Ajker Patrika

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সরে যেতে পারে পাকিস্তান থেকে

আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২: ৫০
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সরে যেতে পারে পাকিস্তান থেকে

২০২৪ শুরু হতে বাকি এখনো ৩৩ দিন। এরই মধ্যে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে মাথাব্যথা। কারণ আয়োজক যে পাকিস্তান। যতই তাদের দেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, টি-টোয়েন্টি লিগ, ঘরোয়া ক্রিকেট নির্বিঘ্নে আয়োজন করা হোক, বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্ট নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।

২০২৩ এশিয়া কাপ এককভাবে পাকিস্তানের আয়োজনের কথা থাকলেও নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত প্রতিবেশী দেশে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইব্রিড মডেলে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। ১৩ ম্যাচের ৪ ম্যাচ হয়েছে পাকিস্তানে এবং ৯ ম্যাচ হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। পাকিস্তানে একটা ম্যাচও খেলেনি ভারত। একই রকম ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ক্ষেত্রেও। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে সরে যেতে পারে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।

যেখানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে না পাঠানোর সিদ্ধান্তে এখনো অনড়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আশঙ্কা, ২০২৩ এশিয়া কাপের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) এক সূত্র বলেছে, ‘পিসিবি কর্মকর্তারা আলোচনা করেছেন যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাদের দল পাকিস্তানে পাঠাতে অস্বীকার করতে পারে। তাঁরা (পিসিবি কর্মকর্তা) স্পষ্ট জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি যেমনই হোক, আইসিসি যাতে একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়।’ 

২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও হাইব্রিড মডেলে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘বিকল্প ভেন্যু’ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম শোনা যাচ্ছে। পাকিস্তানে ভারতীয় ক্রিকেট দল তাদের ম্যাচগুলো না খেলে আমিরাতে খেলতে পারে। এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতে এককভাবেও হতে পারে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এর আগে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৮ ও ২০২২ সালে দুটি এশিয়া কাপ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। 

২০১৭ সালে সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হয়েছিল। লন্ডনের ওভালে ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতে পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তান প্রথমবার উঠেছিল ২০১৭ সালেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্ত্রীকে ক্ষমা করে দিতে বলেছিলেন গুরুতর অসুস্থ মাহমুদউল্লাহ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ২৯
ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সুস্থ হলেও এখনো ট্রমার মধ্যে আছেন স্ত্রী জান্নাতুল কাওসার মিষ্টি। ছবি: ফাইল ছবি
ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সুস্থ হলেও এখনো ট্রমার মধ্যে আছেন স্ত্রী জান্নাতুল কাওসার মিষ্টি। ছবি: ফাইল ছবি

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যেন মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছিলেন। মহামারি ডেঙ্গুতে দেশে এখন মৃত্যুর খবর শোনা যাচ্ছে অহরহ। সেদিনের সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বললেন মাহমুদউল্লাহর স্ত্রী জান্নাতুল কাওসার মিষ্টি।

ফেসবুকে আজ মিষ্টি কার্ডিওথোরাসিক হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটের (সিএইচডিউ) একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবি পোস্ট করে গত সপ্তাহের সেই দুঃসময়ের কথা বলতে গিয়ে হয়তো তাঁর চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। মাহমুদউল্লাহর স্ত্রী লিখেছেন, ‘এই দরজার সামনে আল্লাহ আর কখনো দাঁড় না করান। এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন আর ভয়ংকর সময় (২৭ অক্টোবর ২০২৫)। এই দরজার ভেতরে ঢোকার আগে সে যখন আমাকে বলল, আমি যেন তাকে ক্ষমা করে দিই, সেটা শুনেও আমি এমন ভান করলাম যেন কিছুই হয়নি। হবেও না ইনশা আল্লাহ।’

প্রাণপ্রিয় স্বামী যখন হাসপাতালের বিছানায়, তখন কী যে ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটা মাহমুদউল্লাহর স্ত্রী মিষ্টিই ভালো জানেন। কঠিন সেই সময়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে সর্বক্ষণ দোয়া করেছেন মিষ্টি। তাঁর আশা ছিল, সৃষ্টিকর্তা কখনোই তাঁকে নিরাশ করবেন না। মাহমুদউল্লাহর স্ত্রী লিখেছেন, ‘সে সময় নিজেকে খুব শক্ত করে সামলেছি।

মাহমুদউল্লাহ যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সেদিনের ভয়ংকর পরিস্থিতির গল্প শোনালেন স্ত্রী মিষ্টি। ছবি: ফেসবুক
মাহমুদউল্লাহ যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সেদিনের ভয়ংকর পরিস্থিতির গল্প শোনালেন স্ত্রী মিষ্টি। ছবি: ফেসবুক

এখন সেটা ভেবে নিজের কাছেই খুব অবাক লাগছে, সেই আমি কীভাবে এত শক্ত ছিলাম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী ছিলাম যে আমার আল্লাহ আমাকে সবরের পরীক্ষা করছিলেন। এই পরীক্ষায় আমি উত্তীর্ণ হবই হব ইনশা আল্লাহ। কিন্তু যতক্ষণ তার পাশে ছিলাম, মনে মনে ভয় পাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম, তার হায়াত কতটুকু সেটা তো একমাত্র আল্লাহই জানেন। সর্বক্ষণ দোয়া আর জিকিরে কীভাবে যেন সেই কঠিন সময়টুকু পার হয়ে গেল। আলহামদুলিল্লাহ, মাশা আল্লাহ। আল্লাহ মহান, পরম দয়ালু। তাঁর দয়ার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।’

মাহমুদউল্লাহ শঙ্কামুক্ত হলেও কঠিন সেই মুহূর্তের কথা এখনো ভুলতে পারছেন না মিষ্টি। এক সপ্তাহ আগের হলেও সেই ঘটনার ট্রমা যেন কাটছেই না। মাহমুদউল্লাহর স্ত্রী লিখেছেন, ‘মানুষের জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যা কখনো ভোলা যায় না। সেই কঠিন সময়টুকু এখনো বারবার মনে পড়ছে। হয়তো এই ট্রমা কাটতেও সময় লাগবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘আল্লাহ কাউকে রোগ বালাই দিয়েন না...’

ক্রীড়া ডেস্ক    
দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে হতাশ নিগার সুলতানা জ্যোতি। ছবি: ফেসবুক
দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে হতাশ নিগার সুলতানা জ্যোতি। ছবি: ফেসবুক

বাংলাদেশের চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে হতাশার গল্প তো নতুন কিছু নয়। উন্নত চিকিৎসার অভাবে অকালে মারা যান অনেকে। এমনকি সঠিক সময়ে চিকিৎসা সেবাটুকু মেলে না অনেক রোগীর। দেশের বেহাল চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে নিগার সুলতানা জ্যোতির কণ্ঠে ফুটে উঠেছে হতাশা।

সঠিক চিকিৎসার অভাবে যেমন অনেকে অকালে মারা যান, তেমনি অনেকে পঙ্গু হয়ে হাসপাতালে ভুগতে থাকেন বছরের পর বছর ধরে। অনেক দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসাও মেলে না বাংলাদেশে। তাছাড়া অনেক চিকিৎসকের কাছে সেবার চেয়ে আর্থিক জিনিসটাই মুখ্য হয়ে ওঠে। হাসপাতালের বিছানায় ধুঁকে ধুঁকে মরতে দেখা যায় অনেক রোগীকে। জ্যোতির মতে দেশের এমন বেহাল চিকিৎসাব্যবস্থায় রোগে আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে সরাসরি মৃত্যুবরণ করাটাই শ্রেয়। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট অধিনায়ক লিখেছেন, ‘সরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ডাক্তার নেই। প্রাইভেট সেন্টারে সিজার করবেন এমন রোগী বেশী প্রাধান্য পেয়ে থাকেন। টেস্ট করাতে গেলে আরও খুশি। চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলার নেই। আজ নিজের চোখে যা দেখলাম, বুঝলাম মনে হলো আল্লাহ কাউকে রোগ বালাই দিয়েন না। একদম সরাসরি মৃত্যু দিও।’

উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থার অভাবে বাংলাদেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে গিয়ে চিকিৎসা করানোর ঘটনাও অহরহ দেখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের কজন মানুষের বিদেশে গিয়ে সঠিক চিকিৎসার সুযোগ মেলে? তাঁদের কাছে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থাই একমাত্র ভরসা। জ্যোতি গতকাল কোথায় ও কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে ফেসবুকে লিখেছেন, সেটা জানা যায়নি। কিন্তু বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়কের এমন পোস্টে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার করুণ চিত্রটাই কেবল ফুটে ওঠে।

জ্যোতির নেতৃত্বে কদিন আগে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছে। ৮ দলের মধ্যে ৭ নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল জ্যোতির দল। ৭ ম্যাচ খেলে পেয়েছিল কেবল ১ জয়। হেরেছিল ৫ ম্যাচ ও বৃষ্টিতে ১ ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল। সমান ৩ পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটের কারণে বাংলাদেশ সাত ও পাকিস্তান আট নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল। পরশু মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ২৮
সাকিব আল হাসানের পোস্টার নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢোকা যাবে কি না, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন আসিফ আকবর। ছবি: ফাইল ছবি
সাকিব আল হাসানের পোস্টার নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢোকা যাবে কি না, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন আসিফ আকবর। ছবি: ফাইল ছবি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টি-টোয়েন্টি, টি-টেন টুর্নামেন্ট খেললেও বাংলাদেশের জার্সিতে সাকিব আল হাসান খেলতে পারছেন না এক বছর ধরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো দূরে থাক, বাংলাদেশের মাঠেও তাঁর খেলা হচ্ছে না। এমনকি তাঁর পোস্টার নিয়েও গ্যালারিতে যেতে পারছেন না ভক্ত-সমর্থকেরা।

বিশ্বের নানা দেশে স্টেডিয়ামে দর্শকেরা ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে প্রিয় ক্রিকেটারদের উদ্দেশে নানা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মাঠে হাজির হওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। বাংলাদেশেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্ট চলাকালে গ্যালারিতে দর্শকদের হাতে দেখা গেছে তারকা ক্রিকেটারদের ছবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড। কিন্তু এ বছরের শুরুতে বিপিএল চলার সময় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাকিবের নামসংবলিত একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে দর্শকেরা ঢুকতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়েন। কদিন আগে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ চলার সময়ও ঘটেছে এমন ঘটনা।

মিরপুরে গতকাল বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচনা হয়েছে সাকিবের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার প্রসঙ্গ। সাংবাদিকদের বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর বলেন, ‘যখন সে বাংলাদেশ দলে এসেছে, তখন থেকে আমি সাকিবকে চিনি। তাকে ১৭-১৮ বছর ধরে চিনি। একজন ক্রিকেটার হিসেবে মূল্যায়ন করি। বাকিটা বলার জন্য রয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। সাকিবের পোস্টার ঢুকবে কি ঢুকবে না, সেটা তারা বুঝবে।’

২০০৬ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের জার্সিতে ৭১ টেস্ট, ২৪৭ ওয়ানডে ও ১২৯ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৪৭ ম্যাচে তিনি গড়েছেন অসংখ্য রেকর্ড। পেছনে ফেলেছেন অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারদেরও। সেই সাকিব যে রাজনৈতিক কারণে দেশে আসতে পারছেন না, সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। তবে সাকিবকে শুধুই ক্রিকেটার হিসেবে মূল্যায়ন করেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। বিসিবির বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটির দায়িত্বে থাকা আসিফ গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সাকিবের প্রতি একটা সফট কর্নার রয়েছে বাংলাদেশের। সে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড। পোস্টার নিয়ে ঢুকবে কি না সেটা দেখবে ডিসিপ্লিনারি কমিটি।’

ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড সাকিবের। মিরপুরে ৮৯ ওয়ানডেতে ৪.০৮ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৩১ উইকেট। এই তালিকায় তিনি পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামকে। শারজায় পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসার ৭৭ ওয়ানডেতে ৩.৫৫ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১২২ উইকেট। সেই সাকিব বাংলাদেশের জার্সিতে গত বছরের অক্টোবর থেকে খেলতে পারছেন না। এ সময় তিনি পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ও যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ক্রিকবাজে কদিন আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিরপুরে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে চেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিকেএসপি স্থাপনের কার্যক্রমে ধীরগতি, বাড়ছে অসন্তোষ

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি 
বিকেএসপি স্থাপনের কার্যক্রমে ধীরগতি, বাড়ছে অসন্তোষ

রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের কথা হচ্ছে এক বছর ধরে। রাঙামাটিতে দ্রুত বিকেএসপি স্থাপন করার জোর দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। তবে বিকেএসপি, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পার্বত্য মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় এগোচ্ছে না স্থাপনার কার্যক্রম। সমন্বয়হীনতার সুযোগে গুরুত্বপূর্ণ এই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে সক্রিয় একাধিক পক্ষ।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় গত ১৪ অক্টোবর এক বিবৃতিতে জানায় রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর ১৬ অক্টোবর রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বিকেএসপি স্থাপনের দাবিতে কাপ্তাই উপজেলার ক্রীড়ামোদী সর্বস্থরের জনগণ, সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়দের ব্যানারে কাপ্তাইয়ে মানববন্ধন হয়। এর আগে ৭ অক্টোবর রাঙামাটি সদর উপজেলায় বিকেএসপি স্থাপনের দাবিতে রাঙামাটি শহরে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একই দাবিতে ২২ অক্টোবর রাঙামাটি সদর উপজেলার সব ক্লাব প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতারা মানববন্ধন করে স্মারকলিপি দেন।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরির কথা মাথায় রেখে বিগত সরকারের আমলে রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনের জন্য বিগত সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছিলেন রাঙামাটি জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান। জেলার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি জেলায় একাধিক জায়গা পরিদর্শন, সম্ভাব্যতা যাচাই থেকে শুরু করে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণের কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছিলেন। পরিদর্শন শেষে রাঙামাটি শহরের ঝগড়াবিল মৌজায় বিকেএসপি স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্তে উপনীত হয় জেলা প্রশাসন। সরকার পরিবর্তন হলেও এই কাজ থেমে থাকেনি।

তার আলোকে গত ৪ আগস্ট প্রত্যাশিত চারটি জায়গা দেখতে রাঙামাটি সফরে আসেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলাম। তিনি চলে যাওয়ার পর গত ১ সেপ্টেম্বর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সগীর হোসেনের নেতৃত্বে রাঙামাটি আসে ৩ সদস্যের একটি দল। এই দলও রাঙামাটি শহরতলি ঝগড়াবিল, রাঙাপানির লুম্বিনী, কাউখালী উপজেলার রাঙিপাড়া, দেওয়ান পাড়াসহ ৪টি জায়গা পরিদর্শনের কথা ছিল। কিন্তু সেগুলো না দেখে দলটি চলে যায় কাপ্তাইয়ে।

জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, দলটির সফর রহস্যজনক মনে হয়েছে। তাদের প্রত্যাশিত চারটি জায়গা পরিদর্শনে কোনো আগ্রহ ছিল না। তারা জমি দেখতে আসেনি। মূলত তাদের লক্ষ্য ছিল কাপ্তাইয়ে সুনির্দিষ্ট একটি জায়গা চূড়ান্ত করা। যে জায়গা তারা পরিদর্শন করেছে, সেখানে জমি আছে মাত্র ৩৪ একর। অথচ জমি দরকার ৪০ একর।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এই দল ঢাকায় চলে গেলে জেলা প্রশাসনকে কাপ্তাইয়ে জমি নির্বাচনে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে চিঠি দেওয়া হয়। একদিকে আন্দোলন, অপর দিকে এই চিঠিতে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে জেলা প্রশাসন। চিঠির জবাবে গত ৬ অক্টোবর ২০২ স্মারক মূলে জেলা প্রশাসন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে জানায়, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদর, কাউখালী কিংবা কাপ্তাই উপজেলার বিষয়ে সুপারিশ বা মতামত দেওয়া হয়নি। সদর ও কাউখালী উপজেলার দুটি করে মোট চারটি আবেদন ছিল। কাপ্তাইয়ের ব্যাপারে কোনো আবেদন ছিল না।

জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকেএসপি নিয়ে যা হচ্ছে, তাতে আমরা অবাক হচ্ছি। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। রাঙামাটি শহরে ঝগড়াবিলে বিকেএসপি হচ্ছে, এটা তো অনেকটা চূড়ান্ত মনে করেছি। আমরা আশায় বুক বেঁধে ছিলাম, ঝগড়াবিলে এই প্রতিষ্ঠান হলে রাঙামাটি তথা অন্য দুই পার্বত্য জেলার সন্তানেরা সুবিধা পাবে। কিন্তু হঠাৎ কী হলো, আমরা বুঝছি না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থাপনা নির্মাণে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের মতামত চাওয়ার নিয়ম থাকলেও কিছু জানে না তারা। পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিমল চাকমা জানান, রাঙামাটিতে বিকেএসপি হচ্ছে, এটি তাঁরা জানেন না। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘রাঙামাটিতে কোন জায়গায় বিকেএসপি হচ্ছে, এর সর্বশেষ তথ্য কী, এ নিয়ে পার্বত্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়নি।’ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ মারুফ বলেন, ‘কোথায় বিকেএসপি হবে, এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কোনো প্রস্তাব চাওয়া হয়নি। রাঙামাটিতে কোথায় বিকেএসপি হচ্ছে, এটা আমি জানি না।’

এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বিকেএসপি খুব প্রয়োজন। বিকেএসপি প্রতিষ্ঠায় যোগাযোগ নিরাপত্তা ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধাকে বেশি প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত