Ajker Patrika

হাকিমি-জিয়েশদের মতো ছেলেদের গড়ার স্বপ্ন বাবা হাকিমের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১১: ৫৭
হাকিমি-জিয়েশদের মতো ছেলেদের গড়ার স্বপ্ন বাবা হাকিমের

সাইডলাইনের বাইরে থেকে নির্দেশ দিচ্ছেন গলা ফাটিয়ে। কখনো সেটা ইংরেজিতে, আবার কখনো আরবিতে। ১০ বছর বয়সী ছেলেকে ১৫ বছর বয়সী ছেলেদের সঙ্গে খেলতে দেখে খানিকটা বিরক্তও। ছেলের দল যেমন ভালো করলে হাততালি দিচ্ছেন, খারাপ খেললে হচ্ছেন হতাশ। সবকিছু মিলিয়ে ভিনদেশি মানুষটা কাড়লেন আগ্রহ।

সামনে আগ বাড়িয়ে জানতে চাইলে ভদ্রলোক নিজেকে পরিচয় দিলেন মরোক্কান হিসেবে। মরক্কো! কাতার বিশ্বকাপে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়ে সেমিফাইনাল খেলার পর থেকেই দেশটিকে ঘিরে কৌতূহল সব দেশেই। সেই দেশের একজন ফুটবলপ্রেমীর সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ার আগ্রহের জন্ম হওয়াই স্বাভাবিক!

ফর্টিস গ্রুপের মাঠে গতকাল ৯টি যুব একাডেমি নিয়ে হয়েছে ফর্টিস ফুটবল একাডেমি ইয়ুথ কাপ। ১০ বছরের ইলিয়াস ও ৮ বছর বয়সী ইসমাইলকে টুর্নামেন্টে খেলতে নিয়ে এসেছিলেন হাকিম মাহবুবুস। জাতিতে মরোক্কান হলেও স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে হাকিমের বসবাস ডেনমার্কে। ড্যানিশ দূতাবাসে কর্মরত স্ত্রীর সুবাদেই মূলত ছয় মাস আগে বাংলাদেশে আসা। আগামী গ্রীষ্মে আবার পাড়ি জমাবেন অন্য কোনো দেশে।

মধ্যবয়সী হাকিম ফুটবলকেই করেছেন তাঁর পেশা। খেলেছেন ডেনমার্ক, সুইডেন, পোল্যান্ডের ক্লাবে। ফুটবল ছাড়ার পর এখন শখের কোচ। বাংলাদেশে এসেও বেকার বসে নেই। বাংলাদেশে থাকা ভিনদেশি কিশোরদের শেখাচ্ছেন ফুটবল। আবার নিজের ছেলেদেরও দিচ্ছেন ফুটবলের তালিম। ফর্টিসের যুব একাডেমিতে নিয়মিত ছেলেদের ফুটবল খেলাতে নিয়ে আসেন। সেই সুবাধেই একাডেমি ইয়ুথ কাপে খেলেছে তাঁর দুই ছেলে।

৮ বছর বয়সী ইসমাইল ঠিকঠাক পার করে গেলেও ১৫ বছর বয়সী বড়দের সঙ্গে ঠিক নিজেকে মেলে ধরতে পারছে না দেখে খানিকটা বিরক্তই হচ্ছিলেন হাকিম। পাঁচ বছরের বড় ছেলেদের সঙ্গে কেন খেলতে হচ্ছে ছেলেকে সেই উত্তরটাই খুঁজছিলেন তিনি। পরে অবশ্য নিজেই উত্তরটা দিলেন। জানালেন, মাঠ সংকটে বয়সভিত্তিক একাডেমির ভীষণ অভাব ঢাকায়। আর সংকটের কারণেই দল গড়াটাও কঠিন। এ কারণেই তাঁর ছেলেকে খেলতে হচ্ছে বড়দের সঙ্গে। পরামর্শ দিলেন কৃত্রিম টার্ফ বসিয়ে মাঠের ব্যবস্থাও করার।

বাংলাদেশে এসেছেন মাত্র ছয় মাস, কিন্তু হাকিম এরই মধ্যে ধরতে পেরেছেন বাংলাদেশের ফুটবলের রোগটাও। মাঠের দুই প্রান্তের গোলরক্ষকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘গোলরক্ষকদের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে বলে অহেতুক শট নেওয়া বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে দেখেছি ফুটবলাররা লম্বা লম্বা শটে খেলে। এই যে বাচ্চারা খেলছে, এদের বল কীভাবে পায়ে রাখতে হয় সেটাও শেখাতে হবে। মাঠজুড়ে বল নিয়ে খেলতে হবে। আর বয়স অনুযায়ী সঠিক দল গড়তে হবে।’

কথা প্রসঙ্গে এল বিশ্বকাপে মরক্কোর সাফল্যের কথাও। দেশকে সেমিফাইনালে খেলতে দেখাটা তাঁর কাছেও ছিল চমকের মতো। আশরাফ হাকিমি, হাকিম জিয়েশদের শেষ চারে খেলার পেছনে কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি আর মরক্কোর ফুটবল ব্যবস্থারই প্রশংসা করলেন তিনি, ‘কোচ নিজেও জাতীয় দলে খেলেছেন। তিনি ফুটবলারদের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে এনেছেন। এই দলটার অনেকেই মরক্কোর বাইরে জন্মেছে। কিন্তু কোচ সবার মধ্যে মরক্কোর জন্য ভালোবাসা তৈরি করে দিতে পেরেছেন। যাদের অন্য দেশে জন্ম তারাও মরক্কোর সংস্কৃতি নিজেদের ভেতরে ধারণ করে, ভালোবাসে। আর মরক্কোতেও ফুটবলের ব্যবস্থা দারুণ। তিনটি বেশ ভালো একাডেমি আছে সেখানে। ভালো মানের ফুটবলার তৈরি হচ্ছে নিয়মিত।’

অন্য দেশে জন্মালেও মরোক্কানদের স্বদেশপ্রেম প্রবল বলে জানালেন হাকিম। তিনি নিজেও জন্মেছেন সুইডেনে। থাকেন ডেনমার্কে। কিন্তু আরবি বলতে পারেন অনর্গল। ছেলেদের সঙ্গেও আছে আরবির চর্চা। হাকিমি-জিয়েশদের মতো ছেলেদের বিশ্বমানের ফুটবলার বানানোর স্বপ্ন হাকিমের। সেই স্বপ্নে খানিকটা বাধা পরেছে বাংলাদেশে উন্নত ফুটবল অবকাঠামো না থাকায়। তাই ইউরোপে ফিরে ছেলেদের নিয়ে স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে আবারও নেমে পড়তে চান শখের এই কোচ, ‘ইউরোপে যখন আমরা থাকি, তখন চেষ্টা করি ছেলেদের কঠোর অনুশীলনে রাখার। বাংলাদেশে অবকাঠামোর অভাব আছে ঠিকই, কিন্তু কিছু করার নেই। ইউরোপে ফিরে গেলে আবার আমরা অনুশীলনে নেমে পড়ব। আমার ছেলেরা যদি কখনো জাতীয় দলে খেলতে পারে সেটাই হবে আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাউথ এশিয়ান অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশের হতাশার দিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
৪ গুণিতক ৪০০ মিটারে অংশ নেওয়ার আগে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। ছবি: সংগৃহীত
৪ গুণিতক ৪০০ মিটারে অংশ নেওয়ার আগে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাঁচিতে আজ থেকে শুরু হয়েছে চতুর্থ সাউথ এশিয়ান সিনিয়র অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রথম দিনে হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। পদকের ধারে কাছেও যেতে পারেননি কেউ।

ছেলেদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে পঞ্চম ও ষষ্ঠ হয়েছেন বাংলাদেশের আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। দুজনের টাইমিং ছিল ১০.৮৪ সেকেন্ড। মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১২.৩৫ সেকেন্ড নিয়ে ষষ্ঠ হয়েছেন সুমাইয়া দেওয়ান। শিরিন আক্তার বাদ পড়েন হিটেই।

গত আগস্টে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সামার অ্যাথলেটিকসে দূরপাল্লার দৌড়ে আলো ছড়ান রিনকী বিশ্বাস। কিন্তু রাঁচিতে ৫০০০ মিটারে সবার শেষে দৌড় শেষ করেন তিনি। ছেলেদের ৫ মিটার দৌড়ে আল আমিনও তেমন কিছু করতে পারেননি।

৪ গুণিতক ৪০০ মিটার মিক্সড রিলেতে ৩ মিনিট ৩৮.৩১ সেকেন্ড নিয়ে চতুর্থ হয় বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পাচ্ছেন বাবর–রিজওয়ানরা!

ক্রীড়া ডেস্ক    
আগামী মাসে বিগ ব্যাশের পর্দা উঠবে। ছবি: এক্স
আগামী মাসে বিগ ব্যাশের পর্দা উঠবে। ছবি: এক্স

বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) খেলার সুযোগ পাচ্ছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। বিদেশি লিগে ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল সেটা তুলে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম।

কয়েক সপ্তাহ আগে বিদেশি লিগের জন্য এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল পিসিবি। সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতেও বেশি সময় নিল না পাকিস্তান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগ ব্যাশের নতুন আসরের জন্য সাতজন ক্রিকেটারদের এনওসি দিয়েছে পিসিবি। এরা হলেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ, শাদাব খান, হাসান আলী ও হাসান খান। এনওসি নিয়ে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে ইতোমধ্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এবং খেলোয়াড়দের আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে পিসিবি।

এনওসি পাওয়ায় বিগ ব্যাশে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন বাবর। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে দলে ভিড়িয়েছে সিডনি সিক্সার্সে। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের জন্য ‘বাবারিস্তান’ নামে একটি বিশেষ ফ্যান জোন তৈরি করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আফ্রিদির ঠিকানা ব্রিসবেন হিট। এছাড়া রউফ মেলবোর্ন স্টার্স, শাদাব সিডনি থান্ডার, হাসান অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স এছাড়া রিজওয়ান ও হাসান খান মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে মাঠ মাতাবেন।

বিগ ব্যাশের ১৫ তম আসরের পর্দা উঠবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারী ফাইনাল দিয়ে টুর্নামেন্টির পর্দা নামবে। আসন্ন আসরে মাঠে গড়াবে ৪৪টি ম্যাচ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহের নবযাত্রায় মোসাদ্দেক কোথায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৩৭
ব্যক্তিগত কারণে প্রথম রাউন্ড থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ছবি: সংগৃহীত
ব্যক্তিগত কারণে প্রথম রাউন্ড থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) দল পেয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। এই অঞ্চল থেকে যে কয়েকজন ক্রিকেটার বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাঁদের মধ্যে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত অন্যতম। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পর ময়মনসিংহের সেরা ক্রিকেটার মানা হয় এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে।

এরপরও এনসিএলে ময়মনসিংহের মূল স্কোয়াডে নেই মোসাদ্দেকের নাম। যেটা হতাশ করেছে ভক্তদের। কেন মোসাদ্দেককে মূল স্কোয়াডে রাখা হয়নি সেটা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে সবার মনে। আজকের পত্রিকাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক হাসিবুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে প্রথম রাউন্ডে খেলছেন না এই ক্রিকেটার।

শান্ত বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে মোসাদ্দেক এনসিএলের প্রথম রাউন্ড থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আমি যতটুকু জানি সে ঢাকার বাইরে আছেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে চেয়েছেন। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়। এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এনসিএলে ময়মনসিংহের নেতৃত্বে থাকছেন শুভাগত হোম। এক সময় জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন এই অলরাউন্ডার। সহ–অধিনায়কের দায়িত্বে আছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ আব্দুল মজিদ। এছাড়া দলে আছেন নাঈম শেখ, আবু হায়দার রনি, মারুফ মৃধা, শহিদুল ইসলাম, মাহফিজুল ইসলাম রবিন, আইচ মোল্লা, রাকিবুল হাসানদের মতো ক্রিকেটাররা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগামীকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সিলেটের বিপক্ষে খেলতে নামবে শুভাগতরা।

একনজরে এনসিএলে ময়মনসিংহের স্কোয়াড: শুভাগত হোম চৌধুরী (অধিনায়ক), আবদুল মজিদ (উইকেটকিপার ও সহ-অধিনায়ক), মাহফিজুল ইসলাম রবিন, আইচ মোল্লা, নাঈম শেখ, আরিফুল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, গাজী মোহাম্মদ তাজিবুল (উইকেটকিপার), রাকিবুল হাসান, আরিফ আহমেদ, আবু হায়দার রনি, মারুফ মৃধা, শহিদুল ইসলাম এবং আসাদুল্লাহ হিল গালিব।

স্ট্যান্ডবাই: মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শাকিল হোসেন, খালিদ হাসান, ফাহিম হাসান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে বিশ্বকাপ, খেলবে না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ২৩
নিরপেক্ষ ভেন্যু না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান হকি ফেডারেশন। ছবি: এক্স
নিরপেক্ষ ভেন্যু না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান হকি ফেডারেশন। ছবি: এক্স

ভারত ও পাকিস্তানের কথা ভেবে হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে তারা একে অন্যের দেশে যেতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে এ পথে হেঁটেছে আইসিসি ও এসিসির মতো সংস্থা। তবে হকিতে সে সুবিধা না পাওয়ায় কঠিন সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান।

তামিলনাড়ুতে আগামী ২৮ নভেম্বর জুনিয়র হকি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। টুর্নামেন্ট শুরুর এক মাস আগে সরে দাঁড়াল পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (এফআইএইচ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেশ কিছুদিন ধরে তৈরি হওয়া শঙ্কা শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো।

বিশ্বকাপে নিজেদের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার আবেদন জানিয়েছিল পাকিস্তান, কিন্তু তাদের সে কথা রাখেনি এফআইএইচ। পাকিস্তান সরে দাঁড়ানোয় বিকল্প দলের খোঁজে আছে বিশ্ব হকির নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এফআইএইচ জানিয়েছে, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে, পাকিস্তান হকি ফেডারেশন আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনকে জানিয়েছে, তারা পুরুষদের জুনিয়র বিশ্বকাপে অংশ নেবে না। এই বিশ্বকাপে খেলার জন্য দলটি যোগ্যতা অর্জন করেছিল। এখন পাকিস্তানের পরিবর্তে আরও একটি দলের নাম জানানো হবে।’

পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রানা মুজাহিদ বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনকে আমাদের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। টুর্নামেন্টটি ভারতে হওয়ায় আমরা অংশগ্রহণ করতে পারছি না। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের বিকাশের পথে অন্তরায়।’

ভারতের হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভোলানাথ সিং এখনো পাকিস্তানের প্রত্যাহার সম্পর্কে অবগত নন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে ভারত আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পায়নি। যদি পাকিস্তান অংশগ্রহণ না করে, তাহলে তাদের জায়গায় কোন দল খেলবে, তা ঘোষণা করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত