Ajker Patrika

বাংলাদেশের দুটি আনন্দের সিরিজে কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন

রানা আব্বাস, ঢাকা
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮: ৩৬
বাংলাদেশের দুটি আনন্দের সিরিজে কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন

ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি বলছে, লম্বা ছুটি পেয়েই মাহমুদউল্লাহ স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় যেন বেরিয়েছেন। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের মতো তাঁর সতীর্থরাও এখন আছেন পুরোই ছুটির মেজাজে।

ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) যদি সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের বাংলাদেশ সফর স্থগিত না করত, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই লম্বা বিরতিটা মাহমুদউল্লাহরা পেতেন না। বিরতিটা এখন ভালোই কাজে দিচ্ছে। এতে সতেজ হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ মিলেছে। সাকিব আল হাসান আর মোস্তাফিজুর রহমানের প্রেক্ষাপট অবশ্য ভিন্ন। দুজনের সামনে এখন আইপিএল।

খেলোয়াড়েরা ফুরফুরে মেজাজে ছুটি কাটাচ্ছেন। দুটি সফল সিরিজের পর স্বস্তিতে আছেন টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্য ও নির্বাচকেরা। গতকাল শনিবার বিকেলে নির্বাচক হাবিবুল বাশারের সঙ্গে কথা বলার সময় স্বস্তির হাসিটা বেশ টের পাওয়া গেল। বলেই ফেললেন, ‘চার মাস আগেও টি-টোয়েন্টিতে আমাদের অবস্থান যেখানে ছিল (১০), এখন যেখানে এসেছি (ছয়ে), সে হিসেব করলে একটু তো স্বস্তি লাগছেই। তবে এখনো অনেক কাজ বাকি।’

তলানি থেকে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের এই বড় লাফের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে দেশের মাঠে সর্বশেষ ১০ ম্যাচের সাতটিই জয়। আর পুরস্কার হিসেবে এসেছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে দুর্দান্ত দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আর এর প্রতিফলন ঘটেছে র‍্যাঙ্কিংয়ে। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের তলানি (টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে) থেকে সাঁ করে উঠে এসেছে মাঝামাঝি অবস্থানে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এতগুলো সুখবর যে দলকে ঘিরে, তাদের এখন স্বস্তিতে না থাকার কারণ নেই। গত তিনটি সিরিজ জেতার পর দলের ভাবনা কতটা বদলে গেছে, হাবিবুল সেটিই বলছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচ যখন খেলতে নেমেছি, তখন আমাদের প্রত্যাশা ছিল কী? চেষ্টা করব জিততে। কিন্তু ওই সিরিজের পঞ্চম ম্যাচের আগে আর হারার চিন্তা ছিল না। তখন ভেবেছি ৪-১ হবে কি না। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে সবাই ভেবেছে সিরিজের ফল ৫-০ হবে নাকি ৪-১! তখন কিন্তু ম্যাচ জেতা কিংবা সিরিজ জেতা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। এটাকে বলে আত্মবিশ্বাস। এই আত্মবিশ্বাস দলের সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। যে যেটাই বলুক, এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’

ধারাবাহিক ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ যে ‘আত্মবিশ্বাস’ নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে চাচ্ছে সেটি নিয়েই আরও অনেকের মতো প্রশ্ন নাজমুল আবেদীন ফাহিমেরও। ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বিকেএসপির এই ক্রিকেট উপদেষ্টা মনে করেন, রাতারাতি র‍্যাঙ্কিংয়ের উচ্চ লাফ কখনো হিতে বিপরীত হতে পারে, ‘এভাবে যত দ্রুত ওপরে ওঠা যাবে, তার চেয়ে দ্রুত নিচে নেমে যাওয়ার ভয় থাকে!’

ফাহিমের এই সংশয় তৈরির পেছনে কাজ করেছে বাংলাদেশ দলের জয়ের প্রক্রিয়াটা দেখে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছে পছন্দসই উইকেট–কন্ডিশন তৈরি করে। যেটি নগদে সাফল্য এনে দিলেও দীর্ঘ মেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে-এর বিশ্লেষণ ফাহিম করেছেন এভাবে, ‘ফেয়ার কিংবা স্বাভাবিক কন্ডিশনে যদি খেলা হয় তাহলে মনে হয় আমরা তাদের সঙ্গে পারব না—শুরুর এই ভাবনা ভুল ছিল। তখন কন্ডিশনের সহায়তা নিয়ে জেতার চেষ্টা করেছি। দুটি সিরিজেই আমাদের ব্যাটসম্যানরা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে! এটা ভালো কোনো বিষয় নয়। ব্যাটসম্যানদের দেখলাম ছন্দে ফেরার অনেক চেষ্টা করছে।’

মন্থর ও ঘূর্ণি উইকেটে ব্যাটসম্যানদের যেমন সংগ্রাম করতে হয়েছে, ঠিক বিপরীত ছবি বোলিংয়ে। বাংলাদেশ বেশির ভাগ ম্যাচ জিতেছে বোলারদের অসাধারণ নৈপুণ্যে। বোলারদের এই সাফল্যেও খুব বেশি স্বস্তি থাকার সুযোগ দেখছেন না ফাহিম। বললেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়, সেটা খুব একটা করতে হয়নি। সাকিব-মোস্তাফিজ জানে এটা টি-টোয়েন্টির আদর্শ কন্ডিশন নয়। তবে বাকিদের সমস্যা হতে পারে। নাসুমের (আহমেদ) কথা বলি। নাসুমকে আমরা যেভাবে দেখেছি গত নয়টা ম্যাচে এবং গতকাল (পরশু সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি) যা দেখলাম, আকাশ-পাতাল পার্থক্য। শেষ ম্যাচে সে হয়তো বুঝতে পারল টি-টোয়েন্টি কী।’

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারানোর দারুণ সুযোগ, র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি, বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকা—এসব বিবেচনা করে বাংলাদেশ নিজেদের শক্তি-দুর্বলতার কথা ভেবে পছন্দের উইকেট-কন্ডিশনে টানা দুটি সিরিজ জিতেছে। যদিও এই সাফল্যের মাঝেও বিশ্বকাপের যথার্থ প্রস্তুতি নেওয়া হলো কিনা, সে কথা বারবার আসছে। তবে পাল্টা যুক্তিও টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে আছে। বলছেন, ‘কোন দেশ নিজেদের উইকেট-কন্ডিশনের সুবিধা নেয় না?’ অবশ্য নিজেদের কন্ডিশনের ফায়দা নেওয়ার এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে ভারত-ইংল্যান্ডের মতো দল। দেশ-বিদেশে সমানভাবে ভালো করতে এটির বিকল্পও নেই।

নির্বাচক হাবিবুল অবশ্য বলছেন, বাংলাদেশ ঠিক পথেই আছে, ‘প্রসেস বা প্রক্রিয়া নিয়ে কথা হতেই পারে। তবে আমাদের কাছে আমরা পরিষ্কার, কী করতে যাচ্ছি, কোথায় যেতে চাচ্ছি। তবে হ্যাঁ, একটা বিষয় নিয়ে বেশি চর্চা হলে অনেক সময় দল প্রভাবিত করতে পারে। তবে আমরা যদি নিজেদের কাজ ও লক্ষ্য নিয়ে পরিষ্কার থাকি, তাহলে এটা (নানা আলোচনা–বিতর্ক) উতরে যাওয়া সম্ভব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চ্যালেঞ্জ লিগ থেকে খালি হাতে ফিরছে কিংস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বল দখলের জন্য ছুটছেন কিংসের ডিফেন্ডার তাজ উদ্দিন(বাঁয়ে)। ছবি: এএফসি
বল দখলের জন্য ছুটছেন কিংসের ডিফেন্ডার তাজ উদ্দিন(বাঁয়ে)। ছবি: এএফসি

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে হার দিয়েই এবারের অধ্যায় শেষ করল বসুন্ধরা কিংস। গতকাল কুয়েত এসসির কাছে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছে তারা। গতবারের মতো কোনো পয়েন্ট ছাড়া ফিরতে হচ্ছে তাদের।

কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ স্টেডিয়ামে খেলতে যাওয়ার পথে শুরুতে বিড়ম্বনায় পড়ে কিংস। রাস্তায় আকস্মিক বিস্ফোরণে টিম বাসের একটি চাকা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দলটি স্টেডিয়ামে দেরিতে পৌঁছায়।ম্যাচ কমিশনারকে খেলা ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে কিংস। কিন্তু নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় ম্যাচ।

তিনবারের এএফসি কাপ জয়ী কুয়েত এসসি খেলার শুরুটা করে দুর্দান্ত। প্রথম মিনিটেই সামি আল সানেয়ারের নিখুঁত ক্রসে ইউসেফ আল সুলাইমান হেডে বল জালে পাঠান। ১৭ মিনিটে ফয়সাল আল হারবির দূরপাল্লার শক্তিশালী শটে বল ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এ সময় তাহা খেনিসি ও মোহাম্মদ দাহামও সুযোগ পান, কিন্তু তাদের ফিনিশিংয়ে ঘাটতি ছিল।

প্রথমার্ধ জুড়ে কিংস পাত্তাই পায়নি। যোগ করার সময়ের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কুয়েত এসসি। দাহামে ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক ফ্লিকে কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে পরাস্ত করেন খেনিসি।

দ্বিতীয়ার্ধে কিংস আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। সেরা সুযোগটি আসে ৬৪ মিনিটে। সোহেল রানার ক্রসে রাকিব হোসেনের হেড অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে চলে যায়। ৮০ মিনিটে বসুন্ধরার পক্ষে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে ইমানুয়েলও। কিন্তু দোরিয়েলতনের ক্রসে ছোঁয়া লাগাতে পারেননি। ফলে এই জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বি গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে কুয়েত এসসি। এর আগে প্রথম ম্যাচে আল সিবের কাছে ৪-৩ গোলে ও দ্বিতীয় ম্যাচে আল আনসারের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে কিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ধবলধোলাইয়ের পর শিশিরকে দুষলেন লিটন

ক্রীড়া ডেস্ক    
শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হারার পর বোলারদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন লিটন দাস। প্রথম দুই ম্যাচে শামিম পাটোয়ারি, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলীদের বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনীর পর অধিনায়কের এমন কথা বেশ যৌক্তিক ছিল। কিন্তু শেষ টি-টোয়েন্টির পর লিটন যা বললেন, সেটার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল।

শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ধবলধোলাই হওয়ার পর পুরস্কতার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে আসেন লিটন। তাঁর দাবি, শিশির না থাকায় ব্যাটিংয়ের সময় বেশ কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। বিপরীতে শিশিরের সুবিধা নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে টস জেতেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপ। দুই ম্যাচেই আগে ব্যাট করেছে অতিথিরা। আজ টস জিতে একই সিদ্ধান্ত নেন লিটন। কিন্তু হারের পর নিজের সিদ্ধান্তকেই বিতর্কিত করলেন তিনি।

লিটন বলেন, ‘আমরা যখন ব্যাট করছিলাম তখন শিশির ছিল না। উইকেট ব্যাট করার জন্য স্পর্শকাতর ছিল। এদিক থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভাগ্যবান বলতে হয়। কারণ তারা পরে ব্যাট করেছে। তবে এসব আপনার হাতে নেই।’

আগে ব্যাট করে ১৫১ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে ৬২ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন তানজিদ হাসান তামিম। স্বাভাবিকভাবেই এই ওপেনারের প্রশংসা করেছেন লিটন। একই সঙ্গে ক্যাচ মিস নিয়ে হতাশা শোনা গেল লিটনের কণ্ঠ। তিনি বলেন, ‘তামিম ভালো ব্যাট করেছে। আমার মনে হয়েছিল আমাদের স্কোর ভালো ছিল। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ছেড়ে দিলে সেটা পরিস্থিতিকে কঠিন করে তোলে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চার বছর পর ঘরের মাঠে ধবলধোলাই বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৪২
শেষ ম্যাচেও জিততে পারল না বাংলাদেশ।
শেষ ম্যাচেও জিততে পারল না বাংলাদেশ।

১৫১ রানের পুঁজি নিয়ে শুরুতেই আলিক আথানজেকে ফেরায় বাংলাদেশ। প্রথমে স্বাগতিক শিবিরে জেগে ওঠা সেই আশা ফিকে হয়েছে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। শুরুর ধাক্কা সামলে রস্টন চেজ ও আকিম অগাস্তের ব্যাটে শেষ হাসি হেসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাসের দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সফরকারী দল।

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হেরে আগেই সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ। ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এড়ানোর জন্য শেষ ম্যাচে জিততেই হতো তাদের। কিন্তু শেষটাতেও সান্ত্বনা পেল না বাংলাদেশ। তাতেই চার বছর পর ঘরের মাঠে এই সংস্করণে ধবলধোলাই হলো তারা। এর আগে সবশেষ ২০২১ সালে পাকিস্তানের কাছে নিজেদের মাঠে এই লজ্জা পায় বাংলাদেশ।

চতুর্থ উইকেটে ৯১ রান তোলেন চেজ ও অগাস্তে। ২৯ বলে ৫০ রান করা চেজকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। একই ওভারে অগাস্তেকেও ফেরান এই লেগস্পিনার। এক ওভারে জোড়া ধাক্কার পরও ভীতি জাগেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে। ততক্ষণে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গেছে অতিথিরা।

তাদের হয়ে ২৩ বলে ৩৪ রান করেন আমির জাঙ্গু। দলীয় ৬ রানে আথানেজের বিদায়ের পর ব্রেন্ডন কিংকে নিয়ে বিপদ সামাল দেন এই ওপেনার। ৮ রান করা কিং ফিরে গেলেও আরও কিছুক্ষণ টিকে ছিলেন জাঙ্গু। দলীয় ৫২ রানে তাঁর বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর চেজ ও অগাস্তের ওই জুটি। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। ৪ ওভারে এই স্পিনারের খরচ ৪৩ রান। শেখ মেহেদি হাসান ও নাসুম আহমেদের শিকার একটি করে উইকেট।

এর আগে টস জেতা বাংলাদেশের হয়ে তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসান ছাড়া বাকিদের কেউই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। তাঁরা দুজনে মিলে করেন ১১২ রান। ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। এই ওপেনারের ৯ চার ও ৪ ছয়ে সাজানো তাঁর ৬২ বলের ইনিংস। ২৩ রান করেন সাইফ। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার এদিন দশকের ঘরে পা রাখতে পারেননি। হ্যাটট্রিক করার পথে ৩৬ রান দেন শেফার্ড। দুটি করে উইকেট নেন হোল্ডার ও পিয়েরে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয় মহিলা দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন নোশিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় মহিলা দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন নোশিন। ছবি: ফেসবুক
জাতীয় মহিলা দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন নোশিন। ছবি: ফেসবুক

ড্র করলেই অক্ষত থাকবে মুকুট। সাদা ঘুঁটি নিয়ে ৬ চালের পর প্রতিপক্ষ ওয়ারসিয়া খুশবুকে ড্রয়ের প্রস্তাব দেন ফিদে মাস্টার নোশিন আনজুম। খুশবুও তাতে না করেননি। টানা তৃতীয়বারের মতো তাই জাতীয় মহিলা দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নিশ্চিত করলেন নোশিন।

১১ রাউন্ডের লড়াই শেষে সাড়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে নোশিন শীর্ষে থাকেন। ৭ জয়, ৩ ড্রয়ের বিপরীতে হেরেছেন কেবল এক ম্যাচে। তৃতীয় রাউন্ডে নুসরাত জাহান আলোর কাছে হারের পর হতাশায় মুষড়ে পড়েছিলেন ২১ বছর বয়সী এই দাবাড়ু। যদিও আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

আজ দাবা ফেডারেশন কক্ষে শেষ রাউন্ডের খেলার পর সাংবাদিক নোশিন বলেন, ‘আলোর কাছে হারের পর খুব হতাশ ছিলাম। খেলায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলছিলাম। আম্মু উৎসাহ দিয়ে বলছিল বাকি খেলাগুলো জিতলে আলো একটা হারলে প্লে অফ হবে। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে বাকি খেলাগুলো জিতি।’

জাতীয় দাবায় ২০ বারের চ্যাম্পিয়ন রানী হামিদ। বয়স ৮১ হলেও দাবার বোর্ডে নিয়মিত দেখা যায় তাঁকে। যদিও এবার আড়াই পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১১ তে থেকে শেষ করেন তিনি। মহিলা দাবায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান অনেক বেড়েছে বলে দাবি নোশিনের। হ্যাটট্রিক শিরোপাধারী দাবাড়ু বলেন, ‘জাতীয় মহিলা দাবা যখন শুরু করেছিলাম, তখন অনেক বয়স্ক নারীরা খেলতেন। এখন রানী আন্টি ছাড়া সবাই খুব কম বয়স। যে কেউ যে কাউকে হারানোর মত অবস্থা রয়েছে। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান অবশ্যই বেশি।’

আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে নোশিনের আরেকটি নর্ম পাওয়া বাকি নোশিনের। একই সঙ্গে রেটিং থাকতে হবে ২২০০। বর্তমানে তাঁর রেটিং ১৯০০। তিনি বলেন, ‘আমার যখন সেরা ফর্ম ছিল তখন ২১০০ প্লাস রেটিং ছিল। বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে দাবার কে ফ্যাক্টর ৪০ থেকে কমে ২০ হয়। আমাদের দেশে টুর্নামেন্ট তেমন হয় না। ইউরোপে হাঙেরী, স্পেনে খেলতে পারলে রেটিং বাড়ার সম্ভাবনা বেশি। সেখানে খেলতে অনেক খরচ। আমি নৌবাহিনী থেকে যা পাই তা দিয়ে পরিবার নির্বাহ হয়। বাইরে থেকে স্পন্সর আমার খুবই প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত