দাক্স পানওয়ার

ঢাকা: অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে ছয়টা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম। একই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে আমি আমার নিজের দেশ ভারতের কিছু বিষয়ও বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিলাম।
দেশটিতে পা রাখার আগেই মানচিত্রে দেশটি দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেখানে দেখে দেশটিকে ভারতের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ বলেই মনে হচ্ছিল। সেই একই আকার: একটি মাথা ও পাশাপাশি বেরিয়ে যাওয়া দুটি প্রসারিত অংশ। আর পায়ে জড়িয়ে আছে সমুদ্র। এরপর যখন আমি প্রথম হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পা রাখি, দেখলাম দুটি দেশের মধ্যে মানচিত্রের মতো বাস্তব জীবনেও মিল আছে।
আমি দেশটির অসাধারণ প্রাণশক্তি অনুভব করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও কম নয়। ফলে যে অস্থিরতা তৈরি হয় তা প্রাণশক্তি নষ্টও করে। নব্বই দশকে ভারতেও এর ব্যতিক্রম ছিল না, যখন প্রবৃদ্ধি বাড়তে শুরু করেছিল। সে সময় মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছিল। মধ্যবিত্তের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছিল। দেশের ভেতর এমন একটা বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল যে শক্তির কেন্দ্রে তার নিজের আসনটি খুঁজে নিতে হবে। কিন্তু ভারতের স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসে ২০১৬ সালের পর থেকে। সেই সময় একসঙ্গে অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেটা অবশ্য অন্য বিষয়। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি নির্দেশক বলছে, বাংলাদেশ এখনো সম্ভাবনাময়।
আপনি হয়তো ক্রিকেট কলামে অর্থনীতি নিয়ে কেন কথা বলছি সেটা ভেবে অবাক হচ্ছেন! এগুলো পরিপূরক বিষয়। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেশটির ক্রিকেটকে প্রভাবিত করেছে। উত্তর–উদারনৈতিক সময়ে করপোরেট ভারতের লাভের পরিমাণও বেড়েছে। সেই উদ্বৃত্তের একটা অংশ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসেছে ক্রিকেটে। যা বিসিসিআইকে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ করে দিয়েছে। যার ভেতর দিয়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক ক্রিকেটার। এখনকার শক্তিশালী ভারত যে সবাইকে হারাতে পারে, তাঁর কারণ মূলত এটাই।
দুটি উপায়ে ক্রিকেটে দাপট দেখানো যেতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ–পাকিস্তানি উপায় এবং অস্ট্রেলিয়া–ভারত উপায়। প্রথমটিতে দল নির্ভর করে প্রতিভা ও আবেগের ওপর। এখানে কোনো ধরনের সিস্টেম ছাড়াই দল সফল হতে পারে। এই ক্রিকেট অনেকটা রোমান্টিক ক্রিকেট। তবে সমসাময়িক ক্রিকেটে এই দাপট মোটেই স্থায়ী না। দ্বিতীয় পদ্ধতিতেও প্রতিভা প্রয়োজন। পাশাপাশি সঠিক পদ্ধতি ও দেখভাল একে ভালোভাবে রক্ষা করতে পারে। এটা দীর্ঘমেয়াদি দাপটের নিশ্চয়তাও দেয়। এভাবেই আসলে রাজত্ব নিশ্চিত করতে হয়।
বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় আমার মনে হয়েছে এই দেশের ক্রিকেটও ভারতের পদচিহ্ন অনুসরণ করছে। সেখানকারই ক্রিকেটেও অর্থের প্রবাহ অব্যাহত আছে এবং বাংলাদেশ নিজেদের উন্নতির একটা পথ তৈরি করেছে। পাশাপাশি দীর্ঘ অপেক্ষার পর দারুণ কিছু ফলও পেতে শুরু করেছে দলটি। এর মাঝে তারা ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, সেদিন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাদের বঞ্চিত করেছে। এরপর চার মাসের মধ্যে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছ, ভারতকে মাটিতে নামিয়েছে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছে। এই ফলগুলো দুর্দান্ত। তবে আসল কাজটা হচ্ছিল মূলত এক স্তর নিচে, জুনিয়র ক্রিকেটে। ছয় মাস পর দ্বিতীয়বার ভ্রমণে আমি সেটার সাক্ষীও হয়েছি।
জানুয়ারি ২০১৬ সালে আমি বাংলাদেশ গিয়েছিলাম আইসিসি অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ কাভার করতে। আগের দুই বছর ধরে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টটির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। একদল প্রতিভাবান তরুণ বৈশ্বিক শিরোপা জেতার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত হচ্ছিল। উজ্জীবিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি জিততে না পারত তবে বাংলাদেশই শেষ পর্যন্ত জয়ের আনন্দে মাততে পারত। কিন্তু ২০১৬ সালে অল্পের জন্য না পারলেও এটা বোঝা যাচ্ছিল যে সাফল্য খুব কাছে অপেক্ষা করছিল। এরপর ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ঠিকই শিরোপা জিতে নিয়েছে। যেখানে ফাইনালে তারা ভারতকে হারিয়েছে। তাদের উদ্যাপনও ছিল আবেগময় ও বাঁধভাঙা। সেদিন পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশি তরুণ খেলোয়াড়দের বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস ভারতসহ গোটা বিশ্বকে বলে দিচ্ছিল, তোমরা এবার আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে নাও।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভারতের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এবং সমর্থকেরা কীভাবে দেখছেন? আরও বৃহৎ অর্থে বললে, গড়পড়তা ভারতীয়রা বাংলাদেশকে কীভাবে দেখে? ইতিবাচক উত্তরটি হচ্ছে, উৎসাহীভাবে এবং নেতিবাচক উত্তরটি হচ্ছে, অশ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা হয়। তবে বেশির ভাগেরই বাংলাদেশ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। এটা এমন যে তারা বাংলাদেশকে যেন চেনেই না! হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ভারতে বাংলাদেশ–বিরোধী প্রচারণা রয়েছে। কিন্তু সময়টাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের নির্বাচনের সময় এ বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
এটা ধ্রুব সত্য, ভারত যখন বাংলাদেশকে তাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করে, তখন এটা পাকিস্তানের (কখনো চীন) মতো আমাদের অবদমনের বিষয় ছিল না। এর কারণ পাকিস্তানকে দেখা হয় অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে যখন উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কও অব্যাহত থাকে তখন একধরনের সৌহার্দ্য দেখা যায়।
এটা ক্রিকেটের দিক থেকেও একইভাবে সত্য। যেটির উদাহরণ হিসেবে বীরেন্দর শেবাগের বাংলাদেশ খারিজ করে দেয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের কম ম্যাচ খেলা এবং স্টার স্পোর্টসের ২০১৫ সালের সফরের আগে ‘বাচ্চা বাড়া হো গায়া (বাচ্চা বড় হয়ে গেছে) ’ বিজ্ঞাপনের কথা বলা যায়।
কিন্তু ভূ–রাজনৈতিক পরিস্থিতির মতো ক্রিকেট মাঠেও ভারতের উচিত বাংলাদেশকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া ও সমতামূলক আচরণ করা। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে চার হাজার কিলোমিটারের সীমানা ভাগাভাগি করে। যা বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম ভূ–সীমানা। এমনকি ভারত–পাকিস্তান ও ভারত–চীনের চেয়েও অনেক বড়। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে লড়াইটাও বাড়ে। বাংলাদেশ যতই উন্নতি করেছে ও মধ্য শক্তির দেশে পরিণত হয়েছে, কিন্তু এর মাঝে দুই দেশেই মৌলবাদ বেড়েছে। যা দুই দেশের ১৯৭১ সালের বন্ধুত্বকেও ম্লান করেছে। দুই দেশের উচিত বিষয়গুলো আরও পরিপক্বতার সঙ্গে বিবেচনা করা। পাশাপাশি যেকোনো সমস্যা সম্মান ও পারস্পরিক সমঝোতার সঙ্গে সমাধান করা।
ক্রিকেটে ভারত বাংলাদেশের উন্নতিকে মূল্যায়ন করতে পারে দেশে ও দেশের বাইরে আরও বেশি দ্বিপক্ষীয় ম্যাচ খেলার মাধ্যমে। আমার দেখছি, সামনের দিনগুলোতে ভারত–পাকিস্তান দ্বৈরথকে এটি প্রতিস্থাপন করতে না পারলেও, সমমানের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। ভারত তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে খেলতে পারছে না। শ্রীলঙ্কা তাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত হারিয়ে ফেলেছে। একটি নতুন ও স্বাস্থ্যকর উপমহাদেশীয় দ্বৈরথ দুই পক্ষকেই সহায়তা করবে। এটা সময়ের দাবিও বটে।
লেখক: কানাডাপ্রবাসী ভারতীয় সাংবাদিক

ঢাকা: অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে ছয়টা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম। একই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে আমি আমার নিজের দেশ ভারতের কিছু বিষয়ও বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিলাম।
দেশটিতে পা রাখার আগেই মানচিত্রে দেশটি দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেখানে দেখে দেশটিকে ভারতের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ বলেই মনে হচ্ছিল। সেই একই আকার: একটি মাথা ও পাশাপাশি বেরিয়ে যাওয়া দুটি প্রসারিত অংশ। আর পায়ে জড়িয়ে আছে সমুদ্র। এরপর যখন আমি প্রথম হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পা রাখি, দেখলাম দুটি দেশের মধ্যে মানচিত্রের মতো বাস্তব জীবনেও মিল আছে।
আমি দেশটির অসাধারণ প্রাণশক্তি অনুভব করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও কম নয়। ফলে যে অস্থিরতা তৈরি হয় তা প্রাণশক্তি নষ্টও করে। নব্বই দশকে ভারতেও এর ব্যতিক্রম ছিল না, যখন প্রবৃদ্ধি বাড়তে শুরু করেছিল। সে সময় মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছিল। মধ্যবিত্তের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছিল। দেশের ভেতর এমন একটা বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল যে শক্তির কেন্দ্রে তার নিজের আসনটি খুঁজে নিতে হবে। কিন্তু ভারতের স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসে ২০১৬ সালের পর থেকে। সেই সময় একসঙ্গে অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেটা অবশ্য অন্য বিষয়। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি নির্দেশক বলছে, বাংলাদেশ এখনো সম্ভাবনাময়।
আপনি হয়তো ক্রিকেট কলামে অর্থনীতি নিয়ে কেন কথা বলছি সেটা ভেবে অবাক হচ্ছেন! এগুলো পরিপূরক বিষয়। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেশটির ক্রিকেটকে প্রভাবিত করেছে। উত্তর–উদারনৈতিক সময়ে করপোরেট ভারতের লাভের পরিমাণও বেড়েছে। সেই উদ্বৃত্তের একটা অংশ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসেছে ক্রিকেটে। যা বিসিসিআইকে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ করে দিয়েছে। যার ভেতর দিয়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক ক্রিকেটার। এখনকার শক্তিশালী ভারত যে সবাইকে হারাতে পারে, তাঁর কারণ মূলত এটাই।
দুটি উপায়ে ক্রিকেটে দাপট দেখানো যেতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ–পাকিস্তানি উপায় এবং অস্ট্রেলিয়া–ভারত উপায়। প্রথমটিতে দল নির্ভর করে প্রতিভা ও আবেগের ওপর। এখানে কোনো ধরনের সিস্টেম ছাড়াই দল সফল হতে পারে। এই ক্রিকেট অনেকটা রোমান্টিক ক্রিকেট। তবে সমসাময়িক ক্রিকেটে এই দাপট মোটেই স্থায়ী না। দ্বিতীয় পদ্ধতিতেও প্রতিভা প্রয়োজন। পাশাপাশি সঠিক পদ্ধতি ও দেখভাল একে ভালোভাবে রক্ষা করতে পারে। এটা দীর্ঘমেয়াদি দাপটের নিশ্চয়তাও দেয়। এভাবেই আসলে রাজত্ব নিশ্চিত করতে হয়।
বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় আমার মনে হয়েছে এই দেশের ক্রিকেটও ভারতের পদচিহ্ন অনুসরণ করছে। সেখানকারই ক্রিকেটেও অর্থের প্রবাহ অব্যাহত আছে এবং বাংলাদেশ নিজেদের উন্নতির একটা পথ তৈরি করেছে। পাশাপাশি দীর্ঘ অপেক্ষার পর দারুণ কিছু ফলও পেতে শুরু করেছে দলটি। এর মাঝে তারা ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, সেদিন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাদের বঞ্চিত করেছে। এরপর চার মাসের মধ্যে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছ, ভারতকে মাটিতে নামিয়েছে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছে। এই ফলগুলো দুর্দান্ত। তবে আসল কাজটা হচ্ছিল মূলত এক স্তর নিচে, জুনিয়র ক্রিকেটে। ছয় মাস পর দ্বিতীয়বার ভ্রমণে আমি সেটার সাক্ষীও হয়েছি।
জানুয়ারি ২০১৬ সালে আমি বাংলাদেশ গিয়েছিলাম আইসিসি অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ কাভার করতে। আগের দুই বছর ধরে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টটির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। একদল প্রতিভাবান তরুণ বৈশ্বিক শিরোপা জেতার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত হচ্ছিল। উজ্জীবিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি জিততে না পারত তবে বাংলাদেশই শেষ পর্যন্ত জয়ের আনন্দে মাততে পারত। কিন্তু ২০১৬ সালে অল্পের জন্য না পারলেও এটা বোঝা যাচ্ছিল যে সাফল্য খুব কাছে অপেক্ষা করছিল। এরপর ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ঠিকই শিরোপা জিতে নিয়েছে। যেখানে ফাইনালে তারা ভারতকে হারিয়েছে। তাদের উদ্যাপনও ছিল আবেগময় ও বাঁধভাঙা। সেদিন পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশি তরুণ খেলোয়াড়দের বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস ভারতসহ গোটা বিশ্বকে বলে দিচ্ছিল, তোমরা এবার আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে নাও।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভারতের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এবং সমর্থকেরা কীভাবে দেখছেন? আরও বৃহৎ অর্থে বললে, গড়পড়তা ভারতীয়রা বাংলাদেশকে কীভাবে দেখে? ইতিবাচক উত্তরটি হচ্ছে, উৎসাহীভাবে এবং নেতিবাচক উত্তরটি হচ্ছে, অশ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা হয়। তবে বেশির ভাগেরই বাংলাদেশ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। এটা এমন যে তারা বাংলাদেশকে যেন চেনেই না! হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ভারতে বাংলাদেশ–বিরোধী প্রচারণা রয়েছে। কিন্তু সময়টাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের নির্বাচনের সময় এ বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
এটা ধ্রুব সত্য, ভারত যখন বাংলাদেশকে তাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করে, তখন এটা পাকিস্তানের (কখনো চীন) মতো আমাদের অবদমনের বিষয় ছিল না। এর কারণ পাকিস্তানকে দেখা হয় অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে যখন উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কও অব্যাহত থাকে তখন একধরনের সৌহার্দ্য দেখা যায়।
এটা ক্রিকেটের দিক থেকেও একইভাবে সত্য। যেটির উদাহরণ হিসেবে বীরেন্দর শেবাগের বাংলাদেশ খারিজ করে দেয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের কম ম্যাচ খেলা এবং স্টার স্পোর্টসের ২০১৫ সালের সফরের আগে ‘বাচ্চা বাড়া হো গায়া (বাচ্চা বড় হয়ে গেছে) ’ বিজ্ঞাপনের কথা বলা যায়।
কিন্তু ভূ–রাজনৈতিক পরিস্থিতির মতো ক্রিকেট মাঠেও ভারতের উচিত বাংলাদেশকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া ও সমতামূলক আচরণ করা। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে চার হাজার কিলোমিটারের সীমানা ভাগাভাগি করে। যা বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম ভূ–সীমানা। এমনকি ভারত–পাকিস্তান ও ভারত–চীনের চেয়েও অনেক বড়। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে লড়াইটাও বাড়ে। বাংলাদেশ যতই উন্নতি করেছে ও মধ্য শক্তির দেশে পরিণত হয়েছে, কিন্তু এর মাঝে দুই দেশেই মৌলবাদ বেড়েছে। যা দুই দেশের ১৯৭১ সালের বন্ধুত্বকেও ম্লান করেছে। দুই দেশের উচিত বিষয়গুলো আরও পরিপক্বতার সঙ্গে বিবেচনা করা। পাশাপাশি যেকোনো সমস্যা সম্মান ও পারস্পরিক সমঝোতার সঙ্গে সমাধান করা।
ক্রিকেটে ভারত বাংলাদেশের উন্নতিকে মূল্যায়ন করতে পারে দেশে ও দেশের বাইরে আরও বেশি দ্বিপক্ষীয় ম্যাচ খেলার মাধ্যমে। আমার দেখছি, সামনের দিনগুলোতে ভারত–পাকিস্তান দ্বৈরথকে এটি প্রতিস্থাপন করতে না পারলেও, সমমানের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। ভারত তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে খেলতে পারছে না। শ্রীলঙ্কা তাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত হারিয়ে ফেলেছে। একটি নতুন ও স্বাস্থ্যকর উপমহাদেশীয় দ্বৈরথ দুই পক্ষকেই সহায়তা করবে। এটা সময়ের দাবিও বটে।
লেখক: কানাডাপ্রবাসী ভারতীয় সাংবাদিক
দাক্স পানওয়ার

ঢাকা: অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে ছয়টা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম। একই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে আমি আমার নিজের দেশ ভারতের কিছু বিষয়ও বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিলাম।
দেশটিতে পা রাখার আগেই মানচিত্রে দেশটি দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেখানে দেখে দেশটিকে ভারতের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ বলেই মনে হচ্ছিল। সেই একই আকার: একটি মাথা ও পাশাপাশি বেরিয়ে যাওয়া দুটি প্রসারিত অংশ। আর পায়ে জড়িয়ে আছে সমুদ্র। এরপর যখন আমি প্রথম হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পা রাখি, দেখলাম দুটি দেশের মধ্যে মানচিত্রের মতো বাস্তব জীবনেও মিল আছে।
আমি দেশটির অসাধারণ প্রাণশক্তি অনুভব করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও কম নয়। ফলে যে অস্থিরতা তৈরি হয় তা প্রাণশক্তি নষ্টও করে। নব্বই দশকে ভারতেও এর ব্যতিক্রম ছিল না, যখন প্রবৃদ্ধি বাড়তে শুরু করেছিল। সে সময় মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছিল। মধ্যবিত্তের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছিল। দেশের ভেতর এমন একটা বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল যে শক্তির কেন্দ্রে তার নিজের আসনটি খুঁজে নিতে হবে। কিন্তু ভারতের স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসে ২০১৬ সালের পর থেকে। সেই সময় একসঙ্গে অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেটা অবশ্য অন্য বিষয়। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি নির্দেশক বলছে, বাংলাদেশ এখনো সম্ভাবনাময়।
আপনি হয়তো ক্রিকেট কলামে অর্থনীতি নিয়ে কেন কথা বলছি সেটা ভেবে অবাক হচ্ছেন! এগুলো পরিপূরক বিষয়। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেশটির ক্রিকেটকে প্রভাবিত করেছে। উত্তর–উদারনৈতিক সময়ে করপোরেট ভারতের লাভের পরিমাণও বেড়েছে। সেই উদ্বৃত্তের একটা অংশ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসেছে ক্রিকেটে। যা বিসিসিআইকে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ করে দিয়েছে। যার ভেতর দিয়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক ক্রিকেটার। এখনকার শক্তিশালী ভারত যে সবাইকে হারাতে পারে, তাঁর কারণ মূলত এটাই।
দুটি উপায়ে ক্রিকেটে দাপট দেখানো যেতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ–পাকিস্তানি উপায় এবং অস্ট্রেলিয়া–ভারত উপায়। প্রথমটিতে দল নির্ভর করে প্রতিভা ও আবেগের ওপর। এখানে কোনো ধরনের সিস্টেম ছাড়াই দল সফল হতে পারে। এই ক্রিকেট অনেকটা রোমান্টিক ক্রিকেট। তবে সমসাময়িক ক্রিকেটে এই দাপট মোটেই স্থায়ী না। দ্বিতীয় পদ্ধতিতেও প্রতিভা প্রয়োজন। পাশাপাশি সঠিক পদ্ধতি ও দেখভাল একে ভালোভাবে রক্ষা করতে পারে। এটা দীর্ঘমেয়াদি দাপটের নিশ্চয়তাও দেয়। এভাবেই আসলে রাজত্ব নিশ্চিত করতে হয়।
বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় আমার মনে হয়েছে এই দেশের ক্রিকেটও ভারতের পদচিহ্ন অনুসরণ করছে। সেখানকারই ক্রিকেটেও অর্থের প্রবাহ অব্যাহত আছে এবং বাংলাদেশ নিজেদের উন্নতির একটা পথ তৈরি করেছে। পাশাপাশি দীর্ঘ অপেক্ষার পর দারুণ কিছু ফলও পেতে শুরু করেছে দলটি। এর মাঝে তারা ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, সেদিন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাদের বঞ্চিত করেছে। এরপর চার মাসের মধ্যে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছ, ভারতকে মাটিতে নামিয়েছে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছে। এই ফলগুলো দুর্দান্ত। তবে আসল কাজটা হচ্ছিল মূলত এক স্তর নিচে, জুনিয়র ক্রিকেটে। ছয় মাস পর দ্বিতীয়বার ভ্রমণে আমি সেটার সাক্ষীও হয়েছি।
জানুয়ারি ২০১৬ সালে আমি বাংলাদেশ গিয়েছিলাম আইসিসি অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ কাভার করতে। আগের দুই বছর ধরে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টটির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। একদল প্রতিভাবান তরুণ বৈশ্বিক শিরোপা জেতার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত হচ্ছিল। উজ্জীবিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি জিততে না পারত তবে বাংলাদেশই শেষ পর্যন্ত জয়ের আনন্দে মাততে পারত। কিন্তু ২০১৬ সালে অল্পের জন্য না পারলেও এটা বোঝা যাচ্ছিল যে সাফল্য খুব কাছে অপেক্ষা করছিল। এরপর ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ঠিকই শিরোপা জিতে নিয়েছে। যেখানে ফাইনালে তারা ভারতকে হারিয়েছে। তাদের উদ্যাপনও ছিল আবেগময় ও বাঁধভাঙা। সেদিন পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশি তরুণ খেলোয়াড়দের বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস ভারতসহ গোটা বিশ্বকে বলে দিচ্ছিল, তোমরা এবার আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে নাও।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভারতের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এবং সমর্থকেরা কীভাবে দেখছেন? আরও বৃহৎ অর্থে বললে, গড়পড়তা ভারতীয়রা বাংলাদেশকে কীভাবে দেখে? ইতিবাচক উত্তরটি হচ্ছে, উৎসাহীভাবে এবং নেতিবাচক উত্তরটি হচ্ছে, অশ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা হয়। তবে বেশির ভাগেরই বাংলাদেশ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। এটা এমন যে তারা বাংলাদেশকে যেন চেনেই না! হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ভারতে বাংলাদেশ–বিরোধী প্রচারণা রয়েছে। কিন্তু সময়টাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের নির্বাচনের সময় এ বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
এটা ধ্রুব সত্য, ভারত যখন বাংলাদেশকে তাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করে, তখন এটা পাকিস্তানের (কখনো চীন) মতো আমাদের অবদমনের বিষয় ছিল না। এর কারণ পাকিস্তানকে দেখা হয় অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে যখন উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কও অব্যাহত থাকে তখন একধরনের সৌহার্দ্য দেখা যায়।
এটা ক্রিকেটের দিক থেকেও একইভাবে সত্য। যেটির উদাহরণ হিসেবে বীরেন্দর শেবাগের বাংলাদেশ খারিজ করে দেয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের কম ম্যাচ খেলা এবং স্টার স্পোর্টসের ২০১৫ সালের সফরের আগে ‘বাচ্চা বাড়া হো গায়া (বাচ্চা বড় হয়ে গেছে) ’ বিজ্ঞাপনের কথা বলা যায়।
কিন্তু ভূ–রাজনৈতিক পরিস্থিতির মতো ক্রিকেট মাঠেও ভারতের উচিত বাংলাদেশকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া ও সমতামূলক আচরণ করা। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে চার হাজার কিলোমিটারের সীমানা ভাগাভাগি করে। যা বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম ভূ–সীমানা। এমনকি ভারত–পাকিস্তান ও ভারত–চীনের চেয়েও অনেক বড়। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে লড়াইটাও বাড়ে। বাংলাদেশ যতই উন্নতি করেছে ও মধ্য শক্তির দেশে পরিণত হয়েছে, কিন্তু এর মাঝে দুই দেশেই মৌলবাদ বেড়েছে। যা দুই দেশের ১৯৭১ সালের বন্ধুত্বকেও ম্লান করেছে। দুই দেশের উচিত বিষয়গুলো আরও পরিপক্বতার সঙ্গে বিবেচনা করা। পাশাপাশি যেকোনো সমস্যা সম্মান ও পারস্পরিক সমঝোতার সঙ্গে সমাধান করা।
ক্রিকেটে ভারত বাংলাদেশের উন্নতিকে মূল্যায়ন করতে পারে দেশে ও দেশের বাইরে আরও বেশি দ্বিপক্ষীয় ম্যাচ খেলার মাধ্যমে। আমার দেখছি, সামনের দিনগুলোতে ভারত–পাকিস্তান দ্বৈরথকে এটি প্রতিস্থাপন করতে না পারলেও, সমমানের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। ভারত তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে খেলতে পারছে না। শ্রীলঙ্কা তাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত হারিয়ে ফেলেছে। একটি নতুন ও স্বাস্থ্যকর উপমহাদেশীয় দ্বৈরথ দুই পক্ষকেই সহায়তা করবে। এটা সময়ের দাবিও বটে।
লেখক: কানাডাপ্রবাসী ভারতীয় সাংবাদিক

ঢাকা: অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে ছয়টা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম। একই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে আমি আমার নিজের দেশ ভারতের কিছু বিষয়ও বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিলাম।
দেশটিতে পা রাখার আগেই মানচিত্রে দেশটি দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেখানে দেখে দেশটিকে ভারতের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ বলেই মনে হচ্ছিল। সেই একই আকার: একটি মাথা ও পাশাপাশি বেরিয়ে যাওয়া দুটি প্রসারিত অংশ। আর পায়ে জড়িয়ে আছে সমুদ্র। এরপর যখন আমি প্রথম হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পা রাখি, দেখলাম দুটি দেশের মধ্যে মানচিত্রের মতো বাস্তব জীবনেও মিল আছে।
আমি দেশটির অসাধারণ প্রাণশক্তি অনুভব করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও কম নয়। ফলে যে অস্থিরতা তৈরি হয় তা প্রাণশক্তি নষ্টও করে। নব্বই দশকে ভারতেও এর ব্যতিক্রম ছিল না, যখন প্রবৃদ্ধি বাড়তে শুরু করেছিল। সে সময় মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছিল। মধ্যবিত্তের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছিল। দেশের ভেতর এমন একটা বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল যে শক্তির কেন্দ্রে তার নিজের আসনটি খুঁজে নিতে হবে। কিন্তু ভারতের স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসে ২০১৬ সালের পর থেকে। সেই সময় একসঙ্গে অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেটা অবশ্য অন্য বিষয়। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি নির্দেশক বলছে, বাংলাদেশ এখনো সম্ভাবনাময়।
আপনি হয়তো ক্রিকেট কলামে অর্থনীতি নিয়ে কেন কথা বলছি সেটা ভেবে অবাক হচ্ছেন! এগুলো পরিপূরক বিষয়। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেশটির ক্রিকেটকে প্রভাবিত করেছে। উত্তর–উদারনৈতিক সময়ে করপোরেট ভারতের লাভের পরিমাণও বেড়েছে। সেই উদ্বৃত্তের একটা অংশ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসেছে ক্রিকেটে। যা বিসিসিআইকে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ করে দিয়েছে। যার ভেতর দিয়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক ক্রিকেটার। এখনকার শক্তিশালী ভারত যে সবাইকে হারাতে পারে, তাঁর কারণ মূলত এটাই।
দুটি উপায়ে ক্রিকেটে দাপট দেখানো যেতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ–পাকিস্তানি উপায় এবং অস্ট্রেলিয়া–ভারত উপায়। প্রথমটিতে দল নির্ভর করে প্রতিভা ও আবেগের ওপর। এখানে কোনো ধরনের সিস্টেম ছাড়াই দল সফল হতে পারে। এই ক্রিকেট অনেকটা রোমান্টিক ক্রিকেট। তবে সমসাময়িক ক্রিকেটে এই দাপট মোটেই স্থায়ী না। দ্বিতীয় পদ্ধতিতেও প্রতিভা প্রয়োজন। পাশাপাশি সঠিক পদ্ধতি ও দেখভাল একে ভালোভাবে রক্ষা করতে পারে। এটা দীর্ঘমেয়াদি দাপটের নিশ্চয়তাও দেয়। এভাবেই আসলে রাজত্ব নিশ্চিত করতে হয়।
বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় আমার মনে হয়েছে এই দেশের ক্রিকেটও ভারতের পদচিহ্ন অনুসরণ করছে। সেখানকারই ক্রিকেটেও অর্থের প্রবাহ অব্যাহত আছে এবং বাংলাদেশ নিজেদের উন্নতির একটা পথ তৈরি করেছে। পাশাপাশি দীর্ঘ অপেক্ষার পর দারুণ কিছু ফলও পেতে শুরু করেছে দলটি। এর মাঝে তারা ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, সেদিন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাদের বঞ্চিত করেছে। এরপর চার মাসের মধ্যে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছ, ভারতকে মাটিতে নামিয়েছে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছে। এই ফলগুলো দুর্দান্ত। তবে আসল কাজটা হচ্ছিল মূলত এক স্তর নিচে, জুনিয়র ক্রিকেটে। ছয় মাস পর দ্বিতীয়বার ভ্রমণে আমি সেটার সাক্ষীও হয়েছি।
জানুয়ারি ২০১৬ সালে আমি বাংলাদেশ গিয়েছিলাম আইসিসি অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ কাভার করতে। আগের দুই বছর ধরে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টটির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। একদল প্রতিভাবান তরুণ বৈশ্বিক শিরোপা জেতার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত হচ্ছিল। উজ্জীবিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি জিততে না পারত তবে বাংলাদেশই শেষ পর্যন্ত জয়ের আনন্দে মাততে পারত। কিন্তু ২০১৬ সালে অল্পের জন্য না পারলেও এটা বোঝা যাচ্ছিল যে সাফল্য খুব কাছে অপেক্ষা করছিল। এরপর ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ঠিকই শিরোপা জিতে নিয়েছে। যেখানে ফাইনালে তারা ভারতকে হারিয়েছে। তাদের উদ্যাপনও ছিল আবেগময় ও বাঁধভাঙা। সেদিন পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশি তরুণ খেলোয়াড়দের বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস ভারতসহ গোটা বিশ্বকে বলে দিচ্ছিল, তোমরা এবার আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে নাও।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভারতের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এবং সমর্থকেরা কীভাবে দেখছেন? আরও বৃহৎ অর্থে বললে, গড়পড়তা ভারতীয়রা বাংলাদেশকে কীভাবে দেখে? ইতিবাচক উত্তরটি হচ্ছে, উৎসাহীভাবে এবং নেতিবাচক উত্তরটি হচ্ছে, অশ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা হয়। তবে বেশির ভাগেরই বাংলাদেশ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। এটা এমন যে তারা বাংলাদেশকে যেন চেনেই না! হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ভারতে বাংলাদেশ–বিরোধী প্রচারণা রয়েছে। কিন্তু সময়টাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের নির্বাচনের সময় এ বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
এটা ধ্রুব সত্য, ভারত যখন বাংলাদেশকে তাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করে, তখন এটা পাকিস্তানের (কখনো চীন) মতো আমাদের অবদমনের বিষয় ছিল না। এর কারণ পাকিস্তানকে দেখা হয় অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে যখন উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কও অব্যাহত থাকে তখন একধরনের সৌহার্দ্য দেখা যায়।
এটা ক্রিকেটের দিক থেকেও একইভাবে সত্য। যেটির উদাহরণ হিসেবে বীরেন্দর শেবাগের বাংলাদেশ খারিজ করে দেয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের কম ম্যাচ খেলা এবং স্টার স্পোর্টসের ২০১৫ সালের সফরের আগে ‘বাচ্চা বাড়া হো গায়া (বাচ্চা বড় হয়ে গেছে) ’ বিজ্ঞাপনের কথা বলা যায়।
কিন্তু ভূ–রাজনৈতিক পরিস্থিতির মতো ক্রিকেট মাঠেও ভারতের উচিত বাংলাদেশকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া ও সমতামূলক আচরণ করা। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে চার হাজার কিলোমিটারের সীমানা ভাগাভাগি করে। যা বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম ভূ–সীমানা। এমনকি ভারত–পাকিস্তান ও ভারত–চীনের চেয়েও অনেক বড়। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে লড়াইটাও বাড়ে। বাংলাদেশ যতই উন্নতি করেছে ও মধ্য শক্তির দেশে পরিণত হয়েছে, কিন্তু এর মাঝে দুই দেশেই মৌলবাদ বেড়েছে। যা দুই দেশের ১৯৭১ সালের বন্ধুত্বকেও ম্লান করেছে। দুই দেশের উচিত বিষয়গুলো আরও পরিপক্বতার সঙ্গে বিবেচনা করা। পাশাপাশি যেকোনো সমস্যা সম্মান ও পারস্পরিক সমঝোতার সঙ্গে সমাধান করা।
ক্রিকেটে ভারত বাংলাদেশের উন্নতিকে মূল্যায়ন করতে পারে দেশে ও দেশের বাইরে আরও বেশি দ্বিপক্ষীয় ম্যাচ খেলার মাধ্যমে। আমার দেখছি, সামনের দিনগুলোতে ভারত–পাকিস্তান দ্বৈরথকে এটি প্রতিস্থাপন করতে না পারলেও, সমমানের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। ভারত তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে খেলতে পারছে না। শ্রীলঙ্কা তাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত হারিয়ে ফেলেছে। একটি নতুন ও স্বাস্থ্যকর উপমহাদেশীয় দ্বৈরথ দুই পক্ষকেই সহায়তা করবে। এটা সময়ের দাবিও বটে।
লেখক: কানাডাপ্রবাসী ভারতীয় সাংবাদিক

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসরে প্রথম জয়ের সাক্ষী হলো খুলনা। খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে জিয়াউর রহমানের দল। তৃতীয় দিন শেষে রাজশাহীতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে শাহাদাত হোসেন দিপুর চট্টগ্রাম।
২৮ মিনিট আগে
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ মাসের শুরুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাকের আলী অনিক। কিন্তু ঠিক তার পরের টি-টোয়েন্টিতেই একাদশে জায়গা পাননি জাকের। তাঁকে ছাড়া আজ চট্টগ্রামের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি
১ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন টেম্বা বাভুমা। সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তিনি খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবেই। কিন্তু টেস্ট সবশেষ খেলেছেন লর্ডসে এ বছরের জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। অবশেষে ভারত সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ফিরছেন এই তারকা...
১ ঘণ্টা আগে
টানা চারটি এল ক্লাসিকো হারার পর অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। লা লিগার সবচেয়ে জমজমাট দ্বৈরথে বার্সেলোনাকে ২–১ গোলে হারিয়েছে তারা। মাঠের খেলায় স্বস্তি ফিরলেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তা ভর করেছে লস ব্লাঙ্কোসদের। একটি ঘটনায় রীতিমতো রিয়াল ছাড়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসরে প্রথম জয়ের সাক্ষী হলো খুলনা। খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে জিয়াউর রহমানের দল। তৃতীয় দিন শেষে রাজশাহীতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে শাহাদাত হোসেন দিপুর চট্টগ্রাম।
খুলনার জয়ের নায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব। পার্টটাইম বোলিংয়ে বরিশালের ব্যাটিং লাইনে ধস নামান তিনি। আগে ব্যাট করে ৩১৩ রান তোলে খুলনা। জবাব ১২৬ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। তাদের গুটিয়ে দেওয়ার পথে ৩১ রানে ৬ উইকেট নেন আফিফ। ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাট করতে নেমে ২২৪ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। এ যাত্রায় ২ উইকেট নেন আফিফ। ৩৮ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় খুলনার সামনে। ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। দুই ইনিংস মিলে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন আফিফ।
চট্টগ্রামের দেওয়া ৪৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষ রাজশাহীর সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১৯ রান। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষদিনে আরও ২৬৪ রান করতে হবে পদ্মাপাড়ের দলটিকে। এই অবস্থা থেকে তাদের ম্যাচ হারের সম্ভাবনা বেশি। কিছুটা আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন প্রিতম কুমার ও মেহরব হাসান। দুজনই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। প্রিতম ৫৬ ও মেহরব ৫৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামবেন।
ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে সিলেট–ময়মনসিংহ ও ঢাকা–রংপুরের ম্যাচ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ৪০১ রান করে নাবগত ময়মনসিংহ। জবাবে ৪৮৯ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৮ রান করেছে ময়মনসিংহ। ৩০ রানে পিছিয়ে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে দুই দলের ২০ উইকেট হাতে থাকায় ম্যাচটিতে ফল না হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। রংপুরের বিপক্ষে ৭৫ রানের লিড নিয়েছে ঢাকা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করেছে তারা। অতি নাটকীয় কিছু না হলে এই ম্যাচেও ফল আসবে না।

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসরে প্রথম জয়ের সাক্ষী হলো খুলনা। খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে জিয়াউর রহমানের দল। তৃতীয় দিন শেষে রাজশাহীতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে শাহাদাত হোসেন দিপুর চট্টগ্রাম।
খুলনার জয়ের নায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব। পার্টটাইম বোলিংয়ে বরিশালের ব্যাটিং লাইনে ধস নামান তিনি। আগে ব্যাট করে ৩১৩ রান তোলে খুলনা। জবাব ১২৬ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। তাদের গুটিয়ে দেওয়ার পথে ৩১ রানে ৬ উইকেট নেন আফিফ। ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাট করতে নেমে ২২৪ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। এ যাত্রায় ২ উইকেট নেন আফিফ। ৩৮ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় খুলনার সামনে। ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। দুই ইনিংস মিলে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন আফিফ।
চট্টগ্রামের দেওয়া ৪৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষ রাজশাহীর সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১৯ রান। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষদিনে আরও ২৬৪ রান করতে হবে পদ্মাপাড়ের দলটিকে। এই অবস্থা থেকে তাদের ম্যাচ হারের সম্ভাবনা বেশি। কিছুটা আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন প্রিতম কুমার ও মেহরব হাসান। দুজনই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। প্রিতম ৫৬ ও মেহরব ৫৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামবেন।
ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে সিলেট–ময়মনসিংহ ও ঢাকা–রংপুরের ম্যাচ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ৪০১ রান করে নাবগত ময়মনসিংহ। জবাবে ৪৮৯ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৮ রান করেছে ময়মনসিংহ। ৩০ রানে পিছিয়ে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে দুই দলের ২০ উইকেট হাতে থাকায় ম্যাচটিতে ফল না হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। রংপুরের বিপক্ষে ৭৫ রানের লিড নিয়েছে ঢাকা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করেছে তারা। অতি নাটকীয় কিছু না হলে এই ম্যাচেও ফল আসবে না।

অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে পাঁচটা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম
২৭ জুন ২০২১
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ মাসের শুরুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাকের আলী অনিক। কিন্তু ঠিক তার পরের টি-টোয়েন্টিতেই একাদশে জায়গা পাননি জাকের। তাঁকে ছাড়া আজ চট্টগ্রামের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি
১ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন টেম্বা বাভুমা। সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তিনি খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবেই। কিন্তু টেস্ট সবশেষ খেলেছেন লর্ডসে এ বছরের জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। অবশেষে ভারত সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ফিরছেন এই তারকা...
১ ঘণ্টা আগে
টানা চারটি এল ক্লাসিকো হারার পর অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। লা লিগার সবচেয়ে জমজমাট দ্বৈরথে বার্সেলোনাকে ২–১ গোলে হারিয়েছে তারা। মাঠের খেলায় স্বস্তি ফিরলেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তা ভর করেছে লস ব্লাঙ্কোসদের। একটি ঘটনায় রীতিমতো রিয়াল ছাড়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ মাসের শুরুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাকের আলী অনিক। কিন্তু ঠিক তার পরের টি-টোয়েন্টিতেই একাদশে জায়গা পাননি জাকের। তাঁকে ছাড়া আজ চট্টগ্রামের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে বাংলাদেশ।
মিরপুরে ওয়ানডে সিরিজ শেষে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন চট্টগ্রামে খেলবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। একাদশে আছেন তিন স্পিনার খারি পিয়ের, আকিল হোসেন ও রস্টন চেজ। যাঁদের মধ্যে চেজ স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। পেস বোলিং আক্রমণে দুই অলরাউন্ডার শারফেন রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ডের সঙ্গে আছেন জেইডেন সিলস। হোপ একই সঙ্গে অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন।
হোপের মতো লিটনও একই সঙ্গে অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন। দুই স্পিনার ও তিন পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। পেস আক্রমণে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদ। লেগস্পিনার রিশাদের সঙ্গে স্পিন বোলিং লাইনআপে আছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও সাইফ হাসানও খন্ডকালীন স্পিনার হিসেবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
এবারের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রতিশোধের সিরিজ। গতবার উইন্ডিজ নিজেদের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছিল বাংলাদেশের কাছে। সেবার বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন। এবার তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন অধিনায়ক হয়েই। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ২৯ ও ৩১ অক্টোবর হবে চট্টগ্রামে।
বাংলাদেশ দল
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল
শাই হোপ (অধিনায়ক), অ্যালিক অ্যাথানেজ, রস্টন চেজ, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেন, ব্র্যান্ডন কিং, রভম্যান পাওয়েল, শারফেন রাদারফোর্ড, রোমারিও শেফার্ড, খ্যারি পিয়ের, জেইডেন সিলস

আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ মাসের শুরুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাকের আলী অনিক। কিন্তু ঠিক তার পরের টি-টোয়েন্টিতেই একাদশে জায়গা পাননি জাকের। তাঁকে ছাড়া আজ চট্টগ্রামের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে বাংলাদেশ।
মিরপুরে ওয়ানডে সিরিজ শেষে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন চট্টগ্রামে খেলবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। একাদশে আছেন তিন স্পিনার খারি পিয়ের, আকিল হোসেন ও রস্টন চেজ। যাঁদের মধ্যে চেজ স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। পেস বোলিং আক্রমণে দুই অলরাউন্ডার শারফেন রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ডের সঙ্গে আছেন জেইডেন সিলস। হোপ একই সঙ্গে অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন।
হোপের মতো লিটনও একই সঙ্গে অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন। দুই স্পিনার ও তিন পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। পেস আক্রমণে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদ। লেগস্পিনার রিশাদের সঙ্গে স্পিন বোলিং লাইনআপে আছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও সাইফ হাসানও খন্ডকালীন স্পিনার হিসেবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
এবারের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রতিশোধের সিরিজ। গতবার উইন্ডিজ নিজেদের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছিল বাংলাদেশের কাছে। সেবার বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন। এবার তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন অধিনায়ক হয়েই। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ২৯ ও ৩১ অক্টোবর হবে চট্টগ্রামে।
বাংলাদেশ দল
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল
শাই হোপ (অধিনায়ক), অ্যালিক অ্যাথানেজ, রস্টন চেজ, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেন, ব্র্যান্ডন কিং, রভম্যান পাওয়েল, শারফেন রাদারফোর্ড, রোমারিও শেফার্ড, খ্যারি পিয়ের, জেইডেন সিলস

অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে পাঁচটা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম
২৭ জুন ২০২১
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসরে প্রথম জয়ের সাক্ষী হলো খুলনা। খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে জিয়াউর রহমানের দল। তৃতীয় দিন শেষে রাজশাহীতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে শাহাদাত হোসেন দিপুর চট্টগ্রাম।
২৮ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন টেম্বা বাভুমা। সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তিনি খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবেই। কিন্তু টেস্ট সবশেষ খেলেছেন লর্ডসে এ বছরের জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। অবশেষে ভারত সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ফিরছেন এই তারকা...
১ ঘণ্টা আগে
টানা চারটি এল ক্লাসিকো হারার পর অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। লা লিগার সবচেয়ে জমজমাট দ্বৈরথে বার্সেলোনাকে ২–১ গোলে হারিয়েছে তারা। মাঠের খেলায় স্বস্তি ফিরলেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তা ভর করেছে লস ব্লাঙ্কোসদের। একটি ঘটনায় রীতিমতো রিয়াল ছাড়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন টেম্বা বাভুমা। সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তিনি খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবেই। কিন্তু টেস্ট সবশেষ খেলেছেন লর্ডসে এ বছরের জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। অবশেষে ভারত সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ফিরছেন এই তারকা ক্রিকেটার।
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য আজ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএ)। এই সিরিজ দিয়ে বাভুমা টেস্টে ফিরছেন অধিনায়ক হয়েই। বাভুমার নেতৃত্বাধীন দলে ব্যাটিং লাইনআপে থাকছেন এইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেলটন, ত্রিস্তান স্টাবস, কাইল ভেরেইন, ডেওয়াল্ড ব্রেভিসরা। যাঁদের মধ্যে রিকেলটন ও ভেরেইন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। স্পিন আক্রমণে আছেন কেশব মহারাজ, সাইমন হারমার, সেনুরান মুথুসামিদের সঙ্গে থাকছেন জু্বাইর হামজা। সবশেষ হামজা টেস্ট খেলেছেন ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিলটনে।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পেস আক্রমণে আছেন কাগিসো রাবাদা, করবিন বশ ও মার্কো ইয়ানসেন। যাঁদের মধ্যে বশ ও ইয়ানসেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হারমার প্রোটিয়াদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট পেয়েছিলেন। এই সিরিজে মুথুসামি, মহারাজ ও রাবাদা পেয়েছিলেন ১১, ৯ ও ৪ উইকেট। এই চার তারকা ক্রিকেটার যখন ভারত সিরিজের দলে আছেন, বোঝাই যাচ্ছে প্রোটিয়াদের দল কতটা শক্তিশালী।
বাভুমার নেতৃত্বেই এ বছরের জুনে ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শিরোপা জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা সেবার অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল ৫ উইকেটে। চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা এরপর চারটি টেস্ট খেলেছে তিন ভিন্ন অধিনায়কের অধীনে। জিম্বাবুয়ে সিরিজে প্রোটিয়াদের অধিনায়ক ছিলেন মহারাজ ও উইয়ান মুল্ডার। সবশেষ পাকিস্তান সিরিজে প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব দিয়েছেন মার্করাম। পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ১৪ নভেম্বর। কলকাতায় হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ২২ নভেম্বর শুরু হবে গুয়াহাটিতে। টেস্ট সিরিজ শেষে সাদা বলের সিরিজ খেলবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দল
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেলটন, ট্রিস্টান স্টাবস, কাইল ভেরেইন, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, জুবায়ের হামজা, টনি ডি জর্জি, করবিন বশ, উইয়ান মুল্ডার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, সেনুরান মুথুসামি, কাগিসো রাবাদা, সায়মন হারমার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন টেম্বা বাভুমা। সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তিনি খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবেই। কিন্তু টেস্ট সবশেষ খেলেছেন লর্ডসে এ বছরের জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। অবশেষে ভারত সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ফিরছেন এই তারকা ক্রিকেটার।
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য আজ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএ)। এই সিরিজ দিয়ে বাভুমা টেস্টে ফিরছেন অধিনায়ক হয়েই। বাভুমার নেতৃত্বাধীন দলে ব্যাটিং লাইনআপে থাকছেন এইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেলটন, ত্রিস্তান স্টাবস, কাইল ভেরেইন, ডেওয়াল্ড ব্রেভিসরা। যাঁদের মধ্যে রিকেলটন ও ভেরেইন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। স্পিন আক্রমণে আছেন কেশব মহারাজ, সাইমন হারমার, সেনুরান মুথুসামিদের সঙ্গে থাকছেন জু্বাইর হামজা। সবশেষ হামজা টেস্ট খেলেছেন ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিলটনে।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পেস আক্রমণে আছেন কাগিসো রাবাদা, করবিন বশ ও মার্কো ইয়ানসেন। যাঁদের মধ্যে বশ ও ইয়ানসেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হারমার প্রোটিয়াদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট পেয়েছিলেন। এই সিরিজে মুথুসামি, মহারাজ ও রাবাদা পেয়েছিলেন ১১, ৯ ও ৪ উইকেট। এই চার তারকা ক্রিকেটার যখন ভারত সিরিজের দলে আছেন, বোঝাই যাচ্ছে প্রোটিয়াদের দল কতটা শক্তিশালী।
বাভুমার নেতৃত্বেই এ বছরের জুনে ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শিরোপা জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা সেবার অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল ৫ উইকেটে। চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা এরপর চারটি টেস্ট খেলেছে তিন ভিন্ন অধিনায়কের অধীনে। জিম্বাবুয়ে সিরিজে প্রোটিয়াদের অধিনায়ক ছিলেন মহারাজ ও উইয়ান মুল্ডার। সবশেষ পাকিস্তান সিরিজে প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব দিয়েছেন মার্করাম। পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ১৪ নভেম্বর। কলকাতায় হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ২২ নভেম্বর শুরু হবে গুয়াহাটিতে। টেস্ট সিরিজ শেষে সাদা বলের সিরিজ খেলবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দল
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেলটন, ট্রিস্টান স্টাবস, কাইল ভেরেইন, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, জুবায়ের হামজা, টনি ডি জর্জি, করবিন বশ, উইয়ান মুল্ডার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, সেনুরান মুথুসামি, কাগিসো রাবাদা, সায়মন হারমার

অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে পাঁচটা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম
২৭ জুন ২০২১
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসরে প্রথম জয়ের সাক্ষী হলো খুলনা। খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে জিয়াউর রহমানের দল। তৃতীয় দিন শেষে রাজশাহীতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে শাহাদাত হোসেন দিপুর চট্টগ্রাম।
২৮ মিনিট আগে
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ মাসের শুরুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাকের আলী অনিক। কিন্তু ঠিক তার পরের টি-টোয়েন্টিতেই একাদশে জায়গা পাননি জাকের। তাঁকে ছাড়া আজ চট্টগ্রামের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি
১ ঘণ্টা আগে
টানা চারটি এল ক্লাসিকো হারার পর অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। লা লিগার সবচেয়ে জমজমাট দ্বৈরথে বার্সেলোনাকে ২–১ গোলে হারিয়েছে তারা। মাঠের খেলায় স্বস্তি ফিরলেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তা ভর করেছে লস ব্লাঙ্কোসদের। একটি ঘটনায় রীতিমতো রিয়াল ছাড়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

টানা চারটি এল ক্লাসিকো হারার পর অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। লা লিগার সবচেয়ে জমজমাট দ্বৈরথে বার্সেলোনাকে ২–১ গোলে হারিয়েছে তারা। মাঠের খেলায় স্বস্তি ফিরলেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তা ভর করেছে লস ব্লাঙ্কোসদের। একটি ঘটনায় রীতিমতো রিয়াল ছাড়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে রিয়াল ও বার্সা। স্বাগতিকদের জয়ের পথে কোনো গোল করতে না পারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ঝলক দেখান ভিনিসিয়ুস। সুযোগ পেলেই বল নিয়ে হানা দিয়েছেন সফরকারী রক্ষণে। জুড বেলিংহামের গোলে অবদানও আছে তাঁর। এরপরও পুরো ৯০ মিনিটে তাঁকে খেলাননি জাবি আলোনসো। ম্যাচের ৭২ মিনিটে ভিনিসিয়ুসকে তুলে রদ্রিগো গোজকে মাঠে নামান রিয়াল মাদ্রিদ। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননিন আক্রমণভাগের এই ফুটবলার।
মাঠেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন ভিনিসিয়ুস। এমনকি মাঠে ছেড়ে টানেলে হাঁটার পথে রিয়াল ছাড়ার কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। ভিনিসিয়ুস বলেন, ‘ আমি দল ছেড়ে যাচ্ছি, আমি চলে যাচ্ছি, আমি চলে যাব।’ দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার পরও মুখে হাসি দেখা যায়নি ভিনিসিয়ুসের। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ভাবিয়ে তুলেছিল রিয়ালের অন্যান্য ফুটবলার এবং ম্যানেজমেন্টকে। যদিও ম্যাচ শেষে ভিনিসিয়ুসের রিয়াল ছাড়ার হুমকি গুরুত্বের সঙ্গে নেননি আলোনসো।
তিনি বলেন, ‘ভিনিসিয়ুসের সাথে আমার অনেক ভালো স্মৃতি আছে। আমি কী গুরুত্বপূর্ণ তা ভুলে যেতে চাই না। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করব। ভিনিসিয়ুস দারুণ পারফর্ম করেছে। বাকিরাও ভালো করেছে। তাই জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। এটা ঠিক যে আমরা যেভাবে সুযোগ তৈরি করেছি তার তুলনায় জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো। আমরা আপাতত এই জয়টা উপভোগ করব এবং পরে ভিনিসিয়ুসের সাথে কথা বলব।’
আলোনসো ভিনিসিয়ুসের হুমকি হালকাভাবে নিলেও এটা শঙ্কার কারণ হতে পারে রিয়ালের জন্য। গত মৌসুম থেকেই সৌদি প্রো লিগের একাধিক ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়ে আসছেন ভিনিসিয়ুস। গত কয়েক মাস ধরে স্প্যানিশ জায়ান্টদের সঙ্গে সম্পর্ক ফাটল ধরেছে ব্রাজিলিয়ান তারকার। শোনা যাচ্ছিল স্পেন ছেড়ে সৌদি আরব পাড়ি জমাবেন ভিনিসিয়ুস। মাঝে কিছুদিন থমকে থাকলেও হুমকি দিয়ে এবার রিয়াল ছাড়ার সম্ভাবনাকে নতুন করে উসকে দিলেন এই ফুটবলার।

টানা চারটি এল ক্লাসিকো হারার পর অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। লা লিগার সবচেয়ে জমজমাট দ্বৈরথে বার্সেলোনাকে ২–১ গোলে হারিয়েছে তারা। মাঠের খেলায় স্বস্তি ফিরলেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তা ভর করেছে লস ব্লাঙ্কোসদের। একটি ঘটনায় রীতিমতো রিয়াল ছাড়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে রিয়াল ও বার্সা। স্বাগতিকদের জয়ের পথে কোনো গোল করতে না পারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ঝলক দেখান ভিনিসিয়ুস। সুযোগ পেলেই বল নিয়ে হানা দিয়েছেন সফরকারী রক্ষণে। জুড বেলিংহামের গোলে অবদানও আছে তাঁর। এরপরও পুরো ৯০ মিনিটে তাঁকে খেলাননি জাবি আলোনসো। ম্যাচের ৭২ মিনিটে ভিনিসিয়ুসকে তুলে রদ্রিগো গোজকে মাঠে নামান রিয়াল মাদ্রিদ। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননিন আক্রমণভাগের এই ফুটবলার।
মাঠেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন ভিনিসিয়ুস। এমনকি মাঠে ছেড়ে টানেলে হাঁটার পথে রিয়াল ছাড়ার কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। ভিনিসিয়ুস বলেন, ‘ আমি দল ছেড়ে যাচ্ছি, আমি চলে যাচ্ছি, আমি চলে যাব।’ দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার পরও মুখে হাসি দেখা যায়নি ভিনিসিয়ুসের। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ভাবিয়ে তুলেছিল রিয়ালের অন্যান্য ফুটবলার এবং ম্যানেজমেন্টকে। যদিও ম্যাচ শেষে ভিনিসিয়ুসের রিয়াল ছাড়ার হুমকি গুরুত্বের সঙ্গে নেননি আলোনসো।
তিনি বলেন, ‘ভিনিসিয়ুসের সাথে আমার অনেক ভালো স্মৃতি আছে। আমি কী গুরুত্বপূর্ণ তা ভুলে যেতে চাই না। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করব। ভিনিসিয়ুস দারুণ পারফর্ম করেছে। বাকিরাও ভালো করেছে। তাই জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। এটা ঠিক যে আমরা যেভাবে সুযোগ তৈরি করেছি তার তুলনায় জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো। আমরা আপাতত এই জয়টা উপভোগ করব এবং পরে ভিনিসিয়ুসের সাথে কথা বলব।’
আলোনসো ভিনিসিয়ুসের হুমকি হালকাভাবে নিলেও এটা শঙ্কার কারণ হতে পারে রিয়ালের জন্য। গত মৌসুম থেকেই সৌদি প্রো লিগের একাধিক ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়ে আসছেন ভিনিসিয়ুস। গত কয়েক মাস ধরে স্প্যানিশ জায়ান্টদের সঙ্গে সম্পর্ক ফাটল ধরেছে ব্রাজিলিয়ান তারকার। শোনা যাচ্ছিল স্পেন ছেড়ে সৌদি আরব পাড়ি জমাবেন ভিনিসিয়ুস। মাঝে কিছুদিন থমকে থাকলেও হুমকি দিয়ে এবার রিয়াল ছাড়ার সম্ভাবনাকে নতুন করে উসকে দিলেন এই ফুটবলার।

অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে পাঁচটা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম
২৭ জুন ২০২১
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসরে প্রথম জয়ের সাক্ষী হলো খুলনা। খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে জিয়াউর রহমানের দল। তৃতীয় দিন শেষে রাজশাহীতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে শাহাদাত হোসেন দিপুর চট্টগ্রাম।
২৮ মিনিট আগে
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ মাসের শুরুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাকের আলী অনিক। কিন্তু ঠিক তার পরের টি-টোয়েন্টিতেই একাদশে জায়গা পাননি জাকের। তাঁকে ছাড়া আজ চট্টগ্রামের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি
১ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন টেম্বা বাভুমা। সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তিনি খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবেই। কিন্তু টেস্ট সবশেষ খেলেছেন লর্ডসে এ বছরের জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। অবশেষে ভারত সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ফিরছেন এই তারকা...
১ ঘণ্টা আগে