নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফারজানা হক ও মুরশিদা খাতুনের রেকর্ড ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত শুরু। দুজনের অসাধারণ ব্যাটিং যেন ব্যাটিং অর্ডারের দুরবস্থার কথাই ভুলিয়ে দিচ্ছিল। পাকিস্তানের ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে ফারজানা ও মুরশিদা ওপেনিং জুটিতে তোলেন ১২৫ রান। জয়টা তখন কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
মাঝে পাকিস্তানের বোলাররা কয়েকটি উইকেট নিলেও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও সোবহানা মোস্তারি বাংলাদেশের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। তার আগে দুই ওপেনার—ফারজানা ৬২ ও মুরশিদা খেলেছেন ৫৪ রানের অসাধারণ দুটি ইনিংস। যার সৌজন্যে ২৬ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য তাড়া করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ৭ উইকেটের জয়ে আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলেও উন্নতি হয়েছে তাদের। চার ধাপ এগিয়ে ৯ থেকে ছয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
২০১৪ সালে কক্সবাজারে পাকিস্তানকে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে তিন ম্যাচে এটাই প্রথম সিরিজ জয়। প্রথম দুই ম্যাচে একটি করে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ফলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ শেষ ম্যাচ হয়ে ওঠে অলিখিত ফাইনালে।
মিরপুরের ধীর গতির উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক নিদা দার। সিদরা আমিনের ৮৪ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ৯ উইকেটে ১৬৬ রান সংগ্রহ করেন তাঁরা।
গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও ব্যাটিংয়ের দুরবস্থার কথা উঠে আসে জ্যোতির বক্তব্যে। তাই সিরিজ জিততে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটারদের দারুণ কিছু করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ফারজানা ও মুরশিদা দুর্দান্ত ভাবেই ব্যাটিংটা রাঙিয়ে তুললেন। ১২৫ রানের জুটি গড়ে ইতিহাস গড়েছেন দুজনে।
নারী ক্রিকেটে ওপেনিং জুটিতে এটি এখন সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাভারে ১১৩ রানের জুটি গড়েছিলেন শারমিন আক্তার ও সুখতারা রহমান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে ফারজানা ও মুরশিদার এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২৭ রানের জুটি গড়েছিলেন রুমানা আহমেদ ও শারমিন।
ফারজানা ৫ চারে ৬২ রানে নাশরা সান্ধুর এলবিডব্লিউর শিকার হলে ভাঙে ১২৫ রানের ওপেনিং জুটি। নিজের পরের ওভারে মুরশিদাকেও ফেরান সান্ধু (৩৭ তম ওভার)। ৬ চারে ৫২ রান করেছেন মুরশিদা। এরপর কোনো বল খেলার আগেই রান আউট হয়ে ফেরেন ফাহিমা খাতুন।
দারুণ শুরুর পরও ৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেটে জ্যোতি ও সোবহানার ৩৯ রানের জুটিতে চাপ সামলিয়ে জয় নিশ্চিত হয় তাদের। জ্যোতি ১৮ ও সোবহানা ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সান্ধু ২৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে পাকিস্তানের প্রথম উইকেট নিতে ২০ তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ততক্ষণে স্কোর ৫০ পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। দারুণ শুরু আর সিদরা আমিনের ফিফটিতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল সফরকারীরা।
শুরুতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলের সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন সিদরা। প্রশংসিত বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ যেন ম্যাচের শুরু থেকে অনেকটা সময় ছিল অচেনা। তবে পরে দুর্দান্ত কামব্যাক করেন নাহিদা আক্তার-ফাহিমা খাতুনেরা। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে একাই লড়ে গেছেন পাকিস্তানের ওপেনার সিদরা। ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সাদাফ শামাসকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৬৫ রান যোগ করেন সিদরা। ২০ তম ওভারে সাদাফকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার নাহিদা। ৬১ বলে ৩১ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন পাকিস্তানের এই ওপেনার।
দ্বিতীয় উইকেটে মুনিবা আলির সঙ্গে ২৮ রানের আরেকটি জুটি গড়েন সিদরা। ৩১ তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন স্বর্ণা আক্তার। ১৪ রানে মুনিবাকে ফেরান এই লেগ স্পিনার। এরপরই খেই হারায় পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। মুনিবার পরের পাঁচ ব্যাটারের কেউই আর দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
একপ্রান্ত আগলে ধরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সপ্তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন সিদরা। ১৪৩ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইনিংসে ছিল ৩টি চার। শেষ দিকে দিয়ানা বেগের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাহিদা ৩টি ও রাবেয়া খান নিয়েছেন ২ উইকেট।
ফারজানা হক ও মুরশিদা খাতুনের রেকর্ড ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত শুরু। দুজনের অসাধারণ ব্যাটিং যেন ব্যাটিং অর্ডারের দুরবস্থার কথাই ভুলিয়ে দিচ্ছিল। পাকিস্তানের ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে ফারজানা ও মুরশিদা ওপেনিং জুটিতে তোলেন ১২৫ রান। জয়টা তখন কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
মাঝে পাকিস্তানের বোলাররা কয়েকটি উইকেট নিলেও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও সোবহানা মোস্তারি বাংলাদেশের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। তার আগে দুই ওপেনার—ফারজানা ৬২ ও মুরশিদা খেলেছেন ৫৪ রানের অসাধারণ দুটি ইনিংস। যার সৌজন্যে ২৬ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য তাড়া করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ৭ উইকেটের জয়ে আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলেও উন্নতি হয়েছে তাদের। চার ধাপ এগিয়ে ৯ থেকে ছয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
২০১৪ সালে কক্সবাজারে পাকিস্তানকে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে তিন ম্যাচে এটাই প্রথম সিরিজ জয়। প্রথম দুই ম্যাচে একটি করে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ফলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ শেষ ম্যাচ হয়ে ওঠে অলিখিত ফাইনালে।
মিরপুরের ধীর গতির উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক নিদা দার। সিদরা আমিনের ৮৪ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ৯ উইকেটে ১৬৬ রান সংগ্রহ করেন তাঁরা।
গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও ব্যাটিংয়ের দুরবস্থার কথা উঠে আসে জ্যোতির বক্তব্যে। তাই সিরিজ জিততে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটারদের দারুণ কিছু করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ফারজানা ও মুরশিদা দুর্দান্ত ভাবেই ব্যাটিংটা রাঙিয়ে তুললেন। ১২৫ রানের জুটি গড়ে ইতিহাস গড়েছেন দুজনে।
নারী ক্রিকেটে ওপেনিং জুটিতে এটি এখন সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাভারে ১১৩ রানের জুটি গড়েছিলেন শারমিন আক্তার ও সুখতারা রহমান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে ফারজানা ও মুরশিদার এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২৭ রানের জুটি গড়েছিলেন রুমানা আহমেদ ও শারমিন।
ফারজানা ৫ চারে ৬২ রানে নাশরা সান্ধুর এলবিডব্লিউর শিকার হলে ভাঙে ১২৫ রানের ওপেনিং জুটি। নিজের পরের ওভারে মুরশিদাকেও ফেরান সান্ধু (৩৭ তম ওভার)। ৬ চারে ৫২ রান করেছেন মুরশিদা। এরপর কোনো বল খেলার আগেই রান আউট হয়ে ফেরেন ফাহিমা খাতুন।
দারুণ শুরুর পরও ৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেটে জ্যোতি ও সোবহানার ৩৯ রানের জুটিতে চাপ সামলিয়ে জয় নিশ্চিত হয় তাদের। জ্যোতি ১৮ ও সোবহানা ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সান্ধু ২৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে পাকিস্তানের প্রথম উইকেট নিতে ২০ তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ততক্ষণে স্কোর ৫০ পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। দারুণ শুরু আর সিদরা আমিনের ফিফটিতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল সফরকারীরা।
শুরুতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলের সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন সিদরা। প্রশংসিত বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ যেন ম্যাচের শুরু থেকে অনেকটা সময় ছিল অচেনা। তবে পরে দুর্দান্ত কামব্যাক করেন নাহিদা আক্তার-ফাহিমা খাতুনেরা। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে একাই লড়ে গেছেন পাকিস্তানের ওপেনার সিদরা। ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সাদাফ শামাসকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৬৫ রান যোগ করেন সিদরা। ২০ তম ওভারে সাদাফকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার নাহিদা। ৬১ বলে ৩১ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন পাকিস্তানের এই ওপেনার।
দ্বিতীয় উইকেটে মুনিবা আলির সঙ্গে ২৮ রানের আরেকটি জুটি গড়েন সিদরা। ৩১ তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন স্বর্ণা আক্তার। ১৪ রানে মুনিবাকে ফেরান এই লেগ স্পিনার। এরপরই খেই হারায় পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। মুনিবার পরের পাঁচ ব্যাটারের কেউই আর দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
একপ্রান্ত আগলে ধরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সপ্তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন সিদরা। ১৪৩ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইনিংসে ছিল ৩টি চার। শেষ দিকে দিয়ানা বেগের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাহিদা ৩টি ও রাবেয়া খান নিয়েছেন ২ উইকেট।
কদিন আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, লিভারপুল ছেড়ে নতুন ঠিকানায় যাচ্ছেন লুইস দিয়াজ। আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাও এসে গেল। অ্যানফিল্ড থেকে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে পাড়ি জমাচ্ছেন তিনি। চার বছরের জন্য কলম্বিয়ান এই উইঙ্গারের সঙ্গে চুক্তি করেছে জার্মান লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
৭ ঘণ্টা আগেসাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ফিরেছিলেন ব্রেন্ডন টেলর। তাই এই টেস্টে সবার নজর ছিল তাঁর দিকে। তবে তাঁকে বাইরে রেখে টেস্টের একাদশ গড়ে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। তবু বুলাওয়ে টেস্টে শুরুটা তাদের মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ ওভারে অলআউট হয়েছে তারা।
৮ ঘণ্টা আগেওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে রাউন্ড রবিন লিগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেনি ভারত। দারুণ ব্যাপার হলো, সেমিফাইনালেও প্রতিপক্ষে হিসেবে নিজেদের পেয়েছে তারা। আগামীকাল বার্মিংহামে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তানের। সে পর্যন্ত আর যেতে হয়নি, ভারত এবারও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেল
৯ ঘণ্টা আগেওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে বাঁ পায়ে ক্র্যাম্প এবং কাঁধে ব্যথায় ভুগছিলেন বেন স্টোকস। শেষ টেস্টে তাঁকে পাওয়া যাবে কি না, এমন সংশয় ছিলই। এর মধ্যে আজ ওভাল টেস্টের একাদশ ঘোষণা করেছে। কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে নেই অধিনায়ক স্টোকস। তাঁর অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেবেন ওলি পোপ, এর আগেও ৪টি টেস্টে ইংল্যান্ডের
১০ ঘণ্টা আগে