Ajker Patrika

ইমনের রেকর্ড ফিফটিতে শান্তদের ৪০ বলে খেলা শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ২৯
ইমনের ১৫ বলে রেকর্ড ফিফটিতে ৪০ বলে ম্যাচ জিতে গেল আবাহনী। ছবি: আবাহনী
ইমনের ১৫ বলে রেকর্ড ফিফটিতে ৪০ বলে ম্যাচ জিতে গেল আবাহনী। ছবি: আবাহনী

৮৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে বর্তমান ক্রিকেটে জেতা তো অনেক দূরের কথা। ন্যুনতম লড়াইটুকু করা যায় না। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আজ শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব-আবাহনী লিমিটেডের ম্যাচটা হয়েছে এমনই। এই একপেশে ম্যাচেই রেকর্ড গড়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন।

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া শাইনপুকুর ২৫.৪ ওভারে ৮৮ রানে গুটিয়ে যায়। ছন্দে থাকা আবাহনীকে হারাতে বোলিংয়ে অসাধারণ কিছু করতে হতো শাইনপুকুরকে। কিন্তু কিসের কী! ৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে আবাহনীর লেগেছে কেবল ৪০ বল। দুই ওপেনার ইমন ও জিসান আলম আবাহনীকে এনে দিয়েছেন ১০ উইকেটের জয়। ১৫ বলে ফিফটি করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন ইমন।

সব মিলিয়ে যৌথভাবে চতুর্থ দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড করেছেন ইমন। ১৫ বলে ফিফটির রেকর্ড রয়েছে অ্যাডাম হলিওয়াক ও সালমান বাটের। হলিওয়াক এই কীর্তিটা করেছেন ১৯৯৪ সালে আর বাট করেছেন ২০০৮-০৯ সালে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম ১২ বলে ফিফটির রেকর্ড ২০০৫-০৬ সালে করেছেন কৌশল্যা বীরারত্নে। ১৩ ও ১৪ বলে ফিফটি করে এই তালিকায় দুই ও তিনে থিসারা পেরেরা ও ররি ক্লেইনভেল্ট।

আবাহনীর ৪০ বলের মধ্যে ইমন একাই খেলেছেন ২৩ বল। ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইমনের সঙ্গী জিসান করেছেন ১৭ বলে ১৭ রান। ইমন-জিসানের তাণ্ডবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি। তবে রেকর্ড গড়েও ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পাননি ইমন। ৬ ওভারে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন আবাহনীর অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

মিরপুর শেরেবাংলায় আজ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হৃদয়। মোহামেডানের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে ৩২.২ ওভারে ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ছাড়া বলার মতো পারফরম্যান্স আর কেউ করতে পারেননি। সাত নম্বরে নেমে ৬১ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৯ রান করেছেন শামীম।

মোহামেডানের তাইজুল ৩.২ ওভারে ৫ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ইবাদত হোসেন চৌধুরী পেয়েছেন ৩ উইকেট। ৭ ওভারে খরচ করেন ২৭। দিয়েছেন এক ওভার মেডেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও আবু হায়দার রনি।

১৭৫ রানের লক্ষ্য হলেও অর্ধেক উইকেট হারিয়েছে মোহামেডান। ৩০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান করেছে দলটি। হৃদয় করেছেন ৫৫ বলে ৫৭ রান। ৭ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। আর ১২০ বল হাতে রেখে মোহামেডানের ৫ উইকেটের জয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন মিরাজ। ছয় নম্বরে নেমে ৫৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রান করেছেন তিনি।


বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব-গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচটা বেশ রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া ধানমন্ডি ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে করেছে ২৫৮ রান। ২৫৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ২ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে গুলশান। ম্যাচসেরা হয়েছেন নাঈম ইসলাম। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা গুলশানের একপ্রান্ত আগলে রাখেন তিনি। ছয় নম্বরে নেমে ৬৭ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৬৮ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত