উপল বড়ুয়া, ঢাকা

সান্তোসে ছিলেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলের সতীর্থ। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তুলে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার জার্সি। বেশ জোর গলায় প্রশংসা করতেন মারিও বেনেদেত্তি, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, হোর্হে লুইস বোর্হেস, মারিও সাবাতো ও হোয়ান ম্যানুয়েল সেরেটের মতো লাতিন সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী ও চিত্রনির্মাতাদের। নিজেও কিসে কম ছিলেন সিজার লুইস মেনোত্তি? তাঁর মতন বর্ণাঢ্য ও বিচিত্র জীবন আর কেই-বা পেয়েছেন!
মেনোত্তি শুধু কোচই ছিলেন না; শুধু ডাগআউটে দাঁড়িয়ে জীবন পার করেননি। ছিলেন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। আর্জেন্টিনার কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। ভালোবাসতেন বক্সিং। লম্বা-চিকন মানুষটির ঠোঁটে সিগারেট লেগেই থাকত। কোচ পেপ গার্দিওলাকে ফুটবলের ‘চে গেভারা’ উপাধিটিও দিয়েছিলেন তিনি। তবে সব ছাপিয়ে মেনোত্তি অমর হয়ে আছেন আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জিতিয়ে। এমন একজন মানুষকে হারাল বিশ্ব। গতকাল ৮৫ বছর বয়সী মেনোত্তির মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)। নিজের শহর রোজারিওর কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে লিওনেল মেসি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘আমাদের অন্যতম ফুটবল কিংবদন্তিকে হারালাম।’
গুরু মেনোত্তি সম্পর্কে মৃত্যুর এক বছর আগে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘তিনি আমাদের জার্মানদের চেয়েও বেশি দৌড়াতে এবং ব্রাজিলিয়ানদের মতন খেলতে বাধ্য করতেন। ফ্লাকো, আমি তোমাকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসি।’ প্রায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বার মানুষটিকে ভালো না বেসে উপায় কী! তিনিই যে ছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলের ‘আর্কিটেক্ট’! লম্বা ও চিকন গড়নের জন্য তাঁকে সবাই ডাকত ‘এল ফ্লাকো’ বা ‘চিকনা’। ফুটবলকে শুধু মাঠের লড়াই নয়, শিল্প হিসেবে দেখতেন মেনোত্তি। এ কারণেই হয়তো তিনি এভাবে বলতে পেরেছিলেন, ‘শিল্প-সাহিত্যকে শৃঙ্খলা ও দুঃসাহসিক কাজ বলতেন বোর্হেস, তেমনি ফুটবলও। যদি আপনি খুব সংগঠিত হন, তবে দলটি বিরক্তিকর ঠেকবে, সংগীতের ক্ষেত্রেও এমনটা মনে হতে পারে।’
ফুটবলকে এমন হৃদয় দিয়ে আর কজনই-বা উপলব্ধি করতে পেরেছেন? বোর্হেসের প্রসঙ্গ যখন এল, মেনোত্তির শেষ সাক্ষাৎকারে এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি সাহিত্যিককে নিয়ে তাঁর একটি আলাপন শোনা যাক, ‘একবার আমি বোর্হেসের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমার ধূমপান বিরক্ত করছে কি না। তিনি বললেন, যা আমাকে উত্তেজিত করে তা সিগারেট নয়, বোকা কথাবার্তা। তাই আমি সবকিছু জিজ্ঞেস করেছিলাম...তবে ফুটবল ছাড়া। কারণ, আমি ফুটবল সম্পর্কে জানতাম।’
সিগারেটের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই যেন অর্ধেক জীবন পার করেছেন মেনোত্তি। কার্লো আনচেলত্তি বা মাউরিসিও সারিকে টাচলাইনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ সুখটান দিতে নিশ্চয় দেখেছেন? ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে এমন দৃশ্যকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন মেনোত্তি। আর লম্বা চুল ঝাঁকিয়ে বলতেন, ‘আমি কখনো সেলুনে যাই না। নিজের চুল নিজেই কাটি।’ ক্যানসারের কারণে ১৬ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন মেনোত্তি। সে সময় থেকে ‘চেইন স্মোকার’ হয়ে ওঠা মেনোত্তি ধূমপান সম্পর্কে সাফাই গেয়েছিলেন এভাবে, ‘একাকিত্বের সময়ে আমার বন্ধু’। তবে ২০১১ সালে ফুসফুস অপারেশনের পর সেই ‘বন্ধু’কে ছাড়তে হয়েছিল।
আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা ও ২০২২ সালে বিশ্বকাপ এনে দেন মেসি। তাঁদের মনে সাফল্যের বীজমন্ত্র রুয়ে দিয়েছিলেন মেনোত্তিই। তাঁর অধীনে ঘরের মাটিতে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে মারিও কেম্পেস-ড্যানিয়েল প্যাসারেলারা পান অমরত্বের স্বাদ। তবে এই বিশ্বকাপটিতে রয়ে গেছে ‘কলঙ্কের দাগ’। সে সময় আর্জেন্টিনার শাসনে জান্তা সরকার। আলবিসেলেস্তেদের বিশ্বকাপ জেতাতে প্রেসিডেন্ট হোর্হে রাফায়েল ভিদেলা প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলেও শোনা যায়। ফাইনালের পর সামরিক শাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে মেনোত্তি তাঁর সঙ্গে হাত পর্যন্ত মেলাননি।
আকর্ষণীয় ও আক্রমণাত্মক ফুটবলের ঘোর সমর্থক ছিলেন মায়েস্ত্রো মেনোত্তি। একেবারে কেতাদুরস্ত ফুটবল পছন্দ করতেন না। এখনকার খুব বেশি শৃঙ্খলিত ফুটবল দেখে তিনি বলেছিলেন, ‘যখন তারা ৪-৩-৩, ৪-২-২, ৪-৩-১-২...আমার কাছে এসবকে মনে হয় ফোন নম্বর।’ নিজের অশৃঙ্খলিত বুনো সৌন্দর্য হয়তো তিনি পরে দেখেছিলেন ম্যারাডোনার মধ্যে। দুজনের সম্পর্ক যে খুব ভালো ছিল তা-ও নয়। ১৯৭৮ বিশ্বকাপের আগে ১৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে দল থেকে বাদ না দিলে হয়তো ছিয়াশির মহানায়কের পাশে লেখা থাকত দুটি বিশ্বকাপ। অবশ্য পরে গুরু-শিষ্য হিসেবে এক মৌসুম বার্সেলোনাতেও ছিলেন মেনোত্তি-ম্যারাডোনা। মেনোত্তি কাজ করেছেন মেসিদের সঙ্গেও। তিনি আর্জেন্টিনার ফুটবলের পরিচালক হওয়ার পরেই ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতে আকাশি-নীলরা।

সান্তোসে ছিলেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলের সতীর্থ। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তুলে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার জার্সি। বেশ জোর গলায় প্রশংসা করতেন মারিও বেনেদেত্তি, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, হোর্হে লুইস বোর্হেস, মারিও সাবাতো ও হোয়ান ম্যানুয়েল সেরেটের মতো লাতিন সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী ও চিত্রনির্মাতাদের। নিজেও কিসে কম ছিলেন সিজার লুইস মেনোত্তি? তাঁর মতন বর্ণাঢ্য ও বিচিত্র জীবন আর কেই-বা পেয়েছেন!
মেনোত্তি শুধু কোচই ছিলেন না; শুধু ডাগআউটে দাঁড়িয়ে জীবন পার করেননি। ছিলেন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। আর্জেন্টিনার কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। ভালোবাসতেন বক্সিং। লম্বা-চিকন মানুষটির ঠোঁটে সিগারেট লেগেই থাকত। কোচ পেপ গার্দিওলাকে ফুটবলের ‘চে গেভারা’ উপাধিটিও দিয়েছিলেন তিনি। তবে সব ছাপিয়ে মেনোত্তি অমর হয়ে আছেন আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জিতিয়ে। এমন একজন মানুষকে হারাল বিশ্ব। গতকাল ৮৫ বছর বয়সী মেনোত্তির মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)। নিজের শহর রোজারিওর কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে লিওনেল মেসি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘আমাদের অন্যতম ফুটবল কিংবদন্তিকে হারালাম।’
গুরু মেনোত্তি সম্পর্কে মৃত্যুর এক বছর আগে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘তিনি আমাদের জার্মানদের চেয়েও বেশি দৌড়াতে এবং ব্রাজিলিয়ানদের মতন খেলতে বাধ্য করতেন। ফ্লাকো, আমি তোমাকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসি।’ প্রায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বার মানুষটিকে ভালো না বেসে উপায় কী! তিনিই যে ছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলের ‘আর্কিটেক্ট’! লম্বা ও চিকন গড়নের জন্য তাঁকে সবাই ডাকত ‘এল ফ্লাকো’ বা ‘চিকনা’। ফুটবলকে শুধু মাঠের লড়াই নয়, শিল্প হিসেবে দেখতেন মেনোত্তি। এ কারণেই হয়তো তিনি এভাবে বলতে পেরেছিলেন, ‘শিল্প-সাহিত্যকে শৃঙ্খলা ও দুঃসাহসিক কাজ বলতেন বোর্হেস, তেমনি ফুটবলও। যদি আপনি খুব সংগঠিত হন, তবে দলটি বিরক্তিকর ঠেকবে, সংগীতের ক্ষেত্রেও এমনটা মনে হতে পারে।’
ফুটবলকে এমন হৃদয় দিয়ে আর কজনই-বা উপলব্ধি করতে পেরেছেন? বোর্হেসের প্রসঙ্গ যখন এল, মেনোত্তির শেষ সাক্ষাৎকারে এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি সাহিত্যিককে নিয়ে তাঁর একটি আলাপন শোনা যাক, ‘একবার আমি বোর্হেসের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমার ধূমপান বিরক্ত করছে কি না। তিনি বললেন, যা আমাকে উত্তেজিত করে তা সিগারেট নয়, বোকা কথাবার্তা। তাই আমি সবকিছু জিজ্ঞেস করেছিলাম...তবে ফুটবল ছাড়া। কারণ, আমি ফুটবল সম্পর্কে জানতাম।’
সিগারেটের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই যেন অর্ধেক জীবন পার করেছেন মেনোত্তি। কার্লো আনচেলত্তি বা মাউরিসিও সারিকে টাচলাইনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ সুখটান দিতে নিশ্চয় দেখেছেন? ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে এমন দৃশ্যকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন মেনোত্তি। আর লম্বা চুল ঝাঁকিয়ে বলতেন, ‘আমি কখনো সেলুনে যাই না। নিজের চুল নিজেই কাটি।’ ক্যানসারের কারণে ১৬ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন মেনোত্তি। সে সময় থেকে ‘চেইন স্মোকার’ হয়ে ওঠা মেনোত্তি ধূমপান সম্পর্কে সাফাই গেয়েছিলেন এভাবে, ‘একাকিত্বের সময়ে আমার বন্ধু’। তবে ২০১১ সালে ফুসফুস অপারেশনের পর সেই ‘বন্ধু’কে ছাড়তে হয়েছিল।
আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা ও ২০২২ সালে বিশ্বকাপ এনে দেন মেসি। তাঁদের মনে সাফল্যের বীজমন্ত্র রুয়ে দিয়েছিলেন মেনোত্তিই। তাঁর অধীনে ঘরের মাটিতে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে মারিও কেম্পেস-ড্যানিয়েল প্যাসারেলারা পান অমরত্বের স্বাদ। তবে এই বিশ্বকাপটিতে রয়ে গেছে ‘কলঙ্কের দাগ’। সে সময় আর্জেন্টিনার শাসনে জান্তা সরকার। আলবিসেলেস্তেদের বিশ্বকাপ জেতাতে প্রেসিডেন্ট হোর্হে রাফায়েল ভিদেলা প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলেও শোনা যায়। ফাইনালের পর সামরিক শাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে মেনোত্তি তাঁর সঙ্গে হাত পর্যন্ত মেলাননি।
আকর্ষণীয় ও আক্রমণাত্মক ফুটবলের ঘোর সমর্থক ছিলেন মায়েস্ত্রো মেনোত্তি। একেবারে কেতাদুরস্ত ফুটবল পছন্দ করতেন না। এখনকার খুব বেশি শৃঙ্খলিত ফুটবল দেখে তিনি বলেছিলেন, ‘যখন তারা ৪-৩-৩, ৪-২-২, ৪-৩-১-২...আমার কাছে এসবকে মনে হয় ফোন নম্বর।’ নিজের অশৃঙ্খলিত বুনো সৌন্দর্য হয়তো তিনি পরে দেখেছিলেন ম্যারাডোনার মধ্যে। দুজনের সম্পর্ক যে খুব ভালো ছিল তা-ও নয়। ১৯৭৮ বিশ্বকাপের আগে ১৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে দল থেকে বাদ না দিলে হয়তো ছিয়াশির মহানায়কের পাশে লেখা থাকত দুটি বিশ্বকাপ। অবশ্য পরে গুরু-শিষ্য হিসেবে এক মৌসুম বার্সেলোনাতেও ছিলেন মেনোত্তি-ম্যারাডোনা। মেনোত্তি কাজ করেছেন মেসিদের সঙ্গেও। তিনি আর্জেন্টিনার ফুটবলের পরিচালক হওয়ার পরেই ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতে আকাশি-নীলরা।
উপল বড়ুয়া, ঢাকা

সান্তোসে ছিলেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলের সতীর্থ। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তুলে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার জার্সি। বেশ জোর গলায় প্রশংসা করতেন মারিও বেনেদেত্তি, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, হোর্হে লুইস বোর্হেস, মারিও সাবাতো ও হোয়ান ম্যানুয়েল সেরেটের মতো লাতিন সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী ও চিত্রনির্মাতাদের। নিজেও কিসে কম ছিলেন সিজার লুইস মেনোত্তি? তাঁর মতন বর্ণাঢ্য ও বিচিত্র জীবন আর কেই-বা পেয়েছেন!
মেনোত্তি শুধু কোচই ছিলেন না; শুধু ডাগআউটে দাঁড়িয়ে জীবন পার করেননি। ছিলেন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। আর্জেন্টিনার কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। ভালোবাসতেন বক্সিং। লম্বা-চিকন মানুষটির ঠোঁটে সিগারেট লেগেই থাকত। কোচ পেপ গার্দিওলাকে ফুটবলের ‘চে গেভারা’ উপাধিটিও দিয়েছিলেন তিনি। তবে সব ছাপিয়ে মেনোত্তি অমর হয়ে আছেন আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জিতিয়ে। এমন একজন মানুষকে হারাল বিশ্ব। গতকাল ৮৫ বছর বয়সী মেনোত্তির মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)। নিজের শহর রোজারিওর কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে লিওনেল মেসি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘আমাদের অন্যতম ফুটবল কিংবদন্তিকে হারালাম।’
গুরু মেনোত্তি সম্পর্কে মৃত্যুর এক বছর আগে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘তিনি আমাদের জার্মানদের চেয়েও বেশি দৌড়াতে এবং ব্রাজিলিয়ানদের মতন খেলতে বাধ্য করতেন। ফ্লাকো, আমি তোমাকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসি।’ প্রায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বার মানুষটিকে ভালো না বেসে উপায় কী! তিনিই যে ছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলের ‘আর্কিটেক্ট’! লম্বা ও চিকন গড়নের জন্য তাঁকে সবাই ডাকত ‘এল ফ্লাকো’ বা ‘চিকনা’। ফুটবলকে শুধু মাঠের লড়াই নয়, শিল্প হিসেবে দেখতেন মেনোত্তি। এ কারণেই হয়তো তিনি এভাবে বলতে পেরেছিলেন, ‘শিল্প-সাহিত্যকে শৃঙ্খলা ও দুঃসাহসিক কাজ বলতেন বোর্হেস, তেমনি ফুটবলও। যদি আপনি খুব সংগঠিত হন, তবে দলটি বিরক্তিকর ঠেকবে, সংগীতের ক্ষেত্রেও এমনটা মনে হতে পারে।’
ফুটবলকে এমন হৃদয় দিয়ে আর কজনই-বা উপলব্ধি করতে পেরেছেন? বোর্হেসের প্রসঙ্গ যখন এল, মেনোত্তির শেষ সাক্ষাৎকারে এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি সাহিত্যিককে নিয়ে তাঁর একটি আলাপন শোনা যাক, ‘একবার আমি বোর্হেসের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমার ধূমপান বিরক্ত করছে কি না। তিনি বললেন, যা আমাকে উত্তেজিত করে তা সিগারেট নয়, বোকা কথাবার্তা। তাই আমি সবকিছু জিজ্ঞেস করেছিলাম...তবে ফুটবল ছাড়া। কারণ, আমি ফুটবল সম্পর্কে জানতাম।’
সিগারেটের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই যেন অর্ধেক জীবন পার করেছেন মেনোত্তি। কার্লো আনচেলত্তি বা মাউরিসিও সারিকে টাচলাইনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ সুখটান দিতে নিশ্চয় দেখেছেন? ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে এমন দৃশ্যকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন মেনোত্তি। আর লম্বা চুল ঝাঁকিয়ে বলতেন, ‘আমি কখনো সেলুনে যাই না। নিজের চুল নিজেই কাটি।’ ক্যানসারের কারণে ১৬ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন মেনোত্তি। সে সময় থেকে ‘চেইন স্মোকার’ হয়ে ওঠা মেনোত্তি ধূমপান সম্পর্কে সাফাই গেয়েছিলেন এভাবে, ‘একাকিত্বের সময়ে আমার বন্ধু’। তবে ২০১১ সালে ফুসফুস অপারেশনের পর সেই ‘বন্ধু’কে ছাড়তে হয়েছিল।
আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা ও ২০২২ সালে বিশ্বকাপ এনে দেন মেসি। তাঁদের মনে সাফল্যের বীজমন্ত্র রুয়ে দিয়েছিলেন মেনোত্তিই। তাঁর অধীনে ঘরের মাটিতে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে মারিও কেম্পেস-ড্যানিয়েল প্যাসারেলারা পান অমরত্বের স্বাদ। তবে এই বিশ্বকাপটিতে রয়ে গেছে ‘কলঙ্কের দাগ’। সে সময় আর্জেন্টিনার শাসনে জান্তা সরকার। আলবিসেলেস্তেদের বিশ্বকাপ জেতাতে প্রেসিডেন্ট হোর্হে রাফায়েল ভিদেলা প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলেও শোনা যায়। ফাইনালের পর সামরিক শাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে মেনোত্তি তাঁর সঙ্গে হাত পর্যন্ত মেলাননি।
আকর্ষণীয় ও আক্রমণাত্মক ফুটবলের ঘোর সমর্থক ছিলেন মায়েস্ত্রো মেনোত্তি। একেবারে কেতাদুরস্ত ফুটবল পছন্দ করতেন না। এখনকার খুব বেশি শৃঙ্খলিত ফুটবল দেখে তিনি বলেছিলেন, ‘যখন তারা ৪-৩-৩, ৪-২-২, ৪-৩-১-২...আমার কাছে এসবকে মনে হয় ফোন নম্বর।’ নিজের অশৃঙ্খলিত বুনো সৌন্দর্য হয়তো তিনি পরে দেখেছিলেন ম্যারাডোনার মধ্যে। দুজনের সম্পর্ক যে খুব ভালো ছিল তা-ও নয়। ১৯৭৮ বিশ্বকাপের আগে ১৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে দল থেকে বাদ না দিলে হয়তো ছিয়াশির মহানায়কের পাশে লেখা থাকত দুটি বিশ্বকাপ। অবশ্য পরে গুরু-শিষ্য হিসেবে এক মৌসুম বার্সেলোনাতেও ছিলেন মেনোত্তি-ম্যারাডোনা। মেনোত্তি কাজ করেছেন মেসিদের সঙ্গেও। তিনি আর্জেন্টিনার ফুটবলের পরিচালক হওয়ার পরেই ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতে আকাশি-নীলরা।

সান্তোসে ছিলেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলের সতীর্থ। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তুলে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার জার্সি। বেশ জোর গলায় প্রশংসা করতেন মারিও বেনেদেত্তি, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, হোর্হে লুইস বোর্হেস, মারিও সাবাতো ও হোয়ান ম্যানুয়েল সেরেটের মতো লাতিন সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী ও চিত্রনির্মাতাদের। নিজেও কিসে কম ছিলেন সিজার লুইস মেনোত্তি? তাঁর মতন বর্ণাঢ্য ও বিচিত্র জীবন আর কেই-বা পেয়েছেন!
মেনোত্তি শুধু কোচই ছিলেন না; শুধু ডাগআউটে দাঁড়িয়ে জীবন পার করেননি। ছিলেন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। আর্জেন্টিনার কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। ভালোবাসতেন বক্সিং। লম্বা-চিকন মানুষটির ঠোঁটে সিগারেট লেগেই থাকত। কোচ পেপ গার্দিওলাকে ফুটবলের ‘চে গেভারা’ উপাধিটিও দিয়েছিলেন তিনি। তবে সব ছাপিয়ে মেনোত্তি অমর হয়ে আছেন আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জিতিয়ে। এমন একজন মানুষকে হারাল বিশ্ব। গতকাল ৮৫ বছর বয়সী মেনোত্তির মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)। নিজের শহর রোজারিওর কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে লিওনেল মেসি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘আমাদের অন্যতম ফুটবল কিংবদন্তিকে হারালাম।’
গুরু মেনোত্তি সম্পর্কে মৃত্যুর এক বছর আগে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘তিনি আমাদের জার্মানদের চেয়েও বেশি দৌড়াতে এবং ব্রাজিলিয়ানদের মতন খেলতে বাধ্য করতেন। ফ্লাকো, আমি তোমাকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসি।’ প্রায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বার মানুষটিকে ভালো না বেসে উপায় কী! তিনিই যে ছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলের ‘আর্কিটেক্ট’! লম্বা ও চিকন গড়নের জন্য তাঁকে সবাই ডাকত ‘এল ফ্লাকো’ বা ‘চিকনা’। ফুটবলকে শুধু মাঠের লড়াই নয়, শিল্প হিসেবে দেখতেন মেনোত্তি। এ কারণেই হয়তো তিনি এভাবে বলতে পেরেছিলেন, ‘শিল্প-সাহিত্যকে শৃঙ্খলা ও দুঃসাহসিক কাজ বলতেন বোর্হেস, তেমনি ফুটবলও। যদি আপনি খুব সংগঠিত হন, তবে দলটি বিরক্তিকর ঠেকবে, সংগীতের ক্ষেত্রেও এমনটা মনে হতে পারে।’
ফুটবলকে এমন হৃদয় দিয়ে আর কজনই-বা উপলব্ধি করতে পেরেছেন? বোর্হেসের প্রসঙ্গ যখন এল, মেনোত্তির শেষ সাক্ষাৎকারে এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি সাহিত্যিককে নিয়ে তাঁর একটি আলাপন শোনা যাক, ‘একবার আমি বোর্হেসের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমার ধূমপান বিরক্ত করছে কি না। তিনি বললেন, যা আমাকে উত্তেজিত করে তা সিগারেট নয়, বোকা কথাবার্তা। তাই আমি সবকিছু জিজ্ঞেস করেছিলাম...তবে ফুটবল ছাড়া। কারণ, আমি ফুটবল সম্পর্কে জানতাম।’
সিগারেটের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই যেন অর্ধেক জীবন পার করেছেন মেনোত্তি। কার্লো আনচেলত্তি বা মাউরিসিও সারিকে টাচলাইনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ সুখটান দিতে নিশ্চয় দেখেছেন? ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে এমন দৃশ্যকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন মেনোত্তি। আর লম্বা চুল ঝাঁকিয়ে বলতেন, ‘আমি কখনো সেলুনে যাই না। নিজের চুল নিজেই কাটি।’ ক্যানসারের কারণে ১৬ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন মেনোত্তি। সে সময় থেকে ‘চেইন স্মোকার’ হয়ে ওঠা মেনোত্তি ধূমপান সম্পর্কে সাফাই গেয়েছিলেন এভাবে, ‘একাকিত্বের সময়ে আমার বন্ধু’। তবে ২০১১ সালে ফুসফুস অপারেশনের পর সেই ‘বন্ধু’কে ছাড়তে হয়েছিল।
আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা ও ২০২২ সালে বিশ্বকাপ এনে দেন মেসি। তাঁদের মনে সাফল্যের বীজমন্ত্র রুয়ে দিয়েছিলেন মেনোত্তিই। তাঁর অধীনে ঘরের মাটিতে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে মারিও কেম্পেস-ড্যানিয়েল প্যাসারেলারা পান অমরত্বের স্বাদ। তবে এই বিশ্বকাপটিতে রয়ে গেছে ‘কলঙ্কের দাগ’। সে সময় আর্জেন্টিনার শাসনে জান্তা সরকার। আলবিসেলেস্তেদের বিশ্বকাপ জেতাতে প্রেসিডেন্ট হোর্হে রাফায়েল ভিদেলা প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলেও শোনা যায়। ফাইনালের পর সামরিক শাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে মেনোত্তি তাঁর সঙ্গে হাত পর্যন্ত মেলাননি।
আকর্ষণীয় ও আক্রমণাত্মক ফুটবলের ঘোর সমর্থক ছিলেন মায়েস্ত্রো মেনোত্তি। একেবারে কেতাদুরস্ত ফুটবল পছন্দ করতেন না। এখনকার খুব বেশি শৃঙ্খলিত ফুটবল দেখে তিনি বলেছিলেন, ‘যখন তারা ৪-৩-৩, ৪-২-২, ৪-৩-১-২...আমার কাছে এসবকে মনে হয় ফোন নম্বর।’ নিজের অশৃঙ্খলিত বুনো সৌন্দর্য হয়তো তিনি পরে দেখেছিলেন ম্যারাডোনার মধ্যে। দুজনের সম্পর্ক যে খুব ভালো ছিল তা-ও নয়। ১৯৭৮ বিশ্বকাপের আগে ১৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে দল থেকে বাদ না দিলে হয়তো ছিয়াশির মহানায়কের পাশে লেখা থাকত দুটি বিশ্বকাপ। অবশ্য পরে গুরু-শিষ্য হিসেবে এক মৌসুম বার্সেলোনাতেও ছিলেন মেনোত্তি-ম্যারাডোনা। মেনোত্তি কাজ করেছেন মেসিদের সঙ্গেও। তিনি আর্জেন্টিনার ফুটবলের পরিচালক হওয়ার পরেই ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতে আকাশি-নীলরা।

পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
২৯ মিনিট আগে
এই ভালো, এই খারাপ। ঘরোয়া ফুটবলে এমনই সময় কাটছে আবাহনী লিমিটেডের। আজ ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৫-০ গোলে হারিয়ে লিগে জয়ে ফিরেছে তারা। জোড়া গোল করেছেন সুলেমান দিয়াবাতে।
১ ঘণ্টা আগে
লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
পার্থ টেস্টে ফিল্ডিংয়ের শেষের দিকে মাঠের বাইরে ছিলেন খাজা। এজন্য ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি। ব্যাট করতে নামেন ৪ নম্বরে। মাত্র ২ রান করে ফেরেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ওপেনিং করতে নেমে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন হেড।
ব্রিজবেনের গোলাপি টেস্টেও ওপেনিং করতে নামেন তিনি। এ যাত্রায় দুই ইনিংসে এই মারকুটে ব্যাটার করেন ৩৩ ও ২২ রান। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে সুস্থ হওয়ায় ওপেনিংয়ে ফেরার সুযোগ থাকছে খাজার। তবে সেটা নির্ভর করছে নির্বাচক এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর।
খাজা বলেন, ‘আমি একাদশে ফিরতে চাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি জানি না কী হবে। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝেছি—কোন বিষয়গুলো আমার নিয়ন্ত্রণে, আর কোনগুলো নয়। ফিটনেসের দিক থেকে আমি বর্তমানে খুব ভালো অনুভব করছি। আমি খেলার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই দেখা যাক কী হয়।’
সুস্থ হওয়ার জন্য গত সপ্তাহে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন খাজা, ‘আমি এখন খেলার জন্য শতভাগ ফিট আছি। পার্থ টেস্টের আগেও আমি নিজেকে শতভাগই মনে করেছিলাম। কিছু বিষয় এমনই হয়। ফিট হওয়ার জন্য যা করা দরকার আমি ঠিক তাই করেছি। গত এক সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রম করেছি। আসলে তখন শুধু রিহ্যাবই করতে হয়েছে। এটা আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। কারণ ইনজুরিতে পড়লে কাজটা আরও বেশি করতে হয়।’

পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
পার্থ টেস্টে ফিল্ডিংয়ের শেষের দিকে মাঠের বাইরে ছিলেন খাজা। এজন্য ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি। ব্যাট করতে নামেন ৪ নম্বরে। মাত্র ২ রান করে ফেরেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ওপেনিং করতে নেমে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন হেড।
ব্রিজবেনের গোলাপি টেস্টেও ওপেনিং করতে নামেন তিনি। এ যাত্রায় দুই ইনিংসে এই মারকুটে ব্যাটার করেন ৩৩ ও ২২ রান। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে সুস্থ হওয়ায় ওপেনিংয়ে ফেরার সুযোগ থাকছে খাজার। তবে সেটা নির্ভর করছে নির্বাচক এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর।
খাজা বলেন, ‘আমি একাদশে ফিরতে চাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি জানি না কী হবে। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝেছি—কোন বিষয়গুলো আমার নিয়ন্ত্রণে, আর কোনগুলো নয়। ফিটনেসের দিক থেকে আমি বর্তমানে খুব ভালো অনুভব করছি। আমি খেলার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই দেখা যাক কী হয়।’
সুস্থ হওয়ার জন্য গত সপ্তাহে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন খাজা, ‘আমি এখন খেলার জন্য শতভাগ ফিট আছি। পার্থ টেস্টের আগেও আমি নিজেকে শতভাগই মনে করেছিলাম। কিছু বিষয় এমনই হয়। ফিট হওয়ার জন্য যা করা দরকার আমি ঠিক তাই করেছি। গত এক সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রম করেছি। আসলে তখন শুধু রিহ্যাবই করতে হয়েছে। এটা আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। কারণ ইনজুরিতে পড়লে কাজটা আরও বেশি করতে হয়।’

সান্তোসে ছিলেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলের সতীর্থ। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তুলে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার জার্সি। বেশ জোর গলায় প্রশংসা করতেন মারিও বেনেদেত্তি, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, হোর্হে লুইস বোর্হেস, মারিও সাবাতো ও হোয়ান ম্যানুয়েল সেরেটের মতো লাতিন সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী
০৭ মে ২০২৪
এই ভালো, এই খারাপ। ঘরোয়া ফুটবলে এমনই সময় কাটছে আবাহনী লিমিটেডের। আজ ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৫-০ গোলে হারিয়ে লিগে জয়ে ফিরেছে তারা। জোড়া গোল করেছেন সুলেমান দিয়াবাতে।
১ ঘণ্টা আগে
লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এই ভালো, এই খারাপ। ঘরোয়া ফুটবলে এমনই সময় কাটছে আবাহনী লিমিটেডের। আজ ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৫-০ গোলে হারিয়ে লিগে জয়ে ফিরেছে তারা। জোড়া গোল করেছেন সুলেমান দিয়াবাতে।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই ৩ গোল আদায় করে আবাহনী। ৩২ মিনিটে কাজেম শাহর পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন দিয়াবাতে। ৪১ মিনিটে মিরাজুল মিরাজুল ইসলামের সহায়তায় এক ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে মিরাজুল নিজেও নাম লেখান গোলের খাতায়। তাঁর সাইড ভলিতে গতি না থাকলেও ফকিরেরপুল গোলরক্ষক সঞ্জু আহমেদ বলকে জালে যাওয়া থেকে আটকাতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে অবশ্য বেশি সময় অপেক্ষা করা লাগে আকাশি-নীল সমর্থকদের। ৭৯ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন শেখ মোরসালিন। বক্সে ঢুকে নিচু শটে জাল কাঁপান তিনি। ৮৬ মিনিটে ফকিরেরপুলের কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন আল আমিন।
বড় জয়ে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে আবাহনী। পেছনে ফেলেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। ৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে সাদা কালোরা। আর ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস।
দিনের অপর ম্যাচে মাঠে নিয়েই যত আলোচনা। বাংলাদেশ পুলিশ ও পিডব্লিউডি’র মধ্যকার খেলা হওয়ার কথা ছিল গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে। দুই দলেরই এটি হোম ভেন্যু। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভেন্যু বদলে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় হয়েছে ম্যাচটি। যদিও গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল। এই ড্রয়ে পুলিশ ৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে। পিডব্লিউডি ৬ পয়েন্ট নিয়ে আটে উঠে এসেছে।
ভেন্যু বদলের কারণ হিসেবে লিগ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ম্যাচের নির্ধারিত ভেন্যু ছিল গাজীপুর। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছিলাম খেলার সময় প্রয়োজনে এগিয়ে, দ্রুত মাঠ ছেড়ে দেয়ার। জেলা প্রশাসন আমাদের মাঠ দিতে পারেনি এজন্য ভেন্যু পরিবর্তন হয়েছে।’

এই ভালো, এই খারাপ। ঘরোয়া ফুটবলে এমনই সময় কাটছে আবাহনী লিমিটেডের। আজ ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৫-০ গোলে হারিয়ে লিগে জয়ে ফিরেছে তারা। জোড়া গোল করেছেন সুলেমান দিয়াবাতে।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই ৩ গোল আদায় করে আবাহনী। ৩২ মিনিটে কাজেম শাহর পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন দিয়াবাতে। ৪১ মিনিটে মিরাজুল মিরাজুল ইসলামের সহায়তায় এক ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে মিরাজুল নিজেও নাম লেখান গোলের খাতায়। তাঁর সাইড ভলিতে গতি না থাকলেও ফকিরেরপুল গোলরক্ষক সঞ্জু আহমেদ বলকে জালে যাওয়া থেকে আটকাতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে অবশ্য বেশি সময় অপেক্ষা করা লাগে আকাশি-নীল সমর্থকদের। ৭৯ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন শেখ মোরসালিন। বক্সে ঢুকে নিচু শটে জাল কাঁপান তিনি। ৮৬ মিনিটে ফকিরেরপুলের কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন আল আমিন।
বড় জয়ে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে আবাহনী। পেছনে ফেলেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। ৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে সাদা কালোরা। আর ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস।
দিনের অপর ম্যাচে মাঠে নিয়েই যত আলোচনা। বাংলাদেশ পুলিশ ও পিডব্লিউডি’র মধ্যকার খেলা হওয়ার কথা ছিল গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে। দুই দলেরই এটি হোম ভেন্যু। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভেন্যু বদলে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় হয়েছে ম্যাচটি। যদিও গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল। এই ড্রয়ে পুলিশ ৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে। পিডব্লিউডি ৬ পয়েন্ট নিয়ে আটে উঠে এসেছে।
ভেন্যু বদলের কারণ হিসেবে লিগ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ম্যাচের নির্ধারিত ভেন্যু ছিল গাজীপুর। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছিলাম খেলার সময় প্রয়োজনে এগিয়ে, দ্রুত মাঠ ছেড়ে দেয়ার। জেলা প্রশাসন আমাদের মাঠ দিতে পারেনি এজন্য ভেন্যু পরিবর্তন হয়েছে।’

সান্তোসে ছিলেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলের সতীর্থ। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তুলে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার জার্সি। বেশ জোর গলায় প্রশংসা করতেন মারিও বেনেদেত্তি, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, হোর্হে লুইস বোর্হেস, মারিও সাবাতো ও হোয়ান ম্যানুয়েল সেরেটের মতো লাতিন সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী
০৭ মে ২০২৪
পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
২৯ মিনিট আগে
লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।
হোটল থেকে মেসিকে যুব ভারতী স্টেডিয়ামে নেওয়ার পরই গন্ডগোলের শুরু। একদল লোক মেসিকে ঘিরে রাখলে গ্যালারির দর্শকদের আড়াল হয়ে যান তিনি। টাকা দিয়ে টিকিট কেটে মেসিকে এক নজর দেখতে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দর্শকেরা। মাঠের ফেন্সিং টপকে মাঠে ঢুকে পড়ে দর্শকেরা। দর্শকদের লুট-তারাজ, ভাঙচুরের শিকার হয় যুব ভারতী। এই অরাজকতার জন্য দায়ী করা হচ্ছে মেসির ভারত সফরের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। তাঁকে আটকের জানিয়েছে ভারতের পত্রপত্রিকা।
বিমানবন্দরে মেসিদের বিদায় দিতে গিয়েছিলেন শতদ্রু। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
যাঁরা টিকিট কেটে মাঠে ঢুকেছেন কিন্তু মেসিকে দেখতে পাননি, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে মুচলেকা দিয়েছেন শতদ্রু দত্ত।

লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।
হোটল থেকে মেসিকে যুব ভারতী স্টেডিয়ামে নেওয়ার পরই গন্ডগোলের শুরু। একদল লোক মেসিকে ঘিরে রাখলে গ্যালারির দর্শকদের আড়াল হয়ে যান তিনি। টাকা দিয়ে টিকিট কেটে মেসিকে এক নজর দেখতে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দর্শকেরা। মাঠের ফেন্সিং টপকে মাঠে ঢুকে পড়ে দর্শকেরা। দর্শকদের লুট-তারাজ, ভাঙচুরের শিকার হয় যুব ভারতী। এই অরাজকতার জন্য দায়ী করা হচ্ছে মেসির ভারত সফরের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। তাঁকে আটকের জানিয়েছে ভারতের পত্রপত্রিকা।
বিমানবন্দরে মেসিদের বিদায় দিতে গিয়েছিলেন শতদ্রু। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
যাঁরা টিকিট কেটে মাঠে ঢুকেছেন কিন্তু মেসিকে দেখতে পাননি, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে মুচলেকা দিয়েছেন শতদ্রু দত্ত।

সান্তোসে ছিলেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলের সতীর্থ। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তুলে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার জার্সি। বেশ জোর গলায় প্রশংসা করতেন মারিও বেনেদেত্তি, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, হোর্হে লুইস বোর্হেস, মারিও সাবাতো ও হোয়ান ম্যানুয়েল সেরেটের মতো লাতিন সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী
০৭ মে ২০২৪
পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
২৯ মিনিট আগে
এই ভালো, এই খারাপ। ঘরোয়া ফুটবলে এমনই সময় কাটছে আবাহনী লিমিটেডের। আজ ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৫-০ গোলে হারিয়ে লিগে জয়ে ফিরেছে তারা। জোড়া গোল করেছেন সুলেমান দিয়াবাতে।
১ ঘণ্টা আগে
লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘সল্টলেক স্টেডিয়াম শনিবার যে অব্যবস্থা দেখা গেল, তাতে আমি বিচলিত এবং স্তম্ভিত। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি লিওনেল মেসি, সকল ক্রীড়াপ্রেমী এবং তাঁর ভক্তদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
পূর্ব নির্ধারিত আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুবভারতী স্টেডিয়ামে যান মেসি। সেখানেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। মেসি গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাবেক ফুটবলার এবং সেলিব্রেটিরা। ভিড়ে পড়ে বেশ বিরক্ত ছিলেন মেসি এবং তাঁর দুই সতীর্থ দি পল ও সুয়ারেজ। এমন ভিড়ের কারণে গ্যালারি থেকে মেসিকে দেখতে পাননি ভক্তরা। চড়া দামে টিকিট কিনে বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলারকে না দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সবাই। শুরু হয় ‘উই ওয়ান্ট মেসি’ স্লোগান।
পরিস্থিতি খারাপ দেখে ১২টার কিছুক্ষণ আগে মেসিকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্যালারি থেকে একের পর এক বোতল ছোড়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় গ্যালারির চেয়ার। বোতলের মতো ভাঙা চেয়ারও ছোড়া হয় মাঠে। কয়েকজন আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা করেন পুলিশ সদস্যরা। তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি।
গ্যালারির সীমানা ভাঙেন উত্তেজিত ভক্তরা। একপর্যায়ে মাঠে ঢুকে পড়েন দুই-আড়াই হাজার মানুষ। কয়েকজন ছিঁড়ে ফেলেন গোল পোস্টের জাল। ভেঙে ফেলেন সাজঘরে যাওয়ার ট্যানেলের ছাউনি। মাঠের পাশে রাখা সোফা পোড়ানো হয়। উপড়ে ফেলা হয় তাঁবুসহ একাধিক জিনিস। এককথায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় যুবভারতী। অনেকে তো মাঠের কার্পেট, ফুলের টবসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে স্টেডিয়াম থেকে বের হন। সব মিলিয়ে বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল ভেন্যুটির।

লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘সল্টলেক স্টেডিয়াম শনিবার যে অব্যবস্থা দেখা গেল, তাতে আমি বিচলিত এবং স্তম্ভিত। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি লিওনেল মেসি, সকল ক্রীড়াপ্রেমী এবং তাঁর ভক্তদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
পূর্ব নির্ধারিত আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুবভারতী স্টেডিয়ামে যান মেসি। সেখানেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। মেসি গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাবেক ফুটবলার এবং সেলিব্রেটিরা। ভিড়ে পড়ে বেশ বিরক্ত ছিলেন মেসি এবং তাঁর দুই সতীর্থ দি পল ও সুয়ারেজ। এমন ভিড়ের কারণে গ্যালারি থেকে মেসিকে দেখতে পাননি ভক্তরা। চড়া দামে টিকিট কিনে বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলারকে না দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সবাই। শুরু হয় ‘উই ওয়ান্ট মেসি’ স্লোগান।
পরিস্থিতি খারাপ দেখে ১২টার কিছুক্ষণ আগে মেসিকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্যালারি থেকে একের পর এক বোতল ছোড়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় গ্যালারির চেয়ার। বোতলের মতো ভাঙা চেয়ারও ছোড়া হয় মাঠে। কয়েকজন আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা করেন পুলিশ সদস্যরা। তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি।
গ্যালারির সীমানা ভাঙেন উত্তেজিত ভক্তরা। একপর্যায়ে মাঠে ঢুকে পড়েন দুই-আড়াই হাজার মানুষ। কয়েকজন ছিঁড়ে ফেলেন গোল পোস্টের জাল। ভেঙে ফেলেন সাজঘরে যাওয়ার ট্যানেলের ছাউনি। মাঠের পাশে রাখা সোফা পোড়ানো হয়। উপড়ে ফেলা হয় তাঁবুসহ একাধিক জিনিস। এককথায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় যুবভারতী। অনেকে তো মাঠের কার্পেট, ফুলের টবসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে স্টেডিয়াম থেকে বের হন। সব মিলিয়ে বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল ভেন্যুটির।

সান্তোসে ছিলেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলের সতীর্থ। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তুলে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার জার্সি। বেশ জোর গলায় প্রশংসা করতেন মারিও বেনেদেত্তি, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, হোর্হে লুইস বোর্হেস, মারিও সাবাতো ও হোয়ান ম্যানুয়েল সেরেটের মতো লাতিন সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী
০৭ মে ২০২৪
পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
২৯ মিনিট আগে
এই ভালো, এই খারাপ। ঘরোয়া ফুটবলে এমনই সময় কাটছে আবাহনী লিমিটেডের। আজ ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৫-০ গোলে হারিয়ে লিগে জয়ে ফিরেছে তারা। জোড়া গোল করেছেন সুলেমান দিয়াবাতে।
১ ঘণ্টা আগে
লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে