
জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে বাংলাদেশ-অধ্যায় শুরু হয়েছে স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথের। টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল বাঁ-হাতি স্পিনার এই মুহূর্তে ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের শহর কলম্বোয়। সেখান থেকেই ফোনে গতকাল সকালে কথা বলেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। প্রায় আধঘণ্টার এ আলাপচারিতায় হেরাথ বিস্তারিত বলেন সবশেষ সিরিজে বাংলাদেশ স্পিনারদের পারফরম্যান্স, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশ দলে তাঁর কোচিং অভিজ্ঞতা নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে যোগ দিয়েই টানা কয়েকটি সিরিজ জয়ের সঙ্গী হয়েছেন। এটা কতটা তৃপ্তিদায়ক?
রঙ্গনা হেরাথ: আমার কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুর জন্য এটা খুবই ভালো। ক্লাব ক্রিকেট ও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করেছি। এ ক্ষেত্রে বিসিবিকে ধন্যবাদ সুযোগটা দেওয়ায়। যদি জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ তিনটি সিরিজের কথা বলেন, খুব ভালো ছিল। জেতার মানসিকতা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি। এ ধরনের আচরণ ও শরীরী ভাষা আমরা বাংলাদেশ দলে দেখেছি। এটি বিশ্বকাপের আগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: সবশেষ তিন সিরিজে স্পিনারদের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
হেরাথ: যদি জিম্বাবুয়ে সিরিজের দিকে তাকান, মিরাজ খুব ভালো বোলিং করেছে। ওয়ানডেতে সাকিব ভালো করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাসুম, মেহেদী, সাকিব সবাই খুব ভালো অবদান রেখেছে। তবে যেটা লক্ষ করেছি, তারা প্রতিদিন উন্নতি করছে। কোচ হিসেবে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে বেশি কিছু করতে পারি না। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ট্যাকটিক্যাল ও মানসিকভাবে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, সেটা শেখাতে। সেসব কোচকে ধন্যবাদ দিতে চাই; যাঁরা নাসুম, মেহেদী, মিরাজ, সাকিবসহ বাকিদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁরা জাতীয় দলে আসার আগেই কঠিন পরিশ্রম করেছে। এই পর্যায়ে আসার আগে তারা অনেক ভালো কিছু করতে পেরেছে।
প্রশ্ন: ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাসুম দারুণ খেলেছেন। অনেকেই মনে করছেন, তাঁকে খুব বেশি চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়নি, যেহেতু কন্ডিশনের সহায়তা পেয়েছেন। দেশের বাইরেও নাসুমের দক্ষতা নিয়ে কতটা আশাবাদী?
হেরাথ: হ্যাঁ, এই কন্ডিশন অনুযায়ী সে ভালো করেছে। তবে আপনাকে অন্য দিকটাও ভাবতে হবে। যখন আপনার এ ধরনের মাইন্ড সেট থাকবে ও আত্মবিশ্বাস থাকবে, তখন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে গেলেও সেই আত্মবিশ্বাস নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি, উপমহাদেশের বাইরে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে। এ ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কাজ করছি, কীভাবে দেশের বাইরের কন্ডিশন বিবেচনায় তাদের স্কিল ও ট্যাকটিক্যাল জায়গায় উন্নতি করা যায়।
প্রশ্ন: এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
হেরাথ: যেটা লক্ষ করেছি, আইপিএলের পরই আমরা বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলব। আমার ধারণা, দুবাই, শারজা, আবুধাবিতে স্পিনারদের জন্য কিছুটা সহায়তা থাকবে। সহায়তা থাকুক বা না-থাকুক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিবেচনায় আমাদের স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে।
প্রশ্ন: প্রতিটি দল বিশ্বকাপে লেগ স্পিনার নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দলে কোনো লেগ স্পিনার নেই।
হেরাথ: শ্রীলঙ্কায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ আছে। ভারতেও আছে। তারা (লেগ স্পিনার) খরুচে হতে পারে, আবার তারা উইকেটও এনে দিতে পারে। আমাদের দলে বিপ্লব আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে মূল দলে নেই। তবে আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের পরও রিস্ট স্পিনাররা টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনি শ্রীলঙ্কার ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন দলের পরিবেশ কেমন হয়, আপনার জানা আছে। আপনার এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে?
হেরাথ: আমাদের এখন জেতার মানসিকতা ও সমন্বয় আছে। শরীরী ভাষা ও আচরণও এখানে যুক্ত। এটা এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ধরে রাখতে হবে। আমি তিনটি ফাইনালে ছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হেরেছিলাম। ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেছি। সৌভাগ্যবশত ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছি। পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন এবং কীভাবে প্রয়োগ করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এরই মধ্যে সেই অভিজ্ঞতা তাদের (খেলোয়াড়) সঙ্গে শেয়ার করেছি। এখনকার (বাংলাদেশ) দলের দিকে তাকালে সেই মাইন্ড সেট দেখতে পাবেন।
প্রশ্ন: এবার বাংলাদেশ দলের নকআউট পর্বে খেলার সম্ভাবনা কতটা দেখছেন?
হেরাথ: আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। বিশ্বকাপের আগে দল হিসেবে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। এখন এটা ধরে রাখলে বিশ্বকাপে অনেক দূর যাব। এটা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে।
প্রশ্ন: সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ একজন বাঁ-হাতি স্পিনারের খোঁজ করছে, যিনি লম্বা সময় সাকিব আল হাসানের সঙ্গী হতে পারবেন। এখন নাসুম এসেছেন। আবদুর রাজ্জাক দৃশ্যপট থেকে আড়ালের পর গত ছয় বছরে সাদা বলে বাংলাদেশ পাঁচ-ছয়জন বাঁ-হাতি স্পিনারকে বাজিয়ে দেখেছে। বেশির ভাগই থিতু হতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে আপনি কী ভাবছেন?
হেরাথ: যখন নাসুম বা অন্য কাউকে দলে আনবেন, তখন স্পিনার হিসেবে তাদের অনেক বেশি সুযোগ দিতে হবে। যখন তাদের বেশি খেলাবেন, তখন তারা আত্মবিশ্বাস পাবে। এখন দেখছি নাসুম উন্নতি করছে। এখনো উন্নতির জায়গা আছে। বেশি সুযোগ পেলে আরও মেলে ধরতে পারবে। আর একবার আত্মবিশ্বাস পেলে পারফরম্যান্সও ধরে রাখা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন: একটা সময় সাকিব-মুশফিকদের প্রবল প্রতিপক্ষ ছিলেন। এখন তাঁদেরই কোচ আপনি। কেমন লাগে বিষয়টা?
হেরাথ: এটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা। উপভোগ করছি। মুশফিক, সাকিব, তামিম, রিয়াদের (মাহমুদউল্লাহ) সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমাদের বেশ ভালো বোঝাপড়া আছে। এটা বেশ সহায়ক। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাপগুলোও তাই বেশ ভালো হয়।
প্রশ্ন: খেলোয়াড়িজীবনে যে বাংলাদেশ দলকে দেখেছেন, সেটির সঙ্গে এখনকার বাংলাদেশের মূল পার্থক্য কোথায়?
হেরাথ: বাংলাদেশ এখন নিয়মিত জিতছে। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সও ভালো হচ্ছে। যখন তাদের আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতা থাকবে, তখন তারা নিজেদের শতভাগ দিতে পারবে। তারা এখন ব্যক্তিগতভাবে ভালো করছে এবং দলকেও জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছে। আগের দিনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে তারা হয়তো তখন নিয়মিত জিততে পারত না। এখন বাংলাদেশ দলে জেতার মানসিকতা দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বকাপের আগে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে যোগ দিয়েই টানা কয়েকটি সিরিজ জয়ের সঙ্গী হয়েছেন। এটা কতটা তৃপ্তিদায়ক?
রঙ্গনা হেরাথ: আমার কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুর জন্য এটা খুবই ভালো। ক্লাব ক্রিকেট ও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করেছি। এ ক্ষেত্রে বিসিবিকে ধন্যবাদ সুযোগটা দেওয়ায়। যদি জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ তিনটি সিরিজের কথা বলেন, খুব ভালো ছিল। জেতার মানসিকতা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি। এ ধরনের আচরণ ও শরীরী ভাষা আমরা বাংলাদেশ দলে দেখেছি। এটি বিশ্বকাপের আগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: সবশেষ তিন সিরিজে স্পিনারদের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
হেরাথ: যদি জিম্বাবুয়ে সিরিজের দিকে তাকান, মিরাজ খুব ভালো বোলিং করেছে। ওয়ানডেতে সাকিব ভালো করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাসুম, মেহেদী, সাকিব সবাই খুব ভালো অবদান রেখেছে। তবে যেটা লক্ষ করেছি, তারা প্রতিদিন উন্নতি করছে। কোচ হিসেবে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে বেশি কিছু করতে পারি না। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ট্যাকটিক্যাল ও মানসিকভাবে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, সেটা শেখাতে। সেসব কোচকে ধন্যবাদ দিতে চাই; যাঁরা নাসুম, মেহেদী, মিরাজ, সাকিবসহ বাকিদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁরা জাতীয় দলে আসার আগেই কঠিন পরিশ্রম করেছে। এই পর্যায়ে আসার আগে তারা অনেক ভালো কিছু করতে পেরেছে।
প্রশ্ন: ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাসুম দারুণ খেলেছেন। অনেকেই মনে করছেন, তাঁকে খুব বেশি চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়নি, যেহেতু কন্ডিশনের সহায়তা পেয়েছেন। দেশের বাইরেও নাসুমের দক্ষতা নিয়ে কতটা আশাবাদী?
হেরাথ: হ্যাঁ, এই কন্ডিশন অনুযায়ী সে ভালো করেছে। তবে আপনাকে অন্য দিকটাও ভাবতে হবে। যখন আপনার এ ধরনের মাইন্ড সেট থাকবে ও আত্মবিশ্বাস থাকবে, তখন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে গেলেও সেই আত্মবিশ্বাস নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি, উপমহাদেশের বাইরে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে। এ ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কাজ করছি, কীভাবে দেশের বাইরের কন্ডিশন বিবেচনায় তাদের স্কিল ও ট্যাকটিক্যাল জায়গায় উন্নতি করা যায়।
প্রশ্ন: এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
হেরাথ: যেটা লক্ষ করেছি, আইপিএলের পরই আমরা বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলব। আমার ধারণা, দুবাই, শারজা, আবুধাবিতে স্পিনারদের জন্য কিছুটা সহায়তা থাকবে। সহায়তা থাকুক বা না-থাকুক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিবেচনায় আমাদের স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে।
প্রশ্ন: প্রতিটি দল বিশ্বকাপে লেগ স্পিনার নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দলে কোনো লেগ স্পিনার নেই।
হেরাথ: শ্রীলঙ্কায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ আছে। ভারতেও আছে। তারা (লেগ স্পিনার) খরুচে হতে পারে, আবার তারা উইকেটও এনে দিতে পারে। আমাদের দলে বিপ্লব আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে মূল দলে নেই। তবে আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের পরও রিস্ট স্পিনাররা টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনি শ্রীলঙ্কার ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন দলের পরিবেশ কেমন হয়, আপনার জানা আছে। আপনার এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে?
হেরাথ: আমাদের এখন জেতার মানসিকতা ও সমন্বয় আছে। শরীরী ভাষা ও আচরণও এখানে যুক্ত। এটা এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ধরে রাখতে হবে। আমি তিনটি ফাইনালে ছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হেরেছিলাম। ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেছি। সৌভাগ্যবশত ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছি। পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন এবং কীভাবে প্রয়োগ করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এরই মধ্যে সেই অভিজ্ঞতা তাদের (খেলোয়াড়) সঙ্গে শেয়ার করেছি। এখনকার (বাংলাদেশ) দলের দিকে তাকালে সেই মাইন্ড সেট দেখতে পাবেন।
প্রশ্ন: এবার বাংলাদেশ দলের নকআউট পর্বে খেলার সম্ভাবনা কতটা দেখছেন?
হেরাথ: আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। বিশ্বকাপের আগে দল হিসেবে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। এখন এটা ধরে রাখলে বিশ্বকাপে অনেক দূর যাব। এটা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে।
প্রশ্ন: সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ একজন বাঁ-হাতি স্পিনারের খোঁজ করছে, যিনি লম্বা সময় সাকিব আল হাসানের সঙ্গী হতে পারবেন। এখন নাসুম এসেছেন। আবদুর রাজ্জাক দৃশ্যপট থেকে আড়ালের পর গত ছয় বছরে সাদা বলে বাংলাদেশ পাঁচ-ছয়জন বাঁ-হাতি স্পিনারকে বাজিয়ে দেখেছে। বেশির ভাগই থিতু হতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে আপনি কী ভাবছেন?
হেরাথ: যখন নাসুম বা অন্য কাউকে দলে আনবেন, তখন স্পিনার হিসেবে তাদের অনেক বেশি সুযোগ দিতে হবে। যখন তাদের বেশি খেলাবেন, তখন তারা আত্মবিশ্বাস পাবে। এখন দেখছি নাসুম উন্নতি করছে। এখনো উন্নতির জায়গা আছে। বেশি সুযোগ পেলে আরও মেলে ধরতে পারবে। আর একবার আত্মবিশ্বাস পেলে পারফরম্যান্সও ধরে রাখা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন: একটা সময় সাকিব-মুশফিকদের প্রবল প্রতিপক্ষ ছিলেন। এখন তাঁদেরই কোচ আপনি। কেমন লাগে বিষয়টা?
হেরাথ: এটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা। উপভোগ করছি। মুশফিক, সাকিব, তামিম, রিয়াদের (মাহমুদউল্লাহ) সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমাদের বেশ ভালো বোঝাপড়া আছে। এটা বেশ সহায়ক। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাপগুলোও তাই বেশ ভালো হয়।
প্রশ্ন: খেলোয়াড়িজীবনে যে বাংলাদেশ দলকে দেখেছেন, সেটির সঙ্গে এখনকার বাংলাদেশের মূল পার্থক্য কোথায়?
হেরাথ: বাংলাদেশ এখন নিয়মিত জিতছে। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সও ভালো হচ্ছে। যখন তাদের আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতা থাকবে, তখন তারা নিজেদের শতভাগ দিতে পারবে। তারা এখন ব্যক্তিগতভাবে ভালো করছে এবং দলকেও জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছে। আগের দিনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে তারা হয়তো তখন নিয়মিত জিততে পারত না। এখন বাংলাদেশ দলে জেতার মানসিকতা দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বকাপের আগে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে আজ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে লড়াইয়ে নামছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টায় শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
১৩ মিনিট আগে
মাঠের ক্রিকেটে ভারতের কতটা দাপট, সেটা না বললেও চলছে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ২০২৫ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ—সবশেষ ১৬ মাসে তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে দলটি। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রশাসনিক কাঠামোতেও ছড়ি ঘোরায় ভারত।
২০ মিনিট আগে
যে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ বাংলাদেশের জন্য ছিল এক সময় ‘জুজু’, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলবে ভিন্ন কিছু। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, আফগানিস্তান—টানা চার দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নেমে হোঁচট খেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট...
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্বে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীনের এক বছর হতে চলল। সিনিয়র সহকারী কোচ হলেও ব্যাটিংটা তিনি বেশি দেখভাল করছেন। কিন্তু সালাহ উদ্দীন দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ বেশির ভাগ ম্যাচই হেরেছে ব্যাটারদের ব্যর্থতায়।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে আজ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে লড়াইয়ে নামছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টায় শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
ক্রিকেট খেলা সরাসরি
প্রথম টি-টোয়েন্টি
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা
রাত ৯টা
সরাসরি
পিটিভি স্পোর্টস
টেনিস খেলা সরাসরি
প্যারিস মাস্টার্স
বিকেল ৪ টা ও রাত ৯ টা
সরাসরি
সনি টেন ৫

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে আজ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে লড়াইয়ে নামছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টায় শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
ক্রিকেট খেলা সরাসরি
প্রথম টি-টোয়েন্টি
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা
রাত ৯টা
সরাসরি
পিটিভি স্পোর্টস
টেনিস খেলা সরাসরি
প্যারিস মাস্টার্স
বিকেল ৪ টা ও রাত ৯ টা
সরাসরি
সনি টেন ৫

জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে বাংলাদেশ-অধ্যায় শুরু হয়েছে স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথের। টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল বাঁ-হাতি স্পিনার এই মুহূর্তে ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের শহর কলম্বোয়। সেখান থেকেই ফোনে গতকাল সকালে কথা বলেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
মাঠের ক্রিকেটে ভারতের কতটা দাপট, সেটা না বললেও চলছে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ২০২৫ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ—সবশেষ ১৬ মাসে তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে দলটি। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রশাসনিক কাঠামোতেও ছড়ি ঘোরায় ভারত।
২০ মিনিট আগে
যে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ বাংলাদেশের জন্য ছিল এক সময় ‘জুজু’, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলবে ভিন্ন কিছু। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, আফগানিস্তান—টানা চার দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নেমে হোঁচট খেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট...
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্বে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীনের এক বছর হতে চলল। সিনিয়র সহকারী কোচ হলেও ব্যাটিংটা তিনি বেশি দেখভাল করছেন। কিন্তু সালাহ উদ্দীন দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ বেশির ভাগ ম্যাচই হেরেছে ব্যাটারদের ব্যর্থতায়।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মাঠের ক্রিকেটে ভারতের কতটা দাপট, সেটা না বললেও চলছে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ২০২৫ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ—সবশেষ ১৬ মাসে তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে দলটি। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রশাসনিক কাঠামোতেও ছড়ি ঘোরায় ভারত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড সেরকমই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে কদিন আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের এক ম্যাচের ঘটনা তুলে ধরেছেন। সেই ম্যাচে তিনি ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন। যদিও ম্যাচটি কবে হয়েছে এবং ভারতের প্রতিপক্ষ কে ছিল, সে ব্যাপারে কিছু তিনি জানাননি। সেই ম্যাচে ভারত ওভাররেটে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন-চার ওভার পিছিয়ে থাকায় শাস্তি পেতে পারত। কিন্তু ব্রডকে ফোন দিয়ে বলা হয়েছিল, ভারতকে যেন শাস্তি না দেওয়া হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে আইসিসির এই ম্যাচ রেফারি বলেন, ‘ম্যাচ শেষে ভারত পিছিয়ে ছিল তিন-চার ওভার পিছিয়ে ছিল। স্লো ওভার রেটের কারণে তাদের জরিমানা হওয়ার কথা ছিল। আমাকে ফোন করে সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কারণ, এটা ভারত। আমি চিন্তা করে দেখলাম ঠিক আছে। তারপর কোনোভাবে আমরা কিছু অতিরিক্ত সময় বের করলাম যাতে ওভাররেট জরিমানার সীমার নিচে আনা যায়।’
ব্রড ভারতের যে ম্যাচের কথা বলেছেন, ঠিক তার পরের ম্যাচেও একই ঘটনা ঘটেছিল বলে উল্লেখ করেছেন ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘পরের ম্যাচেও ঘটে একই ঘটনা। সৌরভ গাঙ্গুলী তখন দ্রুত খেলা শেষ করার নির্দেশ মানছিল না। ফোন করে তখন জানতে চেয়েছিলা, কী করতে পারি? তখন আমাকে বলা হয়েছিল, ‘গাঙ্গুলীকে শুধু জরিমানা করুন।’
ভারত নানারকম সুবিধা পাওয়ায় সামাজিকমাধ্যমে আইসিসিকে ব্যঙ্গ করে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি) বলা হয়। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেশি রাজস্ব সুবিধা পেয়ে থাকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) । আইসিসির ২০২৪-২৭ বাণিজ্যিক চক্রে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে ভারত। বছরে গড়ে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করবে বিসিসিআই। যা আইসিসির মোট আয়ের ৩৮.৫ শতাংশ।
ব্রডের মতে আইসিসির ওপর অনৈতিক প্রভাব খাটায় বিসিসিআই। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইসিসির অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারি বলেন, ‘ভিনস ফন ডার বিজল (তৎকালীন আইসিসি আম্পায়ার ম্যানেজার) ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় আমাদের সহায়তা করতেন। কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার পর ভঙ্গুর হয়ে পড়ে ব্যবস্থাপনা। ভারতের কাছে এখন সব অর্থ। নানাভাবে আইসিসিকে তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। এখন যে এসবের সঙ্গে নেই, তাতে আমি খুশি। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি এখন অনেক বেশি রাজনৈতিক হয়ে গেছে।’
২০০৩ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইসিসির ম্যাচ রেফারি ছিলেন ব্রড। এ সময়ে তিনি ১২৩ টেস্ট, ৩৬১ ওয়ানডে ও ১৩৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রড জানিয়েছেন, তিনি আরও কাজ করে যেতে চাইলেও ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা তাঁর চুক্তি নবায়ন করেনি। আর ২০২৩ সালের অ্যাশেজ চলাকালে নিজের ছেলে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে আউট হয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। সে সময় সামাজিকমাধ্যমে একটি মিম শেয়ার করেছিলেন বলে ক্রিস ব্রডকে আইসিসি তিরস্কার করেছিল। ব্রডের চেয়ে ম্যাচ রেফারি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পরিচালনা করার রেকর্ড কেবল দুজনের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৮২০ ম্যাচে রঞ্জন মাদুগালে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। এই তালিকায় দুইয়ে থাকা জেফ ক্রো ৬৮৪ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।

মাঠের ক্রিকেটে ভারতের কতটা দাপট, সেটা না বললেও চলছে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ২০২৫ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ—সবশেষ ১৬ মাসে তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে দলটি। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রশাসনিক কাঠামোতেও ছড়ি ঘোরায় ভারত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড সেরকমই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে কদিন আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের এক ম্যাচের ঘটনা তুলে ধরেছেন। সেই ম্যাচে তিনি ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন। যদিও ম্যাচটি কবে হয়েছে এবং ভারতের প্রতিপক্ষ কে ছিল, সে ব্যাপারে কিছু তিনি জানাননি। সেই ম্যাচে ভারত ওভাররেটে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন-চার ওভার পিছিয়ে থাকায় শাস্তি পেতে পারত। কিন্তু ব্রডকে ফোন দিয়ে বলা হয়েছিল, ভারতকে যেন শাস্তি না দেওয়া হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে আইসিসির এই ম্যাচ রেফারি বলেন, ‘ম্যাচ শেষে ভারত পিছিয়ে ছিল তিন-চার ওভার পিছিয়ে ছিল। স্লো ওভার রেটের কারণে তাদের জরিমানা হওয়ার কথা ছিল। আমাকে ফোন করে সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কারণ, এটা ভারত। আমি চিন্তা করে দেখলাম ঠিক আছে। তারপর কোনোভাবে আমরা কিছু অতিরিক্ত সময় বের করলাম যাতে ওভাররেট জরিমানার সীমার নিচে আনা যায়।’
ব্রড ভারতের যে ম্যাচের কথা বলেছেন, ঠিক তার পরের ম্যাচেও একই ঘটনা ঘটেছিল বলে উল্লেখ করেছেন ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘পরের ম্যাচেও ঘটে একই ঘটনা। সৌরভ গাঙ্গুলী তখন দ্রুত খেলা শেষ করার নির্দেশ মানছিল না। ফোন করে তখন জানতে চেয়েছিলা, কী করতে পারি? তখন আমাকে বলা হয়েছিল, ‘গাঙ্গুলীকে শুধু জরিমানা করুন।’
ভারত নানারকম সুবিধা পাওয়ায় সামাজিকমাধ্যমে আইসিসিকে ব্যঙ্গ করে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি) বলা হয়। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেশি রাজস্ব সুবিধা পেয়ে থাকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) । আইসিসির ২০২৪-২৭ বাণিজ্যিক চক্রে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে ভারত। বছরে গড়ে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করবে বিসিসিআই। যা আইসিসির মোট আয়ের ৩৮.৫ শতাংশ।
ব্রডের মতে আইসিসির ওপর অনৈতিক প্রভাব খাটায় বিসিসিআই। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইসিসির অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারি বলেন, ‘ভিনস ফন ডার বিজল (তৎকালীন আইসিসি আম্পায়ার ম্যানেজার) ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় আমাদের সহায়তা করতেন। কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার পর ভঙ্গুর হয়ে পড়ে ব্যবস্থাপনা। ভারতের কাছে এখন সব অর্থ। নানাভাবে আইসিসিকে তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। এখন যে এসবের সঙ্গে নেই, তাতে আমি খুশি। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি এখন অনেক বেশি রাজনৈতিক হয়ে গেছে।’
২০০৩ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইসিসির ম্যাচ রেফারি ছিলেন ব্রড। এ সময়ে তিনি ১২৩ টেস্ট, ৩৬১ ওয়ানডে ও ১৩৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রড জানিয়েছেন, তিনি আরও কাজ করে যেতে চাইলেও ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা তাঁর চুক্তি নবায়ন করেনি। আর ২০২৩ সালের অ্যাশেজ চলাকালে নিজের ছেলে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে আউট হয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। সে সময় সামাজিকমাধ্যমে একটি মিম শেয়ার করেছিলেন বলে ক্রিস ব্রডকে আইসিসি তিরস্কার করেছিল। ব্রডের চেয়ে ম্যাচ রেফারি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পরিচালনা করার রেকর্ড কেবল দুজনের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৮২০ ম্যাচে রঞ্জন মাদুগালে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। এই তালিকায় দুইয়ে থাকা জেফ ক্রো ৬৮৪ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।

জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে বাংলাদেশ-অধ্যায় শুরু হয়েছে স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথের। টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল বাঁ-হাতি স্পিনার এই মুহূর্তে ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের শহর কলম্বোয়। সেখান থেকেই ফোনে গতকাল সকালে কথা বলেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে আজ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে লড়াইয়ে নামছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টায় শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
১৩ মিনিট আগে
যে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ বাংলাদেশের জন্য ছিল এক সময় ‘জুজু’, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলবে ভিন্ন কিছু। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, আফগানিস্তান—টানা চার দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নেমে হোঁচট খেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট...
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্বে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীনের এক বছর হতে চলল। সিনিয়র সহকারী কোচ হলেও ব্যাটিংটা তিনি বেশি দেখভাল করছেন। কিন্তু সালাহ উদ্দীন দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ বেশির ভাগ ম্যাচই হেরেছে ব্যাটারদের ব্যর্থতায়।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

যে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ বাংলাদেশের জন্য ছিল এক সময় ‘জুজু’, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলবে ভিন্ন কিছু। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, আফগানিস্তান—টানা চার দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নেমে হোঁচট খেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকেরা ১৬ রানে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।
চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ১৯০ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি ইংল্যান্ড গড়েছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই ভেন্যুতেই ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৭ রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। গতকাল চট্টগ্রামে লক্ষ্যটা বাংলাদেশের জন্য ১৬৬ রানের হলেও একেবারে অসম্ভব তো নয়। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে গুটিয়ে গেছে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তানজিম সাকিব বলেন, ‘এই সিরিজেও ভালো করার আত্মবিশ্বাস ছিল। কারণ, আমরা নিয়মিত ভালো করে আসছিলাম টি-টোয়েন্টিতে। আজ (গতকাল) হেরে গেছি। দিনটা খারাপ ছিল। পরের ২ ম্যাচে আমরা ঘুরে দাঁড়াব করব ইনশাআল্লাহ। এখানে আর পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। আর এক ম্যাচ হারলেই সিরিজ হারব।’
সবশেষ চার টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্যে আফগানিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ মাসের শুরুতে জাকের আলী অনিকের নেতৃত্বে এই সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এর আগে জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার মাঠে গিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ চার সিরিজের মধ্যে দুটি করে সিরিজ বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ও বিদেশে জিতেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পিছিয়ে থাকলেও সিরিজ জিততে আশাবাদী তানজিম সাকিব। ২৩ বছর বয়সী বাংলাদেশি পেসার বলেন, ‘ঘরের মাঠে যেহেতু খেলা, অবশ্যই সিরিজ জয়ের চেষ্টা করব। বিদেশে যেহেতু জিতেছি, এখানেও সিরিজ জয়ের সুযোগ রয়েছে।’
২০২৪-এর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশের কাছে। এক সময়ের ‘প্রিয়’ সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে নেপালের কাছেও কদিন আগে হেরেছে উইন্ডিজ। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার প্রথম ধাপ উইন্ডিজ কেবল পেরিয়েছে বলে মনে করেন রভমান পাওয়েল। ক্যারিবীয় এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘ঘুরে দাঁড়াতে আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। বাংলাদেশ সিরিজে সুযোগ পেয়েছি। হোম কন্ডিশনে বাংলাদেশ অনেক ভালো দল। সামনের দুই ম্যাচে আরও উন্নতি করে সিরিজটা জেতার চেষ্টা করব।’
বাংলাদেশ যখন রান তাড়া করছিল, তখন শিশির অনেক সহায়তা করেছিল বলে জানিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। পাওয়েলও উল্লেখ করেছেন শিশিরের কথা। তবে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পেছনে তিনি তাঁর সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়েছেন। যেখানে উইন্ডিজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২ ওভারে ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তানজিম সাকিব-নাসুম আহমেদের সপ্তম উইকেটে ২৩ বলে ৪০ রানের জুটিটা বলতে গেলে বাংলাদেশের হারের ব্যবধান কমিয়েছে। পাওয়েল বলেন,
‘বল যে এতটা ভিজে যাবে, আমরা আসলে এটা জানতাম না। আমাদের জন্য সামনের দুই ম্যাচ শিক্ষা হয়ে থাকল। চেষ্টা করব সেটা কাজে লাগাতে।বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটারদের দ্রুত ফেরাতে চেষ্টা করেছি। কারণ, তারা বেশিক্ষণ টিকে গেলে আমাদের চাপে ফেলত। কারণ শেষ দিকে বল অনেক বেশি ভিজে যাচ্ছিল। বোলারদের এখানে কৃতিত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনের সময়ে তারা উইকেট এনে দিয়েছে।’
চট্টগ্রামে গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। রয়েসয়ে শুরু করতে থাকা ক্যারিবীয়দের স্কোর এক পর্যায়ে ছিল ১২.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৮২ রান। যেখানে ১৩তম ওভারের প্রথম ও দ্বিতীয় বলে ব্র্যান্ডন কিং (৩৩) ও শারফেন রাদারফোর্ডকে (০) ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। টানা দুই বলে উইকেট হারানোর কোনো রকম চাপ অনুভব করেনি উইন্ডিজ। চতুর্থ উইকেটে ৪৬ বলে ৮৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন শাই হোপ ও রভম্যান পাওয়েল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৫ রান করেছে উইন্ডিজ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন হোপ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন পাওয়েল। দুজনেই সমান ২৮ বল খেলেছেন। তিনিই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

যে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ বাংলাদেশের জন্য ছিল এক সময় ‘জুজু’, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলবে ভিন্ন কিছু। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, আফগানিস্তান—টানা চার দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নেমে হোঁচট খেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকেরা ১৬ রানে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।
চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ১৯০ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি ইংল্যান্ড গড়েছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই ভেন্যুতেই ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৭ রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। গতকাল চট্টগ্রামে লক্ষ্যটা বাংলাদেশের জন্য ১৬৬ রানের হলেও একেবারে অসম্ভব তো নয়। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে গুটিয়ে গেছে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তানজিম সাকিব বলেন, ‘এই সিরিজেও ভালো করার আত্মবিশ্বাস ছিল। কারণ, আমরা নিয়মিত ভালো করে আসছিলাম টি-টোয়েন্টিতে। আজ (গতকাল) হেরে গেছি। দিনটা খারাপ ছিল। পরের ২ ম্যাচে আমরা ঘুরে দাঁড়াব করব ইনশাআল্লাহ। এখানে আর পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। আর এক ম্যাচ হারলেই সিরিজ হারব।’
সবশেষ চার টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্যে আফগানিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ মাসের শুরুতে জাকের আলী অনিকের নেতৃত্বে এই সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এর আগে জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার মাঠে গিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ চার সিরিজের মধ্যে দুটি করে সিরিজ বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ও বিদেশে জিতেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পিছিয়ে থাকলেও সিরিজ জিততে আশাবাদী তানজিম সাকিব। ২৩ বছর বয়সী বাংলাদেশি পেসার বলেন, ‘ঘরের মাঠে যেহেতু খেলা, অবশ্যই সিরিজ জয়ের চেষ্টা করব। বিদেশে যেহেতু জিতেছি, এখানেও সিরিজ জয়ের সুযোগ রয়েছে।’
২০২৪-এর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশের কাছে। এক সময়ের ‘প্রিয়’ সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে নেপালের কাছেও কদিন আগে হেরেছে উইন্ডিজ। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার প্রথম ধাপ উইন্ডিজ কেবল পেরিয়েছে বলে মনে করেন রভমান পাওয়েল। ক্যারিবীয় এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘ঘুরে দাঁড়াতে আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। বাংলাদেশ সিরিজে সুযোগ পেয়েছি। হোম কন্ডিশনে বাংলাদেশ অনেক ভালো দল। সামনের দুই ম্যাচে আরও উন্নতি করে সিরিজটা জেতার চেষ্টা করব।’
বাংলাদেশ যখন রান তাড়া করছিল, তখন শিশির অনেক সহায়তা করেছিল বলে জানিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। পাওয়েলও উল্লেখ করেছেন শিশিরের কথা। তবে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পেছনে তিনি তাঁর সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়েছেন। যেখানে উইন্ডিজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২ ওভারে ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তানজিম সাকিব-নাসুম আহমেদের সপ্তম উইকেটে ২৩ বলে ৪০ রানের জুটিটা বলতে গেলে বাংলাদেশের হারের ব্যবধান কমিয়েছে। পাওয়েল বলেন,
‘বল যে এতটা ভিজে যাবে, আমরা আসলে এটা জানতাম না। আমাদের জন্য সামনের দুই ম্যাচ শিক্ষা হয়ে থাকল। চেষ্টা করব সেটা কাজে লাগাতে।বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটারদের দ্রুত ফেরাতে চেষ্টা করেছি। কারণ, তারা বেশিক্ষণ টিকে গেলে আমাদের চাপে ফেলত। কারণ শেষ দিকে বল অনেক বেশি ভিজে যাচ্ছিল। বোলারদের এখানে কৃতিত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনের সময়ে তারা উইকেট এনে দিয়েছে।’
চট্টগ্রামে গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। রয়েসয়ে শুরু করতে থাকা ক্যারিবীয়দের স্কোর এক পর্যায়ে ছিল ১২.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৮২ রান। যেখানে ১৩তম ওভারের প্রথম ও দ্বিতীয় বলে ব্র্যান্ডন কিং (৩৩) ও শারফেন রাদারফোর্ডকে (০) ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। টানা দুই বলে উইকেট হারানোর কোনো রকম চাপ অনুভব করেনি উইন্ডিজ। চতুর্থ উইকেটে ৪৬ বলে ৮৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন শাই হোপ ও রভম্যান পাওয়েল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৫ রান করেছে উইন্ডিজ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন হোপ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন পাওয়েল। দুজনেই সমান ২৮ বল খেলেছেন। তিনিই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে বাংলাদেশ-অধ্যায় শুরু হয়েছে স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথের। টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল বাঁ-হাতি স্পিনার এই মুহূর্তে ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের শহর কলম্বোয়। সেখান থেকেই ফোনে গতকাল সকালে কথা বলেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে আজ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে লড়াইয়ে নামছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টায় শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
১৩ মিনিট আগে
মাঠের ক্রিকেটে ভারতের কতটা দাপট, সেটা না বললেও চলছে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ২০২৫ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ—সবশেষ ১৬ মাসে তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে দলটি। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রশাসনিক কাঠামোতেও ছড়ি ঘোরায় ভারত।
২০ মিনিট আগে
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্বে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীনের এক বছর হতে চলল। সিনিয়র সহকারী কোচ হলেও ব্যাটিংটা তিনি বেশি দেখভাল করছেন। কিন্তু সালাহ উদ্দীন দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ বেশির ভাগ ম্যাচই হেরেছে ব্যাটারদের ব্যর্থতায়।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্বে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীনের এক বছর হতে চলল। সিনিয়র সহকারী কোচ হলেও ব্যাটিংটা তিনি বেশি দেখভাল করছেন। কিন্তু সালাহ উদ্দীন দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ বেশির ভাগ ম্যাচই হেরেছে ব্যাটারদের ব্যর্থতায়। স্বীকৃত ব্যাটাররা খামখেয়ালি ব্যাটিংয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছেন।
মিরপুরের বধ্যভূমিতে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে সমালোচনা, ব্যঙ্গবিদ্রুপ তো কম হয়নি। কালো মাটির উইকেটে ব্যাটারদের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গেছে। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে তুলনামূলক ভালো উইকেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হলেও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটাররা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অধিনায়ক লিটন দাসসহ সাইফ হাসান, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহানরা যেখানে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে ব্যর্থ, সেখানে তানজিম হাসান সাকিব দেখিয়েছেন কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়। সাত নম্বরে নেমে ২৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তানজিম সাকিব।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানে জিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচ হারের পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসে তানজিম সাকিব উল্লেখ করেছেন সালাহ উদ্দীনের কথা। তানজিম সাকিব বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে সব সময় সালাহ উদ্দীন স্যার অনেক আত্মবিশ্বাস দেন। তিনি অনুশীলনের সময় অনেক ব্যাটিং করান। সেটা আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। ক্রিকেটাররা আমাকে এই ভরসা দেয় যে আমি রান করতে পারব।’
১৬৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ১২ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৭ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। প্রথম ছয় ব্যাটারের মধ্যে লিটন, সাইফ, শামীম, সোহানরা আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে। জেসন হোল্ডারকে পুল করতে গিয়ে শামীম যেভাবে বোল্ড হয়েছেন, সেটার কড়া সমালোচনা করেছেন লিটন। এ ছাড়া তানজিদ হাসান তামিম ৫ বলে ১৫ রান করলেও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। তাওহীদ হৃদয় ২৮ রান করতে খেলেছেন ২৫ বল। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ৮ ওভারে ৮৯ রান দরকার হলেও বাংলাদেশের আশা জাগিয়েছিলেন তানজিম সাকিব ও নাসুম আহমেদ। সপ্তম উইকেটে ২৩ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন তানজিম সাকিব-নাসুম। তবে এই জুটি ভাঙতেই শেষ বাংলাদেশের আশা। স্বাগতিকেরা ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায়।
২৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেললেও ম্যাচ জিততে না পারার আক্ষেপ ঝরছে তানজিম সাকিবের। বাংলাদেশের তরুণ পেসার বলেন, ‘শেষ করতে পারলে খুব ভালো লাগত। আমি থিতু হয়ে গিয়েছিলাম। বল ব্যাটে আসছিল দারুণভাবেই। নাসুম ভাইও আমাকে দারুণ সমর্থন দিচ্ছিলেন। বাউন্ডারি মারছিলেন। মনে হচ্ছিল এক ব্যাটারের সঙ্গে ব্যাটিং করেছি।’
সাকিবের একেকটা শটে চট্টগ্রামের গ্যালারিতে শোনা যাচ্ছিল ‘সাকিব, সাকিব’ স্লোগান। একটা সময় যে স্লোগানটা শোনা যেত সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। তারকা অলরাউন্ডার সাকিবের পরিবর্তে এবার পেসার সাকিবের ব্যাটিং দেখে গ্যালারিতে থাকা দর্শকেরা তাঁর (তানজিম সাকিব) নামে হর্ষধ্বনি করেছেন। তানজিম সাকিব কি তা টের পেয়েছিলেন? উত্তরে বাংলাদেশের এই তরুণ পেসার বলেন, ‘কানে এসেছে অবশ্যই। কিন্তু আমি আসলে চাপের মুহূর্তে ছিলাম তো। তখন পরিকল্পনা করছিলাম পরের বলে কী করতে পারি। সেটা নিয়ে ভাবছিলাম এবং স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে সমীকরণ দেখছিলাম।’
তানজিম সাকিব ব্যাটিংটা যে একেবারে পারেন না তা নয়। বয়সভিত্তিক দল থেকে তাঁর অলরাউন্ড সত্তার পরিচয় পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দেখিয়েছেন ঝলক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর একটা ফিফটিও রয়েছে। এ বছরের মে মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোরে ৩১ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্বে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীনের এক বছর হতে চলল। সিনিয়র সহকারী কোচ হলেও ব্যাটিংটা তিনি বেশি দেখভাল করছেন। কিন্তু সালাহ উদ্দীন দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ বেশির ভাগ ম্যাচই হেরেছে ব্যাটারদের ব্যর্থতায়। স্বীকৃত ব্যাটাররা খামখেয়ালি ব্যাটিংয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছেন।
মিরপুরের বধ্যভূমিতে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে সমালোচনা, ব্যঙ্গবিদ্রুপ তো কম হয়নি। কালো মাটির উইকেটে ব্যাটারদের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গেছে। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে তুলনামূলক ভালো উইকেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হলেও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটাররা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অধিনায়ক লিটন দাসসহ সাইফ হাসান, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহানরা যেখানে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে ব্যর্থ, সেখানে তানজিম হাসান সাকিব দেখিয়েছেন কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়। সাত নম্বরে নেমে ২৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তানজিম সাকিব।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানে জিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচ হারের পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসে তানজিম সাকিব উল্লেখ করেছেন সালাহ উদ্দীনের কথা। তানজিম সাকিব বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে সব সময় সালাহ উদ্দীন স্যার অনেক আত্মবিশ্বাস দেন। তিনি অনুশীলনের সময় অনেক ব্যাটিং করান। সেটা আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। ক্রিকেটাররা আমাকে এই ভরসা দেয় যে আমি রান করতে পারব।’
১৬৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ১২ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৭ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। প্রথম ছয় ব্যাটারের মধ্যে লিটন, সাইফ, শামীম, সোহানরা আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে। জেসন হোল্ডারকে পুল করতে গিয়ে শামীম যেভাবে বোল্ড হয়েছেন, সেটার কড়া সমালোচনা করেছেন লিটন। এ ছাড়া তানজিদ হাসান তামিম ৫ বলে ১৫ রান করলেও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। তাওহীদ হৃদয় ২৮ রান করতে খেলেছেন ২৫ বল। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ৮ ওভারে ৮৯ রান দরকার হলেও বাংলাদেশের আশা জাগিয়েছিলেন তানজিম সাকিব ও নাসুম আহমেদ। সপ্তম উইকেটে ২৩ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন তানজিম সাকিব-নাসুম। তবে এই জুটি ভাঙতেই শেষ বাংলাদেশের আশা। স্বাগতিকেরা ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায়।
২৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেললেও ম্যাচ জিততে না পারার আক্ষেপ ঝরছে তানজিম সাকিবের। বাংলাদেশের তরুণ পেসার বলেন, ‘শেষ করতে পারলে খুব ভালো লাগত। আমি থিতু হয়ে গিয়েছিলাম। বল ব্যাটে আসছিল দারুণভাবেই। নাসুম ভাইও আমাকে দারুণ সমর্থন দিচ্ছিলেন। বাউন্ডারি মারছিলেন। মনে হচ্ছিল এক ব্যাটারের সঙ্গে ব্যাটিং করেছি।’
সাকিবের একেকটা শটে চট্টগ্রামের গ্যালারিতে শোনা যাচ্ছিল ‘সাকিব, সাকিব’ স্লোগান। একটা সময় যে স্লোগানটা শোনা যেত সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। তারকা অলরাউন্ডার সাকিবের পরিবর্তে এবার পেসার সাকিবের ব্যাটিং দেখে গ্যালারিতে থাকা দর্শকেরা তাঁর (তানজিম সাকিব) নামে হর্ষধ্বনি করেছেন। তানজিম সাকিব কি তা টের পেয়েছিলেন? উত্তরে বাংলাদেশের এই তরুণ পেসার বলেন, ‘কানে এসেছে অবশ্যই। কিন্তু আমি আসলে চাপের মুহূর্তে ছিলাম তো। তখন পরিকল্পনা করছিলাম পরের বলে কী করতে পারি। সেটা নিয়ে ভাবছিলাম এবং স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে সমীকরণ দেখছিলাম।’
তানজিম সাকিব ব্যাটিংটা যে একেবারে পারেন না তা নয়। বয়সভিত্তিক দল থেকে তাঁর অলরাউন্ড সত্তার পরিচয় পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দেখিয়েছেন ঝলক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর একটা ফিফটিও রয়েছে। এ বছরের মে মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোরে ৩১ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে বাংলাদেশ-অধ্যায় শুরু হয়েছে স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথের। টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল বাঁ-হাতি স্পিনার এই মুহূর্তে ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের শহর কলম্বোয়। সেখান থেকেই ফোনে গতকাল সকালে কথা বলেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে আজ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে লড়াইয়ে নামছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টায় শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
১৩ মিনিট আগে
মাঠের ক্রিকেটে ভারতের কতটা দাপট, সেটা না বললেও চলছে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ২০২৫ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ—সবশেষ ১৬ মাসে তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে দলটি। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রশাসনিক কাঠামোতেও ছড়ি ঘোরায় ভারত।
২০ মিনিট আগে
যে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ বাংলাদেশের জন্য ছিল এক সময় ‘জুজু’, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলবে ভিন্ন কিছু। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, আফগানিস্তান—টানা চার দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নেমে হোঁচট খেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট...
২ ঘণ্টা আগে