অলকানন্দা রায়, ঢাকা
ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যেমন পুরো পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নেওয়া যায়, তেমনি কিছু অসতর্কতার কারণে ঘটে বিপদও। এসব বিপদের একটির নাম হ্যাকিং।
ওয়েবসাইট, মেইল কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তাবলয় ভেঙে হ্যাকারেরা হাতিয়ে নিতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ ওয়েবসাইট বা আপনার সামাজিক যোগাযোগের অ্যাকাউন্টের যাবতীয় খুঁটিনাটি।
বিভিন্ন কারণে হ্যাকাররা এই কাজটি করে থাকে। এর মধ্যে আর্থিক বা রাজনৈতিক কারণ যেমন আছে, তেমনি আছে গুপ্তচরবৃত্তি কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে সেগুলোকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানোর বিষয়ও। তবে যে কারণেই ওয়েবসাইট বা অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে থাকুক না কেন, কিছু উপায় অবলম্বন করে হ্যাকিং প্রতিরোধ এবং অনলাইন নিরাপত্তা শক্তিশালী করা যেতে পারে।
ইন্টারনেটে কাজ করার সময় দেখা যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট সামনে চলে আসে এবং সেগুলো সাইনআপ করার অনুরোধ করা থাকে। এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলো মূলত ভুয়া হয়ে থাকে। যাদের কাজ অন্যদের প্রলুব্ধ করে সাইটে সাইনআপ করিয়ে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। এ ছাড়া, ইন্টারনেটের এমন কোনো লিংকে ক্লিক করে ফেললে, আমাদের ওয়েবসাইট এবং অন্য অ্যাকাউন্টগুলো হ্যাক হয়ে যেতে পারে, এতে হতে পারে আর্থিক ক্ষতিও।
অনলাইন ব্যবহার নিরাপদ করতে যে কাজগুলো করতে হবে—
ফাইলের ব্যাকআপ রাখুন
ক্লাউডসহ বিভিন্ন স্টোরেজে মোটামুটি সবাই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের তথ্য, অডিও, ভিডিও, ছবিসহ অনেক ফাইল নিরাপদে থাকবে ভেবে রেখে দেন। তবে এগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। যেকোনো মুহূর্তে সেগুলো হয়ে যেতে পারে বেহাত। তাই ক্লাউড সার্ভিসসহ বিভিন্নভাবে অনলাইনে যে ফাইলগুলো রাখা আছে, সেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হার্ড ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখুন। অথবা ব্যাকআপ রাখুন একাধিক জায়গায়।
একাধিক অ্যাকাউন্টের লিংক করবেন না
অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সাইন ইন করার সময় ঝামেলা এড়ানোর জন্য একাধিক অ্যাকাউন্ট লিংক করা হয়। এতে কিছুটা ঝামেলা কম হয়ে সময় বাঁচলেও হ্যাকারদের সুবিধা হয়। কারণ লিংক করে রাখা অ্যাকাউন্টগুলোর একটি হ্যাক হলে অন্যগুলো সহজে হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কাজেই একাধিক অ্যাকাউন্ট একসঙ্গে লিংক করে না রাখাই ভালো।
ওয়েবসাইট নিরাপদ নিশ্চিত হয়ে তথ্য দিন
অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলো ভুয়া। তারা অন্য পরিচিত ওয়েবসাইটগুলোর ডিজাইন নকল করে বানিয়ে নেয় প্রতারণার জন্য। তাই কোনো ওয়েবসাইটে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার আগে সেই ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ নিরাপদ কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। এ জন্য ওই ওয়েবসাইটের ইউআরএলের শুরুতে http:// এর পরিবর্তে https:// লেখা দেখে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। কোনো ওয়েবসাইটের ইউআরএলের শুরুতে থাকা এইচটিটিপিএস-এর ‘এস’ দিয়ে ওয়েবসাইটটি সিকিউর বা নিরাপদ বোঝানো হয়।
টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করুন
অনলাইন নিরাপত্তা বাড়ানোর অংশ হিসেবে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন একটি অপরিহার্য নিরাপত্তাব্যবস্থা। কোনো অ্যাকাউন্টে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করলে সেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা থেকে রক্ষা করা যায়।
কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
হ্যাকিং ঠেকাতে সব সময় ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। পাসওয়ার্ড হওয়া উচিত আলফানিউমেরিক, ছোট হাতের অক্ষর, বড় হাতের অক্ষর এবং বিভিন্ন প্রতীকের সমন্বয়ে। সাইবার হ্যাকিং প্রতিরোধ করার ভালো উপায় হলো জটিল
পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করার জন্য পাসওয়ার্ড জেনারেট করে এমন ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।
অ্যাড ব্রোকার ব্যবহার করুন
হ্যাকিং প্রতিরোধের আর একটি উপায় হলো অ্যাড ব্রোকার ব্যবহার করা। এ ধরনের টুলগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ব্লক করে দেয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীকে অনলাইনে অনুসরণ করতে পারে না। অ্যাড ব্লকার এক্সটেনশন বা সফটওয়্যারগুলো শুধু যে স্ক্রিনের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে তা-ই নয়, এগুলো স্ক্রিনের পপআপ হওয়া বিজ্ঞাপনও বন্ধ করে।
সব ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করবেন না
কোনো ওয়েবসাইট থেকে কিছু ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে, সাইটটি যেন বিশ্বস্ত হয়। অনিরাপদ ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা ফাইলের সঙ্গে ম্যালিসিয়াস সফটওয়্যার থাকতে পারে, যা স্পাইওয়্যার হিসেবে কাজ করে।
তথ্যসূত্র: বিজনেস নিউজ ডেইলি, উইরিড ডট কম, সিনেট ডট কম, সেভ দ্য স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন ও অন্যান্য।
ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যেমন পুরো পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নেওয়া যায়, তেমনি কিছু অসতর্কতার কারণে ঘটে বিপদও। এসব বিপদের একটির নাম হ্যাকিং।
ওয়েবসাইট, মেইল কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তাবলয় ভেঙে হ্যাকারেরা হাতিয়ে নিতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ ওয়েবসাইট বা আপনার সামাজিক যোগাযোগের অ্যাকাউন্টের যাবতীয় খুঁটিনাটি।
বিভিন্ন কারণে হ্যাকাররা এই কাজটি করে থাকে। এর মধ্যে আর্থিক বা রাজনৈতিক কারণ যেমন আছে, তেমনি আছে গুপ্তচরবৃত্তি কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে সেগুলোকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানোর বিষয়ও। তবে যে কারণেই ওয়েবসাইট বা অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে থাকুক না কেন, কিছু উপায় অবলম্বন করে হ্যাকিং প্রতিরোধ এবং অনলাইন নিরাপত্তা শক্তিশালী করা যেতে পারে।
ইন্টারনেটে কাজ করার সময় দেখা যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট সামনে চলে আসে এবং সেগুলো সাইনআপ করার অনুরোধ করা থাকে। এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলো মূলত ভুয়া হয়ে থাকে। যাদের কাজ অন্যদের প্রলুব্ধ করে সাইটে সাইনআপ করিয়ে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। এ ছাড়া, ইন্টারনেটের এমন কোনো লিংকে ক্লিক করে ফেললে, আমাদের ওয়েবসাইট এবং অন্য অ্যাকাউন্টগুলো হ্যাক হয়ে যেতে পারে, এতে হতে পারে আর্থিক ক্ষতিও।
অনলাইন ব্যবহার নিরাপদ করতে যে কাজগুলো করতে হবে—
ফাইলের ব্যাকআপ রাখুন
ক্লাউডসহ বিভিন্ন স্টোরেজে মোটামুটি সবাই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের তথ্য, অডিও, ভিডিও, ছবিসহ অনেক ফাইল নিরাপদে থাকবে ভেবে রেখে দেন। তবে এগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। যেকোনো মুহূর্তে সেগুলো হয়ে যেতে পারে বেহাত। তাই ক্লাউড সার্ভিসসহ বিভিন্নভাবে অনলাইনে যে ফাইলগুলো রাখা আছে, সেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হার্ড ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখুন। অথবা ব্যাকআপ রাখুন একাধিক জায়গায়।
একাধিক অ্যাকাউন্টের লিংক করবেন না
অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সাইন ইন করার সময় ঝামেলা এড়ানোর জন্য একাধিক অ্যাকাউন্ট লিংক করা হয়। এতে কিছুটা ঝামেলা কম হয়ে সময় বাঁচলেও হ্যাকারদের সুবিধা হয়। কারণ লিংক করে রাখা অ্যাকাউন্টগুলোর একটি হ্যাক হলে অন্যগুলো সহজে হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কাজেই একাধিক অ্যাকাউন্ট একসঙ্গে লিংক করে না রাখাই ভালো।
ওয়েবসাইট নিরাপদ নিশ্চিত হয়ে তথ্য দিন
অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলো ভুয়া। তারা অন্য পরিচিত ওয়েবসাইটগুলোর ডিজাইন নকল করে বানিয়ে নেয় প্রতারণার জন্য। তাই কোনো ওয়েবসাইটে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার আগে সেই ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ নিরাপদ কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। এ জন্য ওই ওয়েবসাইটের ইউআরএলের শুরুতে http:// এর পরিবর্তে https:// লেখা দেখে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। কোনো ওয়েবসাইটের ইউআরএলের শুরুতে থাকা এইচটিটিপিএস-এর ‘এস’ দিয়ে ওয়েবসাইটটি সিকিউর বা নিরাপদ বোঝানো হয়।
টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করুন
অনলাইন নিরাপত্তা বাড়ানোর অংশ হিসেবে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন একটি অপরিহার্য নিরাপত্তাব্যবস্থা। কোনো অ্যাকাউন্টে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করলে সেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা থেকে রক্ষা করা যায়।
কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
হ্যাকিং ঠেকাতে সব সময় ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। পাসওয়ার্ড হওয়া উচিত আলফানিউমেরিক, ছোট হাতের অক্ষর, বড় হাতের অক্ষর এবং বিভিন্ন প্রতীকের সমন্বয়ে। সাইবার হ্যাকিং প্রতিরোধ করার ভালো উপায় হলো জটিল
পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করার জন্য পাসওয়ার্ড জেনারেট করে এমন ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।
অ্যাড ব্রোকার ব্যবহার করুন
হ্যাকিং প্রতিরোধের আর একটি উপায় হলো অ্যাড ব্রোকার ব্যবহার করা। এ ধরনের টুলগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ব্লক করে দেয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীকে অনলাইনে অনুসরণ করতে পারে না। অ্যাড ব্লকার এক্সটেনশন বা সফটওয়্যারগুলো শুধু যে স্ক্রিনের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে তা-ই নয়, এগুলো স্ক্রিনের পপআপ হওয়া বিজ্ঞাপনও বন্ধ করে।
সব ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করবেন না
কোনো ওয়েবসাইট থেকে কিছু ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে, সাইটটি যেন বিশ্বস্ত হয়। অনিরাপদ ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা ফাইলের সঙ্গে ম্যালিসিয়াস সফটওয়্যার থাকতে পারে, যা স্পাইওয়্যার হিসেবে কাজ করে।
তথ্যসূত্র: বিজনেস নিউজ ডেইলি, উইরিড ডট কম, সিনেট ডট কম, সেভ দ্য স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন ও অন্যান্য।
বন্ধুদের সঙ্গে রিলস ভাগাভাগির প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে ‘ব্লেন্ড’ নামের নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হলো ইনস্টাগ্রাম। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এখন তাঁদের বন্ধু বা গ্রুপ চ্যাটের সদস্যদের সঙ্গে একটি ব্যক্তিগত ও কাস্টমাইজড রিলস ফিড শেয়ার করতে পারবেন। তবে এই ফিচার ব্যবহার করতে হলে বন্ধুদের আমন্ত্রণ...
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ওয়েবসাইটে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন ইরাকি কিশোর মুনতাধার মোহাম্মদ আহমেদ সালেহ। বাগদাদের আল-তারমিয়া জেলার আল-বায়ারিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এই মেধাবী শিক্ষার্থী নিজের অসাধারণ প্রযুক্তি দক্ষতা দিয়ে নাসার বিশেষ প্রশংসা
১০ ঘণ্টা আগেমানুষের কাজের জগতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত নিয়ে বিশ্বের প্রযুক্তিকেন্দ্র সিলিকন ভ্যালিতে আত্মপ্রকাশ করল বিতর্কিত স্টার্টআপ ‘মেকানাইজ’। বিখ্যাত এআই গবেষক ও প্রতিষ্ঠাতা তামায় বেসিরোগ্লু ঘোষণা দিয়েছেন, এই স্টার্টআপের লক্ষ্য হলো—‘সব ধরনের কাজের পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়করণ’ এবং ‘সম্পূর্ণ অর্থনীতির...
১১ ঘণ্টা আগেফোল্ডেবল ফোনের দৌড়ে যখন স্যামসাং, হুয়াওয়ে বা অপো একে অপরকে টপকে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত, প্রযুক্তির বাজারে ঠিক তখন এক অপ্রত্যাশিত প্রতিদ্বন্দ্বী মাঠে নেমেছে। সেটি হলো—ভাঁজযোগ্য ইবুক রিডার। ই-ইংক প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ই-রিডারে বই পড়ার অভিজ্ঞতা এখন অনেকটাই কাগজের বইয়ের মতো।
১৩ ঘণ্টা আগে