Ajker Patrika

বাংলাদেশের দুই ক্লাবের এক লক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে আজ মাঠে নামছে  বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী। ছবি: ফেসবুক
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে আজ মাঠে নামছে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী। ছবি: ফেসবুক

জাতীয় স্টেডিয়ামের দুটি গ্যালারি অলিখিতভাবে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নামে ভাগ করা। মোহামেডান-ভক্তরা অবশ্য দীর্ঘশ্বাস ফেলতে পারেন। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ আবাহনীর জায়গায় দেখা যেতে পারত তাদেরও। ২৩ বছর পর লিগ জেতার গৌরব কিছুটা হলেও ফিকে হয়ে গেছে এএফসির লাইসেন্স না থাকায়।

লিগের দ্বিতীয় হওয়ায় আবাহনী ও ফেডারেশন কাপ জেতায় বসুন্ধরা কিংস সুযোগ পেয়েছে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে। প্রাথমিক পর্বের চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে মূলপর্বে যাওয়ার লক্ষ্যে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশের দুই ক্লাব। জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টায় কিরগিজস্তানের ক্লাব এএফসি মুরাস ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে আবাহনী। কাতারের দোহায় সিরিয়ান ক্লাব আল কারামাহ এসসির বিপক্ষে লড়বে বসুন্ধরা। ম্যাচটি শুরু হবে রাত সাড়ে ১১টায়।

এএফসির টুর্নামেন্টে কখনোই গ্রুপপর্বের ওপরে যেতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। গত বছর চ্যালেঞ্জ লিগে সরাসরি গ্রুপপর্বে খেলেছে তারা। তিন ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি। এবার খেলতে হচ্ছে প্লে অফ। ম্যাচটির জন্য অল্প সময়ের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। তবে বড় চমক দেখিয়েছে প্রবাসী ফুটবলার কিউবা মিচেলকে দলে ভিড়িয়ে।

আবাহনীর প্রতিপক্ষ মুরাস ইউনাইটেডের অবশ্য ইতিহাস খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। দুই বছর হলো ক্লাবটি যাত্রা শুরু করেছে। ঢাকায় এসেছে ভাড়া করা বিমানে। কিরগিজস্তান ছাড়িয়ে এশিয়ান পর্যায়ে ছাপ রাখতে মুখিয়ে আছে তারা। ক্লাবটির কোচ সের্গি পুচকোভ গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা কিরগিজস্তানে ঘরোয়া কাপ জিতেছি। যে কারণে আমরা এখানে আছি। এশিয়ান ফুটবলে নিজেদের তুলে ধরার ভালো সুযোগ এটি। অবশ্যই আমরা আমাদের সেরাটা দেব জেতার জন্য।’

পুচকোভ ইউক্রেনের নাগরিক। তাঁর দলেও ইউক্রেনীয় খেলোয়াড়দের ছড়াছড়ি। স্কোয়াডের ১২ জন ফুটবলারই কিরগিজস্তানের বাইরের। আবাহনীর কাছে যা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। দলটির কোচ মারুফুল হক বলেন, ‘তাদের দলে ইউক্রেনের অনেক খেলোয়াড় আছে; বিশেষ করে রক্ষণের চারজনই ইউক্রেনের।’ আবাহনীকে নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে শুধু একটা ম্যাচের ভিডিও খুঁজে পেয়েছে মুরাস ইউনাইটেড। সেটা প্রতিপক্ষের কাছে বড় কোনো সুবিধা হিসেবে মানছেন না মারুফ, ‘তারা পেশাদার দল, দ্রুত প্রতিপক্ষকে বুঝতে পারবে। তাদের জন্য এটি বড় কোনো অসুবিধা হবে না।’

নতুন মৌসুম সামনে রেখে বসুন্ধরা থেকে শেখ মোরসালিন ও পুলিশ থেকে মোহাম্মদ আল আমিন ও কাজেম শাহকে নিয়েছে আবাহনী। বড় চমক দেখিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান থেকে সুলেমান দিয়াবাতেকে ভিড়িয়ে। তবে বিদেশি বলতে আবাহনীর শুধু দিয়াবাতেই আছেন। তাঁর প্রতি মারুফের আস্থা অনেক বেশি, ‘যেহেতু ওকে (দিয়াবাতে) ছয় বছর ধরে দেখেছি, যদিও প্রতিপক্ষ দলে। তাকে আমার চেনা আছে। গতকাল (পরশু) ওর অনুশীলন দেখেছি। আমি আশাবাদী, কাল (আজ) যদি মাঠে সেগুলোর ৫০ শতাংশ করতে পারে, আমি খুশি।’

মোহাম্মদ হৃদয় চলে যাওয়ায় আবাহনীর নেতৃত্বভার এখন আসাদুজ্জামান বাবলুর কাঁধে। প্রস্তুতি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী এই ডিফেন্ডার, ‘কোচের পরিকল্পনা যদি মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে তাদের হারাতে পারব। অধিনায়ক হিসেবে চাপের কিছু নেই, এটি আমার জন্য দায়িত্ব। আমাদের আত্মবিশ্বাস শতভাগ।’

ঘরের মাঠে স্বাগতিক দল অন্যতম বাড়তি সুবিধা পায় কন্ডিশনের কারণে। গতকাল পা রেখে ঢাকার তাপ অনুভব করেছে মুরাস ইউনাইটেড। ক্লাবটির ম্যানেজার জানিয়েছেন, গরম আবহাওয়া তাঁদের খেলোয়াড়ের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেরাটা রঙিন করে তুলতে কন্ডিশন বড় সহায়ক হতে পারে আকাশি-নীলদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত