অনলাইন ডেস্ক
একটু দেরি করে আজ ভোরে যাঁরা টিভি অন করেছেন, পর্দায় চোখ রেখেই হকচকিয়ে গেছেন। এও কী সম্ভব! যে জসপ্রীত বুমরা শিকার করেই অভ্যস্ত, বক্সিং ডে টেস্ট শুরুর দিনেই উল্টো তিনি ‘শিকার’ ব্যাটারের হাতে! আর সেই ব্যাটার একদমই আনকোরা—স্যাম কনস্টাস; বয়স ১৯ বছর ৮৫ দিন। অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ ওপেনার হিসেবে এ দিনই তাঁর অভিষেক।
তখন নিজের চতুর্থ ওভারে বোলিং শুরু করেছিলেন বুমরা। প্রথম বলেই স্কুপ করে চার। পরের বলে রিভার্স স্কুপ। ছক্কা! টেস্টে ৪৪৮৩ বল পর প্রথম ছক্কা হজম বুমরার। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি) তখন দর্শকের হর্ষধ্বনিতে প্রকম্পিত। কিন্তু ধারাভাষ্যকার রিকি পন্টিং তখনো উৎণ্ঠিত, ‘কেউ কি ওকে বলেনি, এটা বিগব্যাশ নয়? সে কী জানে, এটা সিডনি থান্ডারের ম্যাচ নয়, গত সপ্তাহে যেখানে ব্যাট করেছিল?’
আগের ওভারগুলোতেও বুমরাকে বেশ কয়েকবারই স্কুপ করার চেষ্টা করেছিলেন। ব্যাটে-বলে হয়নি। কিন্তু কতটা আত্মবিশ্বাস থাকলে রিভার্স স্কুপেই বুমরাকে ছক্কা মারার সাহস দেখান কনস্টাস!
বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের প্রথম টেস্টের পর সফরকারী ভারতের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে প্রাইম মিনিস্টার একাদশের হয়ে খেলেছিলেন কনস্টাস। সে ম্যাচে যদিও বুমরা বল করেননি। কিন্তু তাঁর সতীর্থ পেসারদের বিরুদ্ধে স্কুপ, রিভার্স স্কুপ খেলেই সেঞ্চুরি করেছিলেন কনস্টাস। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, সে ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং দেখে ভারতীয় বোলার-ফিল্ডাররা হেসেছিলেন। কিন্তু আজ বুমরাকে রিভার্স স্কুপে ছক্কা মারার পর সে হাসি মুছে যায় ভারতীয়দের মুখ থেকে। ততক্ষণে এটি সবার কাছেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল সে ছক্কা ‘ঝড়ে বক পড়া’ ছিল না!
বুমরার ষষ্ঠ ওভারটিকে আরও খরুচে বানিয়ে দেন কনস্টাস। সেটা এতটাই যে, বুমরাও সেটি মনে রাখবেন অনেক দিন। ২টি চার ও ১ ছক্কায় বুমরার সে ওভারে কনস্টাস তুলে নেন ১৮ রান। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম এক ওভারে এত রান দিলেন ভারতীয় পেসার।
আগের তিন টেস্টে এই বুমরারই একেকটি ডেলিভারি একেকটি মৃত্যুবাণ হয়ে ঠেকেছে অস্ট্রেলীয় ব্যাটারদের কাছে। তিন টেস্টে ৫ বার তাঁর শিকার হয়ে তো ওপেনার নাথান ম্যাকসুয়েনির ক্যারিয়ারই শুরুতেই একরকম শেষ। সেই ম্যাকসুয়েনির জায়গাতেই সুযোগ পাওয়া কনস্টাসের। সেই সুযোগটা এর চেয়ে ভালো আর কীভাবে কাজে লাগাতে পারতেন তিনি! বুমরাকে কীভাবে খেলতে হয়, কোনো কোচ তাঁর শিষ্যদের শেখাতে গিয়ে হয়তো কনস্টাসের ৬৫ বলের ইনিংসটির কথাও বলবেন। বুমরার ওপর চড়াও হয়ে খেলার কনস্টাসের দুঃসাহস বেশ আনন্দ দিয়েছে অস্ট্রেলীয় দর্শকদের। ৬৫ বলে ৬০ রান করে যখন ফেরেন কনস্টাস, তখন দর্শকদের উচ্ছ্বাসই যেন তরুণ তুর্কি ব্যাটারকে উদ্দেশ্যে করে বলছিল, ‘ব্রাভো, ব্রাভো’!
সত্যি কী ‘সাহসী’ কনস্টাস, বিশ্বের অন্যতম ভীতিজাগানিয়া পেসার বুমরার সঙ্গে যে দ্বৈরথের শুরু করলেন, সেটি দিনের খেলা শেষে অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলেন, ‘তাঁর (বুমরা) ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেছি এবং তা কাজে দিয়েছে। আমি তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করে খেলব। আশা করি সে ফিরে আসবে। দেখা যাক কী হয়!’
সেই ‘দেখা’টা দেখার জন্য উন্মুখ পুরো ক্রিকেট বিশ্বই। তবে গতকাল আরেকটি দ্বৈরথও দেখেছে। মাঠে বিরাট কোহলির সঙ্গে কনস্টাসের কথা-কাটাকাটি। কোহলি কাঁধে ধাক্কা দিলেও পরিণত খেলোয়াড়ের মতো সেটি সামলেছেন তিনি। অবশ্য অক্রিকেটীয় আচরণের জন্য ভারতীয় ব্যাটারের ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ কাটা গেছে।
কনস্টাস ছাড়াও উসমান খাজা (৫৭), মার্নাস লাবুশেন (৭২) ও স্টিভেন স্মিথ (৬৮ *) ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩১১ রান নিয়ে দিন পার করেছে টস জেতা অস্ট্রেলিয়া। কনস্টাসের হাতে বাড়ি খাওয়ার পরও সবচেয়ে সফল বোলার বুমরা (৩ / ৭৫)।
টিটস-বিটস
একটু দেরি করে আজ ভোরে যাঁরা টিভি অন করেছেন, পর্দায় চোখ রেখেই হকচকিয়ে গেছেন। এও কী সম্ভব! যে জসপ্রীত বুমরা শিকার করেই অভ্যস্ত, বক্সিং ডে টেস্ট শুরুর দিনেই উল্টো তিনি ‘শিকার’ ব্যাটারের হাতে! আর সেই ব্যাটার একদমই আনকোরা—স্যাম কনস্টাস; বয়স ১৯ বছর ৮৫ দিন। অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ ওপেনার হিসেবে এ দিনই তাঁর অভিষেক।
তখন নিজের চতুর্থ ওভারে বোলিং শুরু করেছিলেন বুমরা। প্রথম বলেই স্কুপ করে চার। পরের বলে রিভার্স স্কুপ। ছক্কা! টেস্টে ৪৪৮৩ বল পর প্রথম ছক্কা হজম বুমরার। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি) তখন দর্শকের হর্ষধ্বনিতে প্রকম্পিত। কিন্তু ধারাভাষ্যকার রিকি পন্টিং তখনো উৎণ্ঠিত, ‘কেউ কি ওকে বলেনি, এটা বিগব্যাশ নয়? সে কী জানে, এটা সিডনি থান্ডারের ম্যাচ নয়, গত সপ্তাহে যেখানে ব্যাট করেছিল?’
আগের ওভারগুলোতেও বুমরাকে বেশ কয়েকবারই স্কুপ করার চেষ্টা করেছিলেন। ব্যাটে-বলে হয়নি। কিন্তু কতটা আত্মবিশ্বাস থাকলে রিভার্স স্কুপেই বুমরাকে ছক্কা মারার সাহস দেখান কনস্টাস!
বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের প্রথম টেস্টের পর সফরকারী ভারতের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে প্রাইম মিনিস্টার একাদশের হয়ে খেলেছিলেন কনস্টাস। সে ম্যাচে যদিও বুমরা বল করেননি। কিন্তু তাঁর সতীর্থ পেসারদের বিরুদ্ধে স্কুপ, রিভার্স স্কুপ খেলেই সেঞ্চুরি করেছিলেন কনস্টাস। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, সে ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং দেখে ভারতীয় বোলার-ফিল্ডাররা হেসেছিলেন। কিন্তু আজ বুমরাকে রিভার্স স্কুপে ছক্কা মারার পর সে হাসি মুছে যায় ভারতীয়দের মুখ থেকে। ততক্ষণে এটি সবার কাছেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল সে ছক্কা ‘ঝড়ে বক পড়া’ ছিল না!
বুমরার ষষ্ঠ ওভারটিকে আরও খরুচে বানিয়ে দেন কনস্টাস। সেটা এতটাই যে, বুমরাও সেটি মনে রাখবেন অনেক দিন। ২টি চার ও ১ ছক্কায় বুমরার সে ওভারে কনস্টাস তুলে নেন ১৮ রান। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম এক ওভারে এত রান দিলেন ভারতীয় পেসার।
আগের তিন টেস্টে এই বুমরারই একেকটি ডেলিভারি একেকটি মৃত্যুবাণ হয়ে ঠেকেছে অস্ট্রেলীয় ব্যাটারদের কাছে। তিন টেস্টে ৫ বার তাঁর শিকার হয়ে তো ওপেনার নাথান ম্যাকসুয়েনির ক্যারিয়ারই শুরুতেই একরকম শেষ। সেই ম্যাকসুয়েনির জায়গাতেই সুযোগ পাওয়া কনস্টাসের। সেই সুযোগটা এর চেয়ে ভালো আর কীভাবে কাজে লাগাতে পারতেন তিনি! বুমরাকে কীভাবে খেলতে হয়, কোনো কোচ তাঁর শিষ্যদের শেখাতে গিয়ে হয়তো কনস্টাসের ৬৫ বলের ইনিংসটির কথাও বলবেন। বুমরার ওপর চড়াও হয়ে খেলার কনস্টাসের দুঃসাহস বেশ আনন্দ দিয়েছে অস্ট্রেলীয় দর্শকদের। ৬৫ বলে ৬০ রান করে যখন ফেরেন কনস্টাস, তখন দর্শকদের উচ্ছ্বাসই যেন তরুণ তুর্কি ব্যাটারকে উদ্দেশ্যে করে বলছিল, ‘ব্রাভো, ব্রাভো’!
সত্যি কী ‘সাহসী’ কনস্টাস, বিশ্বের অন্যতম ভীতিজাগানিয়া পেসার বুমরার সঙ্গে যে দ্বৈরথের শুরু করলেন, সেটি দিনের খেলা শেষে অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলেন, ‘তাঁর (বুমরা) ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেছি এবং তা কাজে দিয়েছে। আমি তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করে খেলব। আশা করি সে ফিরে আসবে। দেখা যাক কী হয়!’
সেই ‘দেখা’টা দেখার জন্য উন্মুখ পুরো ক্রিকেট বিশ্বই। তবে গতকাল আরেকটি দ্বৈরথও দেখেছে। মাঠে বিরাট কোহলির সঙ্গে কনস্টাসের কথা-কাটাকাটি। কোহলি কাঁধে ধাক্কা দিলেও পরিণত খেলোয়াড়ের মতো সেটি সামলেছেন তিনি। অবশ্য অক্রিকেটীয় আচরণের জন্য ভারতীয় ব্যাটারের ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ কাটা গেছে।
কনস্টাস ছাড়াও উসমান খাজা (৫৭), মার্নাস লাবুশেন (৭২) ও স্টিভেন স্মিথ (৬৮ *) ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩১১ রান নিয়ে দিন পার করেছে টস জেতা অস্ট্রেলিয়া। কনস্টাসের হাতে বাড়ি খাওয়ার পরও সবচেয়ে সফল বোলার বুমরা (৩ / ৭৫)।
টিটস-বিটস
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় এখন যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ‘সোনার হরিণ’। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তো উইন্ডিজকে নাজেহাল করেছে অস্ট্রেলিয়া। এবার পছন্দের ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেরে উঠছে না অজিদের সঙ্গে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চলতি সিরিজে ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়রা সাত ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে
৩৪ মিনিট আগেবয়স ৩৮ বছর পেরোলেও লিওনেল মেসিকে দেখে সেটা যে বোঝার উপায় নেই। গোলের পর গোল করে চলেছেন। সতীর্থদের দিয়েও করাচ্ছেন গোল। ছন্দে থাকা এই মেসিকে আজ পেল না ইন্টার মায়ামি। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি না থাকার অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেল মায়ামি।
১ ঘণ্টা আগেঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের এজিএমেই ঠিক হয়েছিল সেপ্টেম্বরে আরব আমিরাতে হবে ২০২৫ এশিয়া কাপ। আজ আনুষ্ঠানিকভাবেও এসিসি জানিয়ে দিয়েছে টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ, প্রকাশ করেছে সূচিও। ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর শেষ হবে এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা।
১৩ ঘণ্টা আগেকয়েক দিন আগে ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বার্ষিক সভা (এজিএম) শেষে সভাপতি মহসিন নাকভি জানিয়েছিলেন, দ্রুতই এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে। আজই এল সে ঘোষণা। ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং।
১৫ ঘণ্টা আগে