Ajker Patrika

ইউএস ওপেনের আগে আলকারাসের সিনসিনাটি-টনিক

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৪৮
সিনসিনাটি ওপেনের ট্রফি হাতে কার্লোস আলকারাস। ছবি: এএফপি
সিনসিনাটি ওপেনের ট্রফি হাতে কার্লোস আলকারাস। ছবি: এএফপি

পেশাদার সার্কিটে ইয়ানিক সিনার আর কার্লোস আলকারাস মানেই দারুণ এক লড়াই। নতুন প্রজন্মের এই দুই টেনিস তারকার সাম্প্রতিক সময়ের সব ম্যাচই ছিল উত্তেজনায় ভরা। সে হিসেবে সিনসিনাটি ওপেনের পুরুষ বিভাগের ফাইনালেও কাব্যিক এক লড়াইয়ের আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি!

অসুস্থতার কারণে পুরো একটা সেটও খেলতে পারলেন না ইয়ানিক সিনার। খেলা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে ওঠায় প্রথম সেট চলাকালেই আলকারাসের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে কোর্ট ছেড়ে যান ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সিনার। আর তাতেই চ্যাম্পিয়ন কার্লোস আলকারাস।

চ্যাম্পিয়ন হতেই খেলতে এসেছিলেন আলকারাস। কিন্তু এমন ফাইনাল তিনি চাননি। ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে খেলা শুরুর পর প্রথম সেটে যখন আলকারাস ৫-০ তে এগিয়ে, তখন চিকিৎসকের শরণ নেন সিনার। আগামী রোববারই শুরু হবে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেন। তাঁর খেলা চালিয়ে যাওয়ার কোনো ঝুঁকি না নিয়েই কোর্ট ছেড়ে যান টেনিসের ‘নাম্বার ওয়ান’ সিনার।

পরে ইতালিয়ান এই প্রতিযোগী জানিয়েছেন, আগের দিন থেকে শারীরিকভাবে অস্বচ্ছন্দ বোধ করছিলেন। ভেবেছিলেন, রাতে ভালো একটা ঘুম হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু প্রত্যাশা মতো কিছুই হয়নি। অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে তাঁর। তারপরও কেন কোটে এলেন? সিনারের উত্তর, ‘আমি শুধু দর্শকদের কথা ভেবেই কোর্টে নামার চেষ্টা করেছি। অন্তত যেন একটা ম্যাচ হয়। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।’ তবে ইউএস ওপেনে খেলাটাই এখন লক্ষ্য সিনারের, ‘সব মনোযোগ অবশ্যই ইউএস ওপেন ঘিরে। এখন বিশ্রাম নেওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি। দেখা যাক কী হয়।’

ফাইনালে মাত্র ২২ মিনিট খেলেছেন সিনার। স্বভাবতই ইউএস ওপেনের প্রস্তুতিটা ভালো হলো না তাঁর। পরশুর জয়ে সিনারের বিপক্ষে আলকারাসের জয়-পরাজয় দাঁড়াল—৯-৫। এটি স্প্যানিশ তারকা ২২তম এটিপি শিরোপা। ১০০০ মাস্টার্সের ১৭তম। ট্রফি হাতে নেওয়ার পর আলকারাস বললেন, ‘এভাবে অবশ্যই এভাবে ফাইনাল জিততে চাইনি আমি। শুরুতেই আমি ইয়ানিকের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আশা করি, কয়েক দিনের মধ্যে সে ইউএস ওপেনের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে।’ আর সিনসিনাটি ওপেন জয় নিয়ে বললেন,‘ আমার জন্য সত্যিই দারুণ একটা অনুভূতি এটা যে আমি ট্রফি নিয়ে ফিরতে পারলাম। ২০২৩ সালে (জোকোভিচের কাছে) ফাইনালে হেরেছিলাম। তাই এই ট্রফি আমি ভীষণভাবে চেয়েছিলাম। খুব গর্বিত আর খুশি লাগছে যে এটা আমি জিততে পেরেছি।’

ইউ এস ওপেনের আগে এই জয় তাঁকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে বলেও মনে করেন আলকারাস, ‘বেশ আত্মবিশ্বাস অনুভব করছি। নিউইয়র্ক এমন একটা জায়গা, যেখানে খেলতে আমি ভীষণ ভালো লাগে আমার। এখানেই আমি জিতেছিলাম আমার প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম।’

এদিকে মেয়েদের বিভাগে শিরোপা জিতেছেন পোল্যান্ডের ইগা শিয়াতেক। ফাইনালে তিনি ৭-৫, ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন ইতালির জেসমিন পাওলিনিকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত