ক্রীড়া ডেস্ক

০, ১, ২ ও ৩—এই ছিল আগের চার ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান। শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে তাঁর মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের এমন ব্যর্থতায় উঠেছিল প্রশ্নও। এমনকি দল থেকে বাদ দেওয়ারও কথা উঠেছে। তবে মাহমুদউল্লাহ যেন ‘ফিনিক্স পাখি’! ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দুঃসময় কাটিয়ে বারবার ফিরে এসে সেটির প্রমাণ দিয়েছেন।
প্রমাণ দিলেন আজও। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে খেললেন ৯৮ বলে ৯৮ রানের ইনিংস। তবে ৭ চার ও ৩ ছয়ে সাজানো ঝকঝকে ইনিংসের পরেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। পায়ে ক্র্যাম্প করায় রানের জন্য দৌড়াতেই কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু দলের প্রয়োজন যে বড় কথা! সতীর্থরা তাঁকে শেষ দিকে সঙ্গ দিতে না পারলেও স্কোরবোর্ডের রানটা বাড়াতে চেষ্টার কমতি রাখেননি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পেতে শেষ ওভারে মাহমুদউল্লার দরকার ছিল ৪ রান। কিন্তু তিন বল স্ট্রাইক পেয়েও ব্যাট উঁচিয়ে ধরতে পারেননি। উল্টো পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বল ডিপ স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে ২ রান নিতে গিয়ে হয়েছেন রানআউট। শেষ বলে ৩ রান নিলেই সেঞ্চুরি পেয়ে যেতেন মাহমুদউল্লাহ।
শারজার দুপুরের গরম আর বয়সটাও যেন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের পথে। অবশ্য ৩৮ বছর বয়সেও চার-ছয়ে ‘বুড়ো হাড়ের ভেলকি’ তিনি ঠিকই দেখিয়েছেন। তবে শক্তি ক্ষয় করেছেন ডাবল ও সিঙ্গেল নিতে গিয়ে। সিঙ্গেল থেকে নিয়েছেন ৩৭ রান, আর ডাবল থেকে ১৪। অর্থাৎ, তাঁর ৫১ রান এসেছে ‘রানিং বিটুইন দ্য উইকেট’ থেকে। আর দৌড়ের ক্লান্তির কারণেই হয়তো খুব কাছে গিয়েও হাতছাড়া হলো সেঞ্চুরি। শেষ দিকে যে দৌড়াতেই কষ্ট হচ্ছিল মাহমুদউল্লাহর!
মাহমুদউল্লাহ আজ এমন সময়ে উইকেটে আসেন, দল যখন ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। এরপর নেতৃত্বে অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজের (৬৬) সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৮৮ বলে ১৪৫ রানে জুটি গড়েন। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশও করেছে ৮ উইকেটে ২৪৪ রান। চোটের কারণে এই ম্যাচে নেই নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে মাঠে ছিলেন বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক। মাহমুদউল্লার সেঞ্চুরি হাতছাড়া হতে দেখে কিছুটা হতাশ তিনিও। বাংলাদেশের ইনিংস শেষে বলেন, ‘রিয়াদ ভাই তাঁর অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। অল্প হতাশ, তাঁর সেঞ্চুরি করা উচিৎ ছিল তবে দল ভালো অবস্থানে।’ মাহমুদউল্লাহ যে হতাশ সেটি দেখা গেছে আউটের পর ফেরার সময়। ব্যথায় ও হতাশায় চোখ বুজে আসছিল তাঁর। তবে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে পিঠ চাপড়ে দেন আফগানরাও।
গরমের কারণে পায়ে ক্র্যাম্প করেছে। তারপরও থামেননি মাহমুদউল্লাহ। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাট করে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট করে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মনে করিয়ে দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়েতে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারের সেই অবিশ্বাস্য ইনিংসটির কথা মনে আছে?
এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই ২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল অজিরা। হার যখন প্রায় সুনিশ্চিত, ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ম্যাক্সওয়েল ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রানের দানবীয় ইনিংস খেলে এনে দেন জয়। ম্যাক্সিরও ক্র্যাম্প করেছিল। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল, মাটিতেই শুয়ে পড়েছিলেন তিনি। পারছিলেন না দৌড়াতে। কিন্তু হার মানেননি। পা না তোলেই ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেন জয়। পরে সেই অজিরা জিতেছিল বিশ্বকাপও।
ম্যাচটি হয়েছিল নভেম্বর মাসে। আর কী কাকতালীয়! বাংলাদেশের ম্যাচটিও একই মাসে, প্রতিপক্ষও সেই আফগানিস্তান। আর মাহমুদউল্লাহও ব্যাটিংয়ে নামেন ৬ নম্বরে, দলের যখন দুঃসময়। ম্যাক্সির সেই দ্বিশতক বৃথা যায়নি। এক বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডেতে পাওয়া মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিও কি বৃথা যেতে দেবেন মিরাজরা? এই ম্যাচ জিতলে প্রথম ওয়ানডেতে হেরেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেবে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর আগের ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি ছিল গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই। ওয়াংখেড়েতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১১ বলে করেছিলেন ১১১ রান। অবশ্য সেই ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার মাহমুদউল্লাহ ৫০+ রান পেলেন ৭ ইনিংস পর। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পাওয়া ২৯ তম ওয়ানডে ফিফটিটি ২ রানের জন্য জন্য সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি।

০, ১, ২ ও ৩—এই ছিল আগের চার ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান। শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে তাঁর মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের এমন ব্যর্থতায় উঠেছিল প্রশ্নও। এমনকি দল থেকে বাদ দেওয়ারও কথা উঠেছে। তবে মাহমুদউল্লাহ যেন ‘ফিনিক্স পাখি’! ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দুঃসময় কাটিয়ে বারবার ফিরে এসে সেটির প্রমাণ দিয়েছেন।
প্রমাণ দিলেন আজও। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে খেললেন ৯৮ বলে ৯৮ রানের ইনিংস। তবে ৭ চার ও ৩ ছয়ে সাজানো ঝকঝকে ইনিংসের পরেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। পায়ে ক্র্যাম্প করায় রানের জন্য দৌড়াতেই কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু দলের প্রয়োজন যে বড় কথা! সতীর্থরা তাঁকে শেষ দিকে সঙ্গ দিতে না পারলেও স্কোরবোর্ডের রানটা বাড়াতে চেষ্টার কমতি রাখেননি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পেতে শেষ ওভারে মাহমুদউল্লার দরকার ছিল ৪ রান। কিন্তু তিন বল স্ট্রাইক পেয়েও ব্যাট উঁচিয়ে ধরতে পারেননি। উল্টো পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বল ডিপ স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে ২ রান নিতে গিয়ে হয়েছেন রানআউট। শেষ বলে ৩ রান নিলেই সেঞ্চুরি পেয়ে যেতেন মাহমুদউল্লাহ।
শারজার দুপুরের গরম আর বয়সটাও যেন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের পথে। অবশ্য ৩৮ বছর বয়সেও চার-ছয়ে ‘বুড়ো হাড়ের ভেলকি’ তিনি ঠিকই দেখিয়েছেন। তবে শক্তি ক্ষয় করেছেন ডাবল ও সিঙ্গেল নিতে গিয়ে। সিঙ্গেল থেকে নিয়েছেন ৩৭ রান, আর ডাবল থেকে ১৪। অর্থাৎ, তাঁর ৫১ রান এসেছে ‘রানিং বিটুইন দ্য উইকেট’ থেকে। আর দৌড়ের ক্লান্তির কারণেই হয়তো খুব কাছে গিয়েও হাতছাড়া হলো সেঞ্চুরি। শেষ দিকে যে দৌড়াতেই কষ্ট হচ্ছিল মাহমুদউল্লাহর!
মাহমুদউল্লাহ আজ এমন সময়ে উইকেটে আসেন, দল যখন ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। এরপর নেতৃত্বে অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজের (৬৬) সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৮৮ বলে ১৪৫ রানে জুটি গড়েন। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশও করেছে ৮ উইকেটে ২৪৪ রান। চোটের কারণে এই ম্যাচে নেই নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে মাঠে ছিলেন বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক। মাহমুদউল্লার সেঞ্চুরি হাতছাড়া হতে দেখে কিছুটা হতাশ তিনিও। বাংলাদেশের ইনিংস শেষে বলেন, ‘রিয়াদ ভাই তাঁর অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। অল্প হতাশ, তাঁর সেঞ্চুরি করা উচিৎ ছিল তবে দল ভালো অবস্থানে।’ মাহমুদউল্লাহ যে হতাশ সেটি দেখা গেছে আউটের পর ফেরার সময়। ব্যথায় ও হতাশায় চোখ বুজে আসছিল তাঁর। তবে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে পিঠ চাপড়ে দেন আফগানরাও।
গরমের কারণে পায়ে ক্র্যাম্প করেছে। তারপরও থামেননি মাহমুদউল্লাহ। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাট করে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট করে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মনে করিয়ে দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়েতে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারের সেই অবিশ্বাস্য ইনিংসটির কথা মনে আছে?
এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই ২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল অজিরা। হার যখন প্রায় সুনিশ্চিত, ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ম্যাক্সওয়েল ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রানের দানবীয় ইনিংস খেলে এনে দেন জয়। ম্যাক্সিরও ক্র্যাম্প করেছিল। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল, মাটিতেই শুয়ে পড়েছিলেন তিনি। পারছিলেন না দৌড়াতে। কিন্তু হার মানেননি। পা না তোলেই ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেন জয়। পরে সেই অজিরা জিতেছিল বিশ্বকাপও।
ম্যাচটি হয়েছিল নভেম্বর মাসে। আর কী কাকতালীয়! বাংলাদেশের ম্যাচটিও একই মাসে, প্রতিপক্ষও সেই আফগানিস্তান। আর মাহমুদউল্লাহও ব্যাটিংয়ে নামেন ৬ নম্বরে, দলের যখন দুঃসময়। ম্যাক্সির সেই দ্বিশতক বৃথা যায়নি। এক বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডেতে পাওয়া মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিও কি বৃথা যেতে দেবেন মিরাজরা? এই ম্যাচ জিতলে প্রথম ওয়ানডেতে হেরেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেবে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর আগের ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি ছিল গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই। ওয়াংখেড়েতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১১ বলে করেছিলেন ১১১ রান। অবশ্য সেই ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার মাহমুদউল্লাহ ৫০+ রান পেলেন ৭ ইনিংস পর। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পাওয়া ২৯ তম ওয়ানডে ফিফটিটি ২ রানের জন্য জন্য সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি।
ক্রীড়া ডেস্ক

০, ১, ২ ও ৩—এই ছিল আগের চার ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান। শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে তাঁর মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের এমন ব্যর্থতায় উঠেছিল প্রশ্নও। এমনকি দল থেকে বাদ দেওয়ারও কথা উঠেছে। তবে মাহমুদউল্লাহ যেন ‘ফিনিক্স পাখি’! ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দুঃসময় কাটিয়ে বারবার ফিরে এসে সেটির প্রমাণ দিয়েছেন।
প্রমাণ দিলেন আজও। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে খেললেন ৯৮ বলে ৯৮ রানের ইনিংস। তবে ৭ চার ও ৩ ছয়ে সাজানো ঝকঝকে ইনিংসের পরেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। পায়ে ক্র্যাম্প করায় রানের জন্য দৌড়াতেই কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু দলের প্রয়োজন যে বড় কথা! সতীর্থরা তাঁকে শেষ দিকে সঙ্গ দিতে না পারলেও স্কোরবোর্ডের রানটা বাড়াতে চেষ্টার কমতি রাখেননি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পেতে শেষ ওভারে মাহমুদউল্লার দরকার ছিল ৪ রান। কিন্তু তিন বল স্ট্রাইক পেয়েও ব্যাট উঁচিয়ে ধরতে পারেননি। উল্টো পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বল ডিপ স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে ২ রান নিতে গিয়ে হয়েছেন রানআউট। শেষ বলে ৩ রান নিলেই সেঞ্চুরি পেয়ে যেতেন মাহমুদউল্লাহ।
শারজার দুপুরের গরম আর বয়সটাও যেন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের পথে। অবশ্য ৩৮ বছর বয়সেও চার-ছয়ে ‘বুড়ো হাড়ের ভেলকি’ তিনি ঠিকই দেখিয়েছেন। তবে শক্তি ক্ষয় করেছেন ডাবল ও সিঙ্গেল নিতে গিয়ে। সিঙ্গেল থেকে নিয়েছেন ৩৭ রান, আর ডাবল থেকে ১৪। অর্থাৎ, তাঁর ৫১ রান এসেছে ‘রানিং বিটুইন দ্য উইকেট’ থেকে। আর দৌড়ের ক্লান্তির কারণেই হয়তো খুব কাছে গিয়েও হাতছাড়া হলো সেঞ্চুরি। শেষ দিকে যে দৌড়াতেই কষ্ট হচ্ছিল মাহমুদউল্লাহর!
মাহমুদউল্লাহ আজ এমন সময়ে উইকেটে আসেন, দল যখন ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। এরপর নেতৃত্বে অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজের (৬৬) সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৮৮ বলে ১৪৫ রানে জুটি গড়েন। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশও করেছে ৮ উইকেটে ২৪৪ রান। চোটের কারণে এই ম্যাচে নেই নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে মাঠে ছিলেন বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক। মাহমুদউল্লার সেঞ্চুরি হাতছাড়া হতে দেখে কিছুটা হতাশ তিনিও। বাংলাদেশের ইনিংস শেষে বলেন, ‘রিয়াদ ভাই তাঁর অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। অল্প হতাশ, তাঁর সেঞ্চুরি করা উচিৎ ছিল তবে দল ভালো অবস্থানে।’ মাহমুদউল্লাহ যে হতাশ সেটি দেখা গেছে আউটের পর ফেরার সময়। ব্যথায় ও হতাশায় চোখ বুজে আসছিল তাঁর। তবে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে পিঠ চাপড়ে দেন আফগানরাও।
গরমের কারণে পায়ে ক্র্যাম্প করেছে। তারপরও থামেননি মাহমুদউল্লাহ। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাট করে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট করে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মনে করিয়ে দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়েতে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারের সেই অবিশ্বাস্য ইনিংসটির কথা মনে আছে?
এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই ২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল অজিরা। হার যখন প্রায় সুনিশ্চিত, ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ম্যাক্সওয়েল ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রানের দানবীয় ইনিংস খেলে এনে দেন জয়। ম্যাক্সিরও ক্র্যাম্প করেছিল। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল, মাটিতেই শুয়ে পড়েছিলেন তিনি। পারছিলেন না দৌড়াতে। কিন্তু হার মানেননি। পা না তোলেই ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেন জয়। পরে সেই অজিরা জিতেছিল বিশ্বকাপও।
ম্যাচটি হয়েছিল নভেম্বর মাসে। আর কী কাকতালীয়! বাংলাদেশের ম্যাচটিও একই মাসে, প্রতিপক্ষও সেই আফগানিস্তান। আর মাহমুদউল্লাহও ব্যাটিংয়ে নামেন ৬ নম্বরে, দলের যখন দুঃসময়। ম্যাক্সির সেই দ্বিশতক বৃথা যায়নি। এক বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডেতে পাওয়া মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিও কি বৃথা যেতে দেবেন মিরাজরা? এই ম্যাচ জিতলে প্রথম ওয়ানডেতে হেরেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেবে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর আগের ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি ছিল গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই। ওয়াংখেড়েতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১১ বলে করেছিলেন ১১১ রান। অবশ্য সেই ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার মাহমুদউল্লাহ ৫০+ রান পেলেন ৭ ইনিংস পর। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পাওয়া ২৯ তম ওয়ানডে ফিফটিটি ২ রানের জন্য জন্য সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি।

০, ১, ২ ও ৩—এই ছিল আগের চার ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান। শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে তাঁর মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের এমন ব্যর্থতায় উঠেছিল প্রশ্নও। এমনকি দল থেকে বাদ দেওয়ারও কথা উঠেছে। তবে মাহমুদউল্লাহ যেন ‘ফিনিক্স পাখি’! ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দুঃসময় কাটিয়ে বারবার ফিরে এসে সেটির প্রমাণ দিয়েছেন।
প্রমাণ দিলেন আজও। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে খেললেন ৯৮ বলে ৯৮ রানের ইনিংস। তবে ৭ চার ও ৩ ছয়ে সাজানো ঝকঝকে ইনিংসের পরেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। পায়ে ক্র্যাম্প করায় রানের জন্য দৌড়াতেই কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু দলের প্রয়োজন যে বড় কথা! সতীর্থরা তাঁকে শেষ দিকে সঙ্গ দিতে না পারলেও স্কোরবোর্ডের রানটা বাড়াতে চেষ্টার কমতি রাখেননি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পেতে শেষ ওভারে মাহমুদউল্লার দরকার ছিল ৪ রান। কিন্তু তিন বল স্ট্রাইক পেয়েও ব্যাট উঁচিয়ে ধরতে পারেননি। উল্টো পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বল ডিপ স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে ২ রান নিতে গিয়ে হয়েছেন রানআউট। শেষ বলে ৩ রান নিলেই সেঞ্চুরি পেয়ে যেতেন মাহমুদউল্লাহ।
শারজার দুপুরের গরম আর বয়সটাও যেন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের পথে। অবশ্য ৩৮ বছর বয়সেও চার-ছয়ে ‘বুড়ো হাড়ের ভেলকি’ তিনি ঠিকই দেখিয়েছেন। তবে শক্তি ক্ষয় করেছেন ডাবল ও সিঙ্গেল নিতে গিয়ে। সিঙ্গেল থেকে নিয়েছেন ৩৭ রান, আর ডাবল থেকে ১৪। অর্থাৎ, তাঁর ৫১ রান এসেছে ‘রানিং বিটুইন দ্য উইকেট’ থেকে। আর দৌড়ের ক্লান্তির কারণেই হয়তো খুব কাছে গিয়েও হাতছাড়া হলো সেঞ্চুরি। শেষ দিকে যে দৌড়াতেই কষ্ট হচ্ছিল মাহমুদউল্লাহর!
মাহমুদউল্লাহ আজ এমন সময়ে উইকেটে আসেন, দল যখন ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। এরপর নেতৃত্বে অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজের (৬৬) সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৮৮ বলে ১৪৫ রানে জুটি গড়েন। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশও করেছে ৮ উইকেটে ২৪৪ রান। চোটের কারণে এই ম্যাচে নেই নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে মাঠে ছিলেন বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক। মাহমুদউল্লার সেঞ্চুরি হাতছাড়া হতে দেখে কিছুটা হতাশ তিনিও। বাংলাদেশের ইনিংস শেষে বলেন, ‘রিয়াদ ভাই তাঁর অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। অল্প হতাশ, তাঁর সেঞ্চুরি করা উচিৎ ছিল তবে দল ভালো অবস্থানে।’ মাহমুদউল্লাহ যে হতাশ সেটি দেখা গেছে আউটের পর ফেরার সময়। ব্যথায় ও হতাশায় চোখ বুজে আসছিল তাঁর। তবে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে পিঠ চাপড়ে দেন আফগানরাও।
গরমের কারণে পায়ে ক্র্যাম্প করেছে। তারপরও থামেননি মাহমুদউল্লাহ। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাট করে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট করে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মনে করিয়ে দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়েতে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারের সেই অবিশ্বাস্য ইনিংসটির কথা মনে আছে?
এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই ২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল অজিরা। হার যখন প্রায় সুনিশ্চিত, ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ম্যাক্সওয়েল ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রানের দানবীয় ইনিংস খেলে এনে দেন জয়। ম্যাক্সিরও ক্র্যাম্প করেছিল। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল, মাটিতেই শুয়ে পড়েছিলেন তিনি। পারছিলেন না দৌড়াতে। কিন্তু হার মানেননি। পা না তোলেই ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেন জয়। পরে সেই অজিরা জিতেছিল বিশ্বকাপও।
ম্যাচটি হয়েছিল নভেম্বর মাসে। আর কী কাকতালীয়! বাংলাদেশের ম্যাচটিও একই মাসে, প্রতিপক্ষও সেই আফগানিস্তান। আর মাহমুদউল্লাহও ব্যাটিংয়ে নামেন ৬ নম্বরে, দলের যখন দুঃসময়। ম্যাক্সির সেই দ্বিশতক বৃথা যায়নি। এক বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডেতে পাওয়া মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিও কি বৃথা যেতে দেবেন মিরাজরা? এই ম্যাচ জিতলে প্রথম ওয়ানডেতে হেরেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেবে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর আগের ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি ছিল গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই। ওয়াংখেড়েতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১১ বলে করেছিলেন ১১১ রান। অবশ্য সেই ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার মাহমুদউল্লাহ ৫০+ রান পেলেন ৭ ইনিংস পর। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পাওয়া ২৯ তম ওয়ানডে ফিফটিটি ২ রানের জন্য জন্য সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি।

ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে চন্ডিগড়ের মহারাজা ইয়াদাভিন্দ্র সিং ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম কোনো পুরুষ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ভেন্যুতে স্বাগতিকদের শুরুটা হয় থাকল তিক্ততায় ভরা। প্রোটিয়াদের কাছে ৫১ রানে হেরেছে সূর্যকুমার যাদবের দল।
২ ঘণ্টা আগে
এদেশের মানুষের কাছে ডিসেম্বর মানেই বিজয়ের আরেক নাম। ১৯৭১ সালের এই মাসেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ, জন্ম হয়েছিল নতুন একটি সূর্যের। তাই ডিসেম্বর এলেই আলাদাভাবে বীর শহীদদের স্মরণ করে গোটা জাতি।
২ ঘণ্টা আগে
বাঁচানো যায়নি রাজশাহীর তানোরের ২ বছরের শিশু সাজিদকে। গর্ত থেকে উদ্ধার করলেও জীবিত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া হয়নি তার। এমন মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাজিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগে
ক্রীড়া ডেস্ক

ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে চন্ডিগড়ের মহারাজা ইয়াদাভিন্দ্র সিং ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম কোনো পুরুষ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ভেন্যুতে স্বাগতিকদের শুরুটা হয় থাকল তিক্ততায় ভরা। প্রোটিয়াদের কাছে ৫১ রানে হেরেছে সূর্যকুমার যাদবের দল। তাদের হারিয়ে একটি রেকর্ড গড়ল সফরকারী দল।
টি-টোয়েন্টিতে এত দিন ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ জেতার রেকর্ড ছিল যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সমান ১২টি করে ম্যাচ হারিয়েছিল এই দুই দল। কিন্তু গতকাল এই রেকর্ড এককভাবে নিজেদের করে নিয়েছে আফ্রিকান জায়ান্টরা। ভারতের বিপক্ষে এই সংস্করণে এখন সর্বোচ্চ ১৩টি জয় তাদের।
২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জেতার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটাও দারুণ হয়েছিল ভারতের। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাত্তা না দিয়ে ১০১ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই ঘুরে দাঁড়াল সফরকারীরা। আগে ব্যাট করে কুইন্টন ডি ককের ঝোড়ো ফিফটিতে ২১৩ রান তোলে তারা। ৪৬ বলে ৫ চার ও ৭ ছক্কায় ৯০ রান করেন তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৩০ রান এনে দেন ডনোভান ফেরেইরা।
জবাবে ৫ বল রেখে অলআউট হওয়ার আগে ১৬২ রান করে ভারত। ৩৪ বলে ৬২ রান করেন তিলক বর্মা। ২৭ রান আসে জিতেশ শর্মার ব্যাট থেকে। ভারতকে গুটিয়ে দেওয়ার পথে ২৪ রানে ৪ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওটনিল বার্টম্যান।
জয়-পরাজয় পাশ কাটিয়ে ভারতের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে সূর্য ও গিলের ছন্দহীনতা। তবে তাঁদের ওপর আস্থা রাখছেন সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকাট। তিনি বলেন, ‘আমি গিলের মানসিকতায় কিছু পরিবর্তন দেখেছি। কটকে প্রথম ম্যাচে ও যেভাবে আউট হয়েছে, সেটি ছিল কঠিন উইকেট। দল থেকেই বলা হয়েছিল যেন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে। দ্বিতীয় ম্যাচে সে দারুণ বল পেয়েছে, ফর্ম খুঁজতে গেলে এমনটা হতেই পারে। আইপিএল রেকর্ডই বলে দেয় গিল কত দ্রুত ফর্মে ফিরতে পারে। কয়েক মৌসুমে ৬০০-৮০০ রান করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, খুব শিগগির সে বড় ইনিংস খেলবে।'
অধিনায়ককে নিয়ে ডেসকাট বলেন, ‘সূর্যকে নিয়েও আমার বিকল্প কিছু বলার নেই। আমরা দল হিসেবে পরিকল্পনায় অনেক দূর আগেই এগিয়ে গেছি। এমন একজন অধিনায়কের ওপর ভরসা রাখা উচিত। বাইরে থেকে যা-ই ভাবা হোক না কেন, আমার বিশ্বাস আছে, তারা ফর্মে ফিরবে।’

ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে চন্ডিগড়ের মহারাজা ইয়াদাভিন্দ্র সিং ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম কোনো পুরুষ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ভেন্যুতে স্বাগতিকদের শুরুটা হয় থাকল তিক্ততায় ভরা। প্রোটিয়াদের কাছে ৫১ রানে হেরেছে সূর্যকুমার যাদবের দল। তাদের হারিয়ে একটি রেকর্ড গড়ল সফরকারী দল।
টি-টোয়েন্টিতে এত দিন ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ জেতার রেকর্ড ছিল যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সমান ১২টি করে ম্যাচ হারিয়েছিল এই দুই দল। কিন্তু গতকাল এই রেকর্ড এককভাবে নিজেদের করে নিয়েছে আফ্রিকান জায়ান্টরা। ভারতের বিপক্ষে এই সংস্করণে এখন সর্বোচ্চ ১৩টি জয় তাদের।
২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জেতার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটাও দারুণ হয়েছিল ভারতের। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাত্তা না দিয়ে ১০১ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই ঘুরে দাঁড়াল সফরকারীরা। আগে ব্যাট করে কুইন্টন ডি ককের ঝোড়ো ফিফটিতে ২১৩ রান তোলে তারা। ৪৬ বলে ৫ চার ও ৭ ছক্কায় ৯০ রান করেন তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৩০ রান এনে দেন ডনোভান ফেরেইরা।
জবাবে ৫ বল রেখে অলআউট হওয়ার আগে ১৬২ রান করে ভারত। ৩৪ বলে ৬২ রান করেন তিলক বর্মা। ২৭ রান আসে জিতেশ শর্মার ব্যাট থেকে। ভারতকে গুটিয়ে দেওয়ার পথে ২৪ রানে ৪ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওটনিল বার্টম্যান।
জয়-পরাজয় পাশ কাটিয়ে ভারতের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে সূর্য ও গিলের ছন্দহীনতা। তবে তাঁদের ওপর আস্থা রাখছেন সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকাট। তিনি বলেন, ‘আমি গিলের মানসিকতায় কিছু পরিবর্তন দেখেছি। কটকে প্রথম ম্যাচে ও যেভাবে আউট হয়েছে, সেটি ছিল কঠিন উইকেট। দল থেকেই বলা হয়েছিল যেন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে। দ্বিতীয় ম্যাচে সে দারুণ বল পেয়েছে, ফর্ম খুঁজতে গেলে এমনটা হতেই পারে। আইপিএল রেকর্ডই বলে দেয় গিল কত দ্রুত ফর্মে ফিরতে পারে। কয়েক মৌসুমে ৬০০-৮০০ রান করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, খুব শিগগির সে বড় ইনিংস খেলবে।'
অধিনায়ককে নিয়ে ডেসকাট বলেন, ‘সূর্যকে নিয়েও আমার বিকল্প কিছু বলার নেই। আমরা দল হিসেবে পরিকল্পনায় অনেক দূর আগেই এগিয়ে গেছি। এমন একজন অধিনায়কের ওপর ভরসা রাখা উচিত। বাইরে থেকে যা-ই ভাবা হোক না কেন, আমার বিশ্বাস আছে, তারা ফর্মে ফিরবে।’

০, ১, ২ ও ৩—এই ছিল আগের চার ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান। শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে তাঁর মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের এমন ব্যর্থতায় উঠেছিল প্রশ্নও। এমনকি দল থেকে বাদ দেওয়ারও কথা উঠেছে। তবে মাহমুদউল্লাহ যেন ‘ফিনিক্স পাখি’! ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দুঃসময় কাটিয়ে বারবার ফিরে এসে
১১ নভেম্বর ২০২৪
এদেশের মানুষের কাছে ডিসেম্বর মানেই বিজয়ের আরেক নাম। ১৯৭১ সালের এই মাসেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ, জন্ম হয়েছিল নতুন একটি সূর্যের। তাই ডিসেম্বর এলেই আলাদাভাবে বীর শহীদদের স্মরণ করে গোটা জাতি।
২ ঘণ্টা আগে
বাঁচানো যায়নি রাজশাহীর তানোরের ২ বছরের শিশু সাজিদকে। গর্ত থেকে উদ্ধার করলেও জীবিত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া হয়নি তার। এমন মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাজিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগে
ক্রীড়া ডেস্ক

এদেশের মানুষের কাছে ডিসেম্বর মানেই বিজয়ের আরেক নাম। ১৯৭১ সালের এই মাসেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ, জন্ম হয়েছিল নতুন একটি সূর্যের। তাই ডিসেম্বর এলেই আলাদাভাবে বীর শহীদদের স্মরণ করে গোটা জাতি।
এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ডিসেম্বর শুরু হতেই শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে গোটা জাতি। ফেসবুকে নিজেদের মতো করে আবেগ মিশিয়ে শহীদদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করছেন সবাই। তানজিম হাসান সাকিবও পিছিয়ে নেই। বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই পেসার। একাত্তরে যাঁরা রক্ত দিয়েছেন তাঁদের প্রতি গোটা জাতি ঋণী বলে মনে করেন তিনি।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সাকিব লিখেছেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গর্ববোধ করি। যাদের ছিলো না ট্রেনিং, যারা প্রশিক্ষিত ছিলেন না, কিভাবে যুদ্ধ করতে হবে জানতেন না, তারপরও দেশের টানে মাটির টানে পাক হানাদার প্রশিক্ষিত আর্মিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন। যারা আমদের ভীতু জাতি থেকে সাহসী জাতি করেছিলেন যাদের কারণে আমি আজ বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বের বুকে ক্রিকেটের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারছি, তাদের নিয়ে আমি গর্ব বোধ করি। বাংলাদেশের প্রকৃত হিরো প্রকৃত সেলিব্রিটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধারা।’
বর্তমানে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত মুখ সাকিব। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন সিলেটের এই বোলার। পরবর্তীতে বাকি ২ সংস্করণেও অভিষেক হয় তাঁর। এখন পর্যন্ত দেশের জার্সিতে ১ টেস্ট, ১৫ ওয়ানডের পাশাপাশি ৪০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সব সংস্করণ মিলিয়ে ঝুলিতে পুরেছেন ৭২ উইকেট।
আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে আপাতত অবসর সময় কাটছে সাকিবের। আগামী ২৬ ডিসেম্বর বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরার কথা রয়েছে তাঁর। এই টুর্নামেন্ট শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে বাংলাদেশ। সে দলের অপরিহার্য সদস্য সাকিব। ইনজুরিতে না পড়লে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেস বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাবে তাঁকে।

এদেশের মানুষের কাছে ডিসেম্বর মানেই বিজয়ের আরেক নাম। ১৯৭১ সালের এই মাসেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ, জন্ম হয়েছিল নতুন একটি সূর্যের। তাই ডিসেম্বর এলেই আলাদাভাবে বীর শহীদদের স্মরণ করে গোটা জাতি।
এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ডিসেম্বর শুরু হতেই শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে গোটা জাতি। ফেসবুকে নিজেদের মতো করে আবেগ মিশিয়ে শহীদদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করছেন সবাই। তানজিম হাসান সাকিবও পিছিয়ে নেই। বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই পেসার। একাত্তরে যাঁরা রক্ত দিয়েছেন তাঁদের প্রতি গোটা জাতি ঋণী বলে মনে করেন তিনি।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সাকিব লিখেছেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গর্ববোধ করি। যাদের ছিলো না ট্রেনিং, যারা প্রশিক্ষিত ছিলেন না, কিভাবে যুদ্ধ করতে হবে জানতেন না, তারপরও দেশের টানে মাটির টানে পাক হানাদার প্রশিক্ষিত আর্মিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন। যারা আমদের ভীতু জাতি থেকে সাহসী জাতি করেছিলেন যাদের কারণে আমি আজ বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বের বুকে ক্রিকেটের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারছি, তাদের নিয়ে আমি গর্ব বোধ করি। বাংলাদেশের প্রকৃত হিরো প্রকৃত সেলিব্রিটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধারা।’
বর্তমানে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত মুখ সাকিব। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন সিলেটের এই বোলার। পরবর্তীতে বাকি ২ সংস্করণেও অভিষেক হয় তাঁর। এখন পর্যন্ত দেশের জার্সিতে ১ টেস্ট, ১৫ ওয়ানডের পাশাপাশি ৪০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সব সংস্করণ মিলিয়ে ঝুলিতে পুরেছেন ৭২ উইকেট।
আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে আপাতত অবসর সময় কাটছে সাকিবের। আগামী ২৬ ডিসেম্বর বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরার কথা রয়েছে তাঁর। এই টুর্নামেন্ট শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে বাংলাদেশ। সে দলের অপরিহার্য সদস্য সাকিব। ইনজুরিতে না পড়লে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেস বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাবে তাঁকে।

০, ১, ২ ও ৩—এই ছিল আগের চার ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান। শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে তাঁর মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের এমন ব্যর্থতায় উঠেছিল প্রশ্নও। এমনকি দল থেকে বাদ দেওয়ারও কথা উঠেছে। তবে মাহমুদউল্লাহ যেন ‘ফিনিক্স পাখি’! ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দুঃসময় কাটিয়ে বারবার ফিরে এসে
১১ নভেম্বর ২০২৪
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে চন্ডিগড়ের মহারাজা ইয়াদাভিন্দ্র সিং ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম কোনো পুরুষ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ভেন্যুতে স্বাগতিকদের শুরুটা হয় থাকল তিক্ততায় ভরা। প্রোটিয়াদের কাছে ৫১ রানে হেরেছে সূর্যকুমার যাদবের দল।
২ ঘণ্টা আগে
বাঁচানো যায়নি রাজশাহীর তানোরের ২ বছরের শিশু সাজিদকে। গর্ত থেকে উদ্ধার করলেও জীবিত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া হয়নি তার। এমন মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাজিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগে
ক্রীড়া ডেস্ক

বাঁচানো যায়নি রাজশাহীর তানোরের ২ বছরের শিশু সাজিদকে। গর্ত থেকে উদ্ধার করলেও জীবিত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া হয়নি তার। এমন মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাজিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
নিজের ফেসবুক পেজে তাসকিন লিখেছেন, ‘একটা ছোট্ট প্রাণ আজ আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে আল্লাহর কাছে ফিরে গেল। হে আল্লাহ, এই শিশুটিকে জান্নাতুল ফেরদাউসের স্থায়ী সুখ দান করুন। শোকাহত পরিবারকে ধৈর্য ও সান্ত্বনা দান করুন।’
গত বুধবার হৃদয়বিদারক ঘটনাটির সূত্রপাত তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট গ্রামে। মা রুনা খাতুন এবং ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির পাশের একটি জমিতে হাঁটছিল সাজিদ। মা এবং ভাই অরক্ষিত গভীর নলকূপের গর্ত পার হলেও গর্তে পড়ে যায় সাজিদ।
পেছন থেকে ‘মা মা’ চিৎকার শুনে মা ফিরে দেখেন সাজিদ নেই। খড় সরিয়ে বুঝতে পারেন সাজিদ গর্তে পড়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে মানুষের ভিড় জমতে শুরু করে। শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। একে একে অভিযানে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। টানা ৩২ ঘণ্টার চেষ্টা শেষে ৪৫ ফুট গভীর থেকে গতকাল রাত নয়টার দিকে সাজিদকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পরই সাজিদকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। কিন্তু কর্তৃব্যরত চিকিৎসক সাজিদকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটি যে গর্তে পড়েছিল নলকূপের জন্য সে গর্ত করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও জমির মালিক কছির উদ্দিন। তার বিচার চেয়েছেন সাজিদের মা। তিনি বলেন, ‘কছির উদ্দিন তিন জায়গা খুঁড়েছিল...দুই বছর ধরে গর্ত বন্ধ না করে রেখেছিল। কেন রেখেছিল? আমি তার বিচার চাই...কছিরের শাস্তি চাই।’

বাঁচানো যায়নি রাজশাহীর তানোরের ২ বছরের শিশু সাজিদকে। গর্ত থেকে উদ্ধার করলেও জীবিত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া হয়নি তার। এমন মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাজিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
নিজের ফেসবুক পেজে তাসকিন লিখেছেন, ‘একটা ছোট্ট প্রাণ আজ আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে আল্লাহর কাছে ফিরে গেল। হে আল্লাহ, এই শিশুটিকে জান্নাতুল ফেরদাউসের স্থায়ী সুখ দান করুন। শোকাহত পরিবারকে ধৈর্য ও সান্ত্বনা দান করুন।’
গত বুধবার হৃদয়বিদারক ঘটনাটির সূত্রপাত তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট গ্রামে। মা রুনা খাতুন এবং ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির পাশের একটি জমিতে হাঁটছিল সাজিদ। মা এবং ভাই অরক্ষিত গভীর নলকূপের গর্ত পার হলেও গর্তে পড়ে যায় সাজিদ।
পেছন থেকে ‘মা মা’ চিৎকার শুনে মা ফিরে দেখেন সাজিদ নেই। খড় সরিয়ে বুঝতে পারেন সাজিদ গর্তে পড়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে মানুষের ভিড় জমতে শুরু করে। শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। একে একে অভিযানে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। টানা ৩২ ঘণ্টার চেষ্টা শেষে ৪৫ ফুট গভীর থেকে গতকাল রাত নয়টার দিকে সাজিদকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পরই সাজিদকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। কিন্তু কর্তৃব্যরত চিকিৎসক সাজিদকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটি যে গর্তে পড়েছিল নলকূপের জন্য সে গর্ত করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও জমির মালিক কছির উদ্দিন। তার বিচার চেয়েছেন সাজিদের মা। তিনি বলেন, ‘কছির উদ্দিন তিন জায়গা খুঁড়েছিল...দুই বছর ধরে গর্ত বন্ধ না করে রেখেছিল। কেন রেখেছিল? আমি তার বিচার চাই...কছিরের শাস্তি চাই।’

০, ১, ২ ও ৩—এই ছিল আগের চার ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান। শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে তাঁর মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের এমন ব্যর্থতায় উঠেছিল প্রশ্নও। এমনকি দল থেকে বাদ দেওয়ারও কথা উঠেছে। তবে মাহমুদউল্লাহ যেন ‘ফিনিক্স পাখি’! ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দুঃসময় কাটিয়ে বারবার ফিরে এসে
১১ নভেম্বর ২০২৪
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে চন্ডিগড়ের মহারাজা ইয়াদাভিন্দ্র সিং ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম কোনো পুরুষ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ভেন্যুতে স্বাগতিকদের শুরুটা হয় থাকল তিক্ততায় ভরা। প্রোটিয়াদের কাছে ৫১ রানে হেরেছে সূর্যকুমার যাদবের দল।
২ ঘণ্টা আগে
এদেশের মানুষের কাছে ডিসেম্বর মানেই বিজয়ের আরেক নাম। ১৯৭১ সালের এই মাসেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ, জন্ম হয়েছিল নতুন একটি সূর্যের। তাই ডিসেম্বর এলেই আলাদাভাবে বীর শহীদদের স্মরণ করে গোটা জাতি।
২ ঘণ্টা আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ফুটবল লিগে দারুণ ছন্দে আছে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেতে যেন মরিয়া তারা। ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মারিও গোমেসের দল। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সময়টা কাটছে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে। এখনো সেভাবে ছন্দে ফিরতে পারেনি তারা। ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে চারে আলফাজ আহমেদের দল।
টেবিলে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান স্পষ্ট। শিরোপা লড়াইয়ের গতিপথও অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে আজকের ম্যাচে। কিংস অ্যারেনায় সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় নামবে দুই দল। ঘরের মাঠ ও বর্তমান পারফরম্যান্স বিবেচনায় বসুন্ধরা কিংসই এগিয়ে থাকবে।
কিংসের ঘরের মাঠ মোহামেডানের জন্য অবশ্য দুশ্চিন্তার নাম। কয়েকবার নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলেছে তারা। সেই মাঠে গতকাল অনুশীলন করতে চাইলেও কিংসের বিরুদ্ধে বাধার অভিযোগ এনেছে তারা। তাই বাধ্য হয়ে অনুশীলন করতে হয় পল্টনের আউটার স্টেডিয়ামে।
মোহামেডানের কোচ আলফাজ আহমেদ গতকাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বসুন্ধরার মতো একটা পেশাদার ক্লাব যে অপেশাদারত্ব দেখাল, সেটা আসলে চিন্তার বাইরে। আমাদের কেন অনুশীলনের সুযোগ দিল না, এটা আসলে আমি বুঝতে পারছি না। তাদের মানসিকতার অভাব আছে বলে মনে হয়।’
লিগে মোহামেডানের শুরুটা হয়েছিল হতাশায়। ফর্টিসের কাছে হারের পর পুলিশের বিপক্ষে ড্র করে সাদা-কালোরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডকে হারানোর পর আভাস দিচ্ছে চেনা রূপে ফেরার আভাস। এর ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব ও পিডব্লিউডিকেও হারিয়ে তারা। মাঠের বাইরে খুব একটা যে ভালো অবস্থায় আছে মোহামেডান, তা অবশ্য বলার উপায় নেই। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক না পাওয়ার খবর চাউর হচ্ছে অনেক দিন। সেই জটিলতা অবশ্য মিটতে যাচ্ছে। আলফাজ বলেন, ‘ক্লাব অফিশিয়ালরাও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। খেলোয়াড়দের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবেন না। তারা শিগগির তাদের দেনা-পাওনার কিছুটা হলেও লাঘব করবে এবং প্লেয়াররা সবাই ফিট আছে আমার। ইনশা আল্লাহ, কালকের (আজ) ম্যাচে সবাই শতভাগ দেবে।’
ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুমের শুরুটা হয়েছিল দুই দলের লড়াই দিয়ে। চ্যালেঞ্জ কাপের সেই ম্যাচে মোহামেডানকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে কিংস। লিগের বাস্তবতা অবশ্য ভিন্ন। গত মৌসুমে দুই ম্যাচের দুটিতেই কিংসকে হারের স্বাদ দিয়েছে মোহামেডান। অতীতের সুখস্মৃতি প্রেরণা দিচ্ছে সাদা-কালো অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিঠুকে, ‘মাঠে প্রমাণ দেখাব যে আসলে ওদের মাঠে প্র্যাকটিস না করেও আমরা জিততে পারি। চ্যালেঞ্জ কাপে ওদের কাছে আমরা হেরেছি। বড় ম্যাচের চিন্তাভাবনা করে মাঠে নামব।’
গত মৌসুমে মোহামেডানে খেলা সানডে ইমানুয়েল ও আগবাজি টনি এবার খেলছেন কিংসে। দোরিয়েলতন গোমেসও আছেন দারুণ ফর্মে। একই সঙ্গে রাকিব হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিমরা আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। লিগে সর্বশেষ দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল করেছে কিংস। ক্লাব থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি ফুটবলাররা। তবে মোহামেডানের বিপক্ষে যে প্রতিশোধের পণ নিয়ে নামবে তারা, তা আর বুঝতে বাকি নেই।

বাংলাদেশ ফুটবল লিগে দারুণ ছন্দে আছে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেতে যেন মরিয়া তারা। ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মারিও গোমেসের দল। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সময়টা কাটছে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে। এখনো সেভাবে ছন্দে ফিরতে পারেনি তারা। ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে চারে আলফাজ আহমেদের দল।
টেবিলে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান স্পষ্ট। শিরোপা লড়াইয়ের গতিপথও অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে আজকের ম্যাচে। কিংস অ্যারেনায় সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় নামবে দুই দল। ঘরের মাঠ ও বর্তমান পারফরম্যান্স বিবেচনায় বসুন্ধরা কিংসই এগিয়ে থাকবে।
কিংসের ঘরের মাঠ মোহামেডানের জন্য অবশ্য দুশ্চিন্তার নাম। কয়েকবার নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলেছে তারা। সেই মাঠে গতকাল অনুশীলন করতে চাইলেও কিংসের বিরুদ্ধে বাধার অভিযোগ এনেছে তারা। তাই বাধ্য হয়ে অনুশীলন করতে হয় পল্টনের আউটার স্টেডিয়ামে।
মোহামেডানের কোচ আলফাজ আহমেদ গতকাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বসুন্ধরার মতো একটা পেশাদার ক্লাব যে অপেশাদারত্ব দেখাল, সেটা আসলে চিন্তার বাইরে। আমাদের কেন অনুশীলনের সুযোগ দিল না, এটা আসলে আমি বুঝতে পারছি না। তাদের মানসিকতার অভাব আছে বলে মনে হয়।’
লিগে মোহামেডানের শুরুটা হয়েছিল হতাশায়। ফর্টিসের কাছে হারের পর পুলিশের বিপক্ষে ড্র করে সাদা-কালোরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডকে হারানোর পর আভাস দিচ্ছে চেনা রূপে ফেরার আভাস। এর ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব ও পিডব্লিউডিকেও হারিয়ে তারা। মাঠের বাইরে খুব একটা যে ভালো অবস্থায় আছে মোহামেডান, তা অবশ্য বলার উপায় নেই। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক না পাওয়ার খবর চাউর হচ্ছে অনেক দিন। সেই জটিলতা অবশ্য মিটতে যাচ্ছে। আলফাজ বলেন, ‘ক্লাব অফিশিয়ালরাও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। খেলোয়াড়দের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবেন না। তারা শিগগির তাদের দেনা-পাওনার কিছুটা হলেও লাঘব করবে এবং প্লেয়াররা সবাই ফিট আছে আমার। ইনশা আল্লাহ, কালকের (আজ) ম্যাচে সবাই শতভাগ দেবে।’
ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুমের শুরুটা হয়েছিল দুই দলের লড়াই দিয়ে। চ্যালেঞ্জ কাপের সেই ম্যাচে মোহামেডানকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে কিংস। লিগের বাস্তবতা অবশ্য ভিন্ন। গত মৌসুমে দুই ম্যাচের দুটিতেই কিংসকে হারের স্বাদ দিয়েছে মোহামেডান। অতীতের সুখস্মৃতি প্রেরণা দিচ্ছে সাদা-কালো অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিঠুকে, ‘মাঠে প্রমাণ দেখাব যে আসলে ওদের মাঠে প্র্যাকটিস না করেও আমরা জিততে পারি। চ্যালেঞ্জ কাপে ওদের কাছে আমরা হেরেছি। বড় ম্যাচের চিন্তাভাবনা করে মাঠে নামব।’
গত মৌসুমে মোহামেডানে খেলা সানডে ইমানুয়েল ও আগবাজি টনি এবার খেলছেন কিংসে। দোরিয়েলতন গোমেসও আছেন দারুণ ফর্মে। একই সঙ্গে রাকিব হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিমরা আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। লিগে সর্বশেষ দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল করেছে কিংস। ক্লাব থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি ফুটবলাররা। তবে মোহামেডানের বিপক্ষে যে প্রতিশোধের পণ নিয়ে নামবে তারা, তা আর বুঝতে বাকি নেই।

০, ১, ২ ও ৩—এই ছিল আগের চার ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান। শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে তাঁর মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের এমন ব্যর্থতায় উঠেছিল প্রশ্নও। এমনকি দল থেকে বাদ দেওয়ারও কথা উঠেছে। তবে মাহমুদউল্লাহ যেন ‘ফিনিক্স পাখি’! ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দুঃসময় কাটিয়ে বারবার ফিরে এসে
১১ নভেম্বর ২০২৪
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে চন্ডিগড়ের মহারাজা ইয়াদাভিন্দ্র সিং ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম কোনো পুরুষ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ভেন্যুতে স্বাগতিকদের শুরুটা হয় থাকল তিক্ততায় ভরা। প্রোটিয়াদের কাছে ৫১ রানে হেরেছে সূর্যকুমার যাদবের দল।
২ ঘণ্টা আগে
এদেশের মানুষের কাছে ডিসেম্বর মানেই বিজয়ের আরেক নাম। ১৯৭১ সালের এই মাসেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ, জন্ম হয়েছিল নতুন একটি সূর্যের। তাই ডিসেম্বর এলেই আলাদাভাবে বীর শহীদদের স্মরণ করে গোটা জাতি।
২ ঘণ্টা আগে
বাঁচানো যায়নি রাজশাহীর তানোরের ২ বছরের শিশু সাজিদকে। গর্ত থেকে উদ্ধার করলেও জীবিত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া হয়নি তার। এমন মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাজিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগে