হাসনাত শোয়েব, ঢাকা
ক্লাব ফুটবলে এখন জার্মান কোচদের জয়জয়কার। ইয়ুর্গেন ক্লপ ও হ্যান্স ফ্লিকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছেন আরেক জার্মান টমাস টুখেল।
এই জার্মান ‘মায়েস্ত্রো’দের গুরু রালফ রাংনিককে ডাগআউটে আনতে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সব মিলিয়ে ইউরোপে জার্মান কোচদের দাপট আরও বিস্তৃত হওয়ার পথে।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে জার্মান কোচদের এই দাপট অবশ্য একেবারেই আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। তাঁদের গড়ে ওঠার পেছনে লুকিয়ে রয়েছে এক বীজ। জার্মান ক্লাবগুলোতে কোচ তৈরির ধারাবাহিকতার ভেতর দিয়েই বেরিয়ে এসেছেন ক্লপ-টুখেলরা।
জার্মানিতে যুবদলের কোচকেও মূল দলের কোচের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়। বিশেষত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচদের। এসব কোচকে এমনভাবে গড়ে তোলা হয়, যেন তাঁরা ভবিষ্যতে মূল দলের কোচ হয়ে উঠতে পারেন। বেশির ভাগ সময়ে অনেকটা অবধারিতভাবেই তাঁরা প্রধান কোচের জায়গায় চলে আসেন।
জার্মান ক্লাবগুলো একজন খেলোয়াড়ের মতো করেই কোচিং স্টাফদের বিকাশ নিয়ে কাজ করে। যে কারণে একজন একাডেমি কোচও প্রথম দলের কোচের মতো গুরুত্বপূর্ণ। যে শিক্ষা এবং পদ্ধতির ভেতর দিয়ে তাঁরা তৈরি হন, তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। স্তরটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয় বলেই তাঁরা অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরেই ‘এলিট কোচে’র মর্যাদা পান।
এখানে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় জুলিয়ান নাগেলসমানের নাম। হফেনহাইমে নিজের জাদু দেখানোর আগে ১৮৬০ মিউনিখে নিজেকে তৈরি করেছেন তিনি। এখন বুন্দেসলিগার সবচেয়ে সফল দল বায়ার্ন মিউনিখকে দারুণভাবে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি।
বড় দলের প্রধান কোচ হয়ে নিজেদের দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাকে ক্লাবের কাঠামোর ভেতর ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পান তাঁরা। প্রথম দলের খেলোয়াড়দের কোচিং করানোর ক্ষেত্রেও তাঁরা নিজেদের যুবদলে পাওয়া এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান।
তবে এই প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার পাশাপাশি প্রয়োজন হয় একজন আদর্শেরও। জার্মানিতে যে কাজটা করেছেন কিংবদন্তি রাংনিক। তাঁকে নিয়ে ফুটবল বিশ্লেষক ডেভিড ওয়েব বলেছিলেন, ‘একটি প্রজন্মের উঠে আসার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়। জার্মানিতে সেই অনুপ্রেরণা দেওয়ার কাজটি করেছেন রাংনিক। রেড বুল দিয়ে শুরু এরপর শালকে এবং আর বি লিপজিগের মতো ক্লাবকে সামনে নিয়ে এসেছেন। রাংনিক দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন ক্লপ, টুখেল এবং নাগেলসমানসহ বর্তমানে বুন্দেসলিগার সফল অন্য কোচরা।’
ক্লপের হাত ধরে বিকশিত হওয়া গেগেনপ্রেসিং মূলত তাঁরই আবিষ্কার। যাঁকে ক্লপ বলছেন ‘হেভিমেটাল’ ফুটবল। যদি তাই হয়, তবে রাংনিককে অজি অসবর্ন (ব্ল্যাক সাবাথ ব্যান্ডের ভোকাল, যিনি ফাদার অব হেভি মেটাল নামে পরিচিত) বলাই যায়। রাংনিক নিজেও অবশ্য গেগেনপ্রেসিংয়ের ‘গডফাদার’ নামে পরিচিত।
রাংনিক অনেক কোচকে সরাসরি নিজের ছায়ায় তৈরি করেছেন। স্টুটগার্টে টুখেলকে এবং লিপজিগে নাগেলসমান আর জেসে মার্শকে। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ মার্কো রোস এবং মনশেনগ্লাডবাখের কোচ আডি হুটের নামও উল্লেখ করা যায়।
ওয়েবের মতে, আধুনিক ফুটবলে জার্মান কোচদের সাফল্যের নেপথ্যে নায়ক হলেন রাংনিক। তিনি বলেছেন, ‘অনেক জার্মান কোচ রাংনিকের গেগেনপ্রেসিংকে গ্রহণ করেছেন। যেখানে আক্রমণই শেষ কথা। এটাই এখন জার্মান ফুটবলের মূলনীতি। ট্যাকটিক্যালি কোচরা এটা গ্রহণ করছেন এবং বিভিন্ন ফরমেশনে ব্যবহার করে সফল হয়েছেন।’
ক্লাব ফুটবলে এখন জার্মান কোচদের জয়জয়কার। ইয়ুর্গেন ক্লপ ও হ্যান্স ফ্লিকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছেন আরেক জার্মান টমাস টুখেল।
এই জার্মান ‘মায়েস্ত্রো’দের গুরু রালফ রাংনিককে ডাগআউটে আনতে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সব মিলিয়ে ইউরোপে জার্মান কোচদের দাপট আরও বিস্তৃত হওয়ার পথে।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে জার্মান কোচদের এই দাপট অবশ্য একেবারেই আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। তাঁদের গড়ে ওঠার পেছনে লুকিয়ে রয়েছে এক বীজ। জার্মান ক্লাবগুলোতে কোচ তৈরির ধারাবাহিকতার ভেতর দিয়েই বেরিয়ে এসেছেন ক্লপ-টুখেলরা।
জার্মানিতে যুবদলের কোচকেও মূল দলের কোচের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়। বিশেষত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচদের। এসব কোচকে এমনভাবে গড়ে তোলা হয়, যেন তাঁরা ভবিষ্যতে মূল দলের কোচ হয়ে উঠতে পারেন। বেশির ভাগ সময়ে অনেকটা অবধারিতভাবেই তাঁরা প্রধান কোচের জায়গায় চলে আসেন।
জার্মান ক্লাবগুলো একজন খেলোয়াড়ের মতো করেই কোচিং স্টাফদের বিকাশ নিয়ে কাজ করে। যে কারণে একজন একাডেমি কোচও প্রথম দলের কোচের মতো গুরুত্বপূর্ণ। যে শিক্ষা এবং পদ্ধতির ভেতর দিয়ে তাঁরা তৈরি হন, তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। স্তরটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয় বলেই তাঁরা অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরেই ‘এলিট কোচে’র মর্যাদা পান।
এখানে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় জুলিয়ান নাগেলসমানের নাম। হফেনহাইমে নিজের জাদু দেখানোর আগে ১৮৬০ মিউনিখে নিজেকে তৈরি করেছেন তিনি। এখন বুন্দেসলিগার সবচেয়ে সফল দল বায়ার্ন মিউনিখকে দারুণভাবে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি।
বড় দলের প্রধান কোচ হয়ে নিজেদের দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাকে ক্লাবের কাঠামোর ভেতর ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পান তাঁরা। প্রথম দলের খেলোয়াড়দের কোচিং করানোর ক্ষেত্রেও তাঁরা নিজেদের যুবদলে পাওয়া এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান।
তবে এই প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার পাশাপাশি প্রয়োজন হয় একজন আদর্শেরও। জার্মানিতে যে কাজটা করেছেন কিংবদন্তি রাংনিক। তাঁকে নিয়ে ফুটবল বিশ্লেষক ডেভিড ওয়েব বলেছিলেন, ‘একটি প্রজন্মের উঠে আসার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়। জার্মানিতে সেই অনুপ্রেরণা দেওয়ার কাজটি করেছেন রাংনিক। রেড বুল দিয়ে শুরু এরপর শালকে এবং আর বি লিপজিগের মতো ক্লাবকে সামনে নিয়ে এসেছেন। রাংনিক দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন ক্লপ, টুখেল এবং নাগেলসমানসহ বর্তমানে বুন্দেসলিগার সফল অন্য কোচরা।’
ক্লপের হাত ধরে বিকশিত হওয়া গেগেনপ্রেসিং মূলত তাঁরই আবিষ্কার। যাঁকে ক্লপ বলছেন ‘হেভিমেটাল’ ফুটবল। যদি তাই হয়, তবে রাংনিককে অজি অসবর্ন (ব্ল্যাক সাবাথ ব্যান্ডের ভোকাল, যিনি ফাদার অব হেভি মেটাল নামে পরিচিত) বলাই যায়। রাংনিক নিজেও অবশ্য গেগেনপ্রেসিংয়ের ‘গডফাদার’ নামে পরিচিত।
রাংনিক অনেক কোচকে সরাসরি নিজের ছায়ায় তৈরি করেছেন। স্টুটগার্টে টুখেলকে এবং লিপজিগে নাগেলসমান আর জেসে মার্শকে। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ মার্কো রোস এবং মনশেনগ্লাডবাখের কোচ আডি হুটের নামও উল্লেখ করা যায়।
ওয়েবের মতে, আধুনিক ফুটবলে জার্মান কোচদের সাফল্যের নেপথ্যে নায়ক হলেন রাংনিক। তিনি বলেছেন, ‘অনেক জার্মান কোচ রাংনিকের গেগেনপ্রেসিংকে গ্রহণ করেছেন। যেখানে আক্রমণই শেষ কথা। এটাই এখন জার্মান ফুটবলের মূলনীতি। ট্যাকটিক্যালি কোচরা এটা গ্রহণ করছেন এবং বিভিন্ন ফরমেশনে ব্যবহার করে সফল হয়েছেন।’
ব্যালন ডি’অরের সোনালি ট্রফি উঠবে কার হাতে? তা জানা যাবে সেপ্টেম্বরে। মৌসুম যেহেতু শেষ, তাই এ নিয়ে আলোচনা বেড়ে গেছে। তবে দুটি নামই শোনা যাচ্ছে বেশি—পিএসজির ওসমান দেম্বেলে ও বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল। দেম্বেলেকে বেশ ভালোভাবেই চেনা কিলিয়ান এমবাপ্পের। গত মৌসুমেও একসঙ্গে পিএসজিতে খেলেছেন তারা।
৫ ঘণ্টা আগেএশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে আজ ঢাকায় আসছে সিঙ্গাপুর ফুটবল দল। রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের। তবে এর আগে দলে যোগ ফারহান জুলকিফলি। গতি, ড্রিবলিং ও প্লেমেকিং সক্ষমতা দিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে ২২ বছর বয়সী প্রতিভাবান এই উইঙ্গারের। জাতীয় দলের হয়ে
৭ ঘণ্টা আগেদুজন একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। খেলা বাদে একসঙ্গে খুব একটা দেখাও যায় না। তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না থাকলেও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এসেছেন বরাবর। লিওনেল মেসিকে ভালো লাগার এটাই কারণ বলে জানিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের কাছে গত মাসে প্রথম ম্যাচ হেরেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ঐতিহাসিক এই জয়ে মুহাম্মদ ওয়াসিম ছিলেন। ‘ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) পুরস্কার পেলেন আমিরাত অধিনায়ক।
১০ ঘণ্টা আগে