Ajker Patrika

সাকিব-মোস্তাফিজদের ‘এলিট ক্লাবে’ এবার রউফ-জাম্পা

আপডেট : ১২ জুন ২০২৪, ১৮: ১৯
সাকিব-মোস্তাফিজদের ‘এলিট ক্লাবে’ এবার রউফ-জাম্পা

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে গত রাতে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল পাকিস্তান। পাকিস্তানের স্বস্তির জয়ের রাতে এলিট ক্লাবে নাম লেখালেন হারিস রউফ। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই রউফের সঙ্গী হলেন অ্যাডাম জাম্পা। রউফ-জাম্পার আগেই সেই এলিট ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন সাকিব আল হাসান-মোস্তাফিজুর রহমানরা। 

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে রউফের গত রাতে দরকার ছিল ১ উইকেট। কানাডার ইনিংসের অর্ধেক পেরোনোর আগেই সেই মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। দশম ওভারের তৃতীয় বলে কানাডার উইকেটরক্ষক ব্যাটার শ্রেয়াস মোভভার উইকেটই রউফের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শততম উইকেট। একই ওভারের পঞ্চম বলে রবীন্দরপল সিংকে ফেরালে রউফ পেয়ে যান ১০১তম উইকেট। নিউইয়র্ক থেকে সুদূর অ্যান্টিগায় আজ বাংলাদেশ সময় সকালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১০০ উইকেটের দেখা পেলেন জাম্পা। মাইলফলক ছুঁতে যে ৪ উইকেট দরকার ছিল, নামিবিয়ার বিপক্ষে চারটিই পেয়েছেন জাম্পা। অস্ট্রেলিয়ার লেগস্পিনার ৪ ওভারে খরচ করেন ১২ রান। পুরুষদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৫তম বোলার হিসেবে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি।  ‘সেঞ্চুরির ক্লাবে’ পৌঁছাতে অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনারের লেগেছে ৮২ ইনিংস।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটিং-বোলিং কোনোটিতেই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না সাকিব। ২ ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে ৩৬ রান দিয়েছেন। পাননি কোনো উইকেটের দেখা। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৪৭ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় দুইয়ে সাকিব। এই তালিকায় সবার ওপরে থাকা টিম সাউদি পেয়েছেন ১৫৭ উইকেট।তিনে থাকা রশিদ খান নিশ্বাস ফেলছেন সাকিবের ঘাড়ে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রশিদের উইকেট ১৪৬। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এরই মধ্যে পেয়েছেন ৬ উইকেট। সাকিব যদি তাঁর বাঁহাতের ঘূর্ণি জাদু দেখাতে না পারেন, খুব শিগগিরই তাঁকে (সাকিব) টপকে যেতে পারেন রশিদ।

চারে থাকা ইশ সোধির আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেট ১৩৬। সাকিবের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজ। ৯৭ ইনিংসে ১২৩ উইকেট নিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মোস্তাফিজ। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৪.৩৭ ইকোনমিতে নেন ৩ উইকেট। এবারই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের সেঞ্চুরি হওয়ার দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে মোস্তাফিজের। ৯৭ ইনিংস বোলিং করলেও তিনি খেলেছেন ৯৮ ম্যাচ। নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।  

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: এএফপি১২১ উইকেট নিয়ে মার্ক অ্যাডাইর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় আছেন ৬ নম্বরে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এরই মধ্যে ২ উইকেট নিয়েছেন।  অ্যাডাইরের থেকে একটু দূরেই আছেন মিচেল স্যান্টনার ও আদিল রশিদ। স্যান্টনার-আদিল রশিদ দুজনেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ১১১ উইকেট। জাম্পার মতো ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডানও চলমান বিশ্বকাপে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। 

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ বা তার বেশি উইকেট পাওয়া ১৫ বোলার
                                   উইকেট                ইনিংস
টিম সাউদি                     ১৫৭                      ১২০
সাকিব আল হাসান           ১৪৬                    ১২২
রশিদ খান                      ১৪২                      ৮৭
ইশ সোধি                       ১৩৬                      ১১১
মোস্তাফিজুর রহমান           ১২৩                  ৯৭
মার্ক অ্যাডায়ার                 ১২১                    ৮৫   
আদিল রশিদ                   ১১১                      ১০৪
মিচেল স্যান্টনার               ১১১                     ৯৯
বিলাল খান                    ১০৯                       ৭৭
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা           ১০৮                     ৬৫
লাসিথ মালিঙ্গা                ১০৭                      ৮৩
শাদাব খান                    ১০৭                        ৯৫
হারিস রউফ                  ১০১                        ৬৯
ক্রিস জর্ডান                   ১০০                       ৯১
অ্যাডাম জাম্পা             ১০০                        ৮২

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতীয় লিগে খেলতে গিয়ে বিড়ম্বনায় গেইল-পেরেরারা, সাকিবের কী খবর

ক্রীড়া ডেস্ক    
খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের রেখে পালিয়েছেন আয়োজকরা। ছবি: সংগৃহীত
খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের রেখে পালিয়েছেন আয়োজকরা। ছবি: সংগৃহীত

গত ১৫ অক্টোবর ইন্ডিয়ান হেভেনস প্রিমিয়ার লিগে (আইএইচপিএল) খেলার ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। তারকা অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত খেলেছেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে ভারতীয় টুর্নামেন্টটিতে খেলতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ক্রিস গেইল, থিসারা পেরেরারা।

৮ দল নিয়ে গত ২৫ অক্টোবর কাশ্মীরের শ্রীনগরে আইএইচপিএলের পর্দা উঠেছে। আগামী ৮ নভেম্বর টুর্নামেন্টটির পর্দা নামার কথা। কিন্তু তার আগেই থমকে গেছে সব। খেলোয়াড়দের রেখে পালিয়েছেন আয়োজকরা। যেটা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিব্রতকর পরিস্থিতি।

টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া কয়েকজন খেলোয়াড়ের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে শ্রীনগর ছেড়ে যান আয়োজকরা। সেই সময় হোটেলে আটকা পড়েন ৪০ জনের মতো খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা। তাঁদের কেউই পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি। এমনকি হোটেলের বিলও পরিশোধ করেনি আয়োজকরা। এমন পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে হোটেল ছেড়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।

আইএইচপিএলে অংশ নিয়েছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার পারভেজ রসুল। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি জানান, বিদেশি ক্রিকেটাররা ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সহায়তায় হোটেল ছেড়ে বের হয়ে যান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পন্সররা নিজেদের সরিয়ে নেওয়ায় অল্থ সঙ্কটে পড়ে আয়োজকরা। তাই খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের হোটেলে রেখে পালাতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

আইএইচপিএলে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেত গিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কর্মকর্তা মেলিসা জুনিপার। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সবাইকে রেখে টুর্নামেন্টের আয়োজকরা হোটেল ছেড়ে গেছেন। তারা খেলোয়াড় বা কর্মকর্তাদের বিল পরিশোধ করেননি। সবাই যেন বের হতে পারে এজন্য আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রুবাবার বিসিবি-যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আনুষ্ঠানিকভাবে এনএসসি কোটায় বিসিবির পরিচালক এখন রুবাবা। ছবি: সংগৃহীত
আনুষ্ঠানিকভাবে এনএসসি কোটায় বিসিবির পরিচালক এখন রুবাবা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক হচ্ছেন রুবাব দৌলা, বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয়তা ছিল আগে থেকেই। এবার এল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এই কর্পোরেট ব্যক্তিত্বকে বিসিবির পরিচালক ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনএসসি।

সবশেষ বিসিবি নির্বাচনে এনএসসি থেকে বিসিবি পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন পান এম ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক। গত ৬ অক্টোবর নির্বাচনের দিন থেকেই বিতর্ক শুরু হয় ইসফাককে নিয়ে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে শোনা যায়, ২০২৪ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন তিনি। তাই তাঁর মনোনয়ন হুমকির মুখে পড়ে।

বিতর্কের মাঝেই নির্বাচনের পরদিন এনএসসি কোটায় বিসিবি পরিচালকের পদে বসেন রুবাবা। এই নারী ক্রীড়া সংগঠক নিজেই আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। বাকি ছিল কেবল এনএসসির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এক মাসের মাথায় ঘোষণা আসায় বিসিবির ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ পূর্ণাঙ্গ হলো।

এনএসসি জানিয়েছে, পদত্যাগ করেছেন ইসফাক। তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে রুবাবাকে। ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর পদচারণা প্রথম নয়। এর আগে দীর্ঘ ৬ বছর বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকস বোর্ডের সদস্যও হিসেবে দেখা গেছে রুবাবাকে। ২০০৭ সালে গ্রামীণফোন ও বিসিবির যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনে ভূমিকা ছিল তাঁর।

তবে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট প্রশাসনে আসলেন রুবাবা। আজ বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিশ্বকাপ জয়ের পর রোহিতের চোখে পানি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ২৭
ফাইনালে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধিনায়ক। ছবি: এক্স
ফাইনালে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধিনায়ক। ছবি: এক্স

হারমানপ্রীত কৌরের মতো রোহিত শর্মার নামের পাশেও থাকতে পারতো বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের তকমা। কিন্তু খুব কাছে গিয়েও হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে তারকা ব্যাটারকে। ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারত হারায় স্বপ্নভঙ্গ হয় রোহিতের। তাই বোধহয় মেয়েদের বিশ্বকাপ জয়ের পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি।

নভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোহিত। পরিবার নিয়ে পুরো ম্যাচ উপভোগ করেছেন তিনি। ম্যাচজুড়ে স্বাগতিক দলকে সমর্থন দিয়ে গেছেন এই ক্রিকেটার। বাকিদের মতো রোহিতকেও ভারত নারী দলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে আত্মহারা হতে দেখা গেছে।

দীপ্তি শর্মার করা ইনিংসের ৪৬ তম ওভারের তৃতীয় বলে হারমানপ্রীতের হাতে ধরা পড়েন নাদিনে ডে ক্লার্ক। ৫২ রানের জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের। সঙ্গে সঙ্গে গগনবিদারী আওয়াজে প্রকম্পিত হয় পুরো স্টেডিয়াম। খেলোয়াড়রা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উদযাপনে মাতেন। ঠিক তখনই ক্যামেরায় আটকে যায় একটি দৃশ্য। দাঁড়িয়ে বিশ্বকাপ জয়ী দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন রোহিত। এমন সময় উপরে দিকে তাকান। তখন তাঁর চোখ ছলছল করছিল। যেন আরেকটু হলেই চোখ বেয়ে নেমে আসবে আনন্দ অশ্রু। রোহিত যেন নারী দলের মাঝেই নিজের অপূর্ণতাকে খুঁজে নিতে চাইলেন।

টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিলেও ভারতের হয়ে ওয়ানডে খেলে যাচ্ছেন রোহিত। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে দল বাজে সময় পার করলেও ব্যাট হাতে চেনা ছন্দেই ছিলেন হিটম্যান। একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ২০২৭ বিশ্বকাপ দলের সঙ্গী হওয়াটা তাঁর জন্য সময়ের ব্যাপার। অর্থাৎ এখনো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ আছে রোহিতের সামনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘এর চেয়ে বেশি গর্বিত হতে পারি না’, ভারতের বিশ্বকাপ জয় নিয়ে কোহলি

ক্রীড়া ডেস্ক    
ভারতীয় নারী দলকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা। ছবি: এক্স
ভারতীয় নারী দলকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা। ছবি: এক্স

পুরুষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুইবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে ভারত। অপেক্ষা ছিল কেবল মেয়েদের। সে অপেক্ষা শেষ হয়েছে গতকাল। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা রেখে দিয়েছে আয়োজক ভারত।

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে আত্মহারা ভারতের মেয়েরা। তাঁদের এই সাফল্য ছুঁয়ে গেছে দেশটির বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া ভিন্ন ভিন্ন বার্তায় হারমানপ্রীত কৌর, শেফালি ভার্মা, দীপ্তি শর্মাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার, বিরাট কোহলি, বিরেন্দর শেবাগরা।

এক্সে ভারত নারী দলের উদযাপনের একটি ছবি পোস্ট করেছেন টেন্ডুলকার। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয় পুরো প্রজন্মকে বড় স্বপ্ন দেখতে এবং সেই স্বপ্নগুলো তাড়া করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। আমাদের মহিলা ক্রিকেট দল সত্যিই বিশেষ কিছু করেছে। তারা সারা দেশের অসংখ্য তরুণীকে ব্যাট–বল তুলে মাঠে নামতে অনুপ্রাণিত করেছে। সেই সঙ্গে বিশ্বাস করাতে পেরেছে যে তারাও একদিন বিশ্বকাপ জিততে পারে। ভারতীয় নারী ক্রিকেটের যাত্রায় এটি একটি সংজ্ঞায়িত মুহূর্ত। মেয়েরা পুরো জাতিকে গর্বিত করেছে।’

শুভেচ্ছা বার্তায় অনিল কুম্বলে লিখেছেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসাধারণ এক অভিযান। সুশৃঙ্খল, নির্ভীক এবং ঐক্যবদ্ধ ভারতীয় দল। এই জয় চাপের মুখে দলের ধারাবাহিকতা এবং সংযমের প্রতিফলন। দক্ষিণ আফ্রিকাকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা হৃদয় দিয়ে লড়াই করেছে। ফাইনালকে সত্যিকার অর্থেই দারুণ লড়াই করেছে।’

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কোহলি লিখেছেন, ‘মেয়েরা ইতিহাস তৈরি করেছে। একজন ভারতীয় হিসেবে এত বছরের কঠোর পরিশ্রম অবশেষে বাস্তবে রূপ নিতে দেখে আমি এর চেয়ে বেশি গর্বিত হতে পারি না। এই ঐতিহাসিক কৃতিত্ব অর্জনের জন্য তাঁরা প্রশংসার দাবিদার। হারমান এবং পুরো দলের জন্য অভিনন্দন রইল। পর্দার আড়ালে কাজ করার জন্য পুরো দল এবং ব্যবস্থাপনাকে অভিনন্দন। ভারতকে অনেক শুভেচ্ছা। এই মুহূর্তটি পুরোপুরি উপভোগ করো সবাই। এটি আমাদের দেশে এই খেলাটি গ্রহণের জন্য প্রজন্মের মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে।’

গৌতম গম্ভীর, ‘তোমরা শুধু ইতিহাসই তৈরি করোনি, এমন একটি উত্তরাধিকার তৈরি করেছো যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত