নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাঠের বাইরে তিনি শান্ত–চুপচাপ। সেই মেহেদী হাসান ব্যাট হাতে ২২ গজে নামলেই হয়ে ওঠেন অন্য রকম। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চির উচ্চতার ছোটখাটো মানুষটা প্রথম বল থেকেই শুরু করেন ভয়ডরহীন ব্যাটিং। সঙ্গে মেহেদীর ওই অফ স্পিনটা তো বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে নিয়মিত।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের দুর্দান্ত সিরিজ জয়ে ব্যাটে–বলে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন মেহেদী। এই সিরিজটা যেন পুনর্জন্ম দিয়েছে এই অলরাউন্ডারকে। মিরপুরের কঠিন উইকেটে স্বাভাবিক ব্যাটিংটা সেভাবে করতে পারেননি হয়তো। তবে মেহেদী যা কিছু রান করেছেন সেটাই লো স্কোরিং ম্যাচে দলের কাছে হয়েছে বড় পাওয়া। মেহেদীর বোলিংও হয়েছে দারুণ। ইনিংসের শুরুতে বোলিংয়ে এসে সাকিব আল হাসান ও নাছুম আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজটা করে গেছেন পুরো সিরিজজুড়ে।
৫ ম্যাচে ব্যাট হাতে ৭২ রান করেছেন মেহেদী। অফ স্পিন বোলিংয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। উইকেটশিকারে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার পাশাপাশি রান আটকে রাখার কাজটিও ভালোভাবেই করেছেন ২৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। পাঁচ টি–টোয়েন্টিতে দিয়েছেন ৪৯টি ডট বল।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষে কদিনের ছুটি পেতেই মেহেদী ছুটেছেন খুলনায় বাড়িতে। সেখান থেকেই কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের রহস্যটা কি—এমন প্রশ্নে হেসে উঠলেন মেহেদী। এরপর মেহেদীর চকিত জবাব, ‘রহস্য নিজেও জানি না!’ রহস্যটা পরে মেহেদী খোলাসা করলেন নিজেই, ‘সত্যি সব সময় মনে হয় যে হারানোর তো কিছু নেই। বরং পাওয়ার অনেক কিছু থাকে। এই জিনিসটাই মনে হয় সব সময়। ব্যাটিং করতে গেলে ভাবনার প্রয়োজন আছে। তবে পরিস্থিতির চাওয়া অনেক কিছুই পরিবর্তন করে দেয়।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টিতে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েছেন মেহেদী। দলের হয়ে ব্যাটিং–বোলিং দুটিতেই ইনিংস শুরু করার ছোট্ট তালিকায় উঠে গেছে এই অলরাউন্ডারের নাম। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজকে। এবার টি–টোয়েন্টিতে সে তালিকায় নাম লেখালেন আরেক মেহেদী। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ওপেনিংয়ে ব্যাটিং–বোলিং করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মেহেদীর এই অভিজ্ঞতা হলো প্রথম। অন্য চার টি–টোয়েন্টিতেও একেকদিন একেক পজিশনে ব্যাটিং করতে হয়েছে মেহেদীকে।
যে কোনো পজিশনে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয় মেহেদীকে। তবে এই কঠিন বিষয়টিকেই সহজ চোখে দেখছেন এই অলরাউন্ডার, ‘এটি অবশ্যই যে কোনো ক্রিকেটারের জন্যই কঠিন। তবে আমার মনে হয় কঠিন কিছু থেকেই ভালো কিছু শেখা যায়। এটাতে কোনো অজুহাতের কিছু নেই। আমি যদি ব্যর্থ হই, অবশ্যই ব্যর্থ। ভালো করলে তো সবাই বাহবা দেবে। ভালো না হয় খারাপ হবে—হারানোর কিছু তো নেই।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো প্রমাণের অনেক কিছু আছে মেহেদীর। অবশ্য সেভাবে সুযোগও আসেনি এখনো। প্রায়ই ব্যাটিং করতে হয় কঠিন পরিস্থিতিতে। মেহেদীও মানছে,ন এখনো নিজের সেরাটা দিতে বাকি তাঁর, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে যেভাবে খেলি, জাতীয় দলে এখনো সেভাবে পুরোপুরিভাবে খেলতে পারিনি। আশা করছি সামনে আরও ভালো করতে পারব ইনশা আল্লাহ।’
তিন বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মেহেদী খেলেছেন ৩ ওয়ানডে ও ১৪ টি–টোয়েন্টি। ধারাবাহিকভাবে সুযোগ পেলেই ভালোটাও বেরিয়ে আসে যে কোনো ক্রিকেটারের। মেহেদীও মনে করিয়ে দিলেন সেটি, ‘একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে, একজন খেলোয়াড়ের কাছে ১০–১৫ ম্যাচ দিয়ে কিছু পাওয়া যাবে না। ক্রিকেটে চাওয়া মাত্র কিছু পাওয়া যায় না। বেশি ম্যাচ খেললে ফিডব্যাকটাও সেভাবে পাওয়া যাবে। সব খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই একই। ধৈর্য একটা ব্যাপার।’
জিম্বাবুয়ের পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারকেই পায়নি বাংলাদেশ। সেটি দারুণভাবেই পুষিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজ, সোহান, মেহেদী, আফিফ, নাছুমরা। তরুণেরা ব্যাটে–বলে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রতি ম্যাচেই। তরুণদের একসঙ্গে জ্বলে ওঠার পেছনে মেহেদী দেখছেন পারস্পরিক বিশ্বাস–বোঝাপাড়াটা। বললেন, ‘আমরা যারা তরুণ আছি, সবার সঙ্গে সবার বোঝাপাড়াটা খুবই ভালো। ঘরোয়া কিংবা অন্য ক্রিকেটে দেখা যায় ঘুরেফিরে সবার সঙ্গেই খেলতে হয়। একজন আরেকজনকে চিনি, জানি। একজনের প্রতি আরেকজনের বিশ্বাসটা আছে। সতীর্থের ওপর বিশ্বাস রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখন যে সুন্দর পরিবেশে আছি, তার মূল কারণ দলীয় সংহতি।’
মাঠের বাইরে তিনি শান্ত–চুপচাপ। সেই মেহেদী হাসান ব্যাট হাতে ২২ গজে নামলেই হয়ে ওঠেন অন্য রকম। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চির উচ্চতার ছোটখাটো মানুষটা প্রথম বল থেকেই শুরু করেন ভয়ডরহীন ব্যাটিং। সঙ্গে মেহেদীর ওই অফ স্পিনটা তো বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে নিয়মিত।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের দুর্দান্ত সিরিজ জয়ে ব্যাটে–বলে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন মেহেদী। এই সিরিজটা যেন পুনর্জন্ম দিয়েছে এই অলরাউন্ডারকে। মিরপুরের কঠিন উইকেটে স্বাভাবিক ব্যাটিংটা সেভাবে করতে পারেননি হয়তো। তবে মেহেদী যা কিছু রান করেছেন সেটাই লো স্কোরিং ম্যাচে দলের কাছে হয়েছে বড় পাওয়া। মেহেদীর বোলিংও হয়েছে দারুণ। ইনিংসের শুরুতে বোলিংয়ে এসে সাকিব আল হাসান ও নাছুম আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজটা করে গেছেন পুরো সিরিজজুড়ে।
৫ ম্যাচে ব্যাট হাতে ৭২ রান করেছেন মেহেদী। অফ স্পিন বোলিংয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। উইকেটশিকারে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার পাশাপাশি রান আটকে রাখার কাজটিও ভালোভাবেই করেছেন ২৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। পাঁচ টি–টোয়েন্টিতে দিয়েছেন ৪৯টি ডট বল।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষে কদিনের ছুটি পেতেই মেহেদী ছুটেছেন খুলনায় বাড়িতে। সেখান থেকেই কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের রহস্যটা কি—এমন প্রশ্নে হেসে উঠলেন মেহেদী। এরপর মেহেদীর চকিত জবাব, ‘রহস্য নিজেও জানি না!’ রহস্যটা পরে মেহেদী খোলাসা করলেন নিজেই, ‘সত্যি সব সময় মনে হয় যে হারানোর তো কিছু নেই। বরং পাওয়ার অনেক কিছু থাকে। এই জিনিসটাই মনে হয় সব সময়। ব্যাটিং করতে গেলে ভাবনার প্রয়োজন আছে। তবে পরিস্থিতির চাওয়া অনেক কিছুই পরিবর্তন করে দেয়।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টিতে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েছেন মেহেদী। দলের হয়ে ব্যাটিং–বোলিং দুটিতেই ইনিংস শুরু করার ছোট্ট তালিকায় উঠে গেছে এই অলরাউন্ডারের নাম। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজকে। এবার টি–টোয়েন্টিতে সে তালিকায় নাম লেখালেন আরেক মেহেদী। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ওপেনিংয়ে ব্যাটিং–বোলিং করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মেহেদীর এই অভিজ্ঞতা হলো প্রথম। অন্য চার টি–টোয়েন্টিতেও একেকদিন একেক পজিশনে ব্যাটিং করতে হয়েছে মেহেদীকে।
যে কোনো পজিশনে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয় মেহেদীকে। তবে এই কঠিন বিষয়টিকেই সহজ চোখে দেখছেন এই অলরাউন্ডার, ‘এটি অবশ্যই যে কোনো ক্রিকেটারের জন্যই কঠিন। তবে আমার মনে হয় কঠিন কিছু থেকেই ভালো কিছু শেখা যায়। এটাতে কোনো অজুহাতের কিছু নেই। আমি যদি ব্যর্থ হই, অবশ্যই ব্যর্থ। ভালো করলে তো সবাই বাহবা দেবে। ভালো না হয় খারাপ হবে—হারানোর কিছু তো নেই।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো প্রমাণের অনেক কিছু আছে মেহেদীর। অবশ্য সেভাবে সুযোগও আসেনি এখনো। প্রায়ই ব্যাটিং করতে হয় কঠিন পরিস্থিতিতে। মেহেদীও মানছে,ন এখনো নিজের সেরাটা দিতে বাকি তাঁর, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে যেভাবে খেলি, জাতীয় দলে এখনো সেভাবে পুরোপুরিভাবে খেলতে পারিনি। আশা করছি সামনে আরও ভালো করতে পারব ইনশা আল্লাহ।’
তিন বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মেহেদী খেলেছেন ৩ ওয়ানডে ও ১৪ টি–টোয়েন্টি। ধারাবাহিকভাবে সুযোগ পেলেই ভালোটাও বেরিয়ে আসে যে কোনো ক্রিকেটারের। মেহেদীও মনে করিয়ে দিলেন সেটি, ‘একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে, একজন খেলোয়াড়ের কাছে ১০–১৫ ম্যাচ দিয়ে কিছু পাওয়া যাবে না। ক্রিকেটে চাওয়া মাত্র কিছু পাওয়া যায় না। বেশি ম্যাচ খেললে ফিডব্যাকটাও সেভাবে পাওয়া যাবে। সব খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই একই। ধৈর্য একটা ব্যাপার।’
জিম্বাবুয়ের পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারকেই পায়নি বাংলাদেশ। সেটি দারুণভাবেই পুষিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজ, সোহান, মেহেদী, আফিফ, নাছুমরা। তরুণেরা ব্যাটে–বলে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রতি ম্যাচেই। তরুণদের একসঙ্গে জ্বলে ওঠার পেছনে মেহেদী দেখছেন পারস্পরিক বিশ্বাস–বোঝাপাড়াটা। বললেন, ‘আমরা যারা তরুণ আছি, সবার সঙ্গে সবার বোঝাপাড়াটা খুবই ভালো। ঘরোয়া কিংবা অন্য ক্রিকেটে দেখা যায় ঘুরেফিরে সবার সঙ্গেই খেলতে হয়। একজন আরেকজনকে চিনি, জানি। একজনের প্রতি আরেকজনের বিশ্বাসটা আছে। সতীর্থের ওপর বিশ্বাস রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখন যে সুন্দর পরিবেশে আছি, তার মূল কারণ দলীয় সংহতি।’
ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলাতেও এখন মিলছে প্রবাসীদের বিচরণ। জিনাত ফেরদৌস অবশ্য অনেক আগেই নামের পাশে জুড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের পতাকা। তবে প্রথমবারের মতো জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই অ্যাথলেট।
১৬ মিনিট আগেনিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার পর ইংল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজ হারের শঙ্কায় ভারত। ম্যানচেস্টারে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে হতাশার নতুন দৃশ্য দেখল তারা। জসপ্রীত বুমরা-মোহম্মদ সিরাজরা ইংলিশ ব্যাটারদের টলাতেই পারছেন না। নিজেদের প্রথম ইনিংসে এরই মধ্যে ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে ৫৪৪ রান তুলেছে। ১০ বছর পর আবার বিদেশের মাঠ
১ ঘণ্টা আগেরিকি পন্টিং আগেই বলতেন শচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন জো রুট। ওল্ড ট্রাফোর্ডে রুটের আরেকটি সেঞ্চুরির পর অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়কের সে বিশ্বাস আরও পোক্ত হয়েছে। ছাড়িয়ে ‘যেতে পারেন’ নয়, এখন রিকি পন্টিং বলছেন, ছাড়িয়ে যাবেন! পন্টিংয়ের ভাষায়, ‘গত চার-পাঁচ বছরে তাঁর ক্যারিয়ারের যে ধারা, তাতে কোনো তা
২ ঘণ্টা আগেএম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গত ৪ জুন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএলের শিরোপা উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ১১ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করে কোর্ট। এবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বড় ইভেন্ট আয়োজনে ‘অসুরক্ষিত’ বলছে তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট।
৩ ঘণ্টা আগে