Ajker Patrika

স্কালোনিই কি আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা কোচ

আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৪, ১৫: ২০
স্কালোনিই কি আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা কোচ

জাদুকর বললেও যেন লিওনেল স্কালোনির জন্য তা কম হয়ে যায়। তাঁর জাদুর ছোঁয়ায় আর্জেন্টিনার হাতে শিরোপা দেখতে পাওয়া রীতিমতো এখন ডাল–ভাত। যেকোনো মেজর টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই যেন এখন আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দেওয়া যায়। 

একের পর এক শিরোপা জিততে থাকা আর্জেন্টিনাকেই একসময় ডাকা হতো ‘আর জেতে না’ নামে। আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলবে অথচ শিরোপার ছোঁয়া পাবে না—এটা একরকম অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা—সব জায়গাতেই আর্জেন্টিনার ভক্ত-সমর্থকদের জন্য গল্পটা ছিল এমন হতাশার। যে লিওনেল মেসি ক্লাব পর্যায়ে একের পর এক শিরোপা জিততেন, তাঁর ক্যাবিনেট হাহাকার করত আন্তর্জাতিক ফুটবলে একটি শিরোপা জয়ের জন্য। তিনিও শিরোপার কাছে এসে চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন বারবার। 

শুধু তা–ই নয়, আর্জেন্টিনা দলে কোচও পরিবর্তন হতো বারবার। আলেহান্দ্রো সাবেয়ার অধীনে ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা রানার্সআপ হওয়ার পরের চার বছরে এসেছেন তিন কোচ, যার মধ্যে জেরার্দো তাতা মার্তিনো সর্বোচ্চ দুই বছর টিকতে পেরেছিলেন (২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত)। এদগার্দো বাউজা (২০১৬ থেকে ২০১৭) এবং হোর্হে সামপাওলি (২০১৭ থেকে ২০১৮) আলবিসেলেস্তের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এক বছর করে, যেখানে সামপাওলি ২০১৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা শেষ ১৬ থেকে বিদায় নেওয়ার পর সাম্পাওলি পদত্যাগ করেছেন। 

সাম্পাওলির যেখানে শেষ, সেখান থেকেই শুরু স্কালোনির। যদিও ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে স্কালোনি নিয়োগ পাওয়ার পর অনেক সমালোচনা হয়েছিল। কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাও স্কালোনির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই স্কালোনি ধীরে ধীরে দলকে তৈরি করেছেন। আর্জেন্টিনার ড্রেসিংরুমে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করেছেন। দুই সিনিয়র মেসি, আনহেল দি মারিয়ার সঙ্গে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, রদ্রিগো ডি পল—সবাইকে পরিবারের মতো এক সুতোয় বাঁধতে পেরেছেন স্কালোনি। প্রথম সাফল্যটা তিনি পেয়েছেন ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জিতে। মারাকানায় সেবার ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা দীর্ঘ ২৮ বছরের শিরোপাখরা কাটায়। মেসিরও সেটা আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রথম কোনো শিরোপা।

ব্রাজিলের মাঠে কোপা আমেরিকা জয়ের ধারাবাহিকতায় ২০২২ ফিনালিসিমা, ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ, ২০২৪ কোপা আমেরিকা—আরও তিনটি শিরোপা জেতে স্কালোনির আর্জেন্টিনা। সব মিলে স্কালোনি তিন বছর ব্যবধানে জিতলেন চারটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা। যেখানে ২০২২-এর ১৮ ডিসেম্বর কাতারের আইকনিক লুসাইলে বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষা ফুরোয়। মায়ামির হার্ড রকে আজ কলম্বিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা তো কোপার শিরোপা ধরে রেখেছেই। পাশাপাশি উরুগুয়েকে পেছনে ফেলে ১৬তম শিরোপা জেতে কোপায় সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ে আর্জেন্টিনা। 

কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখল আর্জেন্টিনা। ২০২৪ কোপা আমেরিকা জয়ের মাধ্যমে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে আকাশি-নীলরা। ছবি: এএফপিকৌশলগত দিক থেকেও স্কালোনি মাস্টারক্লাস কোচের পরিচয় দিয়েই চলেছেন। এবারের কোপা আমেরিকার কথাই চিন্তা করা যাক। শতভাগ ফিট না হওয়া মেসিকে এক ম্যাচ বিশ্রাম দিয়েছেন স্কালোনি। এমনকি সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে মেসিকে যেকোনো মূল্যে খেলানোর দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সাহসী কোচ না হলে কয়জন কোচের পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব! সেই মেসি টুর্নামেন্টে তাঁর প্রথম গোল পেয়ে যান সেমিতে। বদলি হিসেবে লাওতারো মার্তিনেজকে খেলিয়েছেন চার ম্যাচে। তাঁর আস্থার প্রতিদান লাওতারো দিয়েছেন দারুণভাবে। মায়ামিতে আজ ফাইনালে ১১২ মিনিটে জিওভান্নি লো সেলসোর অ্যাসিস্ট থেকে মার্তিনেজ গোল করলে সুদূর ফ্লোরিডা থেকে ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। 
 
আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে শিরোপা জয়ের হিসাব করলে যৌথভাবে দুইয়ে স্কালোনি। স্কালোনির সমান চার শিরোপা জিতেছেন আলফিও বাসিলে। বাসিলে জেতেন দুটি কোপা আমেরিকা এবং একটি করে কনফেডারেশনস কাপ ও ফিনালিসিমা। কোচ হিসেবে সর্বোচ্চ ছয় শিরোপা আর্জেন্টিনাকে জেতানোর কীর্তি গুইলার্মো স্ট্যাবিলের। স্ট্যাবিলের ছয়টি শিরোপা ছিল কোপা আমেরিকাতেই। আর্জেন্টিনায় ছয় বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে স্কালোনি যখন চারটি শিরোপা জিতেছেন, স্ট্যাবিলের রেকর্ডও কত দিন অক্ষুণ্ন থাকে সেটাই এখন দেখার বিষয়। 

আরও পড়ুন-

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরপুরে সুপার ওভারের রোমাঞ্চে সিরিজে ফিরল উইন্ডিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ০৪
দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ম্যাচটি রূপ নিল অলিখিত ফাইনালে। ছবি: বিসিবি
দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ম্যাচটি রূপ নিল অলিখিত ফাইনালে। ছবি: বিসিবি

উত্তেজনা, উন্মাদনা ও আক্ষেপের পর শেষটায় হলো দারুণ নাটকীয়তায়। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচে টাইয়ের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। যদিও সুপার ওভারে শেষ হাসি হাসতে পারল না স্বাগতিকেরা। তাদের এক রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

প্রথম দুই ওয়ানডে শেষে ১-১ সমতা হওয়ায় শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নিল। সিরিজ নির্ধারিণী ম্যাচে ২৩ অক্টোবর মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের করা ২১৩ রানের জবাবে নিজেদের ইনিংসের বেশির ভাগ সময়ই ব্যাকফুটে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদের স্পিন ভেল্কিতে হারের শঙ্কায় ছিল অতিথিরা। কিন্তু তাদের আশার বাতি হয়ে একপ্রান্তে জ্বলতে থাকেন শাই হোপ। তানভীর ইসলামের এলবিডব্লু হয়ে শেরফানে রাদারফোর্ড ফিরলে পঞ্চম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য শেষ ৫ উইকেট হাতে রেখে তখনো তাদের দরকার ছিল ১১১ রান। মিরপুরের ঘূর্ণি উইকেটে যেটা বেশ কঠিন। এই সমীকরণ মেলাতে না পারলেও হোপের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ম্যাচ টাই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৫ রান করতে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সাইফ হাসানের করা প্রথম দুই বলে রান নিতে পারেননি আকিল হোসেন। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন তিনি। চতুর্থ বলে এক রান নেন শাইপ হোপ। পঞ্চম বলে ছয় মারতে গিয়ে বোল্ড হন আকিল। শেষ বলে তাই ক্যারিবীয়দের সামনে তিন রানের সমীকরণ দাঁড়ায়। এমন সমীকরণে ক্যাচ তুলে দেন শেষ ব্যাটার হিসেবে নামা খ্যারি পিয়েরে। ক্যাচ নিতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। ততক্ষণে দুবার প্রান্ত বদল করেন হোপ ও পিয়েরে। বাংলাদেশের সমান ২১৩ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে ১০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিংয়ে আসেন সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। সফরকারীদের হয়ে বল করতে এসে এক বল করতেই পাঁচ রান দেন আকিল হোসেন। তাঁর করা প্রথম বলটি ওয়াইড হয়। দ্বিতীয় বল নো দেন আকিল। সেই সঙ্গে দৌড়ে দুই রান নেন সৌম্য ও সাইফ। প্রথম বৈধ ডেলিভারি থেকে এক রান নেন সৌম্য। দ্বিতীয় বল ডট হয়। তৃতীয় বলে এক রান নেন সাইফ। চতুর্থ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোটির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সৌম্য। পরের বলে লেগ বাই থেকে এক রান নেন নাহমুল হোসেন শান্ত। শেষ বলে ৪, বাংলাদেশের সামনে ৪ রানের সমীকরণ দাঁড়ায়। আকিল ওয়াইড দিলে সে সমীকরণে তিন রানে নেমে আসে। তবে এক রানের বেশি নিতে পারেননি সাইফ।

এর আগে টস জেতা বাংলাদেশকে এই সংগ্রহ এনে দিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন সৌম্য সরকার। এই ওপেনারের অবদান ৪৫ রান। প্রথম ওয়ানডের মতো আজও ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন রিশাদ হোসেন। ১৪ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। মূলত তাঁর এই ইনিংসে ভর করেই লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ৩২ রান আসে মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে। ২৩ রান এনে দেন নুরুল হাসান সোহান। ৩ উইকেট নেন গুদাকেশ মোটি। ১০ ওভারে ৬৫ রান দেন তিনি। আকিল হোসেন ও আলিক আথানেজের শিকার দুটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতকে হারাতে আফগানদের কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৫২
ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি হচ্ছে ১৮ নভেম্বর। ফাইল ছবি
ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি হচ্ছে ১৮ নভেম্বর। ফাইল ছবি

নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশের মাঠকে ‘হোম গ্রাউন্ড’ হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছে আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশন। ১৮ নভেম্বর এফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে মিয়ানমারের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ম্যাচটা হবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। আফগানদের ঢাকায় আসার সুযোগটা আরেকভাবে কাজে লাগাতে চাইছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

১৮ নভেম্বর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ খেলবে ভারতের বিপক্ষে। এশিয়ান কাপের সমীকরণ শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তবে ঢাকায় ভারতকে হারানোর সুযোগটা নিতে চায় বাংলাদেশ। নিজেদের ভালোভাবে তৈরি করতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে চায় বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে বাফুফের কমপিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খেলার সম্ভাবনা বেশি। ১৮ নভেম্বরে আমাদেরও ম্যাচ আছে। (প্রীতি ম্যাচ) অনেকটা চূড়ান্ত। সব ঠিক হলে দুই-এক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ ৪ ম্যাচে ২ হার ও ২ ড্রয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে পয়েন্ট টেবিলের তিনে। সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে ভারত। দুই দলের এশিয়ান কাপের হিসাব শেষ! গত মার্চে শিলংয়ে বাছাইপর্বে দুই দলের প্রথম দেখায় ড্র হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুরুর ধাক্কা সামলে স্টাবসের ব্যাটে লড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা

ক্রীড়া ডেস্ক    
৬৮ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন স্টাবস। তাঁর সঙ্গী ভারানে। ছবি: ক্রিকইনফো
৬৮ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন স্টাবস। তাঁর সঙ্গী ভারানে। ছবি: ক্রিকইনফো

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের করা ৩৩৩ রানের জবাবে দারুণ একটা শুরুর দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সে শুরুটা পায়নি সফরকারী দল। এরপরও বিপদে পড়তে হয়নি তাদের। ট্রিস্টান স্টাবসের ব্যাটে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে লড়াই করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

২২ রানে প্রথম ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪ রান করা রায়ান রিকেলটনকে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ বানান শাহিন শাহ আফ্রিদি। স্টাবসের সঙ্গে জুটি জমে গেলেও হতাশ করেন এইডেন মার্করাম। ব্যক্তিগত ৩২ রানে সাজিদ খানের বলে আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক। ৫৪ রানেই প্যাভিলিয়নে অতিথিদের দুই ওপেনার।

তখন মনে হচ্ছিল পাকিস্তানের ৩৩৩ রানের জবাব দিতে বেশ বেগ পোহাতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তৃতীয় উইকেটে স্টাবস ও টনি ডি জর্জির ব্যাটিং দৃঢ়তায় ভালোভাবেই ধাক্কা সামাল দেয় অতিথিরা। এই দুজন মিলে এনে দেন ১১৩ রান। ৫৫ রান করা জর্জিকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত আসিফ আফ্রিদি। জর্জির পর শেষ বিকেলে দেওয়াল্ড ব্রেভিসকেও হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কোনো রান করতে পারেননি ব্রেভিস। আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে হাঁটেন তরুণ ব্যাটার।

অপরপ্রান্তে ৬৮ রানে অপরাজিত আছেন স্টাবস। তাঁর সঙ্গে ১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন কাইল ভারানে। দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানে পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ উইকেট নিতে ২৪ রান খরচ করেন আফ্রিদি। শাহিন ও সাজিদ নেন একটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এবার এক দিনে রাফির ৪ রেকর্ড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় সাঁতারের প্রথম দিন দুটি রেকর্ড গড়ার পর দ্বিতীয় দিনে আরও চারটি রেকর্ড গড়লেন সামিউল ইসলাম রাফি। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় সাঁতারের প্রথম দিন দুটি রেকর্ড গড়ার পর দ্বিতীয় দিনে আরও চারটি রেকর্ড গড়লেন সামিউল ইসলাম রাফি। ছবি: সংগৃহীত

এক জায়গায় আটকে না থেকে প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাপিয়ে যেতে চান সামিউল ইসলাম রাফি। সেই লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় সাঁতারে একের পর এক রেকর্ড গড়েই চলেছেন ২১ বছর বয়সী এই সাঁতারু। আজ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনে একাই ৪ রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন তিনি। তাঁর সামনে টিকে থাকেনি এক যুগ আগের রেকর্ডও।

মিরপুরের জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে রাফির দিনের প্রথম রেকর্ডটি আসে ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে। ২ মিনিট ৮ দশমিক ৯২ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্পর্শ করেন ফিনিশিং লাইন। আগের রেকর্ডটি ছিল তাঁরই, গত বছর ২ মিনিট ৯ দশমিক ৯৯ সেকেন্ডের। এরপর ৫০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে ২৫ দশমিক ১৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে ভেঙেছেন ২০২২ সালে মাহামুদুন্নবী নাহিদের গড়া রেকর্ড।

দিনের সবচেয়ে বড় চমক ছিল ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে। ২০১৩ সালে এই ইভেন্টে ৫২ দশমিক ৮৮ সেকেন্ড টাইমিং করেছিলেন মাহফিজুর রহমান। সেই রেকর্ড রাফি ভাঙেন ৫২ দশমিক ৪২ সেকেন্ড সময় নিয়ে। ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক দিয়ে দিনের রেকর্ডের মালা শেষ করেন তিনি। ২ মিনিট ১০ দশমিক ৪৬ সেকেন্ড সময় নেন নৌবাহিনীর এই সাঁতারু।

এত রেকর্ডের মাঝেও হ্যান্ড টাইমিংয়ে সব রেকর্ড হওয়ায় দুঃখ রয়ে গেছে রাফির। তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড দিয়ে যে শুধু সঠিক টাইম নির্ণয় করা হয়—এমনটি নয়। বাইরের দেশে এখন আর কেউ হ্যান্ড টাইম গ্রহণ করে না। ইলেকট্রনিক টাইম গ্রহণযোগ্য সব জায়গায়। আমাদের অনেক স্কলারশিপ থাকে। আমি নিজেও স্কলারশিপের মধ্যে আছি। কিন্তু আমাদের টাইমিং ইলেকট্রনিক না হওয়ার কারণে আমাদের স্কলারশিপের সেই সুযোগগুলো হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।’

মিসরীয় কোচ সাঈদ ম্যাগডিকে কৃতিত্ব দিয়ে রাফি আরও বলেন, ‘উনার অধীনে আমরা উন্নতি করছি। আশা করছি, এসএ গেমসে ভালো ফল করা সম্ভব।’

রাফির চারটি ছাড়াও আজ আরও তিন ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। সেনাবাহিনীর রোমানা আক্তার একাই দুটি রেকর্ড করেছেন—২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে ও ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে। এ ছাড়া ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে নৌবাহিনীর যূথী আক্তার নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন।

দ্বিতীয় দিন শেষে পদক তালিকায় ২০ সোনা, ১৩ রুপা ও ৭ ব্রোঞ্জ নিয়ে পদক তালিকার শীর্ষে নৌবাহিনী। ৫ সোনা, ১১ রুপা ও ১৭ ব্রোঞ্জ নিয়ে সেনাবাহিনী দ্বিতীয় এবং ২ সোনা, ৩ রুপা ও ৩ ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে তিনে রয়েছে বিকেএসপি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত