Ajker Patrika

সৌদি আরবের পেট্রোডলারের দাপটে ব্যতিক্রম রিয়াল

ক্রীড়া ডেস্ক    
রিয়াল মাদ্রিদে এখন দেখা যাচ্ছে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জুটি। ছবি: এএফপি
রিয়াল মাদ্রিদে এখন দেখা যাচ্ছে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জুটি। ছবি: এএফপি

পেট্রোডলারের ঝনঝনানিতে ফুটবল বিশ্ব কাঁপাচ্ছে সৌদি আরব। দখল করে নিচ্ছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের বাজার। নামীদামি তারকাদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিজেদের ডেরায় ভেড়াচ্ছে দেশটির ক্লাবগুলো। এমন অর্থের জোয়ারে যেন আদর্শ ও নীতির জাহাজ গড়ে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সৌদি ক্লাবের কাছে চুক্তিবদ্ধ কোনো ফুটবলারকে ছাড়েনি তারা।

বছর তিনেক আগেও সৌদি প্রো লিগ নিয়ে ছিল না এত মাতামাতি। সেই দুয়ার খুলে দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ২০২৩ সালে রেকর্ড পারিশ্রমিকে আল নাসরে নাম লেখান এই ফরোয়ার্ড। এর পর থেকে শুধু পেট্রোডলারের দাপট দেখতে থাকে ফুটবল বিশ্ব। গত আড়াই বছরে দলবদলে প্রায় ২০০ কোটি ইউরো খরচ হয়েছে সৌদি প্রো লিগের। বিশ্বে সব ক্লাব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সবার ওপরে রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। তাদের টপকে চূড়ায় ওঠা সময়ের ব্যাপার সৌদি প্রো লিগের।

তারকা ফুটবলারদের অনেকে কিছুদিন আগেও আলো ছড়িয়েছেন ইউরোপের সেরা স্টেডিয়ামগুলোয়। এখন তাঁরা ফুটবলের মানচিত্রে জোরালোভাবে গাঁথছেন সৌদি আরবের নাম।

রিয়াল অবশ্য সেই পথে পা বাড়ায়নি। শুনে ভুল মনে হতে পারে এবং প্রশ্ন থাকতে পারে, করিম বেনজেমা ও নাচো ফার্নান্দেসের মতো তারকারা সৌদি ক্লাবে খেলছেন। সেখানে একটা ‘কিন্তু’ রয়েছে। দুই ফুটবলার সৌদিতে পাড়ি জমিয়েছেন রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর। তাঁরা চলে যাওয়ায় কানাকড়িও পায়নি রিয়াল। রিয়ালে ১৪ মৌসুম কাটানো ব্যালন ডি’অর জেতা বেনজেমা ২০২৩ সালে যোগ দেন আল ইত্তিহাদে। আর রিয়ালের ঘরের ছেলেতে পরিণত হওয়া আল কাদিসিয়ায় নাম লেখান গত বছর। ক্লাবটির কোচ হিসেবে রয়েছেন রিয়াল কিংবদন্তি মিচেল গনসালেস।

আল নাসর, আল হিলাল, আল ইত্তিহাদের মতো ক্লাবগুলো অর্থ পেয়ে থাকে সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) থেকে। তারকা তো বটেই, অখ্যাত ফুটবলারদের দলে ভেড়াতে তাদের একেকটা প্রস্তাবের অঙ্ক দেখলে চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা।

রিয়ালও যে এর বাইরে ছিল, তা কিন্তু নয়। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, এদের মিলিতাওর ওপর নজর রাখে সৌদি ক্লাব। দিতে থাকে একের পর এক লোভনীয় প্রস্তাব। ভিনিসিয়ুসকে নিয়ে এখনো গুঞ্জন শোনা যায়। এমনকি কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়ালে যাওয়ার আগে তাঁর জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ঢালতে প্রস্তুত ছিল আল হিলাল। রিয়ালের প্রতি তাদের আনুগত্যের কারণে ধোপে টেকেনি তা। কারণ, ১৫ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা স্প্যানিশ ক্লাবটির ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ হওয়ার আভিজাত্য তো সৌদি ক্লাবে মিলবে না।

রিয়াল ছাড়া ইউরোপের প্রায় সব বড় ক্লাব মাথা নত করেছে সৌদির সামনে। সবচেয়ে বেশি চার ফুটবলার বিক্রি করেছে চেলসি। ম্যানচেস্টার সিটি, পিএসজি ও রোমা ছেড়েছেন তিন ফুটবলার। সৌদির পেট্রোডলারে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা। দুই ফুটবলার বিক্রি করে তাদের আয় ১৩ কোটি ৭০ লাখ ইউরো। ১০ কোটি ৩০ লাখ ইউরো নিয়ে দুইয়ে রয়েছে পিএসজি। শুধু নেইমারকে আল হিলালে পাঠিয়ে তারা পেয়েছে ৯ কোটি ইউরো।

সৌদি থেকে স্প্যানিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে বার্সেলোনা, রিয়াল বেতিস, আতলেতিকো মাদ্রিদ, সেভিয়া, গেতাফে, জিরোনা, সেলতা ভিগো, রিয়াল ভায়াদোলিদ ও মায়োর্কার সম্মিলিত আয় ১৩ কোটি ২০ লাখ ইউরো। অর্থের এই অঙ্ক যেন ব্যতিক্রমী রিয়ালকে আরও ফুটিয়ে তোলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনের আগে এসআই-এএসআইদের ব্যক্তিগত তথ্য তালাশে পুলিশ

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প: ইউএনও-উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শুনানি কাল

ইরানি নকশার ড্রোন হয়ে গেছে রাশিয়ার, ক্ষোভ বাড়ছে তেহরানে

যারা একাত্তরে ফিরতে চায়, তারা চব্বিশ অস্বীকার করে: নাহিদ

ফ্লাইট এক্সপার্ট: গ্রামবাসীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়েছেন এমডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত