ক্রীড়া ডেস্ক
চ্যাম্পিয়নস লিগে সাধারণত প্রতিপক্ষদের উড়িয়ে দিতেই অভ্যস্ত রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু গতকাল ইতিহাদে টুর্নামেন্টের সেরা দলই উড়ে গেছে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে। এতে করে সর্বোচ্চ ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা মহাদেশিয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের রেকর্ড গড়েছে।
হিসেবটা অবশ্য শুধুই চ্যাম্পিয়নস লিগ নামে। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে এই নামে টুর্নামেন্টে শুরুর পর এটি যৌথভাবে রিয়ালের সর্বোচ্চ হার। ৪-০ ব্যবধানে এর আগে আরেক ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের কাছে হেরেছে রিয়াল। এই নামের আগে ইউরোপিয়ান কাপ মিলিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ব্যবধানের হারটি হচ্ছে ৫-০ গোলের। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমের ইউরোপিয়ান কাপে এসি মিলানের এত ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছিল লস ব্ল্যাংকোসরা।
রিয়ালের এমন ধরাশায়ী হওয়ার সময় চলুন দেখে নেওয়া যাক চ্যাম্পিয়নস লিগে তাদের অন্য বড় হারগুলো-
ম্যানসিটি ৪-০ রিয়াল মাদ্রিদ, ১৭ মে ২০২৩
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখে নিশ্চয়ই কেউ কল্পনা করেনি রিয়াল মাদ্রিদ এভাবে বিধ্বস্ত হবে। এ ছাড়া সর্বশেষ মৌসুমেও ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। কিন্তু এবার তারাই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল। প্রতিপক্ষের কাছে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হলো। দ্বিতীয় লেগে লস ব্ল্যাংকোসদের ৪-০ গোলে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে উঠার পথে প্রতিপক্ষকে ম্যাচে দাঁড়াতেই দেয়নি সিটিজেনরা। এই হার যৌথভাবে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালে সর্বোচ্চ পরাজয়। সিটির হয়ে জোড়া গোল করেছেন বার্নাদো সিলভা। আর একটি করে গোল করেছেন ম্যানুয়েল অ্যাকেঞ্জি ও জুলিয়ান আলভারেজ।
লিভারপুল ৪-০ রিয়াল মাদ্রিদ, ১০ মার্চ ২০০৯
ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৪-০ গোলের হারার আগে সমান ব্যবধানে আরেকবার পরাজিত হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেবার এমন হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছিল লিভারপুলের কাছে। ২০০৯ সালের ১০ মার্চ শেষ ষোলোর ম্যাচে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছিল রিয়াল। সেদিন অলরেডদের সিলভা ছিলেন ফার্নান্দো তোরেস। আর অ্যাকেঞ্জি ও আলভারেজের মতো একটি করে গোল করেছিলেন স্টিভেন জেরাড ও আন্দ্রে দোসেনা।
রিয়াল মাদ্রিদ ১-৪ আয়াক্স, ৫ মার্চ ২০১৯
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে রিয়াল মাদ্রিদকে নিজেদের মাঠে সবচেয়ে বড় পরাজয় দেখতে হয়েছিল ৫ মার্চ ২০১৯ সালে। শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে আয়াক্সের কাছে ৪-১ গোলে নিজেদের সমর্থকদের সামনে হারতে হয়েছিল রিয়ালকে। অথচ, প্রথম লেগের ২-১ গোলের জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে খেলতে নেমেছিল সান্তিয়াগো সোলারির শিষ্যরা। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস বুমেরাং করে দেন আয়াক্সের তরুণ জুটি হাকিম জিয়েখ-দুসান তাদিচরা। দুজনের সঙ্গে অন্য গোল দুটি করেছেন দাভিদ নেরেস ও ল্যাস শোনে। তাঁদের রূপকথা লেখার সময় বার্নাব্যুতে পিনপতন নীরবতা নেমে এসেছিল। রিয়ালের হয়ে ব্যবধান কমানো গোলটি করেন বদলি নামা মার্কো অ্যাসেনসিও।
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৪-১ রিয়াল মাদ্রিদ, ২৪ এপ্রিল ২০১৩
২০১২-১৩ মৌসুমের সেমিফাইনালে রবার্ট লেভানডভস্কির কাছে লন্ডভন্ড হয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। সেদিন একাই ৪ গোল করেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের স্ট্রাইকার। তাঁর এমন কীর্তির সামনে ম্লান হয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-মেসুত ওজিল-লুকা মদরিচরা। দলের হয়ে এক গোল করেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদো।
বায়ার্ন মিউনিখ ৪-১ রিয়াল মাদ্রিদ, ৮ মার্চ ২০০০
১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে জার্মানির আরেক ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছেও ৪-১ ব্যবধানে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বায়ার্নের হয়ে সেদিন আলেক্সজান্ডার জিকলারের জোড়া গোলের সঙ্গে বাকি দুটি গোল করেন মেহমেট স্কুল ও জিওভানি এলবার। আর রিয়ালের হয়ে ব্যবধান কমানো গোলটি করেন ইভান হেলগুয়েরা। দ্বিতীয় পর্বের সে ম্যাচে হেরে জার্মানি থেকে হতাশ নিয়ে রিয়াল ফিরলেও টুর্নামেন্টের শেষ হাসি তাদের মুখেই ছিল। ফাইনালে স্বদেশি ক্লাব ভালেন্সিয়াকে হারিয়ে ৮ বারের মতো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লস ব্ল্যাংকোসরা।
চ্যাম্পিয়নস লিগে সাধারণত প্রতিপক্ষদের উড়িয়ে দিতেই অভ্যস্ত রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু গতকাল ইতিহাদে টুর্নামেন্টের সেরা দলই উড়ে গেছে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে। এতে করে সর্বোচ্চ ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা মহাদেশিয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের রেকর্ড গড়েছে।
হিসেবটা অবশ্য শুধুই চ্যাম্পিয়নস লিগ নামে। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে এই নামে টুর্নামেন্টে শুরুর পর এটি যৌথভাবে রিয়ালের সর্বোচ্চ হার। ৪-০ ব্যবধানে এর আগে আরেক ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের কাছে হেরেছে রিয়াল। এই নামের আগে ইউরোপিয়ান কাপ মিলিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ব্যবধানের হারটি হচ্ছে ৫-০ গোলের। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমের ইউরোপিয়ান কাপে এসি মিলানের এত ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছিল লস ব্ল্যাংকোসরা।
রিয়ালের এমন ধরাশায়ী হওয়ার সময় চলুন দেখে নেওয়া যাক চ্যাম্পিয়নস লিগে তাদের অন্য বড় হারগুলো-
ম্যানসিটি ৪-০ রিয়াল মাদ্রিদ, ১৭ মে ২০২৩
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখে নিশ্চয়ই কেউ কল্পনা করেনি রিয়াল মাদ্রিদ এভাবে বিধ্বস্ত হবে। এ ছাড়া সর্বশেষ মৌসুমেও ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। কিন্তু এবার তারাই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল। প্রতিপক্ষের কাছে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হলো। দ্বিতীয় লেগে লস ব্ল্যাংকোসদের ৪-০ গোলে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে উঠার পথে প্রতিপক্ষকে ম্যাচে দাঁড়াতেই দেয়নি সিটিজেনরা। এই হার যৌথভাবে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালে সর্বোচ্চ পরাজয়। সিটির হয়ে জোড়া গোল করেছেন বার্নাদো সিলভা। আর একটি করে গোল করেছেন ম্যানুয়েল অ্যাকেঞ্জি ও জুলিয়ান আলভারেজ।
লিভারপুল ৪-০ রিয়াল মাদ্রিদ, ১০ মার্চ ২০০৯
ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৪-০ গোলের হারার আগে সমান ব্যবধানে আরেকবার পরাজিত হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেবার এমন হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছিল লিভারপুলের কাছে। ২০০৯ সালের ১০ মার্চ শেষ ষোলোর ম্যাচে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছিল রিয়াল। সেদিন অলরেডদের সিলভা ছিলেন ফার্নান্দো তোরেস। আর অ্যাকেঞ্জি ও আলভারেজের মতো একটি করে গোল করেছিলেন স্টিভেন জেরাড ও আন্দ্রে দোসেনা।
রিয়াল মাদ্রিদ ১-৪ আয়াক্স, ৫ মার্চ ২০১৯
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে রিয়াল মাদ্রিদকে নিজেদের মাঠে সবচেয়ে বড় পরাজয় দেখতে হয়েছিল ৫ মার্চ ২০১৯ সালে। শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে আয়াক্সের কাছে ৪-১ গোলে নিজেদের সমর্থকদের সামনে হারতে হয়েছিল রিয়ালকে। অথচ, প্রথম লেগের ২-১ গোলের জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে খেলতে নেমেছিল সান্তিয়াগো সোলারির শিষ্যরা। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস বুমেরাং করে দেন আয়াক্সের তরুণ জুটি হাকিম জিয়েখ-দুসান তাদিচরা। দুজনের সঙ্গে অন্য গোল দুটি করেছেন দাভিদ নেরেস ও ল্যাস শোনে। তাঁদের রূপকথা লেখার সময় বার্নাব্যুতে পিনপতন নীরবতা নেমে এসেছিল। রিয়ালের হয়ে ব্যবধান কমানো গোলটি করেন বদলি নামা মার্কো অ্যাসেনসিও।
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৪-১ রিয়াল মাদ্রিদ, ২৪ এপ্রিল ২০১৩
২০১২-১৩ মৌসুমের সেমিফাইনালে রবার্ট লেভানডভস্কির কাছে লন্ডভন্ড হয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। সেদিন একাই ৪ গোল করেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের স্ট্রাইকার। তাঁর এমন কীর্তির সামনে ম্লান হয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-মেসুত ওজিল-লুকা মদরিচরা। দলের হয়ে এক গোল করেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদো।
বায়ার্ন মিউনিখ ৪-১ রিয়াল মাদ্রিদ, ৮ মার্চ ২০০০
১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে জার্মানির আরেক ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছেও ৪-১ ব্যবধানে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বায়ার্নের হয়ে সেদিন আলেক্সজান্ডার জিকলারের জোড়া গোলের সঙ্গে বাকি দুটি গোল করেন মেহমেট স্কুল ও জিওভানি এলবার। আর রিয়ালের হয়ে ব্যবধান কমানো গোলটি করেন ইভান হেলগুয়েরা। দ্বিতীয় পর্বের সে ম্যাচে হেরে জার্মানি থেকে হতাশ নিয়ে রিয়াল ফিরলেও টুর্নামেন্টের শেষ হাসি তাদের মুখেই ছিল। ফাইনালে স্বদেশি ক্লাব ভালেন্সিয়াকে হারিয়ে ৮ বারের মতো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লস ব্ল্যাংকোসরা।
বিপিএলের প্লে-অফের একটি জায়গা নিয়ে লড়াই চলছিল দুর্বার রাজশাহী ও খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে। তবে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে উড়িয়ে প্লে-অফের শেষ টিকিটটা নিশ্চিত করল খুলনাই। মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান
৪৪ মিনিট আগেদ্বিতীয় দিনের খেলা শেষেই পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছিল শ্রীলঙ্কাকে। বৃষ্টি-আশীর্বাদে তৃতীয় দিন ম্যাচের মীমাংসা না হলেও আজ ইনিংস এবং ২৪২ রানে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির টেস্ট ইতিহাসে ইনিংস ব্যবধানে এটাই সবচেয়ে বড় হার। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটাই সবচেয়ে বড় জয় অস্ট্রেলিয়ার।
১ ঘণ্টা আগেরাজপুত্র ফিরে এসেছেন। সাও পাওলোর সান্তোস শহরে মানুষের ব্যতিব্যস্ততা বেড়ে গেছে। ভারী বর্ষণ উপেক্ষা করে শহরের মানুষ জড়ো হতে থাকে সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোয়। রাজপত্রকে বরণ করে নিতে হবে যে! সেই রাজপুত্র নেইমার।
২ ঘণ্টা আগেচলমান বিপিএলে ফিক্সিং ইস্যুতে ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার গুঞ্জনে সরগরম দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। গণমাধ্যমে এ নিয়ে ছড়ানো নানা খবরের প্রেক্ষিতে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বিজয় বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছেন এবং নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে