মুহাম্মদ শফিকুর রহমান

বর্তমানে চারদিকে তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার। সরকারের নানা উদ্যোগ তো আছেই, পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের প্রযুক্তি উদ্যোগও ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাও এর বাইরে নয়। সে অঞ্চলের মানুষও এখন ঘরে বসে আয় করছে ডলার। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। তারাও কম্পিউটার শেখায় পিছিয়ে নেই।
তথ্যপ্রযুক্তির এই বিকাশে অন্য অনেকের মতোই কাজ করছেন তিনি। খাগড়াছড়িতে বাঙালি, চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের কম্পিউটার ও কোডিং শেখান এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের কিডস আফটার স্কুল প্রোগ্রামের মাধ্যমে। এ প্রোগ্রামের আওতায় খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার শতাধিক শিশুকে শুক্র ও শনিবার কম্পিউটার, কোডিং ও স্পোকেন ইংলিশ শেখানো হচ্ছে যাঁর নেতৃত্বে, নাম তাঁর আমির হোসেন। এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক আমির ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন এডুলাইফ ক্রিয়েটিভ ডিজিটাল এজেন্সি। সেখানে প্রায় ৩০ জনের একটি টিম রয়েছে তাঁর। দলটি দেশ ও দেশের বাইরে ওয়েব সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিকস ডিজাইনসহ নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত কাজ করে চলেছে।
শিশুদের কম্পিউটার ও কোডিং শেখানো কিছুটা কঠিন হওয়ায় এদিকে কেউ প্রায় নজরই দেয় না। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আমির হোসেন। তিনি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার ও ইংরেজিতে দক্ষ করে তোলার চেষ্টায় ব্রতী হয়েছেন তিনি। আমির এও বিশ্বাস করেন, ছোটবেলা থেকে ইংরেজি ও কম্পিউটার ভালোমতো জানলে পরবর্তী সময়ে সফলতা অর্জন অনেক সহজ হবে। অন্যদের চেয়ে তারা এগিয়ে থাকবে।
খাগড়াছড়িতে এডুলাইফের এই কার্যক্রম সাড়া ফেলেছে। অভিভাবক সলিল চাকমা বলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগের কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা উপকৃত হচ্ছে। তারা কম্পিউটার শিখতে পারছে। আমিরের এই উদ্যোগে শিশুরা ইংরেজিতে জড়তা কাটিয়ে কথা বলার পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ের প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোতে দক্ষ হয়ে উঠছে।’
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পাহাড় ও সমতলের শিশুদের বৈষম্য দূর করতে নীরবে কাজ করে চলেছেন আমির হোসেন। সে কাজে একাত্ম হয়েছেন বাঙালি-চাকমা-মারমা-ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর অভিভাবকেরা। এই মেলবন্ধন শুধু প্রযুক্তি খাতে নয়, ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে আমাদের সামগ্রিকতার ওপর।
পাহাড়ি এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা খুব সহজ নয়। আছে নানা প্রতিবন্ধকতা। আমির হোসেন ২০১৫ সালে খাগড়াছড়িতে এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তখন এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট-সুবিধা ছিল সীমিত। শুরুতেই এসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন তিনি। কিন্তু আমির বুদ্ধিদীপ্তভাবে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন। তিনি অভিভাবকদের বোঝাতে সক্ষম হন, লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সন্তানদের কম্পিউটার, কোডিং ও ইংরেজি ভাষা শেখালে ভবিষ্যতে জীবিকার পথ সুগম হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে তারা অন্যদের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকবে। আমিরের এসব কথায় অভিভাবকেরা সাড়া দিয়েছেন।
তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে নানা রকম অনুষ্ঠান আয়োজন করে আমিরের এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এ ছাড়া জেলা পর্যায়ে খাগড়াছড়িতে ‘প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরি’তে মনোনীত হয়েছে এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট।
প্রতিষ্ঠানটির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হয়ে গেল ২ মার্চ। সে উপলক্ষে সেদিন খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাদার ব্যক্তি, লেখক, অনলাইন উদ্যোক্তা, স্থানীয় ফ্রিল্যান্সার ও স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল-২০২৪।
পার্বত্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমিরের পরিকল্পনা অনেক। তিনি চান, দেশের আর দশটা অঞ্চলের মতো খাগড়াছড়ির পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরাও যেন তথ্যপ্রযুক্তি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে। এ অঞ্চলের শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এসইও, কনটেন্ট রাইটিং, ইউ আই ডিজাইনের মতো কম্পিউটারভিত্তিক দক্ষতা অর্জন করে সফল ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার গড়তে পারে, সে জন্য কাজ করে যাচ্ছেন আমির। তাঁর লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা।
যাদের আর্থিক সংগতি কম, তাদের জন্য বিনা মূল্যে শেখার সুযোগ আছে আমিরের প্রতিষ্ঠানে। পাশাপাশি সেখানে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করারও সুযোগ রয়েছে। ফলে প্রায় সবার কাজ শেখার সুযোগ আছে। তা ছাড়া নতুনদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে উদ্বুদ্ধ করতে প্রায়ই এডুলাইফ কার্যালয়ে এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি ক্যারিয়ার বিষয়ে সভা-সেমিনার আয়োজন করে থাকেন আমির।

বর্তমানে চারদিকে তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার। সরকারের নানা উদ্যোগ তো আছেই, পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের প্রযুক্তি উদ্যোগও ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাও এর বাইরে নয়। সে অঞ্চলের মানুষও এখন ঘরে বসে আয় করছে ডলার। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। তারাও কম্পিউটার শেখায় পিছিয়ে নেই।
তথ্যপ্রযুক্তির এই বিকাশে অন্য অনেকের মতোই কাজ করছেন তিনি। খাগড়াছড়িতে বাঙালি, চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের কম্পিউটার ও কোডিং শেখান এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের কিডস আফটার স্কুল প্রোগ্রামের মাধ্যমে। এ প্রোগ্রামের আওতায় খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার শতাধিক শিশুকে শুক্র ও শনিবার কম্পিউটার, কোডিং ও স্পোকেন ইংলিশ শেখানো হচ্ছে যাঁর নেতৃত্বে, নাম তাঁর আমির হোসেন। এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক আমির ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন এডুলাইফ ক্রিয়েটিভ ডিজিটাল এজেন্সি। সেখানে প্রায় ৩০ জনের একটি টিম রয়েছে তাঁর। দলটি দেশ ও দেশের বাইরে ওয়েব সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিকস ডিজাইনসহ নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত কাজ করে চলেছে।
শিশুদের কম্পিউটার ও কোডিং শেখানো কিছুটা কঠিন হওয়ায় এদিকে কেউ প্রায় নজরই দেয় না। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আমির হোসেন। তিনি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার ও ইংরেজিতে দক্ষ করে তোলার চেষ্টায় ব্রতী হয়েছেন তিনি। আমির এও বিশ্বাস করেন, ছোটবেলা থেকে ইংরেজি ও কম্পিউটার ভালোমতো জানলে পরবর্তী সময়ে সফলতা অর্জন অনেক সহজ হবে। অন্যদের চেয়ে তারা এগিয়ে থাকবে।
খাগড়াছড়িতে এডুলাইফের এই কার্যক্রম সাড়া ফেলেছে। অভিভাবক সলিল চাকমা বলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগের কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা উপকৃত হচ্ছে। তারা কম্পিউটার শিখতে পারছে। আমিরের এই উদ্যোগে শিশুরা ইংরেজিতে জড়তা কাটিয়ে কথা বলার পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ের প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোতে দক্ষ হয়ে উঠছে।’
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পাহাড় ও সমতলের শিশুদের বৈষম্য দূর করতে নীরবে কাজ করে চলেছেন আমির হোসেন। সে কাজে একাত্ম হয়েছেন বাঙালি-চাকমা-মারমা-ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর অভিভাবকেরা। এই মেলবন্ধন শুধু প্রযুক্তি খাতে নয়, ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে আমাদের সামগ্রিকতার ওপর।
পাহাড়ি এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা খুব সহজ নয়। আছে নানা প্রতিবন্ধকতা। আমির হোসেন ২০১৫ সালে খাগড়াছড়িতে এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তখন এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট-সুবিধা ছিল সীমিত। শুরুতেই এসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন তিনি। কিন্তু আমির বুদ্ধিদীপ্তভাবে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন। তিনি অভিভাবকদের বোঝাতে সক্ষম হন, লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সন্তানদের কম্পিউটার, কোডিং ও ইংরেজি ভাষা শেখালে ভবিষ্যতে জীবিকার পথ সুগম হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে তারা অন্যদের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকবে। আমিরের এসব কথায় অভিভাবকেরা সাড়া দিয়েছেন।
তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে নানা রকম অনুষ্ঠান আয়োজন করে আমিরের এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এ ছাড়া জেলা পর্যায়ে খাগড়াছড়িতে ‘প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরি’তে মনোনীত হয়েছে এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট।
প্রতিষ্ঠানটির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হয়ে গেল ২ মার্চ। সে উপলক্ষে সেদিন খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাদার ব্যক্তি, লেখক, অনলাইন উদ্যোক্তা, স্থানীয় ফ্রিল্যান্সার ও স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল-২০২৪।
পার্বত্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমিরের পরিকল্পনা অনেক। তিনি চান, দেশের আর দশটা অঞ্চলের মতো খাগড়াছড়ির পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরাও যেন তথ্যপ্রযুক্তি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে। এ অঞ্চলের শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এসইও, কনটেন্ট রাইটিং, ইউ আই ডিজাইনের মতো কম্পিউটারভিত্তিক দক্ষতা অর্জন করে সফল ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার গড়তে পারে, সে জন্য কাজ করে যাচ্ছেন আমির। তাঁর লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা।
যাদের আর্থিক সংগতি কম, তাদের জন্য বিনা মূল্যে শেখার সুযোগ আছে আমিরের প্রতিষ্ঠানে। পাশাপাশি সেখানে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করারও সুযোগ রয়েছে। ফলে প্রায় সবার কাজ শেখার সুযোগ আছে। তা ছাড়া নতুনদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে উদ্বুদ্ধ করতে প্রায়ই এডুলাইফ কার্যালয়ে এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি ক্যারিয়ার বিষয়ে সভা-সেমিনার আয়োজন করে থাকেন আমির।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান

বর্তমানে চারদিকে তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার। সরকারের নানা উদ্যোগ তো আছেই, পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের প্রযুক্তি উদ্যোগও ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাও এর বাইরে নয়। সে অঞ্চলের মানুষও এখন ঘরে বসে আয় করছে ডলার। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। তারাও কম্পিউটার শেখায় পিছিয়ে নেই।
তথ্যপ্রযুক্তির এই বিকাশে অন্য অনেকের মতোই কাজ করছেন তিনি। খাগড়াছড়িতে বাঙালি, চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের কম্পিউটার ও কোডিং শেখান এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের কিডস আফটার স্কুল প্রোগ্রামের মাধ্যমে। এ প্রোগ্রামের আওতায় খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার শতাধিক শিশুকে শুক্র ও শনিবার কম্পিউটার, কোডিং ও স্পোকেন ইংলিশ শেখানো হচ্ছে যাঁর নেতৃত্বে, নাম তাঁর আমির হোসেন। এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক আমির ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন এডুলাইফ ক্রিয়েটিভ ডিজিটাল এজেন্সি। সেখানে প্রায় ৩০ জনের একটি টিম রয়েছে তাঁর। দলটি দেশ ও দেশের বাইরে ওয়েব সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিকস ডিজাইনসহ নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত কাজ করে চলেছে।
শিশুদের কম্পিউটার ও কোডিং শেখানো কিছুটা কঠিন হওয়ায় এদিকে কেউ প্রায় নজরই দেয় না। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আমির হোসেন। তিনি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার ও ইংরেজিতে দক্ষ করে তোলার চেষ্টায় ব্রতী হয়েছেন তিনি। আমির এও বিশ্বাস করেন, ছোটবেলা থেকে ইংরেজি ও কম্পিউটার ভালোমতো জানলে পরবর্তী সময়ে সফলতা অর্জন অনেক সহজ হবে। অন্যদের চেয়ে তারা এগিয়ে থাকবে।
খাগড়াছড়িতে এডুলাইফের এই কার্যক্রম সাড়া ফেলেছে। অভিভাবক সলিল চাকমা বলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগের কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা উপকৃত হচ্ছে। তারা কম্পিউটার শিখতে পারছে। আমিরের এই উদ্যোগে শিশুরা ইংরেজিতে জড়তা কাটিয়ে কথা বলার পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ের প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোতে দক্ষ হয়ে উঠছে।’
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পাহাড় ও সমতলের শিশুদের বৈষম্য দূর করতে নীরবে কাজ করে চলেছেন আমির হোসেন। সে কাজে একাত্ম হয়েছেন বাঙালি-চাকমা-মারমা-ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর অভিভাবকেরা। এই মেলবন্ধন শুধু প্রযুক্তি খাতে নয়, ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে আমাদের সামগ্রিকতার ওপর।
পাহাড়ি এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা খুব সহজ নয়। আছে নানা প্রতিবন্ধকতা। আমির হোসেন ২০১৫ সালে খাগড়াছড়িতে এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তখন এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট-সুবিধা ছিল সীমিত। শুরুতেই এসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন তিনি। কিন্তু আমির বুদ্ধিদীপ্তভাবে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন। তিনি অভিভাবকদের বোঝাতে সক্ষম হন, লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সন্তানদের কম্পিউটার, কোডিং ও ইংরেজি ভাষা শেখালে ভবিষ্যতে জীবিকার পথ সুগম হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে তারা অন্যদের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকবে। আমিরের এসব কথায় অভিভাবকেরা সাড়া দিয়েছেন।
তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে নানা রকম অনুষ্ঠান আয়োজন করে আমিরের এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এ ছাড়া জেলা পর্যায়ে খাগড়াছড়িতে ‘প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরি’তে মনোনীত হয়েছে এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট।
প্রতিষ্ঠানটির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হয়ে গেল ২ মার্চ। সে উপলক্ষে সেদিন খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাদার ব্যক্তি, লেখক, অনলাইন উদ্যোক্তা, স্থানীয় ফ্রিল্যান্সার ও স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল-২০২৪।
পার্বত্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমিরের পরিকল্পনা অনেক। তিনি চান, দেশের আর দশটা অঞ্চলের মতো খাগড়াছড়ির পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরাও যেন তথ্যপ্রযুক্তি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে। এ অঞ্চলের শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এসইও, কনটেন্ট রাইটিং, ইউ আই ডিজাইনের মতো কম্পিউটারভিত্তিক দক্ষতা অর্জন করে সফল ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার গড়তে পারে, সে জন্য কাজ করে যাচ্ছেন আমির। তাঁর লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা।
যাদের আর্থিক সংগতি কম, তাদের জন্য বিনা মূল্যে শেখার সুযোগ আছে আমিরের প্রতিষ্ঠানে। পাশাপাশি সেখানে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করারও সুযোগ রয়েছে। ফলে প্রায় সবার কাজ শেখার সুযোগ আছে। তা ছাড়া নতুনদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে উদ্বুদ্ধ করতে প্রায়ই এডুলাইফ কার্যালয়ে এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি ক্যারিয়ার বিষয়ে সভা-সেমিনার আয়োজন করে থাকেন আমির।

বর্তমানে চারদিকে তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার। সরকারের নানা উদ্যোগ তো আছেই, পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের প্রযুক্তি উদ্যোগও ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাও এর বাইরে নয়। সে অঞ্চলের মানুষও এখন ঘরে বসে আয় করছে ডলার। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। তারাও কম্পিউটার শেখায় পিছিয়ে নেই।
তথ্যপ্রযুক্তির এই বিকাশে অন্য অনেকের মতোই কাজ করছেন তিনি। খাগড়াছড়িতে বাঙালি, চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের কম্পিউটার ও কোডিং শেখান এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের কিডস আফটার স্কুল প্রোগ্রামের মাধ্যমে। এ প্রোগ্রামের আওতায় খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার শতাধিক শিশুকে শুক্র ও শনিবার কম্পিউটার, কোডিং ও স্পোকেন ইংলিশ শেখানো হচ্ছে যাঁর নেতৃত্বে, নাম তাঁর আমির হোসেন। এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক আমির ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন এডুলাইফ ক্রিয়েটিভ ডিজিটাল এজেন্সি। সেখানে প্রায় ৩০ জনের একটি টিম রয়েছে তাঁর। দলটি দেশ ও দেশের বাইরে ওয়েব সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিকস ডিজাইনসহ নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত কাজ করে চলেছে।
শিশুদের কম্পিউটার ও কোডিং শেখানো কিছুটা কঠিন হওয়ায় এদিকে কেউ প্রায় নজরই দেয় না। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আমির হোসেন। তিনি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার ও ইংরেজিতে দক্ষ করে তোলার চেষ্টায় ব্রতী হয়েছেন তিনি। আমির এও বিশ্বাস করেন, ছোটবেলা থেকে ইংরেজি ও কম্পিউটার ভালোমতো জানলে পরবর্তী সময়ে সফলতা অর্জন অনেক সহজ হবে। অন্যদের চেয়ে তারা এগিয়ে থাকবে।
খাগড়াছড়িতে এডুলাইফের এই কার্যক্রম সাড়া ফেলেছে। অভিভাবক সলিল চাকমা বলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগের কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা উপকৃত হচ্ছে। তারা কম্পিউটার শিখতে পারছে। আমিরের এই উদ্যোগে শিশুরা ইংরেজিতে জড়তা কাটিয়ে কথা বলার পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ের প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোতে দক্ষ হয়ে উঠছে।’
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পাহাড় ও সমতলের শিশুদের বৈষম্য দূর করতে নীরবে কাজ করে চলেছেন আমির হোসেন। সে কাজে একাত্ম হয়েছেন বাঙালি-চাকমা-মারমা-ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর অভিভাবকেরা। এই মেলবন্ধন শুধু প্রযুক্তি খাতে নয়, ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে আমাদের সামগ্রিকতার ওপর।
পাহাড়ি এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা খুব সহজ নয়। আছে নানা প্রতিবন্ধকতা। আমির হোসেন ২০১৫ সালে খাগড়াছড়িতে এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তখন এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট-সুবিধা ছিল সীমিত। শুরুতেই এসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন তিনি। কিন্তু আমির বুদ্ধিদীপ্তভাবে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন। তিনি অভিভাবকদের বোঝাতে সক্ষম হন, লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সন্তানদের কম্পিউটার, কোডিং ও ইংরেজি ভাষা শেখালে ভবিষ্যতে জীবিকার পথ সুগম হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে তারা অন্যদের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকবে। আমিরের এসব কথায় অভিভাবকেরা সাড়া দিয়েছেন।
তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে নানা রকম অনুষ্ঠান আয়োজন করে আমিরের এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এ ছাড়া জেলা পর্যায়ে খাগড়াছড়িতে ‘প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরি’তে মনোনীত হয়েছে এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট।
প্রতিষ্ঠানটির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হয়ে গেল ২ মার্চ। সে উপলক্ষে সেদিন খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাদার ব্যক্তি, লেখক, অনলাইন উদ্যোক্তা, স্থানীয় ফ্রিল্যান্সার ও স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল-২০২৪।
পার্বত্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমিরের পরিকল্পনা অনেক। তিনি চান, দেশের আর দশটা অঞ্চলের মতো খাগড়াছড়ির পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরাও যেন তথ্যপ্রযুক্তি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে। এ অঞ্চলের শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এসইও, কনটেন্ট রাইটিং, ইউ আই ডিজাইনের মতো কম্পিউটারভিত্তিক দক্ষতা অর্জন করে সফল ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার গড়তে পারে, সে জন্য কাজ করে যাচ্ছেন আমির। তাঁর লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা।
যাদের আর্থিক সংগতি কম, তাদের জন্য বিনা মূল্যে শেখার সুযোগ আছে আমিরের প্রতিষ্ঠানে। পাশাপাশি সেখানে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করারও সুযোগ রয়েছে। ফলে প্রায় সবার কাজ শেখার সুযোগ আছে। তা ছাড়া নতুনদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে উদ্বুদ্ধ করতে প্রায়ই এডুলাইফ কার্যালয়ে এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি ক্যারিয়ার বিষয়ে সভা-সেমিনার আয়োজন করে থাকেন আমির।

উইকিপিডিয়ার বিকল্প হিসেবে নতুন অনলাইন মুক্ত জ্ঞানকোষ ‘গ্রোকিপিডিয়া’ (Grokipedia) চালু করেছেন টেক মোগল ইলন মাস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ওয়েবসাইটটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে মাস্ক নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৯ মিনিট আগে
বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানা গেছে।
৪৪ মিনিট আগে
চ্যাটজিপিটি যেন এখন মানুষের নিত্যদিনকার সঙ্গী। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানতে আমরা চ্যাটজিপিটির শরণাপন্ন হচ্ছি। এই নির্ভরতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন, আবার প্রযুক্তি উন্নতি হিসেবে একে বাহবা দিচ্ছে অনেকে।
২ ঘণ্টা আগে
জিমি ডোনাল্ডসন নামটা হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘মিস্টারবিস্ট’ আজ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এক আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা ও ভালোবাসার নাম। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার, দান, মানবিক উদ্যোগ আর বিশাল বাজেটের চ্যালেঞ্জিং ভিডিও—সব মিলিয়ে তিনি আজ ইউটিউবের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উইকিপিডিয়ার বিকল্প হিসেবে নতুন অনলাইন মুক্ত জ্ঞানকোষ ‘গ্রোকিপিডিয়া’ (Grokipedia) চালু করেছেন টেক মোগল ইলন মাস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ওয়েবসাইটটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে মাস্ক নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক মাস আগে মাস্কের প্রতিষ্ঠান ‘এক্সএআই’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দিয়ে জানিয়েছিল, তারা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যা হবে ‘উইকিপিডিয়ার চেয়ে বহুগুণ উন্নত’। এর ঠিক এক মাস পর সেটি চালু করলেন মাস্ক।
মাস্ক তখন বলেছিলেন, ‘আমরা এক্সএআই-এ গ্রোকিপিডিয়া তৈরি করছি। এটি উইকিপিডিয়ার চেয়ে বহুলাংশে উন্নত হবে। সত্যি বলতে, মহাবিশ্বকে বোঝার এক্সএআই-এর লক্ষ্যের দিকে এটি একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’
স্থানীয় সময় সোমবার Grokipedia.com চালুর পর কিছু ব্যবহারকারী সাইটে প্রবেশে সমস্যার মুখে পড়েছেন বলে জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে বিজনেস ইনসাইডার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে সাইটটিতে প্রবেশ করে মাস্কের নামে একটি নিবন্ধ দেখতে পায়।
সাইটটির ইন্টারফেস কালো। এতে একটি সার্চ বার এবং উইকিপিডিয়া ও চ্যাটজিপিটির মতো ফন্ট স্টাইল দেখা যায়। হোমপেজে লেখা আছে—‘Grokipedia version v0.1’ এবং এতে ইতিমধ্যে ৮ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি নিবন্ধ যুক্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘গ্রোকিপিডিয়া’ মাস্কের এমন একটি প্রকল্প, যার মাধ্যমে তিনি তথাকথিত ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট মূলধারার প্ল্যাটফর্মগুলোর’ বিকল্প তৈরি করতে চান।
একসময় উইকিপিডিয়ার প্রশংসা করলেও গত কয়েক বছরে মাস্ক এই প্ল্যাটফর্মটিকে ‘উদারপন্থী পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযুক্ত করেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এক্সের এক পোস্টে তিনি তাঁর অনুসারীদের আহ্বান জানান—‘নিরপেক্ষে সা হওয়া অবধি উইকিপিডিয়ার অর্থায়ন বন্ধ করুন।’
২০১৯ সালে তিনি নিজের উইকিপিডিয়া পেজ নিয়েও সমালোচনা করে লিখেছিলেন, ‘এটি একপ্রকার যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে প্রতি মুহূর্তে অগণিত ব্যবহারকারী সম্পাদনার কাজ করছে।’ তিনি মজার ছলে আরও লিখেছিলেন, আমার পেজ থেকে ‘ইনভেস্টর’ শব্দটা কেউ দয়া করে মুছে দাও, আমি আসলে বিনিয়োগ তেমন করি না।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনি এক পোস্টে বলেন, ‘উইকিপিডিয়ার বামপন্থী পক্ষপাত একেবারে নগণ্য নয়।’
এদিকে, উইকিপিডিয়ার সহ–প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস ও মাস্কের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন দ্বন্দ্ব চলছে। ২০২৩ সালের মে মাসে ওয়েলস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে টুইটারে (বর্তমানে এক্স) কনটেন্ট সীমিত করার ঘটনায় মাস্কের সমালোচনা করেন। একই বছরের নভেম্বরে টুইটারের নাম পরিবর্তন করে ‘এক্স’ করার পর ওয়েলস মন্তব্য করেছিলেন, ‘এক্স এখন ট্রল ও উন্মাদে ভরে গেছে।’
এর জবাবে মাস্ক লিখেছিলেন, যদি উইকিপিডিয়া তার নাম ‘ডিকিপিডিয়া’ রাখে, তবে তিনি ১ বিলিয়ন ডলার দান করবেন।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিমি ওয়েলস বলেন, তিনি গ্রোকিপিডিয়ার ওপর বেশি ভরসা রাখছেন না, কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখনো যথেষ্ট নির্ভুল নয়—‘এতে অনেক ভুল থাকবে।’
গ্রোকিপিডিয়ার মূল ভিত্তি গ্রোক, যা মাস্কের এক্সএআই-এর তৈরি একটি এআই চ্যাটবট। এটি অতীতে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ভুল তথ্য প্রচার করেছে। একবার এটি দক্ষিণ আফ্রিকার ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ সম্পর্কিত একটি ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করে সমালোচনার মুখে পড়ে।
তবে মাস্ক ও তাঁর টিম জানিয়েছে, তারা এ ধরনের ভুল দূর করতে কাজ করছেন। গত জুন মাসে মাস্ক এক্সের এক পোস্টে বলেছিলেন, তাঁর লক্ষ্য অপূর্ণ তথ্য যোগ করে ও ভুল তথ্য মুছে ফেলে ‘পৃথিবীর তথ্যভান্ডারের সম্পূর্ণ পুনর্লিখন’।

উইকিপিডিয়ার বিকল্প হিসেবে নতুন অনলাইন মুক্ত জ্ঞানকোষ ‘গ্রোকিপিডিয়া’ (Grokipedia) চালু করেছেন টেক মোগল ইলন মাস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ওয়েবসাইটটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে মাস্ক নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক মাস আগে মাস্কের প্রতিষ্ঠান ‘এক্সএআই’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দিয়ে জানিয়েছিল, তারা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যা হবে ‘উইকিপিডিয়ার চেয়ে বহুগুণ উন্নত’। এর ঠিক এক মাস পর সেটি চালু করলেন মাস্ক।
মাস্ক তখন বলেছিলেন, ‘আমরা এক্সএআই-এ গ্রোকিপিডিয়া তৈরি করছি। এটি উইকিপিডিয়ার চেয়ে বহুলাংশে উন্নত হবে। সত্যি বলতে, মহাবিশ্বকে বোঝার এক্সএআই-এর লক্ষ্যের দিকে এটি একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’
স্থানীয় সময় সোমবার Grokipedia.com চালুর পর কিছু ব্যবহারকারী সাইটে প্রবেশে সমস্যার মুখে পড়েছেন বলে জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে বিজনেস ইনসাইডার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে সাইটটিতে প্রবেশ করে মাস্কের নামে একটি নিবন্ধ দেখতে পায়।
সাইটটির ইন্টারফেস কালো। এতে একটি সার্চ বার এবং উইকিপিডিয়া ও চ্যাটজিপিটির মতো ফন্ট স্টাইল দেখা যায়। হোমপেজে লেখা আছে—‘Grokipedia version v0.1’ এবং এতে ইতিমধ্যে ৮ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি নিবন্ধ যুক্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘গ্রোকিপিডিয়া’ মাস্কের এমন একটি প্রকল্প, যার মাধ্যমে তিনি তথাকথিত ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট মূলধারার প্ল্যাটফর্মগুলোর’ বিকল্প তৈরি করতে চান।
একসময় উইকিপিডিয়ার প্রশংসা করলেও গত কয়েক বছরে মাস্ক এই প্ল্যাটফর্মটিকে ‘উদারপন্থী পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযুক্ত করেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এক্সের এক পোস্টে তিনি তাঁর অনুসারীদের আহ্বান জানান—‘নিরপেক্ষে সা হওয়া অবধি উইকিপিডিয়ার অর্থায়ন বন্ধ করুন।’
২০১৯ সালে তিনি নিজের উইকিপিডিয়া পেজ নিয়েও সমালোচনা করে লিখেছিলেন, ‘এটি একপ্রকার যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে প্রতি মুহূর্তে অগণিত ব্যবহারকারী সম্পাদনার কাজ করছে।’ তিনি মজার ছলে আরও লিখেছিলেন, আমার পেজ থেকে ‘ইনভেস্টর’ শব্দটা কেউ দয়া করে মুছে দাও, আমি আসলে বিনিয়োগ তেমন করি না।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনি এক পোস্টে বলেন, ‘উইকিপিডিয়ার বামপন্থী পক্ষপাত একেবারে নগণ্য নয়।’
এদিকে, উইকিপিডিয়ার সহ–প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস ও মাস্কের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন দ্বন্দ্ব চলছে। ২০২৩ সালের মে মাসে ওয়েলস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে টুইটারে (বর্তমানে এক্স) কনটেন্ট সীমিত করার ঘটনায় মাস্কের সমালোচনা করেন। একই বছরের নভেম্বরে টুইটারের নাম পরিবর্তন করে ‘এক্স’ করার পর ওয়েলস মন্তব্য করেছিলেন, ‘এক্স এখন ট্রল ও উন্মাদে ভরে গেছে।’
এর জবাবে মাস্ক লিখেছিলেন, যদি উইকিপিডিয়া তার নাম ‘ডিকিপিডিয়া’ রাখে, তবে তিনি ১ বিলিয়ন ডলার দান করবেন।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিমি ওয়েলস বলেন, তিনি গ্রোকিপিডিয়ার ওপর বেশি ভরসা রাখছেন না, কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখনো যথেষ্ট নির্ভুল নয়—‘এতে অনেক ভুল থাকবে।’
গ্রোকিপিডিয়ার মূল ভিত্তি গ্রোক, যা মাস্কের এক্সএআই-এর তৈরি একটি এআই চ্যাটবট। এটি অতীতে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ভুল তথ্য প্রচার করেছে। একবার এটি দক্ষিণ আফ্রিকার ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ সম্পর্কিত একটি ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করে সমালোচনার মুখে পড়ে।
তবে মাস্ক ও তাঁর টিম জানিয়েছে, তারা এ ধরনের ভুল দূর করতে কাজ করছেন। গত জুন মাসে মাস্ক এক্সের এক পোস্টে বলেছিলেন, তাঁর লক্ষ্য অপূর্ণ তথ্য যোগ করে ও ভুল তথ্য মুছে ফেলে ‘পৃথিবীর তথ্যভান্ডারের সম্পূর্ণ পুনর্লিখন’।

বর্তমানে চারদিকে তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার। সরকারের নানা উদ্যোগ তো আছেই, পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের প্রযুক্তি উদ্যোগও ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাও এর বাইরে নয়। সে অঞ্চলের মানুষও এখন ঘরে বসে আয় করছে ডলার। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। তারাও কম্পিউটার শেখায় পিছিয়ে নেই।
০৫ মার্চ ২০২৪
বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানা গেছে।
৪৪ মিনিট আগে
চ্যাটজিপিটি যেন এখন মানুষের নিত্যদিনকার সঙ্গী। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানতে আমরা চ্যাটজিপিটির শরণাপন্ন হচ্ছি। এই নির্ভরতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন, আবার প্রযুক্তি উন্নতি হিসেবে একে বাহবা দিচ্ছে অনেকে।
২ ঘণ্টা আগে
জিমি ডোনাল্ডসন নামটা হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘মিস্টারবিস্ট’ আজ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এক আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা ও ভালোবাসার নাম। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার, দান, মানবিক উদ্যোগ আর বিশাল বাজেটের চ্যালেঞ্জিং ভিডিও—সব মিলিয়ে তিনি আজ ইউটিউবের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির ১ কোটি ৫৫ লাখ কর্মীর মধ্যে এই সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও করপোরেট পর্যায়ে কর্মরত ৩ লাখ ৫০ হাজার কর্মীর প্রায় ১০ শতাংশ এর আওতায় পড়বেন। এটি হবে ২০২২ সালের পর আমাজনের সবচেয়ে বড় কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল।
এ বিষয়ে জানতে আমাজনের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
দুই বছর ধরে আমাজন ছোট ছোট ধাপে বিভিন্ন বিভাগে জনবল কমিয়ে আসছে, যার মধ্যে রয়েছে ডিভাইস, যোগাযোগ ও পডকাস্টিং বিভাগ। এবার যে বৃহৎ আকারের ছাঁটাই শুরু হচ্ছে, তা প্রভাব ফেলবে মানবসম্পদ, অপারেশনস, ডিভাইস ও সার্ভিসেস এবং আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস বিভাগে।
এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, গত সোমবার সংশ্লিষ্ট বিভাগের ব্যবস্থাপকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কীভাবে তাঁরা ছাঁটাই-সংক্রান্ত ই-মেইল পাওয়ার পর কর্মীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। আজ সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-মেইল পাঠানো শুরু হবে।
আমাজনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি কিছুদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক জটিলতা কমাতে কাজ করছেন। তিনি ব্যবস্থাপক পর্যায়ে কর্মীসংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি গোপনে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জমা দেওয়ার একটি ব্যবস্থা চালু করেছেন। জানা গেছে, এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০টি অভিযোগ এসেছে এবং ৪৫০টির বেশি বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত জুনে জ্যাসি বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ফলে ভবিষ্যতে আরও কর্মী ছাঁটাই হতে পারে। কারণ, এআই প্রযুক্তি অনেক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম।
ই-মার্কেট বিশ্লেষক স্কাই কানাভেস বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, আমাজন করপোরেট পর্যায়ে এআই-নির্ভর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত সাফল্য পেয়েছে, যার ফলে বড় আকারে জনবল কমানো সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়া এআই অবকাঠামো গড়ে তুলতে যে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তার খরচ পুষিয়ে নিতেও কোম্পানির ওপর চাপ রয়েছে।’
ছাঁটাইয়ের সঠিক পরিমাণ এখনো নির্ধারিত না হলেও ফরচুনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানবসম্পদ বিভাগে প্রায় ১৫ শতাংশ পদ বাদ পড়তে পারে।
আমাজন চলতি বছরের শুরুতে অফিসে কর্মীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছিল, যা প্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে কঠোর নীতি হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এই কঠোর নিয়মেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মীসংখ্যা কমেনি। তবে দূরবর্তী এলাকায় থাকা বা অফিসে নিয়মিত উপস্থিত না হওয়া অনেক কর্মীকে ক্ষতিপূরণ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
প্রযুক্তি খাতে চাকরি ছাঁটাই ট্র্যাক করা ওয়েবসাইট Layoffs.fyi-এর হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২১৬টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯৮ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার।

বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির ১ কোটি ৫৫ লাখ কর্মীর মধ্যে এই সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও করপোরেট পর্যায়ে কর্মরত ৩ লাখ ৫০ হাজার কর্মীর প্রায় ১০ শতাংশ এর আওতায় পড়বেন। এটি হবে ২০২২ সালের পর আমাজনের সবচেয়ে বড় কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল।
এ বিষয়ে জানতে আমাজনের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
দুই বছর ধরে আমাজন ছোট ছোট ধাপে বিভিন্ন বিভাগে জনবল কমিয়ে আসছে, যার মধ্যে রয়েছে ডিভাইস, যোগাযোগ ও পডকাস্টিং বিভাগ। এবার যে বৃহৎ আকারের ছাঁটাই শুরু হচ্ছে, তা প্রভাব ফেলবে মানবসম্পদ, অপারেশনস, ডিভাইস ও সার্ভিসেস এবং আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস বিভাগে।
এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, গত সোমবার সংশ্লিষ্ট বিভাগের ব্যবস্থাপকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কীভাবে তাঁরা ছাঁটাই-সংক্রান্ত ই-মেইল পাওয়ার পর কর্মীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। আজ সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-মেইল পাঠানো শুরু হবে।
আমাজনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি কিছুদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক জটিলতা কমাতে কাজ করছেন। তিনি ব্যবস্থাপক পর্যায়ে কর্মীসংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি গোপনে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জমা দেওয়ার একটি ব্যবস্থা চালু করেছেন। জানা গেছে, এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০টি অভিযোগ এসেছে এবং ৪৫০টির বেশি বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত জুনে জ্যাসি বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ফলে ভবিষ্যতে আরও কর্মী ছাঁটাই হতে পারে। কারণ, এআই প্রযুক্তি অনেক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম।
ই-মার্কেট বিশ্লেষক স্কাই কানাভেস বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, আমাজন করপোরেট পর্যায়ে এআই-নির্ভর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত সাফল্য পেয়েছে, যার ফলে বড় আকারে জনবল কমানো সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়া এআই অবকাঠামো গড়ে তুলতে যে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তার খরচ পুষিয়ে নিতেও কোম্পানির ওপর চাপ রয়েছে।’
ছাঁটাইয়ের সঠিক পরিমাণ এখনো নির্ধারিত না হলেও ফরচুনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানবসম্পদ বিভাগে প্রায় ১৫ শতাংশ পদ বাদ পড়তে পারে।
আমাজন চলতি বছরের শুরুতে অফিসে কর্মীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছিল, যা প্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে কঠোর নীতি হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এই কঠোর নিয়মেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মীসংখ্যা কমেনি। তবে দূরবর্তী এলাকায় থাকা বা অফিসে নিয়মিত উপস্থিত না হওয়া অনেক কর্মীকে ক্ষতিপূরণ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
প্রযুক্তি খাতে চাকরি ছাঁটাই ট্র্যাক করা ওয়েবসাইট Layoffs.fyi-এর হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২১৬টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯৮ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার।

বর্তমানে চারদিকে তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার। সরকারের নানা উদ্যোগ তো আছেই, পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের প্রযুক্তি উদ্যোগও ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাও এর বাইরে নয়। সে অঞ্চলের মানুষও এখন ঘরে বসে আয় করছে ডলার। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। তারাও কম্পিউটার শেখায় পিছিয়ে নেই।
০৫ মার্চ ২০২৪
উইকিপিডিয়ার বিকল্প হিসেবে নতুন অনলাইন মুক্ত জ্ঞানকোষ ‘গ্রোকিপিডিয়া’ (Grokipedia) চালু করেছেন টেক মোগল ইলন মাস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ওয়েবসাইটটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে মাস্ক নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৯ মিনিট আগে
চ্যাটজিপিটি যেন এখন মানুষের নিত্যদিনকার সঙ্গী। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানতে আমরা চ্যাটজিপিটির শরণাপন্ন হচ্ছি। এই নির্ভরতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন, আবার প্রযুক্তি উন্নতি হিসেবে একে বাহবা দিচ্ছে অনেকে।
২ ঘণ্টা আগে
জিমি ডোনাল্ডসন নামটা হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘মিস্টারবিস্ট’ আজ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এক আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা ও ভালোবাসার নাম। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার, দান, মানবিক উদ্যোগ আর বিশাল বাজেটের চ্যালেঞ্জিং ভিডিও—সব মিলিয়ে তিনি আজ ইউটিউবের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চ্যাটজিপিটি যেন এখন মানুষের নিত্যদিনকার সঙ্গী। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানতে আমরা চ্যাটজিপিটির শরণাপন্ন হচ্ছি। এই নির্ভরতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন, আবার প্রযুক্তি উন্নতি হিসেবে একে বাহবা দিচ্ছে অনেকে। কিন্তু এবার চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই জানিয়েছে, প্রতিদিন তাদের এই এআই চ্যাটবটটির কাছে লাখো মানুষ ‘আত্মহত্যা’র ইচ্ছা প্রকাশ করছে।
গতকাল সোমবার এক ব্লগপোস্টে এ কথা জানায় ওপেনএআই। চ্যাটবটটি কীভাবে এসব সংবেদনশীল কথোপকথন পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে একটি আপডেটের অংশ হিসেবে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা কীভাবে ও কতটা বাড়িয়ে তুলতে পারে সে প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওপেনএআই।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রতি সপ্তাহে এক মিলিয়নেরও বেশি চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী এমন বার্তা পাঠান যেখানে ‘আত্মহত্যার পরিকল্পনা বা ইচ্ছার স্পষ্ট ইঙ্গিত’ পাওয়া যায়।
আত্মহত্যা-সংক্রান্ত চিন্তা ও সংশ্লিষ্ট যোগাযোগের পাশাপাশি, ওপেনএআই আরও জানিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে সক্রিয় ব্যবহারকারীদের প্রায় ০.০৭ শতাংশ—অর্থাৎ ৮০ কোটি সাপ্তাহিক ব্যবহারকারীর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার জন তাদের কথোপকথনে ‘মনোরোগজনিত বিভ্রম (psychosis) বা মানিয়াজনিত (mania) জরুরি মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার সম্ভাব্য লক্ষণ’ প্রদর্শন করেন।
তবে ওপেনএআই ব্লগপোস্টে সতর্ক করে জানায়, এ ধরনের কথোপকথন শনাক্ত বা পরিমাপ করা কঠিন। আর এটা কেবল একটি প্রাথমিক বিশ্লেষণ।
চ্যাটজিপিটির সঙ্গে সম্পর্কিত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার তথ্য প্রকাশ করার পর ওপেনএআই এখন বাড়তি নজরদারির মুখে পড়েছে। সম্প্রতি এক কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার পরিবারের মামলার পর এই নজরদারি আরও তীব্র হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই কিশোর আত্মহত্যার আগে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথোপকথন চালিয়েছিল।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ওপেনএআই-সহ এআই চ্যাটবট তৈরি করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি বিস্তৃত তদন্ত শুরু করেছে। এসব চ্যাটবট কীভাবে শিশু-কিশোরদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা খতিয়ে দেখছে এফটিসি।
ওপেনএআই তাদের পোস্টে দাবি করেছে, সাম্প্রতিক জিপিটি-৫ আপডেটে চ্যাটজিপিটির ‘অবাঞ্ছিত আচরণ’ কমেছে। নিজের ক্ষতি করা ও আত্মহত্যা-সংক্রান্ত ১ হাজারটিরও বেশি কথোপকথনের ভিত্তিতে করা এক মূল্যায়নে দেখা গেছে, ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা আরও উন্নত হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধের তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেয়নি ওপেনএআই।
কোম্পানির পোস্টে বলা হয়েছে, ‘নতুন জিপিটি-৫ (GPT-5) মডেল আমাদের কাঙ্ক্ষিত আচরণের সঙ্গে ৯১ শতাংশ সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে আগের মডেলে এই হার ছিল ৭৭ শতাংশ।’
ওপেনএআই জানিয়েছে, জিপিটি-৫ সংস্করণে সঙ্কটকালীন সহায়তা হটলাইনগুলোর অ্যাক্সেস বাড়ানো হয়েছে এবং দীর্ঘ সেশনের সময় ব্যবহারকারীদের বিরতি নেওয়ার জন্য স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে।
টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, মডেলটি আরও উন্নত করতে গত কয়েক মাসে গ্লোবাল ফিজিশিয়ান নেটওয়ার্কের ১৭০ জন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞকে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। মডেলের প্রতিক্রিয়াগুলোর নিরাপত্তা মূল্যায়ন করে মানসিক স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত প্রশ্নে চ্যাটবটের উত্তর তৈরি করতে সহায়তা করেছেন তাঁরা।
ওপেনএআই জানিয়েছে, এ কাজের অংশ হিসেবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞানীরা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জড়িত ১ হাজার ৮০০ টিরও বেশি মডেল প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করেছেন। নতুন জিপিটি-৫ চ্যাট মডেলের উত্তরগুলোর সঙ্গে আগের মডেলগুলোর তুলনা করেছেন।
এআই গবেষক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বহুদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন, চ্যাটবটগুলো প্রায়ই ব্যবহারকারীর সিদ্ধান্ত বা বিভ্রমকে ক্ষতিকর হোক বা না হোক, অন্ধভাবে সমর্থন করার প্রবণতা দেখায় যা ‘সাইকোফ্যান্সি’ (sycophancy) নামে পরিচিত।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, মানুষ যদি মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার জন্য এআই চ্যাটবটের ওপর নির্ভর করে, তাহলে তা ঝুঁকিপূর্ণ ও সংবেদনশীল ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করতে পারে।
ওপেনএআই এমনভাবে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছে যা থেকে মনে হয়, তাদের পণ্য ও ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে সরাসরি কোনো কারণগত সম্পর্ক নেই।
ওপেনএআই তাদের পোস্টে জানিয়েছে, ‘মানসিক স্বাস্থ্যজনিত উপসর্গ ও মানসিক চাপ মানবসমাজে সর্বজনীনভাবে বিদ্যমান এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ার অর্থ হলো চ্যাটজিপিটির কথোপকথনের একটি অংশে স্বাভাবিকভাবেই এসব পরিস্থিতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) স্যাম অল্টম্যান এক্স-এ দাবি করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে তাঁর কোম্পানি। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, ওপেনএআই শিগগিরই প্রাপ্তবয়স্কদের ইরোটিক কনটেন্ট (অশ্লীল নয়, যৌনধর্মী শিল্প ও গল্প) তৈরি করার অনুমতি দিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে।
অল্টম্যান পোস্টে বলেন, ‘আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে সতর্ক থাকতে চ্যাটজিপিটিকে বেশ সীমাবদ্ধভাবে তৈরি করেছিলাম। আমরা বুঝতে পারছি, এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না, তাদের জন্য এটি কম উপযোগী বা কম উপভোগ্য হয়ে পড়েছিল। তবে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম যে কাজটি ঠিকভাবে করা হচ্ছে। এখন যেহেতু আমরা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি এবং নতুন টুলস পেয়েছি, তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদভাবে এসব সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে পারব।’
গতকাল সোমবার এক ব্লগপোস্টে এ কথা জানায় ওপেনএআই। চ্যাটবটটি কীভাবে এসব সংবেদনশীল কথোপকথন পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে একটি আপডেটের অংশ হিসেবে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা কীভাবে ও কতটা বাড়িয়ে তুলতে পারে সে প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওপেনএআই।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) স্যাম অল্টম্যান এক্স-এ দাবি করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে তাঁর কোম্পানি। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, ওপেনএআই শিগগিরই প্রাপ্তবয়স্কদের ইরোটিক কনটেন্ট (অশ্লীল নয়, যৌনধর্মী শিল্প ও গল্প) তৈরি করার অনুমতি দিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে।
অল্টম্যান পোস্টে বলেন, ‘আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে সতর্ক থাকতে চ্যাটজিপিটিকে বেশ সীমাবদ্ধভাবে তৈরি করেছিলাম। আমরা বুঝতে পারছি, এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না, তাদের জন্য এটি কম উপযোগী বা কম উপভোগ্য হয়ে পড়েছিল। তবে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম যে কাজটি ঠিকভাবে করা হচ্ছে। এখন যেহেতু আমরা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি এবং নতুন টুলস পেয়েছি, তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদভাবে এসব সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে পারব।’

চ্যাটজিপিটি যেন এখন মানুষের নিত্যদিনকার সঙ্গী। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানতে আমরা চ্যাটজিপিটির শরণাপন্ন হচ্ছি। এই নির্ভরতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন, আবার প্রযুক্তি উন্নতি হিসেবে একে বাহবা দিচ্ছে অনেকে। কিন্তু এবার চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই জানিয়েছে, প্রতিদিন তাদের এই এআই চ্যাটবটটির কাছে লাখো মানুষ ‘আত্মহত্যা’র ইচ্ছা প্রকাশ করছে।
গতকাল সোমবার এক ব্লগপোস্টে এ কথা জানায় ওপেনএআই। চ্যাটবটটি কীভাবে এসব সংবেদনশীল কথোপকথন পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে একটি আপডেটের অংশ হিসেবে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা কীভাবে ও কতটা বাড়িয়ে তুলতে পারে সে প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওপেনএআই।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রতি সপ্তাহে এক মিলিয়নেরও বেশি চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী এমন বার্তা পাঠান যেখানে ‘আত্মহত্যার পরিকল্পনা বা ইচ্ছার স্পষ্ট ইঙ্গিত’ পাওয়া যায়।
আত্মহত্যা-সংক্রান্ত চিন্তা ও সংশ্লিষ্ট যোগাযোগের পাশাপাশি, ওপেনএআই আরও জানিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে সক্রিয় ব্যবহারকারীদের প্রায় ০.০৭ শতাংশ—অর্থাৎ ৮০ কোটি সাপ্তাহিক ব্যবহারকারীর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার জন তাদের কথোপকথনে ‘মনোরোগজনিত বিভ্রম (psychosis) বা মানিয়াজনিত (mania) জরুরি মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার সম্ভাব্য লক্ষণ’ প্রদর্শন করেন।
তবে ওপেনএআই ব্লগপোস্টে সতর্ক করে জানায়, এ ধরনের কথোপকথন শনাক্ত বা পরিমাপ করা কঠিন। আর এটা কেবল একটি প্রাথমিক বিশ্লেষণ।
চ্যাটজিপিটির সঙ্গে সম্পর্কিত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার তথ্য প্রকাশ করার পর ওপেনএআই এখন বাড়তি নজরদারির মুখে পড়েছে। সম্প্রতি এক কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার পরিবারের মামলার পর এই নজরদারি আরও তীব্র হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই কিশোর আত্মহত্যার আগে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথোপকথন চালিয়েছিল।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ওপেনএআই-সহ এআই চ্যাটবট তৈরি করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি বিস্তৃত তদন্ত শুরু করেছে। এসব চ্যাটবট কীভাবে শিশু-কিশোরদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা খতিয়ে দেখছে এফটিসি।
ওপেনএআই তাদের পোস্টে দাবি করেছে, সাম্প্রতিক জিপিটি-৫ আপডেটে চ্যাটজিপিটির ‘অবাঞ্ছিত আচরণ’ কমেছে। নিজের ক্ষতি করা ও আত্মহত্যা-সংক্রান্ত ১ হাজারটিরও বেশি কথোপকথনের ভিত্তিতে করা এক মূল্যায়নে দেখা গেছে, ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা আরও উন্নত হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধের তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেয়নি ওপেনএআই।
কোম্পানির পোস্টে বলা হয়েছে, ‘নতুন জিপিটি-৫ (GPT-5) মডেল আমাদের কাঙ্ক্ষিত আচরণের সঙ্গে ৯১ শতাংশ সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে আগের মডেলে এই হার ছিল ৭৭ শতাংশ।’
ওপেনএআই জানিয়েছে, জিপিটি-৫ সংস্করণে সঙ্কটকালীন সহায়তা হটলাইনগুলোর অ্যাক্সেস বাড়ানো হয়েছে এবং দীর্ঘ সেশনের সময় ব্যবহারকারীদের বিরতি নেওয়ার জন্য স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে।
টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, মডেলটি আরও উন্নত করতে গত কয়েক মাসে গ্লোবাল ফিজিশিয়ান নেটওয়ার্কের ১৭০ জন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞকে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। মডেলের প্রতিক্রিয়াগুলোর নিরাপত্তা মূল্যায়ন করে মানসিক স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত প্রশ্নে চ্যাটবটের উত্তর তৈরি করতে সহায়তা করেছেন তাঁরা।
ওপেনএআই জানিয়েছে, এ কাজের অংশ হিসেবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞানীরা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জড়িত ১ হাজার ৮০০ টিরও বেশি মডেল প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করেছেন। নতুন জিপিটি-৫ চ্যাট মডেলের উত্তরগুলোর সঙ্গে আগের মডেলগুলোর তুলনা করেছেন।
এআই গবেষক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বহুদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন, চ্যাটবটগুলো প্রায়ই ব্যবহারকারীর সিদ্ধান্ত বা বিভ্রমকে ক্ষতিকর হোক বা না হোক, অন্ধভাবে সমর্থন করার প্রবণতা দেখায় যা ‘সাইকোফ্যান্সি’ (sycophancy) নামে পরিচিত।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, মানুষ যদি মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার জন্য এআই চ্যাটবটের ওপর নির্ভর করে, তাহলে তা ঝুঁকিপূর্ণ ও সংবেদনশীল ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করতে পারে।
ওপেনএআই এমনভাবে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছে যা থেকে মনে হয়, তাদের পণ্য ও ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে সরাসরি কোনো কারণগত সম্পর্ক নেই।
ওপেনএআই তাদের পোস্টে জানিয়েছে, ‘মানসিক স্বাস্থ্যজনিত উপসর্গ ও মানসিক চাপ মানবসমাজে সর্বজনীনভাবে বিদ্যমান এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ার অর্থ হলো চ্যাটজিপিটির কথোপকথনের একটি অংশে স্বাভাবিকভাবেই এসব পরিস্থিতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) স্যাম অল্টম্যান এক্স-এ দাবি করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে তাঁর কোম্পানি। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, ওপেনএআই শিগগিরই প্রাপ্তবয়স্কদের ইরোটিক কনটেন্ট (অশ্লীল নয়, যৌনধর্মী শিল্প ও গল্প) তৈরি করার অনুমতি দিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে।
অল্টম্যান পোস্টে বলেন, ‘আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে সতর্ক থাকতে চ্যাটজিপিটিকে বেশ সীমাবদ্ধভাবে তৈরি করেছিলাম। আমরা বুঝতে পারছি, এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না, তাদের জন্য এটি কম উপযোগী বা কম উপভোগ্য হয়ে পড়েছিল। তবে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম যে কাজটি ঠিকভাবে করা হচ্ছে। এখন যেহেতু আমরা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি এবং নতুন টুলস পেয়েছি, তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদভাবে এসব সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে পারব।’
গতকাল সোমবার এক ব্লগপোস্টে এ কথা জানায় ওপেনএআই। চ্যাটবটটি কীভাবে এসব সংবেদনশীল কথোপকথন পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে একটি আপডেটের অংশ হিসেবে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা কীভাবে ও কতটা বাড়িয়ে তুলতে পারে সে প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওপেনএআই।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) স্যাম অল্টম্যান এক্স-এ দাবি করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে তাঁর কোম্পানি। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, ওপেনএআই শিগগিরই প্রাপ্তবয়স্কদের ইরোটিক কনটেন্ট (অশ্লীল নয়, যৌনধর্মী শিল্প ও গল্প) তৈরি করার অনুমতি দিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে।
অল্টম্যান পোস্টে বলেন, ‘আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে সতর্ক থাকতে চ্যাটজিপিটিকে বেশ সীমাবদ্ধভাবে তৈরি করেছিলাম। আমরা বুঝতে পারছি, এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না, তাদের জন্য এটি কম উপযোগী বা কম উপভোগ্য হয়ে পড়েছিল। তবে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম যে কাজটি ঠিকভাবে করা হচ্ছে। এখন যেহেতু আমরা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি এবং নতুন টুলস পেয়েছি, তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদভাবে এসব সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে পারব।’

বর্তমানে চারদিকে তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার। সরকারের নানা উদ্যোগ তো আছেই, পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের প্রযুক্তি উদ্যোগও ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাও এর বাইরে নয়। সে অঞ্চলের মানুষও এখন ঘরে বসে আয় করছে ডলার। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। তারাও কম্পিউটার শেখায় পিছিয়ে নেই।
০৫ মার্চ ২০২৪
উইকিপিডিয়ার বিকল্প হিসেবে নতুন অনলাইন মুক্ত জ্ঞানকোষ ‘গ্রোকিপিডিয়া’ (Grokipedia) চালু করেছেন টেক মোগল ইলন মাস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ওয়েবসাইটটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে মাস্ক নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৯ মিনিট আগে
বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানা গেছে।
৪৪ মিনিট আগে
জিমি ডোনাল্ডসন নামটা হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘মিস্টারবিস্ট’ আজ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এক আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা ও ভালোবাসার নাম। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার, দান, মানবিক উদ্যোগ আর বিশাল বাজেটের চ্যালেঞ্জিং ভিডিও—সব মিলিয়ে তিনি আজ ইউটিউবের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা
৩ ঘণ্টা আগেফাহিম হাসনাত

জিমি ডোনাল্ডসন নামটা হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘মিস্টারবিস্ট’ আজ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এক আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা ও ভালোবাসার নাম। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার, দান, মানবিক উদ্যোগ আর বিশাল বাজেটের চ্যালেঞ্জিং ভিডিও—সব মিলিয়ে তিনি আজ ইউটিউবের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা।
শৈশব এবং বেড়ে ওঠা
১৯৯৮ সালের ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের উইচিটা শহরে জন্মগ্রহণ করেন ডোনাল্ডসন। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। মা সু ডোনাল্ডসন ছিলেন সেনাবাহিনীর সাবেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মায়ের চাকরির কারণে তাঁর পরিবারকে ঘন ঘন জায়গা বদল করতে হতো। ছোটবেলা থেকেই জিমির ছিল একগুঁয়ে স্বভাব। যে কাজে মন দিতেন, তাতেই সারাক্ষণ ডুবে থাকতেন।
শৈশবে লেগো খেলনা আর বেসবল ছিল তাঁর দুনিয়া। ১৩ বছর বয়সে এক পুরোনো ল্যাপটপে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করা শুরু করেন। ২০১২ সালে তৈরি করা সেই চ্যানেলের নাম দেন ‘মিস্টারবিস্ট ৬০০০’।
শিক্ষাজীবন থেকে ইউটিউব যাত্রা
প্রথম দিকে ‘লেটস প্লে’ ভিডিও বানাতেন। অর্থাৎ গেম খেলতে খেলতে নিজের মন্তব্যসহ ভিডিও প্রকাশ করতেন ডোনাল্ডসন। ২০১৬ সালে নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রিনভিল ক্রিশ্চিয়ান একাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ইস্ট ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন মায়ের ইচ্ছায়। কিন্তু ক্লাসের চেয়ে বেশি সময় কাটাতেন গাড়ির ভেতর ভিডিও বানিয়ে। কনটেন্ট তৈরি যাঁর স্বপ্ন, ক্লাসের চারদেয়ালে তিনি বন্দী থাকতে চাইবেন না, সেটা ছিল নির্ধারিত। তাই ইউটিউব ক্যারিয়ারে মন দেওয়ার জন্য মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন।
সে বছরের জুলাইয়ে তাঁর চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলে ১ লাখ। তখন থেকে তিনি ভিডিও থেকে আয়ের পথ খুঁজে পান। সেটিই ছিল ডোনাল্ডসনের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত।
ভাইরাল হওয়ার শুরু
২০১৭ সালে প্রকাশিত ‘আই কাউন্টেড টু ১০০,০০০’ ভিডিও দিয়ে প্রথম ভাইরাল হন মিস্টারবিস্ট। এর পর থেকে শুরু হয় অসাধারণ সাফল্যের যাত্রা। ইউটিউবে অন্য নির্মাতাদের আয় নিয়ে বিশ্লেষণ, বড় অঙ্কের চ্যালেঞ্জ ও পুরস্কার—সবকিছু মিলিয়ে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। একসময় তাঁর ভিডিওর ধরনই বদলে যায়। মানুষকে অবাক করা পুরস্কার, বিশাল চ্যালেঞ্জ আর মানবিক উদ্যোগে ভরপুর ভিডিও। অন্ধত্ব নিরাময়ে এক হাজার মানুষের চোখের অপারেশনের খরচ বহন করা, আফ্রিকার পানিশূন্য এলাকায় নলকূপ স্থাপন ইত্যাদি ভিডিও আলাদা উচ্চতায় নিয়ে যায় ডোনাল্ডসনকে।
২০২১ সালে ‘ফোর্বস ৩০ আন্ডার ৩০’ তালিকায় তিনি জায়গা করে নেন নিজের কাজ দিয়ে। ২০২৪ সালের মধ্যে তাঁর দান ও পুরস্কারের পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। কেউ চাকরি ছেড়ে দিলে দিচ্ছেন ১ লাখ ডলার, কেউ দরিদ্র হলে হাতে তুলে দিচ্ছেন নগদ অর্থভর্তি ব্যাগ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষকে সহযোগিতা করতে ভালো লাগে। তাঁদের মুখে আনন্দ দেখি, সেটাই আমার বড় পুরস্কার।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইউটিউব চ্যানেল
২০২৪ সালের জুলাই মাসে ইতিহাস সৃষ্টি করে মিস্টারবিস্ট। প্রথম ইউটিউবে ৩০০ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অতিক্রম করে তাঁর চ্যানেল। বর্তমানে ডোনাল্ডসনের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৪৪৭ মিলিয়ন বা ৪৪ দশমিক ৭ কোটি। এটি ইউটিউবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

টিকটক কেনার প্রস্তাব
এ বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার গুঞ্জন ছড়ায়। তখন ডোনাল্ডসন ঘোষণা দেন, তিনি নিজেই টিকটক কিনে ফেলবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে বলেন, ‘যদি টিকটক বন্ধ হয়, আমি এটি কিনব।’ তবে এই উদ্যোগের কোনো আনুষ্ঠানিক অগ্রগতি আর জানা যায়নি।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর শুধু নন, সফল উদ্যোক্তাও
২০২২ সালে মিস্টারবিস্ট প্রতিষ্ঠা করে ফিস্টেবলস ও মিস্টারবিস্ট বার্গার। ফিস্টেবলস উৎপাদন করে চকলেট বার। মিস্টারবিস্ট বার্গার একটি ভার্চুয়াল রেস্টুরেন্ট চেইন। যেখানে অনলাইন অর্ডার করলে স্থানীয় রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়। ২০২৩ সালে তিনি লগান পল ও কেএসআইয়ের সঙ্গে মিলে বাজারে আনেন লাঞ্চলি। এটি স্বাস্থ্যকর খাবারের প্যাকেজড কিট হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ২০২৪ সালে তিনি আমাজন প্রাইম ভিডিওর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেন ‘বিস্ট গেমস’ শিরোনামে এক বিশাল গেম শো। যেখানে প্রতিযোগীরা ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এটি আমাজন প্রাইমের সবচেয়ে বেশি দেখা আনস্ক্রিপটেড শো হয়ে ওঠে।
বিলিয়নিয়ার মিস্টারবিস্ট
মাত্র ২৬ বছর বয়সে ডোনাল্ডসন ২০২৪ সালের জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলিয়নিয়ারের তালিকায় যুক্ত হন। শুধু ইউটিউব এবং এসব ব্যবসা থেকে ২০২৪ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার। মজার বিষয় হলো, কাগজ-কলমে কোটিপতি হওয়া সত্ত্বেও তিনি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, তাঁর কাছে মাত্র প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার বা তার কম নগদ অর্থ আছে। কারণ, তিনি সব অর্থ পুনর্বিনিয়োগ করেন এবং সেখান থেকে সাধারণত কর্মীর মতোই মাসিক বেতন নেন।
আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সম্পদ জমা করে রাখার কোনো পরিকল্পনাই তাঁর নেই।
মিস্টারবিস্ট তথা ডোনাল্ডসন শুধু একজন ইউটিউবার নন, বর্তমান প্রজন্মের অনেক তরুণের আদর্শ। তাঁর ভিডিওগুলোতে বিনোদনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে মানবিকতা ও উদারতা। ভিডিওগুলোতে যেমন আছে প্রতিযোগিতা, উদ্দীপনা ও বিনোদন, তেমনি অনুপ্রেরণামূলক এক বার্তাও।
সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি, রোলিং স্টোন

জিমি ডোনাল্ডসন নামটা হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘মিস্টারবিস্ট’ আজ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এক আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা ও ভালোবাসার নাম। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার, দান, মানবিক উদ্যোগ আর বিশাল বাজেটের চ্যালেঞ্জিং ভিডিও—সব মিলিয়ে তিনি আজ ইউটিউবের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা।
শৈশব এবং বেড়ে ওঠা
১৯৯৮ সালের ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের উইচিটা শহরে জন্মগ্রহণ করেন ডোনাল্ডসন। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। মা সু ডোনাল্ডসন ছিলেন সেনাবাহিনীর সাবেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মায়ের চাকরির কারণে তাঁর পরিবারকে ঘন ঘন জায়গা বদল করতে হতো। ছোটবেলা থেকেই জিমির ছিল একগুঁয়ে স্বভাব। যে কাজে মন দিতেন, তাতেই সারাক্ষণ ডুবে থাকতেন।
শৈশবে লেগো খেলনা আর বেসবল ছিল তাঁর দুনিয়া। ১৩ বছর বয়সে এক পুরোনো ল্যাপটপে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করা শুরু করেন। ২০১২ সালে তৈরি করা সেই চ্যানেলের নাম দেন ‘মিস্টারবিস্ট ৬০০০’।
শিক্ষাজীবন থেকে ইউটিউব যাত্রা
প্রথম দিকে ‘লেটস প্লে’ ভিডিও বানাতেন। অর্থাৎ গেম খেলতে খেলতে নিজের মন্তব্যসহ ভিডিও প্রকাশ করতেন ডোনাল্ডসন। ২০১৬ সালে নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রিনভিল ক্রিশ্চিয়ান একাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ইস্ট ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন মায়ের ইচ্ছায়। কিন্তু ক্লাসের চেয়ে বেশি সময় কাটাতেন গাড়ির ভেতর ভিডিও বানিয়ে। কনটেন্ট তৈরি যাঁর স্বপ্ন, ক্লাসের চারদেয়ালে তিনি বন্দী থাকতে চাইবেন না, সেটা ছিল নির্ধারিত। তাই ইউটিউব ক্যারিয়ারে মন দেওয়ার জন্য মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন।
সে বছরের জুলাইয়ে তাঁর চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলে ১ লাখ। তখন থেকে তিনি ভিডিও থেকে আয়ের পথ খুঁজে পান। সেটিই ছিল ডোনাল্ডসনের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত।
ভাইরাল হওয়ার শুরু
২০১৭ সালে প্রকাশিত ‘আই কাউন্টেড টু ১০০,০০০’ ভিডিও দিয়ে প্রথম ভাইরাল হন মিস্টারবিস্ট। এর পর থেকে শুরু হয় অসাধারণ সাফল্যের যাত্রা। ইউটিউবে অন্য নির্মাতাদের আয় নিয়ে বিশ্লেষণ, বড় অঙ্কের চ্যালেঞ্জ ও পুরস্কার—সবকিছু মিলিয়ে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। একসময় তাঁর ভিডিওর ধরনই বদলে যায়। মানুষকে অবাক করা পুরস্কার, বিশাল চ্যালেঞ্জ আর মানবিক উদ্যোগে ভরপুর ভিডিও। অন্ধত্ব নিরাময়ে এক হাজার মানুষের চোখের অপারেশনের খরচ বহন করা, আফ্রিকার পানিশূন্য এলাকায় নলকূপ স্থাপন ইত্যাদি ভিডিও আলাদা উচ্চতায় নিয়ে যায় ডোনাল্ডসনকে।
২০২১ সালে ‘ফোর্বস ৩০ আন্ডার ৩০’ তালিকায় তিনি জায়গা করে নেন নিজের কাজ দিয়ে। ২০২৪ সালের মধ্যে তাঁর দান ও পুরস্কারের পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। কেউ চাকরি ছেড়ে দিলে দিচ্ছেন ১ লাখ ডলার, কেউ দরিদ্র হলে হাতে তুলে দিচ্ছেন নগদ অর্থভর্তি ব্যাগ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষকে সহযোগিতা করতে ভালো লাগে। তাঁদের মুখে আনন্দ দেখি, সেটাই আমার বড় পুরস্কার।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইউটিউব চ্যানেল
২০২৪ সালের জুলাই মাসে ইতিহাস সৃষ্টি করে মিস্টারবিস্ট। প্রথম ইউটিউবে ৩০০ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অতিক্রম করে তাঁর চ্যানেল। বর্তমানে ডোনাল্ডসনের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৪৪৭ মিলিয়ন বা ৪৪ দশমিক ৭ কোটি। এটি ইউটিউবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

টিকটক কেনার প্রস্তাব
এ বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার গুঞ্জন ছড়ায়। তখন ডোনাল্ডসন ঘোষণা দেন, তিনি নিজেই টিকটক কিনে ফেলবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে বলেন, ‘যদি টিকটক বন্ধ হয়, আমি এটি কিনব।’ তবে এই উদ্যোগের কোনো আনুষ্ঠানিক অগ্রগতি আর জানা যায়নি।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর শুধু নন, সফল উদ্যোক্তাও
২০২২ সালে মিস্টারবিস্ট প্রতিষ্ঠা করে ফিস্টেবলস ও মিস্টারবিস্ট বার্গার। ফিস্টেবলস উৎপাদন করে চকলেট বার। মিস্টারবিস্ট বার্গার একটি ভার্চুয়াল রেস্টুরেন্ট চেইন। যেখানে অনলাইন অর্ডার করলে স্থানীয় রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়। ২০২৩ সালে তিনি লগান পল ও কেএসআইয়ের সঙ্গে মিলে বাজারে আনেন লাঞ্চলি। এটি স্বাস্থ্যকর খাবারের প্যাকেজড কিট হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ২০২৪ সালে তিনি আমাজন প্রাইম ভিডিওর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেন ‘বিস্ট গেমস’ শিরোনামে এক বিশাল গেম শো। যেখানে প্রতিযোগীরা ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এটি আমাজন প্রাইমের সবচেয়ে বেশি দেখা আনস্ক্রিপটেড শো হয়ে ওঠে।
বিলিয়নিয়ার মিস্টারবিস্ট
মাত্র ২৬ বছর বয়সে ডোনাল্ডসন ২০২৪ সালের জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলিয়নিয়ারের তালিকায় যুক্ত হন। শুধু ইউটিউব এবং এসব ব্যবসা থেকে ২০২৪ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার। মজার বিষয় হলো, কাগজ-কলমে কোটিপতি হওয়া সত্ত্বেও তিনি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, তাঁর কাছে মাত্র প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার বা তার কম নগদ অর্থ আছে। কারণ, তিনি সব অর্থ পুনর্বিনিয়োগ করেন এবং সেখান থেকে সাধারণত কর্মীর মতোই মাসিক বেতন নেন।
আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সম্পদ জমা করে রাখার কোনো পরিকল্পনাই তাঁর নেই।
মিস্টারবিস্ট তথা ডোনাল্ডসন শুধু একজন ইউটিউবার নন, বর্তমান প্রজন্মের অনেক তরুণের আদর্শ। তাঁর ভিডিওগুলোতে বিনোদনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে মানবিকতা ও উদারতা। ভিডিওগুলোতে যেমন আছে প্রতিযোগিতা, উদ্দীপনা ও বিনোদন, তেমনি অনুপ্রেরণামূলক এক বার্তাও।
সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি, রোলিং স্টোন

বর্তমানে চারদিকে তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার। সরকারের নানা উদ্যোগ তো আছেই, পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের প্রযুক্তি উদ্যোগও ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাও এর বাইরে নয়। সে অঞ্চলের মানুষও এখন ঘরে বসে আয় করছে ডলার। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। তারাও কম্পিউটার শেখায় পিছিয়ে নেই।
০৫ মার্চ ২০২৪
উইকিপিডিয়ার বিকল্প হিসেবে নতুন অনলাইন মুক্ত জ্ঞানকোষ ‘গ্রোকিপিডিয়া’ (Grokipedia) চালু করেছেন টেক মোগল ইলন মাস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ওয়েবসাইটটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে মাস্ক নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৯ মিনিট আগে
বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানা গেছে।
৪৪ মিনিট আগে
চ্যাটজিপিটি যেন এখন মানুষের নিত্যদিনকার সঙ্গী। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানতে আমরা চ্যাটজিপিটির শরণাপন্ন হচ্ছি। এই নির্ভরতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন, আবার প্রযুক্তি উন্নতি হিসেবে একে বাহবা দিচ্ছে অনেকে।
২ ঘণ্টা আগে