জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্পর্কের শুরু ১৯৯৭ সাল থেকে। এরপর থেকেই একে অপরের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে দুই দল। দলের মতোই বাংলাদেশের সঙ্গে হিথ স্ট্রিকের সম্পর্ক ছিল দুর্দান্ত। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে অন্যরকম এক পরিচয়ই ছিল তাঁর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের শুরুর সময় খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিপক্ষ ছিলেন হিথ স্ট্রিক। জিম্বাবুয়ের পেস বোলিংয়ের এই নেতা শুরু থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিলেন। সঙ্গে ব্যাটিংয়েও বেশ ভুগিয়েছিলেন। আবার ২০১৫ সালে যখন সুবাতাস বইছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে সে সময় এসেছিলেন বোলিং কোচ হয়ে। ২০১৪ সালে ২ বছরের জন্য মাশরাফি বিন মুর্তজা-তাসকিন আহমেদের বোলিং কোচ ছিলেন এই জিম্বাবুয়েন কিংবদন্তি।
বাংলাদেশের আপনজন হয়ে ওঠা হিথ স্ট্রিক আজ মাত্র ৪৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। ২২ গজে অনেক কঠিন সময়কে জয় করতে পারলেও ক্যানসারের বিরুদ্ধে জিততে পারলেন না। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের সোনালি সময়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। দুই ফ্লাওয়ার ভাই অ্যান্ডি ও গ্র্যান্ট, হেনরি ওলেঙ্গা ও অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলদের সঙ্গে ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের হাল ধরে রেখেছিলেন।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ সাফল্যও তাঁদের সময়েই আসে জিম্বাবুয়ের। ১৯৯৯ ও ২০০৩ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে জায়গা পায় তারা। নিউজিল্যান্ডের চেয়ে সামান্য নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় ১৯৯৯ বিশ্বকাপে অল্পের জন্য প্রথমবার সেমিফাইনালে খেলা হয়নি আফ্রিকা মহাদেশের দলটির। টেস্টেও হিথ স্ট্রিকের সময়ে ভালো অবস্থানে ছিল জিম্বাবুয়ে।
১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক স্ট্রিকের। তাঁর অভিষেকের আগের বছর টেস্ট মর্যাদা পায় জিম্বাবুয়ে। স্ট্রিকও সুযোগ পেয়ে ব্যাটে-বলে দলকে সহায়তায় নেমে পড়েন। ওয়ানডে ও টেস্টে প্রথম জিম্বাবুইয়ান হিসেবে ১০০ উইকেটের মালিক হোন এই পেসার। এ ছাড়া টেস্টে ১ হাজার রান ও ১০০ উইকেটের ‘ডাবল’ এবং ওয়ানডেতে ২ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের প্রথম ও একমাত্র ‘ডাবল’ ক্রিকেটারও তিনি। খেলা ছাড়ার পর কোচ হিসেবে দলের উন্নতিতেও অবদান রেখেছেন জিম্বাবুয়ে ইতিহাসের অন্যতম এই সেরা ক্রিকেটার।
হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুতে শোকাহত পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। ভারতের সাবেক ব্যাটার বীরেন্দর শেবাগ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ব্যথিত হয়েছি। তিনি ৯০ দশকের শেষ এবং ২ হাজার সালের শুরুর দিকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের উত্থানের অগ্রদূত ছিলেন। সঙ্গে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণও। তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা।’
শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি সনাথ জয়াসুরিয়া লিখেছেন, ‘হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর সংবাদ শোনাটা বেদনার। দুর্দান্ত ক্রিকেটারের সঙ্গে চমৎকার মানুষ ছিলেন তিনি। শান্তিতে ঘুমাও।’
এর আগে যাঁর টুইটকে সূত্র ধরে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে সেই হেনরি ওলেঙ্গা লিখেছেন, ‘শান্তিতে ঘুমাও।’ তাঁদের মতো আরও অনেকে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুতে গভীর শোকবার্তা লিখেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
গত ২৩ আগস্ট পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মারা গেছেন হিথ স্ট্রিক। রয়র্টাস, দ্য গার্ডিয়ান, ক্রিকবাজসহ জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমগুলো জিম্বাবুয়ে কিংবদন্তির সাবেক সতীর্থ ক্রিকেটার ওলেঙ্গার টুইটকে রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করে মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ করেছিল। পরে স্বয়ং হিথ স্ট্রিক নিশ্চিত করেন তিনি মারা যাননি, বেঁচে আছেন। কিন্তু আজ সত্যিই পরপারে পাড়ি জমালেন তিনি। ক্যান্সারের কাছে ৪৯ বছর বয়সেই হার মানলেন।
হিথ স্ট্রিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ২০০৫ সালে অবসর নেন। ১২ বছরের ক্যারিয়ারে ৬৫ টেস্ট ও ১৮৯ ওয়ানডে খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। রাজনৈতিক ও কোটা প্রথার কারণে যখন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট উত্তাল সময় পার করছিল ঠিক তখনই ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ৬৮ ওয়ানডে ও ২১ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সেরা এই খেলোয়াড়ের পরপারে যাওয়ার সময়টা অবশ্য সুখের হয়নি। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিধির বেশ কিছু ধারা ভঙ্গের দায়ে ২০২১ সালে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। সেই কালো অধ্যায় নিয়েই তাঁকে বিদায় নিতে হলো।
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্পর্কের শুরু ১৯৯৭ সাল থেকে। এরপর থেকেই একে অপরের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে দুই দল। দলের মতোই বাংলাদেশের সঙ্গে হিথ স্ট্রিকের সম্পর্ক ছিল দুর্দান্ত। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে অন্যরকম এক পরিচয়ই ছিল তাঁর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের শুরুর সময় খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিপক্ষ ছিলেন হিথ স্ট্রিক। জিম্বাবুয়ের পেস বোলিংয়ের এই নেতা শুরু থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিলেন। সঙ্গে ব্যাটিংয়েও বেশ ভুগিয়েছিলেন। আবার ২০১৫ সালে যখন সুবাতাস বইছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে সে সময় এসেছিলেন বোলিং কোচ হয়ে। ২০১৪ সালে ২ বছরের জন্য মাশরাফি বিন মুর্তজা-তাসকিন আহমেদের বোলিং কোচ ছিলেন এই জিম্বাবুয়েন কিংবদন্তি।
বাংলাদেশের আপনজন হয়ে ওঠা হিথ স্ট্রিক আজ মাত্র ৪৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। ২২ গজে অনেক কঠিন সময়কে জয় করতে পারলেও ক্যানসারের বিরুদ্ধে জিততে পারলেন না। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের সোনালি সময়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। দুই ফ্লাওয়ার ভাই অ্যান্ডি ও গ্র্যান্ট, হেনরি ওলেঙ্গা ও অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলদের সঙ্গে ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের হাল ধরে রেখেছিলেন।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ সাফল্যও তাঁদের সময়েই আসে জিম্বাবুয়ের। ১৯৯৯ ও ২০০৩ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে জায়গা পায় তারা। নিউজিল্যান্ডের চেয়ে সামান্য নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় ১৯৯৯ বিশ্বকাপে অল্পের জন্য প্রথমবার সেমিফাইনালে খেলা হয়নি আফ্রিকা মহাদেশের দলটির। টেস্টেও হিথ স্ট্রিকের সময়ে ভালো অবস্থানে ছিল জিম্বাবুয়ে।
১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক স্ট্রিকের। তাঁর অভিষেকের আগের বছর টেস্ট মর্যাদা পায় জিম্বাবুয়ে। স্ট্রিকও সুযোগ পেয়ে ব্যাটে-বলে দলকে সহায়তায় নেমে পড়েন। ওয়ানডে ও টেস্টে প্রথম জিম্বাবুইয়ান হিসেবে ১০০ উইকেটের মালিক হোন এই পেসার। এ ছাড়া টেস্টে ১ হাজার রান ও ১০০ উইকেটের ‘ডাবল’ এবং ওয়ানডেতে ২ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের প্রথম ও একমাত্র ‘ডাবল’ ক্রিকেটারও তিনি। খেলা ছাড়ার পর কোচ হিসেবে দলের উন্নতিতেও অবদান রেখেছেন জিম্বাবুয়ে ইতিহাসের অন্যতম এই সেরা ক্রিকেটার।
হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুতে শোকাহত পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। ভারতের সাবেক ব্যাটার বীরেন্দর শেবাগ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ব্যথিত হয়েছি। তিনি ৯০ দশকের শেষ এবং ২ হাজার সালের শুরুর দিকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের উত্থানের অগ্রদূত ছিলেন। সঙ্গে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণও। তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা।’
শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি সনাথ জয়াসুরিয়া লিখেছেন, ‘হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর সংবাদ শোনাটা বেদনার। দুর্দান্ত ক্রিকেটারের সঙ্গে চমৎকার মানুষ ছিলেন তিনি। শান্তিতে ঘুমাও।’
এর আগে যাঁর টুইটকে সূত্র ধরে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে সেই হেনরি ওলেঙ্গা লিখেছেন, ‘শান্তিতে ঘুমাও।’ তাঁদের মতো আরও অনেকে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুতে গভীর শোকবার্তা লিখেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
গত ২৩ আগস্ট পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মারা গেছেন হিথ স্ট্রিক। রয়র্টাস, দ্য গার্ডিয়ান, ক্রিকবাজসহ জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমগুলো জিম্বাবুয়ে কিংবদন্তির সাবেক সতীর্থ ক্রিকেটার ওলেঙ্গার টুইটকে রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করে মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ করেছিল। পরে স্বয়ং হিথ স্ট্রিক নিশ্চিত করেন তিনি মারা যাননি, বেঁচে আছেন। কিন্তু আজ সত্যিই পরপারে পাড়ি জমালেন তিনি। ক্যান্সারের কাছে ৪৯ বছর বয়সেই হার মানলেন।
হিথ স্ট্রিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ২০০৫ সালে অবসর নেন। ১২ বছরের ক্যারিয়ারে ৬৫ টেস্ট ও ১৮৯ ওয়ানডে খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। রাজনৈতিক ও কোটা প্রথার কারণে যখন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট উত্তাল সময় পার করছিল ঠিক তখনই ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ৬৮ ওয়ানডে ও ২১ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সেরা এই খেলোয়াড়ের পরপারে যাওয়ার সময়টা অবশ্য সুখের হয়নি। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিধির বেশ কিছু ধারা ভঙ্গের দায়ে ২০২১ সালে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। সেই কালো অধ্যায় নিয়েই তাঁকে বিদায় নিতে হলো।
৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এই এশিয়া কাপের ম্যাচের সূচিও ঘোষণা করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তবে ম্যাচ গুলোর ভেন্যু এত দিন ঘোষণা করেনি এসিসি। এশীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবার জানিয়ে দিল সব ম্যাচের ভেন্যুও। আবুধাবি ও দুবাইয়ে সব টুর্নামেন্টের
৩ ঘণ্টা আগেছুটি পেলেই বাড়ি ফিরেই ছুটে যান মাঠে। সেখানে আসিফের অপেক্ষায় থাকে গ্রামের এক ঝাঁক কিশোর ফুটবলার। অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক আশরাফুল হক আসিফ এখন তাঁদের স্বপ্নের ও অনুপ্রেরণার নাম। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামে বেড়ে ওঠা আসিফের। ২০২৪ সালে তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় দলের সাবেক ব্যাটার মোহাম্মদ আশরাফুলকে আসন্ন এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য বরিশাল বিভাগের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৬ ঘণ্টা আগেআবাহনী লিমিটেডের ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিলেন মোহাম্মদ হৃদয়। পেশাদার লিগে তাঁর শুরুটা ধানমন্ডির ক্লাবটির হয়ে। টানা ৭ মৌসুম আকাশী-নীল জার্সিতে খেলে এবার তিনি পাড়ি দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসে।
৭ ঘণ্টা আগে