উপল বড়ুয়া, ঢাকা
কোচের দায়িত্বটা সেই রাজার মতো, যাঁর মাথার ওপর সব সময় ঝুলে থাকে সুতোয় বাঁধা তরবারি। কোচদের দায়িত্বও তরবারির নিচে বসে রাজ্য সামলানোর মতো। এই উৎসব, তো পরমুহূর্তে সিংহাসনচ্যুত। নয়তো দেখুন টমাস টুখেলকে। ফ্রাংক ল্যাম্পার্ড বরখাস্ত হওয়ার পর জার্মান কোচ এসে ছয় মাসের মধ্যে চেলসিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ এনে দিয়েও চাকরি বাঁচাতে পারলেন না। গত মঙ্গলবার দিনামো জাগরেবের বিপক্ষে হারতেই বরখাস্ত তিনি।
চেলসিতে অবশ্য চাকরি বাঁচানো যেকোনো কোচের পক্ষেই কঠিন। নতুন মালিক এলেও পুরোনো দর্শন পাল্টায়নি ব্লুজদের। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রাহামোভিচের ১৯ বছরের মেয়াদে ১২ কোচকে দেখা গেছে। কোচ ও তত্ত্বাবধায়ক (কমপক্ষে পাঁচ ম্যাচের দায়িত্ব) মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৩। রাফায়েল বেনিতেজ, হোসে মরিনহো, কার্লো আনচেলত্তি, গাস হিডিংক, লুইস ফেলিপে স্কলারির মতো কোচকে ছেঁটে ফেলতে সময় লাগেনি চেলসির। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্বত্ব ছাড়তে বাধ্য হওয়া আব্রাহামোভিচ যুগের শেষ কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন টুখেল। ক্লাবের নতুন মালিক টড বোহেলি কি আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলেন এই জার্মানকে বরখাস্ত করবেন? দলবদলে রেকর্ড অঙ্কের অর্থ ঢেলেও প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগে খারাপ করতেই বিদায়ঘণ্টা বাজল টুখেলের। ঘোষণাটা এমন সময়ে দিলেন বোহেলি, যেদিন চেলসির স্বত্বাধিকারী হওয়ার তাঁর শততম দিন। এরই মধ্যে নতুন কোচের নাম ঘোষণা করেছে চেলসি। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন থেকে আনা হয়েছে গ্রাহাম পটারকে।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের মৌসুম শুরুর দুই মাস না যেতেই টুখেলের মতো ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে আরও কজন কোচকে। গত মৌসুমে এক প্রিমিয়ার লিগেই ওলে গানার সুলশার, মার্সেলো বিয়েলাসহ ১০ কোচ বরখাস্ত হয়েছিলেন। এই মৌসুমে স্কট পার্কারের পর টুখেল। ফুলহাম থেকে বোর্নমাউথে এসে বেশি দিন টিকতে পারেননি পার্কার। লিভারপুলের বিপক্ষে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর গত ৩০ আগস্ট চাকরি হারান তিনি।
প্রিমিয়ার লিগ ছাড়া ইউরোপের বাকি শীর্ষ চার লিগের মধ্যে এই মৌসুমে চাকরি হারিয়েছেন লাইপজিগের ডোমিনিকো তাদেসকো। চ্যাম্পিয়নস লিগে শাখতার দোনেৎস্কের বিপক্ষে ৪-১ গোলে হারের পর বরখাস্ত হন তিনি। অথচ তাঁর অধীনে ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে জার্মান সুপার কাপ দিয়ে প্রথম প্রধান কোনো শিরোপা জিতেছিল লাইপজিগ। গত মৌসুমে বুন্দেসলিগায় বরখাস্ত হয়েছিলেন পাঁচ কোচ। সেই তালিকায় আছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মার্কো রোজ ও ভলসবুর্গের মার্কো ফন বোমেল।
সিরি ‘আ’, লা লিগা আর ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে অবশ্য নতুন মৌসুমে এখনো কোনো কোচ বরখাস্ত হননি। গত মৌসুমে ইতালিয়ান শীর্ষ ফুটবলে যে ১০ কোচ বরখাস্ত হয়েছিলেন তাঁদের একজন জেনোয়ার আন্দ্রে শেভচেঙ্কো। লা লিগায় চাকরি হারিয়েছিলেন ১১ কোচ। তাঁদের মধ্যে বড় নাম রোনাল্ড কোম্যান। বার্সেলোনায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন জাভি। স্প্যানিশ লিগে আরেকজন কোচের চাকরি এখন সুতোয় ঝুলছে। ম্যানচেস্টার সিটির হাতে বিধ্বস্ত সেভিয়ার কোচ হুলেন লোপেতেগির বরখাস্ত হওয়ার গুঞ্জন চলছে। আর লিগ ওয়ানের এই মৌসুম শুরুর আগে দুজনের চাকরি যায়। পিএসজি ছাড়তে হয় পচেত্তিনোকে আর মার্শেই ছাঁটাই করে হোর্হে সাম্পওলিকে। গত মৌসুমে এই লিগে চার কোচ চাকরি হারান। মোনাকো বরখাস্ত করে বায়ার্নের সাবেক কোচ নিকো কোভাচকে আর সেঁত এতেঁ ছাঁটাই করে ক্লদ পুয়েলকে।
কোচের দায়িত্বটা সেই রাজার মতো, যাঁর মাথার ওপর সব সময় ঝুলে থাকে সুতোয় বাঁধা তরবারি। কোচদের দায়িত্বও তরবারির নিচে বসে রাজ্য সামলানোর মতো। এই উৎসব, তো পরমুহূর্তে সিংহাসনচ্যুত। নয়তো দেখুন টমাস টুখেলকে। ফ্রাংক ল্যাম্পার্ড বরখাস্ত হওয়ার পর জার্মান কোচ এসে ছয় মাসের মধ্যে চেলসিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ এনে দিয়েও চাকরি বাঁচাতে পারলেন না। গত মঙ্গলবার দিনামো জাগরেবের বিপক্ষে হারতেই বরখাস্ত তিনি।
চেলসিতে অবশ্য চাকরি বাঁচানো যেকোনো কোচের পক্ষেই কঠিন। নতুন মালিক এলেও পুরোনো দর্শন পাল্টায়নি ব্লুজদের। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রাহামোভিচের ১৯ বছরের মেয়াদে ১২ কোচকে দেখা গেছে। কোচ ও তত্ত্বাবধায়ক (কমপক্ষে পাঁচ ম্যাচের দায়িত্ব) মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৩। রাফায়েল বেনিতেজ, হোসে মরিনহো, কার্লো আনচেলত্তি, গাস হিডিংক, লুইস ফেলিপে স্কলারির মতো কোচকে ছেঁটে ফেলতে সময় লাগেনি চেলসির। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্বত্ব ছাড়তে বাধ্য হওয়া আব্রাহামোভিচ যুগের শেষ কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন টুখেল। ক্লাবের নতুন মালিক টড বোহেলি কি আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলেন এই জার্মানকে বরখাস্ত করবেন? দলবদলে রেকর্ড অঙ্কের অর্থ ঢেলেও প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগে খারাপ করতেই বিদায়ঘণ্টা বাজল টুখেলের। ঘোষণাটা এমন সময়ে দিলেন বোহেলি, যেদিন চেলসির স্বত্বাধিকারী হওয়ার তাঁর শততম দিন। এরই মধ্যে নতুন কোচের নাম ঘোষণা করেছে চেলসি। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন থেকে আনা হয়েছে গ্রাহাম পটারকে।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের মৌসুম শুরুর দুই মাস না যেতেই টুখেলের মতো ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে আরও কজন কোচকে। গত মৌসুমে এক প্রিমিয়ার লিগেই ওলে গানার সুলশার, মার্সেলো বিয়েলাসহ ১০ কোচ বরখাস্ত হয়েছিলেন। এই মৌসুমে স্কট পার্কারের পর টুখেল। ফুলহাম থেকে বোর্নমাউথে এসে বেশি দিন টিকতে পারেননি পার্কার। লিভারপুলের বিপক্ষে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর গত ৩০ আগস্ট চাকরি হারান তিনি।
প্রিমিয়ার লিগ ছাড়া ইউরোপের বাকি শীর্ষ চার লিগের মধ্যে এই মৌসুমে চাকরি হারিয়েছেন লাইপজিগের ডোমিনিকো তাদেসকো। চ্যাম্পিয়নস লিগে শাখতার দোনেৎস্কের বিপক্ষে ৪-১ গোলে হারের পর বরখাস্ত হন তিনি। অথচ তাঁর অধীনে ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে জার্মান সুপার কাপ দিয়ে প্রথম প্রধান কোনো শিরোপা জিতেছিল লাইপজিগ। গত মৌসুমে বুন্দেসলিগায় বরখাস্ত হয়েছিলেন পাঁচ কোচ। সেই তালিকায় আছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মার্কো রোজ ও ভলসবুর্গের মার্কো ফন বোমেল।
সিরি ‘আ’, লা লিগা আর ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে অবশ্য নতুন মৌসুমে এখনো কোনো কোচ বরখাস্ত হননি। গত মৌসুমে ইতালিয়ান শীর্ষ ফুটবলে যে ১০ কোচ বরখাস্ত হয়েছিলেন তাঁদের একজন জেনোয়ার আন্দ্রে শেভচেঙ্কো। লা লিগায় চাকরি হারিয়েছিলেন ১১ কোচ। তাঁদের মধ্যে বড় নাম রোনাল্ড কোম্যান। বার্সেলোনায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন জাভি। স্প্যানিশ লিগে আরেকজন কোচের চাকরি এখন সুতোয় ঝুলছে। ম্যানচেস্টার সিটির হাতে বিধ্বস্ত সেভিয়ার কোচ হুলেন লোপেতেগির বরখাস্ত হওয়ার গুঞ্জন চলছে। আর লিগ ওয়ানের এই মৌসুম শুরুর আগে দুজনের চাকরি যায়। পিএসজি ছাড়তে হয় পচেত্তিনোকে আর মার্শেই ছাঁটাই করে হোর্হে সাম্পওলিকে। গত মৌসুমে এই লিগে চার কোচ চাকরি হারান। মোনাকো বরখাস্ত করে বায়ার্নের সাবেক কোচ নিকো কোভাচকে আর সেঁত এতেঁ ছাঁটাই করে ক্লদ পুয়েলকে।
গত জুনে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটির দ্বিতীয়ার্ধ দেরিতে শুরু হওয়ায় শাস্তির মুখে পড়েছে বাফুফে। তাদের ১৫০০ ডলার (প্রায় দুই লাখ টাকা) জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)।
৫ ঘণ্টা আগে১১০ রানে অলআউট হয়ে কার্যত ম্যাচের প্রথমার্ধেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল পাকিস্তান। মিরপুর শেরেবাংলার উইকেটে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ সফরকারী ব্যাটাররা। ম্যাচ হারের পর তাই সফরকারী দলের যত ক্ষোভ উইকেট নিয়ে। পাকিস্তান অধিনায়ক তো বলেই দিলেন, বাংলাদেশে এসে ভালো উইকেট আশা করা যায় না!
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ দেখতে আজ মিরপুর শেরেবাংলার গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন অনেক নামীদামি ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।
৬ ঘণ্টা আগেদুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে অল্প রানে আটকে রেখে জয়ের অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন বোলাররা। ব্যাটাররাও নিজেদের কাজ সারলেন দারুণভাবে। পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটি আর তাওহীদ হৃদয়ের কার্যকর এক ইনিংসের সৌজন্যে ২৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে বড় জয় পেল বাংলাদেশ। ৯ বছর বেশি সময় পর পাকিস্তানের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের ম্যাচ
৭ ঘণ্টা আগে