Ajker Patrika

চ্যাটজিপিটির পরবর্তী সংস্করণকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না ওপেনএআই

প্রযুক্তি ডেস্ক
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৬: ০৪
চ্যাটজিপিটির পরবর্তী সংস্করণকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না ওপেনএআই

সম্প্রতি চ্যাটজিপিটির প্রযুক্তির উন্নত সংস্করণ জিপিটি-৪ চালু করে ওপেনএআই। জিপিটি-৪ চালুর পর থেকেই প্রযুক্তি বিশ্বে আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়ায় এটি। অনেকেই ধারণা করছিলেন, চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তির পরবর্তী সংস্করণ জিপিটি-৫কে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে দিয়েছে ওপেনএআই। তবে প্রতিষ্ঠানটির সিইও স্যাম অল্টম্যান জানিয়েছেন, জিপিটি-৫কে এখন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না।

দ্য ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি এমআইটিতে এক সেমিনারে স্যাম অল্টম্যান বলেন, ‘আসলে আমাদের বোঝা উচিত কখন থামাতে হবে। আগে প্রযুক্তির উপযুক্ত সময়টা বুঝে নেওয়া জরুরি।’ জিপিটি-৫-এর প্রশিক্ষণ শিগগিরই শুরুরও কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানা যায়। জিপিটি-৫-এর প্রশিক্ষণ শুরু না করলেও জিপিটি-৪-এর সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। 

এদিকে ‘বাগ বাউন্টি’ প্রোগ্রাম চালু করেছে ওপেনএআই। এই কার্যক্রমের আওতায় চ্যাটজিপিটির নিরাপত্তা ত্রুটির সন্ধান দিলে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত পুরস্কার পাবেন।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওপেনএআই জানিয়েছে, চ্যাটজিপিটির প্রযুক্তিতে থাকা ত্রুটি ধরিয়ে দিলে ধরন বুঝে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। একাধিক ত্রুটির সন্ধান দিলে একাধিকবার পুরস্কার পাওয়া যাবে।

এদিকে ইতালির চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের পর ইউরোপের অন্যান্য দেশও এই চ্যাটবটকে নিষিদ্ধ বা কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া নিয়ে আলোচনা করছে। ইউরো নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে জার্মানিতে চ্যাটজিপিটির ব্যবহার নিষিদ্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির তথ্য সুরক্ষা কমিশনার। পশ্চিম ইউরোপের দুই দেশ ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রক সংস্থাও চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিস্তারিত জানতে ইতালির সঙ্গে যোগাযোগ করে।

ইতালিতে চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের পর ইউরোপীয় ভোক্তা সংস্থা (বিইইউসি) সব সরকারকে উল্লেখযোগ্য সব চ্যাটবটের তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। চ্যাটজিপিটি চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ায় শুরু থেকেই নিষিদ্ধ। 

বিইইউসির ডেপুটি ডিরেক্টর উরসুলা পাচল বলেন, ‘ভোক্তারা এই প্রযুক্তির জন্য প্রস্তুত নন। তাঁরা বুঝতে পারছেন না এটি কতটা প্রতারণামূলক হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা বুঝতে পারে না যে তাঁরা যে তথ্য পাচ্ছে তা হয়তো ভুল। আমি মনে করি চ্যাটজিপিটির এই প্রসঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

গত ৩১ মার্চ ইতালির তথ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘চ্যাটজিপিটিতে সুরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকরের পাশাপাশি ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।’

ইতালীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, গত ২০ মার্চ প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যবহারকারীদের চ্যাটের তথ্য ও অর্থ প্রদানসংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের বিষয়টি নজরে আসে। সংস্থাটি বলছে, প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম পরিচালনায় অ্যালগরিদমকে উপযুক্তভাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যের কথা বলে গণহারে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও মজুতের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।

এ ছাড়া, চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে প্ল্যাটফর্মটি অপ্রাপ্তবয়স্কদের অনুপযুক্ত উত্তর দেবে। ইতালীয় সংস্থাটি বলেছে, কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ নিরসনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—প্রশ্নের জবাব দিতে ওপেনএআইকে ২০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানটিকে ২ কোটি ইউরো অথবা বার্ষিক আয়ের ৪ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত