Ajker Patrika

শেষ মুহূর্তের গোলে বেঁচে গেল আর্জেন্টিনা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২: ৫৬
বলিভিয়াকে শেষ মুহূর্তের গোলে হারাল আর্জেন্টিনা।  ছবি: এএফপি
বলিভিয়াকে শেষ মুহূর্তের গোলে হারাল আর্জেন্টিনা। ছবি: এএফপি

দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে আর্জেন্টিনা-বলিভিয়া ম্যাচটা ড্র হওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু বয়সভিত্তিক ফুটবল হোক বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ, আর্জেন্টিনার ম্যাচে চমক না থেকে কি পারে! শেষ মুহূর্তের গোলে এবার জিতল আলবিসেলেস্তেরা।

এস্তাদিও মিসায়েল দেলগাদো স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-বলিভিয়া অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের ম্যাচটি হয়েছে গত রাতে। প্রথম ৮৫ মিনিট কোনো দলই গোল করতে পারেনি। শেষ মুহূর্তে এসে বদলে যায় ম্যাচের মোড়। ৮৬ মিনিটে তিও রদ্রিগেজ প্যাগানো এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। তাঁকে অ্যাসিস্ট করেন মিলটন দেলগাদো। শেষ পর্যন্ত বলিভিয়াকে ১-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা।

বলিভিয়া-আর্জেন্টিনা ম্যাচেও দেখা গেছে কার্ডের বন্যা। এই ম্যাচে ৭টি হলুদ কার্ড বের করতে হয়েছে রেফারিকে। বলিভিয়া পেয়েছে ৪ হলুদ কার্ড ও ব্রাজিল আর্জেন্টিনা দেখেছে ৩টি। ৩ ম্যাচের তিনটিতে হেরে ‘বি’ গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ দলের মধ্যে পাঁচেই আছে বলিভিয়া।

১-০ গোলের জয়ে ‘বি’ গ্রুপে শীর্ষে থাকা পোক্ত করল আর্জেন্টিনা। ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৭। দুইয়ে থাকা কলম্বিয়ার পয়েন্ট ৪। তারা একটি করে ম্যাচ জিতেছে ও ড্র করেছে। ইকুয়েডর অনূর্ধ্ব-২০ দলকে গত রাতে কলম্বিয়া হারিয়েছে ১-০ গোলে।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলও পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার সঙ্গে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল পয়েন্ট তালিকার চারে অবস্থান করছে। তিনে থাকা ইকুয়েডরের পয়েন্টও ৩। ব্রাজিল, ইকুয়েডর দুটি দলই দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। উভয় দলই একটি করে ম্যাচ জিতেছে ও হেরেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসলামিক সলিডারিটি গেমস

শুটিং-আর্চারি নেই, তবু পদকের আশা বাংলাদেশের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৫৩
ইসলামিক সলিডারিটি  গেমস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইসলামিক সলিডারিটি গেমস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে আগের ৫ আসর মিলিয়ে মোট আটটি পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সাতটিই এসেছে আর্চারি ও শুটিং থেকে। গেমসের ষষ্ঠ সংস্করণে রাখা হয়নি এই দুটি ডিসিপ্লিন। পদক জয়ের সম্ভাবনাও তাই অনেকটা কম। তবে আশা হারাচ্ছেন না কর্মকর্তারা।

৭ নভেম্বর থেকে সৌদি আরবের রিয়াদে শুরু হবে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস। ২৩ ডিসিপ্লিনের মধ্যে ১০ ডিসিপ্লিন—অ্যাথলেটিকস, ফেন্সিং, কারাতে, সুইমিং, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলন, কুস্তি, উশু, জুডো ও তায়কোয়ান্দো। ৩৬ অ্যাথলেটের মধ্যে সর্বোচ্চ আট অ্যাথলেট টেবিল টেনিসের।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মার্চপাস্টে লাল-সবুজের পতাকা থাকবে টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মুহতাসিন আহমেদ ও ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তারের হাতে। এবারের গেমসে শেফ দ্য মিশন হিসেবে আছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সেলিম ফকির। পদকের নিশ্চয়তা নিয়ে আজ বিওএর ডাচ-বাংলা অডিটরিয়ামে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই কিছু বলতে পারছি না। পদক জয়ের আশাও ছাড়ছি না।’

শেফ দ্য মিশনের মতো পদকের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি ফেডারেশনগুলোর কর্মকর্তারাও। তবে ক্রীড়াবিদদের প্রণোদনার কোনো কমতি নেই কারও কথাতেই। উশুর সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসানের কথা, ‘পদক জিতলে বিওএ সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জের জন্য যথাক্রমে ছয়, চার ও দুই লাখ টাকা ঘোষণা করেছে। আমরা ব্রোঞ্জ পদক জিতলেই ৫০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছি। আশা করি, উশুরা সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।’

অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সহসভাপতি ইকবাল হোসেনের কথা, ‘আমরাও প্রণোদনা দিচ্ছি। সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জের জন্য যথাক্রমে তিন, দুই ও এক লাখ টাকা ঘোষণা করেছি।’

কারাতের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয় গেমসে আমাদের পদকের ধারাবাহিকতা ছিল। এখানেও ছেলেমেয়েরা আমাদের হতাশ করবে না বলে আশা করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কী কথা হয়েছে গায়ক আসিফের

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৫৬
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে নিয়ে স্মৃতিরোমন্থন করেছেন  আসিফ আকবর। ছবি: সংগৃহীত
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে নিয়ে স্মৃতিরোমন্থন করেছেন আসিফ আকবর। ছবি: সংগৃহীত

এক সভাপতির পদ ছাড়া ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা-পর্ষদে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। নতুন নির্বাচনের পর আমিনুল ইসলাম বুলবুল ফের সভাপতি হয়েছেন। ফারুক আহমেদ, খালেদ মাসুদ পাইলট, আবদুর রাজ্জাকের মতো সাবেক ক্রিকেটাররাও আছেন বোর্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে। দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর এটাকে ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন।

দীর্ঘ ১২ বছর বিসিবি সভাপতির পদে থাকার পর নাজমুল হাসান পাপন গত বছর পদত্যাগ করেছেন। তিনি পদত্যাগের পরের ১৪ মাসে বোর্ডপ্রধান পরিবর্তন হয়েছে দুইবার। ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট বিসিবি সভাপতি হয়েছেন ফারুক। তাঁর পরিবর্তে বুলবুল এ বছরের মে মাসে বিসিবি সভাপতি হয়েছেন। এমনকি নির্বাচনের পরও বুলবুল সভাপতির দায়িত্বে আছেন। ফারুক ও মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন হয়েছেন সহসভাপতি। শাখাওয়াতের মতো চমক হয়ে বোর্ডে এসেছেন আসিফ আকবর। গায়ক থেকে তিনি বনে গেলেন বিসিবির পরিচালক। পেয়েছেন বিসিবির বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের দায়িত্ব। খালেদ মাসুদ পাইলট হয়েছেন এইচপির চেয়ারম্যান। আবদুর রাজ্জাক নারী ক্রিকেটের দায়িত্বে এসেছেন।

সাবেক ক্রিকেটাররা বিসিবিতে আসায় দেশের ক্রিকেটে অনেক উন্নতি হবে বলে মনে করেন আসিফ আকবর। বর্তমান সভাপতি বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে কী কথাবার্তা হয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তরে মিরপুরে আজ সাংবাদিকদের আসিফ বলেন, ‘বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। এখন তো বোর্ডে ক্রিকেটাররা আসছে। রাজ্জাক, পাইলট এসেছে। ট্যাকটিকাল দিকগুলো উন্নত হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে বের হয়ে ক্রিকেটাররা বোর্ডে আসছে। যারা সংগঠক, ক্লাব কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে কাজ করেন, আমি মনে করছি নতুন একটা জোয়ার তৈরি হবে। সংগঠকেরাই তো আসল। তারা অর্থনৈতিক ব্যাপারে সাপোর্ট দেবেন। অনেকে মাঠ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাদের মাঠমুখী করার চেষ্টা থাকবে অবশ্যই।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে এসে আজই মিরপুরে এলেন আসিফ আকবর। দীর্ঘ ২২ বছর পর এখানে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বুলবুল প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিসিবির বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের প্রধানের দায়িত্বে থাকা আসিফ স্মৃতিরোমন্থন করেছেন। সাংবাদিকদের এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গে একটা সময়. . অনেক বড় ক্রিকেটার বুলবুল ভাই। আমি অনেক ছোট। প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলেছি। বুলবুল ভাই এক দলে। আমি আরেক দলে। বুলবুল ভাইকে দেখার সুযোগ হয়েছে ছোটবেলা থেকে। তখন আমি ক্লাস টেন-ইলেভেনে পড়ি। নান্নু ভাই কিংবা ফারুক ভাইকে দেখার সুযোগ হয়েছে ছোটবেলা থেকে। পক্ষে ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন, জাভেদ ওমর বেলিম, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, জাকারিয়া, জাহাঙ্গীর।’

বয়সভিত্তিক দলে কাজ করতে কী উদ্দীপনা কাজ করছে আসিফ আকবরের—সেই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে নিজের গানের ক্যারিয়ারের কথা উল্লেখ করেছেন। মিরপুরে সাংবাদিকদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই গায়ক বলেন, ‘বাচ্চাদের ব্যাপারটা কী? বাচ্চাদের চিনি না। তারা দেশের ভবিষ্যৎ। আর জ্যেষ্ঠ নাগরিকেরা একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে চলে গেছেন বা এখনো আছেন। বাচ্চাদের ব্যাপারটা হচ্ছে আপনারা যদি আমার গানের ক্যারিয়ার দেখেন, বাংলাদেশের সব তরুণ গায়ক-গায়িকা-পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করে এসেছি। তরুণদের সঙ্গে থাকাটা মূলত নিজের তারুণ্য ধরে রাখা।’

বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজার মতো তারকারা গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন। তবু ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের পারফরম্যান্সে কোনো ভাটা পড়েনি। অভিষেক শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল, শুবমান গিল, তিলক ভার্মারা খেলছেন দুর্দান্ত। বাজে পারফরম্যান্স করলে তো বটেই, এমনকি দারুণ খেলার পরও পরের ম্যাচে একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে থাকা অনিশ্চয়তা। ভারতীয় ক্রিকেটের পাইপলাইন যেখানে এত শক্তিশালী, সেই তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা অনেক বাজে।

বয়সভিত্তিক দলে কাজ করেই দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন শক্তিশালী করতে চান আসিফ আকবর। মিরপুরে সাংবাদিকদের আজ তিনি বলেন, ‘বাচ্চারা খেলবে। বাচ্চারা ভবিষ্যতেই বড় ক্রিকেটার হবে। বয়সভিত্তিক দলে কাজ যারা করেন, তারা ভবিষ্যতের ক্রিকেটার তৈরি করবেন। সেখানে আমাদের বর্তমান ক্রিকেটার, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম থাকবে যাতে পাইপলাইনে মাত্র একজন ক্রিকেটার না থাকে। একটা স্থানের জন্য চার-পাঁচ ক্রিকেটার না থাকলে হবে না।বয়সভিত্তিক পর্যায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভালো একটা কাজ পেলাম। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দরকার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২২ বছর পর মিরপুরে আসিফ, শক্তিশালী করতে চান বিসিবির পাইপলাইন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৫০
২২ বছর পর মিরপুরে এসেছেন বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর। ছবি: সংগৃহীত
২২ বছর পর মিরপুরে এসেছেন বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর। ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেটের প্রতি গায়ক আসিফ আকবরের ভালোবাসার গল্প সেই অনেক পুরোনো। কিন্তু নানা ব্যস্ততায় গত দুই দশক মিরপুরের আঙিনায় তাঁর কোনো পদচিহ্ন পড়েনি। অবশেষে ২২ বছর পর এলেন মিরপুরে। দেশের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে কী কী করতে চান, তাঁর একটা রূপরেখা তৈরি করেছেন।

৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের সময় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর ছিলেন আমেরিকায়। প্রবাসে থেকেই অংশ নিয়েছিলেন বিসিবির নির্বাচনে। তখনই বিসিবির পরিচালক বনে যান। বোর্ডের এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যখন তাঁর কাঁধে, দেশে ফেরার পর তাই আর দেরি করলেন না। আজ চলে এলেন মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বিসিবির নবনির্বাচিত পরিচালক বলেন, ‘আজ প্রথম বিসিবিতে ঢুকলাম। এখানে এসেছি ২০০৩ সালে। তখন আরাফাত রহমান কোকো সাহেব বিসিবির হাইপারফরম্যান্সের প্রধান ছিলেন। এই মাঠের প্রত্যেকটা ইঞ্চি আমার চেনা। মিরপুর মাঠে প্রথম সাউন্ড সিস্টেম আমিই বাস্তবায়ন করি।’

সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসিফ বাংলাদেশে এসেছেন গতকাল। ক্রিকেটের প্রতি তাঁর যে কতটা অনুরাগ, সেটা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর কথায়। মিরপুরে আজ সাংবাদিকদের দেশের অন্যতম এই জনপ্রীয় সংগীতশিল্পী বলেন, ‘বোর্ডের পরিচালক ও কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার সময় ছিলাম যুক্তরাষ্ট্রে। গতকাল আমি দেশে এসেছি। আসার পরে দেখলাম এরই মধ্যে দেরি হয়ে গিয়েছে। এজন্য আজ সকালে চলে এসেছি। মাঠের সঙ্গে সম্পর্ক বহুদিনের। সেই ২০০৩-০৪ সাল থেকে। মাঠে গেলাম। ঘুরলাম, দেখলাম। যেহেতু একটা দায়িত্বে এসেছি, আমার মনে হয় দেরি করা উচিত হবে না। তাই চলে এসেছি।’

২০২০ সালে আকবর আলীর নেতৃত্বে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সাফল্য। চ্যাম্পিয়ন সেই দলের শরীফুল ইসলাম, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়রা জাতীয় দলে খেলছেন এক বছরের বেশি সময় ধরে। তবু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁদের। বয়সভিত্তিক দলে ভালো করেও কেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটা ধরে রাখতে পারেন না—এর ব্যাখ্যায় আসিফ আকবর বলেন, ‘স্কোরবোর্ড একটা ডকুমেন্টেশন। প্রতিভা তো ডকুমেন্টের বাইরের ব্যাপার। আমরা অবশ্যই প্রতিভার দিকে মনোযোগ দেব। স্কোরবোর্ড বা তাৎক্ষণিকভাবে যেখানে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল চ্যাম্পিয়ন হলো, তারা জাতীয় দলে কেন কিছু করতে পারছে না? গ্যাপটা কোথায়? অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের পরে সিনিয়র দলে নেওয়া হয়েছে। এটার জন্য বড় বড় মানুষ আছেন। আপাতত আমি বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করছি। সময় দিন। ভালো কিছু হয়ে যাবে।’

বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজার মতো তারকারা গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন। তবু ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের পারফরম্যান্সে কোনো ভাটা পড়েনি। অভিষেক শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল, শুবমান গিল, তিলক ভার্মারা খেলছেন দুর্দান্ত। বাজে পারফরম্যান্স করলে তো বটেই, এমনকি দারুণ খেলার পরও পরের ম্যাচে একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে থাকা অনিশ্চয়তা। ভারতীয় ক্রিকেটের পাইপলাইন যেখানে এত শক্তিশালী, সেই তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা অনেক বাজে।

বয়সভিত্তিক দলে কাজ করেই দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন শক্তিশালী করতে চান আসিফ আকবর। মিরপুরে সাংবাদিকদের আজ তিনি বলেন, ‘বাচ্চারা খেলবে। বাচ্চারা ভবিষ্যতেই বড় ক্রিকেটার হবে। বয়সভিত্তিক দলে কাজ যারা করেন, তারা ভবিষ্যতের ক্রিকেটার তৈরি করবেন। সেখানে আমাদের বর্তমান ক্রিকেটার, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম থাকবে যাতে পাইপলাইনে মাত্র একজন ক্রিকেটার না থাকে। একটা স্থানের জন্য চার-পাঁচ ক্রিকেটার না থাকলে হবে না।বয়সভিত্তিক পর্যায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভালো একটা কাজ পেলাম। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দরকার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বলের আঘাতে ১৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের মৃত্যু

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৩৪
অনুশীলনে বলের আঘাতে মারা গেছে  ১৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার বেন অস্টিন। ছবি: সংগৃহীত
অনুশীলনে বলের আঘাতে মারা গেছে ১৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার বেন অস্টিন। ছবি: সংগৃহীত

বেন অস্টিনের বয়স কেবল ১৭ বছর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে খেলতে পারত কি না বা খেললে কী করতে পারত, সেটা পরের কথা। কিন্তু কথায় আছে ‘মৃত্যুর কোনো দিনক্ষণ নেই’। অনুশীলন করতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এক দুর্ঘটনায় থেমে গেল তাঁর জীবনপ্রদীপ।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ব্যাটিং অনুশীলনের সময় বলের আঘাতে অস্টিনের মৃত্যু হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মেলবোর্নে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে নেটে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছিল সে। এ সময় থ্রোয়ারের ছোঁয়া এক বলে কাঁধে আঘাত পেলে গুরুতর অবস্থায় অস্টিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। লাইফ সাপোর্টে রাখা হলেও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হার মানতে হয়েছে তাকে। মোনাশ চিলড্রেনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এই তরুণ ক্রিকেটার।

বলের আঘাত অস্টিন পেয়েছিল পরশু। ফার্নট্রি গালি ক্রিকেট ক্লাবে সেদিন অনুশীলনের সময় হেলমেট পরলেও ছিল না ‘নেক গার্ড’। ওয়াংগার নামে হাতে ব্যবহৃত সাইডআর্ম থ্রোয়ারের মাধ্যমে তাকে বোলিং করা হচ্ছিল। নেক গার্ড না থাকায় কাঁধে বলের আঘাত বেশ জোরেই লেগেছে। এই দুর্ঘটনায় চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ফার্নট্রি ক্রিকেট ক্লাব এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বেনের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত আমরা। তার মৃত্যু পুরো ক্রিকেট সম্প্রদায়ের ওপর কতটা গভীর প্রভাব ফেলবে, সেটা আমরা জানি। বেন ও তার পরিবার-বন্ধু বান্ধবদের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সমবেদনা জানাচ্ছি। এই সময়ে বেনের পরিবারের প্রাইভেসি রক্ষা করার জন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ।’

সন্তান বেনের মৃত্যুতে বাবা জেস অস্টিন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন। জেস অস্টিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের সুন্দর বেনকে হারিয়ে সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত।বৃহষ্পতিবার সকালে সে মারা গেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছি এই ভেবে যে বন্ধুদের সঙ্গে নেটে এভাবেই গ্রীষ্মে ক্রিকেট খেলত সে। যে তখন নেটে বল করছিল, তার প্রতিও আমাদের সমর্থন রয়েছে।’

বলের আঘাতে বেন অস্টিনের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই ফিল হিউজের কথা মনে পড়বে ক্রিকেটপ্রেমীদের। বেনের দুর্ঘটনা ঘটেছে অনুশীলনের সময়। কিন্তু

২০১৪ সালে ঘাড়ে বলের আঘাতে হিউজ মারা গিয়েছিলেন শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে। সেই ঘটনায় বিশ্ব ক্রিকেটে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। পরবর্তীতে মাথা ও ঘাড়ে আঘাত সামলাতে সুরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। কনকাশন প্রটোকলে আনা হয় অনেক বড় পরিবর্তন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত