তি ও সহজপ্রাপ্যতা ব্যাহত হতে পারে।
যদিও এই ধরনের নির্দেশনায় পারফরম্যান্সের কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে, তবে গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, এআইয়ের সঙ্গে কথোপকথনে ‘অশালীন বা অশোভন ভাষা’ ব্যবহারকে স্বাভাবিক করে তোলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আগের গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, এআই চ্যাটবটগুলো ইনপুট বা নির্দেশনার মান ও টোনের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। কিছু ক্ষেত্রে বারবার নিম্নমানের কনটেন্টের সংস্পর্শে আসার ফলে তাদের উত্তর দেওয়ার দক্ষতা ধীরে ধীরে কমে গেছে। যাকে গবেষকেরা ‘ব্রেন রট’ বা মস্তিষ্কের ক্ষয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গবেষক অধ্যাপক অখিল কুমার ফরচুন ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘দীর্ঘকাল ধরে আমরা মানুষ-যন্ত্রের কথোপকথনমূলক ইন্টারফেস চাইছিলাম। কিন্তু এখন আমরা বুঝতে পারছি, এমন ইন্টারফেসেরও কিছু সীমাবদ্ধতা ও নেতিবাচক দিক আছে এবং কাঠামোবদ্ধ এপিআই ব্যবহারেরও আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।’
পেন স্টেটের এই গবেষণাটি কেবল এআইকে আমরা কী জিজ্ঞাসা করছি, তা নয়, বরং কীভাবে জিজ্ঞাসা করছি, সেটা বোঝার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। এটি মানব-এআই মিথস্ক্রিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নৈতিক প্রশ্নও উত্থাপন করেছে।

প্রতিদিনই নানা বিষয়ে জ্ঞান আহরণের জন্য ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির দ্বারস্থ হই আমরা। কোনো কিছু নিয়ে জানার আগ্রহ হলেই চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করে বসি। গত জুলাইয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসকে চ্যাটজিপিটি জানিয়েছিল, দিনে গড়ে ২৫০ কোটির বেশি প্রম্পট বা প্রশ্ন পেয়ে থাকে তারা। এবার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রশ্নকর্তা যত রূঢ়ভাবে প্রশ্ন করে বা নির্দেশ (প্রম্পট) দেয়, চ্যাটজিপিটি তত নির্ভুল ও সঠিকভাবে উত্তর দিয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি (পেন স্টেট)-এর এক নতুন গবেষণায় এই ফল পাওয়া গেছে বলে ফরচুন ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
গবেষকেরা ওপেনএআইয়ের জিপিটি-৪ও (GPT-4 o) মডেলে ২৫০টির বেশি ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা (প্রম্পট) পরীক্ষা করেছেন। এগুলোর মধ্যে কিছু ছিল অত্যন্ত ভদ্র আর কিছু ছিল একেবারেই রূঢ় ভাষায়। এই পরীক্ষার ফল ছিল চমকপ্রদ।
পিয়ার-রিভিউ না হওয়া এই প্রি-প্রিন্ট গবেষণায় দেখা গেছে, অভদ্র বা সরাসরি নির্দেশ দিলে এআই মডেলটি সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। যখন চ্যাটজিপিটিকে ‘এই, এটা খুঁজে বের করে দাও’ (Hey, gofer, figure this out) এমন ধরনের রূঢ় প্রম্পটের মাধ্যমে কিছু খুঁজে বের করতে বলা হয়, তখন এর নির্ভুলতার মাত্রা ৮৪.৮ শতাংশে দাঁড়ায়। আবার যখন একে ‘আপনি কি দয়া করে এই প্রশ্নটির সমাধান করে দিতে পারেন?’ —এমন প্রম্পটে কিছু জানতে চাওয়া হয় তাঁর নির্ভুলতার মাত্রা রূঢ় প্রম্পটের প্রায় ৪ শতাংশ কম।
গবেষকদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো প্রম্পটের ভাষার ধরন ও নির্দেশনার গঠন অনুযায়ী ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় বলে এই ফলাফল ইঙ্গিত দেয়। এতে বোঝা যায়, মানুষ ও এআইয়ের মিথস্ক্রিয়ার জটিলতা আগে যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।
গবেষণার সহলেখক ও পেন স্টেটের অধ্যাপক অখিল কুমার বলেন, ‘একটি প্রশ্ন কীভাবে করা হচ্ছে, তার সামান্য পরিবর্তনও ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।’
তবে গবেষণায় সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। গবেষকদের মতে, রূঢ় প্রম্পট ব্যবহার ক্ষতিকর যোগাযোগের অভ্যাসকে উৎসাহিত করতে পারে এবং এআই ব্যবহারে অন্তর্ভুক্তি ও সহজপ্রাপ্যতা ব্যাহত হতে পারে।
যদিও এই ধরনের নির্দেশনায় পারফরম্যান্সের কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে, তবে গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, এআইয়ের সঙ্গে কথোপকথনে ‘অশালীন বা অশোভন ভাষা’ ব্যবহারকে স্বাভাবিক করে তোলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আগের গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, এআই চ্যাটবটগুলো ইনপুট বা নির্দেশনার মান ও টোনের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। কিছু ক্ষেত্রে বারবার নিম্নমানের কনটেন্টের সংস্পর্শে আসার ফলে তাদের উত্তর দেওয়ার দক্ষতা ধীরে ধীরে কমে গেছে। যাকে গবেষকেরা ‘ব্রেন রট’ বা মস্তিষ্কের ক্ষয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গবেষক অধ্যাপক অখিল কুমার ফরচুন ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘দীর্ঘকাল ধরে আমরা মানুষ-যন্ত্রের কথোপকথনমূলক ইন্টারফেস চাইছিলাম। কিন্তু এখন আমরা বুঝতে পারছি, এমন ইন্টারফেসেরও কিছু সীমাবদ্ধতা ও নেতিবাচক দিক আছে এবং কাঠামোবদ্ধ এপিআই ব্যবহারেরও আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।’
পেন স্টেটের এই গবেষণাটি কেবল এআইকে আমরা কী জিজ্ঞাসা করছি, তা নয়, বরং কীভাবে জিজ্ঞাসা করছি, সেটা বোঝার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। এটি মানব-এআই মিথস্ক্রিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নৈতিক প্রশ্নও উত্থাপন করেছে।

স্যাটেলাইট বা ক্যাবল ডিস ছাড়া সব টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকেরা। এত দিন এই বিষয়টি পরিকল্পনার মধ্যে থাকলেও এবার বাস্তবে ঘটতে যাচ্ছে । যুক্তরাজ্যের স্কাই টিভির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্যাটেলাইট ডিস ছাড়াই সব টিভির অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে।
১২ অক্টোবর ২০২১
এখন থেকে ইউটিউব টিভিতে আর ইএসপিএন, এবিসি ও ডিজনির অন্যান্য চ্যানেলগুলো দেখা যাবে না। দীর্ঘ আলোচনার পরও লাইসেন্সিং চুক্তিতে সমঝোতা না হওয়ায় গুগল-মালিকানাধীন অনলাইন পে-টিভি প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব টিভিতে তাদের চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করছে বলে জানিয়েছে ডিজনি।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নিউটন কাউন্টির প্রান্তে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণ করার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা নলকূপর পানির ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
সরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ঠেকানো, আর্থিক জালিয়াতি ও চুরি নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এখন থেকে ইউটিউব টিভিতে আর ইএসপিএন, এবিসি ও ডিজনির অন্যান্য চ্যানেলগুলো দেখা যাবে না। দীর্ঘ আলোচনার পরও লাইসেন্সিং চুক্তিতে সমঝোতা না হওয়ায় গুগল-মালিকানাধীন অনলাইন পে-টিভি প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব টিভিতে তাদের চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করছে বলে জানিয়েছে ডিজনি।
ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি আরও জানায়, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে উপলব্ধ গুগলের মালিকানাধীন এই অনলাইন পে-টিভি প্ল্যাটফর্মটি তাদের কনটেন্টের জন্য ন্যায্য মূল্য দিতে অস্বীকার করেছে। এ কনটেন্টের তালিকায় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ও ডিজনি চ্যানেলও রয়েছে।
অন্যদিকে, ইউটিউব টিভি এক বিবৃতিতে বলেছে, ডিজনির প্রস্তাবিত শর্তগুলো তাদের গ্রাহকদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে, অথচ ডিজনির নিজস্ব লাইভ টিভি পণ্যগুলোকে সুবিধা দেবে।
উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনার পর নতুন চুক্তিতে পৌঁছানোর সময়সীমা অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ঠিক আগে চ্যানেলগুলো ইউটিউব টিভি থেকে উধাও হয়ে যায়। এই সম্প্রচার বন্ধের (ব্ল্যাকআউট) কারণে প্রায় ১ কোটি গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ইউটিউব টিভি জানিয়েছে, যদি ডিজনি চ্যানেলগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থগিত থাকে, তবে তারা গ্রাহকদের ২০ ডলার করে ক্রেডিট বা ছাড় দেবে।
এ মাসের শুরুর দিকে গুগল শেষ মুহূর্তে কমকাস্ট-মালিকানাধীন এনবিসিইউনিভার্সাল-এর সঙ্গে চুক্তি করে ’সানডে নাইট ফুটবল’-এর মতো অনুষ্ঠানগুলো ইউটিউব টিভিতে রাখতে সক্ষম হয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তারা প্যারামাউন্ট এবং ফক্সের সঙ্গেও চুক্তিতে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ইউটিউব ও ডিজনির মালিকানাধীন হুলু দেশটির সবচেয়ে বড় অনলাইন টিভি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম।
চলতি বছর একই বিষয়ে অন্যান্য কিছু মিডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ইউটিউবের অনুরূপ বিতর্কিত আলোচনা হয়েছিল, যার ফলে ইউটিউব টিভির গ্রাহকদের জন্য ওই সব চ্যানেল দেখার সুযোগ সীমিত হওয়ার হুমকি তৈরি করেছিল।
চলতি মাসের শুরুর দিকে গুগল শেষ মুহূর্তে কমকাস্টের মালিকানাধীন এনবিসি ইউনিভার্সালের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়, যার ফলে ‘সানডে নাইট ফুটবল’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলো ইউটিউব টিভিতে প্রচার অব্যাহত থাকে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি প্যারামাউন্ট ও ফক্সের সঙ্গেও সমঝোতায় পৌঁছেছে।
গুগল এবং ডিজনি উভয়ই পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউটিউব টিভিতে ডিজনি কনটেন্ট ফিরিয়ে আনতে তারা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ফি বা মূল্য নির্ধারণ নিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মতপার্থক্য এখনো রয়ে গেছে।
ডিজনির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যের মালিক গুগল বাজারে নিজেদের আধিপত্য ব্যবহার করে প্রতিযোগিতা দূর করতে চাচ্ছে এবং শিল্পে প্রচলিত সেই মানদণ্ডকে ভেঙে দিচ্ছে, যা আমরা অন্য সব পরিবেশকের সঙ্গে সফলভাবে চুক্তির মাধ্যমে বজায় রেখেছি।’
অন্যদিকে, ইউটিউব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ডিজনি এমন ‘ব্যয়বহুল আর্থিক শর্ত’ প্রস্তাব করেছে, যা ইউটিউব টিভির গ্রাহকদের জন্য মূল্য বৃদ্ধি এবং কনটেন্টের বিকল্প সীমিত করে ফেলবে। এর ফলে ডিজনির নিজস্ব লাইভ টিভি পরিষেবা, যেমন হুলু+ লাইভ টিভি সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।

এখন থেকে ইউটিউব টিভিতে আর ইএসপিএন, এবিসি ও ডিজনির অন্যান্য চ্যানেলগুলো দেখা যাবে না। দীর্ঘ আলোচনার পরও লাইসেন্সিং চুক্তিতে সমঝোতা না হওয়ায় গুগল-মালিকানাধীন অনলাইন পে-টিভি প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব টিভিতে তাদের চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করছে বলে জানিয়েছে ডিজনি।
ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি আরও জানায়, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে উপলব্ধ গুগলের মালিকানাধীন এই অনলাইন পে-টিভি প্ল্যাটফর্মটি তাদের কনটেন্টের জন্য ন্যায্য মূল্য দিতে অস্বীকার করেছে। এ কনটেন্টের তালিকায় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ও ডিজনি চ্যানেলও রয়েছে।
অন্যদিকে, ইউটিউব টিভি এক বিবৃতিতে বলেছে, ডিজনির প্রস্তাবিত শর্তগুলো তাদের গ্রাহকদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে, অথচ ডিজনির নিজস্ব লাইভ টিভি পণ্যগুলোকে সুবিধা দেবে।
উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনার পর নতুন চুক্তিতে পৌঁছানোর সময়সীমা অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ঠিক আগে চ্যানেলগুলো ইউটিউব টিভি থেকে উধাও হয়ে যায়। এই সম্প্রচার বন্ধের (ব্ল্যাকআউট) কারণে প্রায় ১ কোটি গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ইউটিউব টিভি জানিয়েছে, যদি ডিজনি চ্যানেলগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থগিত থাকে, তবে তারা গ্রাহকদের ২০ ডলার করে ক্রেডিট বা ছাড় দেবে।
এ মাসের শুরুর দিকে গুগল শেষ মুহূর্তে কমকাস্ট-মালিকানাধীন এনবিসিইউনিভার্সাল-এর সঙ্গে চুক্তি করে ’সানডে নাইট ফুটবল’-এর মতো অনুষ্ঠানগুলো ইউটিউব টিভিতে রাখতে সক্ষম হয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তারা প্যারামাউন্ট এবং ফক্সের সঙ্গেও চুক্তিতে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ইউটিউব ও ডিজনির মালিকানাধীন হুলু দেশটির সবচেয়ে বড় অনলাইন টিভি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম।
চলতি বছর একই বিষয়ে অন্যান্য কিছু মিডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ইউটিউবের অনুরূপ বিতর্কিত আলোচনা হয়েছিল, যার ফলে ইউটিউব টিভির গ্রাহকদের জন্য ওই সব চ্যানেল দেখার সুযোগ সীমিত হওয়ার হুমকি তৈরি করেছিল।
চলতি মাসের শুরুর দিকে গুগল শেষ মুহূর্তে কমকাস্টের মালিকানাধীন এনবিসি ইউনিভার্সালের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়, যার ফলে ‘সানডে নাইট ফুটবল’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলো ইউটিউব টিভিতে প্রচার অব্যাহত থাকে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি প্যারামাউন্ট ও ফক্সের সঙ্গেও সমঝোতায় পৌঁছেছে।
গুগল এবং ডিজনি উভয়ই পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউটিউব টিভিতে ডিজনি কনটেন্ট ফিরিয়ে আনতে তারা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ফি বা মূল্য নির্ধারণ নিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মতপার্থক্য এখনো রয়ে গেছে।
ডিজনির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যের মালিক গুগল বাজারে নিজেদের আধিপত্য ব্যবহার করে প্রতিযোগিতা দূর করতে চাচ্ছে এবং শিল্পে প্রচলিত সেই মানদণ্ডকে ভেঙে দিচ্ছে, যা আমরা অন্য সব পরিবেশকের সঙ্গে সফলভাবে চুক্তির মাধ্যমে বজায় রেখেছি।’
অন্যদিকে, ইউটিউব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ডিজনি এমন ‘ব্যয়বহুল আর্থিক শর্ত’ প্রস্তাব করেছে, যা ইউটিউব টিভির গ্রাহকদের জন্য মূল্য বৃদ্ধি এবং কনটেন্টের বিকল্প সীমিত করে ফেলবে। এর ফলে ডিজনির নিজস্ব লাইভ টিভি পরিষেবা, যেমন হুলু+ লাইভ টিভি সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।

স্যাটেলাইট বা ক্যাবল ডিস ছাড়া সব টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকেরা। এত দিন এই বিষয়টি পরিকল্পনার মধ্যে থাকলেও এবার বাস্তবে ঘটতে যাচ্ছে । যুক্তরাজ্যের স্কাই টিভির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্যাটেলাইট ডিস ছাড়াই সব টিভির অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে।
১২ অক্টোবর ২০২১
প্রতিদিনই নানা বিষয়ে জ্ঞান আহরণের জন্য ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির দ্বারস্থ হই আমরা। কোনো কিছু নিয়ে জানার আগ্রহ হলেই চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করে বসি। গত জুলাইয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসকে চ্যাটজিপিটি জানিয়েছিল, দিনে গড়ে ২৫০ কোটির বেশি প্রম্পট...
১ ঘণ্টা আগে
প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নিউটন কাউন্টির প্রান্তে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণ করার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা নলকূপর পানির ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
সরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ঠেকানো, আর্থিক জালিয়াতি ও চুরি নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নিউটন কাউন্টির প্রান্তে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণ করার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা নলকূপর পানির ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে, বেভারলি (৭১) এবং জেফ মরিস (৬৭) দম্পতির সংকটের কথা উল্লেখ করেছে। তাঁদের বাড়িটি মেটার ডেটা সেন্টার থেকে মাত্র ১ হাজার ফুট দূরে। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কয়েক মাস পরই বাড়ির পানির কল শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এই দম্পতি ইতিমধ্যে পানির সমস্যা সমাধানে ৫ হাজার ডলার খরচ করেছেন। নতুন নলকূপ বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় ২৫ হাজার ডলার জোগাড় করতে পারছেন না।
ডেটা সেন্টার এবং অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির কারণে পানির ব্যবহার যে হারে বেড়েছে, তাতে স্থানীয়দের জীবন ও সরকারি পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দুটোই হুমকির মুখে পড়েছে।
ডেটা সেন্টারগুলো শীতল রাখার জন্য দৈনিক বিপুল পরিমাণ পানি ব্যবহার করতে হয়। মেটা যেই আকারের ডেটা সেন্টার ব্যবহার করে তেমন একটি ডেটা সেন্টার সাধারণত দিনে ৫ লাখ গ্যালন পানি ব্যবহার করে। নতুন এআই-ভিত্তিক ডেটা সেন্টারগুলোতে প্রতিদিন কয়েক মিলিয়ন গ্যালন পানি লাগতে পারে। নিউটন কাউন্টিতে এই পরিমাণ পানি সরবরাহ করা অসম্ভব।
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, নিউটন কাউন্টি ২০৩০ সালের মধ্যে গুরুতর পানি সংকটের মুখে পড়তে চলেছে। এরই মধ্যে কাউন্টির ওয়াটার অথোরিটি আগামী দুই বছরের মধ্যে পানি বিল ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা স্বাভাবিক ২ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি। যেখানে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আটলান্টা থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টা পূর্বে অবস্থিত এই নিউটন কাউন্টির জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার।
মেটার প্রকল্পটি ছিল জর্জিয়ায় আসা প্রথম বড় ডেটা সেন্টার। ২০১৮ সালে এটির কাজ শুরু হয়, শেষ হয় গত বছর। রাজস্ব বৃদ্ধির আশায় স্থানীয় কর্মকর্তারা এই প্রকল্পগুলোতে উৎসাহ জুগিয়েছেন।
নিউটন কাউন্টি ওয়াটার অ্যান্ড স্যুয়ারেজ অথোরিটির নির্বাহী পরিচালক মাইক হপকিন্স জানান, মেটার ডেটা সেন্টার বর্তমানে কাউন্টির মোট দৈনিক পানি ব্যবহারের প্রায় ১০ শতাংশ ব্যবহার করছে। সম্প্রতি, নয়টি কোম্পানি নিউটন কাউন্টিতে ডেটা সেন্টার তৈরির আবেদন করেছে। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান দিনে ৬০ লাখ গ্যালন পর্যন্ত পানি চেয়েছে—যা কার্যত কাউন্টির পুরো দৈনিক ব্যবহারের সমান।
কাউন্টির পানি সরবরাহ কর্তৃপক্ষ তাদের পুনর্ব্যবহার সুবিধা উন্নত করতে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচের একটি প্রায় অসম্ভব প্রকল্প বাস্তবায়নে তোড়জোড় শুরু করেছে, যাতে এই সংকট মোকাবিলা করা যায়।
অলাভজনক পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা চ্যাট্টাহুচি রিভারকিপার-এর ওয়াটার পলিসি ডিরেক্টর ক্রিস মাংগানিয়েলো জানিয়েছেন, ডেটা সেন্টার কোম্পানিগুলো সাধারণত তাদের পানি ব্যবহারের পরিমাণ প্রকাশ করে না। তিনি একসময় ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, একটি ডেটা সেন্টার কোম্পানি দিনে ৯০ লাখ গ্যালন পানি চেয়েছে, যা প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের দৈনিক ব্যবহারের সমান।
এই চাপের কারণে কিছু আইনপ্রণেতা কর প্রণোদনা বাতিল করার জন্য বিল উত্থাপন করেছিলেন। তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অজুহাত দেখিয়ে গভর্নর ব্রায়ান কেম্প সেটিতে ভেটো দিয়েছে।
মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা মরিস দম্পতির জমিতে একটি নলকূপ সমীক্ষা করেছে। তারা দেখেছে, ডেটা সেন্টার পার্শ্ববর্তী ভূগর্ভস্থ পানির সরবরাহকে প্রভাবিত করেছে এমন সম্ভাবনা ‘খুব কম’।

প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নিউটন কাউন্টির প্রান্তে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণ করার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা নলকূপর পানির ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে, বেভারলি (৭১) এবং জেফ মরিস (৬৭) দম্পতির সংকটের কথা উল্লেখ করেছে। তাঁদের বাড়িটি মেটার ডেটা সেন্টার থেকে মাত্র ১ হাজার ফুট দূরে। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কয়েক মাস পরই বাড়ির পানির কল শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এই দম্পতি ইতিমধ্যে পানির সমস্যা সমাধানে ৫ হাজার ডলার খরচ করেছেন। নতুন নলকূপ বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় ২৫ হাজার ডলার জোগাড় করতে পারছেন না।
ডেটা সেন্টার এবং অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির কারণে পানির ব্যবহার যে হারে বেড়েছে, তাতে স্থানীয়দের জীবন ও সরকারি পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দুটোই হুমকির মুখে পড়েছে।
ডেটা সেন্টারগুলো শীতল রাখার জন্য দৈনিক বিপুল পরিমাণ পানি ব্যবহার করতে হয়। মেটা যেই আকারের ডেটা সেন্টার ব্যবহার করে তেমন একটি ডেটা সেন্টার সাধারণত দিনে ৫ লাখ গ্যালন পানি ব্যবহার করে। নতুন এআই-ভিত্তিক ডেটা সেন্টারগুলোতে প্রতিদিন কয়েক মিলিয়ন গ্যালন পানি লাগতে পারে। নিউটন কাউন্টিতে এই পরিমাণ পানি সরবরাহ করা অসম্ভব।
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, নিউটন কাউন্টি ২০৩০ সালের মধ্যে গুরুতর পানি সংকটের মুখে পড়তে চলেছে। এরই মধ্যে কাউন্টির ওয়াটার অথোরিটি আগামী দুই বছরের মধ্যে পানি বিল ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা স্বাভাবিক ২ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি। যেখানে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আটলান্টা থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টা পূর্বে অবস্থিত এই নিউটন কাউন্টির জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার।
মেটার প্রকল্পটি ছিল জর্জিয়ায় আসা প্রথম বড় ডেটা সেন্টার। ২০১৮ সালে এটির কাজ শুরু হয়, শেষ হয় গত বছর। রাজস্ব বৃদ্ধির আশায় স্থানীয় কর্মকর্তারা এই প্রকল্পগুলোতে উৎসাহ জুগিয়েছেন।
নিউটন কাউন্টি ওয়াটার অ্যান্ড স্যুয়ারেজ অথোরিটির নির্বাহী পরিচালক মাইক হপকিন্স জানান, মেটার ডেটা সেন্টার বর্তমানে কাউন্টির মোট দৈনিক পানি ব্যবহারের প্রায় ১০ শতাংশ ব্যবহার করছে। সম্প্রতি, নয়টি কোম্পানি নিউটন কাউন্টিতে ডেটা সেন্টার তৈরির আবেদন করেছে। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান দিনে ৬০ লাখ গ্যালন পর্যন্ত পানি চেয়েছে—যা কার্যত কাউন্টির পুরো দৈনিক ব্যবহারের সমান।
কাউন্টির পানি সরবরাহ কর্তৃপক্ষ তাদের পুনর্ব্যবহার সুবিধা উন্নত করতে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচের একটি প্রায় অসম্ভব প্রকল্প বাস্তবায়নে তোড়জোড় শুরু করেছে, যাতে এই সংকট মোকাবিলা করা যায়।
অলাভজনক পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা চ্যাট্টাহুচি রিভারকিপার-এর ওয়াটার পলিসি ডিরেক্টর ক্রিস মাংগানিয়েলো জানিয়েছেন, ডেটা সেন্টার কোম্পানিগুলো সাধারণত তাদের পানি ব্যবহারের পরিমাণ প্রকাশ করে না। তিনি একসময় ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, একটি ডেটা সেন্টার কোম্পানি দিনে ৯০ লাখ গ্যালন পানি চেয়েছে, যা প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের দৈনিক ব্যবহারের সমান।
এই চাপের কারণে কিছু আইনপ্রণেতা কর প্রণোদনা বাতিল করার জন্য বিল উত্থাপন করেছিলেন। তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অজুহাত দেখিয়ে গভর্নর ব্রায়ান কেম্প সেটিতে ভেটো দিয়েছে।
মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা মরিস দম্পতির জমিতে একটি নলকূপ সমীক্ষা করেছে। তারা দেখেছে, ডেটা সেন্টার পার্শ্ববর্তী ভূগর্ভস্থ পানির সরবরাহকে প্রভাবিত করেছে এমন সম্ভাবনা ‘খুব কম’।

স্যাটেলাইট বা ক্যাবল ডিস ছাড়া সব টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকেরা। এত দিন এই বিষয়টি পরিকল্পনার মধ্যে থাকলেও এবার বাস্তবে ঘটতে যাচ্ছে । যুক্তরাজ্যের স্কাই টিভির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্যাটেলাইট ডিস ছাড়াই সব টিভির অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে।
১২ অক্টোবর ২০২১
প্রতিদিনই নানা বিষয়ে জ্ঞান আহরণের জন্য ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির দ্বারস্থ হই আমরা। কোনো কিছু নিয়ে জানার আগ্রহ হলেই চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করে বসি। গত জুলাইয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসকে চ্যাটজিপিটি জানিয়েছিল, দিনে গড়ে ২৫০ কোটির বেশি প্রম্পট...
১ ঘণ্টা আগে
এখন থেকে ইউটিউব টিভিতে আর ইএসপিএন, এবিসি ও ডিজনির অন্যান্য চ্যানেলগুলো দেখা যাবে না। দীর্ঘ আলোচনার পরও লাইসেন্সিং চুক্তিতে সমঝোতা না হওয়ায় গুগল-মালিকানাধীন অনলাইন পে-টিভি প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব টিভিতে তাদের চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করছে বলে জানিয়েছে ডিজনি।
৩ ঘণ্টা আগে
সরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ঠেকানো, আর্থিক জালিয়াতি ও চুরি নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু হচ্ছে।
১ দিন আগেসরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ঠেকানো, আর্থিক জালিয়াতি ও চুরি নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করে দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং রাজস্ব সুরক্ষা জোরদার করার পদক্ষেপ নিতে চলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী ১৬ ডিসেম্বর দেশে কার্যকর হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ভবিষ্যতে আর কোনো অবৈধ বা ক্লোন আইএমইআই (IMEI) যুক্ত মোবাইল ফোন দেশের নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৪ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি ঘটে অবৈধ ডিভাইস ও সিমের মাধ্যমে। অবৈধ হ্যান্ডসেটের কারণে সরকার প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। এনইআইআর কেবল প্রযুক্তিগত সুবিধা নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় ও গ্রাহক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সিমের মাধ্যমে প্রতারণা, আর্থিক লেনদেন জালিয়াতি কমিয়ে আনবে।
বিটিআরসি বলছে, এনইআইআর চালু হলে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং সিম-সংক্রান্ত প্রতারণা সহজে শনাক্ত করা যাবে। চোরাই ও রিফারবিশড হ্যান্ডসেট বাজারে থাকার কারণে মোবাইল ফোনের দাম কমছে না। এনইআইআর কার্যকর হলে দেশীয় ১৮টি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ফোন বিক্রি করতে পারবে।
নতুন হ্যান্ডসেট কেনার আগে করণীয়:
১৬ ডিসেম্বর থেকে যেকোনো মাধ্যম থেকে (বিক্রয়কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয়কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে যাচাই করবেন এবং ক্রয়কৃত হ্যান্ডসেটের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করবেন। মোবাইল হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।
ধাপ-১:
মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space>১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345।
ধাপ-২:
IMEI নম্বরটি লেখার পর ১৬০০২ নম্বরে পাঠান।
ধাপ-৩:
ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন প্রক্রিয়া:
বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে এবং এসএমএসের মাধ্যমে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। দাখিলকৃত তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করার পর শুধু বৈধ হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সচল করা হবে।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন করার পদ্ধতি:
ধাপ-১:
neir. btrc. gov. bd লিংকে ভিজিট করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন।
ধাপ-২:
পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট-এর IMEI নম্বরটি দিন।
ধাপ-৩:
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের ছবি/স্ক্যান কপি (পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশন, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করুন এবং Submit বাটন প্রেস করুন।
ধাপ-৪:
হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ না হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করে নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এই সেবা নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশের নেটওয়ার্কে আগে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বাদে সর্বোচ্চ একটি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে এবং শুল্ক প্রদান সাপেক্ষে আরও একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট আনতে পারবেন।
স্পেশাল রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি (বিদেশ থেকে আনা ফোনের জন্য প্রযোজ্য) :
কেনা ফোন:
১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;
২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৪। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে);
উপহার পাওয়া ফোন:
১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;
২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;
৩। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি; (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে) ;
৪। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৫। উপহার প্রদানকারীর প্রত্যয়পত্র (শুধু উপহার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে)
এয়ার মেইলে আনা ফোন:
১। প্রেরকের পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতা অথবা জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি; (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
২। প্রাপকের জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি;
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৪। শুল্ক প্রদানের রসিদের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে)।
ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া:
বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জানতে:
ধাপ-১: মোবাইল হ্যান্ডসেট হতে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।
ধাপ-২: অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে পাঠান।
ধাপ-৩: ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন/হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
উল্লেখ্য, neir. btrc. gov. bd লিংকের মাধ্যমে বিদ্যমান সিটিজেন পোর্টাল অথবা মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যে বর্ণিত সেবা গ্রহণ করা যাবে।
নিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন বাতিল) করার প্রক্রিয়া:
১৬ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহক কর্তৃক ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটটি বিক্রয়/হস্তান্তরের প্রয়োজন হলে ডি-রেজিস্ট্রেশন করে হস্তান্তর করা যাবে। De-Registration করার সময় অবশ্যই NID-এর শেষের ৪ (চার) ডিজিট দিতে হবে। গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে যেভাবে:
ক) Citizen Portal (neir. btrc. gov. bd)
খ) MNO Portal
গ) Mobile Apps
ঘ) USSD Channel (* ১৬১৬১ #)
ডি-রেজিস্ট্রেশনের শর্ত:
ক) ডি-রেজিস্ট্রেশন করার জন্য গ্রাহকের হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত সিমটি অবশ্যই নিজ NID-তে নিবন্ধিত হতে হবে।
খ) ক্লোন/ডুপ্লিকেট IMEI-সংবলিত হ্যান্ডসেটটি ডি-রেজিস্ট্রেশন করার সময় অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে পরবর্তী ব্যবহারকারীর সিম নম্বর দিতে হবে।
করপোরেট সিম ব্যবহারকারী গ্রাহকের ক্ষেত্রে ডি-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া:
করপোরেট সিম ব্যবহারকারীদের ৩০ দিনের মধ্যে USSD চ্যানেল অথবা সিটিজেন পোর্টালের মাধ্যমে ব্যক্তিগত NID-এর তথ্য দেওয়ার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হবে। করপোরেট গ্রাহক বর্ণিত তথ্য জমা প্রদান সাপেক্ষে ব্যক্তিগত NID অথবা কি কন্টাক্ট-পয়েন্ট (KCP)-এর NID দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। অন্যথায় শুধু কি কন্টাক্ট পয়েন্ট (KCP)-এর NID-এর তথ্য দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
ফোন চুরি হওয়া বা হারালে ব্লক করবেন যেভাবে:
গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটসমূহ চুরি হওয়া বা হারানো গেলে এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd)-এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে যেকোনো সময়ে লক/আনলক করা যাবে।
ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে এনইআইআর সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া:
দেশের জনসাধারণ USSD চ্যানেল/এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd) এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে এনইআইআর সিস্টেমের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তবে যেসব মোবাইল গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ নেই তাঁরা USSD চ্যানেল/ ১২১ ডায়াল করে/সংশ্লিষ্ট অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে এনইআইআর-এর সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানির ক্ষেত্রে করণীয়:
বর্তমানে কমিশনের নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেশের চাহিদার বেশির ভাগ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন করে থাকে। এ ছাড়া কমিশনের নিবন্ধিত ভেন্ডর কর্তৃক অল্প কিছু মডেলের (যেগুলো দেশে উৎপাদন সম্ভব নয়) মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট আমদানি করে থাকে। হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
ক) কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশিকা অনুযায়ী মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করতে হবে।
খ) উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেটগুলো বাজারজাতকরণের আগে IMEI নির্দিষ্ট ফরম্যাটে কমিশনে জমা দিতে হবে।
গ) বাজারজাতকরণের আগে IMEI কমিশনে জমা না দিলে বৈধভাবে উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।
মোবাইল ফোন বিক্রেতার করণীয়:
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
ক) উৎপাদনকারী/আমদানিকারক থেকে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ডেলিভারি নেওয়ার পূর্বে IMEI যাচাই করতে হবে।
খ) ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট (যেগুলো BTRC-এর ডেটাবেইসে নেই) বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।
এনইআইআর সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে বিটিআরসির হেল্প ডেস্ক নম্বর ১০০ অথবা মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১-এ ডায়াল করে এবং অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে জানা যাবে।

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করে দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং রাজস্ব সুরক্ষা জোরদার করার পদক্ষেপ নিতে চলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী ১৬ ডিসেম্বর দেশে কার্যকর হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ভবিষ্যতে আর কোনো অবৈধ বা ক্লোন আইএমইআই (IMEI) যুক্ত মোবাইল ফোন দেশের নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৪ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি ঘটে অবৈধ ডিভাইস ও সিমের মাধ্যমে। অবৈধ হ্যান্ডসেটের কারণে সরকার প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। এনইআইআর কেবল প্রযুক্তিগত সুবিধা নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় ও গ্রাহক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সিমের মাধ্যমে প্রতারণা, আর্থিক লেনদেন জালিয়াতি কমিয়ে আনবে।
বিটিআরসি বলছে, এনইআইআর চালু হলে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং সিম-সংক্রান্ত প্রতারণা সহজে শনাক্ত করা যাবে। চোরাই ও রিফারবিশড হ্যান্ডসেট বাজারে থাকার কারণে মোবাইল ফোনের দাম কমছে না। এনইআইআর কার্যকর হলে দেশীয় ১৮টি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ফোন বিক্রি করতে পারবে।
নতুন হ্যান্ডসেট কেনার আগে করণীয়:
১৬ ডিসেম্বর থেকে যেকোনো মাধ্যম থেকে (বিক্রয়কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয়কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে যাচাই করবেন এবং ক্রয়কৃত হ্যান্ডসেটের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করবেন। মোবাইল হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।
ধাপ-১:
মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space>১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345।
ধাপ-২:
IMEI নম্বরটি লেখার পর ১৬০০২ নম্বরে পাঠান।
ধাপ-৩:
ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন প্রক্রিয়া:
বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে এবং এসএমএসের মাধ্যমে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। দাখিলকৃত তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করার পর শুধু বৈধ হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সচল করা হবে।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন করার পদ্ধতি:
ধাপ-১:
neir. btrc. gov. bd লিংকে ভিজিট করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন।
ধাপ-২:
পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট-এর IMEI নম্বরটি দিন।
ধাপ-৩:
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের ছবি/স্ক্যান কপি (পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশন, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করুন এবং Submit বাটন প্রেস করুন।
ধাপ-৪:
হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ না হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করে নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এই সেবা নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশের নেটওয়ার্কে আগে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বাদে সর্বোচ্চ একটি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে এবং শুল্ক প্রদান সাপেক্ষে আরও একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট আনতে পারবেন।
স্পেশাল রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি (বিদেশ থেকে আনা ফোনের জন্য প্রযোজ্য) :
কেনা ফোন:
১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;
২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৪। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে);
উপহার পাওয়া ফোন:
১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;
২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;
৩। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি; (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে) ;
৪। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৫। উপহার প্রদানকারীর প্রত্যয়পত্র (শুধু উপহার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে)
এয়ার মেইলে আনা ফোন:
১। প্রেরকের পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতা অথবা জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি; (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
২। প্রাপকের জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি;
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৪। শুল্ক প্রদানের রসিদের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে)।
ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া:
বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জানতে:
ধাপ-১: মোবাইল হ্যান্ডসেট হতে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।
ধাপ-২: অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে পাঠান।
ধাপ-৩: ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন/হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
উল্লেখ্য, neir. btrc. gov. bd লিংকের মাধ্যমে বিদ্যমান সিটিজেন পোর্টাল অথবা মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যে বর্ণিত সেবা গ্রহণ করা যাবে।
নিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন বাতিল) করার প্রক্রিয়া:
১৬ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহক কর্তৃক ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটটি বিক্রয়/হস্তান্তরের প্রয়োজন হলে ডি-রেজিস্ট্রেশন করে হস্তান্তর করা যাবে। De-Registration করার সময় অবশ্যই NID-এর শেষের ৪ (চার) ডিজিট দিতে হবে। গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে যেভাবে:
ক) Citizen Portal (neir. btrc. gov. bd)
খ) MNO Portal
গ) Mobile Apps
ঘ) USSD Channel (* ১৬১৬১ #)
ডি-রেজিস্ট্রেশনের শর্ত:
ক) ডি-রেজিস্ট্রেশন করার জন্য গ্রাহকের হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত সিমটি অবশ্যই নিজ NID-তে নিবন্ধিত হতে হবে।
খ) ক্লোন/ডুপ্লিকেট IMEI-সংবলিত হ্যান্ডসেটটি ডি-রেজিস্ট্রেশন করার সময় অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে পরবর্তী ব্যবহারকারীর সিম নম্বর দিতে হবে।
করপোরেট সিম ব্যবহারকারী গ্রাহকের ক্ষেত্রে ডি-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া:
করপোরেট সিম ব্যবহারকারীদের ৩০ দিনের মধ্যে USSD চ্যানেল অথবা সিটিজেন পোর্টালের মাধ্যমে ব্যক্তিগত NID-এর তথ্য দেওয়ার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হবে। করপোরেট গ্রাহক বর্ণিত তথ্য জমা প্রদান সাপেক্ষে ব্যক্তিগত NID অথবা কি কন্টাক্ট-পয়েন্ট (KCP)-এর NID দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। অন্যথায় শুধু কি কন্টাক্ট পয়েন্ট (KCP)-এর NID-এর তথ্য দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
ফোন চুরি হওয়া বা হারালে ব্লক করবেন যেভাবে:
গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটসমূহ চুরি হওয়া বা হারানো গেলে এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd)-এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে যেকোনো সময়ে লক/আনলক করা যাবে।
ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে এনইআইআর সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া:
দেশের জনসাধারণ USSD চ্যানেল/এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd) এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে এনইআইআর সিস্টেমের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তবে যেসব মোবাইল গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ নেই তাঁরা USSD চ্যানেল/ ১২১ ডায়াল করে/সংশ্লিষ্ট অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে এনইআইআর-এর সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানির ক্ষেত্রে করণীয়:
বর্তমানে কমিশনের নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেশের চাহিদার বেশির ভাগ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন করে থাকে। এ ছাড়া কমিশনের নিবন্ধিত ভেন্ডর কর্তৃক অল্প কিছু মডেলের (যেগুলো দেশে উৎপাদন সম্ভব নয়) মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট আমদানি করে থাকে। হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
ক) কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশিকা অনুযায়ী মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করতে হবে।
খ) উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেটগুলো বাজারজাতকরণের আগে IMEI নির্দিষ্ট ফরম্যাটে কমিশনে জমা দিতে হবে।
গ) বাজারজাতকরণের আগে IMEI কমিশনে জমা না দিলে বৈধভাবে উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।
মোবাইল ফোন বিক্রেতার করণীয়:
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
ক) উৎপাদনকারী/আমদানিকারক থেকে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ডেলিভারি নেওয়ার পূর্বে IMEI যাচাই করতে হবে।
খ) ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট (যেগুলো BTRC-এর ডেটাবেইসে নেই) বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।
এনইআইআর সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে বিটিআরসির হেল্প ডেস্ক নম্বর ১০০ অথবা মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১-এ ডায়াল করে এবং অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে জানা যাবে।

স্যাটেলাইট বা ক্যাবল ডিস ছাড়া সব টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকেরা। এত দিন এই বিষয়টি পরিকল্পনার মধ্যে থাকলেও এবার বাস্তবে ঘটতে যাচ্ছে । যুক্তরাজ্যের স্কাই টিভির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্যাটেলাইট ডিস ছাড়াই সব টিভির অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে।
১২ অক্টোবর ২০২১
প্রতিদিনই নানা বিষয়ে জ্ঞান আহরণের জন্য ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির দ্বারস্থ হই আমরা। কোনো কিছু নিয়ে জানার আগ্রহ হলেই চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করে বসি। গত জুলাইয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসকে চ্যাটজিপিটি জানিয়েছিল, দিনে গড়ে ২৫০ কোটির বেশি প্রম্পট...
১ ঘণ্টা আগে
এখন থেকে ইউটিউব টিভিতে আর ইএসপিএন, এবিসি ও ডিজনির অন্যান্য চ্যানেলগুলো দেখা যাবে না। দীর্ঘ আলোচনার পরও লাইসেন্সিং চুক্তিতে সমঝোতা না হওয়ায় গুগল-মালিকানাধীন অনলাইন পে-টিভি প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব টিভিতে তাদের চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করছে বলে জানিয়েছে ডিজনি।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নিউটন কাউন্টির প্রান্তে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণ করার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা নলকূপর পানির ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগে