কে বলে চল্লিশে চালসে! ক্রিকেটে প্রবাদটা যেন মিথ্যা প্রমাণ করে চলেছেন ক্রিস গেইল–শোয়েব মালিকরা।
‘ধর তক্তা মার পেরেক’ পদ্ধতিতে খেলা হয় টি–টোয়েন্টি। এখানে এত ভাবাভাবির সময় কোথায়! উইকেটে এসেই মারকাটারি ইনিংস খেলতে হয়। বোলিংয়েও হতে হয় দুর্দান্ত। সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে তাই তরুণদের ওপর ভরসা করতে চায় বেশির ভাগ দল। অবশ্য এই ধারণাকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খেলে চলেছেন ক্রিস গেইলদের মতো কিছু ৪০ পেরোনো খেলোয়াড়।
৪১ বছর বয়সী গেইল এখনো যেভাবে চুটিয়ে খেলে যাচ্ছেন, কে বলবেন ক্যারিয়ারের দুটি দশক তিনি পেরিয়ে এসেছেন! ‘টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা’ বিগ ব্যাশ, আইপিএল, পিএসএল, বিপিএল, সিপিএল—কোথায় খেলেন না! স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১৪ হাজারের কাছাকাছি রান। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০০০ ছক্কার মাইলফলকও ছুঁয়েছেন। তাঁর ব্যাটিং দেখে মনে হয় ছক্কা মারার চেয়ে সহজ কাজ আর দ্বিতীয়টি নেই!পাকিস্তানের শোয়েব মালিকও একই পথের পথিক। খেলছেন তিন দশক ধরে। ৪০ বছর বয়সী পাকিস্তানি অলরাউন্ডার বিগ ব্যাশ, পিএসএল, বিপিএল, সব টুর্নামেন্টেই দাপটের সঙ্গে খেলে যাচ্ছে। তাঁর যে ফিটনেস, কবে থামবেন বলার উপায় নেই! ৪০ পেরোনো মোহাম্মদ হাফিজকেও এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এখনো যেভাবে খেলছেন মনে হচ্ছে যেন সেই তারুণ্যেই আছেন! টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে এখনো দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছেন খেলা। ব্যাটে-বলের ঠিকঠাক সংযোগ, চমৎকার ফুটওয়ার্ক আর দুর্দান্ত টাইমিং, হাফিজের ব্যাটিং এখনো চোখের প্রশান্তি। ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েনটিতে ৮৩ গড়, ১৫২.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ৪১৫ রান করে বছরের সর্বাধিক রানসংগ্রাহক ছিলেন তিনি।
৪০ পেরোনো এই ক্লাবে আছেন ইমরান তাহিরও। ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলে ওয়ানডে থেকে অবসর নিলেও এখনো খেলে যাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৩৮১ উইকেট নিয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এই প্রোটিয়া লেগি। উইকেট নেওয়ার পর এ বয়সেও যেভাবে পুরো মাঠ দৌড়ে উদযাপন করেন, অবিশ্বাস্য!
অস্ট্রেলিয়ান দুই ব্র্যাড—ব্র্যাড হগ আর ব্র্যাড হজ। ‘ব্র্যাড কোম্পানি’ ৪০ বয়স পেরিয়েও খেলেছেন ২০১৪ টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি খেলে গেছেন আরও চার বছর। ৪০ পেরিয়ে সর্বাধিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারের রেকর্ডটি হগেরই। এ বয়সেই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ১২৯ ম্যাচ খেলেছেন। ৪০ পেরিয়ে শতাধিক ম্যাচ খেলা একমাত্র খেলোয়াড় তিনিই।
মজাটা হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় চল্লিশোর্ধ্ব খেলোয়াড়ের সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। ২০০৬–০৭ সালে মাত্র একজন ৪০ পেরোনো ক্রিকেটার খেলেছেন। সেখানে এক দশক পরে ২০১৬ সালে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৯–এ। ৩৫ পেরোলেই খেলা চালিয়ে যাওয়া চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। এ সময়ে ক্রিকেটারদের বড় সমস্যা হয় চোখে। তবুও তাঁরা পারছেন ফিটনেসে উন্নতি এনে।
ব্র্যাড হজ তাই বলেছেন, ‘যখন বয়স ৩৫-৩৬ পেরিয়ে যায়, তখন চোখের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে।’ ফিটনেসের সঙ্গে মানসিক শক্তিও সহয়তা করছে ৪০ পেরিয়েও দুর্দান্ত খেলতে। ডাচ তারকা রায়ান টেন ডাসকেট বলেছেন, ‘সত্যি বলতে বয়স কোনো ব্যাপারই না আমার কাছে। বয়স ৪০ এটা নিয়ে ভাবিই না।’
৪০ পেরোনো ক্রিকেটারের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে যেন পুরোনো কথাটাই নতুন করে আসছে, ‘বয়স শুধুই একটি সংখ্যা!’
কে বলে চল্লিশে চালসে! ক্রিকেটে প্রবাদটা যেন মিথ্যা প্রমাণ করে চলেছেন ক্রিস গেইল–শোয়েব মালিকরা।
‘ধর তক্তা মার পেরেক’ পদ্ধতিতে খেলা হয় টি–টোয়েন্টি। এখানে এত ভাবাভাবির সময় কোথায়! উইকেটে এসেই মারকাটারি ইনিংস খেলতে হয়। বোলিংয়েও হতে হয় দুর্দান্ত। সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে তাই তরুণদের ওপর ভরসা করতে চায় বেশির ভাগ দল। অবশ্য এই ধারণাকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খেলে চলেছেন ক্রিস গেইলদের মতো কিছু ৪০ পেরোনো খেলোয়াড়।
৪১ বছর বয়সী গেইল এখনো যেভাবে চুটিয়ে খেলে যাচ্ছেন, কে বলবেন ক্যারিয়ারের দুটি দশক তিনি পেরিয়ে এসেছেন! ‘টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা’ বিগ ব্যাশ, আইপিএল, পিএসএল, বিপিএল, সিপিএল—কোথায় খেলেন না! স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১৪ হাজারের কাছাকাছি রান। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০০০ ছক্কার মাইলফলকও ছুঁয়েছেন। তাঁর ব্যাটিং দেখে মনে হয় ছক্কা মারার চেয়ে সহজ কাজ আর দ্বিতীয়টি নেই!পাকিস্তানের শোয়েব মালিকও একই পথের পথিক। খেলছেন তিন দশক ধরে। ৪০ বছর বয়সী পাকিস্তানি অলরাউন্ডার বিগ ব্যাশ, পিএসএল, বিপিএল, সব টুর্নামেন্টেই দাপটের সঙ্গে খেলে যাচ্ছে। তাঁর যে ফিটনেস, কবে থামবেন বলার উপায় নেই! ৪০ পেরোনো মোহাম্মদ হাফিজকেও এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এখনো যেভাবে খেলছেন মনে হচ্ছে যেন সেই তারুণ্যেই আছেন! টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে এখনো দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছেন খেলা। ব্যাটে-বলের ঠিকঠাক সংযোগ, চমৎকার ফুটওয়ার্ক আর দুর্দান্ত টাইমিং, হাফিজের ব্যাটিং এখনো চোখের প্রশান্তি। ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েনটিতে ৮৩ গড়, ১৫২.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ৪১৫ রান করে বছরের সর্বাধিক রানসংগ্রাহক ছিলেন তিনি।
৪০ পেরোনো এই ক্লাবে আছেন ইমরান তাহিরও। ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলে ওয়ানডে থেকে অবসর নিলেও এখনো খেলে যাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৩৮১ উইকেট নিয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এই প্রোটিয়া লেগি। উইকেট নেওয়ার পর এ বয়সেও যেভাবে পুরো মাঠ দৌড়ে উদযাপন করেন, অবিশ্বাস্য!
অস্ট্রেলিয়ান দুই ব্র্যাড—ব্র্যাড হগ আর ব্র্যাড হজ। ‘ব্র্যাড কোম্পানি’ ৪০ বয়স পেরিয়েও খেলেছেন ২০১৪ টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি খেলে গেছেন আরও চার বছর। ৪০ পেরিয়ে সর্বাধিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারের রেকর্ডটি হগেরই। এ বয়সেই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ১২৯ ম্যাচ খেলেছেন। ৪০ পেরিয়ে শতাধিক ম্যাচ খেলা একমাত্র খেলোয়াড় তিনিই।
মজাটা হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় চল্লিশোর্ধ্ব খেলোয়াড়ের সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। ২০০৬–০৭ সালে মাত্র একজন ৪০ পেরোনো ক্রিকেটার খেলেছেন। সেখানে এক দশক পরে ২০১৬ সালে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৯–এ। ৩৫ পেরোলেই খেলা চালিয়ে যাওয়া চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। এ সময়ে ক্রিকেটারদের বড় সমস্যা হয় চোখে। তবুও তাঁরা পারছেন ফিটনেসে উন্নতি এনে।
ব্র্যাড হজ তাই বলেছেন, ‘যখন বয়স ৩৫-৩৬ পেরিয়ে যায়, তখন চোখের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে।’ ফিটনেসের সঙ্গে মানসিক শক্তিও সহয়তা করছে ৪০ পেরিয়েও দুর্দান্ত খেলতে। ডাচ তারকা রায়ান টেন ডাসকেট বলেছেন, ‘সত্যি বলতে বয়স কোনো ব্যাপারই না আমার কাছে। বয়স ৪০ এটা নিয়ে ভাবিই না।’
৪০ পেরোনো ক্রিকেটারের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে যেন পুরোনো কথাটাই নতুন করে আসছে, ‘বয়স শুধুই একটি সংখ্যা!’
র্যাঙ্কিংয়েই ইংল্যান্ড ও অ্যান্ডোরার বিপক্ষে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ড অবস্থান করছে ৪ নম্বরে। অ্যান্ডোরা রয়েছে ১৭৩ নম্বরে। অনুমিতভাবেই যা ফল হওয়ার কথা, তা-ই হয়েছে গতকাল বাছাইপর্বের ইংল্যান্ড-অ্যান্ডোরা ম্যাচে।
২৫ মিনিট আগেইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে পা রাখা মাত্রই ভারতীয় ক্রিকেট দলকে কীভাবে আপ্যায়ন করা হয়, সেটা অতীতে অনেকবার দেখা গেছে। তারকা ক্রিকেটারদের এক নজর দেখতে বিমানবন্দরে প্রবাসী ভারতীয়দের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় দেখা যায়। তবে এবার ইংল্যান্ড সফরের শুরুতে যা হলো, সেটা চমকে দেওয়ার মতো।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে অবশেষে চলেই এল সিঙ্গাপুর ফুটবল দল। বাংলাদেশ সময় গতকাল রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিমানবন্দরে নেমেছে দলটি। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে পরশু তারা মুখোমুখি হবে।
২ ঘণ্টা আগেব্যালন ডি’অরের সোনালি ট্রফি উঠবে কার হাতে? তা জানা যাবে সেপ্টেম্বরে। মৌসুম যেহেতু শেষ, তাই এ নিয়ে আলোচনা বেড়ে গেছে। তবে দুটি নামই শোনা যাচ্ছে বেশি—পিএসজির ওসমান দেম্বেলে ও বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল। দেম্বেলেকে বেশ ভালোভাবেই চেনা কিলিয়ান এমবাপ্পের। গত মৌসুমেও একসঙ্গে পিএসজিতে খেলেছেন তারা।
১৫ ঘণ্টা আগে