Ajker Patrika

‘ভারতের সঙ্গে এমন অবিচারের কারণ কী, ব্যাখ্যা দিন’

ক্রীড়া ডেস্ক    
অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম ওয়ানডেতে বাজেভাবে হেরেছে ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম ওয়ানডেতে বাজেভাবে হেরেছে ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

অস্ট্রেলিয়ার কাছে পার্থে প্রথম ওয়ানডেতে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে ভারত। নতুন অধিনায়ক শুবমান গিলের অধীনে ওয়ানডে খেলতে গিয়ে শুরুতেই ভারত হোঁচট খাওয়ায় হচ্ছে নানা সমালোচনা। ভারতের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে তো কথাবার্তা হচ্ছেই। বেশি সমালোচনা হচ্ছে ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন (ডিএলএস) মেথড নিয়ে।

পার্থে পরশু সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে আগে যখন ভারত ব্যাটিং পায়, তখন চারবার তাদের ইনিংসে বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে। ৫০ ওভারের দৈর্ঘ্য কমে সেটা নেমে এসেছে ২৬ ওভারে। বৃষ্টি বারবার হানা দেওয়ায় ভারতও বুঝতে পারছিল না কীভাবে তাদের ব্যাটিং করা উচিত। চতুর্থ দফায় বৃষ্টি শেষে পুনরায় যখন খেলা শুরু হয়, তখন গিলের ভারত শেষ ৫৬ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান যোগ করেছে। ২৬ ওভার শেষে ভারতের স্কোর হয়েছে ৯ উইকেটে ১৩৬ রান। কিন্তু ডিএলএস মেথডে অস্ট্রেলিয়ার সামনে সেই লক্ষ্যটা হয়ে যায় ১৩১ রানের।

ভারতের ইনিংসের চেয়ে ৫ রান কম পেয়ে অস্ট্রেলিয়া বৃষ্টি আইনে ২৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে। আকাশ চোপড়ার মতে ভারতের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য কমে গেল, সেটা বুঝতেই পারছেন না তিনি। নিজের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ভারতীয় এই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ভারত ১৩৬ রান করেছে। তবে ১৩০ রানের লক্ষ্য কীভাবে হলো (আসলে ১৩১ রানের লক্ষ্য)? কিন্তু এটা ভুল। এটা অবিচার। আমাকে এর ব্যাখ্যা দিন। প্রথম যখন ম্যাচ শুরু হয়, সেটা ৫০ ওভার ছিল তাদের জন্য। কিন্তু ওভার যখন ধীরে ধীরে কমা শুরু করল, তখন মানিয়ে নেওয়াটা কঠিন হচ্ছিল।’

ম্যাচের মাঝে যদি বৃষ্টি বাধা দেয়, তখন চলে আসে ডিএলএসের হিসাব। যে দল বেশি উইকেট হারায়, তারা বেকায়দায় পড়ে। তখন প্রতিপক্ষের জন্য লক্ষ্যটা তুলনামূলক কমে যায়। তবু আকাশ চোপড়ার মতে হিসাবে অনেক গড়বড় হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেন, ‘‘ডিএলএসে কী ঘটে আসলে। যখন আপনার হাতে কম উইকেট থাকে, তখন আপনি ভঙ্গুর অবস্থায়। ভারত ৯ উইকেট হারিয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনি বলতে পারেন,‘১৩৬ রান আপনি বাড়তি দিয়েছেন। যদি শুরুতেই ২৬ ওভারের ম্যাচ হতো, তাহলে তো এমনটা হতো না’। পুরোপুরি ভুল এটা।’

ডিএলএস মেথডে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ১৩১ রানের লক্ষ্য হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন তুলেছিলেন সুনীল গাভাস্কার। কথা প্রসঙ্গে তিনি ভিজেডি মেথডের কথা উল্লেখ করেছিলেন। যেখানে ভি জয়দেবন নামে ভারতীয় এক প্রকৌশলীর নামে সেই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন বলে এটাকে বলা হয় ভিজেডি মেথড। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে সাধারণত এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গাভাস্কারের মতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস, ভিজেডি মেথডের হিসাবে আরও স্বচ্ছতা থাকা দরকার।

প্রথম ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে এখন অস্ট্রেলিয়া। গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতের এখন শেষ দুই ওয়ানডে জিততে হবে। ২৩ ও ২৫ অক্টোবর অ্যাডিলেড ও সিডনিতে হবে অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশের ইনিংসে আজ যা ঘটেছে, তা আগে কখনোই হয়নি

ক্রীড়া ডেস্ক    
বাংলাদেশের বিপক্ষে পুরো ৫০ ওভার বোলিং করেছেন উইন্ডিজ স্পিনাররা। ছবি: ক্রিকইনফো
বাংলাদেশের বিপক্ষে পুরো ৫০ ওভার বোলিং করেছেন উইন্ডিজ স্পিনাররা। ছবি: ক্রিকইনফো

ঘরের মাঠে স্পিনট্র্যাক বানিয়ে প্রতিপক্ষকে বোকা বানানো উপমহাদেশের দলগুলোর কাছে একেবারে অপরিচিত নয়। বাংলাদেশও তো এর ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ঘূর্ণি উইকেটে ব্যাটারদের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে যায়। এই ঘূর্ণি উইকেটেই আজ ঘটল এক বিরল ঘটনা।

প্রথম ওয়ানডেতে ২০৭ রান করেও বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছিল ৭৪ রানে। সিরিজ বাঁচাতে উইন্ডিজের জয়ের কোনো বিকল্প নেই। সেকারণেই আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খারি পিয়ের, গুড়াকেশ মতি, আকিল হোসেন, রস্টন চেজ-এই চার স্বীকৃত স্পিনার নিয়ে খেলতে নেমেছে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন খন্ডকালীন স্পিনার আলিক আথানাজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই পাঁচ স্পিনারের প্রত্যেকেই ১০ ওভার করে বোলিং করেছেন। ওয়ানডেতে এক ইনিংসে পুরো ৫০ ওভার স্পিনারদের দিয়ে বোলিংয়ের ঘটনা এবারই প্রথমবার ঘটল।

ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ওভার স্পিনারদের নিয়ে করানোর এই তালিকায় শ্রীলঙ্কা। শুধু দ্বিতীয় স্থানেই নয়, তৃতীয়-চতুর্থ স্থান পর্যন্ত লঙ্কানদের নাম রয়েছে। প্রত্যেকবারই লঙ্কানরা ৪৪ ওভার করে স্পিন করিয়েছিল। যেখানে ১৯৯৮ ও ২০০৪ সালে লঙ্কানরা এই কীর্তি গড়েছিল ঘরের মাঠে। ১৯৯৮ সালে কলম্বোতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লঙ্কান পেসারদের মধ্যে ৬ ওভার করেছিলেন প্রমোদ্য বিক্রমাসিংহে। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার ৪৪ ওভার স্পিনারদের নিয়ে বোলিং করানোর রেকর্ডটি ত্রিনিদাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সেই ম্যাচে লঙ্কান বাঁহাতি পেসার চামিন্দা ভাস ৬ ওভার বোলিং করেছিলেন।

মিরপুরে আজ স্পিনারদের মধ্যে অবাক করেছেন আথানাজ। খণ্ডকালীন এই স্পিনার ১০ ওভারে খরচ করেছেন ১৪ রান। দিয়েছেন ৩ ওভার মেডেন। পেয়েছেন ২ উইকেট। গুড়াকেশ মতি ৩ উইকেট নিলেও ৬.৫ ইকোনমিতে ৬৫ রান খরচ করেছেন। ৪০-এর বেশি রান দিয়েছেন পিয়ের, চেজ ও আকিল। যাঁদের মধ্যে আকিল ৪১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।

ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ওভার স্পিনারের বোলিংয়ের পাঁচ রেকর্ড

ওভার দল প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল

৫০ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশ মিরপুর ২০২৫

৪৪ শ্রীলঙ্কা ওয়েস্ট ইন্ডিজ পোর্ট অব স্পেন ১৯৯৬

৪৪ শ্রীলঙ্কা নিউজিল্যান্ড কলম্বো ১৯৯৮

৪৪ শ্রীলঙ্কা অস্ট্রেলিয়া ডাম্বুলা ২০০৪

৪৩.৩ ওমান নেদারল্যান্ডস আল আমেরাত ২০২৪

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রিশাদই টেনে তুললেন বাংলাদেশকে

ক্রীড়া ডেস্ক    
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ওয়ানডেতেই শেষে নেমে ঝড় তুলেছেন রিশাদ হোসেন। ছবি: এএফপি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ওয়ানডেতেই শেষে নেমে ঝড় তুলেছেন রিশাদ হোসেন। ছবি: এএফপি

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। প্রথম ওয়ানডেতে রিশাদ হোসেনের ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে বাংলাদেশের স্কোর হয়েছিল ২০৭ রান। ম্যাচটা স্বাগতিকেরা জিতেছিল ৭৪ রানে। দুই দিন বিরতির পর আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফের রিশাদের ক্যামিও। এবারও বাংলাদেশ পেরিয়েছে ২০০।

স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে বেকায়দায় ফেলার কৌশল তো বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলা হলে বেশিরভাগ সময়ই ব্যাটাররা রানের জন্য ধুঁকতে থাকেন। এবারের বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটাও নতুন কিছু নয়। তবে স্পিনবান্ধব উইকেটে সাইফ হাসান-তাওহীদ হৃদয়রা যেখানে ধুঁকেছেন, রিশাদ সেখানে তাণ্ডব চালিয়েছেন। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ ৯ নম্বরে নেমে ১৪ বলে করেছেন ৩৯ রান করেছেন। তাঁর শেষের ঝড়ে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে করেছে ২১৩ রান।

সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ। দলীয় ২২ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকেরা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে আকিল হোসেনকে ফ্রন্ট ফুটে ডিফেন্স করতে যান সাইফ হাসান। এজ হওয়া বল প্রথম স্লিপে তালুবন্দী করেছেন জাস্টিন গ্রিভস। অথচ ঠিক তার আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন সাইফ। ১৬ বল খেলে ৬ রান করেছেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। স্বাগতিকেরা পাওয়ার প্লে (প্রথম ১০ ওভার) শেষ করেছে ১ উইকেটে ৪০ রানে। ১০ ওভারের পর রান তোলার গতি কমতে থাকে। তাওহীদ হৃদয় (১২), নাজমুল হোসেন শান্ত (১৫) ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (১৭) দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেই আউট হয়ে গেছেন। ওপেনিংয়ে নামা সৌম্য সরকার একপ্রান্তে সাবলীলভাবে খেলতে থাকলেও ফিফটি পূর্ণ করার আগে আউট হয়েছেন।

৮৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৪৫ রান। ৩১তম ওভারের তৃতীয় বলে আকিলকে তুলে মারতে যান সৌম্য। বাতাসে ভেসে থাকা বল ডিপ মিড উইকেট থেকে দৌড়ে এসে তালুবন্দী করেছেন খ্যারি পিয়েরে। সৌম্যর বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩০.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৩ রান। ষষ্ঠ উইকেটে মিরাজ-নাসুম ২৫ রানের জুটি গড়লেও তাঁরা খেলেছেন ৪৮ বল। ৩৯তম ওভারের তৃতীয় বলে গুড়াকেশ মোতির হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলে ঠেকাবেন নাকি শট খেলবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি নাসুম। শর্ট মিড উইকেটে এরপর সহজ ক্যাচ ধরেছেন খারি পিয়ের। আট নম্বরে নামা নুরুল হাসান সোহান ২৪ বলে করেছেন ২৩ রান। মেরেছেন ২ চার ও ১ ছক্কা। প্রথম সারির ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র তিনিই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করেছেন।

সোহানের বিদায়ের পর শুরু হয়েছে তাণ্ডব। শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে যোগ করেছে ৩৪ রান। যার মধ্যে রিশাদ একাই নিয়েছেন ৩৩ রান। ১৪ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। সৌম্যর ৪৫ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস রিশাদের ব্যাট থেকেই এসেছে। অধিনায়ক মিরাজ ৫৮ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুড়াকেশ মোতি ১০ ওভারে ৬৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন আকিল হোসেন ও আলিক আথানাজ। যাঁদের মধ্যে খণ্ডকালীন স্পিনার আথানাজ ১০ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করেছেন। তিন ওভার মেডেন দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ উইকেট নিয়ে মহারাজের তিন কীর্তি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩১
১০২ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন মহারাজ। তাঁর ঘূর্ণি বোলিংয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই অলআউট হয় পাকিস্তান। ছবি: এক্স
১০২ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন মহারাজ। তাঁর ঘূর্ণি বোলিংয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই অলআউট হয় পাকিস্তান। ছবি: এক্স

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনশেষে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২৫৯ রান। এমন অবস্থা থেকে দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্তও ব্যাট করতে পারেনি স্বাগতিকরা। কেশব মহারাজের ঘূর্ণি বোলিংয়ে শেষ ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তাদের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৩৩৩ রানে।

দ্বিতীয় দিনের শুরুতে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনে ধস নামানোর পথে ১০২ রানে ৭ উইকেট নেন মহারাজ। তাতেই একাধিক কীর্তি গড়েছেন এই স্পিনার। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারদের মধ্যে টেস্টে এটা পাকিস্তানের বিপক্ষে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল পল অ্যাডামসের দখলে। ২০০৩ সালে লাহোর টেস্টে ১২৮ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট নেন অ্যাডামস। এবার তাঁর রেকর্ড ভেঙে দিলেন মহারাজ।

৭ উইকেট নিয়ে আরও একটি বড় কীর্তি গড়েছেন মহারাজ। টেস্টে এশিয়ার মাটিতে ৫০ উইকেট নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম স্পিনার তিনি। নাথান লায়নের পর এশিয়ার বাইরের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এশিয়ায় একাধিকবার ৭ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখালেন মহারাজ। এর আগে ২০১৮ সালে কলম্বো টেস্টে ১২৯ রান খরচায় ৯ উইকেট নেন এই বাঁ হাতি স্পিনার। টেস্টে এটাই তাঁর সেরা বোলিং ফিগার।

২০১৬ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় মহারাজের। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এখন পর্যন্ত (রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট ছাড়া) ৫৯ টেস্ট খেলেছেন তিনি। ১০০ ইনিংস বল করে নিয়েছেন ২০৩ উইকেট। ৫ উইকেট শিকার করেছেন ১১ বার। ১০ উইকেট নিয়েছেন একবার। ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করায় এই সংস্করণে প্রোটিয়াদের নিয়মিত মুখ মহারাজ। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দলকে ভরসা দিতে পারেন ৩৫ বছর বয়সী ক্রিকেটার। ৯১ ইনিংস ব্যাটিংয়ে নেমে ১ হাজার ২৯২ রান করেছেন তিনি। ফিফটি করেছেন ছয়টি। ৮৪ রানের ইনিংসটি তাঁর সর্বোচ্চ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরপুরে আজও হাঁসফাঁস করছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ০৭
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও রানের জন্য সংগ্রাম করছে বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকইনফো
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও রানের জন্য সংগ্রাম করছে বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকইনফো

মিরপুরে শনিবার প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৭৪ রানে জিতলেও স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান তুলতে পারেনি। ২০৭ রান করতে মেহেদী হাসান মিরাজের দলের খেলতে হয়েছিল ২৯৮ বল। দুই দিন বিরতির পর আজ যখন ফের একই মাঠে তারা খেলতে নামল, দেখা গেল সেই একই চিত্র।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে ১-০ ব্যবধানে। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নিবে স্বাগতিকেরা। সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নেমে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন অধিনায়ক মিরাজ। তবে আগে ব্যাটিং নিলেও স্বচ্ছন্দে খেলতে পারছে না স্বাগতিকেরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩২ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৪ রান করেছে বাংলাদেশ।দলীয় ২২ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে আকিল হোসেনকে ফ্রন্ট ফুটে ডিফেন্স করতে যান সাইফ হাসান। এজ হওয়া বল প্রথম স্লিপে তালুবন্দী করেছেন জাস্টিন গ্রিভস। অথচ ঠিক তার আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন সাইফ। ১৬ বল খেলে ৬ রান করেছেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। স্বাগতিকেরা পাওয়ার প্লে (প্রথম ১০ ওভার) শেষ করেছে ১ উইকেটে ৪০ রানে।

১০ ওভারের পর রান তোলার গতি কমতে থাকে। তাওহীদ হৃদয় (১২), নাজমুল হোসেন শান্ত (১৫) ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (১৭) দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেই আউট হয়ে গেছেন। ওপেনিংয়ে নামা সৌম্য সরকার একপ্রান্তে সাবলীলভাবে খেলতে থাকলেও ফিফটি পূর্ণ করার আগে আউট হয়েছেন। ৮৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৪৫ রান। ৩১তম ওভারের তৃতীয় বলে আকিলকে তুলে মারতে যান সৌম্য। বাতাসে ভেসে থাকা বল ডিপ মিড উইকেট থেকে দৌড়ে এসে তালুবন্দী করেছেন খ্যারি পিয়েরে।

সৌম্যর বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩০.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৩ রান। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে নাসুম আহমেদ ৮ বল খেলে করেছেন ১ রান। অধিনায়ক মিরাজ ৬ বল খেলে এখনো রানের খাতা খুলতে পারেননি। এই জুটি ভাঙার পর ব্যাটার বলতে কেবল নুরুল হাসান সোহান আছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকিল, আলিক আথানাজ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। গুড়াকেশ মোতি পেয়েছেন এক উইকেট।

মিরপুরের ঘূর্ণি উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ওয়ানডেতে মারাত্মক হাঁসফাঁস করেছে। সেই চিন্তা মাথায় রেখেই আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্পিন নির্ভর একাদশ সাজিয়েছে দুই দল। তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন নাসুম আহমেদ। নাসুমের সঙ্গে স্বীকৃত স্পিনার হিসেবে আছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম, লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন ও অধিনায়ক মিরাজ। সাইফ হাসানও খন্ডকালীন স্পিনার হিসেবে কার্যকরী হতে পারেন। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশে আছেন চার স্পিনার খারি পিয়ের, গুড়াকেশ মতি, আকিল হোসেন, রস্টন চেজ। যাঁদের মধ্যে চেজ স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত