ক্রীড়া ডেস্ক
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই খুইয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এমনকি চোটে জর্জর ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষভাগে বাধ্য হয়ে এনেছে পরিবর্তনও। এই কঠিন পরিস্থিতিতেই জ্বলে উঠল ক্যারিবীয়রা। ভেঙে দিল ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড।
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে গত রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে রয়েছে রানের বন্যা। ম্যাচে খেলা হয়েছে ২৩৪ বল। রান হয়েছে ৪৩৯। ৫ উইকেটে ২২১ রান করে এই মাঠে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল ক্যারিবীয়রা। সেন্ট লুসিয়ায় এর আগে এই কীর্তি ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৯৭ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
টস জিতে গত রাতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া ইংল্যান্ড প্রথম ১০ ওভারে করে ২ উইকেটে ১০৫ রান। শেষ অর্ধেকে ইংলিশরা উইকেট একটু বেশি হারালেও রান তুলেছে প্রথম অর্ধেকের চেয়েও বেশি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৮ রান করে ইংলিশরা। ফিফটি তুলে নিয়েছেন জ্যাকব বেথেল (৬২*) ও ফিল সল্ট (৫৫)। যেখানে ৪ নম্বরে নেমে ৩২ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন বেথেল।
২১৯ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ৯ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ১৩৬ রান করে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দশম ওভারে যেতেই কিছুটা বেকায়দায় পড়ে উইন্ডিজ। প্রথম তিন বলেই তিনটা উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। হ্যাটট্রিক না হলেও এই ওভারে রেহান আহমেদ নিয়েছেন ২ উইকেট। যার মধ্যে শাই হোপ হয়েছেন রানআউট। পরবর্তীতে আর কোনো সমস্যা হয়নি ক্যারিবীয়দের। ১ ওভার হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৩১ বলে ৬৮ রান করে ম্যাচে ক্যারিবীয়দের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এভিন লুইস। ৭ ছক্কা ও ৪ চার মেরেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের রেহান ৩ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৪৩ রান খরচ করেছেন। তবে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পাননি লুইস। ম্যাচসেরা হয়েছেন শাই হোপ। ২৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান করেছেন তিনি। ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ড ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে। আজ রাতে সেন্ট লুসিয়ায় পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড।
রানের পাহাড় তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গত রাতে তুলনামূলক সহজে জিতলেও অস্ট্রেলিয়ার ১৪ বছর আগে জিততে ঘাম ছুটে গিয়েছিল। ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ১৯২ রান তাড়া করতে অস্ট্রেলিয়ার শেষ ৫ বলে দরকার ছিল ১৭ রান। হাতে ছিল ৩ উইকেট। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সাঈদ আজমলকে ৩ ছক্কা ও ৪ মেরে অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তুলেছিলেন মাইক হাসি। যেখানে ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে হাসি ছক্কা মারতেই হতাশায় মুষড়ে পড়েছিল পুরো পাকিস্তান। ২৪ বলে ৬০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন হাসি। ৬ ছক্কা ও ৩ চার মেরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেন্ট লুসিয়ায় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড
স্কোর দল প্রতিপক্ষ সাল
২২১/৫ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইংল্যান্ড ২০২৪
১৯৭/৭ অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তান ২০১০ (বিশ্বকাপ)
১৮৬/৫ অস্ট্রেলিয়া স্কটল্যান্ড ২০২৪ (বিশ্বকাপ)
১৮১/২ ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০২৪ (বিশ্বকাপ)
১৬৭/৫ শ্রীলঙ্কা ভারত ২০১০ (বিশ্বকাপ)
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই খুইয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এমনকি চোটে জর্জর ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষভাগে বাধ্য হয়ে এনেছে পরিবর্তনও। এই কঠিন পরিস্থিতিতেই জ্বলে উঠল ক্যারিবীয়রা। ভেঙে দিল ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড।
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে গত রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে রয়েছে রানের বন্যা। ম্যাচে খেলা হয়েছে ২৩৪ বল। রান হয়েছে ৪৩৯। ৫ উইকেটে ২২১ রান করে এই মাঠে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল ক্যারিবীয়রা। সেন্ট লুসিয়ায় এর আগে এই কীর্তি ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৯৭ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
টস জিতে গত রাতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া ইংল্যান্ড প্রথম ১০ ওভারে করে ২ উইকেটে ১০৫ রান। শেষ অর্ধেকে ইংলিশরা উইকেট একটু বেশি হারালেও রান তুলেছে প্রথম অর্ধেকের চেয়েও বেশি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৮ রান করে ইংলিশরা। ফিফটি তুলে নিয়েছেন জ্যাকব বেথেল (৬২*) ও ফিল সল্ট (৫৫)। যেখানে ৪ নম্বরে নেমে ৩২ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন বেথেল।
২১৯ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ৯ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ১৩৬ রান করে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দশম ওভারে যেতেই কিছুটা বেকায়দায় পড়ে উইন্ডিজ। প্রথম তিন বলেই তিনটা উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। হ্যাটট্রিক না হলেও এই ওভারে রেহান আহমেদ নিয়েছেন ২ উইকেট। যার মধ্যে শাই হোপ হয়েছেন রানআউট। পরবর্তীতে আর কোনো সমস্যা হয়নি ক্যারিবীয়দের। ১ ওভার হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৩১ বলে ৬৮ রান করে ম্যাচে ক্যারিবীয়দের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এভিন লুইস। ৭ ছক্কা ও ৪ চার মেরেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের রেহান ৩ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৪৩ রান খরচ করেছেন। তবে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পাননি লুইস। ম্যাচসেরা হয়েছেন শাই হোপ। ২৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান করেছেন তিনি। ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ড ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে। আজ রাতে সেন্ট লুসিয়ায় পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড।
রানের পাহাড় তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গত রাতে তুলনামূলক সহজে জিতলেও অস্ট্রেলিয়ার ১৪ বছর আগে জিততে ঘাম ছুটে গিয়েছিল। ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ১৯২ রান তাড়া করতে অস্ট্রেলিয়ার শেষ ৫ বলে দরকার ছিল ১৭ রান। হাতে ছিল ৩ উইকেট। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সাঈদ আজমলকে ৩ ছক্কা ও ৪ মেরে অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তুলেছিলেন মাইক হাসি। যেখানে ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে হাসি ছক্কা মারতেই হতাশায় মুষড়ে পড়েছিল পুরো পাকিস্তান। ২৪ বলে ৬০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন হাসি। ৬ ছক্কা ও ৩ চার মেরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেন্ট লুসিয়ায় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড
স্কোর দল প্রতিপক্ষ সাল
২২১/৫ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইংল্যান্ড ২০২৪
১৯৭/৭ অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তান ২০১০ (বিশ্বকাপ)
১৮৬/৫ অস্ট্রেলিয়া স্কটল্যান্ড ২০২৪ (বিশ্বকাপ)
১৮১/২ ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০২৪ (বিশ্বকাপ)
১৬৭/৫ শ্রীলঙ্কা ভারত ২০১০ (বিশ্বকাপ)
২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছে আয়োজক পাকিস্তান। তবে শেষ মুহূর্তে সাইম আইয়ুবকে ছাড়াই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত স্কোয়াড ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেগলে আজ তৃতীয় দিনে খেলেছে শুধু বৃষ্টি। এতটাই বৃষ্টির দাপট ছিল যে শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে কেবল ২৭ ওভার। তবে অস্ট্রেলিয়া এক ইনিংসে যে রানের পাহাড় গড়ছে, তাতেই লঙ্কানদের হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা।
৯ ঘণ্টা আগেঅনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ভারত এক অভ্যাসে পরিণত করেছে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম দুইবারই ফাইনালে উঠল ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। নিকি প্রসাদের নেতৃত্বাধীন দলটির ফাইনালে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
১০ ঘণ্টা আগেনিত্যনতুন রেকর্ডে নাম লেখানো যেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দারুণ এক অভ্যাসে পরিণত করেছেন। গোলের রেকর্ডের পাশাপাশি অন্যান্য রেকর্ডেও উঠে যায় তাঁর নাম। এবার যে রেকর্ড পর্তুগিজ ফুটবলার গড়েছেন তাতে আছেন শুধু নিজেই।
১১ ঘণ্টা আগে