Ajker Patrika

হাথুরু কেন তাঁকে পছন্দ করেন, ব্যাখ্যা দিলেন সৌম্য

আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭: ৩৫
হাথুরু কেন তাঁকে পছন্দ করেন, ব্যাখ্যা দিলেন সৌম্য

সৌম্য সরকার, চন্ডিকা হাথুরুসিংহে—নাম দুটি যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সৌম্যর পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গেলেই আপনাআপনি চলে আসে হাথুরুসিংহের নাম। সেখানে সৌম্য খারাপ পারফর্ম করলে তো কথাই নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটার, হাথুরুসিংহে—দুজনকে নিয়েই বাজেভাবে বিদ্রূপ করা হয়। 

২০১৪ সালে হাথুরুসিংহে যখন প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে আসেন, সৌম্যর তখন শুরু হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা। সৌম্যর শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খেলেছে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা—এই তিন দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে। সৌম্য তখন ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছেন। কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে খুব একটা সময় লাগেনি। ছন্দহীনতায় জাতীয় দলে আছেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। এক পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ২০১৪-এর ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় সৌম্যর। তখন থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ তিন সংস্করণে খেলেছে ৩০৭ ম্যাচ, তিনি (সৌম্য) খেলেছেন ১৫৩ ম্যাচ। 

ঘরোয়া ক্রিকেটের কোথাও বলার মতো পারফরম্যান্স ছিল না সৌম্যর। এরপর এ বছর দ্বিতীয় মেয়াদে হাথুরুসিংহে যখন কোচ হিসেবে আসেন, তবু তাঁকে (সৌম্য) সুযোগ দিয়েছেন। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে, নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথম ওয়ানডে—দুটিতেই মেরেছেন ডাক। নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডের আগেও গতকাল সৌম্য প্রসঙ্গে হাথুরু বলেন, ‘তাঁর (সৌম্য) সমস্যা কী, জানি না।’ হাথুরুর আস্থার প্রতিদানই যেন আজ তিনি (সৌম্য) দিয়েছেন। ১৫১ বলে ২২ চার ও ২ ছক্কায় ১৬৯ রানের ইনিংস খেলে রেকর্ড বই ওলটপালট করেছেন সৌম্য। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলেনে বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটারের কাছে এসেছে হাথুরুর প্রসঙ্গ। সৌম্য বলেন, ‘সৌম্য সৌম্যই ছিলাম। হয়তোবা তিনি (হাথুরু) আমাকে ভালো বোঝেন, আমাকে কিছু একটা বলেছেন। সেটা আমার ওপর ক্লিক করেছে। একটা মানুষ হেঁটে গেলে আপনি তাঁর মধ্যে অনেক নেতিবাচকতা পাবেন। ইতিবাচকভাবে চিন্তা করলে হয়তো ইতিবাচক জিনিসটাই পাবেন। উনি হয়তোবা আমার ইতিবাচক জিনিসটাই দেখেন।’ 

১৬৯ রানের ইনিংস খেলে আজ প্রশংসায় ভাসছেন সৌম্য। অথচ বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তাঁকে (সৌম্য) নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত চলে বিদ্রূপ। সেসব সমালোচনা নিয়ে মাথাব্যথা নেই সৌম্যর, ‘একটা সময় হয়তোবা দেখতাম। এখন সত্যি কথা বলতে প্রায় এক বছর আমার ফোনে কোন সংবাদ আসে না। কোনো বন্ধু ক্রিকেট নিয়ে কথা বললে তার সঙ্গে থাকি না। যে ইতিবাচক কথা বলে আমি তার সঙ্গে থাকি। ভালো-খারাপ থাকবে কিন্তু খারাপ করলে তো ক্রিকেট ছেড়ে চলে যেতে পারব না যেহেতু আমি ক্রিকেটার। ক্রিকেটের জন্যই এত দূর আসা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত