ক্রীড়া ডেস্ক
ঢাকা: এএস রোমার দায়িত্ব নিয়ে হোসে মরিনহোর ইতালিতে আসার সংবাদে নিশ্চয় ভ্রু কুঁচকে তাকিয়েছেন আন্তোনিও কন্তে! যদিও মুখে ঠিকই স্বাগত জানিয়েছেন। পুরোনো ‘শত্রু’র সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে কথা! আবারও সেই কথার লড়াই দেখতে ফুটবলপ্রেমীরাও নিশ্চয়ই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২০১৬ সালে শুরু এ দুই কোচের কথার দ্বৈরথ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে চেলসির ৪–০ গোলের জয়ের পর বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছিলেন কন্তে, যা মোটেই পছন্দ হয়নি মরিনহোর। কন্তেকে সেদিন মরিনহো বলেছিলেন, ‘৪–০ গোলের জয় তুমি এভাবে উদ্যাপন করতে পারো না। শুধু ১–০ গোলের জয়ে করতে পারো। নয়তো সেটি আমাদের জন্য অপমান।’
সেটা অবশ্য শুরু ছিল। এখন ২০২০–২১ মৌসুমে সিরি ‘আ’তে আবারও দেখা মিলবে দুজনের লড়াইয়ের। ইতালির মঞ্চে অবশ্য এ দুজনের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০০৯ সালে। কন্তে যখন আতালান্তার কোচ ছিলেন, সেবার ইন্টারের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন মরিনহো।
মরিনহো–কন্তের লড়াই আবার সামনে আসে ২০১৭ সালের মার্চে। এফএ কাপের ম্যাচে অ্যান্ডের হেরেরাকে লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি মরিনহো। বলেছিলেন, ‘সবাই ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করতে পারে। আমরা সবাই দেখেছি লাল কার্ডের আগে–পরে ম্যাচটি কেমন ছিল। দুটি হলুদ কার্ডের সিদ্ধান্ত আমরা চাইলে তুলনা করতে পারি। অন্যেদর ক্ষেত্র এটি দেওয়া হতো না।’
জবাবে মরিনহোর ট্যাকটিসের সমালোচনায় মাতেন কন্তে। বারবার এডেন হ্যাজার্ডকে ফাউল করার ঘটনা সামনে এনে কন্তে বলেন, ‘সে ম্যাচ শুরু করেছিল, তবে তার খেলাটা খেলতে পারেনি। সবাই এর সাক্ষী।’
এখানেই থামেননি কন্তে। মৌসুম শেষে শিষ্যদের তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে চেলসি ১০ নম্বরে ছিল। এটা আর ঘটতে দেওয়া যাবে না। জটিলতাগুলো জানা আছে। চেলসিতে মরিনহোর মৌসুমে যা ঘটেছিল, তা আমাদের এড়াতে হবে।’
এরপর আবার দৃশ্যপটে মরিনহো। প্রত্যুত্তরে এই পর্তুগিজ বলেন, `আমি অনেকভাবে উত্তর দিতে পারি। কিন্তু কন্তেকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমি মাথার চুল হারাতে চাই না।’
এখানে মরিনহোর স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল ইতালিয়ান কোচের নকল চুলের দিকে। পরে চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচ শেষে কন্তেকে ইঙ্গিত করে মরিনহো বলেন, ‘আমি অন্য কোচদের মতো কখনো চোট নিয়ে কথা বলি না। খেলোয়াড়েরা চোটে পড়লে তারা কেবল কাঁদে, কাঁদে এবং কাঁদে।’
এই কথার লড়াইয়ের একপর্যায়ে কন্তেকে ‘সঙ’ বলে মন্তব্য করেন মরিনহো! জবাব দিতে গিয়ে আরও আক্রমণাত্মক কন্তে বলেন, মরিনহোর ‘বার্ধক্যজনিত স্মৃতিভ্রংশ’ হয়েছে!
কথার লড়াইয়ের পরের পর্বে মরিনহো কন্তেকে ‘ম্যাচ ফিক্সার’ আখ্যা দেন! জবাবে কন্তে বলেন, ‘আমি তাকে ছোটলোক হিসেবে দেখি। অতীতেও সে ছোটলোক, বর্তমানেও সে ছোটলোক এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে!’
নিশ্চিতভাবে এবার ইতালিতেও ফিরতে যাচ্ছে কথার সেই দ্বৈরথ। যদিও মরিনহোর ইতালিতে আসার প্রতিক্রিয়ায় কন্তে বলেছেন, ‘মরিনহোর সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি তাকে শুভকামনা জানাই।’
এখন কন্তের এই বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব কতক্ষণ টিকে থাকে, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
ঢাকা: এএস রোমার দায়িত্ব নিয়ে হোসে মরিনহোর ইতালিতে আসার সংবাদে নিশ্চয় ভ্রু কুঁচকে তাকিয়েছেন আন্তোনিও কন্তে! যদিও মুখে ঠিকই স্বাগত জানিয়েছেন। পুরোনো ‘শত্রু’র সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে কথা! আবারও সেই কথার লড়াই দেখতে ফুটবলপ্রেমীরাও নিশ্চয়ই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২০১৬ সালে শুরু এ দুই কোচের কথার দ্বৈরথ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে চেলসির ৪–০ গোলের জয়ের পর বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছিলেন কন্তে, যা মোটেই পছন্দ হয়নি মরিনহোর। কন্তেকে সেদিন মরিনহো বলেছিলেন, ‘৪–০ গোলের জয় তুমি এভাবে উদ্যাপন করতে পারো না। শুধু ১–০ গোলের জয়ে করতে পারো। নয়তো সেটি আমাদের জন্য অপমান।’
সেটা অবশ্য শুরু ছিল। এখন ২০২০–২১ মৌসুমে সিরি ‘আ’তে আবারও দেখা মিলবে দুজনের লড়াইয়ের। ইতালির মঞ্চে অবশ্য এ দুজনের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০০৯ সালে। কন্তে যখন আতালান্তার কোচ ছিলেন, সেবার ইন্টারের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন মরিনহো।
মরিনহো–কন্তের লড়াই আবার সামনে আসে ২০১৭ সালের মার্চে। এফএ কাপের ম্যাচে অ্যান্ডের হেরেরাকে লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি মরিনহো। বলেছিলেন, ‘সবাই ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করতে পারে। আমরা সবাই দেখেছি লাল কার্ডের আগে–পরে ম্যাচটি কেমন ছিল। দুটি হলুদ কার্ডের সিদ্ধান্ত আমরা চাইলে তুলনা করতে পারি। অন্যেদর ক্ষেত্র এটি দেওয়া হতো না।’
জবাবে মরিনহোর ট্যাকটিসের সমালোচনায় মাতেন কন্তে। বারবার এডেন হ্যাজার্ডকে ফাউল করার ঘটনা সামনে এনে কন্তে বলেন, ‘সে ম্যাচ শুরু করেছিল, তবে তার খেলাটা খেলতে পারেনি। সবাই এর সাক্ষী।’
এখানেই থামেননি কন্তে। মৌসুম শেষে শিষ্যদের তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে চেলসি ১০ নম্বরে ছিল। এটা আর ঘটতে দেওয়া যাবে না। জটিলতাগুলো জানা আছে। চেলসিতে মরিনহোর মৌসুমে যা ঘটেছিল, তা আমাদের এড়াতে হবে।’
এরপর আবার দৃশ্যপটে মরিনহো। প্রত্যুত্তরে এই পর্তুগিজ বলেন, `আমি অনেকভাবে উত্তর দিতে পারি। কিন্তু কন্তেকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমি মাথার চুল হারাতে চাই না।’
এখানে মরিনহোর স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল ইতালিয়ান কোচের নকল চুলের দিকে। পরে চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচ শেষে কন্তেকে ইঙ্গিত করে মরিনহো বলেন, ‘আমি অন্য কোচদের মতো কখনো চোট নিয়ে কথা বলি না। খেলোয়াড়েরা চোটে পড়লে তারা কেবল কাঁদে, কাঁদে এবং কাঁদে।’
এই কথার লড়াইয়ের একপর্যায়ে কন্তেকে ‘সঙ’ বলে মন্তব্য করেন মরিনহো! জবাব দিতে গিয়ে আরও আক্রমণাত্মক কন্তে বলেন, মরিনহোর ‘বার্ধক্যজনিত স্মৃতিভ্রংশ’ হয়েছে!
কথার লড়াইয়ের পরের পর্বে মরিনহো কন্তেকে ‘ম্যাচ ফিক্সার’ আখ্যা দেন! জবাবে কন্তে বলেন, ‘আমি তাকে ছোটলোক হিসেবে দেখি। অতীতেও সে ছোটলোক, বর্তমানেও সে ছোটলোক এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে!’
নিশ্চিতভাবে এবার ইতালিতেও ফিরতে যাচ্ছে কথার সেই দ্বৈরথ। যদিও মরিনহোর ইতালিতে আসার প্রতিক্রিয়ায় কন্তে বলেছেন, ‘মরিনহোর সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি তাকে শুভকামনা জানাই।’
এখন কন্তের এই বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব কতক্ষণ টিকে থাকে, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
বিপিএলের প্লে-অফের একটি জায়গা নিয়ে লড়াই চলছিল দুর্বার রাজশাহী ও খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে। তবে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে উড়িয়ে প্লে-অফের শেষ টিকিটটা নিশ্চিত করল খুলনাই। মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান
৪ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের খেলা শেষেই পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছিল শ্রীলঙ্কাকে। বৃষ্টি-আশীর্বাদে তৃতীয় দিন ম্যাচের মীমাংসা না হলেও আজ ইনিংস এবং ২৪২ রানে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির টেস্ট ইতিহাসে ইনিংস ব্যবধানে এটাই সবচেয়ে বড় হার। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটাই সবচেয়ে বড় জয় অস্ট্রেলিয়ার।
৪ ঘণ্টা আগেরাজপুত্র ফিরে এসেছেন। সাও পাওলোর সান্তোস শহরে মানুষের ব্যতিব্যস্ততা বেড়ে গেছে। ভারী বর্ষণ উপেক্ষা করে শহরের মানুষ জড়ো হতে থাকে সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোয়। রাজপত্রকে বরণ করে নিতে হবে যে! সেই রাজপুত্র নেইমার।
৫ ঘণ্টা আগেচলমান বিপিএলে ফিক্সিং ইস্যুতে ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার গুঞ্জনে সরগরম দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। গণমাধ্যমে এ নিয়ে ছড়ানো নানা খবরের প্রেক্ষিতে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বিজয় বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছেন এবং নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে