রিফাত এমিল, ঢাকা
আজকের পত্রিকার জন্ম ২৭ জুন। সে সবারই জানা। না জানলেও জানিয়ে তো দিলামই। পত্রিকাটির পাঠক হিসেবে তাদের অনলাইন সংস্করণে ক্রীড়া বিভাগের পাঁচটি ভিন্ন সেকশনের মধ্যে বিশেষ নজর কেড়েছে ‘ফ্রি হিট’। সেকশনের লেখাগুলো পড়তে পড়তে উৎসুক মন জানান দিল, ফ্রি হিট সেকশনে ফ্রি হিট নিয়েই কোনো লেখা নেই! লেখা পাঠানোর সুযোগ দেখে উৎসুক মন উসকে দিল, ‘এতই যখন এলিফ্যান্ট রোডে হাতি খোঁজার মতো ফ্রি হিটেই ফ্রি হিট খুঁজছিস, নিজেই লিখে ফেল না!’
যেই ভাবা সেই কাজ—লিখতে বসেই গেলাম। ফ্রি হিট অবশ্যই ক্রিকেটীয় পরিভাষা। ক্রিকেট খেলাটা আরও চিত্তাকর্ষক করতেই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি ২০০৭ সালে চালু করে ‘ফ্রি হিট’। শুরুতে পপিং ক্রিজে বোলারদের পা নিয়মের অতিরিক্ত বেরোলেই নো বলে ফ্রি হিট দেওয়া হয়। সময়ের সঙ্গে তা বদলে ২০১৫ সালের ৫ জুলাই থেকে যেকোনো নো বলেই ফ্রি হিট দেওয়া হয়। ফ্রি হিটের মানে এক্কেবারে সহজ—ব্যাটসম্যান যেমন খুশি তেমন মারতে পারবেন! নেই রানআউট ছাড়া অন্য কোনো আউট। আগে শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে থাকলেও পরে তা সংযোজন করা হয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেটও। আজ ৫ জুলাইকে তাই আমরা ‘ফ্রি হিট দিবস’ বলতেই পারি, না কি?
আগেই বলা হলো, সব নো বলেই ফ্রি হিট চালু হয়েছে ২০১৫ সালের ৫ জুলাই। এরপর থেকে ২ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে ২১ দলের ৬৩৬ ম্যাচে নো বলে ফ্রি হিট হয়েছে ৭২৪টি। এই ছয় বছরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৭৪ দলের ৭৫৩ ম্যাচে নো বলে ফ্রি হিট হয়েছে ৭৪৫টি।
একই সময়ে বাংলাদেশ দলের বোলাররা ওয়ানডেতে ফ্রি হিট দিয়েছেন ৩৬টি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৬টি। অনেক পিছিয়ে থাকা ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল ফ্রি হিট দেওয়াতেও পিছিয়ে। আদতে, এগিয়েই! ওয়ানডে ক্রিকেটে এই নির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশি বোলারদের চেয়ে নো বল বেশি করেছে ৯টি দল। সর্বোচ্চ ৮২ নো বল উইন্ডিজের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও একই ছবি। বাংলাদেশের চেয়ে ১৩টি দল ফ্রি হিট বেশি দিয়েছে। পার্থক্য বোঝাতে ফের সর্বোচ্চ ৫১ নো বল দেওয়া উইন্ডিজের কথা বলাই শ্রেয়।
নিরস সংখ্যার কথা অনেক হলো। আরেকটু বাকি যদিও। জাতিগতভাবে আমরা তুলনায় বিশ্বাসী। আমরা ঈদুল আজহায় কার গরুর দাম বেশি, সেই তর্কে জেতার আনন্দে মাতি। কৈশোরে কষ্ট বাড়ত পাশের বাড়ির বন্ধুর গণিতে বেশি নম্বর পাওয়ায়, তারুণ্যে সেখানে যোগ হয়েছে ভালো চাকরি। আমাদের তুলনা চলতেই থাকে। ফ্রি হিটেও খানিক তুলনা না দিলেও হচ্ছে না। আগে ছয় বছরের কথা বলেছি। তাহলে ২০১৫ সালের ৫ জুলাইয়ের আগের ছয় বছরের হিসাব করা যাক।
২০০৯ সালের ৫ জুলাই থেকে ২০১৫ সালের ৫ জুলাই—এই সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৯ দল ৮০৭ ম্যাচে নো বল করেছে ১২৩১টি, ফ্রি হিট যুক্ত হওয়ার পরের ছয় বছরের চেয়ে যেটি অর্ধেকের খানিক কম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই সময়ে হয়েছে ৩১২টি নো বল, ফ্রি হিট থাকলেও যা হয়েছে ম্যাচপ্রতি গড়ে একটি করে।
নো বল দেওয়ায় বাংলাদেশ দল এই ছয় বছরে ছিল কিপটে। ১০৮ ওয়ানডে ম্যাচে ৫৮ নো বল দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১১ নম্বরে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩১ ম্যাচে ১২ নো বলে অবস্থান দশম।
নো বলের সৌজন্যে পাওয়া ফ্রি হিটে বোলারের পুরোটাই লোকসান। বাড়তি একটি বল করার সঙ্গে রানও গচ্চা। এই লেখাকে অমন ‘ফ্রি হিট’ বলাই শ্রেয়! লিখলাম ফ্রি হিটের জন্যই। পাঠকের জন্য এটি শুধুই ‘ফ্রি হিট’!
লেখক: শিক্ষার্থী
আজকের পত্রিকার জন্ম ২৭ জুন। সে সবারই জানা। না জানলেও জানিয়ে তো দিলামই। পত্রিকাটির পাঠক হিসেবে তাদের অনলাইন সংস্করণে ক্রীড়া বিভাগের পাঁচটি ভিন্ন সেকশনের মধ্যে বিশেষ নজর কেড়েছে ‘ফ্রি হিট’। সেকশনের লেখাগুলো পড়তে পড়তে উৎসুক মন জানান দিল, ফ্রি হিট সেকশনে ফ্রি হিট নিয়েই কোনো লেখা নেই! লেখা পাঠানোর সুযোগ দেখে উৎসুক মন উসকে দিল, ‘এতই যখন এলিফ্যান্ট রোডে হাতি খোঁজার মতো ফ্রি হিটেই ফ্রি হিট খুঁজছিস, নিজেই লিখে ফেল না!’
যেই ভাবা সেই কাজ—লিখতে বসেই গেলাম। ফ্রি হিট অবশ্যই ক্রিকেটীয় পরিভাষা। ক্রিকেট খেলাটা আরও চিত্তাকর্ষক করতেই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি ২০০৭ সালে চালু করে ‘ফ্রি হিট’। শুরুতে পপিং ক্রিজে বোলারদের পা নিয়মের অতিরিক্ত বেরোলেই নো বলে ফ্রি হিট দেওয়া হয়। সময়ের সঙ্গে তা বদলে ২০১৫ সালের ৫ জুলাই থেকে যেকোনো নো বলেই ফ্রি হিট দেওয়া হয়। ফ্রি হিটের মানে এক্কেবারে সহজ—ব্যাটসম্যান যেমন খুশি তেমন মারতে পারবেন! নেই রানআউট ছাড়া অন্য কোনো আউট। আগে শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে থাকলেও পরে তা সংযোজন করা হয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেটও। আজ ৫ জুলাইকে তাই আমরা ‘ফ্রি হিট দিবস’ বলতেই পারি, না কি?
আগেই বলা হলো, সব নো বলেই ফ্রি হিট চালু হয়েছে ২০১৫ সালের ৫ জুলাই। এরপর থেকে ২ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে ২১ দলের ৬৩৬ ম্যাচে নো বলে ফ্রি হিট হয়েছে ৭২৪টি। এই ছয় বছরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৭৪ দলের ৭৫৩ ম্যাচে নো বলে ফ্রি হিট হয়েছে ৭৪৫টি।
একই সময়ে বাংলাদেশ দলের বোলাররা ওয়ানডেতে ফ্রি হিট দিয়েছেন ৩৬টি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৬টি। অনেক পিছিয়ে থাকা ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল ফ্রি হিট দেওয়াতেও পিছিয়ে। আদতে, এগিয়েই! ওয়ানডে ক্রিকেটে এই নির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশি বোলারদের চেয়ে নো বল বেশি করেছে ৯টি দল। সর্বোচ্চ ৮২ নো বল উইন্ডিজের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও একই ছবি। বাংলাদেশের চেয়ে ১৩টি দল ফ্রি হিট বেশি দিয়েছে। পার্থক্য বোঝাতে ফের সর্বোচ্চ ৫১ নো বল দেওয়া উইন্ডিজের কথা বলাই শ্রেয়।
নিরস সংখ্যার কথা অনেক হলো। আরেকটু বাকি যদিও। জাতিগতভাবে আমরা তুলনায় বিশ্বাসী। আমরা ঈদুল আজহায় কার গরুর দাম বেশি, সেই তর্কে জেতার আনন্দে মাতি। কৈশোরে কষ্ট বাড়ত পাশের বাড়ির বন্ধুর গণিতে বেশি নম্বর পাওয়ায়, তারুণ্যে সেখানে যোগ হয়েছে ভালো চাকরি। আমাদের তুলনা চলতেই থাকে। ফ্রি হিটেও খানিক তুলনা না দিলেও হচ্ছে না। আগে ছয় বছরের কথা বলেছি। তাহলে ২০১৫ সালের ৫ জুলাইয়ের আগের ছয় বছরের হিসাব করা যাক।
২০০৯ সালের ৫ জুলাই থেকে ২০১৫ সালের ৫ জুলাই—এই সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৯ দল ৮০৭ ম্যাচে নো বল করেছে ১২৩১টি, ফ্রি হিট যুক্ত হওয়ার পরের ছয় বছরের চেয়ে যেটি অর্ধেকের খানিক কম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই সময়ে হয়েছে ৩১২টি নো বল, ফ্রি হিট থাকলেও যা হয়েছে ম্যাচপ্রতি গড়ে একটি করে।
নো বল দেওয়ায় বাংলাদেশ দল এই ছয় বছরে ছিল কিপটে। ১০৮ ওয়ানডে ম্যাচে ৫৮ নো বল দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১১ নম্বরে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩১ ম্যাচে ১২ নো বলে অবস্থান দশম।
নো বলের সৌজন্যে পাওয়া ফ্রি হিটে বোলারের পুরোটাই লোকসান। বাড়তি একটি বল করার সঙ্গে রানও গচ্চা। এই লেখাকে অমন ‘ফ্রি হিট’ বলাই শ্রেয়! লিখলাম ফ্রি হিটের জন্যই। পাঠকের জন্য এটি শুধুই ‘ফ্রি হিট’!
লেখক: শিক্ষার্থী
টানা তিনটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের তাজা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাল এশিয়া কাপ মিশনে নামছে বাংলাদেশ। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে লিটন দাসের দলের প্রতিপক্ষ হংকং। লক্ষ্য একটাই— ইতিহাস গড়া। তা সামনে রেখে বাংলাদেশ এগোচ্ছে ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে।
৪ ঘণ্টা আগেবোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স লক্ষ্যটা থেকেছে হাতের নাগালে। ভারত পাওয়ার প্লের মধ্যে নাকি আরও পরে ম্যাচ শেষ করতে পারে সেটাই যেন দেখার অপেক্ষা ছিল। শেষ পর্যন্ত ৫৮ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে মাত্র ২৭ বল খেলতে হয়েছে তাদের। রান তাড়ায় নেমে এত কম বলে কখনো ম্যাচ শেষ করতে পারেনি ভারত।
৬ ঘণ্টা আগে‘যশপ্রীত বুমরা একাদশে থাকলে আমি ধর্মঘটে যাব’—টিভি অনুষ্ঠানে বসে এমনই কথা বলেছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অজয় জাদেজা। ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য জাদেজার কথা রাখেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ঠিকই খেলিয়েছে বুমরাকে। তাঁর এনে দেওয়া ব্রেকথ্রুর পর ভারতের স্পিন আক্রমণের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে
৭ ঘণ্টা আগেস্বাভাবিক হতে শুরু করেছে নেপালের কাঠমান্ডুর পরিস্থিতি। এক দিনেরও বেশি সময় বন্ধের পর আজ দুপুরে খুলে দেওয়া হয়েছে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফেরার আশায় ক্ষণ গুনছে বাংলাদেশ ফুটবল দল।
৯ ঘণ্টা আগে