জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেই রেকর্ড গড়া হলো না প্রোটিয়াদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে হলো না জেতা। ফাইনালে এসে চোক করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের বিপক্ষে বার্বাডোজের ফাইনালে হারল ৭ রানে।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলেন রোহিত শর্মারা। ২০০৭ সালে এই টুর্নামেন্টের প্রথম সংস্করণে শিরোপা জিতেছিল ভারত। এ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ দুইবার শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার তাদের পাশে বসল ভারতও। তিন দলই সমান তিনবার ফাইনাল খেলেছে। চোক অপবাদ ঘুচিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে উঠেছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু চাপের মুখে তারা ভেঙে পড়ল আবারও।
১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের দুই পেসার শুরুতেই ফিরিয়ে দেন ওপেনার রিজা হেন্ডরিকস (৪) ও অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে (৪)। তৃতীয় উইকেটে ত্রিস্তান স্তাবসের (৩১) সঙ্গে ৩৮ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে সেই চাপ সামাল দেন উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। এরপর প্রোটিয়া ওপেনার ৩৬ রানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন হেনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে।
ডি ককের (৩৯) বিদায়ের পর ডেভিড মিলারের সঙ্গে ২২ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটা প্রায় বের করে এনেছিলেন ক্লাসেন। ৩৬ বলে ৫৪ রান যখন দরকার, তখন অক্ষর প্যাটেলের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারে ২ চার ও ২ ছয়ে ২৪ রান নিয়ে সমীকরণ ৩০ বলে ৩০ রানে নিয়ে আসেন ক্লাসেন। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ার করা ইনিংসের ১৭তম ওভারের প্রথম বলে তিনি ফিরে গেলে বিপদে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। ক্লাসেন ২৭ বলে ২ চার ও ৫ ছয়ে করেন ৫২ রান।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১৬ রান। পান্ডিয়ার ওভারে প্রথম বলে ছয় মারতে চেয়েছিলেন মিলার (২১)। তবে বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাঁকে ফেরান সূর্যকুমার যাদব। তখনই ম্যাচটি হাতের মুঠোয় চলে আসে ভারতের। তবে পরের বলে কাগিসো রাবাদার ব্যাট ছুঁয়ে চার হলে রোমাঞ্চ জমে ওঠে। তবে সমীকরণটা আর মেলানো হয়নি প্রোটিয়াদের। ১১ বছর পর আইসিসির কোনো শিরোপাজয়ের আনন্দে মেতে ওঠে ভারত। ২০১৩ সালে সবশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল তারা।
এর আগে নিজের সেরা ইনিংসটি যেন ফাইনালের জন্যই তুলে রেখেছিলেন বিরাট কোহলি। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত রান করেছিলেন ৭৫। ফাইনালে দলের বিপর্যয়ে ঢাল হয়ে খেলেছেন ৭৬ রানের অসাধারণ ইনিংস।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের নেমে পাওয়ার প্লেতে খেই হারায় ভারত। ১.২ ওভারেই তারা তোলে ২৩ রান। এর পরই ১১ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট। তারপর অক্ষর প্যাটেল ও শিবাম দুবেকে নিয়ে কোহলির দারুণ দুটি জুটি, যা দলকে বড় স্কোর গড়তে সহায়তা করে।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের আভাস দেয় ভারত। মার্কো ইয়ানসেনের করা প্রথম ওভারে তোলে ১৫ রান। পরের ওভারে কেশব মহারাজের চতুর্থ বলে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে হেনরিখ ক্লাসেনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার রোহিত শর্মা (৯)। এক বল পর ঋষভ পন্তকেও (০) ফেরান মহারাজ। পঞ্চম ওভারে কাগিসো রাবাদা ফেরান সূর্যকুমার যাদবকে (৩)। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কঠিন বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। চতুর্থ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন কোহলি। বিপর্যয় সামলে দুজনে গড়েন ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটি।
১৪তম ওভারে অক্ষর রানআউট হলে ভাঙে এই জুটি। বেশ খানকিটা দূর থেকে দুর্দান্ত থ্রোয়ে তাঁকে ফেরান উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। ৩১ বলে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পঞ্চম উইকেটে শিবম দুবে-কোহলি জুটি ৩৩ বলে ৫৭ রানের আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন। ১৯তম ওভারে ইয়ানসেনের শিকার হওয়ার আগে ৫৯ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন কোহলি। দুবে ১৬ বলে করেন ২৭ রান। শেষ পর্যন্ত ভারত ৭ উইকেটে করে ১৭৬ রান। প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মহারাজ ও নরকিয়া।
জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেই রেকর্ড গড়া হলো না প্রোটিয়াদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে হলো না জেতা। ফাইনালে এসে চোক করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের বিপক্ষে বার্বাডোজের ফাইনালে হারল ৭ রানে।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলেন রোহিত শর্মারা। ২০০৭ সালে এই টুর্নামেন্টের প্রথম সংস্করণে শিরোপা জিতেছিল ভারত। এ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ দুইবার শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার তাদের পাশে বসল ভারতও। তিন দলই সমান তিনবার ফাইনাল খেলেছে। চোক অপবাদ ঘুচিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে উঠেছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু চাপের মুখে তারা ভেঙে পড়ল আবারও।
১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের দুই পেসার শুরুতেই ফিরিয়ে দেন ওপেনার রিজা হেন্ডরিকস (৪) ও অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে (৪)। তৃতীয় উইকেটে ত্রিস্তান স্তাবসের (৩১) সঙ্গে ৩৮ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে সেই চাপ সামাল দেন উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। এরপর প্রোটিয়া ওপেনার ৩৬ রানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন হেনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে।
ডি ককের (৩৯) বিদায়ের পর ডেভিড মিলারের সঙ্গে ২২ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটা প্রায় বের করে এনেছিলেন ক্লাসেন। ৩৬ বলে ৫৪ রান যখন দরকার, তখন অক্ষর প্যাটেলের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারে ২ চার ও ২ ছয়ে ২৪ রান নিয়ে সমীকরণ ৩০ বলে ৩০ রানে নিয়ে আসেন ক্লাসেন। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ার করা ইনিংসের ১৭তম ওভারের প্রথম বলে তিনি ফিরে গেলে বিপদে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। ক্লাসেন ২৭ বলে ২ চার ও ৫ ছয়ে করেন ৫২ রান।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১৬ রান। পান্ডিয়ার ওভারে প্রথম বলে ছয় মারতে চেয়েছিলেন মিলার (২১)। তবে বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাঁকে ফেরান সূর্যকুমার যাদব। তখনই ম্যাচটি হাতের মুঠোয় চলে আসে ভারতের। তবে পরের বলে কাগিসো রাবাদার ব্যাট ছুঁয়ে চার হলে রোমাঞ্চ জমে ওঠে। তবে সমীকরণটা আর মেলানো হয়নি প্রোটিয়াদের। ১১ বছর পর আইসিসির কোনো শিরোপাজয়ের আনন্দে মেতে ওঠে ভারত। ২০১৩ সালে সবশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল তারা।
এর আগে নিজের সেরা ইনিংসটি যেন ফাইনালের জন্যই তুলে রেখেছিলেন বিরাট কোহলি। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত রান করেছিলেন ৭৫। ফাইনালে দলের বিপর্যয়ে ঢাল হয়ে খেলেছেন ৭৬ রানের অসাধারণ ইনিংস।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের নেমে পাওয়ার প্লেতে খেই হারায় ভারত। ১.২ ওভারেই তারা তোলে ২৩ রান। এর পরই ১১ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট। তারপর অক্ষর প্যাটেল ও শিবাম দুবেকে নিয়ে কোহলির দারুণ দুটি জুটি, যা দলকে বড় স্কোর গড়তে সহায়তা করে।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের আভাস দেয় ভারত। মার্কো ইয়ানসেনের করা প্রথম ওভারে তোলে ১৫ রান। পরের ওভারে কেশব মহারাজের চতুর্থ বলে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে হেনরিখ ক্লাসেনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার রোহিত শর্মা (৯)। এক বল পর ঋষভ পন্তকেও (০) ফেরান মহারাজ। পঞ্চম ওভারে কাগিসো রাবাদা ফেরান সূর্যকুমার যাদবকে (৩)। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কঠিন বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। চতুর্থ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন কোহলি। বিপর্যয় সামলে দুজনে গড়েন ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটি।
১৪তম ওভারে অক্ষর রানআউট হলে ভাঙে এই জুটি। বেশ খানকিটা দূর থেকে দুর্দান্ত থ্রোয়ে তাঁকে ফেরান উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। ৩১ বলে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পঞ্চম উইকেটে শিবম দুবে-কোহলি জুটি ৩৩ বলে ৫৭ রানের আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন। ১৯তম ওভারে ইয়ানসেনের শিকার হওয়ার আগে ৫৯ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন কোহলি। দুবে ১৬ বলে করেন ২৭ রান। শেষ পর্যন্ত ভারত ৭ উইকেটে করে ১৭৬ রান। প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মহারাজ ও নরকিয়া।
ইংল্যান্ডের এখন ব্যস্ত সময় যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনে। চেস্টার লি স্ট্রিটে গত রাতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। আজও মাঠে নামছে ইংলিশরা। তবে এবার তারা খেলবে ফুটবলে। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইংল্যান্ড খেলবে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে।
১২ মিনিট আগেতারকা ক্রিকেটারদের জ্বালা-যন্ত্রণার শেষ নেই। বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনা তো সহ্য করতেই হয়। এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে সেই দায়ভারও পড়ে তাঁর ওপর। বিরাট কোহলির এখন হচ্ছে এই অবস্থা। এক সমাজকর্মীর চোখে ‘ভিলেনে’ পরিণত হয়েছেন ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটার।
৪৩ মিনিট আগেদুই মাস পর আবারও সবাই একে অপরকে ঈদ মোবারক বলছেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এবার উদযাপন করছেন ঈদুল আজহা। এই ঈদ কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা পরিবার পরিজন-বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে উদযাপন করছেন ঈদুল আজহা।
১ ঘণ্টা আগেঈদের আমেজ শুরু হয়েছে কদিন আগে থেকেই। পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে অনেকেই চলে গেছেন ঢাকার বাইরে। অনেকে আবার রাজধানী শহরেই থেকেছেন। সামাজিক মাধ্যমে গতকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে, ‘ঈদ মোবারক।’
২ ঘণ্টা আগে